Logo
শিরোনাম

রাঙ্গাবালীতে পলাতক ছাত্রদল নেতাসহ দুইজন গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

নিজস্ব সংবাদদাতা, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) :

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে সাজাপ্রাপ্ত ছাত্রদল নেতাসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  বুধবার দুপুরে তাদের পটুয়াখালী জেল হাজতে প্রেরণ করা হয় বলে জানান রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম মজুমদার।

ওসি জানান, ঢাকায় অভিযান চালিয়ে সিআর সাজা-৮৩২/১৯ মামলায় দুই মাসের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এবং ৭০ হাজার ৭৩৯ টাকার অর্থ দন্ডে দন্ডিত আসামী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ নুর মোহম্মদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে এই মামলা ছাড়াও গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। 

পৃথক  সিআর ৮৭৫/১৯ মামলায় চার  মাসের কারাদন্ডপ্রাপ্ত এবং ২ লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত আসামি  গোলাম আজমকেও ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।  আজম উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের কাউখালী গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। 


আরও খবর

লিগ্যাল নোটিশ

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪




নওগাঁয় ট্রাকের চাপায় ভ্যান চালকের মৃত্যু, দু'জন যাত্রী আহত

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার: 

নওগাঁয় ট্রাকের চাপায় এক চার্জার ভ্যান চালকের মৃত্যু, এদূর্ঘটনায় আহত হয়েছেন দু'জন ভ্যান যাত্রী। মর্মান্তিক এ সড়ক দূর্ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার দুপুরে নওগাঁ টু রাজশাহী মহাসড়কের মান্দা উপজেলার হাজী গোবিন্দপুর মোড় নামক এলাকায়।

নিহত ভ্যান চালক হলেন, নওগাঁর মান্দা উপজেলার কালিসফা গ্রামের ফরজান আলী (৬৮)। আহত দু'জন ভ্যান যাত্রী হলেন, কালিসফা গ্রামের রফিকুল ইসলাম (৪৬) এবং নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার খুদ্দকালনা গ্রামের আবদুল জলিল (৩৯) বলে প্রাথমিকভাবে জানাগেছে। আহতদের উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানিয় ইউপি চেয়ারম্যান নওফেল আলী মণ্ডল জানান, নিহত ফরজান আলী তার চার্জার ভ্যানে দুজন যাত্রী নিয়ে ফেরি ঘাটের দিকে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে হাজী গোবিন্দপুর মোড় এলাকায় পৌছালে এসময় নওগাঁ অভিমুখি একটি ট্রাক অপর একটিকে অভারটেক করতে গিয়ে ভ্যান টিকে চাপা দেয়। এতে দূর্ঘটনাস্থলেই ভ্যান চালক ফরজান আলীর মৃত্যু হয়। একজন নিহত ও দু'জন আহতের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাম্মেল হক কাজী।


আরও খবর

রাজশাহীতে গলাকাটা এক নারীর লাশ উদ্ধার

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪




হদিস নেই পুলিশের প্রায় ৮০০ সদস্যের

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে যাওয়া বিভিন্ন পর্যায়ে প্রায় ৮০০ পুলিশ সদস্য এখনও কাজে যোগদান করেননি। কয়েক দফায় তাদের কাজে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হলেও কোনো হদিস নেই এসব সদস্যের। তারা কোথায় আছেন, সে বিষয়েও কোনো তথ্য নেই পুলিশ সদর দপ্তরের কাছে। হদিস নেই পুলিশের বিতর্কিত কর্তাদের

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমাতে প্রথম থেকেই বিতর্কিত ভূমিকায় ছিলেন পুলিশের কিছু শীর্ষ কর্মকর্তা। আন্দোলনকারীদের হয়রানি, সমন্বয়কদের হেফাজতে নিয়ে নির্যাতনসহ নির্বিচারে গুলি করে শতশত ছাত্র-জনতা হত্যার নির্দেশ-দাতা বিতর্কিত এসব কর্মকর্তা এখন লাপাত্তা। তাদের অবস্থান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যম ফেসবুকে নানা গুঞ্জন ছড়াচ্ছে। খোদ পুলিশের মধ্যেই আছে নানা আলোচনা। কেউ বলছেন, তারা একটি বিশেষ বাহিনীর হেফাজতে আছেন। কারও দাবি, তারা প্রশাসনের সহায়তায় দেশ ছেড়েছেন

 

