Logo
শিরোনাম

শেরে খোদা আলি (রাঃ) ইমানদারদের অভিভাবক

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

নবীকরিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর ৩১তম বংশধর, শাহ্জাদা-এ-গাউসুল আযম, মাইজভাণ্ডার শরীফের সাজ্জাদানশীন সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী বলেছেন, ২১শে  রমজান মহিমান্বিত এক দিবস যে দিন মওলা-এ-কায়েনাত, শেরে খোদা, মুশকিল কোশা হযরত মওলা আলি (রাঃ) শাহাদাত বরণ করেন। তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি পবিত্র ক্বাবা ঘরে জন্মগ্রহণ করেছেন। তিনিই প্রথম ইসলাম গ্রহণকারী পুরুষ। প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর প্রেমে তিনি নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। ইসলাম প্রচারের প্রাথমিক যুগে, যখন প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর পাশে কেউ ছিলেন না, তখন হযরত আলি (রাঃ) প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সাথে ছায়ার মত লেগে ছিলেন। আমাদের প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হলেন জ্ঞানের শহর আর হযরত আলি (রাঃ) হলেন সেই জ্ঞানের রাজ্যে প্রবেশের দরজা। হযরত মওলা আলি (রাঃ) এর অনুসরণ ব্যতীত কেউ সেই জ্ঞানের শহরে প্রবেশ করতে পারবে না৷ মওলা আলি (রাঃ) হলেন মু'মিন ও মুনাফিক চেনার আয়না। মু'মিনরা মওলা আলি (রাঃ) কে ভালোবাসবে আর মুনাফিকরা তার সাথে বিদ্বেষ পোষণ করবে। প্রিয় নবিজী (দ) তাকে মু'মিনদের অভিভাবকরূপে নির্ধারণ করেছেন।"

সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী আরো বলেন, "তিনি ছিলেন এমনই একজন মহাবীর, যাকে প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) 'শেরে খোদা' বা 'আল্লাহর সিংহ' উপাধি দিয়েছেন এবং নিজের 'যুলফিকার' নামক তরবারি উপহার দিয়েছেন। একদিক থেকে তিনি প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর পরম বন্ধু, ভাই ; অপরদিকে প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর জামাতা ও উত্তরসূরী। তিনি বেহেশতে নারীদের নেতা মা ফাতিমাতুজজাহরা (রাঃ) এর স্বামী এবং বেহেশতে যুবকদের নেতা হযরত সাইয়্যেদুনা ইমাম হাসান (রাঃ) ও ইমাম হোসাইন (রাঃ) এর সম্মানিত পিতা। প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর মাধ্যমে নবুয়্যতের সমাপ্তি ঘটলেও বেলায়ত হল নবুয়্যতের ছায়া। মওলা আলি শেরে খোদা (রাঃ) কে আমাদের প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সেই বেলায়তের সিংহাসনে বসিয়েছেন। তাই মওলা আলি (রাঃ) এর প্রতি ভালোবাসা, তার অনুসরণের মাঝেই সত্য পথের পথিকরা পৃথিবী ও আখিরাতের জীবনে মুক্তির পথ এবং মহান আল্লাহ্ তা'য়ালা ও প্রিয় নবিজী (দ) এর সান্নিধ্য অর্জনের পথ খুঁজে পাবে।

৩১শে মার্চ, ২০২৪ গাজীপুর কেন্দ্রীয় খানকা শরীফ জয়দেবপুর আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া শাখার উদ্যোগে হযরত মওলা আলি মুসকিল কোশা কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহুল কারিম এর পবিত্র শাহাদাত দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহ্ফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

মাহফিলে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, মওলানা আবু তালেব মঈনী, মওলানা ইয়াসিন আনসারী, মাওলানা রুহুল আমিন ভূইয়া চাঁদপুরী, মুফতি মাকসুদুর রহমান, হাফেজ মাওলানা নাজের হোসাইন মাইজভাণ্ডারী, হাফেজ মোহাম্মদ মনসুর আলী মাইজভাণ্ডারী, স্থানীয় খলিফাবৃন্দ, আঞ্জুমান-এ-রাহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া ও মইনীয়া যুব ফোরামের নেতৃবৃন্দ। 

হুযুরপুর নূর আহমদ মুজতবা, মুহাম্মদ মুস্তাফা (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ও আহলে বাইতে রাসুল (দ) এর প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ শেষে বিশ্ববাসীর কল্যাণ, মুসলিম উম্মাহর একতা, দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন, সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী। হাজারো আশেকে রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মুনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।


