Logo
শিরোনাম

অক্টোবরের ৪ থেকে টিকার প্রথম ডোজ বন্ধ

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

টিকার মেয়াদ শেষ হয়ে আসাসহ নানা কারণে আগামী ৪ অক্টোবর থেকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ আর দেওয়া হবে না। তবে দ্বিতীয় ডোজ ও বুস্টার ডোজ দেওয়ার কার্যক্রম চলমান থাকবে।

রবিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত দেশব্যাপী করোনা টিকার প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজের বিশেষ ক্যাম্পেইন চলবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে দ্রুত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাদ পড়া সবাইকে প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন নিতে হবে। অন্যথায় ৪ অক্টোবর থেকে আর প্রথম ডোজ পাওয়া যাবে না।

১৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর রেডিসন হোটেলে এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, দেশে প্রায় ৩৩ লাখ মানুষ এখনও করোনা টিকার প্রথম ডোজ এবং প্রায় ৯৪ লাখ মানুষ দ্বিতীয় ডোজ নেননি। তাই আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবরের মধ্যে টিকার বিশেষ ক্যাম্পেইনে বাদ পড়া সবাইকে টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি


আরও খবর

শীতে সুস্থ থাকতে যা খাবেন

মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩




অস্থির ডলারের বাজার

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

বাংলাদেশে দুই সপ্তাহ ধরে আবারো অস্থিরতা ডলারের বাজারে। প্রণোদনাসহ সর্বোচ্চ ১১৬ টাকা দরে প্রবাসী আয় কেনার নির্দেশনা থাকলেও অনেক ব্যাংক এমনকি ১২৪ টাকা দরেও ডলার কিনেছে বলে অভিযোগ ওঠে।

যদিও আমদানিতে এসব ডলার বিক্রির কথা ১১১ টাকা দরে। এছাড়া খোলাবাজারেও ডলারের দাম ১২৭ টাকা পর্যন্ত উঠতে দেখা গেছে। কেন এমন পরিস্থিতি?

ঢাকার একজন খাদ্য আমদানিকারক আনোয়ার হোসেন। আমদানির জন্য বিভিন্ন সময় ব্যাংকে এলসি খুলতে হয় তাকে।

তিনি জানাচ্ছেন, সম্প্রতি একটি ব্যাংকে এলসি খুলতে গেলে তার কাছে সরকারি রেট ১১১ টাকার বদলে ডলারের দাম ধরা হয় ১২৫ টাকা।

আনোয়ার হোসেন বলছিলেন, এই বাড়তি দামের কোনো কারণ জানাতে পারেনি ব্যাংক।

আমি আপনাকে ব্যাংকের নাম বলতে পারব না। কারণ তাহলে যেটুকু এলসি পাচ্ছি, সেটাও আমি পাবো না। কিন্তু তারা ১২৫ টাকা করে আমার কাছে জমা রেখেছে।

আমি বললাম, এক সপ্তাহ আগেই আপনারা আমার কাছ থেকে ডলার প্রতি ১১৫ টাকা করে জমা রেখেছেন। এখন কেন ১২৫ টাকা রাখবেন? সরকার তো ডলারের মূল্য বৃদ্ধি করে নাই। তখন ওরা বললো যে আপনাকে ১২৫ টাকা করেই দিতে হবে। না হলে এলসি করা যাবে না।

এই আমদানিকারক ব্যাংকে ডলারের বাড়তি দাম নিয়ে যে অবস্থায় পড়েছেন, সেটাই যেন এখন ডলার মার্কেটের বাস্তবতা। কিন্তু ডলারের খোলা বাজারের অবস্থা কী?

