Logo
শিরোনাম

স্কুল প্রতিষ্ঠা ফেদায়ে মিল্লাতের ভাবনা ছিল

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

আমিনুল ইসলাম কাসেমী, শিক্ষক ও গবেষক :

ফেদায়ে মিল্লাত সাইয়্যেদ আসআদ মাদানী রহ, এর পরিকল্পনা ছিল মাদ্রাসার পাশাপাশি স্কুল প্রতিষ্ঠা করা। খৃষ্টান মিশনারীর মোকাবেলায় তিনি ইসলামিক স্কুল, সেবামুলক প্রতিষ্ঠান, কারিগরী শিক্ষা,  ইসলামী ব্যাংকিং পদ্ধতি, এভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তিনি গড়ে তুলে ছিলেন। 

ঢাকাতে যতবারই আমি হযরতকে দেখেছি, তিনি মাদ্রাসার পাশাপাশি স্কুলের প্রতি গুরুত্বারোপ করতেন। সকলকে উদ্বুদ্ধ করতেন স্কুল প্রতিষ্ঠার কাজে। মালিবাগ জামেয়া শারইয়্যাহ এর প্রোগ্রামে ফেদায়ে মিল্লাত তাঁর বক্তৃতায় বহুবার বলেছেন  স্কুল প্রতিষ্ঠার কথা। মানুষকে দ্বীন মুখি করার জন্য তিনি নতুন কৌশল হিসেবে স্কুল প্রতিষ্ঠা সময়ের দাবী। যুগের চাহিদা।

মাদ্রাসাতে কিন্তু সব শ্রেণীর মানুষ ভর্তি হয়না। সব পরিবারের ছেলে-মেয়ে মাদ্রাসাতে পড়েনা। কিন্তু বর্তমানে স্কুল কলেজের যে অবস্হা, তাতে বৃহৎ এক জনগোষ্ঠী  দ্বীন থেকে মাহরুম হচ্ছে।  এবং তারা ধাবিত হচ্ছে গোমরাহীর দিকে। দিনে   দিনে তারা ঈমানহারা হচ্ছে। ইসলাম বিদ্বেষী হয়ে যাচ্ছে। অথচ তারা কিন্তু  মুসলমান।  তাদের ধর্ম ইসলাম।

ফেদায়ে মিল্লাত সাইয়্যেদ আসআদ মাদানী রহ,  একজন চিন্তাশীল এবং উঁচুমানের বুজুর্গ ব্যক্তিত্ব ছিলেন।  হুবহু পিতা কুতুবুল আলম  সাইয়্যেদ হুসাইন আহমাদ মাদানী রহ, এর নঁকশে কদমে পা রেখে চলে ছিলেন। পিতার মত ব্যাপক চিন্তা- চেতনা সারা জীবন লালন করতেন তিনি।   তাই তো হযরত আসআদ মাদানী রহ, তাঁর জীবদ্দশায়  বিশ্বব্যাপী আলোড়ন তুলেছিলেন। নানা খেদমতে নিজেকে নিয়োজিত রাখতেন। মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতেন। যেখানে যেতেন, সেখানে তিনি মানুষকে দ্বীনি খেদমতে আত্মনিয়োগ করার পরামর্শ দিতেন সব সময়।

মাদানী পরিবারটা ছিল ইতিহাসের দেদীপ্যমান এক মশাল। যারা শত শত বছর ধরে দ্যুতি ছড়িয়েছেন। বিশ্ববাসীকে বহু উপহার তাঁরা দিয়েছে। বিশেষ করে  মজলুম জাতির মুক্তি কামনায় তাঁদের সংগ্রাম অপরিসীম।  ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে তাদের সংগ্রাম চিরস্মরনীয় হয়ে থাকবে।  একশত নব্বই বছর ধরে গেঁড়ে বসা ব্রিটিশকে নাস্তানাবুদ করে দিয়েছিল এই মাদানী পরিবারের  মহান ব্যক্তি। সে জন্য অতুলনীয় চিন্তা - চেতনা তাঁদের। তাঁদের চিন্তা- ভাবনার সাথে হয়ত অনেকে  বুঝতে সক্ষম হয়নি। কেউ কেউ ভুলও বুঝেছেন। কিন্তু শেষমেষ মাদানী ফর্মুলা শ্রেয় সেটা প্রমাণ হয়েছে।

