Logo
শিরোনাম

শিপমেন্ট নিয়ে বেকায়দায় রপ্তানিকারকরা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

রোকসানা মনোয়ার : নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ বিরোধী দলগুলোর ডাকা হরতাল এবং কয়েক দফার অবরোধে আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবহনে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। শিল্পের জন্য আমদানিকৃত কাঁচামাল সময়মতো কারখানায় পৌঁছাতে না পারায় তৈরি পোশাকসহ সামগ্রিকভাবে ব্যাহত হচ্ছে দেশের শিল্পখাত। এতে ক্রেতার বেধে দেয়া সময়ে পণ্য রপ্তানি নিয়ে চরম বেকায়দায় পড়েছেন রপ্তানিকারকরা। সৃষ্টি হয়েছে শিপমেন্ট বিলম্বসহ নানান জটিলতা। শুধু তাই নয়, অবরোধের প্রভাবে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের সকল রুটে পণ্য পরিবহন ভাড়া বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। এতে চরম বেকায়দায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কমে যাচ্ছে তৈরি পোশাকের অর্ডার।

বিকেএমইএর এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম বলেন: টি-শার্টের একটি চালান ১৫ নভেম্বর সমুদ্র পথে জার্মানিতে শিপমেন্ট হওয়ার কথা ছিল। চলমান অবরোধের কারণে সময়মতো কারখানায় ফ্রেব্রিক পৌঁছানো যায়নি। একইসাথে ছিল গ্যাসের সংকটও। সময়মতো ফ্রেব্রিক না পাওয়ায় এখনও সব পণ্য প্রস্তুত করা সম্ভব হয়নি। ক্রেতার বেধে দেয়া টাইমলাইন অনুযায়ী এখন বাধ্য হয়ে এয়ার শিপমেন্ট করা ছাড়া উপায় নেই, বলেন তিনি। মোহাম্মদ হাতেম আরও জানান, অবরোধের আগে নারায়ণগঞ্জ থেকে চট্টগ্রামে আমরা ১২ হাজার টাকায় গাড়ি পাঠাতে পারতাম। এখন সেই ভাড়া দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে ২৫ হাজার টাকায় পৌঁছেছে। সকাল ১০টায় এবং রাত ১০টায় শিডিউল করে কারখানা থেকে রপ্তানি পণ্যগুলো চট্টগ্রামে পাঠাতে হচ্ছে। একইভাবে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আমদানি পণ্যও শিডিউল করে কারখানায় আনতে হচ্ছে। 

সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পোর্ট অ্যাফেয়ার্স সেক্রেটারি মো. লিয়াকত আলী হাওলাদার বলেন: অবরোধ কর্মসূচির কারণে পরিবহন সংকট রয়েছে। এ কারণে এখন আমদানিকারকদের চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ঢাকায় পণ্য পরিবহনে ১৫ হাজার টাকার জায়গায় প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হচ্ছে। বাংলাদেশ ট্রাক শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাঈন উদ্দিন বলেন, পণ্য পরিবহনের সময় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ২টি এবং কুমিল্লায় ২টি প্রাইম মুভার আগুনে পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এছাড়া, প্রতিদিনই গাড়ি পোড়ানো হচ্ছে। সড়কে গাড়ি চালানো নিয়ে চালকরা আতঙ্কিত। এমন পরিস্থিতিতে ভাড়া আগের তুলানায় বেড়েছে।


