Logo
শিরোনাম

অর্থ আত্মসাতের দায়ে ৪৮ বছরের কারাদন্ড পাঁচ কর্মকর্তার

প্রকাশিত:রবিবার ২৯ মে ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

অনুপ সিংহ,নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় পপুলার মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড নামে একটি সমিতি স্থাপন করে সদস্যদের আমানত ও শেয়ার মূলধন আত্মসাতের দায়ে পাঁচ ব্যক্তিকে পৃথক পৃথক ধারায় ৪৮ সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে ৪ কোটি ৪৭ লাখ ৭২ হাজার ৭৮৪টাকা অর্থদন্ড করা হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত সমিতির চেয়ারম্যান সোনাইমুড়ী উপজেলার মাহুতলা গ্রামের আবদুল হাইয়ের ছেলে আবদুর রব হেলাল, সমিতির সহসভাপতি চাটখিল উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামের মৃত হাজী নুরুজ্জামানের ছেল আমিন উল্যাহ, সমিতির সেক্রেটারী সোনাইমুড়ী উপজেলার কেগনারখিল গ্রামের ইদ্রীস মিয়ার ছেলে  সফিউল আলম ও তাঁর স্ত্রী সমিতির সদস্য সুলতানা পারভিন,সমিতির সদস্য চাটখিল উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামের আমিন উল্যার স্ত্রী উম্মে কুলসুম।    

রোববার ( ২৯ মে ) দুপুর পৌনে ৩টার দিকে নোয়াখালী জেলা স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক এ এন এম মোরশেদ খান এ রায় প্রদান করেন।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সূত্র জানায়, আসামি আব্দুর রব হেলাল গং পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণামূলকভাবে পপুলার মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের নামীয় সমিতি স্থাপন করে সদস্যদের নিকট থেকে আমানত এবং শেয়ার মূলধন বাবদ এক কোটি ৫৮ লাখ ৪৬৭ টাকা আত্মসাত পূর্বক স্থানান্তর-হস্তান্তর ও রূপান্তর করে। সমিতির সদস্যদের অর্থ আত্মসাৎের ঘটনায় ২০১৮ সালে দুদকের নোয়াখালী কার্যালয়ে বর্তমান সহকারী পরিচালক সুবেল আহাম্মেদ বাদী হয়ে ৫জনকে আসামি করে চাটখিল থানায় একটি বিশেষ মামলা করে।  

বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম বলেন, দুপুর পৌনে ৩টার দিকে মামলার শুনানি শেষে বিচারক রায় দেওয়ার সময় মামলার প্রধান আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকী চারজন আসামি পলাতক রয়েছে।  

দুদকের পিপি আরো জানায়,সকল ধারার সাজা এক সাথে চলায় মামলার প্রধান আসামি ১০ বছর সাজা খাটতে হবে এবং পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের দিন থেকে ৭বছর সাজা খাটতে হবে।


আরও খবর



বাইডেনের হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও রাফায় ইসরায়েলি হামলা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

ইসরাইলকে সতর্ক করেছে সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা যখন যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চলছে কায়রোতে, তখন সব সতর্কতাকে থোড়াই কেয়ার করে রাফায় হামলা চালিয়েছে ইসরাইল সোমবার রাতভর  সেখানে বিভিন্ন অবস্থানে হামলা চালিয়েছে তারা এতে কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন মিশর সীমান্তের সঙ্গে রাফা ক্রসিং পয়েন্টেরও নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তারা একদিকে যুদ্ধবিরতির চেষ্টা, অন্যদিকে ইসরাইলের নৃশংস যুদ্ধের ফলে আন্তর্জাতিক যুদ্ধবিরতি চেষ্টাকে অনিশ্চিত করে তুলেছে সৌদি আরব সতর্ক করে বলেছে, অব্যাহতভাবে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে ইসরাইলি বাহিনী তাদের ভূমিকাকে প্রত্যাখ্যান করে সৌদি আরব তারা বলেছে, এর ফলে রাফায় মানবিক সংকট তীব্র থেকে তীব্র হচ্ছে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাকে খর্ব করা হচ্ছে

ইসরাইলের গণহত্যা বন্ধে অবিলম্বে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সৌদি আরব ওদিকে সোমবারই ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তিনিও রাফায় হামলার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করতে ওয়াশিংটনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ওদিকে কাতার মিশরের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত মেনে নেয় হামাস কিন্তু ইসরাইল ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে তারা জানায়, এতে তাদের দাবি পূরণ হয়নি

 

