Logo
শিরোনাম

সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঝুঁকিতে !

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৫ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

গাফফার খান চৌধুরী : নিম্নমানের ওয়েবসাইট তৈরিসহ নানা কারণে ঝুঁকিতে রয়েছে সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এছাড়া সাইবার নিরাপত্তা দুর্বল হওয়ার পেছনে রয়েছে, নিয়মিত ওয়েবসাইট মনিটরিং না করা, পাসওয়ার্ড আদান প্রদান ও সাইবার অডিট না হওয়া। এসব দুর্বলতার কারণে প্রায়ই তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটছে। তথ্য ফাঁস ঠেকাতে সব সরকারি দপ্তরের প্রতি কড়া নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই জাতীয় পরিচয়পত্র বিভাগ 'ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম' গঠন করেছে। প্রতিটি সরকারি দপ্তরে সাইবার নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাইবার বিভাগের নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, দেশের প্রযুক্তি খাত নিয়ে রীতিমতো সাইবার যুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধ বা প্রতিযোগিতা চলছে দেশের কয়েকটি বড় কোম্পানির সঙ্গে। আর সেই যুদ্ধে নেমেছে দেশি-বিদেশি অপেক্ষাকৃত বেশ কিছু ছোট ছোট কোম্পানি এবং একাধিক উগ্রপন্থি হ্যাকার গ্রম্নপ। কারণ বাংলাদেশের সরকারি প্রায় সব দপ্তর নিয়ন্ত্রণ করছে অন্তত ১০টি টেক জায়ান্ট কোম্পানি। কোম্পানিগুলো সরকারি দপ্তরগুলোতে ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট থেকে শুরু করে সব ধরনের কাজ করছে। দেশীয় অন্যান্য কোম্পানি কোনো ধরনের সুযোগ পাচ্ছে না। বড় কোম্পানিগুলোকে এমন সুযোগ করে দেওয়ার পেছনে রয়েছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর কিছু অসাধু কর্মকর্তা। তারা এসব কোম্পানির কাছ থেকে নানাভাবে সুবিধা পেয়ে থাকেন বলে অভিযোগ আছে।

দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, একটি ওয়েবসাইট ৫ হাজার থেকে শুরু করে ৫ লাখ টাকা বা তার চেয়েও বেশি টাকায় তৈরি করা যায়। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বড় বড় কোম্পানিগুলো কম টাকায় ওয়েবসাইট নির্মাণ করে দিচ্ছে।

অথচ দেখানো হচ্ছে, বেশি টাকা। এসব টাকার একটি বড় অংশ চলে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট অসাধু কর্মকর্তাদের পকেটে। এছাড়া কোম্পানিগুলো নিজেদের যতটা বড় বলে প্রচার করছে, প্রকৃতপক্ষে সেগুলো ওই রকম বড় মানের বা উচ্চমানসম্পন্ন কোম্পানি নয়। কোনো কোনো কোম্পানির সাইবার সিকিউরিটি দেওয়ার মতো সক্ষমতা নেই। এমনকি ওইসব কোম্পানির সাইবার সিকিউরিটি দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সনদপ্রাপ্তও না। ফলে প্রায়ই সরকারি বিভিন্ন দপ্তর থেকে তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটছে।

