Logo
শিরোনাম

নোয়াখালীতে স্কুলের পাঠদান চলছে খোলা আকাশের নিচে

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

অনুপ সিংহ,নোয়াখালী প্রতিনিধি :

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির তাণ্ডবে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ফলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে খোলা আকাশের নিচে চলছে পাঠদান। দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি ভবন নির্মাণের দাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর। 

সরজমিনে গিয়ে জানাযায়,  গত শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি।  এতে বিদ্যালয়ের পাশাপাশি, পাকা ধান, ঘরবাড়ি ও অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সেদিনের ঝড়ে উড়ে যায় সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবিলী ইউনিয়নের পশ্চিম চরজুবলী গ্রামে অবস্থিত আবদুল মালেক উকিল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এরপর থেকে খোলা আকাশের নিচে তাদের ক্লাস চলছে। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে। শিক্ষাবর্ষের শেষ সময়ে পরীক্ষার প্রস্তুতিতে বার্ষিক পরীক্ষা কার্যক্রমও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

আব্দুল মালেক উকিল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পারভিন আক্তার বলেন, শুক্রবার ঝড় হইসে। আমাদের ধানের জমি ও বাড়ি ঘরের ক্ষতি হইসে। সকালে গিয়ে দেখি স্কুলটাও নেই। ঝড়ে আমাদের স্কুল উড়ে গেছে। খোলা মাঠে ক্লাস করতেসি। সামনে আমাদের পরীক্ষা আছে। 

ফাতেমা  নামের আরেক শিক্ষার্থী জানান, সামনে আমাদের বার্ষিক পরীক্ষা। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আমাদের সামনের দিন গুলো নিয়ে শঙ্কায় আছি। ভবন নির্মাণ না হলে আমাদের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়বে। খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করতে অসুবিধা হচ্ছে। রোদ আর গরমে বসে থাকা যায় না। আমাদের একটা স্থায়ী ভবন চাই।

অভিভাবক ফারুক বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে পুরো স্কুলটি লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। কয়েক দিনের মধ্যে বার্ষিক পরীক্ষা। তাই এখন শিক্ষার্থীদেরকে খোলা আকাশের নিচে লেখাপড়া করতে হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখার জন্য।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. পারভেজ বলেন,  এই চরাঞ্চলের শিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্য ২০০৯ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। যার নামকরণ করা হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি প্রয়াত আবদুল মালেক উকিলের নামে। আমাদের বিদ্যালয়ে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। ঝড়ে পুরো বিদ্যালয় উড়ে যাওয়ায় খোলা আকাশের নিচে অনিরাপদ পাঠদান চলছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে সহযোগিতা চেয়েছি। যেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে পাঠদানে অংশ নিতে পারে।

বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক ম্পিকার মরহুম মালেক উকিলের পুত্র  ও সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাহার উদ্দিন খেলন বলেন, আমি ঊর্ধ্বতনকে অনুরোধ করছি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখার জন্য এবং শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে ভবন নির্মাণ করার জন্য। সেই সাথে বিদ্যালয়টি জাতীয় করণেরও দাবী জানান তিনি। 

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আল আমিন সরকার বলেন, শিক্ষা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিষয়টি দেখা হবে।


আরও খবর

এইচএসসির ফল নির্ধারণ হবে যেভাবে

রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪




এমপক্স: পরিস্থিতি কতটা উদ্বেগের ?

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

মো. মামুন হাসান, পিআইডি :


