Logo
শিরোনাম

ঐতিহাসিক ১৩ই এপ্রিল, চারঘাট গণহত্যা দিবস

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

নজরুল ইসলাম বাচ্চুঃ আজ বেদনাবিধুর ১৩ই এপ্রিল, চারঘাট গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালে এই দিনে সকালে অস্ত্রে সজ্জিত বর্বর পাকিস্থানী হানাদার বাহিনী অতর্কিত হামলায় চারঘাট উপজেলার থানাপাড়া গ্রামসহ কুঠিপাড়া, গৌরশহরপুর, বাবুপাড়ার প্রায় ২ শত নিরস্ত্র বেসামরিক পুরুষ মানুষকে গুলি করে হত্যা করে।

নামে ও বেনামে আরও কয়েকশ মানুষ আহত হন। ১৩ই এপ্রিল প্রতি বছর থানাপাড়াবাসীকে স্মরণ করিয়ে যেদ ৭১’ সালের ভয়াবহ দিনগুলোর কথা। আজও ছেলেহারা, স্বামীহারা আত্মীয়স্বজন হারানোর ব্যাথায় তারা দিশেহারা হয়ে ফ্যাল ফ্যাল হয়ে চেয়ে থাকে। 

রাজশাহী জেলার ২৭ কি:মি: দক্ষিনে পদ্মা-বড়াল বিধৌত চারঘাট উপজেলা। চারঘাট উপজেলারই একটি মণোমুদ্ধকর গ্রাম থানাপাড়ায় ১৯৭১ সালের ১৩ই এপ্রিল মঙ্গলবার বেলা ১২ টার যা ঘটেছিল সেই ঘটনা আজও মনে পড়লে বুক থরবর করে কেঁপে উঠে। মনে পড়ে বুক ফাড়া আর্তনাদ, চিৎকার-বাঁচাও, বাচাঁও, আবার কখন একটু পানি বলেন হত্যাযজ্ঞ ঘটনার প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী ৫ নং ওয়ার্ড কমিশনার আজমল হোসেন মতি।

ঘটনার বণর্না করতে গিয়ে তিনি জানান, ১৩ ই এপ্রিল ১৯৭১ সাল আমার বয়স ১৫। আনুমানিক প্রায় ১০ ঘটিকার সময় অস্ত্রে সজ্জিত পাক হানাদার বাহিনী সায়রন বাজিয়ে সারদায় অবস্থিত তৎকালীন পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার লুট করা অস্ত্র উদ্ধার করতে আসে। সারদা আসতে গিয়ে পাক বাহিনী মোক্তারপুর ট্রাফিক মোড় ও সারদা বাজারে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে বাধাগ্রস্ত হয়ে আধাঘন্টা গুলিবিনিময় হয়। শহীদ হন ইউসুফ, দিদারসহ বেশ কয়েকজন। 

পাক বাহিনী পুলিশ একাডেমীর ভিতর ঢুকে পদ্মা নদীর তীরবর্তী এলাকায় কয়েক হাজার নারী পুরুষ ও শিশু দেখতে পায়। সকলেই ভীত সম্ভ্রব নিরস্ত্র সাধারন মানুষ, আত্মরক্ষার্থে গ্রাম ছেড়ে সীমান্তবর্তী পদ্মা নদীর তীরে অবস্থান নেন। আমি, আমার বাবা ও বড়ভাইয়ের সাথে নিজের জীবন রক্ষার্থে পদ্মা নদীর ধারে অবস্থান করি। কিছুক্ষণ পরে পাক হানাদার বাহিনী পদ্মার চারপাশে আমাদের ঘেরাও করে। নারী ও শিশুদের একদলে ভাগ করে এবং সকল পুরুষদের আরেকটি দলে ভাগ করে। পুরুষদের অপেক্ষা করতে বলে নারী ও শিশুদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেন।  শুরু হয় ব্রাশফায়ার, সারি সারি স্বজনের মৃতদেহ, আকাশে কুন্ডুলি পাকিয়ে উঠছে ধোঁয়া। শুধু গুলি করেও ক্ষান্ত হননি হানাদার পাকবাহিনী, মৃত্যু নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে পেট্রল ঢেলে আগুন জ¦ালিয়ে লাশ পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা। চারঘাটকে মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত করার সেই নারকীয় হত্যাযজ্ঞের মধ্য দিয়ে পাকিস্থানী বাহিনী জেনোসাইড শুরু করেন।  

ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা খুরশীদ আলম শিবলী এই থানাপাড়ার একজন সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। যাকে পাক বাহিনী ধরে পাকিস্থান জিন্দাবাদ বলার জন্য বেয়নেট চার্জ করে। এমনকি তার শরীরের চামড়া ছিলে লবণ দিয়ে পাকিস্থান জিন্দাবাদ বলানোর চেষ্টা করা হয়। শত নির্যাতন করা সত্বেও পাক হায়েনারা শিবলীর মুখ থেকে জয় বাংলা ছাড়া কোন শব্দ বের করতে পারেনি। অত:পর শিবলীকে নির্মমভাবে হত্যা করে। শিবলী যেন এক জীবন্ত কিংবদন্তি। তার নির্মম ও রোমহর্ষক হত্যাকান্ডের কথা শুনতে ও সমবেদনা জানাতে বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ থানাপাড়ায় তার বাড়িতে ভিড় জমায়।

প্রতিটি পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তি বাবা, ভাই অথবা স্বামী কেউ না কেউ এই গনহত্যার শিকার হন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বিশেষ করে থানাপাড়া গ্রাম বিধবা গ্রাম হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। তৎকালীন ত্রাণ ও পুর্নবাসন মন্ত্রী ও জাতীয় নেতা শহীদ কামরুজ্জামানের সুপারিশে দা সোয়ালোজ নামে সুইডিশ সংস্থা থানাপাড়া গ্রামে বিধবা নারী ও মুক্তিযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের আত্ম-কর্মসংস্থান সুযোগ করে দেয় যা আজ অবধি চলমান রয়েছে, যেখানে নির্বাহী পরিচালকের দ্বায়িত্ব পালন করছেন ১৩ই এপ্রিল ৭১ এ অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া রায়হান আলী, গোলাম মোস্তাফাসহ শহীদ ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রায় ২ শত নারী ও পুরুষ । 

বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপির আন্তরিক চেষ্টায় সরকারীভাবে ১৩ই এপ্রিল ঘটে যাওয়া গনহত্যাকে চারঘাট গনহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে এবং গনহত্যার স্মৃতি স্বরুপ ২০১১ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উদ্যেগে চারঘাট পল্লী বিদ্যুৎ মোড়ে তৈরি হয়েছে ১৭৪ জন শহীদের নাম সম্ভলিত স্মৃতিস্তম্ব।  স্থানীয়দের অভিযোগ সরকারীভাবে এই গনহত্যা দিবসটি স্বীকৃতি লাভ করলেও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার কোন ধরনের আর্থিক সহযোগীতা পাচ্ছে না। কোন কোন সময় নামমাত্র কিছু বরাদ্দ থাকলেও সকল ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার পাচ্ছে না বলে জানান। 

স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমী, সারদা ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন থানাপাড়া সোয়ালোজ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির উদ্যেগে যথাযথ মর্যাদায় গনহত্যা দিবসটি পালনের জন্য ব্যপক কর্মসূচী গ্রহন করে হয়েছে। 



আরও খবর



বাংলাদেশের দুর্বিষহ কর ব্যবস্থা ও পরিসংখ্যান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

বাংলাদেশ তার উন্নয়ন কার্যক্রম চালানোর জন্য অর্থ যোগানে রাজস্ব বাড়াতে লড়াই করছে, এমনকি একই আয়ের তালিকায় থাকা অন্যান্য দেশগুলির চেয়েও বেশি। আর্থিক বছর ২০২২ এ, মাত্র ১.৪% মানুষ আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছে। প্রতিবেশী ভারতে এই সংখ্যা ৫.৮%।