আরও খবর

রমেশ শীল সুন্নিয়তের এক মহান কবি

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪




সমালোচনায় মাহিয়া মাহি

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

বছরজুড়েই কাজের চেয়ে ব্যক্তিগত জীবন নিয়েই বেশি আলোচনা-সমালোচনায় থাকেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। কখনও বিয়ে কিংবা বিচ্ছেদ নিয়ে, কখনও সন্তান নিয়ে। কখনওবা আবার রাজনৈতিক মাঠে দাপিয়ে বেড়ানোর জন্য খবরের শিরোনামে উঠে আসেন তিনি।

এবার মাহির একটি স্ট্যাটাস নিয়ে শোরগোল পড়ে গেছে নেটদুনিয়ায়, যা নিয়ে নেটিজেনদের মাঝে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। ভক্ত-অনুরাগীরা ভাবছেন, হয়তো হতাশা থেকে এমন কথা বলেছেন মাহি।

গত ১৬ নভেম্বর নিজের ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটস দিয়েছেন তিনি। ক্যাপশনে মাহি লিখেছেন, ‘ঝগড়া করারও কেউ নেই।’ অভিনেত্রী পোস্টটি করা মাত্রই তার কমেন্টসবক্সে মন্তব্যের ঝড় উঠেছে নেটিজেনদের। একজন লিখেছেন, আমারও ঝগড়া করতে ইচ্ছে করছে। আরেকজন লেখেন, কোনো চিন্তা করবেন না, যার কেউ নেই তার জন্য আমি আছি।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেছিলেন মাহি। সেই সংসার ভেঙে যাওয়ার পর ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ রাকিব সরকারকে বিয়ে করেন এই নায়িকা। তাদের সংসারে একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে। কিন্তু দাম্পত্য জীবনের আড়াই বছর মাথায় দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনেছেন মাহি-রাকিব।


আরও খবর

রটারডাম উৎসবে ‘কাজলরেখা

রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪




চিন্ময় ইস্যুতে ভারতীয় বিবৃতির প্রতিবাদ বাংলাদেশের

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতারে ভারতের বিবৃতির পাল্টা জবাব দিয়েছে বাংলাদেশ। বিবৃতিতে কড়া ভাষায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কোনো ধর্মীয় কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। ভারতের বিবৃতিতে উদ্বেগও প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মঙ্গলবার গণমাধ্যমে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা একটি বিবৃতি বাংলাদেশ সরকারের নজরে এসেছে। অত্যন্ত হতাশা এবং গভীর দুঃখের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার উল্লেখ করছে যে, শ্রী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে নির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেফতার করার পর থেকে তার গ্রেফতারকে কিছু মহল ভুলভাবে ব্যাখ্যা করছে। বাংলাদেশ সরকার বলতে চায়, এই ধরনের ভিত্তিহীন বিবৃতি শুধু সত্যকে বিকৃত করে না বরং দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়ার চেতনার পরিপন্থি।

বিবৃতিটি সকল ধর্মের জনগণের মধ্যে বিদ্যমান সম্প্রীতি এবং এই বিষয়ে সরকার ও জনগণের প্রতিশ্রুতি এবং প্রচেষ্টাকে প্রতিফলিত করে না বলে মন্তব্য করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে জনগণের ওপর গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি চলে আসছিল তা সমাপ্ত করার বিষয়ে সরকারের যে দৃঢ়প্রতিজ্ঞা রয়েছে এবং সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘুদের একই নজরে দেখার যে দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, ভারতের বিবৃতি সেটি সম্পূর্ণ উপেক্ষা করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে নিশ্চিত করে যে, প্রত্যেক বাংলাদেশির, তার ধর্মীয় পরিচয় নির্বিশেষে, নিজ নিজ ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান প্রতিষ্ঠা, বজায় রাখা বা পালন করার বা বাধা ছাড়াই মতামত প্রকাশ করার অধিকার রয়েছে। সকল নাগরিকের, বিশেষ করে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বাংলাদেশ সরকারের একটি দায়িত্ব। গত মাসে বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা পালনের মাধ্যমে এটি আবারও প্রমাণিত হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার আবারো বলতে চায় যে, দেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং এটি বিচার বিভাগের কাজে হস্তক্ষেপ করে না। প্রশ্নাধীন বিষয়টি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারও দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আজ বিকেলে চট্টগ্রামে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে বাংলাদেশ সরকার গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। যেকোনো মূল্যে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য কর্তৃপক্ষ বন্দর নগরীতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে।

