Logo
শিরোনাম

নওগাঁর দুটি সরকারি হাসপাতালে বৈকালিক চিকিৎসা সেবা চালু

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ২১৯জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগ হিসেবে জনগণের দ্বোরগড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছানোর লক্ষ্যে সারা দেশের ১২ জেলা ও ৩৯টি উপজেলায় বৈকালিক প্রাতিষ্ঠানিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। একই সাথে নওগাঁয় দুটি সরকারি হাসপাতালে এ সেবা চালু হয়েছে। এদুটি হলো, নওগাঁ শহরের ২৫০শয্যা বিশিষ্ট নওগাঁ জেনারেল হাসপাতাল ও সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। 

বৃহস্পতিবার বিকেলে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক হাবিবুল আহসান তালুকদার। এ সময় নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক জাহিদ নজরুল চৌধুরী সহ হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসক ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে একই সময় সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বৈকালিক চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন নওগাঁর সিভিল সার্জন আবু হেনা মোঃ রায়হানুজ্জামান সরকার।

প্রথম দিন বৈকালিক সেবা দেওয়ার জন্য তিনজন চিকিৎসক চেম্বারে বসেন। কিন্তু সরেজমিনে বিকেল ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালের নতুন ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় ওই তিন চিকিৎসকের চেম্বারে গিয়ে কোনো রোগীকে সেবা নিতে আসতে দেখা যায়নি। 

এ বিষয়ে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসকরা জানান, হাসপাতালে টাকার বিনিময়ে বৈকালিক সেবা দিতে তারা আগ্রহী। কিন্তু প্রচারণার অভাবে রোগীরা এখনও এই কার্যক্রম সম্পর্কে জানেন না। এজন্য প্রথম দিন কোনো রোগী আসেননি।


আরও খবর

একদিনে করোনায় মৃত্যু ২

শুক্রবার ০২ জুন 2০২3




শিক্ষার্থীকে অপহরণ মুক্তিপন না পেয়ে হত্যা, অভিযুক্তকে আটক করলো র‌্যাব

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ১১৮জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

ঢাকার আশুলিয়া থেকে হৃদয় (২০) নামের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকে অপহরণের পর হত্যা ও গুমের ঘটনার অন্যতম আসামী শাহীন বাবু (২৬) নামের এক যুবককে নওগাঁর মহাদেবপুর এলাকা থেকে আটক করেছে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট ক্যাম্প এবং র‌্যাব-৪, সিপিসি-২, সাভার এর যৌথ অভিযানিক দল।

অপহরণ ও গুমের পর থেকে আটককৃত আসামী নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার রামরায়পুর এলাকায় আত্মগোপন করে ছিলো। আটককৃত শাহিন বাবু নওগাঁর পোরশা উপজেলার ঘাটনগর মোল্লাপাড়া গ্রামের মোঃ মুসা আলীর ছেলে।

সত্যতা নিশ্চিত করে র‍্যাব জানায়, গত ০৮ মে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এর ছাত্র মোঃ হৃদয় নিখোঁজ হলে তার বাবা ফজলুল মিয়া আশুলিয়া থানায় জিডি পূর্বক র‌্যাব-৪, সিপিসি-২, সাভার ক্যাম্প বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি বলেন, তার ছেলে হৃদয়কে অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তি অপহরণ করেছে এবং মুক্তির বিনিময়ে ৫০ লাখ টাকা দাবি করেছেন। অন্যথায় ভিকটিমকে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করেন। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি র‌্যাব-৪,সিপিসি-২, সাভারের  গোয়েন্দা দল ভিকটিম হৃদয়ের অপহরণ রহস্য উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধারের লক্ষ্যে তৎক্ষণাৎ অভিযোগের ভিত্তিতে ছায়াতদন্ত শুরু করেন। পরে র‌্যাব-৪,সিপিসি-২, সাভারের গোয়েন্দা দল অপহরণকারী পরান, বাপ্পি ও তাদের অন্যান্য সহযোগীর বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে শুক্রবার পূর্ব রাত সাড়ে ১২ টার দিকে হৃদয়কে অপহরণ ও হত্যাকান্ডের মূলহোতা পরাণকে আটক করেন।