জন্য মধ্যম পর্যায়ের ইসরাইলি কর্মকর্তাদের একটি প্রতিনিধিদলের গতকাল আবার কায়রো যাওয়ার কথা। তবে তারা কি ভূমিকা নেবেন, তা স্পষ্ট নয়। ২৭শে এপ্রিলের প্রস্তাবের ওপর ভিত্তি করে নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। তাতে যুদ্ধ বন্ধের কথা বলা হয়েছে। অন্যদিকে ইসরাইল থেকে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে হামাসের হাতে আটক কমপক্ষে ১৩০ জিম্মির মুক্তির কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরাইল। তারা বলেছে, এই প্রস্তাবের মধ্যে ফিলিস্তিনি বন্দি মারওয়ান বারঘোতির মতো নেতাদের মুক্তির কথা বলা হয়েছে। তিনি এমন একজন নেতা ইসরাইলিদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ হামলায় যার ভূমিকা আছে। জন্য তাকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেয়া হয়েছে। ইসরাইলি কর্মকর্তারা বলছেন, হামাসের এসব বন্দিকেও মুক্তি দিতে হবে। জন্য না বলে দিয়েছে ইসরাইল। অবস্থায় যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

এরই মধ্যে মিশরের রাষ্ট্র সংশ্লিষ্ট আল কাহেরা নিউজ টিভি রিপোর্ট করেছে যে, উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা গতকালও চলছিল। মিশরীয় কর্মকর্তারা রাফায় ইসরাইলের অভিযান অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু ইসরাইলি প্রতিনিধিদল কায়রো পৌঁছানোর আগেই মিশরের সঙ্গে রাফা ক্রসিং পয়েন্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় ইসরাইল। এর ফলে গাজায় মানবিক পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠনগুলো। কারণ, অন্য সব সীমান্ত বন্ধ থাকলেও রাফা সীমান্ত দিয়ে নিরীহ অভাবী গাজাবাসীর কাছে আন্তর্জাতিক সহায়তা পৌঁছাচ্ছিল। তার নিয়ন্ত্রণ ইসরাইলিরা নেয়ার ফলে তা বন্ধ হয়ে গেল 

সোমবার দিবাগত রাতভর রাফায় বিভিন্ন ভবনের ওপর নৃশংস হামলা চালিয়েছে ইসরাইলিরা এতে কমপক্ষে ১২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মিশর লাগোয়া রাফা সীমান্তে ট্যাঙ্ক ভারী অস্ত্রের মাধ্যমে এই হামলা চালিয়েছে তেল আবিব হামাস যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নেয়া সত্ত্বেও রাফায় ইসরাইলের সামরিক অভিযানের নিন্দা জানিয়েছে মিশর তারা বলেছে, এতে যুদ্ধবিরতির যে প্রচেষ্টা চলছে, তা হুমকিতে পড়বে রাফা সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ ইসরাইলি সেনাবাহিনী নেয়ার পরপরই এমন বিবৃতি দিয়েছে মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবস্থায় জাতিসংঘ বলেছে, রাফা সীমান্তে জাতিসংঘকেও প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে না ইসরাইল জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার মুখপাত্র জেন্স লায়েরকে বলেন, রাফা সীমান্তে এখন আমাদের কোনো সদস্যের শারীরিক উপস্থিতি নেই আমাদের প্রবেশাধিকারকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নতুন করে যে যুদ্ধবিরতির চেষ্টা শুরু হয়েছিল, তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে 

ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়া কাতারের প্রধানমন্ত্রী এবং মিশরের গোয়েন্দা প্রধানকে তাদের প্রস্তাব মেনে নেয়ার কথা জানানোর পরেও সোমবার দিবাগত রাতে রাফায় হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরাইল। এতে যুদ্ধবিরতির এই প্রস্তাব এখন অনেকটাই অনিশ্চিত বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। তবে হামাস মিশর এবং কাতারের প্রস্তাবে সম্মত হলেও ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, এই প্রস্তাবের শর্তগুলো তাদের দাবি পূরণ করেনি। ইসরাইল চুক্তির বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনার পাশাপাশি রাফাতে হামলা অব্যাহত রাখারও ঘোষণা দিয়েছে। অন্যদিকে জাতিসংঘ বলছেÑ রাফায় হামলা অব্যাহত থাকলে চরম দুর্ভিক্ষে পতিত হবে গাজাবাসী