খোলাবাজারে যা দেখা গেল


খোলা বাজারের পরিস্থিতি বুঝতে গত সোমবার ঢাকায় কালোবাজারে ডলার বিক্রির একটা পরিচিত স্পটে যান বিবিসির এই সংবাদদাতা। পরিচয় গোপন করে ডলার কেনার চেষ্টা করা হয়।

সংবাদদাতা প্রথমেই যে মানি এক্সচেঞ্জে যান, সেখান থেকে জানানো হলো ডলার নেই। কোন এনডোর্স করা যাবে না।

কিন্তু যখন শুধু ডলার কিনতে চান তিনি, তখন পাশেই থাকা একজন বললেন, ডলার প্রতি ১২৭ টাকা করে দিতে হবে। এর কমে বিক্রি করতে রাজি হননি তিনি।

শেষ পর্যন্ত ১২৭ টাকা দরেই ডলার কিনতে হলো। এরপর রাজধানীর মতিঝিল, গুলশান, পল্টনসহ বিভিন্ন এলাকায় পাঁচটি মানি এক্সচেঞ্জে গিয়ে দেখা গেল, ডলারের রেট অনেকটা একইরকম - ১২৫ থেকে ১২৭ টাকা চাওয়া হচ্ছে, অর্থাৎ কেউই নির্ধারিত দামে ডলার বিক্রি করছেন না।

এর কারণ জানতে চাইলে সামাদ (ছদ্মনাম) নামে একজন বললেন, বাজারে ডলার নেই। ব্যাংকগুলোই বেশি দামে ডলার বিক্রি করছে। সুতরাং খোলাবাজারে তারা বেশি দামে ডলার না কিনলে ডলার পাবেন না। ফলে বেশি দামে কিনে আরো বেশি দামে বিক্রি করছেন তারা।

বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, মানি এক্সচেঞ্জগুলো ডলার বিক্রি করতে পারবে সর্বোচ্চ ১১৭ টাকা দরে। সেক্ষেত্রে এর চেয়ে কম দামে তাদের ডলার কিনতে হবে। কিন্তু মানি চেঞ্জারগুলো এ দর মানছে না - এমন অভিযোগ ওঠার পর বাংলাদেশ ব্যাংক নজরদারি বৃদ্ধি করে।

কিন্তু যেসব মানি এক্সচেঞ্জ নির্ধারিত দামে ডলার ক্রয়-বিক্রয় করছেন, তারা বলছেন, তাদের কাছে কেউ সেভাবে ডলার বিক্রি করতেই আসছেন না।

ঢাকার পল্টনে মেক্সিমকো মানি এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: মোশাররফ হোসেন বলছেন, যারা বিদেশ থেকে আসার সময় ডলার নিয়ে আসেন, তাদের কাছ থেকেই তারা ডলার কিনে থাকেন। এটাই তাদের মূল উৎস। কিন্তু যেহেতু কালোবাজারে ডলারের দাম বেশি, সেহেতু বেশিরভাগ প্রবাসী সেখানেই ডলার বিক্রি করে দিচ্ছেন।

গভর্নমেন্ট রেট তো কম, সুতরাং প্রবাসীরা কেন আমাদের কাছে ডলার বেচবে? তাছাড়া এখন সরকারি নজরদারি অনেক কড়া।

কেউ যদি ডলারের বৈধ কাগজ দেখাতে না পারে, আমরা সেটা কিনতে পারব না। কিনলে প্রশাসন ধরবে। ফলে এই ডলারগুলোও আমরা পাচ্ছি না। এগুলোও ব্ল্যাক মার্কেটে চলে যাচ্ছে, বলেন মোশাররফ হোসেন।

তার মতে, এসব কারণেই যারা শিক্ষা, চিকিৎসা বা ভ্রমণের জন্য যারা বিদেশ যাবেন তারা চাহিদা মতো ডলার পাচ্ছেন না। কারণ মানি এক্সচেঞ্জগুলোতে ডলারের ঘাটতি আছে।

বাধ্য হয়ে এসব লোক যখন ব্ল্যাক মার্কেটে যাচ্ছে, তখন চাহিদা বেড়ে ডলারের দামও সেখানে বাড়ছে, জানান তিনি।

পরিস্থিতি কেন এমন হলো?


