Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি করায় ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৪ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় র‌্যাবের অভিযানে,অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার সামগ্রী তৈরি করায় ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা।

সত্যতা নিশ্চিত করে র‌্যাব কাম্প থেকে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার ২৪ আগস্ট সকাল ৯ টা হতে দুপুর পর্যন্ত র‌্যাব-৫, জয়পুরহাট র‌্যাব ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ রফিকুল ইসলাম ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোসাঃ আতিয়া খাতুন, বদলগাছী, নওগাঁ এর নেতৃত্বে নওগাঁ জেলার বদলগাছী থানা এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য তৈরীর ভেজাল কাঁচামাল, মিষ্টি, কেক, রুটি ও বিস্কুট উৎপাদন ও বিপণন করার অপরাধে বিপাশা বেকারী এর মালিক মোঃ আব্দুল হামিদ কে ১০ হাজার টাকা, সুমন ফুড বেকারী এর মালিক মোঃ বজলুর রহমান কে ৫ হাজার টাকা, রিভা বেকারী এর মালিক ফরিদুল ইসলাম কে ২ হাজার টাকা, সাদিয়া বেকারী এর মালিক মোঃ শাহিনুর রহমান কে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা সহ মোট ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৩২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং উক্ত মিষ্টি, কেক, রুটি ও বিস্কুট তৈরীর ভেজাল কাঁচামাল ও উপাদানসমূহ ধ্বংস করেন।


আরও খবর



রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টা বাড়াতে হবে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

রোহিঙ্গা সংকটের একটি টেকসই সমাধান নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা পরিষদ ও সাধারণ পরিষদে প্রস্তাব বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি সম্মিলিত প্রচেষ্টা আরও বহুগুণ বাড়াতে বৈশ্বিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে আসিয়ান সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের কাছে চারটি প্রস্তাব তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, মিয়ানমার থেকে উদ্ভূত এই (রোহিঙ্গা) সমস্যার স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করতে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা আরও বহুগুণ বাড়াতে হবে, সব বিকল্পের মধ্যে স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনই সবচেয়ে কার্যকর।

 নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের ফাঁকে এক উচ্চ পর্যায়ের ইভেন্টে প্রধানমন্ত্রী তার প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ, কানাডা, গাম্বিয়া, মালয়েশিয়া, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘ সদর দপ্তরে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে তারা কি আমাদের ভুলে গেছে? শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের এই ইভেন্ট আয়োজন করা হয়। ইভেন্টটি সঞ্চালনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।

প্রথম ও দ্বিতীয় প্রস্তাবে শেখ হাসিনা বলেন, আমি বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন বিষয়টি সমাধান করে এবং এই দুর্দশাগ্রস্ত ও অসহায় মানুষের জীবনধারণের জন্য আমাদের মানবিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি এই বিষয়টিকে তাদের এজেন্ডার শীর্ষে রাখে।

তৃতীয় প্রস্তাবে তিনি বলেন, এই জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত, নিয়মে পরিণত করা এবং ঘৃণ্য নৃশংসতাকারী অপরাধীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য চলমান এবং প্রচলিত আইনি এবং বহুপাক্ষিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করুন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ছয় বছর ধরে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের মর্মান্তিক বিতাড়নের ঘটনা দেখে আসা বিশ্বকে রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের স্থায়ী দুর্ভোগের কথা আবারও স্মরণ করিয়ে দিতে তারা আজ এখানে সমবেত হয়েছেন।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া এবং পরিবারের সদস্যদের প্রতি নির্মম হত্যাকাণ্ডের কারণে কয়েক মাসের মধ্যে প্রায় ১০ লাখ মানুষ বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এরপর থেকে আমরা আমাদের মাটিতে তাদের আশ্রয় এবং তাদের মৌলিক ও মানবিক সেবা দিয়ে আসছি। আমি আমাদের সকল অংশীজন এবং বন্ধুদের তাদের সংহতির পাশাপাশি মানবিক সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানাই।

ইস্যুটি এখন স্থবিরতার পর্যায়ে পৌঁছেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত ছয় বছরে একজন বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাও মিয়ানমারে তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারেনি।

