Logo
শিরোনাম

উখিয়ার উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৬ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

উখিয়া প্রতিনিধি :

জাল দলিল বানিয়ে অন্যের জমি দখল করার অভিযোগে অভিযুক্ত কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বহুল বিতর্কিত ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। জাল দলিল সৃজন করে জমি জোর পূর্বক দখলে রাখার অভিযোগে রফিকুল আলম মাহমুদ এর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা শাখা ২ এই নির্দেশনা দেন । অভিযোগকারী রফিক উখিয়ার রুমখা পালংয়ের হাজী মরহুম রশিদ আহমেদের ছেলে।

 ভুক্তভোগীর আবেদনের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে জন্য কক্সবাজারের জেলা প্রশাষককে নির্দেশ দিয়ে গত ৩ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ নোটিশ ইস্যু করে যার স্মারক নং ৪৪.০০.০০০০.০৫৬.২৭.০১০.২৩.১৩২৩। উপসচিব আশাফুর রহমান স্বাক্ষরিত ঐ নোটিশে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে এই নির্দেশ দেয়া হয়।

তথ্যসূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১৭ আগস্ট ১৭১২ নং দলিলমূলে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার চট্টশ্বরী রোড়স্থ মৃত সুরেন্দ্র বিজয় রায়ের পুত্র প্রণব কুমার রায় নামের এক ব্যাক্তির ভূয়া  জাতীয় পরিচয় পত্র ব্যবহার করে ২ একর ১০ শতক জমি ক্রয় করে। এই জমি ক্রয় করার সময় প্রনব কুমার রায়ের জাতীয় পরিচয় পত্র নাস্বার দেখানো হয় ১৫১১৮৯৫৫৫০৭২৮। উখিয়া  সাব রেজিস্ট্রা অফিস কোন ধরনের যাচাই বাছাই নাকরে ঐ ভূয়া এনআইডি দিয়ে সাব কবলায়  জমি রেজিস্ট্রেরি করতে সহযোগিতা করে।

জাল দলিল সৃজন অভিযুক্ত ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার  রুমখাঁ মাতবর পাড়ার নুরুল আলমের ছেলে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। জমির মালিক  ঐ ভূয়া

সৃজিত দলিলে জমি বিক্রেতা প্রণব কুমার রায়ের ব্যবহৃত জাতীয় পরিচয় পত্র নং ১৫১১৮৯৫৫৫০৭২৮ যাছাইবাছাইয়ের আবেদন করলে চট্টগ্রামের জামালখান রোড়স্থ জেলা নির্বাচন অফিসার-১ এর কার্যালয় ২৪ অক্টোবর ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে নথি নং জেনিঅ-১/চট্ট/১৪৭(১)/০৭/ভোঃতাঃপ্রঃ(খন্ড-২)/৪৮৭ মুলে জানা যায়, ব্যবহৃত জাতীয় পরিচয় পত্রের  নং ১৫১১৮৯৫৫৫০৭২৮ চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার চট্টশ্বরী রোড়স্থ মৃত সুরেন্দ্র বিজয় রায়ের পুত্র প্রণব কুমার রায়ের নয়।

ওই জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বারটি চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার সাতবাড়িয়ার মোহাম্মদ আলী গ্রামের বাসিন্দার আহমদ নবীর স্ত্রী সাকী আকতারের।

অভিযোক্ত জাহাঙ্গীর কক্সবাজারের উখিয়ার রুমখাপালং মাতব্বর পাড়া পেশায় ছিলেন রংমিস্ত্রি। উন্নত জীবনের আশায় তিনি সৌদি আরবে গিয়ে রং মিস্ত্রির কাজ করতেন। তার আগে সে উখিয়ার  কোর্টবাজার স্টেশনে সৈকত সড়কে মোবাইল লোডের ব্যবসাও করতেন। সেই সময় থেকে বিভিন্ন প্রতারনা অভিযোগ আছে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে। জানাগেছে সৌদি আরবেও প্রতারনা করে ধরাপড়ে টাকা পয়সা হারিয়ে ২০১৮ সালে  দেশে ফিরে আসেন।