আবার গণপিটুনি খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন-এমন তথ্যও ছড়ানো হয়েছে। পলাতক এসব কর্মকর্তার মধ্যে আছেন সাবেক এসবি প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাবেক প্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, অ্যাডিশনাল ডিআইজি প্রলয় কুমার জোয়ারদার, ঢাকা জেলার সাবেক ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম প্রমুখ। প্রকৃত পক্ষে তারা কোথায় আছেন, কেন আইনের আওতায় আসছেন না, সে বিষয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। এসব কর্মকর্তাসহ পুলিশের শীর্ষ অনেকের বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলাও হয়েছে। এখন পর্যন্ত তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক ও সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য শীর্ষ কর্তারা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় পুলিশে একচ্ছত্র প্রভাব ছিল সাবেক এসবিপ্রধান মনিরুল ইসলামের। বিসিএস ১৫তম ব্যাচের এ কর্মকর্তার বাড়ি গোপালগঞ্জের মোকসুদপুরে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থা-ভাজন হওয়ায় পুলিশে অঘোষিত ডন ছিলেন তিনি। তার কথার বাইরে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন না তৎকালীন আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন

আবার গণপিটুনি খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন-এমন তথ্যও ছড়ানো হয়েছে। পলাতক এসব কর্মকর্তার মধ্যে আছেন সাবেক এসবি প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাবেক প্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, অ্যাডিশনাল ডিআইজি প্রলয় কুমার জোয়ারদার, ঢাকা জেলার সাবেক ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম প্রমুখ। প্রকৃত পক্ষে তারা কোথায় আছেন, কেন আইনের আওতায় আসছেন না, সে বিষয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। এসব কর্মকর্তাসহ পুলিশের শীর্ষ অনেকের বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলাও হয়েছে। এখন পর্যন্ত তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক ও সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য শীর্ষ কর্তারা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় পুলিশে একচ্ছত্র প্রভাব ছিল সাবেক এসবিপ্রধান মনিরুল ইসলামের। বিসিএস ১৫তম ব্যাচের এ কর্মকর্তার বাড়ি গোপালগঞ্জের মোকসুদপুরে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থা-ভাজন হওয়ায় পুলিশে অঘোষিত ডন ছিলেন তিনি। তার কথার বাইরে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন না তৎকালীন আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন

সূত্র বলছে, ৫ আগস্ট পুলিশ সদর দপ্তর থেকে দেওয়াল টপকে বের হয়ে লাপাত্তা হন তিনি। তার অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন সময় নানা গুঞ্জন রটেছে। তিনি হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় একটি বাহিনীর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন-এমন তথ্য ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যম ফেসবুকে। আবার তিনি সীমান্ত পারি দিয়ে দেশ ছেড়েছে-এমন তথ্যও ফেসবুকে ছড়িয়েছে। তার বিরুদ্ধে অন্তত ৫০টি হত্যা মামলা হয়েছে। কিন্তু তাকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী


আরও খবর

বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সংসদ থেকে উধাও প্রায় এক কোটি টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পরই গণভবন ও জাতীয় সংসদে ব্যাপক লুটপাট হয়। এই লুটপাটে জাতীয় সংসদ থেকে দাপ্তরিক ও ব্যক্তিগত মিলে প্রায় এক কোটি টাকা হারিয়ে গেছে।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়

এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদ ভবনের সার্বিক পরিস্থিতি অবহিতকরণ সম্পর্কিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় ভারপ্রাপ্ত সচিব জেবুন্নেসা করিম সভাপতিত্ব করেন। সভায় জাতীয় সংসদ ভবনের বিভিন্ন অনুবিভাগ প্রধানরা অংশগ্রহণ করেন এবং নিজ নিজ অনুবিভাগের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন। তারা জরুরি ভিত্তিতে কিছু মেরামত কাজ করানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন

সংসদ সচিবালয় জানায়, দাপ্তরিক ও ব্যক্তিগত মোট ৯০ লাখ টাকা (আনুমানিক) পরিমাণ অর্থ হারিয়ে যায়। নগদ এই অর্থ ফেরতের লক্ষ্যে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে অবহিতকরণ সভায়

সংসদ ভবনের বিভিন্ন কার্যালয়, অধিশাখা ও শাখার হারানো ও ক্ষতিগ্রস্ত মালামালের তালিকা প্রস্তুত করে স্ব স্ব অনুবিভাগ প্রধানের কাছে দাখিলেরও সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানানো হয়