তৈরি পোশাকের অর্ডার কমেছে চট্টগ্রাম বন্দরে: হরতাল অবরোধসহ চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় চট্টগ্রামের পোশাক কারখানায় কমতে শুরু করেছে ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ক্রেতাদের অর্ডার। নভেম্বরের প্রথম ১০ দিনে অক্টোবরের প্রথম ১০ দিনের তুলনায় তৈরি পোশাক শিল্পের অর্ডার কমে গেছে ২০  শতাংশের বেশি। নভেম্বরের শেষ নাগাদ অর্ডার কমার হার ৩০ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন গার্মেন্টস মালিকরা। চট্টগ্রামে বিজিএমইএ সদস্যভুক্ত ৩৫০টি কারখানাসহ বিকেএমইএ সদস্যভুক্ত এবং ইপিজেডকেন্দ্রিক প্রায় ৪৫০টি পোশাক কারখানা তৈরি পোশাক রপ্তানির সাথে যুক্ত। স্বাভাবিক সময়ে প্রতিমাসে গড়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে ২০০ মিলিয়ন ডলারের অর্ডার পায় এসব প্রতিষ্ঠান। তবে এখন এই পরিমাণ অর্ডার পাচ্ছে না গার্মেন্টস মালিকরা। অক্টোবরে চট্টগ্রামের গার্মেন্টস মালিকরা অর্ডার পেয়েছিলেন ১১৩ মিলিয়ন ডলার।

গার্মেন্টস মালিকরা জানিয়েছেন : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে অর্ডার কমে গেছে। এরমধ্যে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ক্রেতারা অর্ডার আরও কমিয়ে দিচ্ছেন। বিজিএমইএর ভাইস প্রেসিডেন্ট রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, চলতি বছরের অক্টোবরের প্রথম ১০ দিনে বিজিএমইএ সদস্যভুক্ত চট্টগ্রামের প্রায় ৩৫০টি গার্মেন্টসে তৈরি পোশাকের অর্ডার ছিল প্রায় ৪৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। নভেম্বরের প্রথম ১০ দিনে এই অর্ডার নেমে এসেছে ৩৫ মিলিয়ন ডলারে। অর্থাৎ, নভেম্বরের প্রথম ১০ দিনে চট্টগ্রামে বিজিএমইএ সদস্যভুক্ত গার্মেন্টসগুলোতে অর্ডার কমেছে ২০. ৪৫ শতাংশ।

চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার ডেলিভারি কমেছে ৫০ শতাংশ: স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সাধারণত প্রতিদিন প্রায় ৪,০০০ থেকে ৪,৫০০ কন্টেইনার সরবরাহ করা হয়। প্রায় ৬,০০০ থেকে ৭,০০০ ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান এবং প্রাইম মুভার কন্টেইনারগুলো পরিবহন করে। কিন্তু দফায় দফায় অবরোধ কর্মসূচির প্রভাবে বর্তমানে কন্টেইনার ডেলিভারি নেমে এসেছে ২,০০০ এ। একইসাথে বন্দরে পণ্যবাহী গাড়ি আসার সংখ্যাও কমে গেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। আমদানিকারক এবং সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, চলমান অবরোধের কারণে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারি নিতে তারা হিমশিম খাচ্ছেন তারা।

বিএনপির অবরোধকালীন সময়ে বন্দরের কন্টেইনার ডেলিভারির তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ ডেলিভারি কমে গেছে। গত ২৭ অক্টোবর কন্টেইনার ডেলিভারি হয়েছিল ৪১৩২ টিইইউ। এর পর ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত গত ১৯ দিনের মধ্যে ১০ দিন কন্টেইনার ডেলিভারি হয়েছে ২,০০০ থেকে ৩,০০০ টিইইউসের মধ্যে। ৯ দিন কন্টেইনার ডেলিভারি হয় ৩,০০০ থেকে ৫,০০০ টিইউএসম পর্যন্ত। অবরোধের কারণে বন্দর থেকে কন্টেইনার ডেলিভারির শিডিউলও বদলে যাচ্ছে। শুল্কায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরও অবরোধের সময় ডেলিভারি না নিয়ে অবরোধ নেই এমন দিনে কন্টেইনার ডেলিভারির দিকে ঝুঁকছেন ব্যবসায়ীরা। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি কন্টেইনার ডেলিভারি দিতে গিয়ে বাড়তি চাপে পড়ছেন বন্দর সংশ্লিষ্ট কর্মীরাও। এমন পরিস্থিতিতে আমদানিকারকরা পণ্য ডেলিভারিতে সরকারি ছুটি কিংবা অবরোধ নেই এমন দিনকেই বেছে নিচ্ছেন।

