Logo
শিরোনাম

সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঝুঁকিতে !

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

গাফফার খান চৌধুরী : নিম্নমানের ওয়েবসাইট তৈরিসহ নানা কারণে ঝুঁকিতে রয়েছে সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এছাড়া সাইবার নিরাপত্তা দুর্বল হওয়ার পেছনে রয়েছে, নিয়মিত ওয়েবসাইট মনিটরিং না করা, পাসওয়ার্ড আদান প্রদান ও সাইবার অডিট না হওয়া। এসব দুর্বলতার কারণে প্রায়ই তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটছে। তথ্য ফাঁস ঠেকাতে সব সরকারি দপ্তরের প্রতি কড়া নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই জাতীয় পরিচয়পত্র বিভাগ 'ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম' গঠন করেছে। প্রতিটি সরকারি দপ্তরে সাইবার নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাইবার বিভাগের নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, দেশের প্রযুক্তি খাত নিয়ে রীতিমতো সাইবার যুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধ বা প্রতিযোগিতা চলছে দেশের কয়েকটি বড় কোম্পানির সঙ্গে। আর সেই যুদ্ধে নেমেছে দেশি-বিদেশি অপেক্ষাকৃত বেশ কিছু ছোট ছোট কোম্পানি এবং একাধিক উগ্রপন্থি হ্যাকার গ্রম্নপ। কারণ বাংলাদেশের সরকারি প্রায় সব দপ্তর নিয়ন্ত্রণ করছে অন্তত ১০টি টেক জায়ান্ট কোম্পানি। কোম্পানিগুলো সরকারি দপ্তরগুলোতে ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট থেকে শুরু করে সব ধরনের কাজ করছে। দেশীয় অন্যান্য কোম্পানি কোনো ধরনের সুযোগ পাচ্ছে না। বড় কোম্পানিগুলোকে এমন সুযোগ করে দেওয়ার পেছনে রয়েছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর কিছু অসাধু কর্মকর্তা। তারা এসব কোম্পানির কাছ থেকে নানাভাবে সুবিধা পেয়ে থাকেন বলে অভিযোগ আছে।

দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, একটি ওয়েবসাইট ৫ হাজার থেকে শুরু করে ৫ লাখ টাকা বা তার চেয়েও বেশি টাকায় তৈরি করা যায়। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বড় বড় কোম্পানিগুলো কম টাকায় ওয়েবসাইট নির্মাণ করে দিচ্ছে।

অথচ দেখানো হচ্ছে, বেশি টাকা। এসব টাকার একটি বড় অংশ চলে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট অসাধু কর্মকর্তাদের পকেটে। এছাড়া কোম্পানিগুলো নিজেদের যতটা বড় বলে প্রচার করছে, প্রকৃতপক্ষে সেগুলো ওই রকম বড় মানের বা উচ্চমানসম্পন্ন কোম্পানি নয়। কোনো কোনো কোম্পানির সাইবার সিকিউরিটি দেওয়ার মতো সক্ষমতা নেই। এমনকি ওইসব কোম্পানির সাইবার সিকিউরিটি দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সনদপ্রাপ্তও না। ফলে প্রায়ই সরকারি বিভিন্ন দপ্তর থেকে তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটছে।