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ই অক্টোবর ইসরাইলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে হামলা চালায় হামাস এরপর থেকে গাজায় যুদ্ধনীতি লঙ্ঘন করে উপত্যকাটিতে পাল্টা প্রতিশোধমূলক হামলা শুরু করে ইসরাইল যাতে যাবৎ প্রাণ হারিয়েছে ৩৪ হাজার ৭৩৫ ফিলিস্তিনি আহতের সংখ্যা ৭৮ হাজারের বেশি তারপরও সোমবার গাজার কেন্দ্রীয় অঞ্চলে নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে বোমা ফেলেছে ইসরাইলি বাহিনী এতে শিশু সহ বিপুল সংখ্যক মানুষ আহত হয়েছেন  উল্লেখ্য, নুসেইরা হলো এমন একটি এলাকা, যেখানে রাফা থেকে পালিয়ে আসা নিরীহ ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় নিয়েছেন 

ওদিকে লেবাননে উদ্ধারকারীদের ওপর ইসরাইলের হামলায় সাতজন নিহত হওয়ায় মঙ্গলবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। তারা একে নিরীহ, বেসামরিক লোকজনের বিরুদ্ধে অন্যায় হামলা বলে অভিহিত করেছে। ওয়াশিংটনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি স্থগিত করতে। ৭ই অক্টোবর ইসরাইলে হামাস রকেট হামলা চালানোর পর হামাসের মিত্র হিজবুল্লাহ ইসরাইলি সেনাদের মধ্যে প্রায়দিনই ইসরাইল-লেবানন সীমান্তে হামলা-পাল্টা হামলা হচ্ছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, ২৭শে মার্চ লেবাননের হাবারিয়ে গ্রামে একটি জরুরি রিলিফ সেন্টারে ইসরাইল হামলা চালিয়েছে। এতে সাতজন স্বেচ্ছাসেবী নিহত হয়েছেন। ইচ্ছাকৃতভাবে এসব নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। যেহেতু এটা যুদ্ধাপরাধ বলে মনে হচ্ছে, তাই এর তদন্ত হওয়া উচিত


আরও খবর

চীন সফরে যাচ্ছেন পুতিন

বুধবার ১৫ মে ২০২৪




শূন্য থেকে কোটিপতি যাত্রী কল্যাণের মোজাম্মেল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব সংগঠনের নামে প্রভাব বিস্তার করে গোপনে নিজে গড়েছেন টাকার পাহাড়। কিনেছেন কোটি টাকার সম্পত্তি। রয়েছে পরিবহন ব্যবসা। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির নামে লাইসেন্সবিহীন সিএনজি অটোরিকশার রমরমা ব্যবসা ছাড়াও সাংবাদিক পরিচয়ে করেছেন অঢেল সম্পত্তি। তিনি মোজাম্মেল হক চৌধুরী। এরই মধ্যে তার বিরুদ্ধে অর্থ, সম্পদ ও ব্যবসার বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ জমা পড়েছে। সেই সঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে গতকাল সোমবার আদালতে হয়েছে মামলা। জানা গেছে, বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামবে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

অনুসন্ধানে জানা যায়, মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পৈতৃক বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার সারোয়াতলী ইউনিয়নের ইমামুল্লাহ চরের পূর্ব পাড়ায়। বাড়িতে দুটি ঘর, এর মধ্যে বড় ঘরটির চারপাশে মাটির দেয়াল, ওপরে টিনের ছাউনি। সামনে ছোট দুই কক্ষের একটি ঘর। সেই ঘরের চারপাশে কাঠ দিয়ে দেওয়া হয়েছে বাঁশের বেড়া। স্বাভাবিক জীবনযাপন করা মোজাম্মেল গত এক যুগ ধরে পরিবহনের যাত্রীদের অধিকার নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে সোচ্চার আছেন। যাত্রীদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে করেন আন্দোলন। তবে এই যাত্রী কল্যাণ সমিতির আড়ালে গুছিয়েছেন নিজের আখের। বিভিন্ন দপ্তরে তদবির বাণিজ্য, সড়কে নিয়ম ভেঙে সুবিধা আদায়, বিআরটিএর মিরপুরসহ বিভিন্ন অফিসে দালালি, জমি কেনাবেচায় দালালি, নামসর্বস্ব পত্রিকায় সাংবাদিক পরিচয়ে সরকারি বিজ্ঞাপন আদায়, লাইসেন্সবিহীন সিএনজি অটোরিকশার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হয়েছেন। যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব পরিচয়ে খাটান প্রভাব।

২০১৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মিরপুর থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়ের হওয়া একটি মামলায় মোজাম্মেল গ্রেপ্তার হলে ওই বছরের ১০ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে তার স্ত্রী রিজু আক্তার চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, তার স্বামী (মোজাম্মেল হক চৌধুরী) একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমে অল্প টাকা বেতনে কাজ করেন। সেই টাকা দিয়ে সংসার চালানো বেশ কষ্টকর।

