Logo
শিরোনাম

সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঝুঁকিতে !

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

গাফফার খান চৌধুরী : নিম্নমানের ওয়েবসাইট তৈরিসহ নানা কারণে ঝুঁকিতে রয়েছে সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এছাড়া সাইবার নিরাপত্তা দুর্বল হওয়ার পেছনে রয়েছে, নিয়মিত ওয়েবসাইট মনিটরিং না করা, পাসওয়ার্ড আদান প্রদান ও সাইবার অডিট না হওয়া। এসব দুর্বলতার কারণে প্রায়ই তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটছে। তথ্য ফাঁস ঠেকাতে সব সরকারি দপ্তরের প্রতি কড়া নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই জাতীয় পরিচয়পত্র বিভাগ 'ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম' গঠন করেছে। প্রতিটি সরকারি দপ্তরে সাইবার নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাইবার বিভাগের নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, দেশের প্রযুক্তি খাত নিয়ে রীতিমতো সাইবার যুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধ বা প্রতিযোগিতা চলছে দেশের কয়েকটি বড় কোম্পানির সঙ্গে। আর সেই যুদ্ধে নেমেছে দেশি-বিদেশি অপেক্ষাকৃত বেশ কিছু ছোট ছোট কোম্পানি এবং একাধিক উগ্রপন্থি হ্যাকার গ্রম্নপ। কারণ বাংলাদেশের সরকারি প্রায় সব দপ্তর নিয়ন্ত্রণ করছে অন্তত ১০টি টেক জায়ান্ট কোম্পানি। কোম্পানিগুলো সরকারি দপ্তরগুলোতে ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট থেকে শুরু করে সব ধরনের কাজ করছে। দেশীয় অন্যান্য কোম্পানি কোনো ধরনের সুযোগ পাচ্ছে না। বড় কোম্পানিগুলোকে এমন সুযোগ করে দেওয়ার পেছনে রয়েছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর কিছু অসাধু কর্মকর্তা। তারা এসব কোম্পানির কাছ থেকে নানাভাবে সুবিধা পেয়ে থাকেন বলে অভিযোগ আছে।

দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, একটি ওয়েবসাইট ৫ হাজার থেকে শুরু করে ৫ লাখ টাকা বা তার চেয়েও বেশি টাকায় তৈরি করা যায়। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বড় বড় কোম্পানিগুলো কম টাকায় ওয়েবসাইট নির্মাণ করে দিচ্ছে।

অথচ দেখানো হচ্ছে, বেশি টাকা। এসব টাকার একটি বড় অংশ চলে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট অসাধু কর্মকর্তাদের পকেটে। এছাড়া কোম্পানিগুলো নিজেদের যতটা বড় বলে প্রচার করছে, প্রকৃতপক্ষে সেগুলো ওই রকম বড় মানের বা উচ্চমানসম্পন্ন কোম্পানি নয়। কোনো কোনো কোম্পানির সাইবার সিকিউরিটি দেওয়ার মতো সক্ষমতা নেই। এমনকি ওইসব কোম্পানির সাইবার সিকিউরিটি দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সনদপ্রাপ্তও না। ফলে প্রায়ই সরকারি বিভিন্ন দপ্তর থেকে তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটছে।