এসব বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওয়েবসাইট ডেভেলপ এবং সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজে জড়িত অক্টাগ্রাম লিমিটেড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হাসান শাহরিয়ার ফাহিম বলেন, সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ডিজিটাল নিরাপত্তা বা সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে কাজ করছি। তথ্য ফাঁস হওয়ার অন্যতম কারণ নিম্নমানের ওয়েবসাইট। নিম্নমানের ওয়েবসাইট তৈরি করার কারণে তার নিরাপত্তা ব্যবস্থাও থাকে নিম্নমানের। এমন সুযোগে হ্যাকাররা ওইসব দপ্তরের তথ্য ফাঁস করে নিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও সরকারি দপ্তরের অসাধু কর্মকর্তারাও অনেক সময় ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে বা অসৎ উদ্দেশ্যে তথ্য ফাঁসে সহায়তা করছেন বা তথ্য ফাঁস করে দিচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, আবার সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাদের প্রযুক্তি সম্পর্কিত যথাযথ জ্ঞান না থাকার কারণেও তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটছে। অধিকাংশ সরকারি অফিসেই সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য জোনভিত্তিক ওয়াইফাই ব্যবস্থা আছে। অনেক কর্মকর্তা নিজেরা ওইসব ওয়াইফাইয়ের পাসওয়ার্ড না বুঝেই পরিচিত কাউকে দিয়ে দিচ্ছেন। যেটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ যিনি পাসওয়ার্ড নিয়ে তার মোবাইলে বা ব্যক্তিগত কম্পিউটারে বা ল্যাপটপে ব্যবহার করছেন, তার ওইসব ডিভাইস হ্যাক করে অনায়াসেই অফিসের পাসওয়ার্ড পেয়ে যাচ্ছে হ্যাকাররা। আর সেই পাসওয়ার্ড দিয়েই সংশ্লিষ্ট দপ্তরের তথ্য ফাঁস চুরি করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। এটি তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার বড় সম্ভাবনার জায়গা। এভাবেই অনেক দপ্তরের তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। দেশের অধিকাংশ টেক জায়ান্ট কোম্পানির সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থায় যথেষ্ট দুর্বলতা লক্ষ্য করা গেছে। এমন সুযোগটিকেও কাজে লাগায় হ্যাকাররা।

হাসান শাহরিয়ার ফাহিম বলেন, প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হলে এর মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার রাখতে হয়। এ ক্ষেত্রে দেশের অধিকাংশ দপ্তরই বেশ উদাসীন। ডিজিটাল প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ঘন ঘন প্রযুক্তি বা ওয়েবসাইটের নানা বিষয়াদি মনিটরিং করতে হয়। কোথাও দুর্বলতা আছে কিনা তা শনাক্ত করে মেরামত করার নিয়ম। কিন্তু সেটি করা হয় না। এছাড়া সবচেয়ে বড় অনিয়ম হচ্ছে, সাইবার অডিট না হওয়া।

এই প্রযুক্তিবিদ বলেন, ব্যাংকে যেমন একটি নির্ধারিত সময়ে সার্বিক বিষয়ে অডিট হয়, তেমনি প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও অডিট করার বাধ্যবাধকতা আছে। কিন্তু দেশের অধিকাংশ দপ্তরে সাইবার অডিট হয় না। ফলে দিনকে দিন আসা নতুন নতুন প্রযুক্তির কাছে পুরনো প্রযুক্তি মার খেয়ে যায়। সেই সুযোগে হ্যাকাররা তথ্য চুরি করে। এমনকি অনেক সময় ওয়েবসাইটের দুর্বলতার কারণেও তথ্য ফাঁস হয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, যেসব কোম্পানি বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন দপ্তরে সাইবার নিরাপত্তা দিচ্ছে, তার মধ্যে অনেক কোম্পানির সাইবার সিকিউরিটি দেওয়ার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বা সনদ নেই। এমনকি যারা সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন, তাদেরও অধিকাংশেরই ট্রেইনার বা প্রশিক্ষক হিসেবে আন্তর্জাতিক সনদ নেই। ফলে অদক্ষ কোম্পানি আর অদক্ষ প্রশিক্ষকরা উপযুক্ত প্রযুক্তিবিদ তৈরি করতে পারছেন না। এটি একটি বড় দুর্বলতা। যে কারণে বার বার দেশের সাইবার জগত নিয়ে নানামুখী প্রশ্ন উঠছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাইবার বিভাগগুলো বলছে, দেশি-বিদেশি হ্যাকারদের কারণে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা বাস্তবে রূপ দিতে বেগ পোহাতে হচ্ছে। সম্প্রতি এসব হ্যাকারদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে কিছু দেশীয় ও বিদেশি উগ্রপন্থি হ্যাকার গ্রম্নপ। কারণ তারা চায় না, বাংলাদেশ প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাক। এজন্য বিভিন্ন সময় প্রযুক্তি খাতকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। যার মধ্যে উলেস্নখযোগ্য ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্ভার হ্যাক করে রিজার্ভ চুরির ঘটনা। এরপর বরিশাল ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সরকারি ওয়েবসাইট হ্যাক হওয়ার ঘটনা। চলতি বছর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ওয়েবসাইট আংশিক হ্যাক হওয়া। বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের ওয়েবসাইট হুবহু নকল বানিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৬ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চে বাংলাদেশের সরকারি একটি ওয়েবসাইট থেকে লাখ লাখ নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার খবর প্রকাশিত হয়। এরপর তথ্য ভান্ডারের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তৎপর হয় ইসি। তারই ধারাবাহিকতায় কারিগরি সদস্যদের নিয়ে 'ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম' গঠন করে ইসি। টিমটি সাইবার হামলা হলে তাৎক্ষণিক প্রতিকারের ব্যবস্থা নিতে এবং সাইবার হামলা ঠেকাতেও উদ্যোগ নিতে সক্ষম।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, সরকারের এমন উদ্যোগের পরেও জাতীয় পরিচয়পত্র বিভাগের সার্ভার বন্ধ ছিল। সাইবার হামলার আশঙ্কায় সার্ভারটি বন্ধ ছিল বলে জানা গেছে। সবশেষ দুদকের (দুর্নীতি দমন কমিশন) ওয়েবসাইট থেকে সরকারি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের তথ্য চুরির দায়ে চারজন গ্রেপ্তার হন ঢাকা মাহানগর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে। যদিও ইসি দাবি করেছে, সরকারি বন্ধের দিন তাদের সার্ভার মেইনটেনন্যান্সের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিল। দেশের প্রায় ১৭ কোটি নাগরিকের মধ্যে ১২ কোটি নাগরিকের তথ্য রয়েছে ইসিতে। সবার তথ্যই সুরক্ষিত আছে বলেও ইসির দাবি।