এর আগে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারে উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের মুখপাত্র শ্রী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার ও জামিন নাকচ করার বিষয়টি আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে দেখছি। বাংলাদেশের হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর একাধিক হামলার পরে এ ঘটনা ঘটলো।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই ঘটনার অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকলেও একজন ধর্মীয় নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ চাপানো হয়েছে; যিনি শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মাধ্যমে ন্যায্য দাবিগুলো উপস্থাপন করেছিলেন।

হিন্দুসহ সব সংখ্যালঘুর নিরাপত্তা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে।

চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে গতকাল সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন-৬ এর কাজী শরিফুল ইসলামের আদালতে তোলা হলে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। তবে তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার পথে তার অনুসারীরা বাধা দেয়। প্রায় তিন ঘণ্টা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে তাদের হট্টগোল ও সংঘর্ষ চলে। এ সময় তারা এক আইনজীবীকে কুপিয়ে হত্যা করে।


আরও খবর



রটারডাম উৎসবে ‘কাজলরেখা

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

মনির হোসেন :

বাংলার রূপকথা মৈমনসিংহ গীতিকা অবলম্বনে নির্মিত চলচ্চিত্র কাজলরেখা। দেশে দর্শক হৃদয় জয় করে এবার অংশ নিচ্ছে প্রেস্টিজিয়াস নেদারল্যান্ডসের রটারডাম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত 'কাজলরেখা' উৎসবের ৫৪তম আসরে লাইমলাইট বিভাগে নির্বাচিত হয়েছে।

দেশে সিনেমাটি যা মুক্তি পায় গত ১১ এপ্রিল। বাণিজ্যের বিচারে না হলেও  সমালোচকরা ছবিটির প্রশংসা করেছে।


রটারডাম উৎসবে ‘কাজলরেখা’ নির্বাচিত হওয়া প্রসঙ্গে গিয়াস উদ্দিন সেলিম বলেন, ‘এই উৎসব বরাবরই এক্সপেরিমেন্টাল ফিল্মগুলোকে প্রাধান্য দেয়, মৈমনসিংহ গীতিকার মতো প্রাচীন একটি রূপকথাকে এই সময়ে এসে লোকাল ফর্মে কীভাবে পর্দায় হাজির করলাম সেটাই ওদের আগ্রহী করেছে। এরজন্য সম্মানিত বোধ করছি।

রটারডাম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের পর্দা উঠবে ২০২৫ সালের ৩০ জানুয়ারি। চলবে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এতে সরাসরি অংশ নেবেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম ও রাফিয়াত রশিদ মিথিলা।


আরও খবর

প্রেমে পড়েছেন পরীমনি

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪




সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বন্ধে অন্তর্বর্তী সরকারকে কঠোর হওয়ার আহ্বান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

মাইজভান্ডার দরবার শরীফের পীর ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) চেয়ারম্যান হযরত শাহসুফি ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী বলেছেন, ইসলাম মানুষকে ইনসানে কামেল বা পরিপূর্ণ মানুষ হওয়ার শিক্ষা দেয়। তিনি বলেন, সচ্চরিত্র তখনই অর্জিত হয়, যখন ক্রোধশক্তি ও খায়েশ শক্তিকে সমতার পর্যায়ে রাখা হয়। কেননা, কঠোরতা কখনও ক্রোধ থেকে এবং কখনও তীব্র লালসা থেকে উৎপন্ন হয়, কিন্তু নম্রতা সচ্চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ। সে ব্যক্তি সহনশীল নয়, যে জুলুমের সময় চুপ থাকে, এরপর সক্ষম হলে প্রতিশোধ নেয়; বরং সহনশীল তাকেই বলা হয়, যে জুলুমের সময় সহ্য করে এবং সক্ষম হলে ক্ষমা করে। তিনি আরো বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন মহানবী (সা.) বিজয়ীবেশে মক্কায় প্রবেশ করলে কুরাইশদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু তিনি বিজিত শত্রুদের প্রতি কোনো ধরনের দুর্ব্যবহার করেননি। হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী বলেন, প্রকৃত মুসলমান ওই ব্যক্তি যার মুখ ও হাতের অনিষ্ট থেকে লোকজন নিরাপদ থাকে এবং যার নির্যাতন থেকে মানুষ নিরাপদ তাকে মুমিন বলে। বিএসপি চেয়ারম্যান বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনায় বসবাসরত আদিম পৌত্তলিক, ইহুদি এবং নবদীক্ষিত মুসলিম তিন সম্প্রদায়ের সমন্বয়ে, দল-মত নির্বিশেষে মদিনা সনদের মাধ্যমে একটি ইসলামি প্রজাতন্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। যেখানে সামাজিক নিরাপত্তা, পারস্পরিক সম্পর্ক, মদিনার নিরাপত্তার প্রশ্ন এবং মদিনার অর্থনীতি সচল রাখার বিষয়ে সবাই ঐকমত্যে পৌঁছেছিল। সে সময় কারও কোনো অধিকার বিন্দুমাত্র ভূলুণ্ঠিত হয়নি। সব নাগরিক সমান অধিকার পেয়েছে। রাসুল (সা.)-এর বলিষ্ঠ পদক্ষেপের ফলে তৎকালীন সমাজের গোত্রগুলোর অন্তর্কলহ, রক্তক্ষয়ী দ্বন্দ্ব ও সংঘাতের অবসানসহ নৈরাজ্যমুক্ত, মানবিক মূল্যবোধে সমৃদ্ধ একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বস্তুত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অনুপস্থিতিতে দেশের শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট হয়, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির সম্মুখীন হয়। সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ সংঘাতের সূত্রপাত ঘটায়, গৃহযুদ্ধেও রূপ নেয়। তিনও দেশের এই ক্লান্তিকালে মব জাস্টিস, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এ সমস্ত ধ্বংসাত্মক বিশৃঙ্খল পন্থা পরিহার করার জন্য দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহবান জানান। একই সাথে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টিকারী সম্প্রীতি বিনষ্টকারী উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি কঠোর হওয়ারও আহ্বান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী। 


