Logo
শিরোনাম
লালমনিরহাটে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে ১৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের প্রধান গ্রেফতার নওগাঁয় ইটভাঙ্গা মেশিনের চাপায় সিএনজি যাত্রী নিহত হাতীবান্ধায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষ; সাংবাদিকের ক্যামেরা ভাংচুর- আহত ১০ আলোকিত সেরা নারীর সম্মাননা পেলেন মাধবদীর আমেনা বেগম জোৎস্না রামগড় সীমান্তে দেড় লক্ষ টাকার ভারতীয় মাদকদ্রব্য জব্দ অর্থ সংকটের কারণ দেখিয়ে আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় ভলিবল টুর্নামেন্টে দল পাঠাচ্ছেনা নোবিপ্রবি চামড়া খাতে ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার টাকার প্রস্তাব পাঁচ জেলায় সড়ক দুঘটনায় ১২ জনের মৃত্যু বাইডেনের মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিল জাপান যারা সরকার পরিচালনা করেন তারা সবাই ফেরেশতা নয়

নওগাঁয় অবৈধ নিয়োগে ২৩ বছর চাকরি করার অভিযোগ! হাইকোর্টে রিট

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

নওগাঁয় অবৈধ নিয়োগে ২৩ বছর ধরে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে ‘মান্দা বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট’ এর অধ্যক্ষ রমজান আলী সাকিদারের বিরুদ্ধে। অধ্যক্ষ পদে তার নিয়োগে ১০ বছরের চাকরি অভিজ্ঞতার বিধিমালাও মানা হয়নি। নিজের নিয়োগ বোর্ডে অধ্যক্ষ হিসেবে তিনি নিজেই সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। এ সংক্রান্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২০০৯ সালের ১ আগস্ট বিষয়টি সরজমিনে তদন্ত করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এর সহকারী পরিচালক কে এম কায়সার আলী।

তদন্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অধ্যক্ষ রমজান আলী ১৯৯৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর জয়পুরহাট জেলার মঙ্গলবাড়ী ময়েজ মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজে সমাজ বিজ্ঞানের প্রভাষক পদে যোগদান করেন। ৯৫ সালের ১ মে তিনি উক্ত কলেজে এমপিওভুক্ত হন। সেখানে চাকরিরত অবস্থায় ১৯৯৮ সালে তিনি ‘মান্দা বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত করেন। এই প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ নিয়োগ কমিটির ৯৮ সালের ৭ অক্টোবরের সভা ও ৯৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর নিয়োগ অনুমোদনের সভায় অধ্যক্ষ হিসেবে তিনি নিজেই সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০০০ সালের ৩ জানুয়ারি তিনি এই প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। এ সময় তার ১০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা ছিল না।

মাউশির সহকারী পরিচালক কেএম কায়সার আলীর তদন্ত প্রতিবেদনে অধ্যক্ষ পদে রমজান আলীর অবৈধভাবে নিয়োগ, একই সঙ্গে দুটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি ও বেতনভাতার সরকারি অংশের টাকা উত্তোলনসহ বিভিন্ন অনিয়ম উঠে আসে। এসব বিষয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানো হয়। কিন্তু ১৩ বছর পেরিয়ে গেলেও ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এ অবস্থায় অধ্যক্ষ রমজান আলীর নিয়োগ বাতিলসহ অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট করেন নওগাঁর মান্দা উপজেলার চকসিদ্ধেশরী গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল জলিল। এর প্রেক্ষিতে পত্র প্রাপ্তির ৩০ কার্য দিবসের মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়। হাইকোর্টের বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর দ্বৈত বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।

এ আদেশের প্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ড. রেজা হাসান মাহমুদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামি বৃহস্পতিবার তদন্তের জন্য ‘মান্দা বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট’ এর অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে পত্র দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা ড. রেজা হাসান মাহমুদ।

হাইকোর্টে রিটের বিষয়ে জানতে চাইলে মান্দা বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ রমজান আলী সাকিদার বলেন, এটি প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তণীয় বিষয়। নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিস্পত্তি করে নিয়ে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

