Logo
শিরোনাম

নবজাতকের মৃত্যুর পর চলে গেলেন আঁখিও

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসা ও কর্তৃপক্ষের প্রতারণায় মৃত্যুঝুঁকিতে পড়া মাহবুবা রহমান আঁখি মারা গেছেন। রোববার (১৮ জুন) দুপুর পৌনে ২টার দিকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসাপাতালে মারা যান তিনি।

দুপুর সোয়া ২টার দিকে এ তথ্য জানান তার স্বামী ইয়াকুব আলী সুমন। তিনি বলেন, চিকিৎসকরা বলছেন মারা গেছে। আমার সবকিছুই শেষ।

গত বুধবার (১৪ জুন) সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসা ও কর্তৃপক্ষের প্রতারণায় মাহবুবা রহমান আঁখি নামের এক প্রসূতি মৃত্যুঝুঁকিতে পড়েন বলে অভিযোগ করেন তার স্বামী ইয়াকুব আলী। তিনি দাবি করেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় মারা গেছেন তাদের নবজাতক সন্তান।

এ ঘটনায় ওই দিনই ধানমন্ডি থানায় মোট ছয়জনের নামোল্লেখসহ ৫-৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ এনে মামলা করেন ইয়াকুব আলী। এরপরই ডা. শাহজাদী ও ডা. মুনাকে গ্রেফতার করে ধানমন্ডি থানা পুলিশ।

জানা গেছে, গত তিন মাস ধরে সেন্ট্রাল হাসপাতালের গাইনি ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সংযুক্তা সাহার অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন মাহবুবা রহমান আঁখি। এমনকি তার শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক ছিল বলেও চিকিৎসক জানিয়েছিলেন। নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমেই সন্তান প্রসব সম্ভব বলে আশ্বস্ত করেছিলেন ডা. সংযুক্তা সাহা।

প্রসব ব্যথা ওঠায় গত ৯ জুন রাত ১২টা ৫০ মিনিটে সেন্ট্রাল হাসপাতালে ডা. সংযুক্তার অধীনে মাহবুবাকে ভর্তি করা হয়। তখন ডা. সংযুক্তা হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন না। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, সংযুক্তা সাহা আছেন এবং ওটিতে (অপারেশন থিয়েটার) কাজ করছেন।


আরও খবর

তীব্র তাপপ্রবাহে সুস্থ থাকার উপায়

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪




রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে চ্যালেঞ্জ করে ৩৭ বছর আগে দায়ের করা রিট আবেদন সরাসরি খারিজের রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট বলেছেন, সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্মের স্বীকৃতি দেওয়া সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকেও আঘাত করে না।

বিচারপতি নাইমা হায়দারের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বৃহত্তর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। অন্য দুই বিচারপতি হলেন, কাজী রেজা-উল হক ও মো. আশরাফুল কামাল।

১৯৮৮ সালে অষ্টম সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে সংযুক্ত করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। সংবিধানে ২ (ক) অনুচ্ছেদ যুক্ত করে বলা হয়, প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম হবে ইসলাম, তবে অন্যান্য ধর্মও প্রজাতন্ত্রে শান্তিতে পালন করা যাবে।

তখন স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ কমিটির পক্ষে ওই বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন ১৫ জন বরেণ্য ব্যক্তি।

২০১১ সালের ৮ জুন বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল দেন। ওই দিনই অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের সহায়তাকারী) হিসেবে ১৪ জন জ্যেষ্ঠ আইনজীবীকে নিয়োগ দেয়া হয়।

ওই রুল জারির প্রায় পাঁচ বছর পর ২০১৬ সালের ৮ মার্চ এই রুল শুনানির জন্য আদালতে ওঠে। ওই দিন অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগের আদেশটি প্রত্যাহার করেন আদালত। পরে ২০১৬ সালের ২৮ মার্চ রিটটি সরাসরি খারিজ করে দেওয়া হয়। সেই রায় সম্প্রতি প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।


আরও খবর



রাজপথে ফের মুখোমুখি হচ্ছে বড় দুই দল

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

বিএনপিসহ বেশ কিছু বিরোধী দলের বর্জনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর রাজনৈতিক উত্তাপ অনেকটা স্থিমিত ছিল। তীব্র তাপপ্রবাহে দেশ যখন পুড়ছে তখন নতুন করে রাজনীতিতে দেখা দিয়েছে উত্তাপ। আবারও দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি একই দিনে একই সময়ে কাছাকাছি স্থানে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এতে নতুন করে রাজনৈতিক সংঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

অনেকটা একতরফা নির্বাচনের পর রাজপথের প্রধান বিরোধী শক্তি বিএনপি তেমন কোনো বড় আন্দোলন কর্মসূচি দেয়নি। ভোটের প্রায় সাড়ে তিন মাস পর আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীতে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে দলটি। ওইদিন বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণার এক দিন পর রবিবার (২১ এপ্রিল) একই দিন একই সময়ে কাছাকাছি স্থানে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটি আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে গুলিস্তানে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশ করবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।

