Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী অফিসে হামলা-ভাঙচুর, ৩ জন আহত

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় (ট্রাক প্রতিক) এর স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর ও মারপিট এর ঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর ৩ জন কর্মী আহত, ঘটনাটি জানার পরই স্থানিয়রা উত্তেজিত হয়ে সড়ক অবরোধ করলেও খবর পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজেই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে লোকজনকে শান্ত করেন। ভাংচুর, হামলা, আহত ও সড়ক অবরোধ এর ঘটনাটি ঘটে নওগাঁ-৪, মান্দা আসনে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁ-৪, মান্দা আসনে নৌকা প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র (ট্রাক প্রতিক) এর প্রার্থী এসএম ব্রহানী সুলতান মামুদ গামার নির্বাচনী অফিস ও তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভিযোগ মাথায় হেলমেট লাগিয়ে ও লাঠিসোটা নিয়ে নৌকা প্রার্থীর ৩০-৩৫ জন নেতা-কর্মী ফিল্মি-ষ্টাইলে এ হামলা চালিয়েছেন। শনিবার দুপুরে মান্দা উপজেলার মৈনম বাজারে হামলা ও ভাঙচুর এর ঘটনাটি ঘটে। এসময় স্বতন্ত্র প্রার্থী গামার ৩ জন কর্মী-সমর্থক আহত হোন। আহতদের উদ্ধার করে নওগাঁ সদর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত ৩ জন হলেন, আলাম সরদার (৪৫), সামসুল ইসলাম ওরফে সোনামুল (৫০) ও এবিএম হাসান রিপু (৫৫)। ঘটনার পরই এলাকার সাধারন লোকজনের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।


ঘটনার সংবাদ পেয়ে মান্দা থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। তবে ঘটনার পরই এলাকার কয়েকশ নারী-পুরুষ উত্তেজিত হয়ে মৈনম টু ভোলা বাজার সড়ক অবরোধ করে রাখেন। হামলার ঘটনা ও উত্তেজিত লোকজন কর্তৃক সড়ক অবরোধ করে রাখার খবর পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্রহানী সুলতান গামা তার প্রচারণা সংক্ষিপ্ত করে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে তার নেতা-কর্মীদের শান্ত করা সহ নেতা-কর্মীদের সড়ক থেকে সরিয়ে নিয়ে শান্ত থাকার পরামর্শ দেন।

এব্যাপারে স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম ব্রহানী সুলতান মাবুদ গামা অভিযোগ করে বলেন, প্রতি দিনই কোনো না কোনো এলাকায় আমার কর্মী-সমর্থকদের মারধর করছে নৌকা প্রতিক এর প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা। 

এ বিষয়ে একাধিক অভিযোগ দেওয়া হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন। 

স্বতন্ত্র প্রার্থী গামা আরো বলেন, শনিবার পরিকল্পিত ভাবে আমার নির্বাচনী কার্যালয় ও আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। স্থানীয় যুবলীগ নেতা আল-আমিন রানা, আশিক সরফ রাজ, জিল্লুর রহমান এর নেতৃত্বে নৌকা প্রতিক এর প্রার্থীর অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী এ হামলায় অংশ নেয়। 

অভিযোগের বিষয়ে মান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন মন্ডল বলেন, নৌকার সমর্থকেরা আচরণবিধি মেনে সম্পূর্ন শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী গামার নির্বাচনী অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা- ভাঙচুরের বিষয়টি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে পারছি না।

এব্যাপারে জানতে চাইলে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী গামার নির্বাচনী অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।


আরও খবর



কাঁচা পেঁপের কেজি ১০০ টাকা

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

আবহাওয়ার বৈরী আচরণে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন মো. সোহেল। পেটের পীড়া থেকে উপশম পেতে কাঁচা পেঁপে বেশ কার্যকর। তবে পেঁপে কিনতে বাজারে গিয়ে যেন আকাশ থেকে পড়তে হয়েছে তাকে।