এসব বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওয়েবসাইট ডেভেলপ এবং সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজে জড়িত অক্টাগ্রাম লিমিটেড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হাসান শাহরিয়ার ফাহিম বলেন, সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ডিজিটাল নিরাপত্তা বা সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে কাজ করছি। তথ্য ফাঁস হওয়ার অন্যতম কারণ নিম্নমানের ওয়েবসাইট। নিম্নমানের ওয়েবসাইট তৈরি করার কারণে তার নিরাপত্তা ব্যবস্থাও থাকে নিম্নমানের। এমন সুযোগে হ্যাকাররা ওইসব দপ্তরের তথ্য ফাঁস করে নিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও সরকারি দপ্তরের অসাধু কর্মকর্তারাও অনেক সময় ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে বা অসৎ উদ্দেশ্যে তথ্য ফাঁসে সহায়তা করছেন বা তথ্য ফাঁস করে দিচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, আবার সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাদের প্রযুক্তি সম্পর্কিত যথাযথ জ্ঞান না থাকার কারণেও তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটছে। অধিকাংশ সরকারি অফিসেই সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য জোনভিত্তিক ওয়াইফাই ব্যবস্থা আছে। অনেক কর্মকর্তা নিজেরা ওইসব ওয়াইফাইয়ের পাসওয়ার্ড না বুঝেই পরিচিত কাউকে দিয়ে দিচ্ছেন। যেটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ যিনি পাসওয়ার্ড নিয়ে তার মোবাইলে বা ব্যক্তিগত কম্পিউটারে বা ল্যাপটপে ব্যবহার করছেন, তার ওইসব ডিভাইস হ্যাক করে অনায়াসেই অফিসের পাসওয়ার্ড পেয়ে যাচ্ছে হ্যাকাররা। আর সেই পাসওয়ার্ড দিয়েই সংশ্লিষ্ট দপ্তরের তথ্য ফাঁস চুরি করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। এটি তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার বড় সম্ভাবনার জায়গা। এভাবেই অনেক দপ্তরের তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। দেশের অধিকাংশ টেক জায়ান্ট কোম্পানির সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থায় যথেষ্ট দুর্বলতা লক্ষ্য করা গেছে। এমন সুযোগটিকেও কাজে লাগায় হ্যাকাররা।

হাসান শাহরিয়ার ফাহিম বলেন, প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হলে এর মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার রাখতে হয়। এ ক্ষেত্রে দেশের অধিকাংশ দপ্তরই বেশ উদাসীন। ডিজিটাল প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ঘন ঘন প্রযুক্তি বা ওয়েবসাইটের নানা বিষয়াদি মনিটরিং করতে হয়। কোথাও দুর্বলতা আছে কিনা তা শনাক্ত করে মেরামত করার নিয়ম। কিন্তু সেটি করা হয় না। এছাড়া সবচেয়ে বড় অনিয়ম হচ্ছে, সাইবার অডিট না হওয়া।