সাইয়্যেদ আসআদ মাদানী রহ, এর চিন্তা- চেতনা, তাঁর ফর্মুলা শ্রদ্ধেয় পিতার বাতলানো নীতি অনুযায়ী। তিনি যেসব কর্মকান্ড পরিচালনা  করেছিলেন, সবই ছিল সাইয়্যেদ হুসাইন আহমাদ মাদানীর  দেখানো পথ। 

তিনি যে স্কুল প্রতিষ্ঠার চিন্তা করেছিলেন এবং বিশ্বের বিভিন্ন জায়গাতে স্কুল  প্রতিষ্ঠা করে দেখিয়েছেন। এগুলো অত্যান্ত সময়পোযোগী সিদ্ধান্ত ছিল। মানব কল্যাণে তাঁর যথার্থ উদ্যোগ। কেননা, জেনারেল লাইনের মানুষগুলোকে দ্বীন মুখি করার যথাযথ প্রয়াস। আর সেই ভাবনায় বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যেটা এখন বিশ্বব্যাপি সমাদৃত।   আলেম- উলামাসহ লক্ষ লক্ষ মানুষের হৃদয় কেড়ে নিয়েছে। 

বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কথা চিন্তা করা সকলের জন্য অপরিহার্য। কয়টা পরিবারের ছেলে দ্বীন শিখতে যায়। কজন মাদ্রাসার গন্ডির ভিতর থাকার ইচ্ছে করে। সবই তো চলে যায় স্কুল- কলেজ- ভার্সিটিতে। সেখানে তারা যা ইচ্ছে তাই করে বেড়ায়।   অনেকে তো মাদ্রাসার কথা কানেই নিতে পারেন না।  কিন্তু তারা তো মুসলমান।  তাদের কে কি দ্বীনের পথে আনতে হবে না? 

আমাদের ছেলেরা আজ ডিসি হয়, এসপি হয়,  মন্ত্রী - এমপি হয়। কিন্তু তারা দ্বীন থেকে বহু দুরে। কোরআন হাদীসের কোন জ্ঞান তাদের নেই।  ইসলামী আদর্শ, ইসলামী তাহযীব তামাদ্দুনের সাথে কোন সম্পর্ক তাদের নেই। ইসলামী রীতি- নীতি সম্পর্কে তারা ওয়াকিফহাল নয়।  এমনকি ইসলামের প্রাথমিক বিষয়গুলো তাদের অজানা। 

আজ আমাদের সন্তানেরা বড় অফিসার হয় কিন্তু কোরআন পড়া জানেনা। বড় ডাক্তার - ইন্জিনিয়র,কিন্তু ইসলামী জ্ঞানে সে মুর্খ।  কোরআন সহী করে পড়ার যোগ্যতা থাকেনা।  কোন মাসয়ালা জানেনা। অথচ দুনিয়াবী ভুরি ভুরি ডিগ্রি তার আছে।

তাই ফেদায়ে মিল্লাতের মোবারক ভাবনা ছিল। এটা তাঁর গুরুত্বপুর্ণ নসীহত।  ইংরেজী শিক্ষিত মানুষগুলো যেন ইসলামের ব্যাপারে মুর্খ না হয়। তারা যেন ইসলামী জ্ঞান আহরণ করতে পারে। তার জন্য স্কুল গড়ে তুলুন।

আজকের ইকরা বাংলাদেশ স্কুল, যেটা ফেদায়ে মিল্লাতের  পরিকল্পনার ফসল।  বাংলাদেশের প্রায় প্রত্যেক জেলাতে এখন ইকরার শাখা। সবই আওলাদে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রুহানী তাওয়াজ্জুহ দ্বারা  দেশব্যাপি গড়ে উঠেছে।  আরো  দেশের বিভিন্ন জায়গাতে ওলামা - মাশায়েখদের প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠছে। 