বাংলাদেশে ডলারের দাম বাড়তে থাকে ২০২১ সালের ২২ অগাস্ট থেকে। তখন ডলারের দাম ৮৪ টাকা থেকে ৮৫ তে উঠে আসে। দুই বছরের ব্যবধানে সেটা হয়ে যায় ১০৯ টাকায়। বর্তমানে যেটা ১১১ টাকা।

তবে বাস্তবতা হচ্ছে, এই দাম খোলাবাজারে কার্যকর হয়নি। দুই বছর আগে একবার দাম বৃদ্ধি শুরুর পর বর্তমানে সেটা ১২৫ থেকে ১২৭ টাকায় ওঠা-নামা করছে।

এসময় ডলারের দাম বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়ার দাবি উঠলে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক এর দায়িত্ব দেয় বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স এবিবিকে।

কিন্তু সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাফেদা-এবিবির নির্ধারণ করা রেটও খোলাবাজারে কার্যকর থাকেনি।

বেশ কিছু ব্যাংক নির্ধারিত দরের চেয়ে অনেক বেশি দামে বিদেশী রেমিটেন্স হাউস থেকে ডলার কিনে সেটা আরো বেশি দামে গ্রাহকদের কাছে দিয়েছে।

জানতে চাইলে এবিবির সাবেক সভাপতি ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বিবিসিকে বলেন, এরকম ঘটনা তারাও শুনেছেন এবং এটাই বাস্তবতা যে ব্যাংকগুলো বেশি দামে ক্রয়-বিক্রয় করছে।

কিন্তু কেন এ এরকম হচ্ছে? মাহবুবুর রহমান জানান, ব্যবসায়ীদের কাছে ডলারের রেট গুরুত্বপূর্ণ নয়। বরং এলসি খুলে ব্যবসা করার ওপর ব্যবসায়ীরা জোর দিচ্ছেন। সেজন্য ব্যবসায়ীদের চাহিদা মেটাতেই ব্যাংকগুলোকে বেশি দামে ডলার কিনতে হচ্ছে ,যেহেতু ব্যাংকগুলোর কাছে পর্যাপ্ত ডলার নেই।

আমার কাছে গ্রাহক খুব গুরুত্বপূর্ণ। এখন আমি যদি ক্লায়েন্টের চাহিদা অনুযায়ী এলসি দিতে না পারি, তাহলে সে ক্লায়েন্ট অন্য ব্যাংকে চলে যাবে। এখন কোনো ব্যাংক তো এভাবে নিজেকে ক্ষতির মুখে ফেলবে না। সে বেশি দাম দিয়ে হলেও ডলার কিনে ব্যবসা এবং ক্লায়েন্ট ধরে রাখবে, বলেন তিনি।

বাফেদা-এবিবি বলছে, ১১১ টাকায় এলসি সেটেলমেন্ট করতে। এ দামে ডলার বিক্রি করতে হলে এর চেয়ে কম দামে ডলার ক্রয় করতে হবে। কিন্তু সে দাম দিয়ে ডলার ক্রয় করা যাচ্ছে না বলে ব্যাংকাররা জানান। তারা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকও তার রিজার্ভ থেকে এতো ডলার বিক্রি করে চাহিদা মেটাতে পারবে না।

মাহবুবুর রহমান প্রশ্ন তোলেন, যেসব ব্যাংক ১১৮ টাকা বা তার চেয়ে বেশি দামে বিদেশী রেমিটেন্স হাউস থেকে ডলার কিনে ব্যবসায়ীদের এলসি দিচ্ছে, সে কিভাবে ১১১ টাকা দরে এটা দেবে?

