Logo
শিরোনাম

নিয়ম-নীতি না মেনে গভীর নলকূপ এলাকায় অ-গভীর নলকূপ স্থাপনের অভিযোগ

প্রকাশিত:শনিবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় সংশ্লিষ্ট দপ্তরের এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তার সহযোগিতায় প্রায় ৩ যুগ আগে স্থাপিত গভীর নলকূপের সেঁচ কমান্ডিং এলাকায় অবৈধ ভাবে বিদ্যুৎ চালিত অ-গভীর নলকূপ এস'টি'ডব্লিউ স্থাপনের অভিযোগ করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি ঐ অবৈধ অ-গভীর নলকূপ এর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলেও মাত্র ৩ দিন পরই ফের পূণঃ সংযোগ দেয়া হয়। এনিয়ে গভীর নলকূপ এর সেঁচ এলাকার চাষিদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। 

অবৈধ অ-গভীর নলকূপ এস'টি'ডব্লিউ মালিকের খুঁটির জোর কোথায় তা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার চাঁন্দাশ ইউনিয়ন এর পন্ডিতপুর গ্রামের অফেল বর্ম্মণের ছেলে শ্রী কর্ণেক বর্ম্মণ অভিযোগ করেন যে, পন্ডিতপুর মৌজায় ১৯৯০ সালে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিএমডিএ বিস্তর সরকারি টাকা ভর্তুকি দিয়ে একটি গভীর নলকূপ স্থাপন করেন। গত ৩ যুগ থেকে এই গভীর নলকূপের আওতায় আনুঃ ৩শ একর জমিতে সেঁচ দিয়ে আসছেন। উপকার ভোগী কৃষকদের নিয়ে সমিতি গঠন করে স্বল্প ব্যয়ে সেঁচ দেয়া হয়। কিন্তু সম্প্রতি একই মৌজায় ঐ গ্রামের পরেশ চন্দ্র বর্ম্মণের স্ত্রী কামনা রাণী একটি বিদ্যুৎ চালিত অ-গভীর নলকূপ এস'টি'ডব্লিউ স্থাপন করে গভীর নলকূপের আওতাভূক্ত জমিতে অবৈধ ভাবে সেঁচ দিচ্ছেন। অগভীর নলকূপের আশে পাশের চাষিদের এখান থেকে পানি নিতে বাধ্য করা হচ্ছে। এতে চাষিদের সেঁচ বাবদ গভীর নলকূপের চেয়ে অতিরিক্ত বেশি টাকা দিতে হচ্ছে কৃষকদের। এছাড়া গভীর নলকূপের সেঁচের আওতায় জমি কমে যাওয়ায় গভীর নলকূপ পরিচালনাকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে গভীর নলকূপ স্থাপন ও পাকা ড্রেন তৈরি করলেও অবৈধ অ-গভীর নলকূপ থেকে একই এলাকায় ফিতা পাইপ ও কাঁচা ড্রেন খনন করে সেঁচ দেয়ায় ভূগর্ভস্থ পানির অপচয় হচ্ছে। এভাবে বেশিদিন চললে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে গিয়ে এলাকা মরুকরণের দিকে যাবে। 

তিনি অভিযোগ করেন যে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে কামনা রাণীর নামে পন্ডিতপুর মৌজার ৩১৫ দাগে বিদ্যুৎচালিত অগভীর নলকূপ এস'টি'ডব্লিউ স্থাপনের অনুমোদন দেয়। এখান থেকে গভীর নলকূপের দূরত্ব মাত্র ৭' ফুট। অথচ কৃষি মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত ক্ষুদ্রসেঁচ নীতিমালা ২০১৪ এর ধারা ৫.৩.১ (ঙ) ২ অনুযায়ী একটি গভীর নলকূপ থেকে অ-গভীর নলকূপের দূরত্ব কমপক্ষে ১৭শ' ফুট হতে হবে। এছাড়া বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিএমডিএ ৩১৫ দাগে অ-গভীর নলকূপটি স্থাপনের অনুমোদন দিলেও এর বোরিং করা হয় এর থেকে বেশ কিছু দূরে ৩১৯ দাগে। অভিযোগ করা হয়েছে যে, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নিয়মানুযায়ী কোন বিদ্যুৎ খুঁটি থেকে ১৩০ ফুটের বেশি দূরত্বে সংযোগ দেয়া যায়না। ৩১৫ নং দাগে বোরিং করা হলে তা ২০০ ফুটের বেশি দূরত্বে হতো। তাই ৩১৯ দাগে এটি খনন করা হয়। বিএমডিএ এর নিয়মানুযায়ী অনুমোদিত স্থান স্থানান্তরের কোন বৈধ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই অন্য দাগে খনন করা হয়েছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তারাও অবৈধ ভাবে ৩১৫ দাগের পরিবর্তে ৩১৯ দাগে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়। 