আরও খবর

হোয়াটসঅ্যাপ নতুন ফিচার আসছে

শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪

মোবাইল আসক্তি কমাবেন যেভাবে

শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪




উৎসবের রঙে রঙিন রাজধানীর সড়ক

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

চৈত্র সংক্রান্তির রাতে আলপনা উৎসবে মাতলো রাজধানীবাসী। একসঙ্গে দুই শতাধিক শিল্পী আর কয়েক হাজার মানুষের অংশগ্রহণে রঙিন হয়েছে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পিচঢালা পথ। আনন্দ ভাগাভাগি করে অংশগ্রহণকারীদের শপথ, সাম্প্রদায়িকতার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।

ষড়ঋতুর ছয়টি রঙয়ে রঙিন পিচঢালা রাজপথ। বুকজুড়ে আলপনা, তাতে জ্বলজ্বলে প্রিয় বাংলা ভাষার অমূল্য অক্ষর। চাঁদের আলোয় বিশাল আকাশের নিচে একমনে শিশুদের হাতে হাতখড়ি বাংলা নতুন বছর বরণের আলপনা।

তুলির নকশায় শুধু সৌন্দর্যই ফুটে ওঠেনি, এতে মিশেছে বাঙালির হাজার বছরের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি আর প্রাণের উচ্ছ্বাস।

শুধু কি শিল্পীর হাতে তুলি? ১৪৩১ কে বরণ করতে নিয়ন আলোতে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে নামে হাজারো মানুষের ঢল। নিজ হাতে রঙ-তুলি টেনে নিয়ে ভালোবাসা আর আনন্দ ভাগাভাগিতে শামিল হন নগরবাসী। অবাক হয়ে তারাই জানালেন শেষ যে কবে এমন উৎসবে শামিল হয়েছেন তা ঠাহর করা মুশকিল। বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাসে মাতে শিশু, তরুণ-তরুণীরা।

আলপনা উৎসবের এই মাহেন্দ্রক্ষণে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চিরচেনা সংস্কৃতি বজায় রাখার ডাক দেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী।

আলপনার পাশাপাশি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাংলা গানের সুর আর নাচের তালে শামিল হন নগরবাসী।