এই প্রযুক্তিবিদ বলেন, ব্যাংকে যেমন একটি নির্ধারিত সময়ে সার্বিক বিষয়ে অডিট হয়, তেমনি প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও অডিট করার বাধ্যবাধকতা আছে। কিন্তু দেশের অধিকাংশ দপ্তরে সাইবার অডিট হয় না। ফলে দিনকে দিন আসা নতুন নতুন প্রযুক্তির কাছে পুরনো প্রযুক্তি মার খেয়ে যায়। সেই সুযোগে হ্যাকাররা তথ্য চুরি করে। এমনকি অনেক সময় ওয়েবসাইটের দুর্বলতার কারণেও তথ্য ফাঁস হয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, যেসব কোম্পানি বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন দপ্তরে সাইবার নিরাপত্তা দিচ্ছে, তার মধ্যে অনেক কোম্পানির সাইবার সিকিউরিটি দেওয়ার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বা সনদ নেই। এমনকি যারা সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন, তাদেরও অধিকাংশেরই ট্রেইনার বা প্রশিক্ষক হিসেবে আন্তর্জাতিক সনদ নেই। ফলে অদক্ষ কোম্পানি আর অদক্ষ প্রশিক্ষকরা উপযুক্ত প্রযুক্তিবিদ তৈরি করতে পারছেন না। এটি একটি বড় দুর্বলতা। যে কারণে বার বার দেশের সাইবার জগত নিয়ে নানামুখী প্রশ্ন উঠছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাইবার বিভাগগুলো বলছে, দেশি-বিদেশি হ্যাকারদের কারণে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা বাস্তবে রূপ দিতে বেগ পোহাতে হচ্ছে। সম্প্রতি এসব হ্যাকারদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে কিছু দেশীয় ও বিদেশি উগ্রপন্থি হ্যাকার গ্রম্নপ। কারণ তারা চায় না, বাংলাদেশ প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাক। এজন্য বিভিন্ন সময় প্রযুক্তি খাতকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। যার মধ্যে উলেস্নখযোগ্য ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্ভার হ্যাক করে রিজার্ভ চুরির ঘটনা। এরপর বরিশাল ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সরকারি ওয়েবসাইট হ্যাক হওয়ার ঘটনা। চলতি বছর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ওয়েবসাইট আংশিক হ্যাক হওয়া। বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের ওয়েবসাইট হুবহু নকল বানিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৬ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চে বাংলাদেশের সরকারি একটি ওয়েবসাইট থেকে লাখ লাখ নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার খবর প্রকাশিত হয়। এরপর তথ্য ভান্ডারের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তৎপর হয় ইসি। তারই ধারাবাহিকতায় কারিগরি সদস্যদের নিয়ে 'ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম' গঠন করে ইসি। টিমটি সাইবার হামলা হলে তাৎক্ষণিক প্রতিকারের ব্যবস্থা নিতে এবং সাইবার হামলা ঠেকাতেও উদ্যোগ নিতে সক্ষম।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, সরকারের এমন উদ্যোগের পরেও জাতীয় পরিচয়পত্র বিভাগের সার্ভার বন্ধ ছিল। সাইবার হামলার আশঙ্কায় সার্ভারটি বন্ধ ছিল বলে জানা গেছে। সবশেষ দুদকের (দুর্নীতি দমন কমিশন) ওয়েবসাইট থেকে সরকারি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের তথ্য চুরির দায়ে চারজন গ্রেপ্তার হন ঢাকা মাহানগর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে। যদিও ইসি দাবি করেছে, সরকারি বন্ধের দিন তাদের সার্ভার মেইনটেনন্যান্সের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিল। দেশের প্রায় ১৭ কোটি নাগরিকের মধ্যে ১২ কোটি নাগরিকের তথ্য রয়েছে ইসিতে। সবার তথ্যই সুরক্ষিত আছে বলেও ইসির দাবি।


আরও খবর

গেইমিং পিসি বানাতে যা করবেন

রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪

সফটওয়্যারের কৃত্রিম পরিবেশনা

সোমবার ০৭ অক্টোবর ২০২৪




শুধু যাত্রাবাড়ি দিয়ে ৪০ জেলার মানুষ ঢাকায় ঢোকে

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

সারা দেশ থেকে ঢাকায় ঢোকার রাস্তা মাত্র ৩টা। এর মধ্যে,গাবতলী দিয়ে ঢাকায় আসে ১৮ জেলার মানুষ। 

উত্তরা দিয়ে ৫ জেলার মানুষ। যাত্রাবাড়ি দিয়ে ৪০ জেলার মানুষ।

এই তিন পয়েন্টের বাইরে যে রাস্তাগুলো আছে সেগুলোর ডিজাইন ভালো না। তাই প্রবেশপথ হিসেবে ব্যবহারের অযোগ্য। যেমন ধরেন বাবুবাজার সেতু পারতপক্ষে কেউ ব্যবহার করবে না কারণ পুরান ঢাকার যানজট পাড়ি দিতে কমপক্ষে ৩ ঘন্টা লাগবে। ৩০০ ফিটের রাস্তা কেউ ব্যবহার করবে না কারণ রাস্তা সরু আর প্রায় ১৫ কিমি বেশি ঘুরতে হয়। ইত্যাদি।

.

এখন ফিরে আসি ওই তিন প্রবেশপথের প্রসঙ্গে। এই তিন প্রবেশপথের মধ্যে যেটা সবচেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ সেটা হলো উত্তরার রাস্তা। এটা দিয়ে ৫ জেলার মানুষ ঢাকায় ঢুকে। এই রাস্তায় আছে ৪ লেন মহাসড়ক, বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট, দুইটা এক্সপ্রেসওয়ে (ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে আর আশুলিয়া-ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে)।

.