জানতে চাইলে মান্দা বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লায়লা আঞ্জুমান বানু বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এখন পর্যন্ত এ সংক্রান্ত কোনো পত্র পাইনি।


আরও খবর



ইঞ্জুরি আর নেইমার একে অপরকে ছাড়ছেই না

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

মনির হোসেন :ব্রাজিলের ইতিহাসে সর্বকালের সেরাদের একজন হওয়ার কিংবা ফুটবল ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা হওয়ার অপার সম্ভাবনা নিয়ে শুরু হয়েছিল যার ক্যারিয়ার, তাঁকে বারবার আটকে দিয়েছে চোট। সর্বশেষ গত ১৭ অক্টোবর বিশ্বকাপ ২০২৬ বাছাই পর্বের খেলায় দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চল থেকে উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে আবার চোট পেয়েছেন নেইমার। সেই চোট তাঁকে এমন কঠিন অবস্থায় ফেলেছে,যে কোপা আমেরিকাতেই নেইমারের খেলা নিয়ে ভীষণ সংশয়। ব্রাজিল দলের চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমার বলেই দিয়েছেন, নেইমার আগামী কোপায় খেলতে পারবেন না।

উরুগুয়ের কাছে ব্রাজিলের ওই হারের ম্যাচে চোট পেয়ে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়েন নেইমার। তখনই বোঝা গিয়েছিল, বড় দুঃসংবাদ আসতে পারে। শেষ পর্যন্ত সেটাই হয়েছে। পরে জানা গেছে, বাঁ হাঁটুর অ্যান্টেরিয়র ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেছে নেইমারের। সেটা ঠিক করাতে গত ২ নভেম্বর ব্রাজিলের বেলো হরিজন্তেতে অস্ত্রোপচার করান আল হিলাল তারকা। এর পর থেকে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছেন নেইমার।

হয়তো এই লড়াইয়ে জিতে কোপা আমেরিকার আগেই ফিট হয়ে ফিরবেন নেইমার। কিন্তু ব্রাজিলের রেদে৯৮ রেডিওকে দেশটির জাতীয় ফুটবল দলের চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমার যা বলেছেন, তাতে ব্রাজিলের সমর্থকদের হতাশা বাড়ারই কথা। লাসমার বলেছেন, ‘কোপা খুব কাছেই। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপ পার না করে তাড়াহুড়ো করা এবং অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকি নেওয়ার কোনো মানে হয় না। আমাদের প্রত্যাশা হচ্ছে, সে ২০২৪ ইউরোপিয়ান মৌসুমের শুরুতে, মানে আগস্টে মাঠে ফেরার জন্য পুরোপুরি ফিট হবে।’

যুক্তরাষ্ট্রে কোপা আমেরিকা শুরু হবে ২০ জুন থেকে, শেষ হবে ১৪ জুলাই। তার মানে, লাসমারের কথানুযায়ী,ঐ  টুর্নামেন্টে নেইমারের খেলা হচ্ছে না।

অবশ্য প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুত অনেকে সেরে ওঠেন অনেক চোট থেকে। তবে নেইমারের যে চোট, সেটার ক্ষেত্রে এ সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ বলে মনে করেন লাসমার,আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে। ৯ মাসের আগে ওর ফেরা নিয়ে কথা বলাটা জলদি হয়ে যায়। হাঁটুর লিগামেন্টে অস্ত্রোপচারের পর পুনর্বাসনের জন্য একটু সময় লাগবেই, এটা বৈশ্বিক ধারণা। জৈবিক এ সময়কে মাথায় রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ, লিগামেন্ট পুনর্গঠনের জন্য শরীর এতটুকু সময় নেয়।’

পুনর্বাসন প্রক্রিয়া পুরোটা অনুসরণ করে আসলে নেইমারকে আবার পুরো ছন্দে মাঠে দেখা যাবে বলেও আশা লাসমারের,আমরা যদি এই ধাপগুলো অনুসরণ করি, আশা করছি, সে আবার আগের 