শ্রী কর্ণেক বর্ম্মণ গত ১৪ জানুয়ারি এব্যাপারে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কতৃপক্ষ মহাদেবপুর জোনের সহকারি প্রকৌশলী ইমাদাদুল হক ১৬ জানুয়ারি ঐ অবৈধ অ-গভীর নলকূপের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ মহাদেবপুর জোনের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার বরাবর পত্র দিলে অবৈধ অ-গভীর নলকূপের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। বিএমডিএ এর সহকারি প্রকৌশলী তার পত্রে উল্লেখ করেন যে, ১৯৯০ সালে স্থাপিত গভীর নলকূপ থেকে মাত্র ১০৫০ ফুট দূরে ওই অ-গভীর নলকূপটি স্থাপন করা হয়েছে যা সমন্বিত ক্ষুদ্র সেঁচ নীতিমালা ২০১৯ এর পরিপন্থি। ঐ অ-গভীর নলকূপের কোন বৈধ কাগজপত্র নাই ও সঠিক দাগ নম্বরে স্থাপন করা হয়নি। বর্তমান দাগ ও খতিয়ান নং সঠিক নয়। বিধিবহির্ভূতভাবে স্থানান্তর করা হয়েছে। এছাড়া একই কমান্ডিং এরিয়ায় অযাচিতভাবে দু'টি সেঁচ যন্ত্র স্থাপন করার কোন প্রয়োজন নাই। এতে পানি ব্যবহার নিয়ে কৃষকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও অসন্তোষ সৃষ্টির আশংকা রয়েছে। বিধিবহির্ভূতভাবে অন্য দাগে স্থাপন, সেঁচ নালা স্থাপন ইত্যাদি কর্মকান্ড সেঁচ ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ অনিয়ম। সার্ভিস ড্রপ তার টেনে অনুমোদিত ভাবে এস'টি'ডব্লিউ স্থাপন ভূগর্ভস্থ পানি নীতিমালার পরিপন্থি। 

নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ঐ সংযোগটি সে-সময় বিচ্ছিন্ন করলেও মাত্র ৩ দিন পর ফের পূণঃসংযোগ দেয়।

বিষয়টি জানতে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিএমডিএ এর মহাদেবপুর অফিসে গিয়ে জানা যায় সহকারি প্রকৌশলী ছুটিতে আছেন। তার দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারি প্রকৌশলী এবাদুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, গত বছরের নতুন সার্কুলার অনুযায়ী একটি গভীর নলকূপ থেকে এস'টি'ডব্লিউ এর দূরত্ব হবে কমপক্ষে ১৫৫০ ফুট হতে হবে। পন্ডিত পুরের এস'টি'ডব্লিউটি এর চেয়ে কম দূরত্বে রয়েছে। বিষয়টি সংশোধন করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান। 

এব্যাপারে মুঠোফোনে অভিযুক্ত কামনা রাণীর স্বামী পরেশ চন্দ্র বর্ম্মণের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদকর্মীদের কিছু বলতে রাজি হননি। 

জানতে চাইলে, নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ মহাদেবপুর জোনের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রবিউল আলম ৩১৯ দাগে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, কাগজে কলমে ৩১৫ দাগ থাকলে তার কর্মীরা সে দাগেই বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে। কিন্তু অগভীর নলকূপটি যে ৩১৯ দাগেই খনন করা হয়েছে তা তিনি মানতে নারাজ।