মাত্র ৬ মাসে কিনেন কোটি টাকার জমি :মোজাম্মেল হক চৌধুরীর গোপন সম্পত্তির অনুসন্ধান করে প্রতিদিনের সংবাদ। হাতে আসে বেশ কয়েকটি জমির দলিল। তাতে বেরিয়ে আসে কোটি টাকার সম্পত্তির তথ্য। দেখা যায়, মোজাম্মেলের অর্থের বেশিরভাগই ব্যয় হয়েছে জমি ক্রয়ে। চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার হাশিমপুর মৌজায় দেড় কোটি টাকায় ৩৪৫ শতক জমি কিনেছেন মোজাম্মেল। দলিলে মৌজা অনুযায়ী, জমির যে দাম দেখানো হয়েছে প্রকৃতপক্ষে সেই জমির আনুমানিক মূল্য ৮ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

মোজাম্মেল হক চৌধুরীর নামে রেজিস্ট্রি হওয়া জমির দলিলে দেখা গেছে, মোজাম্মেল চার দফায় ৪টি দলিলের মাধ্যমে হাশিমপুর মৌজায় বিভিন্ন দাগে ৩৪৫ শতক জমি কিনেন। রেজিস্ট্রি দলিলে ওই জমির মূল্য উল্লেখ করা হয়েছে ১ কোটি ৪৯ লাখ ৪২ হাজার টাকা। তবে স্থানীয়দের দাবি, মোজাম্মেলের কেনা জমির প্রকৃত বাজারমূল্য তার কয়েকগুণ বেশি।

দলিলে দেখা যায়, ২০১৯ সালের ২৩ জুন চন্দনাইশের গাছবাড়িয়া সাব রেজিস্ট্রার অফিসে মোজাম্মেলের নামে প্রথম দলিলটি রেজিস্ট্রেশন (নম্বর ১৬৬২) করা হয়। ওই দলিলে ১ একর ৬০ শতাংশ (চার কানি) জমি কেনেন মোজাম্মেল। যার দাম দেখানো হয়েছে ১ কোটি ৯ লাখ টাকা। এরপর একই বছরের ২৩ জুলাই ১৫ শতক জমির দ্বিতীয় দলিলটি রেজিস্ট্রি (দলিল নং ১৯০৮) করা হয় মোজাম্মেলের নামে। দলিলে জমির দাম উল্লেখ করা হয় ১০ লাখ ২৫ হাজার টাকা।

এর মাত্র এক মাসের মাথায় ১৬ সেপ্টেম্বর তৃতীয় দলিল রেজিস্ট্রেশন (নম্বর ২৪৪১) করা হয় তার নামে। জমির পরিমাণ ৩৭ দশমিক ৫০ শতক। দলিলে এই জমির দাম দেখানো হয়েছে ৪ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। চতুর্থ দফায় ৮ দিন পর ২৩ সেপ্টেম্বর আরেকটি জমি কিনেন মোজাম্মেল হক চৌধুরী। রেজিস্ট্রেশন (নম্বর ২৫৩৮) হওয়া জমির পরিমাণ ১৩২ দশমিক ৫০ শতক। জমিটির দাম উল্লেখ করা হয়েছে ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

মোট হিসাবে দেখা যায়, চার দফায় ৪টি দলিলে ৩৪৫ শতক জমি কিনেছেন মোজাম্মেল হক এবং দলিলে এই জমির মূল্য উল্লেখ করা হয়েছে ১ কোটি ৪৯ লাখ ৪২ হাজার টাকা। অথচ আরো কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি রাখা হয়েছে গোপনে। ঢাকায় নিজেকে পরিচয় দেন গোবেচারা হিসেবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, আগে মোজাম্মেলের অবস্থা ছিল শোচনীয়। ২০০৯ সালের দিকে তৎকালীন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাকারিয়ার পাওনা টাকা না দেওয়ায় মোজাম্মেলকে আটকে রেখেছিলেন। পরে টাকা পেতে স্ট্যাম্পে লিখিত দিয়ে ছাড়িয়ে আনা হয়। তারপর থেকে মোজাম্মেলকে এলাকায় দেখা যেত না।