বাংলাদেশে তাদের দীর্ঘ উপস্থিতি কেবল তাদের আরও হতাশার দিকেই ঠেলে দিচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি কক্সবাজারের পরিস্থিতিকেও অনিশ্চিত করে তুলছে।

আশ্রয়দাতা সম্প্রদায় আজ তাদের উদারতার শিকারে পরিণত হয়েছে, বলেন তিনি।

রোহিঙ্গাদের চাহিদার প্রতি বিশ্বব্যাপী মনোযোগ দ্রুত হ্রাস পাওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, এটি মানবিক সহায়তা পরিকল্পনায় ক্রমবর্ধমান অর্থায়নের অভাব স্পষ্ট।

তিনি বলেন, সমগ্র বিশ্ব অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অন্যান্য অনেক কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা যে, রেকর্ড পরিমাণ উচ্চতায় পৌঁছেছে সে বিষয়ে তারা অবগত আছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব রোহিঙ্গাদের ভুলে যেতে পারে না কেননা ২০১৭ সালে তাদের দেশত্যাগ কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না এবং তারা কয়েক দশক ধরে মিয়ানমারে নিপীড়ন ও বিতাড়নের শিকার হয়েছে।

তিনি বলেন, তাদের নির্যাতনের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিকারে এগিয়ে আসতে সকলেরই দায়িত্ব রয়েছে। তাদের ভরণপোষণের জন্য মানবিক সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ, তবে এটিই সব কিছু নয়।

আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, তারা মিয়ানমারে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যেতে পারবে এবং মর্যাদার সঙ্গে নিশ্চিত জীবন যাপন করতে পারবে। এর জন্য আমাদের সমস্যাটির মূলে গিয়ে সমাধান করতে হবে, যা মিয়ানমারেই রয়েছে, যোগ করেন তিনি।

তাদের নিজ দেশে সুরক্ষা এবং প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা দরকার যাতে বাড়িঘর থেকে তাদের পালাতে না হয়। তিনি বলেন, এখানে উপস্থিত অনেক দেশ আছে যারা কয়েক দশক ধরে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে আসছে। তার বিশ্বাস মালয়েশিয়া এবং সৌদি আরব বাংলাদেশের সাথে একমত হবে।

এক মিলিয়নেরও বেশি বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য আশ্রয় দেওয়া কখনোই বাংলাদেশের জন্য একটি বিকল্প ছিল না উল্লেখ করেন তিনি।

বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ যেখানে জনসংখ্যার উচ্চ ঘনত্ব রয়েছে এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলোর মধ্যে একটি এবং এটি ইতোমধ্যেই জলবায়ু-প্ররোচিত অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যার দ্বারা অতিরিক্ত চাপে পড়েছে।

তিনি বলেন, এর পাশাপাশি, রোহিঙ্গাদের দীর্ঘ উপস্থিতি আমাদের জনগণের জন্য গুরুতর সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তাজনিত প্রভাব ফেলেছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবির হিসেবে পরিচিত এই আশ্রয় শিবিরের কারণে ৬ হাজার ৮০০ একর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের ফলে কক্সবাজারের জীব বৈচিত্র মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, ২০১৭ সালের নভেম্বরে আমরা মিয়ানমারের সাথে যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছি তার দ্রুত বাস্তবায়নের দিকে তাদের মনোযোগ দিতে হবে।

আমরা মায়ানমারের সাথে ছোট ব্যাচে যাচাইকৃত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য কাজ করছি। প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ এবং স্বেচ্ছামূলক হয় তা নিশ্চিত করার জন্য, রোহিঙ্গা এবং মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষের মধ্যে একাধিকবার আলোচনার করা হয়েছে, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তার মতে প্রত্যাবর্তনকারীদের প্রথম ব্যাচের অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে পথ দেখাতে এবং প্রক্রিয়ার ফাঁক-ফোকরগুলো পূরণ করতে গুরুত্বপূর্ণ হবে।