উপজেলা সেঁচ কমিটির সভাপতি ও মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান সোহাগ জানান, যে সব জায়গায় অনিয়ম হয়েছে সেগুলোর ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। পন্ডিতপুরে গভীর নলকূপের কমান্ডিং এরিয়ার মধ্যে অবৈধভাবে অগভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়ে থাকলে সেটাও সংশোধন করা হবে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গত কয়েক বছর ধরে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে অসংখ্য গভীর নলকূপের কমান্ডিং এরিয়ায় বিদ্যুৎচালিত অগভীর নলকূপ এসটিডব্লিউ স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে। এনিয়ে এলাকার চাষিদের মধ্যে চরম বিরোধ চলে আসছে। এনিয়ে দলাদলী, মারামারি সংঘটিত হয়েছে। উদ্ভব হয়েছে অসংখ্য মামলা মোকদ্দমার। সচেতন মানুষ এসব অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে অবৈধ ও অপ্রয়োজনীয় সেঁচযন্ত্র বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।


আরও খবর



রানা প্লাজা ট্রাজেডির ১১ বছর

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

২৪ এপ্রিল। ২০১৩ সালের এই দিনে সাভারে রানা প্লাজা ধসে নিহত হয়েছিলেন অন্তত ১ হাজার ১৩৮ জন শ্রমিক, আহত হয়েছিলেন ২ হাজার ৪৩৮ জন শ্রমিক। মোমবাতি জ্বালিয়ে রানা প্লাজা ট্রাজেডিতে নিহত শ্রমিকদের স্মরণ করলেন তাদের স্বজন ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সাভারের রানা প্লাজার সামনে অবস্থিত অস্থায়ী বেদিতে মোমবাতি জ্বালিয়ে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় নিহতদের স্মরণে কিছু সময় নীরবতা পালন করা হয়।

পক্ষ থেকে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাতের পাশাপাশি রানা প্লাজার ট্রাজেডির সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানায় শ্রমিক সংগঠন ও শ্রমিকদের পরিবার।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতি বছর এই দিনে নিহতদের স্বরণে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করি। প্রতি বছরই বিভিন্ন দাবি তুলে ধরি।

দাবিগুলো হচ্ছে, ২৪ এপ্রিলকে জাতীয়ভাবে শ্রমিক শোক দিবস ঘোষণা করা, রানা প্লাজার সামনে স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা, রানা প্লাজার জমি অধিগ্রহণ করে ক্ষতিগ্রস্ত ও আহত শ্রমিকদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা, দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা এবং হতাহত শ্রমিকদের এক জীবনের আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের দাবির কোনোটাই বাস্তবায়ন করা হয়নি। আমাদের দাবিগুলো পূরণ করতে হবে।

রানাপ্লাজা ধ্বসে নিহত শ্রমিক আখি আক্তারের মা নাসিমা আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন, মেয়ের লাশটাও পাইনি। ঘটনার ছয় মাস পর ডিএনএ সেম্পলের মাধ্যমে মেয়ের মৃত্যু বিষয়টি নিশ্চিত হয়। যাদের গাফিলতিতে মেয়েকে হারালাম তাদের আজও বিচার হলো না। আমরা বিচার চাই।

ভবন ধসে বিপুলসংখ্যক মানুষ মারা যাওয়ার ঘটনায় তখন চারটি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে অবহেলার কারণে মৃত্যু উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ, ইমারত নির্মাণ আইন না মেনে ভবন নির্মাণ করায় মামলা করে রাজউক। পাশাপাশি ভবন নির্মাণে দুর্নীতি ও সম্পদের তথ্য গোপন সংক্রান্ত দুটি মামলা করে দুদক। চারটি মামলার মধ্যে সম্পদের তথ্য গোপনের মামলা নিষ্পত্তি হলেও দীর্ঘ এগারো বছরে বাকি তিনটি মামলা নিষ্পত্তির মুখ দেখছে না।

এর মধ্যে হত্যা মামলা ও ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় সাক্ষ্য শুরু হলেও, অন্য মামলায় রয়েছে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ। আসামিপক্ষ বলছে, মামলাগুলো নিষ্পত্তি না হওয়ায় বিচারহীনভাবে কারাগারে আটক রয়েছেন ভবন মালিক সোহেল রানা। অন্যদিকে মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির প্রত্যাশা করছে রাষ্ট্রপক্ষ।


আরও খবর



নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী আনিকা হত্যাকান্ডের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