সোহেল বলেন, এক কেজি কাঁচা পেঁপে ১০০ টাকা! চিন্তা করা যায়? জরুরি দরকার ছিল, তাই এক পিস কিনে আনছি। ছোট একটা পেঁপে ৩০ টাকা পড়ল।

একই ভোগান্তিতে পড়েন মমিনুর রহমান। তিনি বলেন, সবজির মধ্যে সবচেয়ে কম দাম ছিল পেঁপের। তাও এখন ১০০ টাকা। দুই দিনের পুরনো পেঁপে ৮০ টাকা বিক্রি করছে৷

এদিন মোহাম্মদপুরের বাজারগুলোতে শুধু পেঁপে নয়, চড়া দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে- কাকরোল, করলা, বেগুনও। ১০০ থেকে ১২০ টাকা হারে গুনতে হচ্ছে এসব সবজির জন্য। ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে গুনতে হচ্ছে বরবটির জন্য। বাজারে গোল আলু বিক্রি হতে দেখা গেছে ৬০ টাকা কেজি দরে।

কচি ঢেঁড়স খুঁজে পাওয়া কঠিন হলেও দামে কমতি নেই। প্রতি কেজি ঢেঁড়স কিনতে ক্রেতার পকেট থেকে খরচ হচ্ছে ৮০ টাকা। সব পরিমাণ ব্যয় করতে হচ্ছে ঝিঙা ও চিচিঙ্গা কিনতে। পটলের কেজি ৭০ টাকা।

বিক্রেতাদের ভাষ্য, পাইকারি বাজারে সবজির দাম চড়া। যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে।

মোহাম্মদপুর নবোদয় হাউজিং এলাকার সবজি বিক্রেতা মো. লিটন বলেন, 'দাম আমরা বাড়াতে পারি না। পাইকারিতে দাম বেশি৷ আড়ৎ থেকে বেশি দামে কিনতে হয়। তাই আমাদের এখানেও দাম বেশি পড়ে।

এদিকে বাজারে নতুন করে বেড়েছে পুরনো পেঁয়াজের দাম। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে। গত সপ্তাহেও ৬৫ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে রান্নার এই অনুসঙ্গ। আদা বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়৷ রসুনের কেজি ২৪০ টাকা।


আরও খবর



কবিগুরুর ১৬৩ তম জন্মবার্ষিকী

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

উদয়দিগন্তে ওই শুভ্র শঙ্খ বাজে। মোর চিত্তমাঝে, চির-নূতনেরে দিল ডাক/পঁচিশে বৈশাখ। এভাবে চির নতুনের মধ্যে নিজের আবির্ভাবক্ষণকে অনুভব করেছেন কবিশ্রেষ্ঠ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। চেয়েছেন সূর্যের দীপ্তি দিয়ে ভুবনকে আলোকিত করতে, নিজেকে উন্মোচন করতে।

আমৃত্যু কর্মযজ্ঞের মধ্য দিয়ে ধাবমান রবীন্দ্রনাথ হয়ে উঠেছেন হাজার বছরের পথিকৃৎ বাঙালি। তার কাব্যছন্দ, সুরের ডালা আর সরল লেখনীর মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ ঘটেছে প্রত্যেক বাঙালির। এ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে তিনি প্রেরণা দিয়েছেন আমাদের। মুক্ত স্বদেশে এসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম ভাষণেই মনে করেছিলেন তাকে, অশ্রুসিক্ত নয়নে বলেছিলেন, কবিগুরু, তুমি এসে দেখে যাও, তোমার বাঙালি আজ মানুষ হয়েছে...।

আজ পঁচিশে বৈশাখ। বাংলা সাহিত্যের অনন্য প্রতিভা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মদিন। ১৬২ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেল তার জন্মদিনের। তবু বাঙালি মানসে এখনো তিনি দিবাকরের মতো সমান সমুজ্জ্বল, তার কিরণ এতটুকু ম্লান হয়নি।