এসব বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওয়েবসাইট ডেভেলপ এবং সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজে জড়িত অক্টাগ্রাম লিমিটেড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হাসান শাহরিয়ার ফাহিম বলেন, সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ডিজিটাল নিরাপত্তা বা সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে কাজ করছি। তথ্য ফাঁস হওয়ার অন্যতম কারণ নিম্নমানের ওয়েবসাইট। নিম্নমানের ওয়েবসাইট তৈরি করার কারণে তার নিরাপত্তা ব্যবস্থাও থাকে নিম্নমানের। এমন সুযোগে হ্যাকাররা ওইসব দপ্তরের তথ্য ফাঁস করে নিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও সরকারি দপ্তরের অসাধু কর্মকর্তারাও অনেক সময় ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে বা অসৎ উদ্দেশ্যে তথ্য ফাঁসে সহায়তা করছেন বা তথ্য ফাঁস করে দিচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, আবার সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাদের প্রযুক্তি সম্পর্কিত যথাযথ জ্ঞান না থাকার কারণেও তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটছে। অধিকাংশ সরকারি অফিসেই সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য জোনভিত্তিক ওয়াইফাই ব্যবস্থা আছে। অনেক কর্মকর্তা নিজেরা ওইসব ওয়াইফাইয়ের পাসওয়ার্ড না বুঝেই পরিচিত কাউকে দিয়ে দিচ্ছেন। যেটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ যিনি পাসওয়ার্ড নিয়ে তার মোবাইলে বা ব্যক্তিগত কম্পিউটারে বা ল্যাপটপে ব্যবহার করছেন, তার ওইসব ডিভাইস হ্যাক করে অনায়াসেই অফিসের পাসওয়ার্ড পেয়ে যাচ্ছে হ্যাকাররা। আর সেই পাসওয়ার্ড দিয়েই সংশ্লিষ্ট দপ্তরের তথ্য ফাঁস চুরি করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। এটি তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার বড় সম্ভাবনার জায়গা। এভাবেই অনেক দপ্তরের তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। দেশের অধিকাংশ টেক জায়ান্ট কোম্পানির সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থায় যথেষ্ট দুর্বলতা লক্ষ্য করা গেছে। এমন সুযোগটিকেও কাজে লাগায় হ্যাকাররা।

হাসান শাহরিয়ার ফাহিম বলেন, প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হলে এর মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার রাখতে হয়। এ ক্ষেত্রে দেশের অধিকাংশ দপ্তরই বেশ উদাসীন। ডিজিটাল প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ঘন ঘন প্রযুক্তি বা ওয়েবসাইটের নানা বিষয়াদি মনিটরিং করতে হয়। কোথাও দুর্বলতা আছে কিনা তা শনাক্ত করে মেরামত করার নিয়ম। কিন্তু সেটি করা হয় না। এছাড়া সবচেয়ে বড় অনিয়ম হচ্ছে, সাইবার অডিট না হওয়া।

এই প্রযুক্তিবিদ বলেন, ব্যাংকে যেমন একটি নির্ধারিত সময়ে সার্বিক বিষয়ে অডিট হয়, তেমনি প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও অডিট করার বাধ্যবাধকতা আছে। কিন্তু দেশের অধিকাংশ দপ্তরে সাইবার অডিট হয় না। ফলে দিনকে দিন আসা নতুন নতুন প্রযুক্তির কাছে পুরনো প্রযুক্তি মার খেয়ে যায়। সেই সুযোগে হ্যাকাররা তথ্য চুরি করে। এমনকি অনেক সময় ওয়েবসাইটের দুর্বলতার কারণেও তথ্য ফাঁস হয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, যেসব কোম্পানি বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন দপ্তরে সাইবার নিরাপত্তা দিচ্ছে, তার মধ্যে অনেক কোম্পানির সাইবার সিকিউরিটি দেওয়ার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বা সনদ নেই। এমনকি যারা সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন, তাদেরও অধিকাংশেরই ট্রেইনার বা প্রশিক্ষক হিসেবে আন্তর্জাতিক সনদ নেই। ফলে অদক্ষ কোম্পানি আর অদক্ষ প্রশিক্ষকরা উপযুক্ত প্রযুক্তিবিদ তৈরি করতে পারছেন না। এটি একটি বড় দুর্বলতা। যে কারণে বার বার দেশের সাইবার জগত নিয়ে নানামুখী প্রশ্ন উঠছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাইবার বিভাগগুলো বলছে, দেশি-বিদেশি হ্যাকারদের কারণে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা বাস্তবে রূপ দিতে বেগ পোহাতে হচ্ছে। সম্প্রতি এসব হ্যাকারদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে কিছু দেশীয় ও বিদেশি উগ্রপন্থি হ্যাকার গ্রম্নপ। কারণ তারা চায় না, বাংলাদেশ প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাক। এজন্য বিভিন্ন সময় প্রযুক্তি খাতকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। যার মধ্যে উলেস্নখযোগ্য ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্ভার হ্যাক করে রিজার্ভ চুরির ঘটনা। এরপর বরিশাল ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সরকারি ওয়েবসাইট হ্যাক হওয়ার ঘটনা। চলতি বছর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ওয়েবসাইট আংশিক হ্যাক হওয়া। বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের ওয়েবসাইট হুবহু নকল বানিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৬ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চে বাংলাদেশের সরকারি একটি ওয়েবসাইট থেকে লাখ লাখ নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার খবর প্রকাশিত হয়। এরপর তথ্য ভান্ডারের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তৎপর হয় ইসি। তারই ধারাবাহিকতায় কারিগরি সদস্যদের নিয়ে 'ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম' গঠন করে ইসি। টিমটি সাইবার হামলা হলে তাৎক্ষণিক প্রতিকারের ব্যবস্থা নিতে এবং সাইবার হামলা ঠেকাতেও উদ্যোগ নিতে সক্ষম।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, সরকারের এমন উদ্যোগের পরেও জাতীয় পরিচয়পত্র বিভাগের সার্ভার বন্ধ ছিল। সাইবার হামলার আশঙ্কায় সার্ভারটি বন্ধ ছিল বলে জানা গেছে। সবশেষ দুদকের (দুর্নীতি দমন কমিশন) ওয়েবসাইট থেকে সরকারি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের তথ্য চুরির দায়ে চারজন গ্রেপ্তার হন ঢাকা মাহানগর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে। যদিও ইসি দাবি করেছে, সরকারি বন্ধের দিন তাদের সার্ভার মেইনটেনন্যান্সের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিল। দেশের প্রায় ১৭ কোটি নাগরিকের মধ্যে ১২ কোটি নাগরিকের তথ্য রয়েছে ইসিতে। সবার তথ্যই সুরক্ষিত আছে বলেও ইসির দাবি।