২০১৯ সালে ২৫ মার্চ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন তিন। ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচনের সময়ও নির্বাচন কমিশনের সাথেও প্রতারনা করেন  জাহাঙ্গীর আলমের। নির্বাচনের হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেন। হলফনামায় তার মাত্র ১২ লাখ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ দেখানো হলেও সেই সময় তার একাধিক জমি ছিলো। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সম্পদের তথ্য বিবরনীতেও তথ্য গোপন করে সম্পদের হিসাব দেন। এখন এই অভিযোগ উঠেছে জাহাঙ্গীর সাড়ে ৪ বছর আগে মাত্র ১২ লাখ টাকা সম্পদ দেখালেও বর্তমানে সে  ২৬৫ কোটি টাকার সম্পদের মালিক। মাদক ব্যবসা,  মানবপাচার ও স্বর্ন চোরাচালান করে চট্টগ্রাম,  কক্সবাজার, টেকনাফ, উখিয়া,  রামু ও বান্দরবানের নাইক্ষংছড়িতর গড়েছেন অবৈধ টাকার সম্পদের পাহাড়। নামে-বেনামে এসব সম্পদ গড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জাহাঙ্গীর আলমের এত অর্থ-সম্পদের অনুসন্ধান চেয়ে প্রধানমন্ত্রী, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), নির্বাচন কমিশনসহ ১৮টি স্থানে অভিযোগ করেছেন জসীম উদ্দিন আজাদ নামে এক ব্যক্তি। স্থানীয় সূত্র জানায়, জাহাঙ্গীরের চাচাতো ভাই সরওয়ার আলম একসময় লাইফ ইন্স্যুরেন্সে চাকরি করতেন। জাহাঙ্গীর ভাইস চেয়ারম্যান হওয়ার পর সরওয়ারকে লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চাকরি থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন। জাহাঙ্গীর তার চাচাতো ভাই সরওয়ার ব্যাক্তিগত সহযোগী উখিয়ার রুমখাঁ কোলালপাড়ার সোনা আলীর ছেলে সেলিম উল্লাহ ও উখিয়ার মরিচ্যা বাজারের শীর্ষ ইয়াবা পাচারকারী জসিম আহম্মদকে দিয়ে জ্ঞাতঅজ্ঞাত ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করেন। 

সুত্রে জানাযায়, উখিয়া উপজেলা পরিষদের পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের বাবার নাম মো. নুরুল আলম। উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের রুমখাপালং মাতব্বর পাড়ার ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম। ২০০১ সালে এসএসসি পরীক্ষার্থী থাকলেও ২০০৩ সাল পর্যন্ত ৩  বার পরীক্ষা দিয়ে অকৃতকার্য হন তিনি।  ২০০৪ সালে যান সৌদি আরবে। সেখানে রংমিস্ত্রির কাজ করতেন। ২০১৬ সালে তার প্রভাবশালী আত্মীয় সৌদি আরবে গেলে সেখানকার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে জাহাঙ্গীর আলমকে পরিচয় করিয়ে দেন। এরপর থেকেই তিনি সেখানে থেকে দেশে সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। পরে দেশে ফিরে ২০১৯ সালে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপরই শত শত কোটি টাকার সম্পদ ও অর্থ বানান বলে অভিযোগ উঠেছে।

বর্তমানে ভাইস চেয়ারম্যান এর দুটি বিশাল বাড়ি, কক্সবাজারে হোটেল, চট্টগ্রামে আবাসিক এলাকায় দামি ফ্ল্যাট, প্রাইভেটকার, বাস, ট্রাক সবই আছে তার। এই ভাইস চেয়ারম্যানের বর্তমান অর্জিত সম্পদ হলো উখিয়া উপজেলা রুমখাঁ বাজার এলাকায় ২৯৪০ খতিয়ানে নিজের ও কলেজপড়ুয়া ভাই মামুনের নামে কোটি টাকা মূল্যের ১৭ শতকের একটি জমি ক্রয় করে, সে স্থানে ৩ কোটি টাকা খরচ করে একটি বহুতল ভবন বানিয়েছেন। ওই ভবনে গত তিন বছর ধরে জাহাঙ্গীর নিজে বসবাস করে আসছেন।