প্রতি বছরই এ দিনটি আসে, চলেও যায়; কিন্তু আমাদের নতুন করে দিয়ে যায় আত্মপরিচয়ের তাগিদ। আত্মশক্তির উদ্বোধনের আহ্বান, মানুষ আর প্রকৃতিকে ভালোবাসার বারতা। কালবৈশাখীর মত্ত মেখে বন্ধহীন বেগে। অম্লান নূতন হয়ে অসংখ্যের মাঝপানে এক দিন তুমি এসেছিলে এ লিখিলে নব মল্লিকার গন্ধে, সপ্তপর্ণ-পল্লবের পবন-হিল্লোল-দোল ছন্দে, খামলের বুকে। সেই যে নূতন তুমি, তোমারে ললাট চুমি, এসেছি জাগাতে বৈশাখের উদ্দীপ্ত প্রভাতে। হে নূতন, দেখা দিক্ আবার জন্মের প্রথম শুভক্ষণ।

জন্মদিনের আড়ম্বর নিয়ে কবি নিজেই ১৩৪৩ সালে প্রবাসী পত্রিকায় লিখেছেন, খ্যাতির কলরবমুখর প্রাঙ্গণে আমার জন্মদিনের যে আসন পাতা রয়েছে, সেখানে স্থান নিতে আমার মন যায় না। আজ আমার প্রয়োজন স্তব্ধতায় শান্তিতে।

রবীন্দ্রমোদীরা মনে করেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা ও বাঙালির অহংকার। অসাধারণ সব সাহিত্যকর্ম দিয়ে তিনি বিস্তৃত করেছেন বাংলা সাহিত্যের পরিসর। অসত্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে কঠিন লড়াইয়ে, জীবন-সংগ্রামের প্রতিটি ক্রান্তিকালে আমাদের পাশে থাকেন রবীন্দ্রনাথ।

রবীন্দ্রনাথ বাংলা ভাষাকে যে ঐশ্বর্য দান করেছেন, তাতে এই ভাষা জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা, সব ভাব-অনুভূতির প্রকাশ এবং নির্মল হাস্য-কৌতুকের বাহন হতে সমর্থ হয়েছে। দেড়শ বছর পেরিয়েও কবি আমাদের মাঝে চিরজাগরুক হয়ে আছেন।

রবীন্দ্রনাথ একাধারে কবি, কথাশিল্পী, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার, সংগীত রচয়িতা, সুরস্রষ্টা, গায়ক ও চিত্রশিল্পী। সৃষ্টিশীলতার সমান্তরালে তিনি ধর্ম, দর্শন, রাজনীতি ও সমাজভাবনা সমানভাবেই চালিয়ে গেছেন। বিশ্বভারতী তার বিপুল কর্মকাণ্ডের একটি প্রধান কীর্তি। অনেকেই মনে করেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাতেই মূলত সার্থক বাংলা ছোটগল্পের সূত্রপাত। মাইকেল মধুসূদন দত্ত ও বিহারীলালের লেখনীর মাধ্যমে বাংলা কবিতায় আধুনিকতার সূচনা হলেও রবীন্দ্রনাথের হাতেই তা পূর্ণতা পায়। একইভাবে রাজা রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের হাতে জন্ম নেওয়া বাংলা গদ্যকেও তিনি চূড়াস্পর্শী সাফল্য দান করেন।

গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য ১৯১৩ সালে রবীন্দ্রনাথ সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান। সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী তিনিই প্রথম এশীয় ও একমাত্র বাঙালি লেখক।

রবীন্দ্রসাহিত্য, বিশেষত রবীন্দ্রসংগীত বাঙালির কাছে আলোকবর্তিকা হয়ে দেখা দিয়েছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে। মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর তার গানই (আমার সোনার বাংলা) বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের মর্যাদায় অভিষিক্ত হয়েছে। এ ছাড়া তার অনেক গান মুক্তিযুদ্ধের সময় অনুপ্রাণিত করেছিল বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষ ও মুক্তিযোদ্ধাদের।


আরও খবর



৬ ঘণ্টা স্কুলের টয়লেটে আটকা, তালা ভেঙে উদ্ধার

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image



শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি:



মাদারীপুরে স্কুলের টয়লেটে আটকা পড়ে প্রথম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী। ৬ ঘণ্টা বাথরুমে আটকে থাকার পর সন্ধ্যায় তালা ভেঙে তাকে উদ্ধার করা হয়। 