র‍্যাব আরো জানান, আসামী পরাণ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার সঙ্গীয় বাপ্পি, আকাশ ও শাহীনের সহায়তায় ভিকটিম হৃদয়কে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বলে জানিয়েছেন। সে আরো জানায়, তারা দু'জন ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল পরাণ দরিদ্র হলেও তারা একই সাথে চলাফেরা করতো। এরপর হৃদয়ের পারিবারিক অবস্থা ভালো থাকায় তাকে অপহরণ করে পরিবারের নিকট হতে মোটা টাকা দাবি করার পরিকল্পনা করেন। সেই পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৮ মে দুপুুরের খাবারের পর আড্ডা দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে হৃদয়কে আটকে রেখে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন হতে তার বাবাকে ফোন করে ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরেও মুক্তি পণের টাকা না পেয়ে তারা সংঘবদ্ধভাবে তার মুখে বালিশ চাপা দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে সন্ধায় মৃতদেহ বস্তাবন্দী করে সুকৌশলে ঘটনাস্থল হতে রিকশা যোগে শ্রীপুর এলাকায় একটি পরিত্যক্ত ডোবায় ফেলে দিয়ে তারা আত্মগোপন করেন।

পরবর্তীতে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে তাকে র‌্যাব-৪,সিপিসি-২, সাভার এর নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান র‍্যাবের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক রফিকুল ইসলাম।


আরও খবর



নওগাঁয় ননএমপিও স্কুলের নামে পরীক্ষা

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৩৪০জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁর মান্দার চকগোপাল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধে তার নিজ বিদ্যালয়ের ১৩ জন শিক্ষার্থীকে না জানিয়ে "চকচম্পক ছোট বালিকা বিদ্যালয়" নামের একটি নন এমপিও বিদ্যালয়ের নামে পরীক্ষা দেওয়ানোর অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ঐ প্রধান শিক্ষকের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরাসহ স্থানীয়রা। তারা অভিযোগ করে বলেন, নন এমপিওভুক্ত ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর কোঠা পূরণ করতে এই অনিয়ম করছেন তারা।

স্থানীয় ও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বলেন, চকগোপাল উচ্চ বিদ্যালয় এলাকার মধ্যে একটি সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এজন্য এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী বেশি ভর্তি হয়। ২০২৩ সালে ঐ বিদ্যালয়ের ১১৭ জন পরীক্ষার্থী। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রধান শিক্ষক ইদ্রিস আলী তার প্রতিষ্ঠান থেকে ১৩/১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত (নন এমপিওভুক্ত) চকচম্পক ছোট বালিকা বিদ্যালয়ের নামে শিক্ষার্থীদের না জানিয়ে রেজিষ্ট্রেশন ও ফরম পূরণ করেন। তিনি বছরের পর বছর ধরে এই অনিয়ম করে যাচ্ছেন বলে ও জানান তারা। অনুসন্ধানে দেখা যায়  চলতি ২০২৩ সালে এসএসসি পরীক্ষায় ঐ বিদ্যালয় থেকে ১১৭ জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু ঐ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষা দিচ্ছেন ১০৪ জন বাকি ১৩ জন শিক্ষার্থীদেরকে না জানিয়ে ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইদ্রিস আলী চকচম্পক ছোট বালিকা বিদ্যালয়ের নামে ফরম করিয়ে পরীক্ষা দেওয়াচ্ছেন। সেই ১৩ জন পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৫ জন বিজ্ঞান বিভাগের আর ৮ জন শিক্ষার্থী মানবিক বিভাগের। বিজ্ঞান বিভাগের ৫ জন শিক্ষার্থীরা হলেন, মরিয়ম আক্তার, উর্মিলা, সীমা খাতুন, হিরা এবং সাহরিয়া আর মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা হলেন, হাফিজা আক্তার, ইসরাত জাহান ইভা, সুমি আক্তার, তাসমিন, রাজিয়া সুলতানা রিয়া, রাজ্জুমা এবং নাহিদা আক্তার। এর মধ্যে হাফিজা আক্তার নামের এক পরীক্ষার্থী অপহরণের ঘটনায় ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইদ্রিস আলীসহ ৭ জনের নামে মামলা দায়ের করায় তাকে পরীক্ষার প্রবেশপত্র দেওয়া হয়নি। এজন্য হাফিজা আক্তারের পরীক্ষা দেওয়া হয়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগী কয়েকজন পরীক্ষার্থী সাংবাদিকদের বলেন, আমরা চকগোপাল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। অত্র বিদ্যালয়ে আমরা ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত নিয়মিত ভাবে লেখাপড়া করেছি। করোনাকালীন সময়ে জিএসসি পরীক্ষায় আমরা সকলে অটোপাস করি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কাউকে কোন সনদপত্র দেয়া হয়নি। এবারের ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষায় বিদ্যালয় থেকে ১১৭ জন পরীক্ষার্থী ছিলাম। ঐ স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর থেকে আমাদের ১৩ জন শিক্ষার্থীদের কাউকে উপবৃত্তির টাকাও দেয়া হয়নি। আমার মত আরো ১৩ জন পরীক্ষার্থীকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে অন্য স্কুলে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। চকচম্পক ছোট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে আমাদের ১৩ জন ছাত্রীর নামে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে সেসব বিষয়ে আমরা কেউ জানতাম না। পরীক্ষার আগের দিন প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড নিতে গিয়ে আমরা জানতে পারি চকচম্পক ছোট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী হিসেবে গোটগাড়ি শহীদ মামুন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রের ১১২ নং রুমে গিয়ে পরীক্ষা দিতে হবে।আর বাকি ১০৪ জন এই স্কুলের শিক্ষার্থী হিসেবে মান্দার প্রসাদপুরে “মান্দা থানা আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ" কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে।