উখিয়া উপজেলার ব্যয়বহুল কোটবাজার এলাকায় রত্নাপালং মৌজায় ৩৭৬৮ খতিয়ানে ৬৫ শতক জমি ক্রয় করেন যার বর্তমান বাজারমূল্য ৫ কোটি টাকার ওপরে (খতিয়ান সংযুক্ত)।

ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কোটবাজার স্টেশনে একই মৌজায় ৫৩২৩ খতিয়ানে ১৬ শতক জমি ক্রয় করে একটি বহুতল অত্যাধুনিক ভবন তৈরি করেছেন জমিসহ যার বাজারমূল্য ১০ কোটি টাকা।

২০১৯ সালে কক্সবাজার শহরের কলাতলির সৈকতের লাগোয়া ঝিলংজা মৌজায় যৌথভাবে তিনি একটি জমির মালিক যার বর্তমান বাজারমূল্য ৮ কোটি টাকা।

অভিযোগে বলা হয়েছে, উখিয়া উপজেলার ইনানী মৌজায় মেরিন ড্রাইভ রোডের হ্যাচারি জোন, ইনানী ও মনখালী এলাকায় ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর, তার আত্মীয় স্বজনের নামে প্রায় ২০ কোটি টাকা মূল্যের জমি রয়েছে। এ ছাড়াও চট্টগ্রামের চান্দগাঁও এলাকায় নিজ নামে, পিতার নামে ও ভাইয়ের নামে ৪০ কোটি টাকা মূল্যের চারটি ফ্ল্যাট রয়েছে।

গত কয়েক বছরে ভাইস চেয়ারম্যান তার স্বজনদের নামে কক্সবাজারের কলাতলিতে ২টি হোটেল যার আনুমানিক মূল্য ৬০ কোটি টাকা। পাশাপাশি কক্সবাজার থেকে উখিয়া রোডে পালং স্পেশাল সার্ভিসের সভাপতিও তিনি। তার ১০টি বাস যার বাজারমূল্য ২ কোটি টাকা। এ ছাড়াও তার চারটি ট্রাক আছে যার বাজার মূল্য ৫০ লাখ টাকা।

অভিযোগকারী অভিযোগ করেন, উখিয়ার রত্নাপালং, রুমখাপালং ও জালিয়াপালং মৌজা, রামুর উপজেলার খুনিয়াপালং, হিমছড়ি, পেঁচারদ্বীপ মৌজা এবং নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় নিজের নামে, স্ত্রী ও আত্মীয় স্বজনের নামে প্রায় ১০০ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। যার সবকিছুই অবৈধ উপায়ের মাধ্যমে গত সাড়ে চার বছরে তিনি অর্জন করেন।

ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর ও তার চাচার যৌথ মালিকানাধীন কোটবাজার স্টেশনে রয়েছে একটি গ্যাস পাম্প যার বাজারমূল্য ২ কোটি টাকা। সৌদি প্রবাসী একজন রংমিস্ত্রি ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর ১২ লাখ টাকার সম্পদ থেকে এখন প্রায় আড়াইশ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক বনে যাওয়ায় হতভম্ব খোদ এলাকাবাসী। অভিযোগে আরও বলা হয়, এসব স্থাবর সম্পদ ছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংকে নিজের নামে ও আত্মীয় স্বজনের নামে অঢেল অর্থ জমা আছে।

কক্সবাজারের সদর, রামু ও উখিয়া সাব রেজিস্ট্রার অফিসের পাশাপাশি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায়ও তার অবৈধ সম্পদের তথ্য পাওয়া যাবে বলে তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮ টায়

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। সেখানকার সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। সোমবার (৮ এপ্রিল) বিষয়টি জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মুখপাত্র আবু নাছের।

তিনি জানান, আবহাওয়া প্রতিকূল বা অন্য কোনো অনিবার্য কারণে জাতীয় ঈদগাহে জামাত অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে সকাল ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায় করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ঈদের প্রধান জামাতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন ইমাম এবং বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সহকারী ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

