Logo
শিরোনাম

উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি নিম্নচাপের প্রভাবে তিন দিন ধরে ভারী বর্ষণে সুন্দরবন ও উপকূলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া সিরাজগঞ্জ ও কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার সড়কে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা।

হাতিয়া (নোয়াখালী) : নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার সুখচর, নলচিরা, তমরোদ্দি, সোনাদিয়া, নিঝুম দ্বীপসহ নদী তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকা অতি জোয়ারে ডুবে গেছে। মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরের জোয়ারে বেড়িবাঁধের ভেতর-বাইরের বিভিন্ন গ্রাম ও কয়েকটি বাজার ৩-৪ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে পানিবন্দি এলাকার জনজীবন ব্যাহত হচ্ছে। 

মোংলা (বাগেরহাট) : মোংলা সংলগ্ন সাগর ও সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকায় মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকে আবারও বৃষ্টিপাত শুরু হয়। রাতে থেকে থেমে থেমে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হলেও ভোর থেকে মুষলধারে বর্ষণ শুরু হয়। মোংলা সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। মোংলা সংলগ্ন সাগর এবং সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকায় কয়েক ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা রয়েছে। 

শরণখোলা (বাগেরহাট) : সুন্দরবনে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ঝুঁকিতে রয়েছে বন্যপ্রাণী। সাগর উত্তাল থাকায় বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরারত শতাধিক ট্রলার সুন্দরবনের দুবলার চর, মেহেরআলী, আলোরকোলসহ বন সংলগ্ন বিভিন্ন খালে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে। বলেশ্বর নদের পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে কমপক্ষে ২-৩ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে শরণখোলার ৩৫/১ পোল্ডারের বেড়িবাঁধের বাইরে রায়েন্দা বাজার পূর্ব মাথা, বান্দাঘাটা, কদমতলা, গাবতলা, বগী, তেরাবেকা ও শরণখোলা বাজার সংলগ্ন এলাকার সহস্রাধিক বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। ফসলি জমি, মাছের ঘের, ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে।

রাজাপুর (ঝালকাঠি) : ঝালকাঠির রাজাপুরে তিন দিনের বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়েছে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। মঙ্গলবার ভোর থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়। সকাল ৮টা থেকে নামে অবিরাম ধারায়। ফলে বৃষ্টিতে ভোগান্তি বাড়ে। উপজেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা, বিষখালি নদীতে দেখা দিয়েছে ভাঙন। সোমবার বাদুরতলা বাজারের ছয়টি দোকান নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। রশি ছিড়ে নদীর মধ্যে চলে গেছে পল্টুনও। সুগন্ধা-বিষখালিসহ জেলার ১১টি নদ-নদীর জোয়ারের পানিতে নদী তীরবর্তী নিচু এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। 

সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জে শহরের মুজিব সড়ক, এস এস রোড, নিউ ঢাকা রোড, বাহিরগোলা রোড, কান্দাপাড়া রোডসহ বিভিন্ন সড়ক ও মহল্লায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। শহরবাসীকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ, স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থী ও অফিসগামীরা। যানবাহন সংকটে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। 

কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়া শহরের নিম্নাঞ্চলসহ জেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। শহরের কোর্টপাড়া, কাটাইখানা মোড়, হাসপাতাল মোড়, বড়বাজার এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েন। কুষ্টিয়ায় আবহাওয়া অফিস বলছে, জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৬ দশমিক ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। 


আরও খবর



গাজায় ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারে লাগতে পারে ১৪ বছর

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় প্রায় সাত মাস ধরে চলা ইসরায়েলের ধ্বংসাত্মক যুদ্ধে অবিস্ফোরিত গোলাবারুদসহ বিপুল পরিমাণ ধ্বংসস্তূপ অপসারণ করতে প্রায় ১৪ বছর সময় লাগতে পারে। শুক্রবার জাতিসংঘের মাইন অ্যাকশন সার্ভিসের (ইউএনএমএএস) জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পেহর লোধাম্মার এই ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন।

