Logo
শিরোনাম

সাগর উত্তাল, টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

বৈরি আবহাওয়ায় সাগর উত্তাল থাকায় বুধবার (৪ অক্টোবর) সকাল থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফ অঞ্চলের ট্রাফিক সুপারভাইজার জহির উদ্দিন ভূঁইয়া।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফ অঞ্চলের ট্রাফিক সুপারভাইজার জহির উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত থাকায় বুধবার টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে।

তিনি আরও জানান, তবে দ্বীপে ভ্রমণে আসা বেশ কিছু পর্যটক সেখানে রাতযাপন করছিলেন। তাদের আরও একরাত সেখানে থাকতে হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নিয়ে আসা হবে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, বৈরী আবহাওয়ার ফলে সমুদ্র উত্তাল থাকায় বুধবার এ রুটে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে। ভ্রমণে আসা বেশকিছু পর্যটক দ্বীপে অবস্থান করছেন। তাদের খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে আবার জাহাজ চলাচল শুরু হবে।

জানা যায়, মঙ্গলবার বারো আউলিয়া নামে একটি পর্যটকবাহী জাহাজে করে দ্বীপ ভ্রমণে যান ৪শর বেশি পর্যটক। একই দিন বিকালে ২শ’ পর্যটক দ্বীপ ছাড়লেও বাকি দুই শতাধিক সেখানে অবস্থান করছেন।

জাহাজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত বুধবার থেকে অনুমতি নিয়ে কক্সবাজার-টেকনাফ দমদমিয়া ঘাট থেকে বারো আউলিয়া নামে একটি জাহাজ এ নৌরুটে চলাচল শুরু হয়। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে দ্বিতীয় বারের মতো আজ (বুধবার) জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে।


আরও খবর



এপ্রিলে সড়কে ৫৯৩ দুর্ঘটনায় নিহত ৫৮৮

প্রকাশিত:রবিবার ১১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

বিদায়ি এপ্রিল মাসে দেশের সড়কে ৫৯৩টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ৫৮৮ জন নিহত এবং ১১২৪ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৮৬ জন নারী এবং ৭৮ জন শিশু রয়েছে।

এ সময়ে ২১৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২২৯ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ৭টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৮ জন নিহত এবং ৪ জন আহত হয়েছেন। ২২টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত এবং ৬ জন আহত হয়েছেন।

রবিবার (১১ মে) সকালে সংবাদমাধ্যমে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমানের পাঠানো এপ্রিলের সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকা বিভাগে সর্বাধিক ১৭৩টি দুর্ঘটনায় ১৫৪ জন নিহত হয়েছেন। রংপুর বিভাগে সবচেয়ে কম ৩১টি দুর্ঘটনায় ৩২ জন নিহত হয়েছেন। জেলা হিসেবে চট্টগ্রামে ৩৫টি দুর্ঘটনায় ৪৬ জন নিহত হয়েছে। নীলফামারী জেলায় দুর্ঘটনা ঘটলেও প্রাণহানি হয়নি। রাজধানীতে ৩৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত এবং ২৭ জন আহত হয়েছেন।

সড়ক দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের অদক্ষতা ও মানসিক অসুস্থতা, বেতন-কর্মঘন্টা নির্দিষ্ট না থাকা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যান চলাচল, তরুণদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, জনসাধারণের ট্রাফিক আইন না মানা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এবং বিআরটিএর সক্ষমতার ঘাটতির কথা বলা হয়েছে।

সুপারিশ হিসেবে দক্ষ চালক তৈরি, চালকদের বেতন-কর্মঘণ্টা নির্ধারণ, বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি, পরিবহন মালিক-শ্রমিক ও পথচারীদের ট্রাফিক আইন মানার বাধ্যবাধকতা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন বন্ধ এবং আলাদা সার্ভিস রোড তৈরি, মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ, গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ এবং সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ কার্যকর করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

দুর্ঘটনা পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, গত মার্চ মাসে ৫৮৭টি দুর্ঘটনায় ৬০৪ জন নিহত হয়েছিলেন। প্রতিদিন গড়ে ১৯.৪৮ জন নিহত হলেও এপ্রিলে এই সংখ্যা ১৯.৬ জনে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ, প্রাণহানি কমার লক্ষণ নেই। অধিকাংশ দুর্ঘটনা ঘটে অতিরিক্ত গতির কারণে। এই গতি নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তিগত নজরদারি এবং চালকদের মোটিভেশনাল প্রশিক্ষণ জরুরি।

এ ছাড়া পেশাগত সুযোগ-সুবিধার অভাবে যানবাহন চালকরা শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাই সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে চালকদের পেশাগত সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।


আরও খবর



রাণীনগরে মহান মে দিবস পালিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ): 