সংসদ থেকে আরও জানানো হয়, সংসদ ভবন, সংসদ সদস্য ভবন (মানিক মিয়া ও নাখাল পাড়া), পুরাতন এমপি হোস্টেল, মন্ত্রী হোস্টেল, সচিব হোস্টেল ও সংসদ ভবন আবাসিক এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করা এবং উপরোক্ত এলাকার ভাঙা, হারানো ও ক্ষতিগ্রস্ত মালামাল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্ত ৩টি কমিটি গঠিত হয়

কমিটিগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত ও স্তূপীকৃত মালামাল সরেজমিন পরিদর্শন করে শপথকক্ষে জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এছাড়া জাতীয় সংসদ ভবনে ক্ষতিগ্রস্ত কম্পিউটার, প্রিন্টার, স্ক্যানার, ইন্টারনেট সংযোগ, টেলিফোন এক্সচেঞ্জ, লাইন ও সেটসমূহ জরুরি ভিত্তিতে মেরামত করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানায় সংসদ সচিবালয়


আরও খবর

বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ফেনীতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা

প্রকাশিত:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা
বুধবার, ২১ আগস্ট ২০২৪, ৬ ভাদ্র ১৪৩১


 বিডি ডেস্কঃ

ফেনী, ২১ আগস্ট, ২০২৪ (বাসস) : জেলায় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। একইসঙ্গে ছাগলনাইয়া ও দাগনভূঞা উপজেলার আরও একাধিক এলাকা জলমগ্ন হয়েছে।
আজ বুধবার সকালে তথ্যগুলো জেলা প্রশাসনের একাধিক সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ভুক্তভোগীদের আকুতি, এত পানি তারা জীবনে দেখেননি।
উপজেলা প্রশাসন, স্বেচ্ছাসেবক, স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজানের পানিতে প্রবল বন্যায় পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলায় পানির তীব্র স্রোতের কারণে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা ব্যহত হচ্ছে। যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে, বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ। এতে মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন জনপদের লক্ষাধিক মানুষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেড়মাসের ব্যবধানে তৃতীয় দফায় ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে মানুষ। গত কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টি ও ভারতের উজানের পানিতে গত সোমবার দুপুর থেকে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পূর্বের ১৭টি ভাঙন স্থান দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে শুরু করে। এতে তিন উপজেলার রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম বলেন, নদীর পানি বিপৎসীমার ৮৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতো পানি আগে কখনো দেখা যায়নি। মানুষকে উদ্ধারেও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। আমরা অসহায়বোধ করছি। পরিস্থিতি খুবই খারাপ। এখনো  পানি বাড়ছে।
ফেনী আবহাওয়া অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যবেক্ষক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, গত তিনদিন মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। জেলায় আজ সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ৭২ ঘণ্টা বৃষ্টি অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
পরশুরামের সলিয়া এলাকার বাসিন্দা হাবিব স্বপন বলেন, বন্যা পরিস্থিতি এমন হবে কেউ বুঝতে পারেনি। সোমবার রাত থেকে বিদ্যুৎ নেই। এতে অনেক বেশি ভোগান্তি দেখা দিয়েছে।
পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা হাবিব শাপলা জানান, ভয়াবহ বন্যায় পরশুরাম পৌরসভা ও উপজেলার প্রায় অধিকাংশ গ্রাম প্লাবিত  হয়েছে, পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অসংখ্য মানুষ। এ পর্যন্ত প্রায় কয়েকশত লোককে উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত একজন লোক নিখোঁজ হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। আরও ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার এবং ৫০ টন চাল মজুদ রয়েছে।
ফুলগাজীর উত্তর দৌলতপুর এলাকার বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম রাজু বলেন, গতরাত ৩টার দিকে বুক সমান পানি ডিঙ্গিয়ে পরিবারসহ অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি। চারদিকে পানি থইথই। ঘরবাড়ি সব ডুবে গেছে। জিনিসপত্র কোনো কিছুই বের করতে পারিনি।
কিসমত ঘনিয়ামোড়া এলাকার বাসিন্দা লোকমান হোসেন বলেন, ঘরের ছাদ পর্যন্ত পানিতে তলিয়ে গেছে। মানুষদের উদ্ধারে দু'একটি নৌকা কাজ করলেও পানির স্রোতের কারণে সম্ভব হচ্ছে না।
ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া ভূঁইয়া জানান, ফুলগাজী উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের প্রায় অধিকাংশ গ্রাম প্লাবিত  হয়েছে, পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অসংখ্য মানুষ। গতকাল রাত ১০টা থেকে ফায়ার সার্ভিস এবং স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায়  ডিঙি নৌকা দিয়ে এ পর্যন্ত কয়েকশত লোককে উদ্ধার করেছে। সেনাবাহিনী এবং কোস্টগার্ডের সহায়তায় উদ্ধার কাজ শুরু হচ্ছে। একজনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। আরও ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার এবং ১৮ টন চাল মজুদ রয়েছে।
এ ব্যাপারে ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেন, সেনাবাহিনী ও কোস্টগার্ডের স্পিডবোট নিয়ে বন্যা দুর্গতদের উদ্ধারে কার্যক্রম শুরু করেছে। সীমান্ত এলাকায় স্থানীয় বিজিবি সদস্যরা উদ্ধারকাজে নিয়োজিত রয়েছেন।