গাজার ক্ষমতাসীন ইসলামি শাসক গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান ২৩ লাখ মানুষের সংকীর্ণ ও উপকূলীয় অঞ্চলটিকে মরুভূমিতে পরিণত করেছে। বর্তমানে সেখানকার বেশিরভাগ বেসামরিক মানুষ গৃহহীন, ক্ষুধার্ত এবং রোগাক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন।

জেনেভায় এক ব্রিফিংয়ে পেহর লোধাম্মার বলেছেন, যুদ্ধের ফলে প্রায় ৩ কোটি ৭০ লাখ টন ধ্বংসাবশেষ ব্যাপক ঘনবসতিপূর্ণ ওই অঞ্চলে পড়ে আছে।

তিনি বলেন, গাজায় পাওয়া অবিস্ফোরিত গোলাবারুদের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ করা প্রায় অসম্ভব। তারপরও ধ্বংস হওয়া ভবনগুলোর ধ্বংসাবশেষসহ পুরো ধ্বংসস্তূপ নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে পরিষ্কার করতে ১৪ বছরের মতো সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা বলেছেন, ‌‌‘‘আমরা জানি, সাধারণত স্থল বাহিনীর ছোড়া গোলাবারুদের অন্তত ১০ শতাংশ অবিস্ফোরিত ও বিকল অবস্থায় থেকে যায়। আমরা ১০০টি ট্রাক ব্যবহার করে ১৪ বছর ধরে পরিষ্কার কাজ চালানোর কথা বলছি।’’

গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাসের শত শত যোদ্ধা গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে ঢুকে এক হাজার ২০০ জনকে হত্যা ও আরও ২৫৩ জনকে ধরে নিয়ে গাজায় জিম্মি করে রাখে। গাজায় হামাসের হাতে এখনও ১২৯ জন জিম্মি রয়েছেন বলে ধারণা করা হয়।

হামাসের হামলার জবাবে ৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। এই যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন; যাদের মধ্যে অন্তত দুই-তৃতীয়াংশই নারী ও শিশু।

সূত্র: রয়টার্স


আরও খবর



পাঁচ জেলায় সড়ক দুঘটনায় ১২ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

দেশের পাঁচ জেলায় ছয় ঘণ্টার ব্যবধানে সড়ক দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো বেশ কয়েকজন। শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে শনিবার সকাল সাড়ে আটটার মধ্যে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার দুর্ঘটনায়। রাত আড়াইটার দিকের ওই দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে একই পরিবারের তিনজনের। এছাড়া গাজীপুরের শ্রীপুরে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে দুই নির্মাণ শ্রমিক, নওগাঁর আত্রাইয়ে ইটভাঙা মেশিনের চাপায় এক এনজিও কর্মী ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়েছেন। বিস্তারিত প্রতিদিনের সংবাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে।

মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে লরিচাপায় একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুইজন।

শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার বাউশিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- আলমগীর, তার ছেলে জহির এবং আলমগীরের মামি রাহেলা বেগম। তাদের বাড়ি চাঁদপুরে। দুর্ঘটনায় আহত দুইজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজীব খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গাজীপুর: শনিবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে জেলার শ্রীপুর উপজেলায় ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে দুই নির্মাণ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১১ শ্রমিক।

শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কুদ্দুস দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহতরা হলেন- সুনামগঞ্জের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রাসেল মিয়া (২৫), আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ের স্বামী আবু সুফিয়ান (২৫)।

শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার বেলাল আহমেদ জানান, একটি পিকআপে করে মিক্সার মেশিন নিয়ে ১৩ শ্রমিক ঢালাইয়ের কাজ করতে শ্রীপুর থেকে মাওনা যাচ্ছিলেন। ভোর সাড়ে ৪টার দিকে পিকআপটি শ্রীপুর-মাওনা আঞ্চলিক সড়কের ভাংনাহাটি কাউন্সিলরের বাড়ির সামনে পৌঁছলে পেছন থেকে একটি ড্রাম্প ট্রাক সেটিকে ধাক্কা দেয়। এতে পিকআপটি উল্টে গেলে মিক্সার মেশিনের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই রাসেল মিয়া নিহত হন। আহত হন ১২ জন। তাদের উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবু সুফিয়ানকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত অন্যদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এসআই মো. কুদ্দুস জানান, দুর্ঘটনার পর ট্রাকটি জব্দ করা হলেও এর চালক পালিয়ে গেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নওগাঁ: শনিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে নওগাঁর আত্রাইয়ে ইটভাঙা মেশিনের চাপায় সঞ্জয় কুমার নামে সিএনজিচালিত অটোরিকশার এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। তিনি এনজিও কর্মী। আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। উপজেলার সাহাগোলা-শিমুলিয়া রাস্তার রেলক্রসিংয়ে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহত সঞ্জয় আত্রাইয়ের আইডিএফ এনজিওতে ফিল্ড অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি রাজশাহী বাঘা উপজেলায়।

নিহত সঞ্জয় কুমারের সহকর্মী শামীম জানান, সঞ্জয় কুমার আইডিএফ এনজিওর আত্রাই শাখায় ফিল্ড অফিসার হিসেবে কাজ করতেন। সকালে বাড়ি থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে অফিসে যাচ্ছিলেন। এ সময় ওভারটেক করার সময় একই দিক থেকে আসা একটি ইটভাঙার মেশিন অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যায়। আহত হন আরও কয়েকজন।

আত্রাই থানার ওসি জহুরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হচ্ছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

নোয়াখালী : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন লক্ষীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার লতিফপুর গ্রামের মো. রহমত উল্যাহ ভূঁইয়া (৬৫), সেনাসদস্য ফজলুল করিম (৫০) ও লক্ষ্মীপুরের আমানিয়া গ্রামের মো. আলাউদ্দিন (৪৫) । এ ছাড়া আরও একজনের পরিচয় জানা যায়নি।

শনিবার (৪ মে) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব বাজার এলাকার লক্ষ্মীপুর টু নোয়াখালী সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন। তিনি বলেন, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে একটি যাত্রীবাহী সিএনজি লক্ষ্মীপুর থেকে বেগমগঞ্জের দিকে যাওয়ার সময় বেগমগঞ্জের চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব এলাকায় পৌঁছালে ট্রাক ও যাত্রীবাহী সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় সড়ক থেকে ১৫ ফিট নিচে ট্রাক ও সিএনজি খালে পড়ে যায়। এতে সিএনজি চালকসহ ৪ জন নিহত হয়।

মাদারীপুর :মাদারীপুরের রাজৈরে বদরপাশা এলাকায় গাছ বোঝাই ট্রাক আর ইজিবাইকের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন এঘটনায় আরো জন গুরুতর আহত হয়েছেন সকাল ৯টার দিকে কাঠায়িলা বিজ্রের পাশে দুর্ঘটনা ঘটে নিহতরা হলেন হোসেন মুন্সী এবং ধলু হাওলাদার । স্থানীয়রা জানান, নিহতরা ইজিবাইকে করে রাজৈর যাচ্ছিলেন এসময় উল্টোদিক থেকে আসা গাছ বোঝাই একটি ট্রাকের সাথে সংঘর্ষ হয়


আরও খবর



ফের বাড়ছে হিট অ্যালার্টের মেয়াদ

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

দেশজুড়ে তাপপ্রবাহের প্রেক্ষিতে আবহাওয়া অধিদফতরের জারি করা হিট অ্যালার্ট বা তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তার মেয়াদ আরও তিন দিন বাড়ছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে আবহাওয়া ও ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের প্রধান ড. শামীম হাসান মিয়া গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান। শামীম হাসান বলেন, এ দফায় হিট অ্যালার্ট থেকে বাদ পড়তে পারে সিলেট। কারণ সেখানে প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টির আভাস থাকছে।

চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বাংলাদেশের কিছু জেলায় তাপপ্রবাহ বইতে শুরু করে। এরপর গত তিন সপ্তাহে তাপপ্রবাহ প্রায় সারাদেশেই ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই চুয়াডাঙ্গায় চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আর ঢাকায় এ বছর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তীব্র গরমের কারণে সারাদেশে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গরমে হিট স্ট্রোকসহ নানা শারীরিক সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় কয়েকজনের মৃ্ত্যুর খবর এসেছে। এমন অবস্থায় তিন দফায় ৭২ ঘণ্টা করে হিট অ্যালার্ট বা তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করে আবহাওয়া অধিদফতর। গরমের তীব্রতা না কমায় আগামীকাল রোববার থেকে চতুর্থ দফায় নতুন করে ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি করতে যাচ্ছে আবহাওয়া অফিস।

এদিকে আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ স্বাক্ষরিত আজকের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। এছাড়া জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বেড়ে যেতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।

তাপপ্রবাহের পূর্বাভাসে বলা হয়, রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা ও পাবনা জেলাসমূহের ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। টাঙ্গাইল, বগুড়া, বাগেরহাট, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলাসমূহের ওপর দিয়েও তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

তবে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেই সঙ্গে এসব অঞ্চলের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে হতে পারে শিলাবৃষ্টিও। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।


আরও খবর



র‍্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

সদরুল আইনঃ

র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না যুক্তরাষ্ট্র। 


বৃহস্পতিবার (১৬ মে) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সহকারী প্রেসসচিব বেদান্ত প্যাটেল এ তথ্য জানিয়েছেন।


ব্রিফিং চলাকালে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ঢাকা সফরের পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেছেন, হোয়াইট হাউজ ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর মানবাধিকার লঙ্ঘন ও বিচার বহির্ভূত হত্যার দায়ে র‍্যাবের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে আগ্রহী। 


হোয়াইট হাউজ ও পররাষ্ট্র দফতর এ নিয়ে কাজ করছে বলে তিনি জানিয়েছেন।


এ সময় প্যাটেল বলেন, এ দাবিগুলো অসত্য। র‍্যাবের ওপর থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না। এসব দাবি অসত্য। নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য আচরণ পরিবর্তন এবং জবাবদিহিতা প্রচার।



আরও খবর



নারীর জীবনে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের পানিতে দ্রুত লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে এর প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে কৃষি, জীববৈচিত্র্য, পরিবেশ এবং জনস্বাস্থ্য ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিশেষ করে নারীর স্বাস্থ্য জীবন-জীবিকা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে নারীর প্রজনন স্বাস্থ্য

গত কয়েক দশকে উপকূলীয় এলাকায় পানির লবণাক্ততা বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে যে উষ্ণায়ন, পরিবেশের বিপন্নতা তার প্রভাব প্রথম এসে পড়ে নারীর ওপর। পানির স্তর নিচে নেমে যায়, নদীর পানি লবণাক্ত হয়ে যায়, নদী শুকিয়ে যায়, দুই-একটি নলকূপে, যেখানে মিষ্টি পানি ওঠে সেখানেও পানির জন্য হাহাকার। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করা না হলে কলসি নিয়ে পানির খোঁজে দীর্ঘপথ হাঁটা। জ্বালানির জন্য কাঠ সংগ্রহ করতে নারীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বনের ভেতরে যেতে হয়। শুধু খাওয়ার পানিই নয়, সংসারে সব কিছুর জন্য যে পানি, সেই পানি সংগ্রহ করার দায়িত্বও নারীর। তাই সেই বিপর্যয় মোকাবিলায় নারীকে সামনে দাঁড়াতে হয়