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় যথাযোগ্য মর্যাদা ও নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে মহান মে দিবস এবং জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস পালিত হয়েছে। দিবস উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার উপজেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেন। কর্মসচির প্রথমেই সকালে উপজেলা প্রশাসন ও থানা গৃহ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বরেন্দ্র গেইটে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় থানা গৃহ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের আহবায়ক মো. আবু বক্কর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাকিবুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, রাণীনগর থানার ওসি আব্দুল হাফিজ মো. রায়হান, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোসারব হোসেন।

এছাড়া র‌্যালিতে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবাউল হক লিটন, সাখাওয়াত হোসেন, শ্রমিক ইউনিয়নের সকল সদস্য, উপজেলা বিএনপি ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

অপর দিকে রাণীনগর উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন মহান মে দিবস পালন উপলক্ষ্যে র‌্যালি ও শ্রমিক সমাবেশের আয়োজন করেন। বেলা ১১টায় রাণীনগর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি নাছির উদ্দিন, জেলা পরিবহন সভাপতি আসলাম হোসেন, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের প্রধান উপদেষ্টা মোস্তফাা ইবনে আব্বাস, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির আনজির হোসেন, সেক্রেটারি শামিনুর ইসলাম শামীম প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে সেখান থেকে বিশাল এক র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।


আরও খবর



জনসমর্থন নেই-এমন কাজ করলে ব্যবস্থা

প্রকাশিত:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫ |

Image

জনগণের সমর্থন নেই– এমন কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য নেতাকর্মীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, রাজনীতিতে ধীরে ধীরে অদৃশ্য শক্তি দৃশ্যমান হচ্ছে। ফ্যাসিবাদী ষড়যন্ত্রকারীরাও সক্রিয় হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। জনসমর্থন নেই এমন কাজ দলের কেউ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার রংপুর বিভাগের তিন জেলা– লালমনিরহাট, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তারেক রহমান। ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখার ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক এ কর্মশালা আয়োজন করে বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণবিষয়ক কমিটি।

তারেক রহমান বলেন, স্বৈরাচারের ভয়ে কেউ যখন কথা বলতে সাহস পায়নি, তখন আওয়ামী লীগের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছিল বিএনপি। ৩১ দফা দেশ ও জাতির জন্য বাস্তবায়ন করতে হবে। রাজনীতিবিদসহ পেশাজীবীরা এটি বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবেন। যে কোনো মূল্যে আমাদের সুদৃঢ় ঐক্য ধরে রাখতে হবে। সব অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে ইস্পাত-দৃঢ় ঐক্যের ভিত্তিতে এগিয়ে যেতে হবে। না হলে সব অর্জন ব্যর্থ হবে।

তিনি বলেন, তিস্তা নদী নিয়ে বহু রাজনীতি হয়েছে। কিন্তু বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে এ দেশের মানুষের কষ্ট লাঘবের লক্ষ্যে। তিস্তা নদী ঘিরে প্রায় তিন কোটি মানুষের জীবনে প্রভাব পড়ে। কখনও অতিরিক্ত পানি, কখনও পানির তীব্র সংকট। খালখনন ও নদীশাসন আমাদের করতে হবে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সেচ সুবিধা এবং পানির সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে বিএনপি সরকার গঠনের সুযোগ পেলে এ কাজ যে কোনো মূল্যে শুরু করবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, কৃষক যেন শুষ্ক মৌসুমে পানি ব্যবহার করতে পারে, বন্যার ক্ষতি থেকে মানুষ যেন রক্ষা পায়, সেজন্য পরিকল্পিতভাবে তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন করব।

কর্মশালায় নেতাকর্মীর প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আয়তনে বড় না হলেও জনসংখ্যার ভিত্তিতে একটি বড় দেশ। এ দেশের প্রতিটি অঞ্চলের রয়েছে আলাদা কৃষ্টি ও সংস্কৃতি, যা আমাদের জাতিগত ঐতিহ্য। বিএনপি অতীতে ক্ষমতায় থাকাকালে সংস্কৃতি বিকাশে নানা উদ্যোগ নিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।

তারেক রহমান আরও বলেন, সংস্কৃতি ও খেলাধুলাকে প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে, যাতে শিশুরা মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থভাবে বেড়ে উঠতে পারে।

এর আগে সকালে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে কর্মশালা উদ্বোধন করেন দলের যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী। লালমনিরহাট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ছাত্রদল নেতা ইকবাল হোসেন শ্যামলের সঞ্চালনায় কর্মশালায় সাবেক তিন সংসদ সদস্য– রাশেদা বেগম হীরা, নেওয়াজ হালিমা আরলি, শাম্মী আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