অটোরিকশা নিবন্ধন দালালিতে আয় কোটি টাকা

অনুসন্ধানে জানা যায়, চট্টগ্রামে রেজিস্ট্রেশন নম্বর প্লেট ছাড়া প্রায় ২ শতাধিক সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলে বাংলাদেশ উন্নয়ন সাংবাদিক সমিতির নামে। প্রতিটি গাড়িতে সাঁটানো হয়েছে সমিতির ব্যানার। ওই ব্যানারে সাংবাদিক মোজাম্মেল হক চৌধুরীর নাম ও ফোন নম্বর রয়েছে। তবে তিনি কোন পত্রিকার বা অনলাইনের সাংবাদিক সে পরিচয় ব্যানারে উল্লেখ করা হয়নি।

অভিযোগ রয়েছে, রেজিস্ট্রেশন নম্বর প্লেট ছাড়া সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলে মোজাম্মেলের ইশারায়। সেখান থেকে মাসিক চাঁদা আসে তার পকেটে। স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু মানুষের সহযোগিতায় রাজ্য গড়েছেন মোজাম্মেল। তার অপকর্মের বিরোধিতার জবাব হিসেবে কয়েকজনকে হুমকি দেওয়ারও তথ্য পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ উন্নয়ন সাংবাদিক সমিতির ব্যানারে সেখানেও রয়েছে তার প্রভাব। নিজে কোন পত্রিকার সাংবাদিক তা প্রকাশ না করলেও ওঠাণ্ডবসা মূলধারার সাংবাদিকদের সঙ্গে। বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিতে সাংবাদিক ঘেঁষা হিসেবেই নিজেকে গড়ে তুলেছেন মোজাম্মেল।

স্থানীয়রা বলছেন, মোজাম্মেল হক চৌধুরী অল্প সময়ের মধ্যে বিপুল পরিমাণ অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছেন। প্রভাবশালী মানুষদের সঙ্গে করেন ওঠাণ্ডবসা। নিজেকে পরিচয় দেন সাংবাদিক ও পরিবহন সমিতির নেতা হিসেবে। কোটি টাকার সম্পত্তির তথ্য গোপন রাখতেই সাধারণ জীবনযাপন করেন মোজাম্মেল। তবে পাল্টে গেছে তার কথার ধরন।

জানা যায়, টাকার বিনিময়ে মোজাম্মেল সিএনজি অটোরিকশার নম্বর পাইয়ে দেন। যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রভাব খাটিয়ে বিআরটিএতে দালালি করেই তিনি এত টাকার মালিক হয়েছেন। আর সেই টাকায় কিনেছেন কোটি টাকার সম্পত্তি। মোজাম্মেল হক বর্তমানে জমি বেচাকেনা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। ঢাকাতে রয়েছে একটি প্রাইভেট কার যার আনুমানিক মূল্য ১২-১৫ লাখ, একটি নোহা গাড়ি যার আনুমানিক মূল্য ২৫ লাখ ও চট্টগ্রামে একটি অত্যাধুনিক প্রাইভেট কার রয়েছে যার আনুমানিক দাম প্রায় অর্ধকোটি টাকার কাছাকাছি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোজাম্মেলের স্ত্রী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মেম্বার পদে প্রার্থী হয়ে ৩০ ভোট পেয়েছিলেন। মোজাম্মেল নিজেও উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে খুব অল্প ভোট পেয়েছিলেন। তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।

সেতুমন্ত্রীকে নিয়ে মন্তব্য, থানায় জিডি ও মামলা

সম্প্রতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে মানহানিকর মন্তব্য করার অভিযোগে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ খোকন। গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকার শাহবাগ থানায় জিডি করেন তিনি।

জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২০ এপ্রিল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। এই সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ২০ বছর ধরে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু তিনি পরিবহন সেক্টরে কোনো কাজ করেন নাই। যেহেতু আমাদের দেশে পদত্যাগের সংস্কৃতি নেই। সেহেতু মন্ত্রী ইচ্ছা করলে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করতে পারেন।

জিডিতে শ্রমিক লীগ নেতা মোহাম্মদ হানিফ বলেন, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি যাত্রীদের কল্যাণ করবে এটাই তাদের কাজ। কিন্তু সুপরিকল্পিতভাবে মোজাম্মেল হক চৌধুরী সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। এতে মন্ত্রীর সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে। কারণ বর্তমান সরকার টানা চতুর্থবারের মতো দেশের ক্ষমতায় আছেন। এখন সরকারের ক্ষমতা থাকার বয়স ১৫ বছর ৩ মাস। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী সেখানে ২০ বছর মন্ত্রী থাকেন কীভাবে? মোজাম্মেল হক চৌধুরী সুপরিকল্পিতভাবে মন্ত্রী ও সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছেন। এই মিথ্যাচারের বক্তব্যগুলো দেশের স্যাটেলাইট টেলিভিশনসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে। তার এই মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্যে সরকারের সুনাম ক্ষুণ্ণ ও মন্ত্রীর মানহানি হয়েছে। তাই বিষয়টি ভবিষ্যতের জন্য জিডি করে রাখা একান্ত প্রয়োজন।