২রা ডিসেম্বর (সোমবার) রাতে নরসিংদীর বেলাব উপজেলার নারায়ণপুর নামা বাজার সানিকুল ইসলাম সানির বালুর মাঠে আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া ও মইনীয়া যুব ফোরাম বেলাব উপজেলা শাখার ব্যবস্থাপনায় পবিত্র ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএসপি চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী। বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মোঃ ধন মিয়া প্রধান ও জনাব মোঃ মকবুল হোসেন মেম্বারের সভাপতিত্বে মাহফিলে উদ্বোধক ছিলেন নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ কাউসার কাজল (এম.এ)। কোরআন সুন্নাহর আলোকে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করেন, রাজধানী ঢাকার মিরপুর-১ মসজিদ-এ গাউছুল আজমের খতিব মাওলানা মুফতি মাকসুদুর রহমান, মইনীয়া যুব ফোরাম কেন্দ্রীয় পরিষদের বিভাগীয় ধর্মবিষয়ক সম্পাদক, হাফেজ মাওলানা কেরামত আলী, খাদেম মাওলানা হাফেজ খাজা বাহাউদ্দীন মাইজভান্ডারীসহ আরো অনেকেই। এসময় বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া ও মইনীয়া যুব ফোরামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


পরে সালাতু সালাম শেষে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ-শান্তি, সমৃদ্ধি, কল্যাণ ও নিপিড়ীত মানবতার মুক্তি কামনায় আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন, মাইজভান্ডার দরবার শরীফের বর্তমান ইমাম ও বিএসপি চেয়ারম্যান হযরত শাহসূফী ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী।


আরও খবর

রমেশ শীল সুন্নিয়তের এক মহান কবি

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

সুফীবাদের মূলনীতি ও স্তর সমূহ

মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪




শতাধিক বিদেশির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল সৌদি

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

বিচারিক প্রক্রিয়ায় বিশ্বের যেসব দেশে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়, তার মধ্যে অন্যতম সৌদি আরব। দেশটির আইনে প্রায়ই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়ে থাকে। চলতি বছরে তারা শতাধিক বিদেশির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। রবিবার (১৭ নভেম্বর) এএফপির বরাতে মিডল ইস্ট আইয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে ১০০ জনের বেশি বিদেশির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে সৌদি আরব।

শনিবার সংবাদমাধ্যম সৌদি প্রেস এজেন্সি জানায়, মাদক চোরাচালানের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় একজন ইয়েমেনির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এএফপির তথ্যানুসারে, এ নিয়ে ২০২৪ সালে এ পর্যন্ত ১০১ জন বিদেশির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। যা ২০২২ ও ২০২৩ সালের তুলনায় প্রায় তিনগুণ।


আরও খবর

আমরা বসে ললিপপ খাবো না : মমতা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

গাজায় প্রাণহানি সাড়ে ৪৪ হাজার ছাড়াল

শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