আরও খবর

CMOS(সিমোস) কি?এবং এর কাজের বর্ননা

শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩




দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের মূল্য বাড়াবে আওয়ামী লীগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

সদরুল আইন   ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের আয়ের অন্যতম বড় উৎস বিভিন্ন নির্বাচন ও উপনির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে মনোনয়নপত্র বিক্রি থেকে অর্জিত অর্থ।

 গত দুই জাতীয় নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় এবারও নির্বাচন সামনে রেখে মনোনয়নপত্রের মূল্য বাড়াবে দলটি।

জানা গেছে, গত সোমবার দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভার এক পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন দলের নীতিনির্ধারকরা। আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের প্রধান শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

দলীয় সূত্র জানায়, পটুয়াখালী-১ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত করতে মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকটি হয়। সেখানে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাব করেন। 

প্রস্তাবে মনোনয়নপত্রের মূল্য ৫০ হাজার টাকা করার কথাও বলেন। এ প্রস্তাবে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা তাৎক্ষণিক সম্মতিও দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন নেতারা।

আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ  বলেন, মনোনয়নপত্রের মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এখনো চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়নি।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো স্থানীয় সরকারের নির্বাচনেও দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রচলন চালু হয় ২০১৫ সালে। সে সময় দলীয় মনোনয়নপত্র বিক্রির জন্য সব পর্যায়ে মূল্য নির্ধারণ করে দেয় দলটি। 

২০১৭ সালে সর্বশেষ নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী, জাতীয় সংসদের নির্বাচন ও উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্রের মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৩০ হাজার টাকা, যা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কার্যকর হয়। এর আগে ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বিক্রি হয় ২৫ হাজার টাকায়।

এ ছাড়া বর্তমানে জেলা পরিষদ প্রশাসক পদে নির্বাচনে আগ্রহী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ২৫ হাজার, সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে ২৫ হাজার, পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২০ হাজার এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদে ৫ হাজার টাকা মনোনয়ন ফরমের মূল্য নির্ধারণ করা রয়েছে।

জানা গেছে, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বিক্রি করে আয় হয় ৬ কোটি ৫২ লাখ টাকা। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বিক্রি থেকে দলটি আয় করে ৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা।


আরও খবর



মুখ খুললেন রাশমিকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

সম্প্রতি নেটদুনিয়ায় আপত্তিকর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে রাশমিকা মান্দানার। ইতোমধ্যে ভিডিওটি নিয়ে শোরগোল পড়ে গেছে নেটিজেনদের মাঝে। যদিও এটি ডিপফেক ভিডিও। কিন্তু দেখে আপাতদৃষ্টিতে তা বোঝা কঠিন। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন রাশমিকা।

৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি পোস্ট দিয়েছেন রাশমিকা। ওই স্ট্যাটাসে অভিনেত্রী লিখেছেন, নেটদুনিয়ায় আমার ডিপফেক ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার বিষয় নিয়ে কথা বলতে আমার ভীষণ খারাপ লাগছে। সত্যি বলতে বিষয়টি নিয়ে আমি শঙ্কিত।

আর এই শঙ্কা শুধু নিজের জন্য না, বরং তাদের প্রত্যেকের জন্য, যারা প্রযুক্তির অপব্যবহারের কারণে বিভিন্নভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি আরও লেখেন, আজ একজন নারী ও অভিনেত্রী হিসেবে আমি আমার পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে কৃতজ্ঞ, যারা আমাকে এই সময়ে সমর্থন করে পাশে দাঁড়িয়েছেন।

কিন্তু এই ঘটনা যদি আমার স্কুল কিংবা কলেজ জীবনে ঘটতো, তাহলে আমি কীভাবে বিষয়টি সামাল দিতাম তা কল্পনাও করতে পারছি না। আমাদের সকলের উচিত সমষ্টিগতভাবে এই ধরনের সমস্যা নিয়ে কথা বলা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে তীব্র সমালোচনা করছেন সবাই। এমনকি এই বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন অমিতাভ বচ্চনও।

প্রসঙ্গত, আগামী ১ ডিসেম্বর মুক্তি পেতে যাচ্ছে রাশমিকা অভিনীত সিনেমা অ্যানিমেল। এতে রণবীর কাপুরের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন তিনি। সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন সন্দীপ রেড্ডি এবং এটি প্রযোজনা করেছেন গুলশান কুমার। 


আরও খবর

নওগাঁয় নবান্ন উৎসব উদযাপন

বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩




গাজার কেন্দ্রে ঢুকে পড়েছে ইসরায়েলি বাহিনী

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গ্যালেন্ট বলেছেন, তাদের সেনারা এখন গাজার কেন্দ্রে অবস্থান করছে। তিনি আরও দাবি করেছেন যে, ইসরায়েলি সৈন্যরা স্থল, বিমান এবং সমুদ্রপথে একসঙ্গে হামলা চালিয়েছে। এর আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুও দাবি করেছিলেন যে, তাদের সেনারা গাজা সিটির ভেতরে অভিযান চালাচ্ছে।

লোকজনকে দক্ষিণ দিকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানান নেতানিয়াহু। এদিকে গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় ১০ হাজার ৩০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এর মধ্যে চার হাজারের বেশিই শিশু। অপরদিকে ইসরায়েলে ১৪০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং হামাসের হাতে জিম্মি রয়েছে দুই শতাধিক মানুষ।

গাজার চলমান সংঘাতে বিরতি দেওয়ার জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউজের এক মুখপাত্র এর আগে জানিয়েছেন যে, মার্কিন ও ইসরায়েলি নেতারা সোমবার নিজেদের মধ্যে কথোপকথনের সময় মানবিক কারণে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় কৌশলগত বিরতি এবং জিম্মিদের সম্ভাব্য মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করেছেন।

এক সংবাদ সম্মেলনে বাইডেকে একজন সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে, তিনি তিন দিনের বিরতির পরামর্শ দিয়েছেন কি না? কিন্তু তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি।

ওয়াশিংটন এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলো শুরু থেকে ইসরায়েল এবং হামাসের সংঘাতে ইসরায়েলকেই সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। এখন পর্যন্ত সেখানে লাগাতার হামলা অব্যাহত রয়েছে।

খবর আল জাজিরা


আরও খবর



চিনি খাওয়া বন্ধ করলে কী হবে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

মিষ্টি খেতে ভালবাসে না এমন লোক কমই আছে। উৎসবের মৌসুমে রসগোল্লা, পায়েস, জিলিপি। সরাসরি মিষ্টি না খেলেও বিভিন্ন খাবারের সাথে চিনি ঢোকে শরীরে। অনেকেই আছে যারা সচেতনভাবে চিনি ছেড়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। কেউ ওজন কমানোর ইচ্ছায়, কেউ আবার ডায়াবেটিসের ভয়ে চিনি খাওয়া কমিয়েছে।

