Logo
শিরোনাম
বান্দরবানে পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর

প্রধানমন্ত্রী সকল ধর্মের মানুষের উন্নয়ন ও কল্যাণে অবিরাম কাজ করছেন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

মো. রেজুয়ান খান ঃ



পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের কল্যাণ চান। তিনি দেশের সকল ধর্মের মানুষের উন্নয়ন ও কল্যাণে অবিরাম কাজ করছেন। প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য জেলাগুলোতে মসজিদ, মাদ্রাসা, বৌদ্ধ বিহার, মন্দির, গীর্জা নির্মাণ করে দিচ্ছেন। এছাড়া চলাচলের পথকে সহজ ও সুগম করতে বন্ধুর এলাকাগুলোতে পাকা রাস্তা, ব্রীজ, কালভার্ট, ইত্যাদি নির্মাণ করে দিচ্ছেন। এজন্য তিনি পার্বত্য তিন জেলার উন্নয়নে  হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছেন। 

আজ বান্দরবান জেলার আলীকদম থানার মারাইংতং ধম্মা জেদী ধর্ম বিহারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও মাঙ্গলিক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি আরও বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গণতান্ত্রিক সরকার। মানুষের কল্যাণে এ সরকার সারাদেশে উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রেখেছে। এ সরকার আগামি ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। আগের কোনো সরকারের আমলে পার্বত্য অঞ্চলে উন্নয়নের এতো জোয়ার ছিল না। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার পার্বত্য এলাকার মানুষের কল্যাণের জন্য অত্যন্ত আন্তরিক। বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নাই। তিনি সরকারের উন্নয়ন কাজে সকলকে আন্তরিক থাকার আহ্বান জানান।

ভরির মুখ মংপাইখই হেডম্যান পাড়া বৌদ্ধ বিহারের বিহারাধ্যক্ষ উঃ উইচারা মহাথের এর সভাপতিত্বে এসময় আলী কদম কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারের বিহারাধ্যক্ষ ভদন্ত উঃ ঞানিকা উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি পরে বিকালে লামা উপজেলার চম্পাতলা বৌদ্ধবিহার উৎসর্গ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে চম্পাতলা বৌদ্ধবিহারের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।

এর আগে মন্ত্রী বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নে ৪৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে চারটি পাকা সড়ক ও একটি ব্রীজ এবং ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে আলীক্ষ্যং জামে মসজিদ নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন উদ্বোধন করেন।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে নির্মিত পাকা সড়ক ও ব্রীজ  এবং মসজিদ নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। পরে মন্ত্রী বাইশারী ইউনিয়নের আলীক্ষ্যং পুলিশ ক্যাম্প মাঠে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে বান্দরবান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল ইসলাম মজুমদার, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বান্দরবান অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন ইয়াছির আরাফাত, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষ্মীপদ দাস, মোজাম্মেল হক বাহাদুরসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

লেখক ঃ

জনসংযোগ কর্মকর্তা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। 


আরও খবর



অবশেষে চেনাব নদীর পানি ছাড়ল ভারত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরদিন রবিবার (১১ মে) চেনাব নদীর বাগলিহার ও সালাল বাঁধের একাধিক গেট খুলে দিয়েছে ভারত। এর ফলে আবারও পাকিস্তানের দিকে পানি প্রবাহিত হতে শুরু করেছে। পেহেলগামে হামলার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত একাধিক কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এর মধ্যে অন্যতম ছিল পাকিস্তানের দিকে পানি প্রবাহ বন্ধ করা এবং পাকিস্তানি নাগরিকদের দেশ ছাড়ার নির্দেশ।

ভারত সরকার সাময়িকভাবে সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত করে এবং চেনাব নদীর প্রবাহ আটকে দেয়। ফলে পাকিস্তানের দিকে চেনাব নদীর পানির স্তর আশঙ্কাজনকভাবে কমে যায়। খবর দ্য ডনের।

ভারতের প্রশাসন জানিয়েছে, সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরে টানা বৃষ্টির কারণে বাগলিহার ও সালাল বাঁধে পানির স্তর বেড়ে গিয়েছিল।

বাঁধে অতিরিক্ত পানি জমে থাকায় তা ছেড়ে দেওয়ার প্রয়োজন হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, পানি না ছাড়লে বাঁধের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে বিপর্যয় সৃষ্টি হতে পারত।