স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে, কোনো বাড়তি চার্জ ছাড়াই বন্দর থেকে কন্টেইনার নেয়ার জন্য ৪ দিনের গ্রেস পিরিয়ড পান আমদানিকারকরা। এই প্রাথমিক গ্রেস পিরিয়ডের পরে, আমদানিকারকদের প্রথম সপ্তাহে ২০-ফুট কন্টেইনারের জন্য প্রতিদিন ৬ ডলার করে জরিমানা দিতে হয়। দৈনিক এই জরিমানা দ্বিতীয় সপ্তাহে দ্বিগুণ হয়ে ১২ ডলার এবং ২১তম দিন থেকে বেড়ে ২৪ ডলার হয়। ৪০-ফুট কন্টেইনারের জন্যও একই প্যাটার্নে চার্জের পরিমাণ হয় দ্বিগুণ। চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডে কন্টেইনার ধারণ সক্ষমতা ৫৩,৫১৮ টিইইউ। ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত বন্দরের ইয়ার্ডে কন্টেইনার রয়েছে ২৭,৬৬৫ টিইইউ।


আরও খবর

কমছে সবজি ও ব্রয়লারের দাম

শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩




নওগাঁয় ধানবাহী ট্রাকের ধাক্কায় অটো বাইক চালক নিহত, আহত ৩ ছাত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় ধানবাহী ট্রাকের ধাক্কায় অটো-বাইক চালক এর মৃত্যু হয়েছে এসময় অটো-বাইকের যাত্রী ৩ জন কলেজ ছাত্রী আহত হয়েছেন। মর্মান্তিক এ দূর্ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ২টারদিকে নওগাঁর সাপাহার উপজেলার গোডাউনপাড়া নিচ মোড় নামক স্থানে। 

নিহত অটো-বাইক চালক সিদ্দিক হোসেন (৪৪) হলেন, নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার আষ্টমাত্রা গ্রামের মৃত আঃ সামাদ এর ছেলে। বলে প্রাথমিকভাবে জানাগেছে।

স্থানিয় সুত্র জানান, মঙ্গলবার দুপুর ২ টারদিকে সাপাহার উপজেলা সদরের ওয়ালটন

মোড় থেকে মহিলা কলেজের কয়েকজন ছাত্রীকে নিয়ে অটো-বাইকটি বাকরইল এর পথে রওনা দেয়। দূর্ঘটনাস্থলে পৌছলে এসময় সামনে থেকে আসা ধান বোঝাই ট্রাক (ঢাকা মেট্রো ট ২২-৪৬৭৭ এর) সাথে অটো-বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। দূর্ঘটনার খবর পেয়ে সাপাহার থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের টিম দ্রুত দূর্ঘটনাস্থলে পৌছে স্থানিয়দের সহযোগীতায় আহতদের উদ্ধার করে সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক অটো বাইক চালক সিদ্দিক কে মৃত ঘোষণা করেন। দূর্ঘটনার পর স্থানিয়দের সহযোগীতায় ট্রাক চালক ও চালকের সহকারি হেলপাড় কে পুলিশ সাপাহার থানা হেফাজতে নেয়। সংবাদ লেখার সময় পর্যন্ত এব্যাপারে আইনানুগ পদক্ষেপ পক্রিয়াধীন (চলমান) রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।


আরও খবর



দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ক্ষণ গণনা শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ০১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

সদরুল আইন : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হচ্ছে আজ থেকে বুধবার (০১ নভেম্বর) থেকে পরবর্তী নব্বই দিন অর্থাৎ আগামী ২৯ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। জন্য সব প্রস্তুতি গুছিয়ে নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)