জানতে চাইলে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে চকগোপাল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ইদ্রিস আলী বলেন, তারা জেএসসি পরীক্ষাও ঐ প্রতিষ্ঠান থেকে দিয়েছে। ঐ পরীক্ষার্থীরা কোন স্কুলে ভর্তি হয়েছে এবং ক্লাস করেছে জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর না দিয়ে সাক্ষাত করতে বলেন।

চকগোপাল উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৩ জন শিক্ষার্থী আপনার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে পরীক্ষা দিচ্ছে কি না সেটা জানতে চাইলে সত্যতা স্বীকার করে চকচম্পক ছোট বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহিদুল ইসলাম বলেন, শহরের প্রতিষ্ঠানে অনেকে লেখাপড়া করে গ্রামের প্রতিষ্ঠানের নামে পরীক্ষা দিচ্ছে। তাতে সমস্যা কি?

এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ আলম শেখ বলেন, এবিষয়ে আমি কিছু জানিনা। খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখছি।

জানতে চাইলে নওগাঁ জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, এব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা। স্বীকৃতি প্রাপ্ত এক স্কুলের শিক্ষার্থীকে অন্য কোনো স্কুলের শিক্ষার্থী হিসাবে দেখিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার কোন নিয়ম নেই। এরপরেও যদি এরকম ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে 


আরও খবর



মোরেলগঞ্জে ৬ কেজি গাজাসহ নারায়নগঞ্জের যুবক আটক

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৬২জন দেখেছেন

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক :

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ৬ কেজি গাঁজাসহ নারায়নগঞ্জের রাব্বি মৃধা (২১) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।  

 সোমবার (২৯ মে) রাত ৮ টার দিকে ভাইজোড়া শিশু হাসপাতালের মোড় থেকে পুলিশ তাকে আটক করে। রাব্বি নারায়নগঞ্জের ফতুল্লা থানার কাশিপুর গ্রামের চুন্নু মৃধার ছেলে বলে পুলিশ জানিয়েছে।তার কাছে থাকা কাপড়-চোপড় বহনের একটি লাগেজের মধ্য হতে ৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধারকৃত গাঁজার স্থানীয় বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ মো. সাইদুর রহমান বলেন, রাব্বি মৃধা গাঁজার একটি বড় চালান নিয়ে রাত সাড়ে ৭টার দিকে রাব্বি মোরেলগঞ্জ নব্বইরশি বাসস্ট্যান্ড থেকে ভাইজোড়ার দিকে যাবার পথে শিশু হাসপাতালের মোড়ে পুলিশের একটি দল তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। 


আরও খবর



দুই বছর সাজাভোগ করে দেশে ফিরল ১০ বাংলাদেশি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

দুই বছর সাজাভোগ শেষে ভারত থেকে দেশে ফিরলো ১০ বাংলাদেশি যুবক। ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে তারা দেশে ফেরেন। ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়।