মতো শীর্ষ পর্যায়ে পারফর্ম করতে পারবে।

কোপা আমেরিকায় ‘ডি’ গ্রুপে ব্রাজিল পেয়েছে কলম্বিয়া,প্যারাগুয়ে ও কোস্টারিকা।


আরও খবর



মে মাসের তাপমাত্রা হবে আরও ভয়ংকর

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

আবহাওয়া অফিস আজ শনিবার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে বাংলাদেশের সব স্থানে দীর্ঘতম সময়ের তাপদাহ শেষ হওয়ার পর আগামী মাসে দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সর্বকালের রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে।

আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা বাসসকে বলেন, আমাদের গাণিতিক মডেল বিশ্লেষণ বলছে, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশের কিছু অংশে প্রত্যাশিত বৃষ্টিপাত হলেও মে মাসে দেশে সর্বকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হতে পারে।

তিনি বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সিলেট অঞ্চল, বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের কিছু অংশ এবং দক্ষিণ-পূর্ব চট্টগ্রাম অঞ্চলে কিছু স্বস্তির বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও এতে সারাদেশে চলমান তাপদাহ হ্রাসের সম্ভাবনা কম।

দেশ গত ১ এপ্রিল থেকে গত ২৫ দিন ধরে তাপপ্রবাহের দীর্ঘতম সময় প্রত্যক্ষ করছে এবং আবহাওয়া অফিস সতর্ক করেছে যে এ অবস্থা পরবর্তী মাসজুড়ে অব্যাহত থাকবে।

আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক মন্তব্য করেন, আগের তাপদাহের বিপরীতে এ বছর তা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আবহাওয়াবিদ জেবুন্নেসাও একথা সমর্থন করেন।

দৃশ্যত, প্রথমবারের মতো আবহাওয়াবিদরা জলবায়ু বিশেষজ্ঞ এবং অ্যাক্টিভিস্টদের সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে স্বীকার করেছেন যে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আবহাওয়া অস্বাভাবিক আচরণ করেছে এবং এর ফলে ধীরে ধীরে তাপদাহের অঞ্চল প্রসারিত হচ্ছে।

তারা বলছেন, তাপদাহ দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ অংশ এবং আংশিকভাবে পূর্ব এশিয়ার দেশ ভারত, বাংলাদেশ , পাকিস্তান, আফগানিস্তান, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামকে প্রভাবিত করেছে।

বিকেল ৩টায় জারি করা আবহাওয়া অফিসের সর্বশেষ বুলেটিন অনুসারে, যশোরে বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করার এক দিন পর চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

ঢাকায় তাপমাত্রা ৩৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হলেও উচ্চ আর্দ্রতা নগরবাসীদের ব্যাপক অস্বস্তিতে ফেলেছে।

বুলেটিনে বলা হয়েছে, রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা ও পাবনা জেলার ওপর দিয়ে অতি প্রবল তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে এবং টাঙ্গাইল, বগুড়া, বাগেরহাট, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলায় প্রবল তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

এতে বলা হয়েছে, ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের বাকি অংশ এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগ এবং মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর মতো এপ্রিল মাসে সাধারণত বাংলাদেশ   গরম থাকে, তবে আবহাওয়াবিদদের মতে এ মাসে তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেশি ছিল যা আন্তর্জাতিক মিডিয়াতেও প্রাধান্য পায়।

নিউইয়র্ক টাইমস অনুসারে, দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েক মিলিয়ন মানুষ প্রবল তাপদাহে ভুগছে। এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে, কৃষি কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে এবং হিটস্ট্রোক ও সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য জটিলতার ঝুঁকি বেড়েছে।

সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের পরিস্থিতিও বিশেষভাবে স্বীকার করা হয়েছে যে কিছু এলাকায় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। কিন্তু অতিরিক্ত আর্দ্রতা তাপমাত্রাকে আরো অসহ্য করে তোলে।

চরম আবহাওয়ার কারণে সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা বাড়িতেও কিছু করতে পারছে না বা করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।

আয়াজুর রহমান নামে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্র বলেন, আমার পড়াশোনা বা কিছু করতে ভালো লাগছে না।. . . আমার পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারছি না।

পরিস্থিতি গৃহিণী ও নারীদের চরম দুর্দশায় ফেলেছে। বিশেষ করে রান্নার ক্ষেত্রে। এক গৃহিণী বলেন, আমার মাথা ঘুরতে শুরু করে, মনে হয় চুলার কাছে গেলে আমি মাটিতে পড়ে যাব।