আরও খবর

বঙ্গবাজারে চলছে উচ্ছেদ অভিযান

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




দাবদাহে ‘কপাল পোড়ার’ শঙ্কায় কৃষক

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে তীব্র থেকে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে সারা দেশে পথ-ঘাট-মাঠ সবকিছুই উত্তপ্ত এর বিরূপ প্রভাব দেখা যাচ্ছে ফসলের মাঠেও

কৃষকরা বলছেন, তীব্র রোদের প্রভাবে মাঠের ধান গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে, মরছে সবজির গাছ। সেচের জন্য প্রয়োজনীয় পানিও মিলছে না গভীর নলকূপে। এতেকরে একদিকে ফলন কমে যাবার আশঙ্কা অন্যদিকে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার দুশ্চিন্তায় আছেন কৃষকরা

অতিরিক্ত তাপে রাজশাহী, রংপুর খুলনা অঞ্চলের বেশিরভাগ ক্ষেতে ধান গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন জমিতে পানি দিতে হিমসীম খেয়ে যাচ্ছে কৃষক। তাদের মনে শঙ্কাও তৈরি হয়েছে এমন রোদ আর গরমে যেন ধান নষ্ট হয়ে না যায়

রংপুররে পীরগঞ্জের আলমপুরের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ধানের ভিওত পানি ধরে থোয়া যাচ্ছেনা। কিছু কিছু জমির ধান লাল হয়ে মরে যাচ্ছে। এখনতো পানির লেয়ারও অনেক নিচে। এলাকার টিউবলেও ঠিকমতো পানি ওঠে না, মেশিনেও কম পানি ওঠে, যাদের অবদা(ডিপটিউবয়েল) আছে তারা পানি দিবার পারচে(দিতে পারছে) এতো রোদের কারণে এবার ধানত চিটা হওয়ার ভয়ে আছি। আর সবজির ভিউয়ের(ক্ষেত) সবজি রোদে-পুড়ে মরে যাচ্ছে।

তাপে পোড়ার শঙ্কা, সেচে বাড়তি খরচ ফলন কমার আশঙ্কা :

চলতি মৌসুমে সারাদেশে তীব্র তাপাদহের কারণে ধান ছাড়া বাকি সফলী জমি খেত ফেটে চৌচির। রোদে পুড়ছে রোপণ করা বোরো ধান। দিতে হচ্ছে বাড়তি সেচ। বৃষ্টি না হওয়ায় পানির অভাবে ধানের ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা। কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলছে, এই তাপদাহে ক্ষেতের ফসল বাঁচাতে অন্য বারের তুলনায় দ্বিগুন বেশি সেচ দিতে হচ্ছে, যার ফলে উৎপাদন খরচ বাড়বে

রংপুরের পীরগঞ্জের শরীফ নেওয়াজ গভীর নলকূপ দিয়ে নিজের জমিতে পানি দেওয়ার পাশাপাশি অন্যর জমিতেও পানি বিক্রি করনে। তিনি সংবাদকে বলেন,আমার মোটর ২৪ ঘন্টা চলে। গতবছর এই সময়ে দুইদিন পর পর একটা জমিতে পানি দিতে হতো। এবার দিতে হচ্ছে একদিন পর পর। এতে আমার খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

ওই উপজেলার চতরা এলাকার কৃষক প্রদীপ চন্দ্র বলেন, বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছি। বছর ধান পাতান (চিটা) হওয়ার আশঙ্কা করছি।

তিনি আরো বলেন, সার, বীজ, তেল শ্রমিক খরচ বেড়ে যাওয়ায় এমনিতেই প্রতিমণ ধান উৎপাদন খরচ বাড়ছে এখন বাড়তি সেচও দেওয়ার কারণে খরচ আরো বেড়ে গেল।

ময়মনসিংহের কৃষি উদ্যোক্তা . আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স বলেন, তাপপ্রবাহের কারণে চাইলেও সেই পানির প্রবাহ ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। তাপমাত্রা বেশি থাকার কারণে ধানের ফুল পলিনেশন করতে পারছে না, অনেক ফুল ঝরে যাচ্ছে। একারণে ধান চাষে ক্ষতির মুখে পড়বে কৃষক।