যদিও সরকারিভাবে এখন পর্যন্ত বাঁধের গেট খোলার প্রকৃত কারণ জানানো হয়নি। গেট খোলার ফলে পাকিস্তানে চেনাব নদীর শুকিয়ে যাওয়া এলাকাগুলোতে আবারও পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

এতে একইসঙ্গে নদীর নিচু অঞ্চলগুলো প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পাকিস্তানি প্রশাসন ইতোমধ্যেই কিছু এলাকায় বন্যার সতর্কতা জারি করেছে।


আরও খবর



ডোপ টেস্ট দিয়ে শাবিপ্রবিতে ভর্তি হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

২০১৯-২০ সেশন থেকে ষষ্ঠবারের মতো ডোপ টেস্টের মাধ্যমে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন সামাজিক বিজ্ঞান ভবনে এ ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, অনেক শিক্ষার্থীর রক্তের গ্রুপ জানা থাকে না। সেজন্য প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠন সঞ্চালন রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ের পরীক্ষা করছে। এরপর ডোপ টেস্ট করা হচ্ছে। এ টেস্টে কোন শিক্ষার্থী পজিটিভ হলে তাকে কাউন্সেলিং করা হবে।

এবার ভর্তি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে স্বয়ংক্রিয় ওয়ান স্টপ সার্ভিস পদ্ধতিতে। ভর্তি কার্যক্রমে সাতটি ধাপের মধ্যে রক্ত পরীক্ষা, ডোপ টেস্ট, স্বাক্ষর যাচাই, তথ্য যাচাই ও রেজিস্ট্রেশন, ভর্তি ফি প্রদান, চূড়ান্ত রেজিস্ট্রেশন যাচাই এবং হল সংযুক্তিসহ আবাসন আবেদন রয়েছে।

এদিকে প্রথমদিন ইউনিটে (বিজ্ঞান) উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে মেধাক্রম ১ থেকে ৫০০ পর্যন্ত ডাকা হয়েছে। দ্বিতীয় দিন বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত চলবে ইউনিটের ভর্তি কার্যক্রম। এদিন ৫০১ থেকে ৯৫৫তম শিক্ষার্থীদের ডাকা হয়েছে। একই দিনে স্থাপত্য বিভাগে ১ থেকে ৩০তম শিক্ষার্থীদের ডাকা হয়েছে।

ভর্তির তারিখ ও ফি পরিবর্তন

১৭ এপ্রিল বি ইউনিটের (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য অনুষদ) ভর্তি কার্যক্রম অনিবার্য কারণে পরিবর্তন করে ২২ এপ্রিল পুননির্ধারণ করা হয়েছে। এবার কোটাসহ ২৮টি বিভাগে এবার মোট আসন এক হাজার ৬৭১টি।

অন্যদিকে গত শুক্রবার (১১ এপ্রিল) এক জরুরী একাডেমিক কাউন্সিলে ২০২৪-২৫ সেশনে ভর্তি ফি পুনর্বিবেচনা করে ১৪ হাজার ৯০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা এর আগে ছিল ১৭ হাজার টাকা। ২০২৩-২৪ সেশন ভর্তি ফি ছিল ১৮ হাজার টাকা। ফলে এবার ভর্তি ফি কমেছে ৩ হাজার ১০০টাকা।


আরও খবর



মোরেলগঞ্জে একটি শতবর্ষী মসজিদের নামকরন বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্র

প্রকাশিত:শনিবার ১০ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

বাগেরহাট প্রতিনিধি :

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার উত্তর চিংড়াখালী খানবাড়ি জামে মসজিদে নামকরণ নিয়ে চলমান বিরোধ ও জুমার নামাজে অশান্তি সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে। মসজিদটির নাম বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্রে একটি কুচক্রী মহল  মেতে উঠেছে ।  তবে, (গত ৯ মে শুক্রবার) জুমার নামাজের সময় আবারও উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে মোকাম বাগেরহাট বিজ্ঞ মোরেলগঞ্জ সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে।  

  শতবর্ষী মসজিদটি স্থানীয় খান পরিবার ও মুসল্লিদের অর্থায়নে নির্মিত, দলিল, ইউটিলিটি বিল, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও গুগল ম্যাপে “খানবাড়ি জামে মসজিদ” নামে নথিভুক্ত। তবে একটি গোষ্ঠী দাবি করছে, মসজিদের নাম পরিবর্তন করতে হবে। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান থাকলেও, অভিযোগ রয়েছে যে বিবাদী পক্ষ নিয়মিতভাবে মসজিদে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। এর প্রতিকার চায় শত শত মুসল্লি ও স্থানীয়রা।