বিষয়ে ইতোমধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচনের পরিবেশ অনুকূল বা প্রতিকূল থাকুক, আর কোনো অপশন নেই। সংবিধানে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে

দিন থেকেই ইসির সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, গাড়িচালক, নিরাপত্তা প্রহরীসহ সংশ্লিষ্টদের সব ছুটির দিনে অফিস করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে

তাই তারা নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত সাপ্তাহিক এবং সরকারি ছুটি কোনোটাই কাটাতে পারবেন না

নির্বাচন কমিশন স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হলেও সরকারি কর্মচারীদের প্রেষণে নিয়োগ করে নির্বাচনী কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হয় তাদের।

তাই সংশ্লিষ্ট দপ্তর মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গেও ইসি আজ বসছে। ১১টি আলোচ্যসূচিতে করণীয় নির্ধারণ করা হবে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক

এগুলোর মধ্যে রয়েছে- ভোটকেন্দ্রের স্থাপনা মেরামত ভৌত অবকাঠামো সংস্কার; পার্বত্য বা দুর্গম এলাকায় হেলিকপ্টারে নির্বাচনী মালামাল পরিবহন এবং ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের ভোটকেন্দ্রে আনা-নেওয়ার বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ; নির্বাচনী প্রচার, উদ্বুদ্ধকরণ ইত্যাদি বিষয়ে প্রচার মাধ্যম কর্তৃক ব্যবস্থা গ্রহণ

দেশি বা বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োগে সহায়তা প্রদান; পোস্টাল ব্যালটে ভোটপ্রদানের বিষয়ে সহযোগিতা; নির্বাচনে শান্তিশৃঙ্খলা নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে পরিকল্পনা গ্রহণ

ঋণ খেলাপি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ, সংকলন প্রদান বিষয়ক কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুত; নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন এবং মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শোডাউন নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করার লক্ষ্যে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ

বার্ষিক পাবলিক পরীক্ষার সময়সূচি পর্যালোচনা; দৈনন্দিন আবহাওয়ার পূর্বাভাস সংক্রান্ত তথ্য পর্যালোচনা নির্বাচনী এলাকায় বিদ্যমান নির্বাচনী প্রচার সামগ্রী অপসারণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা প্রদান

তফসিল ঘোষণার আগে করণীয় কাজগুলো প্রায় সবই শেষ। এখন বাকি ৩০০ আসন ভিত্তিক ভোটার তালিকা তৈরির কাজ। বৃহস্পতিবার ( নভেম্বর) তা সম্পন্ন করা হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কত সংখ্যক ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন সেদিনই তা নির্ধারণ করা হবে

ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানিয়েছেন, নভেম্বরের প্রথমার্ধেই তফসিল দেবে নির্বাচন কমিশন। আর ডিসেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই অনুষ্ঠিত হবে সংসদ নির্বাচন

নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষের দিকে ঘোষণা করা হতে পারে তফসিল। তার আগে বাংলাদেশ টেলিভিশন সিইসির দেয়া জাতির উদ্দেশে ভাষণ রেকর্ড করবে। আর এই ভাষণেই তিনি তফসিল দিয়ে দেবেন

এদিকে ২৮ অক্টোবরের সমাবেশ ঘিরে বিএনপির দেয়া প্রথমে হরতাল এবং পরে অবরোধ কর্মসূচিতে সারাদেশেই সহিংস পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ইসির অবস্থান জেনে গেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস

তিনি বলেন, তার দেশ আশা করে, শর্তহীন সংলাপে বসে সব পক্ষ একটি সমাধানের পথে এগোবে। কেননা, গণতান্ত্রিক নির্বাচনে সহিংতার কোনো স্থান নেই