উত্তরার রাস্তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ গাবতলী। এটা দিয়ে ১৮ জেলার মানুষ ঢাকায় আসে। এতে ৪ লেন মহাসড়ক আছে। তবে এক্সপ্রেসওয়ে নেই। রাতে এই রাস্তায় ব্যাপক যানজট থাকে।

.

এরপর আসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথ যাত্রাবাড়ি। এটা দিয়ে ৪০ জেলার (চট্টগ্রাম, সিলেট, দক্ষিণবঙ্গ) মানুষ ঢাকায় আসে। এই প্রবেশপথটা সম্ভবত পৃথিবীর সবচেয়ে মজাদার প্রবেশপথ। সিলেট মহাসড়কের ৪ লেন, চট্টগ্রাম মহাসড়কের ৬ লেন, মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ৪ লেন = মোট ১৪ লেন সড়ককে একত্র করে ১ লেন বানানো হয়। 

.

বিষয়টি বুঝিয়ে বলি। প্রথমে সিলেট মহাসড়ক এনে চট্টগ্রাম মহাসড়কে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে সিলেটের ৪ লেন আর চট্টগ্রামের ৬ লেন মিলে জোর করে ৬ লেন করা হয়েছে, যেখানে প্রয়োজন ছিল ১০ লেন। এই ৬ লেন এসে ঢুকেছে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে। 

.

এদিকে বাম দিকে থেকে মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ৪ লেনও মেয়র হানিফে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর মানে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার ১৪ লেন মহাসড়কের চাপ নিয়েছে।

.

এখন হানিফ ফ্লাইওভার যে ঢাকায় ঢুকলো সেটার দিকে তাকাই। হানিফের এক্সিট পয়েন্ট দুইটা। একটা গুলিস্তান (২ লেন)। এই ২ লেন একেবারেই অব্যবহারযোগ্য। হকারদের জন্য গুলিস্তান দিয়ে কোন গাড়ি, বাস ঢোকার উপায় নেই। তাই গুলিস্তানের এক্সিট পয়েন্ট বাতিল। 

বাকি থাকলো চানখারপুল এক্সিট। শুধু এটাই কাজ করে। এটা মাত্র ১ লেন। দুটো গাড়ি পাশাপাশি দাঁড়ানোরও উপায় নেই। ১৪ লেন মহাসড়ক এনে জোর করে ১ লেন করা হয়েছে।

.

প্রশ্ন আসবে, তাহলে এই ট্রাফিক সিস্টেম কাজ করে কীভাবে?

উত্তর হলো, করে না।

প্রতিদিন চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১২ কিলোমিটার, মাওয়া মহাসড়কে ২ কিলোমিটার আর সিলেট মহাসড়কে ৬ কিলোমিটার যানজট লেগে থাকে। প্রতিদিন যাত্রাবাড়ি থেকে ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে আসতে এত ৪০ জেলার মানুষ ৫ কিলোমিটার রাস্তায় ন্যূনতম ৩ ঘন্টা বসে থাকে।

.

এতো বড় ভোগান্তির কথা আপনি আমি জানি না কেন?

জানি না কারণ আমাদের মিডিয়া হাউজগুলো ঐতিহ্যগতভাবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে অবস্থিত। যাত্রাবাড়ির যানজট পাড়ি দিয়ে কোন ব্যক্তির পক্ষে সকাল ১০টায় উত্তর ঢাকায় গিয়ে অফিস ধরা রীতিমত সুপারহিউম্যানের কাজ। ফলে মিডিয়া ও সাংবাদিক এবং অন্য যারা আমাদের মনোযোগ নিয়ন্ত্রণ করেন তারা সবাই বাস করেন নিকেতন, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, খিলগাও, বনানী বা ফার্মগেটের দিকে। ফলে ঢাকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথ এবং ঢাকার সর্বাধিক জনসংখ্যাপূর্ণ ৪টি থানা কখনোই কোন মিডিয়াতে গুরুত্ব পায় না। যে কারণে এলাকা বিচারে এই গণঅভ্যুত্থানে সারা বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ছাত্র ও পুলিশ যাত্রাবাড়িতে মারা গেলেও আমরা জানিনা।

.