গত শুক্রবার পোলেরহাট ফাঁড়ি পুলিশ সরেজমিনে গিয়ে মসজিদে নামাজ আদায় করেন। নামাজের সময় মোঃ কিসলু কাজী ও আমিনুল ইসলাম জুলহাস সরদার সহ কয়েকজন হুংকার দিয়ে মসজিদের নাম পরিবর্তনের দাবি তোলেন। পুলিশ তাদের আইন মানার নির্দেশ দিলে উত্তাপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। মুসল্লিরা অভিযোগ করেন, এই গোষ্ঠীর প্রতি জুমায় ইচ্ছাকৃতভাবে অস্থিরতা সৃষ্টি করে এবং খান পরিবারসহ সাধারণ মানুষকে হুমকি  দিয়ে আসছে।  এতো পুরানো মসজিদের তারা নাম চেইঞ্জ করতে বললেই কি করা সম্ভব?।

২০২৫ সালে মসজিদের জমিদাতা মৃত হাবিবুর রহমান খান-এর সন্তান ও সাবেক সেনা সদস্য মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান খান (বর্তমান সভাপতি)-এর বাড়িতে হামলা হয়েছে যা আদালতে বিচারাধীন। এছাড়া খান পরিবার ও মুসল্লিদের বিরুদ্ধে হত্যার হুমকি, ভীতি প্রদর্শন ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। অভিযুক্তদের তালিকায় স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়েছে মামলায়।

 মোরেলগঞ্জ থানার ওসি বিষয়টি অবহিত আছেন। পুলিশ উভয় পক্ষকে আদালতের রায় মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে এবং অশান্তি সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

একাধিক মুসল্লি ও স্থানীয়রা বলেন, আইন নিজ হাতে তুলে নেওয়া থেকে বিরত থাকতে এবং ধর্মীয় স্থানের পবিত্রতা রক্ষায় সহযোগিতা করতে হবে।


আরও খবর



ইতিহাসের সেরা নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে এই নির্বাচন হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোত্তম এবং দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় একটি মাইলফলক।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপষ্টোর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে (এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস) এএনএফআরইএল-এর প্রতিনিধিদলকে তিনি এই আশ্বাস দেন।

এএনএফআরইএল-এর প্রতিনিধিদলে ছিলেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ব্রিজা রোসালেস, বাংলাদেশ নির্বাচন ও গণতন্ত্র কর্মসূচির পরামর্শক মে বুটয়, ক্যাম্পেইন ও অ্যাডভোকেসি বিভাগের সিনিয়র প্রগ্রাম কর্মকর্তা থারিন্দু আবেরথনা, প্রগ্রাম কর্মকর্তা আয়ান রহমান খান এবং প্রগ্রাম অ্যাসোসিয়েট আফসানা আমে।

এএনএফআরইএল হচ্ছে এশিয়ার বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনের একটি আঞ্চলিক নেটওয়ার্ক, যা গত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে নির্বাচনী গণতন্ত্রের অগ্রগতিতে কাজ করছে। সংস্থাটি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ, গণতান্ত্রিক সংস্কার এবং নাগরিক অংশগ্রহণে সক্রিয়ভাবে সহায়তা করে যাচ্ছে।

সাক্ষাৎকালে এএনএফআরইএল বাংলাদেশে চলমান তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে জানায়; বিশেষ করে স্বাধীন, নাগরিক-নেতৃত্বাধীন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ প্রচেষ্টা পুনর্গঠনে তাদের অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরে। প্রতিনিধিদল স্টেকহোল্ডার ম্যাপিং ও প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করে, যার উদ্দেশ্য হলো নাগরিক সমাজের অংশগ্রহণ জোরদার করা এবং নির্বাচনী স্বচ্ছতা উন্নত করার সুযোগ চিহ্নিত করা।


আরও খবর



রপ্তানিমুখী খাতে কালোটাকা বিনিয়োগের সুযোগ দাবি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