কর্মব্যস্ত জীবনে খাওয়া-দাওয়ায় অনিয়ম, ঘুমের ঘাটতি, অত্যধিক মানসিক চাপের কারণে শরীরে বাসা বাঁধে একাধিক রোগব্যাধি। স্থূলতা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আরো একটি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কারণ হলো চিনি খাওয়ার অভ্যাস। এক মাসের জন্য ডায়েট থেকে চিনি বা মিষ্টিজাতীয় কোনো খাবার বাদ দিয়ে দিলেই কিন্তু শরীরে একাধিক বদল লক্ষ করা যাবে।

১) উৎসবে প্রচুর মিষ্টি খেয়ে দু-চার কেজি ওজন বেড়ে গেছে? ওজন কমানোর চিন্তা ঘুরছে মাথায়? এক মাস চিনি খাওয়া বন্ধ করে দিয়ে দেখুন। মিষ্টি জাতীয় খাবার ও চিনি খেলে শরীরে সবচেয়ে বেশি ক্যালোরি যায়। যা হলো ওজন বাড়ার অন্যতম কারণ। চিনি খাওয়া বন্ধ করলেই ওজন দ্রুত কমে।

২) অনিদ্রার সমস্যায় অনেকেই ভোগে। চিনি কম খেলে ঘুম ভালো হয়। কিন্তু চিনি খাওয়া বন্ধ করে দিলে অনিদ্রার সমস্যা দূর হয়।

৩) অনেক সময়ে কাজের প্রতি অনীহা আসে। শরীরে শক্তির অভাব হয়। এক মাস চিনি খাওয়া বন্ধ করে দেখুন শরীরে স্ফূর্তি বাড়বে। কর্মক্ষমতাও বাড়বে।

৪) হার্টের রোগের ঝুঁকিও বাড়ে বেশি চিনি খেলে। হার্টের রোগের ঝুঁকি কমাতে চিনি খাওয়া বন্ধ করে দিতে পারেন। লিভারের রোগ ঠেকাতেও চিনি খাওয়া বন্ধ করার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা।

৫) বাতের ব্যথা থেকে রেহাই পেতেও চিনি খাওয়া বন্ধ করে দিতে পারেন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, চিনি খেলেই গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণা বাড়ে, তাই যাদের বাতের ব্যথা আছে তারা এক মাস চিনি না খেলেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


আরও খবর

ওজন কমাতে লেবু পানি ?

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

খাওয়ার পরেই চা নয়

বৃহস্পতিবার ০৩ আগস্ট ২০২৩




একদিনে আরও ২৪৩ ফিলিস্তিনি নিহত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

ইসরাইলের অব্যাহত বোমা হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৪৩ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এ নিয়ে গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি হামলায় প্রায় ১১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইসরাইলের স্থল, নৌ ও আকাশ পথের এ হামলায় প্রতিনিয়তই বেসামরিক নাগরিকদের প্রাণ ঝরছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় স্থল অভিযানে আরও দুই ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছেন।

এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সবচেয়ে জনবহুল অঞ্চল গাজা সিটির ভেতরে হামাস ও ইসরাইলি বাহিনীর তুমুল লড়াই চলছে। যে এলাকায় এ সংঘাত চলছে তার খুব কাছেই আল-কুদস হাসপাতাল অবস্থিত।

গত ৭ অক্টোবর গাজায় বোমা হামলা শুরুর পর আল-কুদস হাসপাতাল প্রাঙ্গণে আশ্রয় নেন হাজার হাজার মানুষ। এরপরও ওই হাসপাতালের আশপাশে বিমান হামলা অব্যাহত রাখে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। বর্তমানে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে কতজন মানুষ আছে তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।

বর্তমানে ইসরাইলি বাহিনী গাজা সিটিকে ঘিরে রেখেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, গাজা সিটিতে হামাসের শক্ত অবস্থানগুলোতে যে কোনো সময় স্থল হামলা চালাবে ইসরাইলি বাহিনী।


আরও খবর