তাপদাহ হাজার হাজার লোককে শহরের মসজিদে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সুবিধা এবং গ্রামীণ খোলা মাঠে জড়ো হতে বাধ্য করে। প্রচণ্ড গরম থেকে মুক্তির জন্য মানুষ বৃষ্টি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করছেন।

তাপদাহের কারণে এপ্রিলের শুরু থেকে হাসপাতালগুলো বিশেষ স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করতে বাধ্য হয়েছে। এসময় তাপজনিত অসুস্থতা নিয়ে বেশিসংখ্যক রোগী হাসপাতালে এসেছে। এই দীর্ঘায়িত গরম আবহাওয়ায় শিশু এবং বয়স্ক ব্যক্তিরাই সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছে।

মুগদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ডা: মো: নিয়াতুজ্জামান বলেন, হিটস্ট্রোক, ডিহাইড্রেশন, ক্লান্তি ও শ্বাসকষ্টে বিপুল সংখ্যক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে এবং তারা গরমজনিত অন্যান্য রোগেও ভুগছে।

শিশু হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়রিয়াল ডিজিজ রিসার্চ, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি)সহ অন্যান্য হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোও একই ধরনের পরিস্থিতির কথা বলছে।

দুই দিন আগে আইসিডিডিআরবির মুখপাত্র এ কে এম তারিফুল ইসলাম খান  বলেন, ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়রিয়াল ডিজিজ রিসার্চ, বাংলাদেশ  (আইসিডিডিআর,বি) প্রায় ৫০০ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছে। প্রতিদিন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোগী আইসিডিডিআর,বিতে ভর্তি হচ্ছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে সংকট মোকাবেলায় অতিরিক্ত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ জারি করেছে।

ডাক্তাররা হিটস্ট্রোক থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে যতটা সম্ভব বাড়ির ভিতরে থাকার এবং সূর্যের সংস্পর্শে আসার সময় আবহাওয়ার উপযোগী পোশাক পরার এবং তাপদাহের সময় পানিশূন্যতা এড়াতে পানির পাশাপাশি বেশি তরল খাবার খাওয়ার এবং কাজের সময় এক বা দুই ঘণ্টা পর পর বিশ্রাম নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা: খলিলুর রহমান বলেন, আমাদের মস্তিষ্ক নির্দিষ্ট মাত্রার তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে, যদি তা বেশি হয় তবে মানুষ অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে, হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারে এবং ডিহাইড্রেশনের কারণে ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতা এবং কিডনির কর্মহীনতাসহ অন্যান্য জটিলতায় ভুগতে পারে।


আরও খবর



ইসরায়েলে লেবাননের রকেট হামলা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

ইসরায়েলে রকেট হামলা চালিয়েছে হামাস। লেবানন থেকে এই হামলা চালানো হয়েছে।এক বিবৃতিতে হামাসের লেবানন শাখা জানিয়েছে, কিরিয়াত শমোনা এলাকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একটি ঘাঁটিতে রকেট হামলা চালানো হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলের ডিফেন্স ফোর্স। বলা হয়েছে, লেবানন থেকে ২০টি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে।

আইডিএফ জানিয়েছে, হামাসের ছোড়া অধিকাংশ রকেট আকাশেই ধ্বংস করা হয়েছে। কিছু রকেট খোলা জায়গায় পড়েছে। তাছাড়া পাল্টা হামলা চালানো হচ্ছে বলেও জানায় ইসরায়েলি বাহিনী।

এতে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় প্রায় প্রতিটি ভবন, স্কুল, মসজিদ, হাসপাতাল এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সেখানে সাড়ে তিন কোটি টনের বেশি ধ্বংসস্তূপ জমা হয়েছে। এক দুই বছরে এসব ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করা সম্ভব নয়। জাতিসংঘের মাইন অ্যাকশন এজেন্সি বলছে, এসব ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে নিতে এক দশকের বেশি সময় লেগে যেতে পারে।