আরও খবর

বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বাংলাদেশকে যে দলই হাল্কাভাবে নেবে তারা ভুগবে

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে টেস্ট ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের আসন্ন ভারত সফর। এরপর ২৭ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। দুই টেস্টের পাশাপাশি তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে টাইগারদের। সম্প্রতি পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে টেস্টে হোয়াটওয়াশ করে দারুণ ছন্দে রয়েছে নাজমুল শান্তর দল। তবে টাইগারদের সামনে এবারের ভারত চ্যালেঞ্জ কেমন হবে, সেটি নিয়েই চলছে নানা পর্যালোচনা। টেস্টে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান রোহিতদের বিপক্ষে কথা বললেও, এবারের সিরিজে শান্ত-সাকিবরা লড়াই আভাস দিয়ে রাখছে।

তার আগে রোহিত শর্মাদের সতর্ক করলেন সুনীল গাভাস্কার। পাকিস্তানকে দেখে শেখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। কয়েক দিন আগেই পাকিস্তানকে তাদের ঘরের মাঠে দুই টেস্টের সিরিজে চুনকাম করে জিতেছে বাংলাদেশ। তাই তাদের হাল্কা ভাবে না নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গাভাস্কার

তিনি বলেন, পাকিস্তানকে তাদের দেশে দুটো টেস্টে হারিয়ে বাংলাদেশ বুঝিয়ে দিয়েছে ওরা শক্তিশালী দল। কয়েক বছর আগেও যখন ভারত বাংলাদেশে খেলতে যেত, কড়া টক্কর হত। এখন পাকিস্তানকে হারিয়ে ওদের আত্মবিশ্বাস অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। ভারতকে হারানোর কথা ভাবছে ওরা

ঘরের মাঠে বরাবরই শক্তিশালী দল বাংলাদেশ। কিন্তু বিদেশে তেমন খেলতে পারত না তারা। এবার সেই পরিস্থিতি নেই বলেই মনে করেন গাভাস্কার। পাকিস্তান সেই ভুলই করেছিল বলে মনে করেন তিনি। বাবর আজমদের দেখে রোহিতদের শেখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি

এ নিয়ে গাভাস্কার বলেন, ওদের দলে বেশ কয়েক জন ভাল ক্রিকেটার রয়েছেআন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিদেশে গিয়ে ওরা আর খেলতে ভয় পায় না। তাই যে দলই ওদের হাল্কাভাবে নেবে তারা ভুগবে। পাকিস্তান ভুগেছে। ওদের দেখে ভারতের শিখতে হবে। মাঠে নেমে নিজেদের সেরাটা দিতে হবে

টেস্টের ইতিহাসে যে দুই দেশকে বাংলাদেশ কোনও দিন হারাতে পারেনি তার একটি ভারত এবং অপরটি দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতের বিপক্ষে ১৩টি টেস্টের মধ্যে ১১টি জিতেছে ভারত। দুইটি টেস্ট ড্র হয়েছে। ২০২২ সালে ঢাকায় ভারতের বিপক্ষে জয়ের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল বাংলাদেশ। চতুর্থ ইনিংসে ১৪৫ রান তাড়া করতে নেমে ৭৪ রানে ৭ উইকেট পড়ে গিয়েছিল ভারতের। সেখান থেকে রবিচন্দ্রন অশ্বিন (৪২) ও শ্রেয়স আয়ারের (২৯) জুটি ভারতকে জেতায়


আরও খবর

সাকিবের সামনে নতুন ইতিহাস গড়ার হাতছানি

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