জানা গেছে, মোজাম্মেল হক চৌধুরী সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রকে নিয়ে মন্তব্য করায় জিডির পরে সিএমএ আদালতে মামলা করেছেন মোহাম্মদ হানিফ খোকন। ৫৫১ নাম্বার মামলায় ৫০০, ৫০১ ও ৫০৬ তিনটি ধারা উল্লেখ করা হয়েছে। একই সঙ্গে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন মোহাম্মদ হানিফ খোকন। মামলার তদন্তে নেমেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

বিস্তর অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, আমি জমির দালালি করি। ঠিকাদারি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। সেই টাকায় জমি কিনেছি। দেশের কোন আইনে জমি কিনতে মানা আছে নাকি?


আরও খবর



রাজধানীর ১০ থানায় কিশোর গ্যাং বেশি

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, রাজধানীর ৫০ থানার মধ্যে ১০টি থানায় কিশোর গ্যাং সদস্যদের অপরাধ দেখা গেছে। এর মধ্যে মিরপুর, মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী ও উত্তরা এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বেশি।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সামাজিক আন্দোলন নিয়ে ছায়া সংসদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আজকের কিশোর আগামী দিনের যুবক। তারাই আগামী দিনে দেশের নেতৃত্ব দেবে। ৯ থেকে ১৮ বছর বয়সী কেউ অপরাধ করলে আমরা তাকে কিশোর অপরাধী বলছি। এই বয়সী কিশোররা দলবদ্ধভাবে অপরাধ করলে তাকে আমরা বলছি কিশোর গ্যাং।

হাবিবুর রহমান বলেন, কিশোর গ্যাং অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম করে থাকে পুলিশ। মসজিদে মসজিদে জুমার দিনে ওসিরা কিশোর গ্যাং বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে পুলিশের বিভিন্ন সভা-সমাবেশও করা হয়েছে। স্কুলে-স্কুলে গিয়েও কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে বিভিন্ন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। তবে কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে আসল কাজ হবে পরিবার থেকে। মা, বাবা বড় ভাই-বোন এক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করবে। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একজন শিক্ষকও ভূমিকা রাখবেন।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরে খেলার মাঠের সংখ্যা কম। মাঠ নিয়ে আন্দোলনও হয়েছে। সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো খেলাধুলার মাঠের বিষয়ে কাজ করতে পারে।

কিশোর গ্যাংয়ের গড ফাদারদের তালিকা করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে কি না জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের মদদদাতা যারা রয়েছে তাদের তালিকা করা হয়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের অদ্ভুত-অদ্ভুত নাম রয়েছে, তাদের তালিকা করা হয়েছে। যারা মদদদাতা, গড ফাদার তারা ওইভাবে গড ফাদার নয়। তারা যে কিশোর অপরাধের জন্য গ্যাং তৈরি করেছে বিষয়টি এমন নয়। রাজনৈতিকভাবে কিছু লোক কিশোরদের নিয়ে যাচ্ছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে।

কিশোর অপরাধ নির্মূলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাফিলতি আছে কি না জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো গাফিলতি নেই। অভিযোগ এলেই সঙ্গে সঙ্গে মামলা গ্রহণ করা হয় এবং জড়িতদের আইনের আওতায় এনে আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে কিশোর সংশোধনাগারে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু প্রাথমিকভাবে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কাজ নয়। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় জনসাধারণের কাজ। জনগণ সোচ্চার হলে কিশোর গ্যাং কালচার কমে যাবে।

টিকটকে অশালীন কন্টেন্টের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি অবশ্যই নেতিবাচক। ইতোমধ্যে এমন টিকটকারদের আমাদের সাইবার টিম আইনের আওতায় এনেছে। পুলিশের সাইবার টিম থেকে নিয়মিত বিটিআরসি'র কাছে বিভিন্ন কনটেন্টের তালিকা দেওয়া হয়।