দিনশেষে ব্যাংক তো একটা কমার্শিয়াল অরগানাইজেশন। এখানে তো কেউ চ্যারিটি করতে বসেনি, বলছিলেন মোশাররফ হোসেন।

অর্থনীতিবিদদের মতে, ডলারের বাজারে আরেকটি বড় সমস্যা হচ্ছে হুন্ডি। যারা বিদেশে ডলার নিয়ে যাচ্ছেন, তারা বেশি দাম দিয়ে হলেও ডলার কিনতে চান। এটা বাজারে চাহিদা তৈরি করছে। ফলে বিদেশী রেমিটিং হাউসগুলো তাদের কাছে বেশি দামে ডলার বিক্রি করছে।

কিন্তু বাজারে এমন অবস্থা কেন হলো? এজন্য ঘুরে-ফিরে একই প্রসঙ্গ বার বার সামনে আসছে। সেটি হচ্ছে- বাংলাদেশের নিম্নমুখী রফতানি আয় এবং প্রবাসী আয়ের কারণে ডলার সঙ্কটের কথা।

বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন দায়ী করছেন, সঙ্কটের মধ্যেও ডলারকে বাজারমুখী না করে একে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টাকে।

এখানে ডলারের দাম নির্ধারণের যে মডেল, সেটা দিয়ে ডলার বাজার স্বাভাবিক রাখা যাবে না। বাংলাদেশ ব্যাংক একেক সময় একেক পলিসি নিচ্ছে। ফলে যারা কারসাজি করে, তারাও এটার সুযোগ নিচ্ছে। বাজারদর অনুযায়ী দাম নির্ধারণ না হলে এটার সঙ্কট মিটবে না,  বলেন মোশাররফ হোসেন।

বাংলাদেশে নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে। এই সময়ের মধ্যে সরকারের মূদ্রানীতি কিংবা ডলার বাজার নিয়ে নীতিতে বড় ধরণের পরিবর্তনের সম্ভাবনাও দেখছেন না অনেকেই।

ফলে ডলারের যে উর্ধ্বমুখী দাম, সেটা নির্বাচনে আগে কতটা স্থিতিশীল হবে তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই।

আপনি নিশ্চিত হতে পারেন যে যেখানে আমাদের যোগানের অভাব আছে সেখানে আগামীতে ডলারের দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নাই। কারণ এটাতো বাজারের ওপর নির্ভর করছে না। এটাকে সেভাবে রাখা হয়নি, বলেন মোশাররফ হোসেন।

কিন্তু এসব বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কী ভাবছে? জানতে চাইলে এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

যদিও ব্যাংকসূত্র জানিয়েছে, ডলারের বাজারে কারসাজি রোধ করতে ইতোমধ্যেই কিছু পদক্ষেপ তারা নিয়েছেন, যার প্রভাবে হয়তো 'শিগগিরই বাজারে দাম কমে' আসবে।

কিন্তু বাংলাদেশে যখন গত দুই বছর ধরেই ডলারের প্রধান দুই উৎস রেমিটেন্স ও রফতানি আয় নিম্নমুখী, তখন বাংলাদেশ ব্যাংক কতটা পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবে সেটা এক বড় প্রশ্ন।

সূত্র : বিবিসি

 


আরও খবর

দাম বাড়ল এলপি গ্যাসের

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩

কমলো আকরিক লোহার দাম

শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3




রাণীনগরে গোনা ইউনিয়নে উপকারভোগীদের সাথে এমপির মতবিনিময়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) : নওগাঁর রাণীনগরে গোনা ইউনিয়নের উপকারভোগীদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার গোনা ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে ঘোষগ্রাম কফিলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচীর আওতায় উপকারভোগীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখছেন নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. আনোয়ার হোসেন হেলাল।

গোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে ও অত্র ইউপি সদস্য এসএম জাকারিয়া সরলের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি বারেক মোল্লা, ফরিদা বেগম, সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ দুলু, যুগ্ম সম্পাদক গোলাম হোসেন আকন্দ, সাংগঠনিক সম্পাদক জারজিস হাসান মিঠু, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল খালেক, সদস্য রাহিদ সরদার, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মাহাবুবুল আলম কচি, ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার, উপজেলা ও গোনা ইউনিয়ন আ’লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