গাজায় এখনো যুদ্ধবিরতি নিয়ে সব প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে। হামাস বা ইসরায়েলি বাহিনী এ বিষয়ে একমত হতে না পারায় যুদ্ধ শেষ হওয়ার কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। যুদ্ধ শেষ হলে এসব ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি নাগরিকের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করাটাই হয়ে উঠবে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ এরই মধ্যে সেখানে ৩ কোটি ৭০ লাখ টন ধ্বংসস্তূপ জমা হয়েছে।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল, আল-জাজিরা


আরও খবর



দিল্লির ১০০ স্কুলে বোমা হামলার ‘হুমকি’

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

বোমা হামলার হুমকি’ দিয়ে ভারতের দিল্লি এবং জাতীয় রাজধানী অঞ্চলের (এনসিআর) প্রায় ১০০ স্কুল ইমেইল পাঠানো হয়েছে। তবে এই ইমেইলগুলো ভুয়া উল্লেখ করে সেগুলোর উৎস খুঁজে পাওয়া গেছে বলে জানান জাতীয় রাজধানীর লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা। এ ঘটনার পর রাজধানীজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর এনডিটিভি।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, স্কুলে বোমা হামলার হুমকি পাওয়ার পর জাতীয় রাজধানীর লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা উত্তর দিল্লির মডেল টাউনের ডিএভি স্কুল পরিদর্শন করেন।

ভি কে সাক্সেনা বলেন, দিল্লি পুলিশ ইমেইলগুলোর উৎস খুঁজে পেয়েছে। আমি দিল্লির নাগরিকদের আশ্বস্ত করছি যে পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং সতর্ক রয়েছে। এ ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি।

দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে কোনো স্কুলে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সিনিয়র পুলিশ অফিসার কুমার মাহলা বলেছেন, আমরা সব স্কুল পরীক্ষা করেছি। কিছুই পাওয়া যায়নি। আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই।

দিল্লি পুলিশ প্রধানের কাছে বিস্তারিত তদন্ত প্রতিবেদন চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভি কে সাক্সেনা।

জাতীয় রাজধানীর লেফটেন্যান্ট গভর্নর বলেন, ... আমি অভিভাবকদের আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি এবং স্কুল ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে সহযোগিতা করুন। দুর্বৃত্ত ও অপরাধীদের রেহাই দেওয়া হবে না।

বুধবার (১ মে) ভোর ৪টা ১৫ মিনিটের দিকে বোমা হামলার হুমকি পাওয়া সমস্ত স্কুলে পুলিশ এবং ফায়ার বিভাগের কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেন।

নিরাপত্তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার জানিয়ে দিল্লি পাবলিক স্কুল নয়ডার অধ্যক্ষ কামিনী ভাসিন বলেছেন, আমরা বোমা সংক্রান্ত একটি ইমেইল ​​পেয়েছি। আমাদের শিক্ষার্থী আছে, তাই আমরা ঝুঁকি নিতে পারি না। আমরা পুলিশকে জানিয়েছি। অভিভাবকদের জানানো হয়েছে এবং ছাত্রদের বাড়ি ফেরত পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



নগরবাসীর জন্য ডিএমপির ১৩ পরামর্শ

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

নাড়ির টানে এই নগরের অধিকাংশ মানুষ গ্রামে যাচ্ছেন। এর ফলে ঈদের মৌসুমটা রাজধানী প্রায় ফাঁকা হয়ে যায়। ইতোমধ্যে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে ঘরমুখো এসব মানুষ।

যাত্রাপথে নিজেদের সামান্য অসাবধানতা বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। সেজন্য আগেভাগেই সতর্ক হতে হবে। ফলে ঢাকা ছাড়ার আগে নগরবাসীকে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

শনিবার (৬ এপ্রিল) ডিএমপি সদরদফতরের উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন এই পরামর্শের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পরামর্শগুলো হলো :

১. গ্যাস ও পানির লাইনসহ সব ধরনের লাইট, ফ্যানের সুইচ, বৈদ্যুতিক প্লাগ বন্ধ করে বাসা থেকে বের হবেন। বাসাবাড়িতে অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরে প্রথমেই ঘরের দরজা-জানালা খুলবেন। ঘরে জমে থাকা গ্যাস বের না হওয়া পর্যন্ত কোনও অবস্থাতেই গ্যাসের চুলা জ্বালানো কিংবা বৈদ্যুতিক সুইচ অন করবেন না।

