Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় কন্যা শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা চালিয়ে রক্তাক্ত করেছে এক লম্পট

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁয় (১০) বছর বয়সি এক কন্যা শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা চালিয়ে রক্তাক্ত যখম করেছেন এক লম্পট। এমনকি ঘটনাটি (প্রকাশ) কাউকে না বলতে শিশুটিকে হত্যার হুমকি দেওয়ায় অসুস্থ্য শিশুটিকে বাড়িতে রেখেই গোপনে চিকিৎসা করা হয়। 

শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনাটি ঘটেছে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার চৌমাশিয়া (নওহাটামোড়) বাজার এলাকায়। শিশু নির্যাতনের ঘটনাটি প্রকাশ হওয়ার পর থেকে এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানিয় সুত্রে খবর পেয়ে সরজমিনে প্রতিবেদক (ভিকটিম) শিশুর বাড়ির খলিয়ানে গিয়ে দেখতে পান এক বৃদ্ধা নারী সহ আনুমানিক ৫ বছর, ৮ বছর ও ১০ বছর বয়সি ৩ জন কন্যা শিশুকে। প্রতিবেদক কে দেখামাত্র শিশু ৩ জন দৌড়দিয়ে ঘড়ের ভেতর যান। এসময় খলিয়ানে বসে থাকা বৃদ্ধা নারী (৬৮) এর সাথে কথা বলে জানাযায়, শিশু ৩ টি তার নাতনি। শিশুদের বাবা ও মা, অর্থাৎ বৃদ্ধা নারীর ছেলে ফিরোজ হোসেন ও তার স্ত্রী পেটের দায়ে ঢাকা শহরে থাকেন। আর এ বৃদ্ধা নারী তার ৩ নাতনিকে নিয়ে চৌমাশিয়া গ্রামের চারাকুড়ি নামক (সরকারি ফাঁকা জায়গাঁয় ঘড় বানিয়ে বসবাস করেন)। কথার ফাঁকে শিশু নির্যাতন সম্পর্কে বৃদ্ধা নারীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কাছ থেকে কিছু শোন না, কি হয়েছিলো তা শিশুর কাছ থেকে শোনায় ভালো জানিয়ে তিনি বলেন, তবে আমারা কাউকে কিছু বলিনি, বললে আমাদেরকে এখানে থাকতে দিবেনা, এখান থেকে তুলে দিবে এজন্য শিশুর কাছ থেকে শোন তবে কাউকে যেন বলো না বলেই তিনি শিশু (১০) কে ঘড় থেকে বাইরে আসতে বললেন, এতেও বের না হলে তিনি বললেন, ভঁয় নেই তুমি বের হয়ে এসো। অনেক পর শিশুটি ঘড় থেকে বের হয়ে আসলেও সে আতংকে ছিলো। প্রতিবেদক কোন ভঁয় নেই জানিয়ে তার সাথে কে, কি ঘটনা ঘটিয়েছে জানতে চাইলে এক পর্যায়ে শিশুটি বলেন, আমি আমার বোন সহ কয়েকজন শিশু খেলা করছিলাম বাগানের ভেতর এসময় দাদু সিরাজ হাজী এসে সবাইকে খেলতে বলে আমাকে বাগানের ঘড়ের ভেতর নিয়ে খেলা শিখাবে বলে আমার পান্ট খুলে খারাপ কাজ নখদিয়ে গোড়াতে থাকেন এবং সেও নেংটা হয়ে খারাপ করলে আমি মা বলে চিৎকার দিলে সিরাজ আমার মুখ চেপে ধরে বলেন আর লাগবে না বলে আরো খারাপ কাজ করেন। এরপর আমার পায়জামা রক্তে ভরে যাওয়ায় আমাকে নিয়ে সিরাজ আরো দেরি করে জামাদিয়ে রক্তমাখা পায়জামা ঢেকে দেন এবং বলে তুই সোজা গিয়ে গোসল করে ধুয়ে বাড়ি যাবি আর কাউকে কিছু বললে তোকে মেরে ফেলামু, ঘড় থেকে বের করে দেওয়ার পর সিরাজ এর কথামতো আমি ধুয়েছি এবং কাউকেই বলিনি। কিন্তু আমি হাটতে পারছিলাম না বলেই ঘটনাটি বাড়িতে জানতে পেরে আমাকে বাড়িতেই গড়ম পানি ও মলম দিয়েছেন। সিরাজ কাউকে বলতে মানা করেছে, আমি কাউকে বলিনি। শিশুর মুখ থেকে এমন কথা শোনা বা জানার পর প্রতিবেদক নিজেও লজ্জিত, কি করে অভিযুক্ত ব্যাক্তি তার নাতনি'র বয়সি ছোট শিশুটির সাথে এমন জঘন্যতম ঘটনা ঘটালেন। শিশু নির্যাতনের ঘটনাটি প্রকাশ পাওয়ার পর থেকে চৌমাশিয়া-নওহাটামোড় বাজার এলাকার লোকজনের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এব্যাপারে নওহাটামোড় পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ উত্তম কুমার বলেন, লোকজন মুখে ঘটনাটি অবগত হয়েছি এবং সাথে সাথে ঘটনাটি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। ভিকটিম শিশুর পরিবার মামলা করলে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