তীব্র তাপ প্রবাহের কারণে আম, লটকন, মাল্টা, অ্যাভাকাডার মতো গাছের গুটি ঝরে যাওয়ার কথাও জানান তিনি। তিনি বলেন, আমার যে ফলের বাগান আছে সে বাগান থেকে বৃষ্টির অভাবে গাছ পুষ্টি না পাওার কারণে ফল ফুল ঝরে পড়ছে, যখন বৃষ্টি হবে তখন গাছ পরিপুষ্ট হতে আরো ১৫ দিন সময় নিবে কিন্ত মাঝে যে সময় গেল সেটা তো ফিরে পাওয়া সম্ভবনা। এছাড়া, ক্ষেতে যে কৃষি শ্রমিকরা কাজ করে তারাও তো তাড়াতাড়ি হাপিয়ে ওঠে এতো আমার শ্রমের অপচয় হচ্ছে।

সার্বিকভাবে বলা চলে, বৃষ্টি না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকেই চলে যাবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি

তিনি আরো বলেন, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অন্তত ৩০ শতাংশ কম পানি উঠছে পাম্পগুলোতে। আবার দীর্ঘক্ষণ চালানোর কারণে বিল ঠিকই বাড়ছে, কিন্তু ওই পরিমাণ পানি পাওয়া যাচ্ছে না। আবার পানি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শুকিয়ে যাচ্ছে, গাছ শোষণ করতে পারছে না। সব মিলিয়ে কৃষকদের একটা বাজে অবস্থা।

সংশ্লিষ্টরা যা বলছেন:

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক . মো. শাহজাহান কবীর সংবাদকে বলেন, এবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গা ৪১ দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠেছে। এখন ধানের জন্য ক্রিটিক্যাল টেম্পেরেচার ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর উপরে যদি তাপমাত্রা উঠে এবং এসময় যদি ফুল ফোটে সেগুলো শুকিয়ে যেতে পারে।

তবে, তিনি ধানের দুইটা বিষয়ের কথা উল্লেখ করেন। যেমন; হাওরে ধান কাটা শুরু হয়েছে। সেখানে এখন যেমন রোদ আছে সেই রোদটা খুবই দরকার। আবার কোন কোন অঞ্চল আছে যেখানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস বা ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস অতিক্রম করে যাচ্ছে। সেখানে আমরা যে আশঙ্কায় আছি- ফুল ফোটা পর্যায়ে যদি টেম্পারেচার বেশি থাকে তবে ধানের চিটা হয়ে যেতে পারে। এমন একটা আশঙ্কার মধ্যে আছি।

বিশেষ করে যেসব এলাকার তাপমাত্রা খুব বেশি সেসব এলাকার ধান নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সব কৃষককে পরামর্শ দিচ্ছি টেম্পারেচার বেশী থাকলেও যেন তারা সবসময় পানি ধরে রাখে। পানি ধরে রাখলে চিটা হওয়ার সম্ভবনা কম থাকে।

যেসব এলাকায় ধান পেকে গেছে সেসব এলাকায় আমরা ধান তাড়াতাড়ি কেটে ফেলার পরমর্শও তার

কৃষিতে বিরুপ প্রভাব মোকাবেলায় লিফলেট অ্যাপসের মাধ্যমে চাষিদের পরামর্শ দেওয়ার কথা জানালেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক(ডিজি) বাদল চন্দ্র বিশ্বাস। তিনি সংবাদকে বলেন, যেসব এলাকায় ধান দেরিতে আসে সেসব এলাকায় আমরা বলেছি, ধানের গোড়ায় যেন পানি থাকে, সেই পানিটা যেন ধান গাছের শিকড় সহজে টানতে পারে


আরও খবর



নওগাঁয় পুলিশের উপর হামলা, ৬ পুলিশ আহত, গ্রেফতার ৮ জন

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর মহাদেবপুর থানাধীন মাতাজীহাট ফাঁড়ি পুলিশের উপর হামলা ও ৬ জন পুলিশ আহত ঘটনায় ২শ জনকে আসামী করে মহাদেবপুর থানায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে মহাদেবপুর থানাধীন রাইগাঁ মাতাজীহাট পুলিশ ফাঁড়ির এস আই লালন কুমার দাস বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলার পর রাতেই অভিযান চালিয়ে ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে মহাদেবপুর থানা পুলিশ। 