২. বাসাবাড়িতে সিসি ক্যামেরা বসাতে হবে। পূর্বে বসানো সিসি ক্যামেরা সচল আছে কি না পরীক্ষা করতে হবে।

৩. বাসার চারপাশে বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা রাখতে হবে।

৪. নগদ টাকা কিংবা স্বর্ণালংকার ব্যাংক কিংবা নিকটাত্মীয়দের কাছে নিরাপদে রেখে যাবেন।

৫. রাতে কিংবা দিনে একসঙ্গে মুখে মাস্ক এবং মাথায় ক্যাপ পরিহিত অপরিচিত সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের গতিবিধি নজরদারি করতে হবে। প্রয়োজনে ৯৯৯ নম্বরে ফোনকল করতে হবে।

৬. মোটরসাইকেল চুরি রোধে অ্যালার্ম ব্যবহার করতে হবে। এতে কেউ মোটরসাইকেল স্পর্শ করলেই অ্যালার্ম বেজে উঠবে। লক করার কাজে স্টিলের তৈরি মেরিন অ্যাংকর চেইন ব্যবহার করতে হবে। মোটরসাইকেলে জিপিএস ট্র্যাকার লাগাতে হবে এবং চাকায় উন্নতমানের ডিস্ক লক ব্যবহার করতে হবে।

৭. দেশের বা বিদেশের কোনো আইপিএস কিংবা বিসিএস কর্মকর্তা, বিশেষ বাহিনীর কর্মকর্তা ইত্যাদি পরিচয়ে ফেসবুকে পাঠানো ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট গ্রহণ করলে প্রতারিত কিংবা ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার হতে পারেন। সেজন্য এ ধরনের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট গ্রহণ করা উচিত হবে না।

৮. যার নাম-ঠিকানা আপনার জানা নেই, এমন অপরিচিত ব্যক্তির দেওয়া ভিডিও কল গ্রহণ করবেন না। এরূপ ভিডিও কলে পাঠানো অশ্লীল ছবি কিংবা ভিডিও রেকর্ড করে আপনাকে ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায় করতে পারে।

৯. আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কিংবা বিকাশ বা নগদ অ্যাকাউন্ট কোনো ব্যক্তি বন্ধ করতে পারে না। এসব অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার ভয় দেখিয়ে আপনার কাছ থেকে অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড কিংবা পিন নম্বর বিভিন্ন কৌশলে বারবার চাইতে পারে। এ ধরনের ফোন কল পেয়ে থাকলে কোনো অবস্থাতেই পাসওয়ার্ড বা পিন কোড দেওয়া যাবে না।

১০. ভুল করে বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে এমন ফোনকল পেলে যাচাই না করে বিশ্বাস করবেন না।

১১. লটারি জিতেছেন কিংবা বিদেশ থেকে দামি উপহার বা ডলার পাঠানো হবে এমন ফোনকল পেলে বিশ্বাস করবেন না। এয়ারপোর্ট কাস্টমসে কিংবা এনবিআর অথবা বাংলাদেশ ব্যাংকে টাকা পরিশোধ করতে হবে জানিয়ে প্রতারকরা লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। কোনো অবস্থাতেই এ ধরনের লোভে পড়বেন না।

১২. অত্যন্ত দামি ধাতুর তৈরি সীমান্ত পিলারে বিনিয়োগ করে কোটি কোটি টাকা লাভ করা যাবে এরূপ প্রলোভনে বিশ্বাস করবেন না। প্রতারকরা নকল পিলার দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। বাস্তবে এ ধরনের কোনো পিলার নেই।

১৩. ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়্যাটসঅ্যাপ ও ইমো আইডিতে আত্মীয়, বন্ধু কিংবা পরিচিত ব্যক্তির বিপদে পড়ে জরুরি টাকা পাঠানোর অনুরোধ পেলে তার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ না করে টাকা পাঠাবেন না। মোবাইল চুরি করে কিংবা বিভিন্ন আইডি হ্যাক করে এ ধরনের অনুরোধ পাঠানো হয়।


আরও খবর