পশুর নদী অববাহিকায় সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএস) এর গবেষণা প্রতিবেদন অনুসারে, অঞ্চলের মানুষ ভূগর্ভস্থ পানি অন্যান্য খাবার থেকে দৈনিক ১৬ গ্রামের বেশি লবণ গ্রহণ করছে, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মাত্রার তুলনায় অনেক বেশি। ২০০৯-১০ সালে খুলনার দাকোপ উপজেলার ১৩-৪৫ বছর বয়সী ৩৪৫ জন অন্তঃসত্ত্বা নারী নিয়ে এক গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত নোনাপানি গ্রহণের ফলে নারীদের উচ্চ রক্তচাপ, জরায়ুর প্রদাহ, গর্ভকালীন খিচুনি, গর্ভপাত, এমনকি অপরিণত শিশুও জন্ম নিয়েছে

বিষয়ে অবস্টেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি) এর সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ফেরদৌসি বেগম বলেন, দীর্ঘদিন অতিরিক্ত নোনাপানি গ্রহণ ব্যবহারের ফলে গর্ভকালীন সময়ে নারীদের উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যায় এর ফলে জরায়ুর প্রদাহ, গর্ভকালীন খিচুনি, গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে পাশাপাশি অপরিণত শিশু জন্মের আশঙ্কাও থাকে এই লোনাপানি ব্যবহারের ফলে

এর সমাধান হিসেবে তিনি বলেন, গর্ভাবস্থায় নারীদের লোনাপানি গ্রহণ ব্যবহার কমাতে হবে। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পানির স্তর নিচে নেমে যায়, নদীর পানি লবণাক্ত হয়ে যায়, নদী শুকিয়ে যায়। এগুলো রোধ করতে বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। মানুষের সুস্থতার জন্য জলবায়ু পরিবর্তন রোধের কোনো বিকল্প নেই

ছাড়া দীর্ঘদিন লবণাক্ত পানি ব্যবহারের ফলে চুল ত্বকের ক্ষতি হয়। রং কালো হয়ে যায় দ্রুত বার্ধক্য চলে আসে। উপকূলের নারী শিশুদের চিংড়িপোনা ধরার জন্য ভাটার সময় ভোরে দিনের বেলায় প্রায় - ঘণ্টা  লবণাক্ত পানিতে থাকতে হয়। এর ফলে প্রজনন স্বাস্থ্যসহ নারী অন্যান্য স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েন। লবণাক্ত পানির কারণে নারীরা এখন জরায়ু ক্যানসারের মতো জটিল রোগে ভুগছেন। 

এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, দেশে প্রতিবছর যে কয়েক লাখ নারী জরায়ু ক্যানসারের ঝুঁকিতে থাকেন, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ উপকূলীয় অঞ্চলের নারীরা। নারীদের জরায়ুসংক্রান্ত অসুখের তীব্রতা লবণাক্তপ্রবণ গ্রামগুলোতে বেশি। সে জন্য অল্প বয়সেই এলাকার নারীরা জরায়ু কেটে ফেলতে বাধ্য হচ্ছেন। 

জাতিসংঘ জনসংখ্যা কর্মসূচির (ইউএনএফপিএ) প্রতিবেদন অনুসারে, অন্তঃসত্ত্বা স্তন্যদাত্রী নারী এবং কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্যের ওপর বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ভয়াবহ প্রভাব ফেলবে। ছাড়া শুধু স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি নয়, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যেসব দুর্যোগ সৃষ্টি হচ্ছে সেখানে পুরুষের তুলনায় নারীর মৃত্যুঝুঁকি ১৪ গুণ বেশি। ১৯৯১ সালের বাংলাদেশের ঘূর্ণিঝড়ে নিহত লাখ ৪০ হাজার মানুষের মধ্যে ৭৭ শতাংশ ছিলেন নারী। ২০০৪ সালের সুনামিতে নিহতদের মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী। ২০০৮ সালে ঘূর্ণিঝড় নার্গিসের পর মায়ানমারের ৮৭ শতাংশ নারী তাদের কাজ হারান। ২০০৯ সালে ঘূর্ণিঝড় আইলায় আক্রান্তদের (নিহত আহত) ৭৩ শতাংশই ছিলেন নারী


আরও খবর