রপ্তানিমুখী খাতে অপ্রদর্শিত অর্থ (কালোটাকা) বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া, নতুন শিল্পে জ্বালানির নিশ্চয়তা দেওয়াসহ টেক্সটাইল ও গার্মেন্ট খাতে সমস্যা নিরসনে ১৪ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছেন দি ইনস্টিটিউশন অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড টেকনোলজিস্টস (আইটিইটি), বাংলাদেশের নেতারা। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে প্রাক-বাজেট আলোচনা উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব প্রস্তাবনা তুলে ধরেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তৃতায় আইটিইটির সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মো. এনায়েত হোসেন বলেন, বর্তমান বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দার কারণে বাংলাদেশও নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পের ওপর। ২০২৩ ও ২০২৪ সালে শ্রমিক অসন্তোষ, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ ঘাটতি, অনিয়মিতভাবে গ্যাসের সরবরাহ, অন্যদিকে ২০২৩ সালে হঠাৎ করে গ্যাসের মূল্য ২৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। ফলে টেক্সটাইল শিল্পকারখানাগুলোকে চ্যালেঞ্জ ও ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত গ্যাস ও জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে বর্তমান কাঠামোর মধ্যেই ৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি সম্ভব।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের একটি বিরাট সুযোগ সৃষ্টি হবে যদি আমরা ম্যান মেইড ফাইবার ও ফেব্রিক তৈরি করে উন্নতমানের ফ্যাশনেবল গার্মেন্ট রপ্তানি করতে পারি। এজন্য বিশাল আকারের বিনিয়োগ এবং জ্বালানির নিশ্চয়তা ও সহজলভ্যতা প্রয়োজন। তৈরি পোশাকশিল্পের মূল্যহ্রাস পাওয়ায় এবং গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি, শ্রমিকের বেতন বৃদ্ধি ও অধিকতর মূলস্ফীতির কারণে ইতোমধ্যে ৫শ ছোট-বড় কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। দেশের অর্থনীতির চাকাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হলে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় টেক্সটাইল খাতে বিপুল পরিমাণে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। বেকারত্ব দূর করতে হলে প্রাইমারি ও তৈরি পোশাকশিল্পকে সচল ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তৎকালীন সরকার উৎপাদনমুখী শিল্পে যে কোনো পরিমাণ বিনিয়োগে প্রশ্ন ব্যতীত অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগ করার সুযোগ দিয়েছিল। সে সময় তার সুফল পাওয়া গিয়েছিল। শিল্পে প্রচুর পরিমাণে বিনিয়োগ হয়েছিল।

এছাড়া কালোটাকা বা অপ্রদর্শিত টাকা শিল্পে বিনিয়োগের ফলে টাকা পাচারকে অনুৎসাহিত করা গেছে। আসন্ন বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ শিল্প ক্ষেত্রে বিনিয়োগের সুবিধা প্রদান করার জোর দাবি জানাচ্ছি। এছাড়াও গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়মিতকরণ, ব্যাংক সুদের হার ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা, ব্যাংকিং চার্জ কমানো, বন্দরের চার্জ হ্রাস, শ্রমিক অসন্তোষ, রাজনৈতিক অস্থিরতা প্রভৃতি বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে শিল্প উৎপাদনে গতিশীলতা আনতে পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।

এ খাতের সমস্যা নিরসনে ১৪ দফা প্রস্তাবনা দিয়ে বলা হয়, নতুন শিল্প স্থাপনে গ্যাসের পূর্ব মূল্য ফিরিয়ে আনা, পোশাক রপ্তানি শুল্কহার কমানো, বস্ত্র খাতে বিদেশি কর্মী নিয়োগের সঠিকতা যাচাই করা, খুচরা যন্ত্রাংশ ও ডাইং কেমিক্যাল আমদানিতে শুল্ক কমানো, টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সংকট নিরসনে ৫০ একর নতুন জমি বরাদ্দ দেওয়া, তুলা ডাম্পিংয়ের জন্য ফ্রি জোন প্রতিষ্ঠা করা, শিল্পের জন্য বাজেটে বিশেষ প্রণোদনা রাখা, বন্ডেড ওয়্যারহাউজ নীতিমালার পরিবর্তন, শিল্প কারখানায় সোলার সিস্টেম স্থাপনে কর কমানো, বাংলাদেশের বিভিন্ন দূতাবাসে কমার্শিয়াল উইংয়ে ন্যূনতম একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ দেওয়া এবং সরকারি উদ্যোগে ডাইস ক্যামিক্যাল ও মেশিন ম্যানুফেকচারিং প্ল্যান্ট স্থাপনের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হলে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।


আরও খবর