দেশের প্রধান দুটি দলের আবারও পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে জনমনে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। অতীতের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতায় অনেকে নতুন করে সংঘাতের আশঙ্কা করছেন।

গত নির্বাচনের আগে প্রায় এক বছর রাজপথের আন্দোলনে সক্রিয় ছিল বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো। তবে তাদের ডাকা কর্মসূচির দিনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করে আসছে। বিরোধীরা এটাকে পাল্টা কর্মসূচি বললেও ক্ষমতাসীন দলের দাবি, জনগণের জানমাল রক্ষার জন্যই তাদের এই কর্মসূচি। যদিও এসব কর্মসূচি ঘিরে সংঘাতের ঘটনাও ঘটেছে। গত বছর ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটে।

ঘোষণা দিয়েও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঠেকাতে না পারার হতাশা আছে বিএনপির মধ্যে। আগামী পাঁচ বছর অপেক্ষা ছাড়া দলটির সামনে আর কোনো পথ নেই। তবে টানা চার মেয়াদ ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটি নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখতে মাঠের কর্মসূচিতে সক্রিয় থাকার কৌশল নিয়েছে। সরকারকে চাপে রাখতে ধারাবাহিক কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে বিএনপি সূত্রে জানা গেছে।

অপরদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ একচেটিয়া জয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করলেও বিরোধী দলের আন্দোলন এবং আন্তর্জাতিকভাবে নির্বাচনটি পুরোপুরি স্বীকৃত না হওয়ায় অস্বস্তিতে রয়েছে। তবে বিরোধী দল যেন মাঠ দখল করতে না পারে সেজন্য তারা সক্রিয় থাকার কৌশল নিয়েছে। তাদের ভাষায়- বিএনপিকে তারা ফাঁকা মাঠে গোল দিতে দেবে না। এজন্য বিএনপি যখনই কর্মসূচি দেবে তখনই তারাও ঘোষণা দিয়ে মাঠ দখলে রাখবে।


আরও খবর



২০২৪ কোপায় আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল প্রতিপক্ষ কে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মনির হোসেন : কোপা আমেরিকার শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে গ্রুপ পর্বে অপেক্ষাকৃত সহজ প্রতিপক্ষই পেয়েছে আর্জেন্টিনা। ‘এ’ গ্রুপে প্রতিপক্ষ হিসেবে চিলি ও পেরুকে পেয়েছেন লিওনেল মেসিরা। গ্রুপের অপর দল  কানাডা।

আর ‘ডি’ গ্রুপে ব্রাজিল পেয়েছে কলম্বিয়া ও প্যারাগুয়েকে। সঙ্গে যোগ দেবে কোস্টারিকা । আজ মায়ামিতে অনুষ্ঠিত কোপা আমেরিকার ড্রয়ে এই গ্রুপিং চূড়ান্ত হয়।জুন-জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের ফুটবলে সর্বোচ্চ এ প্রতিযোগিতা। টুর্নামেন্টের ৪৮তম এ আসরে খেলবে ১৬টি দল। দক্ষিণ আমেরিকা ফুটবল কনফেডারেশনের (কনমেবল) ১০ সদস্যের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে উত্তর, মধ্য আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের (কনক্যাকাফ) ৬ দল।


ড্রয়ে দলগুলোকে এমনভাবে ভাগ করা হয়েছে, যাতে একটি গ্রুপে চার দলই কনমেবলের না হয়, আর কনক্যাকাফের ৩ দল না হয়। গ্রুপিংয়ে আর্জেন্টিনা সঙ্গে পেয়েছে কনমেবলের পেরু ও চিলিকে। এ দুটি দলই ২০২৬ বিশ্বকাপের আঞ্চলিক বাছাইয়ে খারাপ সময় পার করছে। ১০ দলের মধ্যে ৬ ম্যাচ শেষে চিলি ৮ নম্বরে ও পেরু ১০ নম্বরে অবস্থান করছে। 

এ ছাড়া উরুগুয়ে ‘সি’ গ্রুপে এবং ব্রাজিল ‘ডি’ গ্রুপে হওয়ায় এ দুটি দলের বিপক্ষে ফাইনালের আগে দেখাও হবে না আর্জেন্টিনার। গ্রুপে চতুর্থ দল হিসেবে কনক্যাকাফের কানাডা কে পাবেন মেসিরা। এখানকার ফেবারিট মেক্সিকো প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে ইকুয়েডর, ভেনেজুয়েলা ও জ্যামাইকাকে। ‘সি’ গ্রুপে কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়েছে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। উরুগুয়ে ও বলিভিয়ার সঙ্গে আছে কনক্যাকাফের পানামা। ‘ডি’ গ্রুপে কিছুটা কঠিন প্রতিপক্ষ পেয়েছে ব্রাজিলও। 

এখানে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে আছে কলম্বিয়া, প্যারাগুয়ে। কিছুদিন আগে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে কলম্বিয়ার কাছে হেরেছিল ব্রাজিল। এ মুহূর্তে আঞ্চলিক বাছাইয়ে ব্রাজিল ৬ নম্বরে, কলম্বিয়া ৩ নম্বরে। অন্য গ্রুপসঙ্গী প্যারাগুয়ের অবস্থান সাতে। ব্রাজিলের সঙ্গে ‘ডি’ গ্রুপে যুক্ত হয়েছে কোস্টারিকা ।