দারুল উলুম দেওবন্দের বর্তমান সদরুল মুদাররিসীন, কুতুবুল আলম সাইয়্যেদ হুসাইন আহমদ মাদানীর মেঝো সাহেবজাদা, ফেদায়ে মিল্লাতের ভ্রাতা, সাইয়্যেদ আরশাদ মাদানী দামাতবারাকাতুহুম, তিনিও এখন আলেমদের স্কুল প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে উৎসাহিত করছেন। যেটা খুবই প্রসংসনীয়। 

বর্তমান প্রেক্ষাপটে  আলেম সমাজের আরো জোরদার ভুমিকা রাখা দরকার।  স্কুল প্রতিষ্ঠায়  এগিয়ে আসতে হবে। আমরা যেরকম মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার কাজে এগিয়ে যাচ্ছি, স্কুল এর জন্য ঐ রকম   ভুমিকা রাখা জরুরী। 

বড় দুঃখ লাগে, আমাদের দেশের সাধারণ শিক্ষিত ভায়েরা যেভাবে দ্বীনের জ্ঞান থেকে মাহরুম হয়ে আছে, এটা যদি আমরা না করি, তাহলে আরো অধঃপতনে চলে যাবে তারা।   ভবিষ্যতে মুসলমান হিসেবে খুঁজে পাওয়া যাবেনা তাদের।  

এজন্য দেশের আলেম সমাজ স্কুল প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসুন।  মানুষকে গোমরাহী থেকে বাঁচান। স্কুল প্রতিষ্ঠার মাধ্যম মানুষকে দ্বীনি জ্ঞান দান করুন। 


আরও খবর



রাতভর টেকনাফ সীমান্তে থেমে থেমে গোলাগুলি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার থেকে আবারও গোলাগুলি মর্টার শেলের আওয়াজ ভেসে আসছে এতে আতঙ্কে আছেন টেকনাফের হোয়াইক্যং হ্নীলা ইউনিয়ন সীমান্তের লোকজন

টেকনাফের কয়েকটি পয়েন্টে সীমান্তে ভারী মর্টার শেলের শব্দে আতঙ্কে রাত কাটে স্থানীয়দের

স্থানীয়দের দাবি, নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় মিয়ানমার সরকারি বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির সংঘর্ষ চলছে। এতে টেকনাফের হোয়াইক্যং উত্তর পাড়া, লম্বাবিল, উনচিপ্রাং, কাঞ্জর পাড়া, হ্নীলা, মোলভী পাড়া, ওয়াব্রাং, ফুলের ডেইল, চৌধুরী পাড়া, জালিয়া পাড়া এলাকায় সীমান্তের ওপারে থেমে থেমে গুলি মর্টার শেলের শব্দ পাওয়া গেছে। হোয়াইক্যং হ্নীলা সীমান্তের পূর্বে মিয়ানমার কুমিরহালি, নাইচদং, কোয়াংচিগং, শিলখালী, নাফপুরা গ্রামগুলোতে গৃহযুদ্ধ চলছে

হোয়াইক্ষং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ আনোয়ার বলেন, ঈদের দিন থেকে টানা ২দিন ধরে থেমে থেমে মর্টার শেল গুলির শব্দ ভেসে আসছে এতে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, মর্টার শেল গুলির শব্দে কাপছে সীমান্ত এলাকা। বজ্রপাতের মতো শব্দ হয়। এতে মানুষের নির্ঘুম রাত কাটছে


আরও খবর



লাফিয়ে বাড়ছে দুর্ঘটনা, মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ঈদুল ফিতর আর বাংলা নববর্ষ মিলিয়ে এবার দীর্ঘ ছুটি ছিল। এমন ছুটিতে গ্রামে যাওয়ার সুযোগ কে হাতছাড়া করে? তবে উসবেও আমাদের একমাত্র উকণ্ঠা হয়ে দাঁড়িয়েছে সড়ক দুর্ঘটনা। পৃথিবীর প্রত্যেক জনপদেই উসব পালিত হয়। কিন্তু কোনো নাশকতা ছাড়া শুধুমাত্র সড়ক দুর্ঘটনায় এত মানুষ হতাহতের নজির বোধ হয় অন্য কোথাও নেই। 