এটা শুধু একটা উদাহরণ দিলাম। জাস্ট এলিট শ্রেণির দৃষ্টিভঙ্গির জন্য বাংলাদেশে প্রতিদিন প্রতিটা উন্নয়ন প্রকল্পে সর্বনাশ হয়ে চলেছে।



আরও খবর



হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ নিহত

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান নেতা হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে দখলদার ইসরায়েল।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে নাসরুল্লার মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)

যদিও গতকাল শুক্রবার বার্তাসংস্থা রয়টার্স, এএফপি হিজবুল্লাহর কয়েকটি সূত্রের বরাতে জানিয়েছিল নাসরুল্লাহ বেঁচে আছেন এবং সুস্থ আছেন

দখলদার ইসরায়েল নাসরুল্লাহর মৃত্যুর তথ্য জানালেও; হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে এখনো এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করা হয়নি

গতকাল বিকেলে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই হামলায় লক্ষ্য করা হয় হিজবুল্লাহর সদর দপ্তরকে

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হ্যাগারি জানান, বিমানবাহিনী হিজবুল্লার প্রধান সদর দপ্তর লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে। পরবর্তীতে জানা যায়, হামলায় ২ হাজার কেজির বাঙ্কার বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। আর ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে অত্যাধুনিক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান

হ্যাগারি আরও দাবি করেন, বৈরুতের দাহিয়েতে বেসামরিক ভবনের নিচে সদর দপ্তরটি তৈরি করা হয়েছিল

তবে আজ শনিবারের প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা এএফপি বলেছে, নাসরুল্লাহর কাছের একটি সূত্র তাদের জানিয়েছে, গতকাল সন্ধ্যা থেকে নাসরুল্লাহর সঙ্গে তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই সূত্রটি আরও জানায়, তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না নাসরুল্লাহ নিহত হয়েছেন নাকি বেঁচে আছেন

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান লেফটেনেন্ট জেনারেল হারজি হালেভি একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। এতে তিনি দাবি করেছেন, অসংখ্য প্রস্তুতি শেষে লেবাননে নাসরুল্লাহর উপর হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তিনি বলেন, সঠিক সময়ে আমরা এই হামলা চালিয়েছি এবং এটি করা হয়েছে খুবই দক্ষভাবে।

সূত্র: বিবিসি, টাইমস অব ইসরায়েল


আরও খবর



পনের বছরের ঝঞ্ঝাট একদিনে পরিষ্কার হবে না

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৮ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ বলেছেন, জলাবদ্ধতা ঢাকা মহানগরীর দীর্ঘদিনের সমস্যা। বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা নিরসনে ক্রমান্বয়ে কিছু কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের জন্য বিশেষজ্ঞগণের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে মন্ত্রণালয় আজ সভা আহ্বান করেছে। ধাপে ধাপে জলাবদ্ধতা নিরসন হবে। পনের বছরের ঝঞ্ঝাট একদিনে পরিষ্কার হবে না।

উপদেষ্টা আজ (মঙ্গলবার) সচিবালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত বর্ষা মৌসুমে ঢাকা মহানগরীর জলাবদ্ধতার নিরসনকল্পে প্রস্তুতি ও কর্মপরিকল্পনা পর্যালোচনার লক্ষ্যে ২০২৪ সালের ২য় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রতি এসব কথা বলেন।