মোঃ সিনান তালুকদার, নোবিপ্রবি প্রতিনিধি :

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২ তম ব্যাচের  শিক্ষার্থী আনিকা বিনতে ইউসুফের আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারী ও দায়ীদের  বিচার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ  শিক্ষার্থীরা । 

রবিবার(১২ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আনিকার সহপাঠী  ইংরেজি বিভাগের ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী মিসবাহ উদ্দিন জিসান,১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী  মো.নাঈম উদ্দিন, আনিকার ছোট বোন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অবনী বিনতে ইউসুফসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, স্বামীর শারীরিক-মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে যে মেধাবী শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করলো তার মৃত্যু নিছক আত্মহত্যা নয়, আমাদের চারপাশে নারীর প্রতি ভয়াবহ নির্যাতনের প্রতিচ্ছবি৷  বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মেধাবী শিক্ষার্থী, যার অপার সুযোগ-সম্ভাবনা বিকশিত হওয়ার সুযোগ ছিলো, তার  আগেই কেন আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হলো তা গভীরভাবে বিবেচনা করা জরুরি। 

বক্তারা আরোও বলেন,প্রবাসী স্বামীর মানসিক নির্যাতনের মাত্রা কতটা ভয়াবহ হলে এই আত্মহননের সিদ্ধান্ত নিতে হলো! আবার স্বামী প্রবাসে থাকায় কোন সামাজিক ও আইনগত প্রতিকার পাওয়ার সম্ভাবনা না দেখে একজন শিক্ষার্থীকে যখন আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হয় তখন আমাদের আইনী প্রক্রিয়ার সীমাবদ্ধতা দৃশ্যমান হয়৷ ফলে অপরাধী দেশে কিংবা দেশের বাইরে যেখানেই থাকুক তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে না পারলে কার্যত অসংখ্য নারীর অসহায় আত্মহননের পথ বন্ধ হবে না।

সমাবেশে আনিকার আত্মহত্যায় প্ররোচনাকরী ফরহিন হামিদ ওহীকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতার ও দেশে এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা এবং দেশে অবস্থানকারী অন্যান্য  সহযোগীদের দ্রুত গ্রেফতারেরও দাবি জানানো হয়। একই সাথে আনিকার স্বামী ফারহিন হামিদ ওহী যাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নভূক্ত কোনো দেশে স্থায়ী নাগরিকত্ব না পায় তারজন্য বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের হাই কমিশনে নোবিপ্রবি প্রশাসনের পক্ষ থেকে যোগাযোগ এবং প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।


আরও খবর



ভারতে যাত্রীবাহী বাসে আগুন, ৮ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

ভারতের হরিয়ানায় যাত্রীবাহী একটি বাসে আগুন লেগে 8 জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ও দগ্ধ হয়েছেন অন্তত ২৪ জন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে হরিয়ানার নুহ জেলায় মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটে।

কী কারণে চলন্ত বাসে আগুন ধরল তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। পুলিশ পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। বাসটিতে প্রায় ৬০ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের অধিকাংশই তীর্থযাত্রী। বাসটি বৃন্দাবন এবং মথুরা থেকে তীর্থযাত্রীদের নিয়ে ফিরছিলেন। পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুর, লুধিয়ানা এবং চণ্ডীগড়ের যাত্রীরা বাসটিতে ছিলেন।

জানা যায়, নুহ জেলার কাছে কুন্ডলি-মানেসার-পালওয়াল জাতীয় সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ বাসটিতে আগুন ধরে যায়। এতে ৮ জনের মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা আগুন দেখার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত ছুটে এসে যাত্রীদের উদ্ধার করার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে দ্রুত ছুটে আসে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ। দমকল বাহিনী দ্রুত আগুন নেভালেও তার আগেই মৃত্যু হয় ৮ জনের। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বাসটির এক নারী যাত্রী ইন্ডিয়া টুডে টিভিকে জানিয়েছেন, বাসে আগুন ধরে যাওয়ার পর তিনি লাফ দিয়ে প্রাণ বাঁচান।

তিনি আরও জানান, বাসে আগুন ধরেছে দেখে এক বাইক আরোহী চালককে সতর্ক করতে এগিয়ে যান। কিন্তু ততক্ষণে আগুন ছড়িয়ে যায়।