নির্বাচন কমিশন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আগে সংলাপে বসলেও আবারও সংলাপের আয়োজন করছে শনিবার ( নভেম্বর) সেদিন সকাল বিকেলে ২২টি করে মোট ৪৪টি দলকে বৈঠকে বসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে ইসি। এক্ষেত্রে বিএনপিকেও আমন্ত্রণ জানাবে

উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার ছিল ১০ কোটি ৪২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭৭ জন। সবশেষ ২০২২ সালের হালনাগাদ অনুযায়ী, দেশে ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জন।

তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার কোটি লাখ ৪৫ হাজার ৭২৪ জন। আর নারী ভোটার কোটি ৮৭ লাখ হাজার ৮৭৯ জন। ছাড়া হিজড়া ভোটার রয়েছেন ৮৩৭ জন

 


আরও খবর

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




পৃথক ঘটনায় ১০৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

রাণীনগর-আত্রাইয়ে ককটেল হামলায় আহত-৫, গ্রেফতার-১

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) : নওগাঁর রাণীনগর এবং আত্রাই উপজেলায় পৃথকভাবে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় অন্তত: ৫জন আহত হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ককটেল হামলার এঘটনায় পৃথক থানায় মোট ১০৫জনকে আসামী করে রাতেই মামলা দায়ের করা হয়েছে। এঘটনায় জড়িত সন্দেহে বিএনপি নেতা মুকুল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রাণীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ দুলু বলেন,বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ আওয়ামীলীগের একনিষ্ঠ কর্মি ও সর্মথকরা তিনটি মোটরসাইকেল নিয়ে বড়গাছা এলাকা থেকে রাণীনগর ফিরছিলেন। এসময় পথি মধ্যে বিষ্ণপুর ব্রীজ এলাকায় পৌছলে তাদের উপর ককটেল হামলা করা হয়। হামলায় রাজাপুর গ্রামের জয়নাল সরদার(৫৫),পশ্চিম বালুভরা গ্রামের জুয়েল হোসেন (৩৬) ও ময়নুল হোসেন (৪২) আহত হয়। আহতদের রাতেই রাণীনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি দাবি করে বলেন,সারাদেশে চলমান বিএনপি-জামায়াতের হরতাল অবরোধের অংশ হিসেবে এলাকাকে অস্থিতিশিল করতে তারা এ হামলা করে থাকতে পারে বলে ধারনা করছেন তিনি। এঘটনায় একটি মোটরসাইকেলও ভাংচুর করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

অপর দিকে আত্রাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আক্কাস আলী প্রামানিক বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর অবরোধ বিরোধী শান্তি মিছিল নিয়ে দলীয় অফিসে ফিরছিলাম। এসময় রেল গেট এলাকায় পৌছলে পিছন থেকে মিছিলে ককটেল হামলা চালায়। ওই হামলায় শাহিনুল ইসলাম (৪০) সহ দুইজন আহত হয়। আহতদের আত্রাই হাসপাতালে চিকিৎসা দেয় হয়েছে। এঘটনায় তিনি বাদী হয়ে রাতেই থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

রাণীনগর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সেলিম রেজা বলেন,ককটেল হামলার ঘটনায় জয়নাল সরদার বাদী হয়ে এজাহার নামীয় ৮জন এবং অজ্ঞাত নামা আরো ৩০-৩৫জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার প্রেক্ষিতে রাতেই উপজেলার খট্রেশ্বর গ্রামের আবুল মন্ডলের ছেলে মুকুল হোসেন (৩৮) কে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করে শুক্রবার আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।

আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারেকুর রহমান সরকার বলেন,ককটেল হামলার ঘটনায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আক্কাস আলী প্রামানিক বাদী হয়ে ১২জনকে এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৪০-৫০জনকে আসামী করে রাতেই মামলা দায়ের করেছেন। তবে এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এই দুই কর্মকর্তা। 