স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, আমাদের ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা বা মন্ত্রণালয়ের যে অভিজ্ঞতা সেটার মধ্যে সীমাবন্ধ না থেকে, এই বিষয়ে যারা বিশেষজ্ঞ আছেন এবং জলাবদ্ধতার উপর লেখালেখি আছে ও গবেষণা আছে তাদেরকে আমরা আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তাদের কথা আমরা শুনবো, তাদের বিজ্ঞ মতামত আমরা গ্রহণ করবো এবং সেটাকে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করবো। জলাবদ্ধতা দূর না হলে আমরা বুঝবো জনগণ নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে মানুষের মুভমেন্ট কমে যাচ্ছে, মুভমেন্ট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারছে না, স্কুল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, অসুখ বিসুখ হচ্ছে। তাই জলাবদ্ধতা দূর করা একান্ত জরুরি। শহরের মধ্যে কেন পানি থাকবে যেখানে এত কোটি কোটি টাকা খরচ করে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা হয়েছে! গলদটা কোথায় এটা আমরা বিশেষজ্ঞজনের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

হাসান আরিফ জানান, শুধুমাত্র মন্ত্রণালয়ের একমুখী উদ্যোগে জলাবদ্ধতা নিরসন করা সম্ভব নয়। নাগরিকদেরকেও সচেতন হতে হবে। নর্দমায় প্ল্যাস্টিকের বোতল, ওয়ান টাইম ব্যবহারকৃত কাপ, পলিথিনের ব্যাগ এবং ডাবের খোসা মন্ত্রণালয় গিয়ে ফেলে আসে না, জনগণ ফেলে। জনগণ সচেতন না হলে মন্ত্রণালয় এক কোটি পরিচ্ছন্নতা কর্মী দিয়েও নর্দমায় জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করতে পারবে না। নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াকেও সাহসী ভূমিকা পালন করতে হবে।

উক্ত সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগ সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. নজরুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক এ এইচ এম কামরুজ্জামান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আলি আখতার হোসেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোস্তফা আলী, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী তুষার মোহন সাধু খাঁসহ স্থানীয় সরকার বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিভিন্ন বিশেষজ্ঞজন উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



নওগাঁয় অটো বাইকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দু'জন শিক্ষার্থীর মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় চার্জার ব্যাটারি চালিত অটো বাইকের সাথে ধাক্কা খেয়ে মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী দু'জন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত হলেন,

মনিরুল ইসলাম (২১) ও সারাফাত হোসেন (২২)। মর্মান্তিক এ দূর্ঘটনাটি ঘটে রবিবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে নওগাঁ টু মহাদেবপুর সড়কের নওহাটামোড় (চৌমাশিয়া) বাজার এলাকায়। নিহত সারাফাত মহাদেবপুর উপজেলার জয়পুর (সরদারপাড়া) গ্রামের মাহমুদুল হাসানের ছেলে ও ঢাকা কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিষয়ের শিক্ষার্থী। নিহত মনিরুল ইসলাম মহাদেবপুর উপজেলার গোঁফানগর গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে ও শিবপুর বরেন্দ্র ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী।

সরেজমিনে জানাগেছে, রবিবার ৬ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টার দিকে নিহতরা নওগাঁ শহরে কাজ শেষে একটি মোটরসাইকেল যোগে নিজ বাসায় ফেরার পথে নওহাটা মোড় (চৌমাশিয়া) এলাকায় পৌছালে এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি চার্জার ব্যাটারী চালিত অটো বাইকের সাথে সংঘর্ষের পর তারা দু'জন মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পাকা সড়কের উপর পরে দূর্ঘটনা স্থলেই মৃত্যু বরণ করেন। ঘটনার সংবাদ পেয়ে সাথে সাথে নওহাটামোড় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই জিয়াউর রহমান ও এস আই আকবর সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পৌছান। দু'জন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর পেয়ে দূর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এবং ওসি (তদন্ত)।