গত বৃহস্পতিবার (১৬ মে) মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের ৯ নম্বর পাঁচখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। 


ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রাফিন হোসেন (৭) পাঁচখোলা ইউনিয়নের মৃত নুরুল হকের ছেলেএতটা সময় আটকে থেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে কোমলমতি ওই শিক্ষার্থী। তাকে জেলার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 


একাধিক সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে সহপাঠীদের সঙ্গে স্কুলে যায় রাফিন। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে টয়লেটে যায় সে। শ্রেণিকক্ষে পরীক্ষা থাকার কারণে সাড়ে ১২টার দিকে স্কুল ছুটি হয়ে যায়। ছুটির ঘণ্টা পড়লে সব শিক্ষার্থী বাড়িতে চলে যায়। পরে স্কুলের দপ্তরি খোকন খান শ্রেণিকক্ষ ও টয়লেটের দরজা তালাবদ্ধ করে চলে যান। এতে আটকা পড়ে রাফিন।  



বের হতে না পেরে অঝোরে কাঁদতে থাকে রাফিন। এক পর্যায়ে চিৎকার করে সাহায্য চাইতে থাকে। কিন্তু দরজা-জানালা সব বন্ধ থাকায় রাফিনের কান্না ও চিৎকার স্কুলের বাইরে কারও কান অবধি পৌঁছায়নি। 


এদিকে স্কুল ছুটির পরও রাফিন বাড়িতে না ফেরায় স্বজনরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে যায়। সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে যাওয়া এক পথচারী শুনতে পান তালাবদ্ধ স্কুলের ভেতর থেকে শিশুর কান্নার শব্দ ভেসে আসছে। 


তিনি দৌড়ে স্কুলের কাছে ছুটে যান। টয়লেটের ভেতর একটি শিশু আটকা পড়েছে বুঝতে পেরে তালা ভেঙে রাফিনকে উদ্ধার করেন।  ঘটনাটি পরদিন শুক্রবার (১৭ মে) বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় সমালোচনার ঝড় ওঠে।


মাদারীপুর সদরের ৯ নম্বর পাঁচখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রওশন আরা বেগম বলেন, ‘বিষয়টি দুঃখজনক। এই ঘটনা কেউ ইচ্ছাকৃত করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল মামুন বলেন, ‘কেন এমন ঘটনা ঘটেছে বিষয়টি তদন্ত করা হবে। এই ঘটনায় কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একটি শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। শিশুদের সঙ্গে এমন ঘটনা কাম্য নয়।’


মাদারীপুর জেলা শিশু একাডেমির কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এমন ঘটনা ১৯৮০ সালের শিশুতোষ চলচ্চিত্র ছুটির ঘণ্টা মতো হতো পারতো! বিষয়টি দুঃখজনক ও কষ্টদায়ক। এই ঘটনার দায় প্রধান শিক্ষক, দপ্তরি—কেউই এড়াতে পারেন না। তাদের সবার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার পাশাপাশি নিয়মিত মামলা হওয়া উচিত।’


আরও খবর



থাইল্যান্ডের সঙ্গে ৫ সমঝোতা ও চুক্তি সই

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে পাঁচটি কূটনৈতিক দলিলে স্বাক্ষর হয়েছে। এর মধ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং একটি লেটার অব ইনটেন্ট বা অভিপ্রায়পত্র রয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গভর্নমেন্ট হাউসে দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এসব দলিলে স্বাক্ষর করেন সংশ্লিষ্টরা।

এর আগে থাই প্রধানমন্ত্রী জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করার জন্য থাইল্যান্ডকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরই দেশটির সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষর করা হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের কাছে থাইল্যান্ড একটি সম্ভাবনাময় অংশীদার। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি সমুদ্রবন্দর কেন্দ্রিক যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে দুসিত প্রাসাদের অ্যামফোর্ন সাথার্ন থ্রোন হলে রাজা ও রানির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। সাক্ষাৎকালে তারা কুশল বিনিময় এবং দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