হাবিবুর রহমান বলেন, স্থানীয় কাউন্সিলদের কিছু অনুসারী রয়েছেন যাদের ১৮ বছরের উপরে বয়স। এলাকায় রাজনীতি টিকিয়ে রাখতে কেউ কেউ কিশোরদের ব্যবহার করছে। সরাসরি কোনো কাউন্সিল কিশোরদের নিয়ে অপরাধ করার জন্য গ্যাং তৈরি করেছে এমন তথ্য পাইনি। কাউন্সিলদের সহযোগী রয়েছেন এমন কেউ কেউ আছেন তারা কিশোরদের নিয়ে চলাচল করেন। এসব কিশোরদের বেশিরভাগই ছিন্নমূল। বেশিরভাগ কিশোরদের বাবা নেই। মা থাকলেও দেখা যায় অন্যের বাসায় কাজ করেন। এসব বিষয়েও পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে আইনের আওতায় পড়লে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। এসব বিষয়ে রাজনৈতিক পাতিনেতাদের বিভিন্ন সময় থানায় ডেকে শাসানো হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সমাজের ভদ্রলোকরা মনে করেন থানায় অভিযোগ দিতে গেলে বিপদে পড়বেন এজন্য সেই ভয়ে থানায় যান না। এটি সমাজের সবচেয়ে দুর্বলতা এবং নেতিবাচক দিক। যারা সমাজের ভালো মানুষ, শান্তি প্রিয় মানুষ, তারা যদি ঐক্যবদ্ধ হন তবে অনেক কঠিন কাজই সহজ হয়ে যায়। আমি সেটির আহ্বান জানাই। সমাজে ভালো মানুষ যারা তারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান, প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।


আরও খবর



দুই সিনেমার আসছেন নিশো

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

জিটাল ডেস্ক :নির্মাতা রায়হান রাফীর ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় যাত্রা শুরু করেছেন অভিনেতা আফরান নিশোর। 

বেশকিছুদিন বিরতির পর এবার পরপর দুই সিনেমা নিয়ে পর্দায় ফিরছেন জনপ্রিয় এ অভিনেতা। দুটি সিনেমাই তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ প্রযোজনায়। 

সম্প্রতি সিনেমা দুটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসভিএফ আলফা-আই এন্টারটেইনমেন্ট এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই খবর জানিয়েছে।

এদিকে গণমাধ্যম অনুযায়ী জানা যায়, আফরান নিশো নতুন দুটি সিনেমা পরিচালনা করছে রায়হান রাফি ও ভিকি জাহেদ। রাফি পরিচালিত নতুন এই সিনেমার নাম ‘অসিয়ত’; যেটি ২০২৫ সালের রোজার ঈদে মুক্তি পাবে। দ্রুতই সিনেমাটির শুট শুরু হতে যাচ্ছে।

অন্যদিকে, ভিকি জাহেদ যে সিনেমাটি পরিচালনা করছেন সিনেমাটির নাম এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে এই সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটতে যাচ্ছে ছোট পর্দার আলোচিত এই নির্মাতার। 

নতুন দুই সিনেমা প্রসঙ্গে আফরান নিশোর ভাষ্য, ‘যে কোনো সৃষ্টিশীল কাজের সাফল্যের জন্য সময় খুবই প্রয়োজন। সিনেমার অপরিহার্য বিষয় হচ্ছে সব ক্ষেত্রের সঠিক সমন্বয়। 

সমন্বয় যত ভালো হবে, সিনেমা ভালো হওয়ার সম্ভাবনা তত বেড়ে যায়। সময় দেওয়া আর নেওয়ার মাঝেই ভালো সিনেমা। হারিয়ে থাকা যেমন নিখোঁজ সংবাদের আভাস দেয়, তেমনি খুঁজে পাওয়ার আগ্রহ সৃষ্টি করে। 

অনেক নিখোঁজের মাঝে আমি খোঁজ পেয়েছি এসভিএফ আলফা-আই এন্টারটেইনমেন্টের। তারা আমার সঙ্গে দুটি সিনেমার চুক্তি সম্পন্ন করেছেন। তারা আমাকে ও আমি তাদেরকে খুঁজে পেয়েছি, আমি আনন্দিত।’

এ ব্যাপারে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার শাকিল বলেন, ‘আফরান নিশোর বড়পর্দায় ফিরে আসা নিশ্চয়ই এসভিএফ আলফা-আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেডের জন্য রোমাঞ্চকর একটি অধ্যায়ের সূচনা করেছে। 

আমাদের পরবর্তী সিনেমাগুলোয় অভিনয়ে যে কারিশমা দেখাবেন তিনি, সেসব দর্শকের জন্য উন্মোচনের অপেক্ষায় রয়েছি আমরা।


আরও খবর

বিয়ে নিয়ে মুখ খুললেন জায়েদ খান

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




হিটস্ট্রোকের লক্ষণ ও করণীয়

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

তাপজনিত আঘাতের সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা হলো হিটস্ট্রোক। এটিকে চিকিৎসাশাস্ত্রে একটি জরুরি অবস্থা হিসেবে অভিহিত করা হয়। ফলে যখন কারও হিটস্ট্রোক হয় তখন তাকে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা দিতে হয়।