অপরদিকে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য বিভিন্নভাবে  প্রতিবেদক কে অফার দেওয়া হয়, কিন্তু জঘন্যতম ঘটনা প্রকাশ করা হবে বলে প্রতিবেদক জানিয়ে দিলে অভিযুক্ত ও নওহাটামোড় চৌমাশিয়া বাজার বনিক এর এক নেতা ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে দৌড়ঝাপ করছেন। এমনকি বাজারের সেই নেতা শিশু ও তার দাদীর কাছেও গিয়েছেন। তথ্য রয়েছে ৮ এপ্রিল গভীররাতে বাজারের সেই অখ্যাত নেতা ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে অভিযুক্তর কাছ থেকে ২ লাখ টাকা গ্রহণ করেছেন এবং সেই টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে সংবাদ লেখার সময় আজ ৯ এপ্রিল রবিবার ও তিনি দৌড়-ঝাপ করে বেড়াচ্ছেন। নির্যাতনের শিকার অবুঝ শিশুটি যেন ন্যায় বিচার পান এজন্য প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের আশু দৃষ্টি কামনা করেছেন সচেতন মহল।  


আরও খবর



মেঘনায় ঢাকাগামী লঞ্চে আগুন

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

ভোলা থেকে রাজধানী সদরঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী লঞ্চ কর্ণফুলী-৩ এ আগুন লাগার খবর পাওয়া গেছে। এ সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে ৭ যাত্রী আহত হয়েছেন। অনেকে আতঙ্কে নদীতে লাফিয়ে পড়েন। পরে লঞ্চটি চাঁদপুরের হাইমচর সংলগ্ন আবাল বিল নামে একটি চরে নোঙর করা হয়।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ১০টা ১৫ মিনিটের দিকে হাইমচর সংলগ্ন আবাল বিল চর এলাকার মেঘনা নদীতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

কর্ণফুলী-৩ লঞ্চের সহকারী মাস্টার মো. রইচ উদ্দিন সুমন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কয়েক শ যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। সকাল ১০ টা ১৫ মিনিটের দিকে লঞ্চটির ইঞ্জিনরুমে হঠাৎ করে আগুন লেগে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে লঞ্চটি আবাল বিল চরে নোঙর করে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

সহকারী মাস্টার আরও জানান, আগুন লাগার পরই তা পুরো ইঞ্জিনরুমে ছড়িয়ে পড়ে। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করে ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ডের সহায়তা চাওয়া হয়। চরে নামিয়ে দেওয়া যাত্রীদের কর্ণফুলী-৪ লঞ্চ ঢাকায় নিয়ে যাবে বলে জানান তিনি।

এদিকে লঞ্চটিতে থাকা মনিরুল ইসলাম রুবেল নামে এক যাত্রী জানান, আগুন লাগার খবরে যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তবে এতে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ইঞ্জিনরুমসহ লঞ্চের নিচতলা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে গেছে।

ভোলা জেলা প্রশাসকের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলমগীর হোসাইন জানান, ঘটনাটি জানার পর তিনি কোস্টগার্ডকে বিষয়টি অবগত করেছেন। চাঁদপুরের একটি কোস্টগার্ড টিম ঘটনাস্থলে যাবে।

তিনি আরও জানান, যেহেতু ঘটনাস্থল ভোলার বাইরে, সেজন্য এখনো নিশ্চিত করে ঘটনার বিস্তারিত কিছু বলা সম্ভব না।


আরও খবর



ডামুড্যা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আলোচনার শীর্ষে ফেরদৌস রূপক

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

স্টাফ রিপোর্টার:

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে  ভাইস চেয়ারম্যান পদে আলোচনার শীর্ষে ফেরদৌস  রহমান রূপক। তিনি উপজেলর সর্বস্তরের মানুষের  নিকট দোয়া কামনা করেছেন।

তিনি সাংবাদিক  পেশায় দীর্ঘ দিন যাবত মানুষের সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন এবং গরীব দুঃখী ও মেহনতী মানুষের পাশে থেকে বিভিন্নভাবে সহযোগীতা করে যাচ্ছেন।

শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা উপজেলার ০৭ টি ইউনিয়ন  ও ১টি পৌরসভার প্রবাসীসহ  সকল শ্রেনী পেশার নাগরিক ও সকল ধর্মাবলম্বী মানুষের নিকট দোয়া, আশীর্বাদ কামনা করে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন ফেরদৌস রহমান রূপক। উপজেলার জনগণকে সাথে নিয়েই নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন তরুন এ সাংবাদিক ফেরদৌস রহমান রূপক।

ডামুড্যা উপজেলার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন, ডামুড্যা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে যারা প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন, তাদের মধ্যে ফেরদৌস রহমান রূপক বেস্ট কেন্ডিডেট। তার ভদ্রতা, আচার ব্যাবহার ভোটারদের মন জয় করেছে। ডামুড্যা উপজেলার বিভিন্ন মহলে ভালো মানুষ হিসেবে রূপকের বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। আমরাও সিদ্ধান্ত নিয়েছি এমন ভদ্রলোককেই উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবো।

বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা। 

ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ফেরদৌস রহমান রূপক বলেন, আমি জনগনের দোয়া ও ভালোবাসা নিয়েই নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছি। সাধারণ মানুষের সঙ্গে মতবিনিময়ে ও ভোটারদের আগ্রহ ও সমর্থন দেখে আমি নিশ্চিত বিজয়ের স্বপ্ন দেখছি। আমি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়লাভ করলে সাধারণ মানুষের হয়ে উন্নয়নে অংশীদার হবো, জনসাধারণের পাশে দাঁড়াবো এবং উন্নয়নের ধারাবাহিকতা সচল রাখতে সুদ, ঘুষ,  মাদক ও দূর্নীতিমুক্ত স্মার্ট ডামুড্যা উপজেলা বাস্তবায়ন করার অঙ্গীকার নিয়ে আমার এই পথচলা অব্যাহত থাকবে ইনশাল্লাহ। 

তিনি আরও বলেন, “তরুণরাই গড়বে আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ” আমি এরই অংশ হিসেবে ডামুড্যা উপজেলাকে একটি আধুনিক ও স্মার্ট উপজেলা গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখতে চাই। সাংবাদিক  পেশার পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি হওয়ার সুযোগ পেলে সাধারণ মানুষের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করতে আমি সদা প্রস্তুত। জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হলে আমি আরও গভীরভাবে সাধারণ মানুষ ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষের সংস্পর্শে থাকবো। 

বহুগুণে গুণাবলীর অধিকারী ফেরদৌস রহমান রূপক  ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সদস্য সচিব, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির অন্যতম সদস্য, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয়  যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, সাংবাদিক , শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবক।