পাইলট প্রত্যাবাসন প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে ভবিষতে আশা বাঁচিয়ে রাখবে। আমি আশা করি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনকারীদের রাখাইনে পুনরায় একত্রিত হতে সহায়তা করতে এগিয়ে আসবে, তিনি বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাখাইনে মানবিক ও উন্নয়ন সংস্থার উপস্থিতি একটি গুরুত্বপূর্ণ আস্থা তৈরির ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করবে।

তিনি বলেন, আঞ্চলিক দেশগুলো, বিশেষ করে আসিয়ান সদস্যরা, মিয়ানমারের সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠ ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক নিয়ে, নেতৃত্বের ভূমিকা নিতে পারে। এএইচএ কেন্দ্রের ব্যাপক প্রয়োজন মূল্যায়নের ভিত্তিতে, প্রত্যাবর্তনকারী রোহিঙ্গাদের সম্পৃক্ত করে ছোট সম্প্রদায় ভিত্তিক প্রকল্প গ্রহণ করা যেতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে, রোহিঙ্গা সঙ্কটের মূল কারণগুলোকে কার্যকরভাবে মোকাবেলায় অব্যাহত আন্তর্জাতিক মনোযোগ প্রয়োজন।

তিনি বলেন, মিয়ানমারের বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদ এবং সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবের বাস্তবায়ন এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।

ন্যায়বিচার এবং জবাবদিহিতা প্রক্রিয়ার ওপর দৃষ্টি বজায় রাখা সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং যতক্ষণ না নৃশংসতার জন্য দায়ী অপরাধীদের জবাবদিহি করা না হয়, ততক্ষণ আরও নিপীড়নের ঝুঁকি থেকেই যাবে।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা নির্যাতিতরা এবং জীবিতরা সত্যিকার অর্থে তাদের অতীত আর ফিরে পাবে না এবং বিচার না পেলে তারা গঠনমূলকভাবে মিয়ানমারে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়েও ফিরে যেতে পারবে না।

শেখ হাসিনা বলেন, আমার দেশ জবাবদিহিতা প্রক্রিয়ার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এবং আমরা আইসিজে, আইআইএমএম এবং আইসিসি-র সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। আমি অন্য সকল সদস্য রাষ্ট্রকে এই বিষয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক বিচার ব্যবস্থার সাথে সহযোগিতা করার জন্য আহ্বান জানাই।

বাসস।


আরও খবর

সন্ত্রাসীদের তালিকা করছে র‌্যাব

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




ভালমন্দ খেলেই বদহজম হচ্ছে? ডিসপেপসিয়ায় আক্রান্ত নন তো?

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

স্বাস্থ্য টিপস : অনেকেই আছেন সামান্য কিছু খেলেই শুরু হয়ে যায় বদহজম। কখনও ডায়রিয়া, কখনও গ্যাস, কখনও অ্যাসিডিটি। কখনও বমিও শুরু হয়ে যায়।  

হজম সংক্রান্ত গোলমাল ও পেটের নানা সমস্যাকে একসঙ্গে ডিসপেপসিয়া বলা হয়। অনেকের ধারণা— বদহজম মানেই ডিসপেপসিয়া। কিন্তু ব্যাপারটা ঠিক তা নয়। বমি ভাব, গ্যাস্ট্রিক, পেট গুড়গুড় করা, খিদে পেলে বা অন্য সময়ে পেটব্যথা, গলা জ্বালা, কখনও কখনও পেটের মধ্যে গ্যাস হয়ে পেট ফুলে যাওয়া, আবার পর্যায়ক্রমে কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়রিয়া হওয়া— সব একসঙ্গে হলে তাকে বলা হয় ডিসপেপসিয়া।  

চিকিৎসকদের মতে, এই ধরনের সমস্যা মেয়েদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। দুশ্চিন্তা ও অবসাদ থাকলে সমস্যা বাড়ে। 

এসব ক্ষেত্রে নিজেরা চিকিৎসার চেষ্টা না করে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ। 

অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় দুধ, শাক, গমের তৈরি খাবার যেমন রুটি, বিস্কুট ইত্যাদি খেলে সমস্যা হয়। তেলেভাজা খাবার, মিষ্টি, কফি ইত্যাদি বাদ দিতে হবে, নয়তো সমস্যা বাড়বে। বাড়িতে রান্না করা খাবার খেলে ভালো। অনেক ক্ষণ না খেয়ে থাকা এড়িয়ে চলতে হবে।  


আরও খবর



বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, হ্রাস পাবে তাপমাত্রা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক : উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, বিহার, উড়িষ্যা, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।

বৃষ্টিপাতের বিষয়ে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, এ সময়ের শেষের দিকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে।


আরও খবর

সন্ত্রাসীদের তালিকা করছে র‌্যাব

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব বাড়ছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

যুক্তরাষ্ট্রের সব সরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম যাতে বন্ধ না হয়, সেজন্য নির্ধারিত সময়সীমার আগেই সরকারি শাটডাউন এড়াতে কংগ্রেস দ্বারা পাস করা স্বল্পমেয়াদি তহবিল বিলে স্বাক্ষর করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর ফলে ফেডারেল এজেন্সিগুলো সচল থাকছে আগামী নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত। যেটিকে বিজয় হিসেবেই দেখছে ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটরা।

গত ১ অক্টোবর বিলটি পাস হওয়ায় শাটডাউনের সংকট এড়ালেও নির্বাচনকে ঘিরে মার্কিন রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব প্রকট হচ্ছে। ভোটকে ঘিরে রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের মাঝে মাথাচাড়া দিচ্ছে রাজনৈতিক নানা ইস্যু।

এরই মধ্যে এক টকশোতে ফ্লোরিডার কনজারভেটিভ রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান ম্যাট গেটজ বলেছেন, চলতি সপ্তাহেই প্রতিনিধি সভার রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠদের নেতা হাউস স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থিকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করবেন। সরকারি শাটডাউন এড়াতে ম্যাকার্থিবিরোধী ডেমোক্র্যাটিক আইনপ্রণেতাদের প্রায় সর্বসম্মত জোটকে ভোটদানে স্বাগত জানানোর পর এমন বক্তব্য সামনে এলো।

তবে ম্যাকার্থি মার্কিন স্পিকারশিপের বিরুদ্ধে গেটজের পদক্ষেপের বিষয়ে উদ্বিগ্ন নন টেলিভিশনের এক শোতে এমনটি জানিয়ে তিনি বলেছেন, আমি এ অবস্থা অতিক্রম করে ফেলব। তিনি (ম্যাট গেটজ) কিছু করার চেয়ে টিভি ইন্টারভিউ দেওয়ার ব্যাপারে বেশি আগ্রহী। তিনি আমাদের শাটডাউনের দিকে ঠেলে দিতে চেয়েছিলেন।

রিপাবলিকান পার্টির এ নেতা আরো বলেন, শাটডাউনের ফলে ম্যাট গেটজের কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্টে বসবাসকারী সেনা কর্মকর্তাদের বেতন বিলম্বিত হতে পারত।

এদিকে, রিপাবলিকান আইন প্রণেতাদের এমন দ্বন্দ্বে ক্ষুব্ধ বাইডেন। এ নিয়ে নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেছেন, রবিবার থেকে শুরু হওয়া অর্থবছরের সামগ্রিক ব্যয়ের সীমা নিয়ে কয়েক মাস আগে ম্যাকার্থির সঙ্গে তিনি যে চুক্তিটি করেছিলেন, সেটি তাদের মেনে চলা উচিত। রক্ষণশীল রিপাবলিকানরা ওই চুক্তির ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছিল এবং তারপর থেকে তারা এটি আরো সীমিত করার চেষ্টা চালিয়ে আসছে।

এর আগেও এক টেলিভিশন শোতে হোয়াইট হাউসের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থিকে নিয়ে তিনি বলেছিলেন, প্রায় এমন কোনো প্রতিশ্রুতি নেই, যা তিনি লঙ্ঘন করেননি।

