স্টাফ রিপোর্টার :
নওগাঁয় দাখিল পরীক্ষায় পাসের হার কম থাকায় ৭টি মাদ্রাসার শিক্ষকদের বেতন বন্ধের জন্য শোকজ করেছে মাদ্রাসা অধিদপ্তর।
চলতি বছরের দাখিল পরীক্ষায় ১০ শতাংশের কম শিক্ষার্থী এই প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে পাস করেছিলো। এতে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ভাবমুর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ফল বিপর্যয় হওয়ায় এসব মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন কেনো বন্ধ করা হবে না তা জানতে চেয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে। গত রবিবার ঐ ৭জন প্রতিষ্ঠান প্রধানকে পাঠানো শোকজ নোটিশ প্রকাশ করেছে মাদ্রাসা অধিদপ্তর।
জানা যায়, ফল বিপর্যয় প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার ছোট মহারান্দি টেকনিক্যাল দাখিল মাদরাসার ২০জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে মাত্র ২জন, পাশের হার ১০ শতাংশ, একই উপজেলার নির্মল দারাজিয়া দাখিল মাদরাসার মাদরাসার ১৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১ জন, পাশের হার ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ, দিবার সিদ্দিকী নগর দাখিল মাদরাসার মাদরাসার ২৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১জন, পাশের হার ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ। ফরিদপুর নেছারিয়া দাখিল মাদরাসার মাদরাসার ২১জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ২জন, পাশের হার ৪ শতাংশ।
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার পঞ্চপুর আলিম মাদরাসার মাদরাসার ২২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১জন, পাশের হার ৯ দশমিক ৯ শতাংশ, একই উপজেলার বিথী সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার মাদরাসার ১৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১ জন, পাশের হার ৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ। রাজাপুর সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদরাসার মাদরাসার ২১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১ জন, পাশের হার ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত শোকজ নোটিশে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের জানানো হয়েছে, মাদরাসা গুলোর কম পাসের হার এমপিও নীতিমালা পরিপন্থি। প্রতিষ্ঠান গুলো এ কর্মকাণ্ডে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। এসব মাদ্রাসা গুলোর শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও সাময়িকভাবে স্থগিত বা স্থায়ীভাবে বন্ধের ব্যবস্থা কেনো গ্রহণ করা হবে না তার জবাব আগামী ১৫ দিনের মধ্যে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে।
অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই গণিত বিষয়ে ফেল করেছে বলে বলে জানা যায়।