ফেরত আসারা হলেন, আরিফ মোল্লা (২৭), কোরবান আলী (৩৫), পান্নু মোল্লা (৩৮), সোলাইমান (৩০), শরিফ (২৪), সাইফুল ইসলাম (২৪), ইয়াছিন শেখ (২৪), নজিবুল ইসলাম (২২), সুমন্ত মন্ডল (২৩) ও সোহেল হাওলাদার (২৬)। ফেরত আসাদের বাড়ি রাজবাড়ি, বগুড়া, নড়াইল, গোপালগঞ্জ ও রাজশাহী জেলার বিভিন্ন এলাকায়।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব বলেন, ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে ফেরত আসা ১০ বাংলাদেশিকে ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে জাস্টিক এন্ড কেয়ার নামের একটি এনজিও সংস্থা তাদের গ্রহণ করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।

জাস্টিক এন্ড কেয়ারের ফিল্ড অফিসার রোকেয়া পারভিন বলেন, ফেরত আসারা ভালো কাজের আশায় ভারতের চেন্নাই শহরে গিয়েছিল। সেখানে বিভিন্ন পেশায় কাজ করার সময় তারা সে দেশের পুলিশের হাতে আটক হয়। পুলিশ তাদের আদালতে পাঠালে আদালত তাদের দুই বছরের সাজা দেন। সেখান থেকে ত্রিজি নামের একটি এনজিও সংস্থা ছাড়িয়ে নিজেদের শেল্টার হোমে রাখে। বৃহস্পতিবার বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে দেশে ফিরেছে তারা। তাদের যশোরে নিয়ে পরিবারের কাছে তুলে দেওয়া হবে।


আরও খবর



ইমরান খানের জামিন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ১১৩জন দেখেছেন

Image

আল কাদির ট্রাস্ট মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান ইমরান খানকে দুই সপ্তাহের জামিন দিয়েছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। ১২ মে সংক্ষিপ্ত শুনানির পর বিচারপতি মিয়াঁগুল হাসান আওরঙ্গজেব ও বিচারপতি সামান রাফাত ইমতিয়াজের সমন্বয়ে গঠিত ইসলামাবাদ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ইমরান খানকে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে নেওয়া হয়। এ কারণে রাজধানী ইসলামাবাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। টেলিভিশনে প্রচারিত ফুটেজে পুলিশ ও রেঞ্জার্স কর্মকর্তাদের আদালত প্রাঙ্গণের বাইরে মোতায়েন থাকতে দেখা গেছে এবং আদালতের গেটের সামনে কাঁটাতারের বেড়া দেখা গেছে। ইসলামাবাদ হাইকোর্টের (আইএইচসি) বাইরের ফুটেজে দেখা গেছে, পিটিআই প্রধানের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে স্লোগান দিচ্ছেন বিপুল সংখ্যক আইনজীবী।

দুর্নীতির মামলায় গত মঙ্গলবার ইসলামাবাদ হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে নাটকীয়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয় ইমরান খানকে। তার সেই গ্রেপ্তার পারমাণবিক অস্ত্রধারী এদেশে মারাত্মক অস্থিরতা সৃষ্টি করে এবং এরই একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট ইমরানের গ্রেপ্তারকে অবৈধ এবং বেআইনি বলে রায় দেয়।

বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ইমরান খানের গ্রেপ্তারকে বেআইনি বলে আখ্যায়িত করেন।

ইমরান খানকে হাজির করা উপলক্ষে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে বাড়তি পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। আদালতের মূল ফটকে পেচানো কাঁটাতার ফেলে নিরাপত্তা বুহ্য সৃষ্টি করা হয়েছে।

এদিন আদালত কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পিটিআই প্রধান জানান, গ্রেপ্তারের পরে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবলিটি ব্যুরোর (এনএবি) কর্মকর্তারা ল্যান্ডফোনের মাধ্যমে স্ত্রীর সঙ্গে তাকে কথার বলার অনুমতি দিয়েছিলেন।

গ্রেপ্তার হবেন ভেবেছিলেন কি না এমন এক প্রশ্নের জবাবে ইমরান খান বলেন, আমি শতভাগ নিশ্চিত ছিলাম, আমাকে গ্রেপ্তার করা হবে।

সূত্র : খবর দ্য ডন ও আলজাজিরা।


আরও খবর