অনুষ্ঠানে গোনা ইউনিয়নের উপকারভোগীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজন সভায় অংশগ্রহন করে। সভায় ভিজিডি, ভিজিএফ, বয়স্ক, বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তা, প্রতিবন্ধি ভাতাসহ সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচীর বিভিন্ন ভাতাভোগীরা ভাতা পেয়ে কতটুকু উপকৃত হয়েছেন, ভাতা পাওয়ার পর তাদের জীবন-যাপনের কথা এবং আগামীতে আরো কি কি করলে তারা আরো ভালো থাকতে পারবেন এবং অন্যান্য বিষয়ে সুবিধাভোগীদের মতামতও শোনেন সাংসদ হেলাল।


আরও খবর



রদবদল আসছে মাঠ প্রশাসনে

প্রকাশিত:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব প্রার্থীর জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) তৈরি করতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ জন্য মাঠপ্রশাসন ও পুলিশে বড় ধরনের রদবদল চায় সংস্থাটি। এ লক্ষ্যে কাজ শুরু করা হয়েছে। শিগগিরই আরও বড় ধরনের রদবদল করা হবে।

ইতোমধ্যে সারা দেশের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং ওসিদের বদলি করতে জননিরাপত্তা বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পৃথক চিঠি দিয়েছে ইসি। ওই চিঠিতে প্রথম পর্যায়ে একই উপজেলা ও থানায় থাকা ইউএনও ও ওসিদের বদলির প্রস্তাব নির্বাচন কমিশনে পাঠাতে বলা হয়েছে।

পাশাপাশি ডিসি ও এসপিকে প্রত্যাহার করার জন্য বলেছে ইসি। তাদের বিরুদ্ধে প্রার্থী পক্ষপাত ও বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। বৃহস্পতিবার এসব চিঠি পাঠিয়েছে ইলেকশন কমিমন (ইসি)।

জানা গেছে, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বেশিরভাগ মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও সংসদ-সদস্যরা প্রার্থী হয়েছেন। মাঠপ্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তারা একই জায়গায় দীর্ঘদিন থাকার কারণে তাদের মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। তারা উভয়ই বিভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে জড়িয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা গেছে, মাঠ প্রশাসন কর্মকর্তারা পছন্দের প্রার্থীর মনোনয়ন জমা বা উঠানোর সময় ভি চিহ্ন দেখিয়েছেন। তাই মাঠ প্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে এ পদেক্ষপ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম গণমাধ্যমকে বলেন, কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছি। দু-এক দিনের মধ্যে বিষয়টি জানতে পারবেন। আপাতত এর বেশি কিছু বলছি না।

ইসি সূত্রে আরও জানা যায়, সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, মো. আনিছুর রহমান, রাশেদা সুলতানা ও মো. আলমগীর বিভিন্ন জেলায় গিয়ে মাঠপ্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওইসব বৈঠকে ইউএনও এবং থানার ওসিদেরও ডাকা হয়। চার কমিশনারের জেলা পর্যায়ে সফরে গিয়ে মাঠপ্রশাসনের অনেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন পক্ষপাতের অভিযোগ পান। বিষয়টি নিয়ে কমিশনে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক মাঠ প্রশাসনে বড় ধরনের রদবদলের বিষয়ে আলোচনা হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো ইসির চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য সব থানার ওসিদের পর্যায়ক্রমে বদলির জন্য সিদ্ধান্ত দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন। প্রথম পর্যায়ে যারা বর্তমান কর্মস্থলে ৬ মাসের অধিক সময় রয়েছেন তাদের অন্য জেলা বা থানায় বদলির প্রস্তাব ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে পাঠাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি মাঠ প্রশাসনে অর্থাৎ ইউএনওদের বদলির বিষয়ে একই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, এই বদলিতে প্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তাদের মাঠপর্যায়ে কাজের স্পৃহা ও মনোবলে যেন চিড় না ধরে এ বিষয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে ইসি। তাই বদলির বিষয়ে কঠোর গোপনীয়তা বজায় রাখছে কমিশন।