গ্রেফতারকৃত ৮ জন হলেন, কুড়াইল গ্রামের পরেশের ছেলে প্রতাপ (৩৫), সুপথ মন্ডলের ছেলে রাম গোপাল (২৬), সনজিতের ছেলে বিশু (২৭), সুরেনের ছেলে সুচিত্র (৩০), সুরেনের ছেলে সুপথ (৪২), নিবাসের ছেলে সুইট (৩০), সবুজ (২৫), পরেশের ছেলে রিপন (৩০)। 

জানা গেছে, কুড়াইল গ্রামের বুলন চন্দ্রে'র ছেলে হিলন একই গ্রামের বিপ্লব চন্দ্রের কন্যা স্কুল ছাত্রী বন্যা রাণীর (১৩) এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে গত বুধবার বন্যা রানীকে পালিয়ে নিয়ে প্রেমিক হিলন বাড়িতে তোলেন। বন্যা রাণীর পরিবার বিষয়টি পুলিশকে জানালে বৃহস্পতিবার রাতে মাতাজীহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই লালন কুমার দাস এর নেতৃত্বে পুলিশ মেয়েটি কে উদ্ধারের জন্য হিলন এর বাড়িতে যায়। এ সময় হিলন এর বাড়ির লোকজন পুলিশের সাথে বাকবিতন্ডা শুরু করেন এক পর্যায়ে ঐ গ্রামের প্রতাপ এর নেতৃত্বে গ্রামের একদল মানুষ পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে মারপিট শুরু করেন। এসময় আত্নরক্ষার্থে পুলিশ সদস্যরা মসজিদে আশ্রয় নিলে সেখানেও তাদের মারধর করে আটক করে রাখেন। 

খবর পেয়ে দ্রুত (মহাদেবপুর সার্কেল) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়ব্রত পাল ও মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রুহুল আমিন এর নেতৃত্বে থানা পুলিশ গিয়ে আটক করে রাখা পুলিশ সদস্যদের আহত অবস্থায় উদ্ধার পূর্বক এস আই লালন কুমার দাস, পুলিশ সদস্য মোঃ মাইনুল ইসলাম, তজারুদ হোসেন, শরিফুল ইসলাম, টুটুল হোসেন, রুবেল হোসেন কে মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। এ ঘটনায় এস আই লালন কুমার দাস বাদী হয়ে ২৯ জনের নাম উল্লেখ সহ ১৫০ থেকে ২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন।পুলিশের উপর হামলা কারীদের মধ্যে ৮ জনকে গ্রেফতার এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ।


আরও খবর



পাল্টা হামলার আশঙ্কা, উচ্চ সতর্কতায় ইরান

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ইরান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। বহুদিনের বৈরিতা থাকলেও এবারই প্রথমবারের সরাসরি ইসরায়েলে হামলা চালালো দেশটি।

এমন অবস্থায় ইসরায়েল এবার ইরানে পাল্টা হামলা চালাতে পারে। আর সম্ভাব্য সেই হামলার আশঙ্কায় উচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে ইরান। রোববার (১৪ এপ্রিল) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটির দোরসা জব্বারী তেহরান থেকে জানিয়েছেন, দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলের হামলার বিষয়ে ইরানের প্রতিক্রিয়া সুনির্দিষ্ট এবং সীমিত হবে বলে ইরানি কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন এবং আজ আমরা বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর অভিযান দেখেছি।

তিনি বলেছেন, আমি মনে করি- ইরানের কাছ থেকে দেশটির সবচেয়ে খারাপ প্রতিক্রিয়াটিই আমরা দেখেছি। এটি অবশ্যই পূর্ণ-মাত্রার কোনও আক্রমণ নয়। এবং অবশ্যই ইরান ঠিক কী করতে সক্ষম তার একটি প্রদর্শনও এটি। এগুলো এমন দৃশ্য যা আমরা আগে কখনও দেখিনি - ইরানি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ মিসাইল এবং ড্রোন ইসরায়েলি ভূখণ্ডে নিক্ষেপ করা হয়েছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভির মতে, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে ইসরায়েলের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। তবে ইরানের এই দাবি অবশ্যই ইসরায়েল অস্বীকার করেছে।