ঈদের ছুটি কাটিয়ে শহরে ফেরার পথে বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। এর মধ্যে গাড়ির উচ্চগতি, ওভারটেক, ঝাঁকুনি কিংবা হার্ডব্রেক অবচেতনে ডেকে আনছিল মৃত্যুভয়। তবে শেষমেশ নিরাপদেই ফিরতে পেরেছি। তবে কারো কারো কপালে সে ভাগ্য হয়নি। এবারের ঈদযাত্রায়ও সড়ক দুর্ঘটনার খবর গণমাধ্যমে এসেছে প্রতিদিনই।

গত ১৬ এপ্রিল ফরিদপুরের কানাইপুরে বাস ও পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে ১৪ জন নিহত হয়েছে। অন্যদিকে ১৭ এপ্রিল ঝালকাঠির গাবখান সেতুর টোল প্লাজায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সিমেন্টবাহী একটি ট্রাকের ধাক্কায় সামনে দাঁড়িয়ে থাকা বিভিন্ন গাড়ির আরও ১৪ আরোহী নিহত হয়। দুর্ঘটনায় নিহতের এ তালিকায় যোগ হয়েছে তরুণ সংগীতশিল্পী মতিউর রহমান হাসান ওরফে পাগল হাসানের নাম। ১৮ এপ্রিল সকালে কনসার্ট থেকে ফেরার পথে সুনামগঞ্জের ছাতক পৌর শহরের সুরমা সেতুর কাছে বাস ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে সঙ্গীসহ নিহত হয়েছেন পাগল হাসান।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য বলছে, ঈদযাত্রা শুরুর দিন (৪ এপ্রিল) থেকে ১৮ এপ্রিল কর্মস্থলে ফেরা পর্যন্ত ১৫ দিনে সড়কে ৩৯৯টি দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত ও এক হাজার ৩৯৮ জন আহত হয়েছে। এই সময়ে রেলপথে ১৮টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত ও ২১ জন আহত হয়েছে। নৌ-পথে দুটি দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত ও ৫ জন আহত হয়েছে। সবমিলিয়ে সড়ক, রেল ও নৌ পথে ৪১৯টি দুর্ঘটনায় ৪৩৮ জন নিহত ও এক হাজার ৪২৪ জন আহত হয়েছে।

অন্যদিকে গত বছর ঈদুল ফিতরে ৩০৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৮ জন নিহত ও ৫৬৫ জন আহত হয়েছিল। গত বছরের তুলনায় এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ৩১.২৫ শতাংশ, প্রাণহানি ২৪.০৮ শতাংশ ও আহত ১৪৭.৪৩ শতাংশ বেড়েছে। আর এসব দুর্ঘটনায় যথারীতি মোটরসাইকেলই শীর্ষে রয়েছে। এবারের ঈদে ১৯৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৫ জন নিহত ও ২৪০ জন আহত হয়েছে; যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪৯.৬২ শতাংশ, নিহতের ৪০.৫৪ শতাংশ এবং আহতের ৩০.৩৭ শতাংশ প্রায়।

যদিও সব দুর্ঘটনার খবর গণমাধ্যমে আসে না। তাই প্রকৃত দুর্ঘটনার সংখ্যা আরও বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যাত্রী কল্যাণ সমিতির পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আট বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোট ৬০ হাজার ৮৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহায় তিন হাজার ৮৬২ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে চার হাজার ৪৭৫ জনের। অর্থা শুধুমাত্র ঈদের মৌসুমেই সড়ক দুর্ঘটনায় ৭.৩৫ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্য বলছে, গত ১১ এপ্রিল ঈদের দিনে সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সবমিলিয়ে ঈদের আগে-পরে ছয় দিন এবং ঈদের দিন মিলিয়ে সাত দিনে সারা দেশে মোট ১১৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১২২ জন নিহত এবং আহত হয়েছে আরো অন্তত ১৯৫ জন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ৩৬ শতাংশের বেশি জাতীয় মহাসড়কে, ৩৪ শতাংশের বেশি আঞ্চলিক সড়কে, ১৮ শতাংশ গ্রামীণ সড়কে এবং প্রায় ১১ শতাংশ শহরের সড়কে সংঘটিত হয়েছে। দুর্ঘটনার তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, বর্তমান সময়ে মোট দুর্ঘটনার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ঘটে মোটরসাইকেলে। যার মধ্যে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৫৫.১১ শতাংশ, মুখোমুখি সংঘর্ষে ২১.২৫ শতাংশ, অন্য যানবাহনের সঙ্গে মোটরসাইকেলে ধাক্কা বা চাপায় ২৩.৬২ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের অধিকাংশই উঠতি বয়সী তরুণ।

স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক উন্নয়ন হয়েছে। আর বর্তমান সরকারের সময়ে যে পরিমাণ নতুন রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কার হয়েছে তা অতীতের সব রেকর্ড ছাপিয়ে গেছে। ১৯৭১ সালে মাত্র তিন হাজার ৬০০ কিলোমিটারের সড়ক দিয়ে শুরু করা বাংলাদেশে বর্তমানে তিন লাখ ৭৫ হাজার কিলোমিটারে সড়ক রয়েছে। এরমধ্যে জাতীয় ও আঞ্চলিক মিলিয়ে ২২ হাজার কিলোমিটার মহাসড়ক আছে।

এসব সড়ক নিয়ন্ত্রণে কাজ করে হাইওয়ে পুলিশের ৭৩টি ইউনিটের প্রায় তিন হাজার সদস্য। ইতিমধ্যে দেশে অনেকগুলো মহাসড়ক, এক্সপ্রেসওয়ে, ফ্লাইওভার, ওভারপাস, আন্ডারপাস, ওভারব্রিজ নির্মিত হয়েছে। দুই লেনের মহাসড়ক চার লেনে পরিণত হয়েছে আর চার লেনগুলো আট লেনে পরিণত হবে।

অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের ফলে ‘সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮’ প্রণয়ন করা হয়েছে। এত এত অবকাঠামো উন্নয়ন, জনবল মোতায়েন এবং পরিবহন আইন সংস্কার সত্ত্বেও সড়কে শৃঙ্খলার অভাব রয়ে গেছে, যা রোজার ঈদ আর কোরবানির ঈদে প্রকট আকার ধারণ করে।

ঈদযাত্রায় দুর্ঘটনা কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ার কারণ বিশ্লেষণে দেখা যায়: ফিটনেসবিহীন যানবাহন, ভাঙাচোরা সড়ক, অদক্ষ চালক, দুর্নীতি, ট্রাফিক তদারকির অভাব, অপ্রশস্ত সড়ক, বেপরোয়া গতি, মহাসড়কে মোটরসাইকেল, তিন চাকার গাড়ি চলাচল ইত্যাদি। পরিবহনের তুলনায় যাত্রী কয়েকগুণ বৃদ্ধি ও পরিবহন মালিকের অতিমুনাফার লোভে ফিটনেসবিহীন গাড়ি ও অদক্ষ চালক রাস্তায় নামানো হয়। সড়ক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিদের কর্তব্যে অবহেলা ও দুর্নীতি সড়ক শৃঙ্খলার অন্তরায়। এমনকি মহাসড়কে অনভ্যস্ত শহুরে সিটি বাসগুলো সড়কে চাপ তৈরি করে। আর অধিক ট্রিপ পাওয়ার আশায় বিরতিহীন ও বেপরোয়া গতিতে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টাও দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।

 


আরও খবর



হোয়াটসঅ্যাপ নতুন ফিচার আসছে

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

হোয়াটসঅ্যাপ বর্তমানে বিশ্বের জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। অনেকেই ব্যক্তিগত বা প্রয়োজনীয় কাজে নিয়মিত এটি ব্যবহার করেন। এটি প্রতিনিয়ত নিজেকে আপডেট করে গ্রাহকের কাছে নিজের জনপ্রিয়তা আরো বাড়িয়ে তুলছে। এবার স্ট্যাটাসে নতুন আপডেট আসছে হোয়াটসঅ্যাপে।

এতদিন হোয়াটসঅ্যাপের স্ট্যাটাসে ছবি, ভিডিও কিংবা টেক্সট আপলোড করা যেত। ক্যাপশনে লেখার অপশনও ছিল। কিন্তু, এবার আরও একটি বিষয় যুক্ত করতে পারবেন স্ট্যাটাসে।

একটি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, আপনি চাইলে এখন থেকে, আপনার কন্টাক্ট লিস্টে থাকা যে কাউকে স্ট্যাটাসে ট্যাগ করতে পারবেন। অর্থাৎ ধরুন আপনি কোনো একজনের জন্যই একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। কিংবা কয়েকজন বন্ধু অথবা পরিবারের কারও জন্য স্ট্যাটাসটি আপলোড করেছেন। সেক্ষেত্রে তাকে ট্যাগ করে দেওয়া যাবে। আর যে নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে সেই ব্যক্তির কাছে।


আরও খবর

মোবাইল আসক্তি কমাবেন যেভাবে

শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪




ঈদে ১৭২ বাইক দুর্ঘটনায় ঢামেকে ভর্তি ৮২, নিহত ৩

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ঈদুল ফিতরের ছুটিতে বুধবার রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার  রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকায় প্রায় ১৭২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন তিনজন। আহত হয়েছেন ৮২ জন। 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি জানিয়েছেন

তিনি জানান, ঈদের ছুটিতে বন্ধ থাকায় রাস্তাঘাট এমনিতেই ফাঁকা হয়ে যায়। এই সুযোগে মোটরসাইকেল চালকরা বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে এই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন বলে তাদের স্বজনদের কাছ থেকে জানা গেছে। গতকাল রাত ১২টা থেকে আজ রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেলেই ১৭২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহতদের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হলে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। এর মধ্যে ৮২ জনকে ভর্তি করা হয়েছে

ইতোমধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আরো অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা আমাদের জানিয়েছেন

আমরা ঢাকা মেডিকেলের পক্ষ থেকে প্রতিটি দুর্ঘটনার খবর সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি। তারাই বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন

তিনি আরো বলেন, গুলশান, ডেমরা নরসিংদীতে নারীসহ এখন পর্যন্ত তিনজন নিহত হয়েছেন। তিনজনের মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে


আরও খবর



৫৪ জেলায় বইছে তাপদাহ

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

সবচেয়ে উষ্ণতম মাস এপ্রিল তাই দেশের প্রায় সবখানে এখন তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে অবস্থায় দেশের ৫৪ জেলায় বইছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ আগামী তিনদিন তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা দেখছে না আবহাওয়া অফিস

সোমবার সকালে আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলামের দেওয়া পূর্বাভাসে তথ্য জানানো হয়েছে। রাঙামাটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্ব্বোচ্চ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে

এদিকে ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে জনজীবন। তীব্র গরমে উপেক্ষা করেই কাজে বের হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষ। এতে ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুন

আবহাওয়া অফিস বলছে, রংপুর ,নীলফামারী, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা,বরিশাল ,চট্টগ্রাম, সিলেটে বইছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ পরবর্তীতে সারা দেশে বিস্তার লাভ করতে পারে কোনো কোনো জেলায় তাপমাত্রা  উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রির ওপরে

আবহাওয়াবিদ শাহীনুর ইসলাম জানান, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে

তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার রংপুর, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে

এদিকে গত চারদিন ধরে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু মাঝারি তাপপ্রবাহ। তীব্র গরমে মানুষ বাইরে বেশিক্ষণ কাজ করতে পারছেন না। সকাল ১০টার পর থেকে রোদের তাপে তেতে উঠছে চারপাশ। জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেশিরভাগ দিনই ৩৮ ডিগ্রির ওপরে থাকছে

এছাড়া গত দুইদিনের প্রচণ্ড তাপদাহে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে  কুষ্টিয়ার জনজীবন। ঈদের পরদিন থেকে জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপদহের কারণে চরম বিপাকে পড়েছে জেলার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। তারা বলছেন, প্রচন্ড তাপদাহের কারণে তাদের রাস্তায় বের হয়ে কাজ কর্ম করতে চরম কষ্ট হচ্ছে

কুষ্টিয়ার কুমারখালী আবহাওয়া অফিস বলছে, কুষ্টিয়ায় সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৩৮ দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে


আরও খবর