যুদ্ধবিরতি হলেও স্থগিতই থাকছে সিন্ধু পানি চুক্তি

প্রকাশিত:রবিবার ১১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

ভারত ও পাকিস্তান কয়েকদিনের প্রাণঘাতী লড়াইয়ের পর অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হলেও দুই দেশের পানি ভাগাভাগির গুরুত্বপূর্ণ একটি চুক্তি স্থগিতই থাকছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। বিশ্ব ব্যাংকের মধ্যস্থতায় ১৯৬০ সালে হওয়া সিন্ধু পানি চুক্তি দুই দেশের মধ্যে সিন্ধু নদ ও এর শাখা নদীগুলোর পানি বন্টন নিয়ন্ত্রণ করে।

কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর প্রাণঘাতী সন্ত্রাসী হামলা হওয়ার পর এর পেছনে ইসলামাবাদ আছে বলে অভিযোগ করে নয়া দিল্লি সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করে।

পাকিস্তান পেহেলগামের সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে। দেশটি জানিয়েছে, তারা ভারতের একতরফাভাবে সিন্ধু চুক্তি স্থগিতের বিষয়ে আন্তর্জাতিক আইনি পদক্ষেপের দারস্থ হবে।

পাকিস্তানের কৃষি সেচের ৮০ শতাংশ পানি নিশ্চিত হয়েছে এই চুক্তির মাধ্যমে। পাকিস্তানের পানি মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, সিন্ধু পানি চুক্তি (যুদ্ধবিরতি) আলোচনার কোনো অংশ না।

ভারতের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকার কর্মকর্তাও রয়টার্সকে জানান, এই চুক্তির বিষয়ে নেওয়া পদক্ষেপে কোনো পরিবর্তন আসেনি।

বিষয়টি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সাড়া দেয়নি আর পাকিস্তানের পানি মন্ত্রণালয় ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও প্রকাশ্যে কিছু জানাননি।

কাশ্মীর হামলার পর ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যে পদক্ষেপগুলো নিয়েছে তার অন্যতম এই পানি বণ্টন চুক্তি।

ভারত সরকারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, দুই দেশের সংঘাতের ক্ষেত্রে বিরতি দেওয়া হলেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাণিজ্য, ভিসা স্থগিতের মতো যে সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেগুলো সব বহাল আছে।


আরও খবর



বাংলাদেশ থেকে আরও জনশক্তি নিতে আগ্রহী ইতালি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

বৈধ উপায়ে বাংলাদেশ থেকে আরও জনশক্তি নিতে ইতালি আগ্রহী বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেদোসি। পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথাও জানান তিনি।

ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তাকে এ কথা জানান ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

এ সময় নিরাপদ ও বৈধ অভিবাসন, মানবপাচার প্রতিরোধ এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ পারস্পরিক আগ্রহের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন তারা। এছাড়া ঢাকার সঙ্গে রোমের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নবায়ন ও পুনরুজ্জীবিতকরণ নিয়েও আলোচনা হয়। এ লক্ষ্যে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের আগেই ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বাংলাদেশ সফর করবেন বলে জানান মাত্তেও।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে একটি অসাধারণ বাংলাদেশি কমিউনিটি রয়েছে। আমরা তাদের নিয়ে খুবই সন্তুষ্ট। তারা তরুণ ও পরিশ্রমী। ইতালীয় সমাজে চমৎকারভাবে মিশে গিয়েছেন তারা। আমাদের আরও বাংলাদেশির প্রয়োজন।

তবে অনেক বাংলাদেশি অবৈধ উপায়ে ইতালিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন বলেও এ সময় উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, এভাবে ইতালিতে আসা খুব বিপজ্জনক। আমরা চাই তারা বৈধ পদ্ধতি অনুসরণ করুক।

মাত্তেও জানান, সমুদ্রপথে অনিয়ন্ত্রিতভাবে অভিবাসীদের আগমন ইতালির জন্য সমস্যাজনক। এ কারণে অবৈধ অভিবাসন ও সংঘবদ্ধ অপরাধ দূর করতে তিনি বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন।

অবৈধ অভিবাসন ও মানবপাচার রোধের মতো বিষয়ে বাংলাদেশও ইতালির সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী বলে মাত্তেওকে আশ্বস্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা। ড. ইউনূস বলেন, ইতালিতে বসবাসরত বাংলাদেশিরা দেশটির প্রতি কৃতজ্ঞ। তারাও ইতালির প্রতি সন্তুষ্ট।

প্রধান উপদেষ্টা জানান, কিছু আন্তর্জাতিক চক্র বাংলাদেশিদের অবৈধভাবে ইতালিতে যাওয়ার জন্য প্রলুব্ধ করে। এরাই সমস্যার সৃষ্টি করে থাকে বলে মনে করেন তিনি। অন্তর্বতী সরকারপ্রধান বলেন, অভিবাসীরা হলেন মানবপাচারের ভুক্তভোগী, তারা সুবিধাভোগী নন।

এ সময় গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার বৈঠকের কথাও উল্লেখ করে তিনি। বৈঠকে দুই দেশ একসঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা।


আরও খবর