আল জাজিরার দোরসা জব্বারী বলছেন, এখন এই হামলা-পাল্টা হামলার পরবর্তী পর্ব শুরু হবে। (ইরানের হামলার জবাবে) ইসরায়েলের জবাবও তাই হবে। এবং সেই কারণে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে এবং ইসরায়েলকে (পাল্টা হামলার বিষয়ে) হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভিতে দেশটির একজন কমান্ডার বলেছেন, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে যে কোনো ধরনের হামলার জবাব কঠোরভাবে দেওয়া হবে।

তবে আপাতত ইসরায়েল ঠিক কী করবে তা দেখার জন্য অপেক্ষা করছে ইরানিরা... বর্তমানে পরিস্থিতি আরও খারাপ না করে তারা এই দ্বন্দ্বকে বজায় রাখতে সক্ষম হবে কিনা সেটিও বোঝার চেষ্টা করছে তারা।

এদিকে ইরানের সর্বশেষ এই হামলা ইসরায়েলের জন্য নতুন পরীক্ষা হয়ে সামনে এসেছে বলেও জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

অন্যদিকে জাতিসংঘে দেওয়া এক চিঠিতে ইরান বলেছে, তারা আর উত্তেজনা চাইছে না।

জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস এবং নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্ট ভেনেসা ফ্রেজিয়ারকে দেওয়া এক চিঠিতে তেহরান জোর দিয়ে বলেছে, ইসরায়েলের ওপর তার হামলা ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইরানের আত্মরক্ষার একটি আইনি এবং ন্যায়সঙ্গত পদক্ষেপ।

এছাড়া গত ১ এপ্রিল দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ইরায়েলের প্রাণঘাতী বিমান হামলার নিন্দা করতে নিরাপত্তা পরিষদের ব্যর্থতার নিন্দাও করেছে জাতিসংঘে অবস্থিত ইরানি মিশন।

চিঠিতে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের একজন দায়িত্বশীল সদস্য হিসেবে ইরান জাতিসংঘের সনদ এবং আন্তর্জাতিক আইনের নিহিত উদ্দেশ্য ও নীতির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আমাদের এই ধারাবাহিক অবস্থান এটিই পুনর্ব্যক্ত করে যে, দেশটি এই অঞ্চলে উত্তেজনা বা সংঘাত চায় না।


আরও খবর



থাইল্যান্ডের সঙ্গে ৫ সমঝোতা ও চুক্তি সই

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে পাঁচটি কূটনৈতিক দলিলে স্বাক্ষর হয়েছে। এর মধ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং একটি লেটার অব ইনটেন্ট বা অভিপ্রায়পত্র রয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গভর্নমেন্ট হাউসে দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এসব দলিলে স্বাক্ষর করেন সংশ্লিষ্টরা।

এর আগে থাই প্রধানমন্ত্রী জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করার জন্য থাইল্যান্ডকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরই দেশটির সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষর করা হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের কাছে থাইল্যান্ড একটি সম্ভাবনাময় অংশীদার। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি সমুদ্রবন্দর কেন্দ্রিক যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে দুসিত প্রাসাদের অ্যামফোর্ন সাথার্ন থ্রোন হলে রাজা ও রানির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। সাক্ষাৎকালে তারা কুশল বিনিময় এবং দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

এদিন সকালে জাতিসংঘের এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেন।

২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল সফরকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবেন। দুই দেশের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য আলোচনার আগ্রহপত্রসহ বেশ কয়েকটি সহযোগিতার নথিতে স্বাক্ষর করবে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড।

বাংলাদেশ এবং থাইল্যান্ড সরকারি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতিসংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারে। পাশাপাশি শক্তি সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ), সম্পর্ক সম্প্রসারণের জন্য পর্যটন খাতে সহযোগিতা এবং শুল্কসংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আরও দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করতে পারে দুই দেশ।


আরও খবর