এদিন সকালে জাতিসংঘের এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেন।

২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল সফরকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবেন। দুই দেশের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য আলোচনার আগ্রহপত্রসহ বেশ কয়েকটি সহযোগিতার নথিতে স্বাক্ষর করবে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড।

বাংলাদেশ এবং থাইল্যান্ড সরকারি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতিসংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারে। পাশাপাশি শক্তি সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ), সম্পর্ক সম্প্রসারণের জন্য পর্যটন খাতে সহযোগিতা এবং শুল্কসংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আরও দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করতে পারে দুই দেশ।


আরও খবর



বেড়েছে ঋণ পরিশোধের চাপ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

উন্নয়ন সহযোগীদের দেয়া ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়ছে। গত মার্চ পর্যন্ত অর্থবছরের ৯ মাসে শুধু ঋণের সুদ পরিশোধ বাবদই ব্যয় বেড়েছে ১১৭ শতাংশ। সরকারের দেয়া উন্নয়ন প্রতিশ্রুতি ঠিক রাখতে ব্যাপকভাবে বেড়েছে ঋণ নেয়ার প্রবণতাও। অর্থনীতিবিদদের মতে, ঋণ ব্যয়ে দূরদর্শিতা দেখাতে না পারলে সুদের জালে আটকে যাবে দেশের উন্নয়ন।

চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে বৈদেশিক ঋণের সুদ বাবদ খরচ ছাড়িয়েছে ১০০ কোটি ডলার। গত রোববার (২১ এপ্রিল) দেশের বৈদেশিক ঋণের হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ-এ ৯ মাসে বাংলাদেশকে কেবল সুদ বাবদ উন্নয়ন সহযোগীদের পরিশোধ করতে হয়েছে ১০৫ কোটি ৪৯ লাখ ডলার। গত অর্থবছর এ সুদ বাবদ গুনতে হয়েছে ৪৮ কোটি ৫৯ লাখ ডলার।

স্বাভাবিকভাবেই বছর ব্যবধানে বেড়ে গেছে সুদাসলে ঋণ শোধ বাবদ ব্যয়। ইআরডির তথ্য, গত নমাসে সব মিলিয়ে ২৫৭ কোটি ১৫ লাখ ডলার সুদ ও আসল গুনতে হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ১৭৩ কোটি ডলার। অর্থাৎ, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে বৈদেশিক ঋণের সুদাসল পরিশোধ বাবদ খরচ আগের বছরের ‍তুলনায় বেড়েছে ৮৪ কোটি ডলার। এর মধ্যে বিভিন্ন ঋণের আসল পরিশোধ করা হয়েছে ১৫১ কোটি ৬৬ লাখ ডলার।

তবে এ সময়ে ঋণ প্রাপ্তির প্রতিশ্রুতিও অনেক বেশি পেয়েছে বাংলাদেশ। ৭২৪ কোটি ২১ লাখ ডলার ঋণ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে উন্নয়ন সহযোগীরা। গত বছরের তুলনায় যা ১৩৫ শতাংশের বেশি। গত অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৩০৭ কোটি ৬৬ লাখ ডলার।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে তৃপ্তির ঢেকুর না তুলে, তা যেন ব্যয় করা হয় লাভজনক প্রকল্পে। সেই সঙ্গে নিশ্চিত করতে হবে অর্থব্যয়ে স্বচ্ছতা।

অর্থনীতিবিদ মাহফুজ কবীর বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সহজ শর্তে ঋণ পাওয়া যাবে না। তাই যতটুকু ঋণ পাওয়া যাবে তার সঠিক ব্যবহার করতে হবে। অপচয় রোধ করতে হবে। না হলে সুদের জালে আটকে যেতে পারে বাংলাদেশের উন্নয়ন।

যে সব প্রকল্প দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালী করতে সহায়তা করার পাশাপাশি সার্বিকভাবে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে, এমন প্রকল্পে বৈদেশিক ঋণ নেয়ার তাগিদ দেন অর্থনীতিবিদরা।


আরও খবর