হিটস্ট্রোকের কারণে মৃত্যু, ব্রেন এবং অভ্যন্তরীণ অঙ্গপ্রতঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সাধারণত ৫০ বছর বা তারও বেশি বয়সী মানুষ হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। তবে স্বাস্থ্যবান মানুষও ভয়াবহ এই অবস্থায় পড়তে পারেন।

অতি উচ্চ তাপমাত্রা ও পানিশূন্যতার কারণে হিটস্ট্রোক হয়ে থাকে। হিটস্ট্রোক হলে শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বিকল হয়ে যায়। এরফলে শরীর অস্বাভাবিক গরম হয়ে পড়ে।

হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির মাঝে কিছু লক্ষণ দেখা যায়। সেগুলো হলো

  • মাথা ঝাঁকুনিসহ ব্যথা
  • মাথা ঘোরা এবং হালকা মাথাব্যথা
  • গরম থাকা সত্ত্বেও শরীর দিয়ে ঘাম বের না হওয়া
  • লালচে, গরম এবং শুষ্ক চামড়া
  • পেশী দুর্বলতা
  • বমি বমি ভাব এবং বমি
  • হার্টবিট বেড়ে যাওয়া, যেটি শক্তিশালী হতে পারে আবারও দুর্বলও হতে পারে
  • দ্রুত ও অগভীর শ্বাসপ্রশ্বাস (পর্যাপ্ত বাতাস গ্রহণ করতে না পারা)
  • আচরণগত পরিবর্তন: যেমন বিভ্রান্তি ও হতভম্ব হওয়া
  • খিঁচুনি
  • অজ্ঞান হয়ে যাওয়া

এসব লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। তবে হাসপাতালে নিতে যদি দেরি হয় তাহলে তাৎক্ষণিক কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। 

প্রতিরোধের উপায়


গরমের দিনে কিছু সতর্কতা মেনে চললে হিটস্ট্রোকের বিপদ থেকে বেঁচে থাকা যায়। এগুলো হলো : হালকা, ঢিলেঢালা কাপড় পরিধান করুন। কাপড় সাদা বা হালকা রঙের হতে হবে। সুতি কাপড় হলে ভালো। যথাসম্ভব ঘরের ভিতর বা ছায়াযুক্ত স্থানে থাকুন। বাইরে যেতে হলে চওড়া কিনারাযুক্ত টুপি বা ছাতা ব্যবহার করুন। বাইরে যারা কাজকর্মে নিয়োজিত থাকেন, তারা ছাতা বা কাপড়জাতীয় কিছু ব্যবহার করতে পারেন। প্রচুর পানি ও অন্যান্য তরল পান করুন। মনে রাখবেন, গরমে ঘামের সঙ্গে পানি ও লবণ বের হয়ে যায়। তাই পানির সঙ্গে সঙ্গে লবণযুক্ত পানীয় যেমন খাওয়ার স্যালাইন, ফলের রস, লাচ্ছি পান করুন।

আক্রান্ত হলে করণীয়


দ্রুত শীতল কোনো স্থানে চলে যান। ফ্যান বা এসি ছেড়ে দিন। ভেজা কাপড়ে শরীর মুছে ফেলুন। সম্ভব হলে গোসল করুন। প্রচুর পানি ও খাওয়ার স্যালাইন পান করুন। চা বা কফি পান করবেন না। যদি হিটস্ট্রোক হয়েই যায়, দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে, ঘরে চিকিৎসা করার কোনো সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে রোগীর আশপাশে যারা থাকবেন, তাদের করণীয় হলো : রোগীকে দ্রুত শীতল স্থানে নিয়ে যান। গায়ের কাপড় খুলে দিন। শরীর পানিতে ভিজিয়ে দিয়ে বাতাস করুন। সম্ভব হলে কাঁধে, বগলে ও কুচকিতে বরফ দিন। রোগীর জ্ঞান থাকলে তাকে খাওয়ার স্যালাইন দিন। খেয়াল রাখবেন, হিটস্ট্রোকে অজ্ঞান রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাস ও নাড়ি চলছে কিনা। প্রয়োজন হলে কৃত্রিমভাবে নিঃশ্বাস ও নাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করতে হতে পারে। হিটস্ট্রোকে জীবন বিপদাপন্ন হতে পারে। তাই এ বিষয়ে অবহেলা না করে সবাইকে সতর্ক হতে হবে।

লেখক : ইমেরিটাস অধ্যাপক ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক।


আরও খবর