ওই যাত্রী বলেন, আমি বাসের নিচ থেকে একটি শব্দ শুনতে পেলাম। ভেবেছিলাম বাম্পারে ধাক্কা খাওয়ার কারণে এমন আওয়াজ হচ্ছে। পরে পোড়া গন্ধ পেয়ে বুঝতে পারি আগুন লেগেছে। একজন বাইক আরোহী তখন চালককে আগুন লাগার বিষয়ে সতর্ক করেন। আমি একদম সামনের সিটে বসেছিলাম। তাই প্রাণ বাঁচাতে লাফ দিয়েছিলাম।

মহিলা জানিয়েছেন যে, তিনি পঞ্জাবের বাসিন্দা এবং তীর্থযাত্রা করে বাড়ি ফিরছিলেন। বাসে তার আরও অনেক আত্মীয় ছিলেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।


আরও খবর



নিপুণের গলায় মালা পরালেন মিশা-ডিপজল

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হওয়া হলো না চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারের। ভোট যুদ্ধ্বে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মনোয়ার হোসেন ডিপজলের কাছে পরাজিত হয়েছেন তিনি। তবে পরাজিত হয়েও ফুলের মালা উঠেছে নিপুণের গলায়।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দুই প্যানেলের প্রার্থীরা। তখনই ঘটনাটি ঘটে। পরাজিত নিপুণ বিজয়ী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের গলায় ফুলের মালা পরিয়ে দেন। এরপরই নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সেই মালা খুলে নিপুণের গলায় পরিয়ে দেন।

গতবার জায়েদ খানের সঙ্গে হেরে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন নিপুণ। আদালতে গিয়ে নিজের নামে নিয়ে এসেছিলেন সম্পাদকের পদ। তবে এবারের নিপুণ যেন তার উল্টো। মিশা সওদাগরও তার এমন আচরণের প্রশংসা করে বলেন, আজকের এই নির্বাচন নামে মাত্র একটি নির্বাচন। সত্যিকার অর্থে আমরা এক পরিবার। তবে নির্বাচনের ফলাফল শেষে নিপুণ আজ যেটা করলো তা নজির হয়ে থাকবে। এমনটাই হওয়া উচিত।

এ নির্বাচনে মিশা-ডিপজল প্যানেল নিরঙ্কুশভাবে জয়লাভ করেছে। সভাপতি পদে মিশা সওদাগর পেয়েছেন ২৬৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মাহমুদ কলি। তিনি পেয়েছেন ১৭০ ভোট। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে ডিপজলের পক্ষে ভোট পড়েছে ২২৫টি এবং নিপুণ আক্তার পেয়েছেন ২০৯ ভোট।

গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় অভিনেতা ডা. এজাজের (অভিনেতা ও চিকিৎসক এজাজুল ইসলাম) ভোট প্রদানের মাধ্যমে শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভোট গ্রহণ শেষ হয় বিকেল ৫টায়।


আরও খবর



নওগাঁয় ধান কাটতে গিয়ে হিটস্ট্রোকে এক জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় প্রচণ্ড তাপদাহের মধ্যে মাঠে ধান কাটতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল ৯টার দিকে নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় শিমুলিয়া গ্রামের মাঠে ধান ক্ষেতে এই ঘটনা ঘটে। নিহত দুলাল উদ্দিন সরদার ঐ গ্রামের কশরত আলীর ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, দুলাল উদ্দিন সরদার সকাল ৮টার দিকে তার বাড়ির কাছে মাঠে ধান কাটতে যান। সকাল পৌনে ৯টার দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারিয়ে মাঠে ধানের ক্ষেতে পড়ে যান। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে মাঠ থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রওশন হ্যাপি বলেন, কৃষক দুলালকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। আমাদের ধারণা, প্রচণ্ড গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে তিনি মাঠের মধ্যেই মারা গিয়েছিলেন। তবে তার লো প্রেশার ছিল বলেও জানিয়েছেন স্বজনরা।

এদিকে, গত তিন সপ্তাহ ধরে চলমান তাপদাহে জেলার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার জেলার বদলগাছি আবহাওয়া অফিসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজ বুধবার জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৮ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর