শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :
নওগাঁয় (১০) বছর বয়সি এক কন্যা শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা চালিয়ে রক্তাক্ত যখম করেছেন এক লম্পট। এমনকি ঘটনাটি (প্রকাশ) কাউকে না বলতে শিশুটিকে হত্যার হুমকি দেওয়ায় অসুস্থ্য শিশুটিকে বাড়িতে রেখেই গোপনে চিকিৎসা করা হয়।
শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনাটি ঘটেছে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার চৌমাশিয়া (নওহাটামোড়) বাজার এলাকায়। শিশু নির্যাতনের ঘটনাটি প্রকাশ হওয়ার পর থেকে এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানিয় সুত্রে খবর পেয়ে সরজমিনে প্রতিবেদক (ভিকটিম) শিশুর বাড়ির খলিয়ানে গিয়ে দেখতে পান এক বৃদ্ধা নারী সহ আনুমানিক ৫ বছর, ৮ বছর ও ১০ বছর বয়সি ৩ জন কন্যা শিশুকে। প্রতিবেদক কে দেখামাত্র শিশু ৩ জন দৌড়দিয়ে ঘড়ের ভেতর যান। এসময় খলিয়ানে বসে থাকা বৃদ্ধা নারী (৬৮) এর সাথে কথা বলে জানাযায়, শিশু ৩ টি তার নাতনি। শিশুদের বাবা ও মা, অর্থাৎ বৃদ্ধা নারীর ছেলে ফিরোজ হোসেন ও তার স্ত্রী পেটের দায়ে ঢাকা শহরে থাকেন। আর এ বৃদ্ধা নারী তার ৩ নাতনিকে নিয়ে চৌমাশিয়া গ্রামের চারাকুড়ি নামক (সরকারি ফাঁকা জায়গাঁয় ঘড় বানিয়ে বসবাস করেন)। কথার ফাঁকে শিশু নির্যাতন সম্পর্কে বৃদ্ধা নারীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কাছ থেকে কিছু শোন না, কি হয়েছিলো তা শিশুর কাছ থেকে শোনায় ভালো জানিয়ে তিনি বলেন, তবে আমারা কাউকে কিছু বলিনি, বললে আমাদেরকে এখানে থাকতে দিবেনা, এখান থেকে তুলে দিবে এজন্য শিশুর কাছ থেকে শোন তবে কাউকে যেন বলো না বলেই তিনি শিশু (১০) কে ঘড় থেকে বাইরে আসতে বললেন, এতেও বের না হলে তিনি বললেন, ভঁয় নেই তুমি বের হয়ে এসো। অনেক পর শিশুটি ঘড় থেকে বের হয়ে আসলেও সে আতংকে ছিলো। প্রতিবেদক কোন ভঁয় নেই জানিয়ে তার সাথে কে, কি ঘটনা ঘটিয়েছে জানতে চাইলে এক পর্যায়ে শিশুটি বলেন, আমি আমার বোন সহ কয়েকজন শিশু খেলা করছিলাম বাগানের ভেতর এসময় দাদু সিরাজ হাজী এসে সবাইকে খেলতে বলে আমাকে বাগানের ঘড়ের ভেতর নিয়ে খেলা শিখাবে বলে আমার পান্ট খুলে খারাপ কাজ নখদিয়ে গোড়াতে থাকেন এবং সেও নেংটা হয়ে খারাপ করলে আমি মা বলে চিৎকার দিলে সিরাজ আমার মুখ চেপে ধরে বলেন আর লাগবে না বলে আরো খারাপ কাজ করেন। এরপর আমার পায়জামা রক্তে ভরে যাওয়ায় আমাকে নিয়ে সিরাজ আরো দেরি করে জামাদিয়ে রক্তমাখা পায়জামা ঢেকে দেন এবং বলে তুই সোজা গিয়ে গোসল করে ধুয়ে বাড়ি যাবি আর কাউকে কিছু বললে তোকে মেরে ফেলামু, ঘড় থেকে বের করে দেওয়ার পর সিরাজ এর কথামতো আমি ধুয়েছি এবং কাউকেই বলিনি। কিন্তু আমি হাটতে পারছিলাম না বলেই ঘটনাটি বাড়িতে জানতে পেরে আমাকে বাড়িতেই গড়ম পানি ও মলম দিয়েছেন। সিরাজ কাউকে বলতে মানা করেছে, আমি কাউকে বলিনি। শিশুর মুখ থেকে এমন কথা শোনা বা জানার পর প্রতিবেদক নিজেও লজ্জিত, কি করে অভিযুক্ত ব্যাক্তি তার নাতনি'র বয়সি ছোট শিশুটির সাথে এমন জঘন্যতম ঘটনা ঘটালেন। শিশু নির্যাতনের ঘটনাটি প্রকাশ পাওয়ার পর থেকে চৌমাশিয়া-নওহাটামোড় বাজার এলাকার লোকজনের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এব্যাপারে নওহাটামোড় পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ উত্তম কুমার বলেন, লোকজন মুখে ঘটনাটি অবগত হয়েছি এবং সাথে সাথে ঘটনাটি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। ভিকটিম শিশুর পরিবার মামলা করলে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
অপরদিকে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য বিভিন্নভাবে প্রতিবেদক কে অফার দেওয়া হয়, কিন্তু জঘন্যতম ঘটনা প্রকাশ করা হবে বলে প্রতিবেদক জানিয়ে দিলে অভিযুক্ত ও নওহাটামোড় চৌমাশিয়া বাজার বনিক এর এক নেতা ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে দৌড়ঝাপ করছেন। এমনকি বাজারের সেই নেতা শিশু ও তার দাদীর কাছেও গিয়েছেন। তথ্য রয়েছে ৮ এপ্রিল গভীররাতে বাজারের সেই অখ্যাত নেতা ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে অভিযুক্তর কাছ থেকে ২ লাখ টাকা গ্রহণ করেছেন এবং সেই টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে সংবাদ লেখার সময় আজ ৯ এপ্রিল রবিবার ও তিনি দৌড়-ঝাপ করে বেড়াচ্ছেন। নির্যাতনের শিকার অবুঝ শিশুটি যেন ন্যায় বিচার পান এজন্য প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের আশু দৃষ্টি কামনা করেছেন সচেতন মহল।