আরও খবর



পেটের দায়ে পেশা বদলাচ্ছে পরিবহণ শ্রমিকরা

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

মইনুল ইসলাম মিতুল : চলমান অবরোধ-হরতালে যানবাহনে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আতঙ্কে নিরূপায় হয়ে পেশা পরিবর্তন করছেন পরিবহণ শ্রমিকরা। এর মধ্যে দূরপাল্লার বাসের শ্রমিকদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। জীবন বাঁচাতে বহু শ্রমিক ইতোমধ্যেই পরিবহণের চাকরি ছেড়ে হোটেলে, গার্মেন্টস, গ্যারেজ ও কৃষি কাজে যোগ দিয়েছেন। অনেকে দিনমজুরের কাজও করছেন। অস্থায়ীভাবে বিভিন্ন পেশায় জড়িয়ে পড়া শ্রমিকদের সংখ্যা হাজারো হতে পারে। পরিবহণের শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

ঢাকার মহাখালী বাস টার্মিনালে শিপন (২৩) নামের এমনই এক পরিবহণ শ্রমিকের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। তিনি বলেন, অভাবের তাড়নায় বাসের হেলপার হিসেবে কাজ শুরু করি। দুই মাস আগে ঢাকা-ময়মনসিংহ-ঢাকা রুটে যাতায়াতকারী সৌখিন পরিবহণের হেলপার হিসেবে যোগ দেই। দিনে একটি ট্রিপ দেওয়া যায়। আবার রাতে আরেকটি ট্রিপ দেই। দুটি ট্রিপে ৮০০ টাকা পাই। এর মধ্যে খাওয়া-দাওয়াসহ অন্যান্য খরচ আছে। সব শেষে কোনো কোনো দিন ৩০০ বা ৪০০ টাকা থাকে। সবদিনই রোজগার সমান হয় না। প্রতিমাসে গড়ে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত থাকে। এই দিয়েই সংসার চলে।

এরই মধ্যে রাজনৈতিক দলের হরতাল অবরোধ শুরু হলে একেবারে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়। দূরপাল্লার বাস যাতায়াত করে না বললেই চলে। আর বাস না চললে টাকা রোজগার বন্ধ। কারণ পরিবহণ শ্রমিকরা দিন হাজিরা অনুযায়ী টাকা পায়। ট্রিপ নাই, টাকাও নাই। অবরোধ-হরতালে মালিকরা গাড়ি বের করেন না। উল্টো গাড়ি ভালোভাবে পাহারা দিতে বলেন। অথচ দিন হাজিরার কোনো টাকাও দেন না। শুধু সামান্য দুই বেলা খাওয়ার জন্য মানবিক কারণে টাকা দেন। আবার কোনো কোনো মালিক তাও দেন না বলে পরিচিত অনেক হেলপারের কাছে শুনেছি।

হরতাল-অবরোধ শুরুর আগে গাড়ি যদি টার্মিনালের ভেতরে নিরাপদ জায়গায় পার্কিং করে রাখা যায়, তাহলে তো কথাই নেই। মালিক একেবারে নিশ্চিন্ত থাকেন। কোনো কোনো মালিক সত্যি সত্যিই গাড়ি ভেতরে রাখা হয়েছে কিনা, তা এসে দেখে যান। মালিক বুঝে যান, তার গাড়ি যেহেতু নিরাপদ জায়গায় আছে, সেহেতু গাড়িতে ভাংচুর বা অগ্নিসংযোগের কোনো সম্ভাবনা নেই। এমন পরিস্থিতিতে অধিকাংশ মালিকই গাড়ি তালা দিয়ে চাবি নিয়ে শ্রমিকদের বাড়ি চলে যেতে বলেন। কারণ হেলপার, সুপারভাইজার ও চালক থাকলে মানবিক কারণে তাদের টাকা দেয়ার বা হাত খরচ দেয়ার বিষয় থাকে। মালিকরা গাড়ি বন্ধ তো সবই বন্ধ। অর্থাৎ পরিবহণ শ্রমিকদের পেছনে বাড়তি টাকা খরচ করতে রাজি নন। এমন পরিস্থিতিতে পরিবহণ শ্রমিকরা বাধ্য হয়ে অন্য গাড়িতে করে ভেঙে ভেঙে বাড়ি চলে যেতে বাধ্য হন। এছাড়া আর কোনো উপায়ও থাকে না। কারণ থাকলেই খরচ।

 সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি হানিফ খোকন বলেন, পেটের দায়ে অনেক পরিবহণ শ্রমিক হোটেলের বয় হিসেবে কাজ নিয়েছেন। অনেকেই গ্যারেজে কাজ নিয়েছেন। এছাড়া যেসব শ্রমিকের গ্রামের বাড়িতে জমি আছে, তারা কৃষি কাজ করছেন। অনেকেই আবার দিনমজুর হিসেবে কাজ করছেন। এমন অনেক সুপার ভাইজার ও চালককে দেখেছি এই পেশা ছেড়ে আপাতত গ্রামে গিয়ে কৃষি কাজ করছেন। অনেকেই দিনমুজুর বা অটো চালাচ্ছেন। কারণ অনেকের সঙ্গেই পেশাগত কারণে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হয়। তারা কে কোথায় কেমন আছে বা কি করছে তা কথা প্রসঙ্গে জানা যায়।

সুপার ভাইজার ও চালকদের এছাড়া আর কোনো উপায়ও নেই। কারণ একজন সুপার ভাইজার সিঙ্গেল দুই বার আপ-ডাউন করলে সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা পায়। আর চালক পায় ১৪শ টাকা। গাড়িই যেহেতু চলে না, সে ক্ষেত্রে পরিবহণ শ্রমিকদের রোজগার বন্ধ। এজন্য তাদের অনেকেই গ্রামের বাড়িতে চলে গেছেন। এছাড়া আর কোনো উপায় নেই। কারণ ঢাকায় বিভিন্ন বাসের ভেতরে থাকার সুযোগ থাকায় টাকা লাগে না। তবে খাওয়া দাওয়া করতে অনেক টাকা ।

হানিফ খোকনের ভাষ্য মতে, বহু শ্রমিক পরিবহণ সেক্টরের পেশা ছেড়েছেন। কারণ একদিকে রোজগার নেই। আরেক দিকে প্রাণের মায়া। সম্প্রতি যাত্রাবাড়িতে পার্কিং করে রাখা একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে বাসের ভেতরে থাকা হেলপার জীবন্ত পুড়ে মারা যান। সবারই প্রাণের মায়া আছে। দূরপাল্লার বাসে ভয় আরও বেশি। কারণ রাতে বাস চলাচল করে। কে কোথা থেকে অন্ধকারের মধ্যে বাসে আগুন বোমা ছুড়ে মারবে, তার কোনো হদিস নেই। বাস মালিকের বাস পুড়ে যাবে। আর যাত্রী, হেলপার, সুপারভাইজার ও চালকের জীবন যাবে। চোরাগোপ্তা হামলা করে বাসে আগুন দেওয়ার কারণে পরিবহণ মালিকরা রাস্তায় বাস বের করতে চান না। আর শ্রমিকরাও জীবনের মায়ায় যানবাহন চালানোর সাহস পাচ্ছেন না।

অনেকটা কষ্টেই হানিফ খোকন বলছিলেন, সবারই তো জীবনের মায়া আছে! যাত্রীরা প্রাণের ভয়ে বাসে উঠেন না। বেঁচে থাকলে কিছু না কিছু করে জীবন পার করতে পারবে। ঘরে পিতা-মাতা ভাই বোন আছে।

পরিবহণ শ্রমিক লীগের তথ্য মতে, সারা দেশে পরিবহণ শ্রমিকের সংখ্যা এক কোটির উপরে। দূরপাল্লার প্রতিটি বাসে কমপক্ষে তিনজন করে শ্রমিক থাকেন। চালক, সুপারভাইজার ও হেলপার। তবে মালবাহী যানবাহনে শ্রমিকের সংখ্যা আরও বেশি। আর লেগুনা, হিউম্যান হলারে দুজন করে শ্রমিক থাকেন।