তিনি বলেন, আধুনিক শরীয়পুররের রূপকার ও সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত জননেতা আলহাজ্ব আব্দুর রাজ্জাকের সুযোগ্য সন্তান জননেতা আলহাজ্ব নাহিম রাজ্জাক এমপির উন্নয়নে শরীক হয়ে উপজেলাবাসীর কল্যাণে নিজেকে জনতার কাছে সমর্পণ করতে চাই। আমার জন্মভূমি ডামুড্যা উপজেলাকে “স্মার্ট উপজেলা হিসেবে রূপান্তরিত করতে জনগণের ভালবাসা ও সহযোগিতা চাই।

তিনি আরও বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো প্রকার দলীয় প্রতীক রাখেন নি।নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহনমূলক করতে এ পদক্ষেপ নিয়েছেন নেত্রী।  আমি মনে করি নির্বাচন করার অধিকার সবারই রয়েছে। আমার পদে যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দীতা করবেন তাদের জন্যও শুভকামনা রইলো।

দলমত নির্বিশেষে সকলের দোয়া, ভালোবাসা ও সহযোগিতা কামনা করেন ফেরদৌস রহমান রূপক।


আরও খবর



৫৪ জেলায় বইছে তাপদাহ

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

সবচেয়ে উষ্ণতম মাস এপ্রিল তাই দেশের প্রায় সবখানে এখন তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে অবস্থায় দেশের ৫৪ জেলায় বইছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ আগামী তিনদিন তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা দেখছে না আবহাওয়া অফিস

সোমবার সকালে আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলামের দেওয়া পূর্বাভাসে তথ্য জানানো হয়েছে। রাঙামাটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্ব্বোচ্চ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে

এদিকে ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে জনজীবন। তীব্র গরমে উপেক্ষা করেই কাজে বের হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষ। এতে ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুন

আবহাওয়া অফিস বলছে, রংপুর ,নীলফামারী, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা,বরিশাল ,চট্টগ্রাম, সিলেটে বইছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ পরবর্তীতে সারা দেশে বিস্তার লাভ করতে পারে কোনো কোনো জেলায় তাপমাত্রা  উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রির ওপরে

আবহাওয়াবিদ শাহীনুর ইসলাম জানান, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে

তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার রংপুর, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে

এদিকে গত চারদিন ধরে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু মাঝারি তাপপ্রবাহ। তীব্র গরমে মানুষ বাইরে বেশিক্ষণ কাজ করতে পারছেন না। সকাল ১০টার পর থেকে রোদের তাপে তেতে উঠছে চারপাশ। জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেশিরভাগ দিনই ৩৮ ডিগ্রির ওপরে থাকছে

এছাড়া গত দুইদিনের প্রচণ্ড তাপদাহে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে  কুষ্টিয়ার জনজীবন। ঈদের পরদিন থেকে জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপদহের কারণে চরম বিপাকে পড়েছে জেলার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। তারা বলছেন, প্রচন্ড তাপদাহের কারণে তাদের রাস্তায় বের হয়ে কাজ কর্ম করতে চরম কষ্ট হচ্ছে

কুষ্টিয়ার কুমারখালী আবহাওয়া অফিস বলছে, কুষ্টিয়ায় সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৩৮ দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে


আরও খবর



স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ঢাকার বাতাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিন দিন বাড়ছে বায়ুদূষণ। রাজধানী ঢাকাও দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণের কবলে। মাঝে মাঝে বৃষ্টি হলে শহরটির বাতাসের মানে কিছুটা উন্নতি হয়। কিন্তু কয়েক দিনের তীব্র গরম আর শুষ্ক আবহাওয়ায় ঢাকার বাতাস স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৫৭ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে মেগাসিটি ঢাকা, যা অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত।

তবে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ২২৫ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি শহর। এ ছাড়া দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু শহরের স্কোর ১৭৬, তৃতীয় অবস্থানে থাকা মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন শহরের স্কোর ১৬৩ আর ১৫৭ স্কোর নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর শহর।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।