ফ্রান্সে অবস্থিত ওইসিডি(OECD) অর্গানাইজেশন ফর ইকনোমিক কর্পোরেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট জরিপ মতে ২০২০ সালে বাংলাদেশের কর-টু-জিডিপি হার ১০.২ শতাংশ যেখানে এশিয়ার দেশগুলোর কর-টু-জিডিপি হার ১৯.১ শতাংশ যা আমাদের দেশের তুলনায় ৮.৯ শতাংশ বেশি এবং যদি ওইসিডি(OECD) ভুক্ত দেশগুলোর সাথে তুলনা করি তাহলে ওইসিডি(OECD) দেশগুলোর কর- টু-জিডিপি হার ৩৩.৫ শতাংশ যা আমাদের দেশ থেকে ২৩.৩ শতাংশ বেশি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতে ১৫%, শ্রীলংকায় ১১.৫%, পাকিস্তানে ১১.৮%, আফগানিস্তানে এ হার ৯.৩% ও নেপালে ১৮% ।

যদি, আমরা ২০০৭ থেকে ২০২০ সালের পরিসংখ্যান লক্ষ করি , তাহলে দেখা যাবে যে ২০০৭ সালে বাংলাদেশের কর-টু-জিডিপি হার ৮.৫ শতাংশ ছিল, ২০২০সালে যা শুধু ১.৭শতাংশ বেঁড়ে ১০.২ শতাংশ হয়েছিল, যার মধ্যে ২০১৩ সালে সর্বোচ্চ ১০.৮ শতাংশ ছিল।

সিইআইসি(CEIC) এর তথ্য মতে, ২০২২ সালে কত কর-টু-জিডিপি হার ছিল ৮ শতাংশ ২০২৩সালে যা এসে দাঁড়িয়েছে ৭.৮ শতাংশ। গত এক বছরে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভে এক বড় ধাক্কার সম্মুখীন হয়েছে, এঁর পিছনে নানান কারন জড়িত। রিজার্ভ ঘাটতি মেটাতে ব্যর্থ হওয়ায় এ দেশের অর্থনীতিতে বড়সড় আঘাত লেগেছে, যার কারনে নিত্যপন্য দ্রব্য থেকে শুরু করে বিলাসবহুল জিনি্সের বাজারেও নেতিবাচক প্রভাব পরেছে। এই সমস্যার আরেকটি বড় কারণ হলো সরকার কাঙ্ক্ষিত কর তুলতে ব্যর্থ হয়েছে। যার কারন হতে পারে জনগনের কর ফাঁকি অথবা কর দানে অনুৎসাহ, ফলশ্রুতিতে জিডিপিতে কর হার এত কম।

অর্থনীতির এই জটিল অবস্থায় অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখতে বাংলাদেশ যখন আইএমএফ(IMF) এর কাছে ঋণ অনুমোদন চায় তখন আইএমএফ এর দেয়া শর্তগুলোর মধ্যে একটি ছিল , কর-টু-জিডিপি হার ২০২৪ এর মধ্যে ৮.৩ শতাংশ এবং ২০২৬ এর মধ্যে ৯.৫%মধ্যে উন্নিত করতে হবে। এত কিছুর পরেও ২০২৩ সালে সরকার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৪ হাজার কোটি টাকা কর আয় কম তুলতে পেরেছে ।

ওইসিডি(OECD) তথ্য অনুসারে বাংলাদেশের কর আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস মূল্য সংযোজন কর / পণ্য ও পরিষেবা কর(value added taxes / goods and services tax) যার হার মোট কর উত্তলনের ৩৩ শতাংশ, এখানে ব্যক্তি আয়কর (Personal income tax) সবচেয়ে কম ১১ শতাংশ, আশ্চর্য ভাবে এদেশের সামাজিক নিরাপত্তা (Social security contributions) খাতের ক্ষেত্রে কোনো কর আদায় হয় না। কিন্তু যা অন্যান্য উন্নত দেশের প্রধানতম আয়ের উৎস। যদি এশিয়ার দেশ গুলোর দিকে দেখি তাহলে, ব্যক্তি আয়কর ১৬ শতাংশ, মূল্য সংযোজন কর ২৩ শতাংশ, সামাজিক নিরাপত্তা খাত থেকে আয় ৬ শতাংশ। আর ওইসিডি(OECD) ভুক্ত দেশ গুলোতে ব্যক্তি আয়কর ২৩ শতাংশ, মূল্য সংযোজন কর ২০ শতাংশ, সামাজিক নিরাপত্তা খাত থেকে আয় ২৬ শতাংশ। সুতরাং স্পষ্ট ভাবে বুঝা যাচ্ছে তাদের কর আদায়ের উৎস এবং প্রক্রিয়া কতটা ফলপ্রসূ এবং কার্যকর।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত এপ্রিল-জুন ২০২২সালের ত্রৈমাসিক কর আদায় এর তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালে কর আয় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩,৪৬,০০০ কোটি টাকা, যা বাস্তবে অর্জিত হয় ৩,০৮,৬২৫ কোটি টাকা। ২০২১সালে কর আয় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩,১৬,০০০ কোটি টাকা যাতে অর্জিত হয় ২,৬৯ ,০০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে রাজস্ব বোর্ড থেকেই আয় হয় ৯১.৩ ভাগ।

এমন এক সমীকরণ সামনে রেখে নতুন আয়কর আইন ২০২৩ সালের জুন মাসে সংসদে পাস হয়েছে এবং এটি বেশ আলোড়ন তৈরি করেছে। দেশের কর ব্যবস্থা এত দিন ধরে ১৯৮৪ সালের আয়কর অধ্যাদেশ দিয়ে চলেছে। তবে বিভিন্ন সময়ে সেই আয়কর অধ্যাদেশের সংশোধন করা হয়েছে। আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর পর এটিই প্রথম পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে তৈরিকৃত আয়কর আইন। সবচেয়ে বড় কথা, দেশে এখন পরিপূর্ণ আয়কর আইন প্রণীত হয়েছে। প্রথমেই যে সেই আইনে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে তেমনটা আশা করা যায় না। এখন এই আইনকে ভিত্তি ধরে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন ও পরিমার্জনের মাধ্যমে সময়ের পরিক্রমায় হয়তো আইনটি পরিপূর্ণ মাত্রা পাবে। আসা করা যায় এরই ফলশ্রুতিতে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থায় কর আয়ের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসবে।


আরও খবর



টানা তিন দিন বৃষ্টির আশঙ্কা

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

আগামী তিন দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে টানা তিন দিন সারাদেশে বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, একই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির খবর জানিয়েছে সংস্থাটি।

সংস্থাটি জানায়, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়াগায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

শুক্রবার (৯ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে,পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

বর্ধিত ৫ (পাঁচ) দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।


আরও খবর



নেত্রকোনায় ছাত্রলীগের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

নেত্রকোনা প্রতিনিধি:

চলমান তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে এবং ক্যাম্পাসকে সুরক্ষা রাখতে কেন্দ্রীয় সংসদের নির্দেশে এক হাজারের বেশি বৃক্ষরোপণের উদ্যোগ নিয়েছে নেত্রকোনা জেলা ছাত্রলীগ। 

এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার (২২ এপ্রিল) নেত্রকোনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসম্পাদক মোহাম্মদ আল-মুক্তাদির খান লিহানের নেতৃত্বে নেত্রকোনা পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে ফলজ, বনজ ও ঔষধি  ১০০টি গাছের চারা রোপণ করা হয়। এ কর্মসূচি আরও ১০ দিন চলবে। রোপণকৃত গাছের মধ্যে রয়েছে— আম, কাঠাঁল, পেয়ারা, নিমসহ বিভিন্ন কাঠ জাতীয় গাছ।

বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে জেলা ও পৌর ছাত্রলীগের জুনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় মোহাম্মদ আল-মুক্তাদির খান লিহানের বলেন, ‘এসডিজি লক্ষমাত্রা অর্জন এবং তীব্র দাবদাহ থেকে রক্ষায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সারাদেশে ৫ লাখ বৃক্ষ রোপণের উদ্যোগ নিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের এই বৃক্ষরোপণ। আমাদের এই কর্মসূচি চলবে।’ 

তিনি আরো বলেন, আমরা বন কর্মকর্তার পরামর্শক্রমে বিভিন্ন গাছ সিলেকশন করেছি। তারপর আমার গাছ গুলো পরিচর্যার জন্য একজন নির্ধারিত লোক রেখেছি যিনি প্রতিদিন দুইবেলা পানি কিছুদিন পরপর ইউরিয়া সার দিবে এবং গাছের গোড়া পরিষ্কার রাখবে ও অন্যান্য কাজ নিয়মিত করে যাবে। 

এর আগে, ২১ থেকে ৩০ এপ্রিল ১০ দিনে সারাদেশে ৫ লাখ বৃক্ষ রোপণ করার ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এ ছাড়াও পরিবেশ দিবস-২০২৪ উপলক্ষে এক কোটি বৃক্ষরোপণ করে গিনেজ বুকস অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে অন্তর্ভুক্তির কর্মসূচি পরিকল্পনা রয়েছে সংগঠনটির।

সাম্প্রতিক তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য(এসডিজি) অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ১০ দিনে ৫ লক্ষের অধিক বৃক্ষরোপণের কর্মসূচি ঘোষণা করছে।


প্রয়োজনীয় নির্দেশনা :

চলতি এপ্রিল মাসের ২১-৩০ তারিখের মধ্যে এই কর্মসূচি শেষ করতে হবে; কৃষি বিশেষজ্ঞ ও সরকারের কৃষি বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও সহযোগিতা নিয়ে উপযুক্ত স্থানে নিয়মমাফিক বৃক্ষরোপণ করবে; শুষ্ক মৌসুম বিধায় নিয়মিত গাছে পানি দিতে হবে; রোপণকৃত বৃক্ষের পরিচর্যা করতে হবে; প্রতিটি উপজেলা ইউনিট এক হাজার এবং প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইউনিট পাঁচ শত বৃক্ষ রোপণ করবে; বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে উপজেলা পর্যায় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে; বৃক্ষরোপণের ছবি, ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করতে হবে।

একইসাথে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রত্যেক নেতাকর্মী ও অন্যান্য সাংগঠনিক ইউনিটকে নিজ উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।


আরও খবর



তাপমাত্রা নিয়ে সুখবর নেই

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

কয়েকদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে চলছে তীব্র ও অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। যা আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সংস্থাটির তথ্য মতে, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং রাজধানী ঢাকার উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে। সেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ওঠে ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। এছাড়া চুয়াডাঙ্গায় ৪২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকায় আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে এবং আগামী আরও কয়েক দিন একই রকম তাপমাত্রা অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিকের দেওয়া পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুই এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এছাড়া, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসমূহে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

রাজশাহী ও পাবনা জেলাসহ খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ঢাকা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, ফেনী, কক্সবাজার, চাঁদপুর ও রাঙ্গামাটি জেলাসহ রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। এর ফলে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুই এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

আগামী পাঁচ দিনে আবহাওয়া পরিস্থিতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।


আরও খবর



আইলার ভয়াল দিনে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image


 ডিজিটাল ডেস্ক:


চলতি মে মাসের শেষের দিকে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর।


বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়টি পূর্ণ রূপ নিলে এর নাম হবে ‘রেমাল’। এই নামটি দিয়েছে ওমান।


ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মে মাসে বঙ্গোপসাগরে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। ২০ মে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে ঘূর্ণাবর্ত। এরপর সেটি ক্রমে উত্তর দিকে হয়ে শক্তি বাড়িয়ে ২৪ মে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।



আগামী ২৫ মে সন্ধার পরে এই ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে বলে ভারতীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।


এক রিপোর্টের বরাতে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, আগামী ২০ মে থেকে এই সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ স্পষ্ট হতে পারে। তবে কোথায়, কত গতিতে এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।


 অনুমান করা হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশের মধ্যে কোথাও এটি আছড়ে পড়তে পারে।



প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ২৪ মে রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হতে পারে উপকূল এলাকায়। বৃষ্টি চলতে পারে ২৬ মে পর্যন্ত।


প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ২৫ মে সুন্দরবনে আঘাত হেনেছিল ঘূর্ণিঝড় আইলা। সেই ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের ১৫তম বর্ষের সন্ধ্যাতেই ঘূর্ণিঝড় 'রেমাল' আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।



আরও খবর