প্রসঙ্গত, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার শুরু হবে ১৮ ডিসেম্বর। আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

 


আরও খবর



বয়স্কভাতা শতভাগে উন্নীত করা হবে....নওগাঁয় খাদ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

''সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা সরকার প্রতি বছরই বাড়াচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় আগামীতে বয়স্কভাতা শতভাগে উন্নীত করা হবে।'' 

সোমবার নওগাঁর সাপাহারে সরফতুল্লাহ ফাজিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে সাপাহার সদর  ইউনিয়ন আ'লীগ আয়োজিত বর্তমান সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতাভুক্ত জনগণের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তবে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি।

তিনি আরো বলেন, সরকার দরিদ্র মানুষের কথা চিন্তা করে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চাল দিচ্ছে। টিসিবির মাধ্যমে ১ কোটি পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে চাল, ডাল, পেয়াজ, তেল ও চিনি। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায়ভূক্ত দেশের অধিকাংশ মানুষ। কেউ সরাসরি উপকৃত হয় কেউ বা পরোক্ষভাবে। এছাড়াও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য সামাজিক সুরক্ষা বলয়ের আওতায় নানারকম ভাতা দিয়ে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। এতে তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হয়েছে।

নওগাঁর সাপাহার সদর ইউনিয়ন আ'লীগের সভাপতি মোঃ সাদেকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন, সাপাহার উপজেলা আ'লীগের সভাপতি মোঃ শামসুল আলম শাহ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রেজা সারোয়ার  এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সাহজাহান হোসেন।


আরও খবর



সৈকতে উষ্ণতা ছড়াচ্ছেন মিম !

প্রকাশিত:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

শহরের বাতাসে কমে গেছে আর্দ্রতা। প্রকৃতিতে এখন শীতের আমেজ। এর মাঝেই ভক্তদের মনে উষ্ণতা ছড়াচ্ছেন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের সাহসী কিছু ছবি প্রকাশ করেছেন তিনি। যেখানে অফ হোয়াইট শাড়িতে মিমকে দেখা গেছে মোহনীয় রূপে।

এমনিতেই বাঙালি এই অভিনেত্রীর নজরকাড়া লুক বরাবরই ঝড় তোলে ভক্তদের হৃদয়ে। এর মাঝে খোলামেলা শাড়িতে মিমের উপর থেকে নজর ফেরানোই যেন দায় ছিল নেটিজেনদের জন্য।

বিদ্যা সিনহা মিমের সেই ছবিগুলোতে মন্তব্য করেছেন এক হাজারের বেশি মানুষ। যার অধিকাংশই ছিল অভিনেত্রীর রূপের প্রশংসাসূচক। অনেকেই আবার বলেছেন, শীতের শুরুতেই যেন উষ্ণতা ছড়িয়ে গেলেন মিম।

এদিকে ২৪ নভেম্বর ভারতে মুক্তি পেয়েছে বিদ্যা সিনহা মিমের নতুন সিনেমা মানুষ। যেখানে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা জিৎ। ভারতে সিনেমা মুক্তি পেলেও দেশে বর্তমানে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন এই অভিনেত্রী।

প্রসঙ্গত, মিমের টালিউডে যাত্রা শুরু ব্ল্যাক ছবি দিয়ে। এরপর ইয়েতি অভিযান, সুলতান দ্য স্যাভিয়ার থাই কারি নামের আরও তিনটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। কলকাতায় মানুষ তার পঞ্চম সিনেমা।


আরও খবর

নওগাঁয় নবান্ন উৎসব উদযাপন

বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