আরও খবর



গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় মাভাবিপ্রবিতে অংশ নিবে ৭৩৮৮ পরিক্ষার্থী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

মো: হৃদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবিতে) কেন্দ্রের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে ৭৩৮৮ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী। আজ শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন ও বিশ্ববিদ্যালয়় ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি আরও জানান, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষায় এ ইউনিটে ৪৫৬০ জন, বি ইউনিটে ২১২৯ জন ও সি ইউনিটে ৬০০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিবে। এছাড়াও আর্কিটেকচার ব্যহারিক (ড্রয়িং) পরীক্ষায়  ৯৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিবে। 

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ একাডেমিক ভবনগুলোতে সকল ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। মাভাবিপ্রবিতে ভর্তি পরীক্ষার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। তবে ইউজিসি এবছর মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে প্রথমবারের মতো ৩০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন দেওয়ায়, বিভাগটির জন্য ৩০ জন শিক্ষার্থীসহ মোট ৮৭৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করবে বিশ্ববিদ্যালয়টি। ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগে ৫৫ জন, ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি) ৫৫ জন, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং (টিই) ৬০ জন, ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (এমই) ৩০ জন শিক্ষার্থীর আসন রয়েছে। লাইফ সায়েন্স অনুষদের অনুকূলে এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট (ইএসআরএম) বিভাগে ৫৫ জন, ক্রিমিনোলজি এন্ড পুলিশ সায়েন্স (সিপিএস) বিভাগে ৬০ জন, ফুড টেকনোলজি এন্ড নিউট্রিশনাল সায়েন্স (এফটিএনএস)  বিভাগে ৫৫ জন, বায়োটেকনোলজি এন্ড 

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং (বিজিই) বিভাগে ৪০ জন, ফার্মেসী বিভাগে ৩৫ জন, বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি (বিএমবি) বিভাগে ৩৫ জন শিক্ষার্থীর আসন রয়েছে।  সায়েন্স অনুষদের রসায়ন বিভাগে ৫৫ জন, গণিত বিভাগে ৬০ জন, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে ৫৫ জন, পরিসংখ্যান বিভাগে ৬০ জন শিক্ষার্থীর আসন রয়েছে। সোস্যাল সায়েন্স অনুষদের অর্থনীতি বিভাগে ৬৫ জন, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের  হিসাববিজ্ঞান বিভাগে ৫০ জন ও ব্যবস্থাপনা বিভাগে ৫০ জন শিক্ষার্থীর আসন রয়েছে। 

আরও জানা যায় যে, গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় এবছর ৩ টি ইউনিটে সর্বমোট আবেদন পড়েছে ৩,০৫,৩৪৬ জন পরিক্ষার্থীর। এর মধ্যে এ ইউনিটে মোট ১,৭০,৫৯৯ জন, বি ইউনিটে মোট ৯৪,৬৩১ জন এবং সি ইউনিটে মোট ৪০,১১৬  জন । গুচ্ছভুক্ত ২৪টি সাধারণ ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি  বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসন সংখ্যা ২০,৬৬৮ টি। আবেদন জমার হিসেবে এবছর প্রতি আসনে লড়বে  প্রায় ১৫ জন শিক্ষার্থী। এবছর নতুন দুটি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় যুক্ত হয়েছে। নতুন এই দুটি বিশ্ববিদ্যালয় হলো সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং পিরোজপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

তিনটি পৃথক পৃথক  দিনে তিনটি গ্রুপের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৭ এপ্রিল শনিবার সকাল ১২.০০ টা থেকে ১.০০ টা পর্যন্ত ও আর্কিটেকচার ব্যবহারিক (ড্রয়িং) পরীক্ষা বিকাল ৩ টা হতে ৪ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।  বি ইউনিটের পরীক্ষা ৩ মে শুক্রবার  সকাল ১১.০০ টা থেকে ১২.০০ টা পর্যন্ত ও  সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১০ মে শুক্রবার  সকাল ১১.০০ টা থেকে ১২.০০ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর