Logo
শিরোনাম

স্লিপ এপনিয়া উপসর্গ ও চিকিৎসা

প্রকাশিত:সোমবার ২০ জুন ২০22 | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ |

Image

সম্প্রতি ভারতীয় উপমহাদেশের সংগীতশিল্পী বাপ্পী লাহিড়ী মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, জনপ্রিয় এই গায়কের মৃত্যু হয়েছে অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ায়। কিন্তু এই স্লিপ অ্যাপনিয়া কী, কত ধরনের, এর কোনো চিকিৎসা আছে কিনা এবং থেকে প্রতিকারের উপায় সম্পর্কে মানুষে ধারণা খুব কম। এবার তাহলে স্লিপ অ্যাপনিয়ার এই সব বিষয়ে জেনে নেয়া যাক-

 

স্লিপ অ্যাপনিয়া

স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির ঘুমে বারবার ব্যাঘাত ঘটে শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হওয়ায়। বিষয়ে জাতীয় নাক কান গলা ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানিয়েছেন, যখন কোনো ব্যক্তির স্লিপ অ্যাপনিয়া হয় তখন তিনি ঘুমানোর একটু পরই জোরে জোরে শ্বাস নিতে থাকেন। আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাস নেয়ার গতি বেড়ে গেলে হঠাৎ করেই আবার শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়। এক্ষেত্রে কিছুক্ষণ পর ফের শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়া শুরু হয়। আর শ্বাস-প্রশ্বাসের এই ব্যাঘাতকে অ্যাপনিয়া বলা হয়।

 

ঘুমের মধ্যে জোরে নিঃশ্বাস নেয়ার সময় হঠাৎ করেই শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হওয়ার কারণ হিসেবে অধ্যাপক আব্দুল্লাহ জানিয়েছেন, শ্বাস-প্রশ্বাস যখন বারবার নেয়া হয় তখন মূলত বাতাসের সঙ্গে শরীর থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড বের হয়। কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ কমে গেলে মানুষের শরীরে থাকা শ্বাস-প্রশ্বাসের সিস্টেম বন্ধ করে দেয় সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম। তখন নিশ্বাস কিছুক্ষণ বন্ধ থাকার পর শরীরের সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমে ফের কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে নার্ভাস সিস্টেম পুরোদমে উজ্জীবিত হয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস ফিরে আসে। আর এই জটিল পরিস্থিতিতে অনেক সময় মানুষের মৃত্যুও হয়ে থাকে।

 

অ্যাপনিয়ার প্রকারভেদ

অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানিয়েছেন, শ্বাস-প্রশ্বাসের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি হলে তখন তাকে অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া বলা হয়ে থাকে। এটা গলায় টনসিল ফুলে গিয়ে হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে শ্বাসনালী এবং গলার সংযোগ স্থলে মাংসপেশি ফুলে গিয়ে হয়ে থাকে। যাকে অ্যাডনয়েডও বলা হয়। আবার অনেক সময় নাকের ভেতরে মাংসপেশি বড় হয়ে যায়।

 

এসব সমস্যাগুলো শ্বাস-প্রশ্বাসের ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করে থাকে। যাকে অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া হিসেবে শনাক্ত করা হয়। রোগে সাধারণত যাদের ওজন বেশি বা শরীরে মেদ বেশি, বয়স্ক মানুষ শিশু তারা ভোগে থাকেন।

 

বিশেষজ্ঞ এই চিকিৎসকের মতে, হৃদপিণ্ড, ব্রেন এবং নিউরোজনিত সমস্যা থেকে মানুষের শরীরের সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেনে বিভিন্নরকম জটিলতা হয়ে থাকে এবং ওই ব্যক্তির তখন স্লিপ অ্যাপনিয়ায় ভোগার সম্ভাবনা থাকে। অনেক ক্ষেত্রে এই সমস্যা জটিল এবং গুরুতর হয়। তবে এই দুই ধরনের অ্যাপনিয়াতেই আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যুর ঝুঁকি রয়েছে।

 

অ্যাপনিয়ার চিকিৎসা

অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রথমেই যা দেখা হয় তা হলো, শ্বাসনালীকে কেন্দ্র করে কোন জায়গায় বাধা রয়েছে এবং তা চিহ্নিত করে পরে অপসারণ করতে হয়। এক্ষেত্রে অল্প সময়েই মুক্তি পাওয়া যেতে পারে এই সমস্যা থেকে। তবে জটিল স্লিপ অ্যাপনিয়া শরীরের বিভিন্ন গুরুতর সমস্যা থেকে হয়ে থাকে বলে এর চিকিৎসা আজীবন চালানোর প্রয়োজন হতে পারে।

 

প্রতিরোধের উপায়

স্লিপ অ্যাপনিয়া থেকে মুক্তির ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের পরামর্শ, একটু সতর্ক থাকলে এই রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব। শরীরের উচ্চতা অনুযায়ী ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা। নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করা এবং সুষম খাদ্যাভ্যাস করা। এছাড়া যাদের ঘুমের মধ্যে বার বার নিঃশ্বাস বন্ধ হয় তাদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে বলে থাকেন চিকিৎসকরা।

 


আরও খবর



৪০০ ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ |

Image

ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজায় ৪০০ ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে। ইসরায়েলি সরকারি কার্যক্রমের সমন্বয়কারী সংস্থা ট্রাকগুলো গাজায় প্রবেশের অনুমোদন দেয়।

এক এক্স বার্তায় সংস্থাটি জানায়, যুদ্ধবিধ্বস্ত উত্তর গাজায় বিমান থেকে মানবিক সহায়তা দেওয় হয়েছে। পাশাপাশি ২২ ট্রাক ত্রাণ উত্তর গাজায় সরবরাহ করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, এপ্রিলে প্রতিদিন গড়ে ১৬৩টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশের অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েল।

তবে ইসরায়েল যে সংখ্যক ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশের অনুমোদন দিয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত কম। কারণ অবরুদ্ধ এলাকায় প্রতিদিন এক হাজার ত্রাণবাহী ট্রাক দরকার।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, মার্কিন সেনাদের ওপর হামলার পরিকল্পনা হামাসের নেই। অর্থাৎ এরকম কোনো ইঙ্গিত তিনি পাননি।

বর্তমানে গাজা উপকূলে সাময়িকভাবে জেটি নির্মাণ করছে যুক্তরাষ্ট্র। যেখানে এক হাজারের মতো মার্কিন সেনা কাজ করছে। মূলত গাজায় ত্রাণ সহায়তা সরবরাহ করতেই এমন জেটি নির্মাণ করা হচ্ছে।

 


আরও খবর



দশম বর্ষে পদার্পণ: নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ |

Image

হৃদি চিরান, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি :

সাফল্যের নয়টি বছর শেষ করে এক দশকে পদার্পণ করলো জাতীয় কবি কাজি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণমাধ্যমকর্মীদের প্রথম সংগঠন জাককানইবি সাংবাদিক সমিতি(জাককানইবিসাস)। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আজ সোমবার (১৩ মে ) সকাল ১১ টাই বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে শুরু হয়  বিভিন্ন আয়োজন। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর সৌমিত্র শেখর। আরও উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ডক্টর আতাউর রহমান, ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সহ বিভিন্ন বিভাগের ডিন ও শিক্ষকবৃন্দ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ফাহাদ বিন সাঈদ। 


প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে সকলকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানিয়ে সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ফাহাদ বিন সাঈদ বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে পুরনো সংগঠন সাংবাদিক সমিতি নয় বর্ষ শেষ করে দশম বর্ষে পদার্পণ করেছে। সংগঠনটি ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠাকালে কিছু তরুণ মেধাবীর হাতে গড়ে উঠেছিলো। সকলের বিশ্বাস, ভালোবাসা ও আস্থা নিয়ে সংগঠনটি আজ এই অবস্থানে এসে পৌঁছেছে। ঐক্য, নিষ্ঠা ও সৃজনশীলতা স্লোগানকে বুকে ধারণ করে নিরলসভাবে সকলের স্বার্থে  কাজ করে চলেছে সাংবাদিক সমিতি।"


উল্লেখ্য যে, ২০১৫ সালের ১২ মে একঝাঁক তরুণ সাংবাদিকের হাত ধরে কার্যক্রম শুরু করে এই নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি। গত ১২ মে এক দশম বর্ষে  পদার্পণ করেছে এই সংগঠনটি। নানা জটিলতার কারণে ১২ মে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করা সম্ভব না হওয়াই ১৩ মে (সোমবার) বৃক্ষ রোপণ, শোভাযাত্রা, কেক কাটা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভার মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করা হয়। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বিভিন্ন যোক্তিক আন্দোলনে নিরলস ও নিঃস্বার্থভাবে সবার জন্য কাজ করে চলেছে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি। এক দশক পদার্পণ করা এই সংগঠনটির আগামী পথচলা শুভ হউক এই কামনা করি।


আরও খবর



সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ |

Image

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন। প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ আহত হচ্ছে, নিহত হচ্ছে। সড়কে খালি হচ্ছে হাজারো মায়ের কোল। এসব দুর্ঘটনার সমস্যা সমাধানে সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন। দুর্ঘটনার কারণ চিহ্নিত করে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে বিভিন্ন সময় দাবি করে আসছে নিরাপদ সড়ক চাই। এ বিষয়ে সরকার ২২ অক্টোবর নিরাপদ সড়ক দিবস ঘোষণা করে। যা দেশে গুরুত্ব সহকারে পালিত হচ্ছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, আইনে গাড়িচালক, হেলপার, মালিক এবং বিভিন্ন ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি সবার দায়িত্ব যথাযথভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। যে যেই দায়িত্বে থাকবে তার গাফিলতি হলে কি ধরনের শাস্তি হবে তার সবকিছুই আইনে পরিষ্কার করা হয়েছে। আমরা চাই দুর্ঘটনা কম হোক, দুর্ঘটনায় আর যেন কেউ মৃত্যুবরণ না করে। পৃথিবীর সব দেশে দুর্ঘটনা ঘটে, মানুষের মৃত্যু হয়। বাংলাদেশে যাতে সড়ক দুর্ঘটনা কমে সেজন্যই কাজ করে যাচ্ছি।

একটি আধুনিক শহরে ২৫ শতাংশ সড়ক থাকতে হয় উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের কোনো শহরে ২৫ শতাংশ সড়ক নেই। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন ঢাকাকে যানজট মুক্ত করার। সেজন্য তিনি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার চালুর ঘোষণা দেন। এগুলো দৃশ্যমান হয়েছে এবং যানজট অনেকখানি হালকা হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালের জুন মাসে ৬ দফা নির্দেশনা দিয়েছিলেন। আমরা আশা করছি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়ন হলে সড়ক দুর্ঘটনা কমে যাবে।

দুর্ঘটনা রোধের কারণ বের করা দরকার উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত যতটা দেখছি সড়ক দুর্ঘটনার মূল কারণ সচেতনতার অভাব। দক্ষ চালকের হাতে যাতে স্টিয়ারিং থাকে আমরা সেই ব্যবস্থা করতে যাচ্ছি। ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিষয়ে খেয়াল রাখছি। চালকদের প্রশিক্ষণের অভাবও দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। গাড়ি চালানো অবস্থায় চালকের মোবাইল ব্যবহার, অপরিকল্পিত ভঙ্গুর সড়ক, ওভার ক্রসিং, অতিরিক্ত গতি, ওভার ব্রিজের স্বল্পতা, ট্রাফিক আইন অমান্য করা, ট্রাফিক পুলিশের গাফিলতিও আমরা মাঝেমধ্যে দেখি।

প্রধানমন্ত্রীর ছয়টি নির্দেশনার পর তিনি আরও ১৭টি নির্দেশনা দিয়েছেন। এগুলো বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কাজ করছে। এগুলো বাস্তবায়ন হলে দুর্ঘটনা অনেকাংশ কমে যাবে বলে আশা করছি।

নিজের সড়ক দুর্ঘটনার স্মৃতি স্মরণ করে মন্ত্রী বলেন, রোড এক্সিডেন্টে আমার সব আশা স্তম্ভিত হয়েছিল। মহান আল্লাহ আমার এক রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিলেন এবং এই রাজনীতির রাস্তা ওপেন করে দিয়েছিলেন। সেই জন্য বোধহয় আমি আজকে এ জায়গায় আসতে পেরেছি।


আরও খবর



গাজায় প্রতি ১০ মিনিটে একজন শিশু নিহত

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ |

Image

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হামলায় প্রতি ১০ মিনিটে একটি শিশু আহত কিংবা নিহত হচ্ছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যের বরাত দিয়ে জাতিসংঘ শিশু তহবিল ইউনিসেফ এ কথা জানিয়েছে। খবর আলজাজিরার।

শনিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ২৪ ঘণ্টায় আরো ৩৭ জন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৩৪ হাজার ৪৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ১৪ হাজারের বেশি শিশু রয়েছে।

গাজার সর্বশেষ পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে ইসরায়েলের হামলায় শিশুদের হতাহত হওয়ার এ মারাত্মক পরিসংখ্যান সামনে আনে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক সমন্বয় দপ্তরও (ওসিএইচএ)।


আরও খবর



ঢাকাসহ ৪ বিভাগে বৃষ্টির আভাস

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ |

Image

এপ্রিল মাস জুড়ে টানা তাপপ্রবাহের পর আবহাওয়া অধিদপ্তর দেশবাসীকে দিয়েছে স্বস্তির বার্তা। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বুধবারও (১ মে) দেশজুড়ে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। তবে বৃহস্পতিবার (২ মে) ঢাকাসহ দেশের চার বিভাগে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে। ১৯৮৯ এর পর গত ৩৫ বছরে এটিই দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

দেশের পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা বিভাগে আজও তাপমাত্রা এমনই থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

তারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দেশের পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। আগামী দিনগুলোতে এই বৃষ্টি সারাদেশে ছড়িয়ে পড়বে। একই সঙ্গে ধীরে ধীরে তাপপ্রবাহের তীব্রতা ও আওতা কমবে।

বুধবার আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা, রাজশাহী, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুর এবং খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

বুধবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

এ সময়ে সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এতে বিরাজমান তাপপ্রবাহ দেশের পূর্বাঞ্চলের কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে। এদিন দেশের পূর্বাঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং দেশের অন্যত্র তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

টানা তাপপ্রবাহ ৭০ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। এই অসহনীয় উত্তাপ ও প্রচণ্ড গরমে কষ্টে আছে প্রায় সারা দেশের মানুষ। হিট স্ট্রোকে ঘটেছে অনেক মৃত্যুর ঘটনা।


আরও খবর

ঢাকায় পৌঁছেছেন ডোনাল্ড লু

মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