দূর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাসমত আলী জানান, দূর্ঘটনাস্থলে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট অন্তে ঘটনাস্থল থেকে দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।


আরও খবর



সাকিবের সামনে নতুন ইতিহাস গড়ার হাতছানি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৫ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা বলা হয় সাকিব আল হাসানকে। ক্রিকেট বিশ্বেও বাংলাদেশের পোস্টার বয় হিসেবে পরিচিত তিনি। প্রায় ১৮ বছর ধরে লাল-সবুজের জার্সিতে জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন। লম্বা এই পথ চলায় দেশের তো বটেই বিশ্ব ক্রিকেটেরই অনেক রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন সাকিব।

বাংলাদেশ নিজেদের সবশেষ সিরিজে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে। ওই সিরিজে উইকেট শিকারের দিক বাঁহাতি স্পিনারদের মধ্যে সবার ওপরে উঠে গিয়েছিলেন সাকিব। পেছনে ফেলেছিলেন নিউজিল্যান্ডের কিংবদন্তি ড্যানিয়েল ভেট্টোরিকে

বল হাতে উইকেট পেলেও সাকিবের ব্যাটে রানের দেখা নেই অনেকটা দিন ধরেই। পাকিস্তান টেস্ট শেষ করে উড়াল দিয়েছিলেন ইংল্যান্ডে। সেখানে কাউন্টি ক্রিকেটে মাত্র এক ম্যাচ খেলে শিকার করেন ৯ উইকেট। ভারত সিরিজেও বল হাতে মাইলফলকের খুব কাছাকাছি আছেন সাকিব

ক্রিকেটের ১৪৭ বছরের ইতিহাসে এর আগে কেবল চারজনই ক্রিকেটারই টেস্টে ৪০০০ রান করার পাশাপাশি ২৫০ উইকেট নেয়ার মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। সাকিব আল হাসান আছেন সেই এলিট ক্লাবে যুক্ত হওয়ার অপেক্ষায়। রানের কোটা আগেই পূরণ করে ফেলেছিলেন। দরকার বল হাতে ৮ উইকেট

সাকিব ক্যারিয়ারের ৬৯ টেস্ট শেষে রান ৪ হাজার ৫৪৩ রান করেছেন। তবে ২৫০ উইকেটের মাইল ফলক স্পর্শ করার জন্য আরও ৮টি উইকেট প্রয়োজন। ভারতের বিপক্ষে দুটি টেস্টে ৮টি উইকেট নিতে পারলেই ৩৭ বছরের অলরাউন্ডার টেস্ট ক্রিকেটে ৪০০০ রানের পাশাপাশি ২৫০ উইকেট নেয়ার নজির গড়বেন

সাকিবের আগে এই কীর্তি করেছেন বিশ্ব ক্রিকেটের চার গ্রেট অলরাউন্ডার। ভারতের কপিল দেব, ইংল্যান্ডের স্যার ইয়ান বোথাম ছাড়াও এই ক্লাবে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক ক্যালিস এবং নিউজিল্যান্ডের ড্যানিয়েল ভেট্টরির। রানের দিক থেকে তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অলরাউন্ডার। ১৬৬ টেস্ট খেলে ক্যালিস ১৩ হাজার ২৮৯ রান করেন এবং ২৯২টি উইকেট নেন

দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন কপিল দেব। ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক ১৩১টি টেস্টে ৫ হাজার ২৪৮ রান করার পাশাপাশি ৪৩৪টি উইকেট নিয়েছেন। তৃতীয় স্থানে আছেন বোথাম। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার ১০২টি টেস্ট খেলে করেছিলেন ৫ হাজার ২০০ রান। নিয়েছিলেন ৩৮৩টি উইকেট। চতুর্থ স্থানে নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক। ১১৩টি টেস্ট খেলে ভেট্টরি ৪ হাজার ৫৩১ রান করেছেন। উইকেটের সংখ্যা ৩৬২


আরও খবর