আগামীকাল সকাল ১১টায় ঈদ জামাত আয়োজনের সার্বিক প্রস্তুতি পরিদর্শন করবেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।


আরও খবর



ঈদের ৫ দিনের সরকারি ছুটি শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে টানা পাঁচ দিনের সরকারি ছুটি আজ বুধবার (১০ এপ্রিল) থেকে শুরু হয়েছে। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। সচিবালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।

নাড়ির টানে ঈদ করতে শেষ মুহূর্তে বাস, লঞ্চ ও রেলে রাজধানী ছেড়ে বাড়ি যাচ্ছে মানুষ। ঈদের আগে একদিন ছুটি থাকায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কেউ কেউ আগেই ছুটি নিয়ে রাজধানী ছেড়েছেন।

এবার বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার (১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল) ঈদুল ফিতরের ছুটি। এরপর শনিবার (১৩ এপ্রিল) সাপ্তাহিক ছুটি। পরের দিন রোববার (১৪ এপ্রিল) নববর্ষের ছুটি। অর্থাৎ ১০ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত টানা পাঁচ দিন ছুটি কাটাবেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনেকেই আবেদন করে দুই দিন ছুটি নিয়েছেন। যেসব সরকারি কর্মচারী দুদিনের বাড়তি ছুটি নিয়েছেন, এবার তাদের ঈদের ছুটি শুরু হয়েছে ৫ এপ্রিল থেকে। কারণ, সরকারি ক্যালেন্ডারের হিসাব অনুসারে ৫ ও ৬ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। ৭ এপ্রিল পবিত্র শবে কদরের সরকারি ছুটি। ৮ ও ৯ এপ্রিল সরকারি অফিস আদালত, ব্যাংক-বিমা খোলা থাকবে। তবে সে ক্ষেত্রে ৮ ও ৯ এপ্রিল দুই দিনের ছুটি নিলেই ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ১০ দিনের ছুটি ভোগের সুযোগ রয়েছে। কারণ ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদুল ফিতরের সরকারি ছুটি। আবার ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি এবং ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখের ছুটি। তাই মাঝখানের মাত্র দুই দিনের ছুটি নিয়েই একসঙ্গে ১০ দিন ছুটি কাটাচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এবারই প্রথম দীর্ঘ ছয়দিনের ছুটি পেয়েছেন সংবাদমাধ্যমকর্মীরা। এবার গণমাধ্যমকর্মীরা ৯ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ভোগ করবেন।

ঈদ ও নববর্ষের ছুটি শেষে আগের নিয়মে ফিরবে সরকারি অফিস, আদালত ও ব্যাংক। রমজান মাসে সরকারি প্রতিষ্ঠানে অফিসের সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। ছুটির পর আগের মতোই অফিস সময় চলবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।


আরও খবর



নিপুণের গলায় মালা পরালেন মিশা-ডিপজল

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হওয়া হলো না চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারের। ভোট যুদ্ধ্বে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মনোয়ার হোসেন ডিপজলের কাছে পরাজিত হয়েছেন তিনি। তবে পরাজিত হয়েও ফুলের মালা উঠেছে নিপুণের গলায়।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দুই প্যানেলের প্রার্থীরা। তখনই ঘটনাটি ঘটে। পরাজিত নিপুণ বিজয়ী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের গলায় ফুলের মালা পরিয়ে দেন। এরপরই নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সেই মালা খুলে নিপুণের গলায় পরিয়ে দেন।

গতবার জায়েদ খানের সঙ্গে হেরে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন নিপুণ। আদালতে গিয়ে নিজের নামে নিয়ে এসেছিলেন সম্পাদকের পদ। তবে এবারের নিপুণ যেন তার উল্টো। মিশা সওদাগরও তার এমন আচরণের প্রশংসা করে বলেন, আজকের এই নির্বাচন নামে মাত্র একটি নির্বাচন। সত্যিকার অর্থে আমরা এক পরিবার। তবে নির্বাচনের ফলাফল শেষে নিপুণ আজ যেটা করলো তা নজির হয়ে থাকবে। এমনটাই হওয়া উচিত।

এ নির্বাচনে মিশা-ডিপজল প্যানেল নিরঙ্কুশভাবে জয়লাভ করেছে। সভাপতি পদে মিশা সওদাগর পেয়েছেন ২৬৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মাহমুদ কলি। তিনি পেয়েছেন ১৭০ ভোট। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে ডিপজলের পক্ষে ভোট পড়েছে ২২৫টি এবং নিপুণ আক্তার পেয়েছেন ২০৯ ভোট।

গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় অভিনেতা ডা. এজাজের (অভিনেতা ও চিকিৎসক এজাজুল ইসলাম) ভোট প্রদানের মাধ্যমে শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভোট গ্রহণ শেষ হয় বিকেল ৫টায়।


আরও খবর



অবৈধ ও ক্ষতিকর ট্যাবলেট-ইনজেকশনসহ গ্রেপ্তার ২

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

রাজধানীর লালবাগ এলাকা থেকে অবৈধ এবং মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক এক লাখ ৬৬ হাজার পিস ট্যাবলেট, ইনজেকশন ও সাপ্লিমেন্টারিসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. রায়হানুর রহমান (৩১) ও মো. তাহানান জাওয়াদ (২৪)। তাদের কাছ থেকে জব্দ করা ট্যাবলেট, ইনজেকশন ও সাপ্লিমেন্টারির দাম প্রায় অর্ধ কোটি টাকা।

বুধবার র‍্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার এম জে সোহেল বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও র‌্যাব-১০ লালবাগে যৌথ অভিযান চালায়। অভিযানে আনুমানিক অর্ধ কোটি টাকা মূল্যের এক লাখ ৬৬ হাজার পিস অবৈধ বিদেশি যৌনশক্তিবর্ধক এবং মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক ট্যাবলেট, ইনজেকশন ও সাপ্লিমেন্টারিসহ ওষুধ কালোবাজারি চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে র‍্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তাররা পেশাদার ওষুধ কালোবাজারি চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা বেশ কিছুদিন ধরে অবৈধ বিদেশি যৌনশক্তিবর্ধক এবং মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক ট্যাবলেট, ইনজেকশন ও সাপ্লিমেন্টারিসহ বিভিন্ন প্রকার ওষুধ কালোবাজারি ও চোরাচালানের মাধ্যমে সংগ্রহ করে মজুত করে রাখতেন। পরে ওই ওষুধ দেশের বিভিন্ন এলাকার দোকানে সরবরাহ করতেন।


আরও খবর



তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

বৈশাখের শুরু থেকেই দেশে বইছে তীব্র দাবদাহের কারনে জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থা। শুধু তাই নয় মঙ্গলবারই (২৩ এপ্রিল) দেশের বিভিন্ন এলাকায় হিটস্ট্রোকে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় চলমান তাপপ্রবাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও শিগগিরই কোনো সুখবর মিলছে না।

আবহাওয়াবিদ বলছেন, বৃষ্টি ছাড়া এমন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ মিলবে না। আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) থেকে তাপমাত্রার আরও বাড়তে পারে। আগামী পাঁচ দিনেও আবহাওয়ার অবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
গতকাল মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া খুলনা ও যশোরে ৪০ দশমিক ৪, পটুয়াখালীর খেপুপাড়া ও রাজশাহীতে ৪০ দশমিক ২ ও মোংলায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।

আবহাওয়াবিদ জানান, চলমান তাপপ্রবাহ বৃষ্টিপাত হলে তাপমাত্রা কমে আসবে। বুধবার থেকে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। চলতি মাসে তাপপ্রবাহ খুব কমে যাবে এমন সুখবর নেই। তবে কিছুটা কমবেশি হতে পারে। শক্তিশালী কালবৈশাখী হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

তবে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দেওয়া পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়া অফিস জানায় রাজশাহী, পাবনা, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর ও পটুয়াখালী জেলাসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগ এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা বিস্তার লাভ করতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

এ ছাড়া বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।


আরও খবর