২০ জুন টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে আর্জেন্টিনা খেলবে কানাডার বিপক্ষে। মায়ামিতে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ১৪ জুলাই।


আরও খবর



গাজায় ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারে লাগতে পারে ১৪ বছর

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় প্রায় সাত মাস ধরে চলা ইসরায়েলের ধ্বংসাত্মক যুদ্ধে অবিস্ফোরিত গোলাবারুদসহ বিপুল পরিমাণ ধ্বংসস্তূপ অপসারণ করতে প্রায় ১৪ বছর সময় লাগতে পারে। শুক্রবার জাতিসংঘের মাইন অ্যাকশন সার্ভিসের (ইউএনএমএএস) জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পেহর লোধাম্মার এই ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন।

গাজার ক্ষমতাসীন ইসলামি শাসক গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান ২৩ লাখ মানুষের সংকীর্ণ ও উপকূলীয় অঞ্চলটিকে মরুভূমিতে পরিণত করেছে। বর্তমানে সেখানকার বেশিরভাগ বেসামরিক মানুষ গৃহহীন, ক্ষুধার্ত এবং রোগাক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন।

জেনেভায় এক ব্রিফিংয়ে পেহর লোধাম্মার বলেছেন, যুদ্ধের ফলে প্রায় ৩ কোটি ৭০ লাখ টন ধ্বংসাবশেষ ব্যাপক ঘনবসতিপূর্ণ ওই অঞ্চলে পড়ে আছে।

তিনি বলেন, গাজায় পাওয়া অবিস্ফোরিত গোলাবারুদের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ করা প্রায় অসম্ভব। তারপরও ধ্বংস হওয়া ভবনগুলোর ধ্বংসাবশেষসহ পুরো ধ্বংসস্তূপ নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে পরিষ্কার করতে ১৪ বছরের মতো সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা বলেছেন, ‌‌‘‘আমরা জানি, সাধারণত স্থল বাহিনীর ছোড়া গোলাবারুদের অন্তত ১০ শতাংশ অবিস্ফোরিত ও বিকল অবস্থায় থেকে যায়। আমরা ১০০টি ট্রাক ব্যবহার করে ১৪ বছর ধরে পরিষ্কার কাজ চালানোর কথা বলছি।’’

গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাসের শত শত যোদ্ধা গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে ঢুকে এক হাজার ২০০ জনকে হত্যা ও আরও ২৫৩ জনকে ধরে নিয়ে গাজায় জিম্মি করে রাখে। গাজায় হামাসের হাতে এখনও ১২৯ জন জিম্মি রয়েছেন বলে ধারণা করা হয়।

হামাসের হামলার জবাবে ৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। এই যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন; যাদের মধ্যে অন্তত দুই-তৃতীয়াংশই নারী ও শিশু।

সূত্র: রয়টার্স


আরও খবর



ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

আজ ২৩ এপ্রিল, ২০২৪ তারিখ মঙ্গলবার জয়পুরহাট  জেলার মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও মানবাধিকার সচেতনতা সৃষ্টি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে জয়পুরহাটে 'জেলা মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধ ও সুরক্ষা কমিটি'র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের মাননীয় সার্বক্ষণিক সদস্য মো: সেলিম রেজা। কমিশনের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) মোঃ আশরাফুল আলম ও উপপরিচালক এম. রবিউল ইসলাম। 

সভায় ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, সিভিল সার্জন, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিগণ, শিক্ষক, মানবাধিকার কর্মী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর। 

সভার শুরুতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) মোঃ আশরাফুল আলম স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এরপর বর্তমান কমিশনের কার্যক্রম সম্পর্কে বক্তব্য প্রদান করেন কমিশনের উপপরিচালক এম. রবিউল ইসলাম।

সভায় কমিশনের মাননীয় সার্বক্ষণিক সদস্য মো: সেলিম রেজা প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, 'আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের চালানো গণহত্যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের বড় ইতিহাস। ১৯৭৫ এর আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা এবং ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বিচার বন্ধ করা ছিল ইতিহাসে বর্বরোচিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের দৃষ্টান্ত'। 

তিনি আরও বলেন, ''তথাকথিত ও ভুঁইফোড় মানবাধিকার সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরেই প্রতারণা, জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে। এ  ছাড়া রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মতো নাম ব্যবহার করে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনসহ বিভিন্ন ভুয়া মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান প্রতারণা করে আসছে এবং মীমাংসার নামে সাধারণ মানুষের কাছে অর্থ আদায় করছে। এসব সংগঠন থেকে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। মানবাধিকার শব্দটি ব্যবহার করে ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলোই মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।

অনুষ্ঠানে ভুয়া ও নামধারী মানবাধিকার সংগঠনগুলোর প্রতারণা ও অন্যান্য অপকর্ম থেকে সচেতন থাকতে উপস্থিত সম্মানিত অতিথিবৃন্দ বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেন। 


আরও খবর