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাবেশে ব্যাপক নাশকতার ঘটনা ঘটে। ওইদিন অনেক যানবাহন ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের কবলে পড়ে। এরপর থেকে বিএনপি-জামায়াত দেশব্যাপী অবরোধ ও হরতালের মতো কর্মসূচি পালন করছে। এসব কর্মসূচিতে যানবাহনে চোরাগোপ্তা হামলার ঘটনা ঘটছে। যাত্রীবাহী বাস বা মালবাহী কাভার্ড ভ্যান ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের যানবাহন হামলাকারীদের মূল টার্গেটে পরিণত হয়েছে। এখন পর্যন্ত আড়াই শতাধিক যানবাহন ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের কবলে পড়েছে। হতাহত হয়েছেন যাত্রী, চালক, সুপারভাইজার, হেলপারসহ পরিবহণ সংশ্লিষ্ট অনেকেই। এমন পরিস্থিতিতে পরিবহণ মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে রীতিমত আতঙ্ক বিরাজ করছে। যে কারণে অবরোধ বা হরতালের দিন দূরপাল্লার বাস বা অন্যান্য যানবাহন চলাচল করছে না বললেই চলে। যেসব যানবাহন চলাচল করছে, তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিতান্তই পেটের দায়ে যানবাহন নিয়ে রাস্তায় বের হচ্ছেন।

পরিবহণ সংশ্লিষ্টরা জানান, পুলিশ ও র‌্যাবের তরফ থেকে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নিশ্চয়তা দিলেও পরিস্থিতির তেমন একটা উন্নতি হয়নি। আতঙ্কে পরিবহণ মালিকরা যেমন রাস্তায় যানবাহন বের করছেন না, তেমনি পরিবহণ শ্রমিকরাও জীবনের মায়ায় রাস্তায় যানবাহন নিয়ে বেরুতে সাহস পাচ্ছেন না।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্য মতে, চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত সারা দেশে নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা প্রায় ৫৭ লাখ ৪২ হাজার। অনিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা লাখ লাখ। যার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। যদিও ২০২১ সালে জাতীয় সংসদে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছিলেন, ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে ফিটনেসবিহীন গাড়ির সংখ্যা ছিল প্রায় ৫ লাখ। সারা দেশে ১১ হাজার ৭০৮ কিলোমিটার মহাসড়ক রয়েছে। মহাসড়কে নিয়মিত যাতায়াতকারী দূরপাল্লার যানবাহনের সংখ্যা ২১ লাখের বেশি।


আরও খবর

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




সরিষাবাড়ীতে আন্তঃনগর যমুনা ট্রেনের তিন বগিতে আগুন

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

জামালপুর প্রতিনিধি: 

জামালপুরের সরিষাবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনে আন্তঃনগর যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনের তিনটি বগিতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আগুনের সূত্রপাত বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা প্রাথমিকভাবে বলতে পারেনি কেউ। ঘটনার পরপরই আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জিআরপি ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে কাজ করছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা থেকে তারাকান্দিগামী আন্তঃনগর যমুনা ট্রেনটি রাত সোয়া ১টার দিকে সরিষাবাড়ী স্টেশনে থামে। কিছুক্ষণ পর ট্রেনটি তারাকান্দির উদ্দেশ্যে ছাড়ার সাথেসাথেই তিনটি বগিতে দাউদাউ করে আগুন জ্বলে উঠে। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মোড় পর্যন্ত যাওয়ার পর কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্রেনটি থেমে যায়।

উল্লেখ্য, যমুনা ট্রেনটি তারাকান্দি স্টেশন থেকে রাত ২টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল।

সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুশফিকুর রহমান ট্রেনে আগুনের ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।


আরও খবর