২০২০ সালে হয়ে যাওয়া করোনা মহামারীর রেশ এখনও পর্যন্ত কাটিয়ে উঠতে পারেনি বিশ্ববাসী তার মধ্যেই নতুন ভাইরাস দেখা গেল সারা বিশ্বে উঁকি দিতে শুরু করেছে নয়া বিপদ, যার নাম এমপক্স বা মাঙ্কিপক্স ইতিমধ্যেই বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে এই মাঙ্কিপক্সের দাপট বেশ কয়েকটি দেশে দ্রুত ছড়াচ্ছে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আরও এক মহামারীর জন্য দিন গুনছে পৃথিবী? স্বাভাবিক ভাবেই বিষয়টিকে ঘিরে বাড়তে শুরু করেছে উদ্বেগমাঙ্কিপক্স পশুবাহিত রোগ তাই মূলত পশ্চিম এবং মধ্য আফ্রিকার দেশগুলিতেই এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশিকঙ্গোয় দাবানলের মতো সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তেই মাঙ্কি পক্স নিয়ে ২০২৪ সালের ১৪ই আগস্ট বিশ্বে জরুরি অবস্থা জারি করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) ২০২২ সালের পর এই নিয়ে দ্বিতীয় বার মাঙ্কি পক্স নিয়ে সতর্কতা জারি করল হু২০২২ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত এটি আফ্রিকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল কিন্তু ২০২৪ সালের ১৫ই আগস্ট প্রথম আফ্রিকার বাইরে সুইডেনে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ল এক ব্যক্তির হাত ধরে


কী এই এমপক্স ?

এমপক্স একটি ভাইরাল রোগ, যা অর্থোপক্সভাইরাস গণের একটি প্রজাতি। বিজ্ঞানীরা ১৯৫৮ সালে প্রথমবার এই ভাইরাসটি শনাক্ত করেন। বানরের মধ্যেই সবার প্রথম এই 'পক্স-জাতীয়' রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। সেখান থেকেই তা ছড়িয়ে পড়ে মানবশরীরে। অনেকটা গুটিবসন্তের সমগোত্রীয় এই ভাইরাস। পরবর্তীতে এই সংক্রামক রোগ ছড়িয়েছে মানুষ থেকে মানুষেও। বিশ্বব্যাপী বিশেষজ্ঞদের সাথে একের পর এক আলোচনার পর, হু একটি নতুন পছন্দের শব্দ "এমপক্স" (Mpox) ব্যবহার করা শুরু করেছে "মাঙ্কিপক্স" (monkeypox) -এর প্রতিশব্দ হিসেবে

আশির দশকে প্রথম মাঙ্কি পক্সের খোঁজ মেলে। তার পর থেকে মূলত পশ্চিম এবং মধ্য আফ্রিকার দেশগুলিতেই এই রোগ সীমাবদ্ধ ছিল। কারণ মাঙ্কি পক্স পশুবাহিত রোগ। আর যে ধরনের পশুর শরীর থেকে রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা তাদের বাস মূলত গ্রীষ্মপ্রধান এলাকার বৃষ্টি বনাঞ্চলে (রেইন ফরেস্ট )

এমপক্স ভাইরাসের ধরণ : এই ভাইরাসের দুটি ধরণ রয়েছে সাধারণত, প্রথমটি ক্লেড ভাইরাস। যার প্রাদুর্ভাব গত কয়েক দশক ধরেই কঙ্গোতে বিক্ষিপ্তভাবে ছিল। যেখানে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি। ক্লেড ধরনটি এর থেকে কম গুরুতর। তবে গত বছরে সংক্রামিত অনেকের তুলনামূলকভাবে নতুন আরও গুরুতর ধরনের এমপক্স ক্লেড ১বি-তে আক্রান্ত হয়েছেন। যা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। আফ্রিকা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) বলছে, “২০২৪ সালের শুরু থেকে জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত সাড়ে ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষ এমপক্সে আক্রান্ত হয়েছে আর এতে ৪৫০ এরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই সংখ্যা ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় সংক্রমণের ক্ষেত্রে ১৬০ শতাংশ এবং মৃত্যুর ক্ষেত্রে ১৯ শতাংশ বেশি।২০২২ সালে এমপক্সের মৃদু ধরন ক্লেড এর কারণে জরুরি জনস্বাস্থ্য অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছিল। এশিয়া এবং আফ্রিকার মতো যে দেশগুলোতে সাধারণত এই ভাইরাস দেখা যায় না এমন প্রায় ১০০টি দেশে এটি ছড়িয়ে পড়ে