হোয়াইট হাউসের ৪৩৫ সদস্যের মধ্যে ২২১ জন রিপাবলিকান এখনো ম্যাকার্থিকে স্পিকার হিসেবে সমর্থন করছেন। ম্যাট গেটজকে চেম্বারের আরেক নেতা হিসেবে নির্বাচিত করার জন্য প্রয়োজন অন্তত ২১৮ সদস্যের সমর্থন, যেখানে তিনি অনেক পিছিয়ে আছেন।

সূত্র : রয়টার্স ও ভয়েস অফ আমেরিকা।


আরও খবর

পাকিস্তানি ১৬ ভিক্ষুক আটক

সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3




নওগাঁয় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ১৫শ' পরিবার পানিবন্দি, আতঙ্কে মানুষ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর মহাদেবপুর ও মান্দা উপজেলায় 'আত্রাই নদীর' উভয় তীরের মোট ৫ স্থানে নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে পানি বন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ১৫শ' পরিবার। পানিতে তলিয়ে গেছে ইট ভাটা, মন্দির সহ হাজার বিঘা জমির আউশ ও আমন ধানের ক্ষেত। ভেসে গেছে পুকুরে থাকা মাছ। চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছেন বন্যা কবলিত এলাকার মানুষজন। এরমধ্যে মহাদেবপুর সদর ইউনিয়নে মঙ্গলবার সকাল সারে ৯ টারদিকে আত্রাই নদীর বেড়িবাঁধ হঠাৎ করেই ভেঙ্গে যায়। বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার খবর পেয়ে প্রথমে মহাদেবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান ও তরুন সমাজ সেবক সাঈদ হাসান তরফদার শাকিল ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন এবং সাথে সাথে ঘটনাটি জানালে মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এভাঙ্গনে মহূর্তের মধ্যে একটি ইট ভাটা সম্পূর্ণ ও মন্দীর তলিয়ে যায়। এসময় পুকুরের মাছ সব ভেঁসে যায়।

অপরদিকে নওগাঁর মান্দা উপজেলায় 'আত্রাই নদীর' উভয় তীরের মোট ৪ স্থানে নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে পানি বন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত পক্ষে ১৫শ' পরিবার। পানির নিচে তলিয়ে গেছে হাজার বিঘা জমির আউশ ও আমন ধানের ক্ষেত। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানায়, মান্দাতে বিপৎ সীমার ১০০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। এতে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ মূল বাঁধের বেশকিছু স্থান ইতি মধ্যেই চরম ঝঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় আতঙ্কে দিন ও রাত পার করছেন নদী পাড়ের মানুষ। এ অবস্থায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ টিকিয়ে রাখতে ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্ট গুলোতে বস্তায় বালু ভরে মেরামতের একটানা কাজ করছে শ্রমিকেরা। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সহায়তায় এসব কাজ বাস্তবায়ন করছে মান্দা উপজেলা প্রশাসন। মান্দাতে বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে উপজেলার নুরুল্লাবাদ ইউনিয়ন এর ৭টি গ্রাম। এ ইউনিয়নের নুরুল্লাবাদ ও পারনুরুল্লাবাদ এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ৪শ' টি পরিবার এবং ফকিন্নি নদীর তীরবর্তী এলাকায় আরো অন্তত ৬শ' টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এ ছাড়া প্রসাদপুর ইউনিয়নের বাইবুল্যা ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কয়লাবাড়ী এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন আরো ৫শ' পরিবার। নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত রবিবার সকাল থেকে আত্রাই নদীতে পানি বাড়তে শুরু করে। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত এ পানি বেড়ে এখন বিপৎসীমার ১০০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। আগামীকাল বুধবার পর্যন্ত এ নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। তবে ধারণা করা হচ্ছে কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে আরো কয়েকদিন পানি বাড়তে পারে। নুরুল্লাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আত্রাই নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় এ ইউনিয়নের ৭টি গ্রামের অন্তত ১হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব গ্রামের পানিবন্দি মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লায়লা আঞ্জুমান বানু বলেন, এরই মধ্যে বন্যা কবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করা হয়েছে এবং ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্ট গুলোতে বস্তায় বালু ভর্তি করে মেরামতের কাজ চলমান রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সার্বক্ষনিক তদারকি করা হচ্ছে 


আরও খবর