বাজারকে স্বাভাবিক করতে তেল, চিনি ও ছোলার ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার করেছে সরকার। ভোজ্য তেল সয়াবিনের উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং ভোক্তা পর্যায়ে ৫ শতাংশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ অবস্থায় খুলনার পাইকারি বাজারে ব্যবসায়ীরা তেলের দাম কিছুটা কমিয়ে দিলেও দাম কমাতে নারাজ খুচরা ব্যবসায়ীরা।
খুলনা নগরীর বিভিন্ন এলাকার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি খোলা সয়াবিন তেল ১৯০ টাকা, পামওয়েল ১৭০ টাকা আর পাঁচ লিটারের বোতল ৮০০ টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। জানতে চাইলে ভ্যাট প্রত্যাহারের বিষয়টি তারা জানেন না বলে জানান। সূত্র মতে, ভোজ্য তেলের ওপর থেকে গত শুক্রবার ভ্যাট প্রত্যাহার করে সরকার। এরপর খুলনার পাইকারি বাজারে কিছুটা প্রভাব পড়লেও খুচরা বাজারের পরিস্থিতি অপরিবর্তিত। পূর্বের দরেই বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল। এ ছাড়া বাজারে সরবরাহ এখনো স্বাভাবিক হয়নি।
নগরীর বড় বাজারের পাইকারি তেল ব্যবসায়ী ও রেজা অ্যান্ড ব্রাদার্সের মালিক মো. শাহ আলম বলেন, সরকারের ভ্যাট প্রত্যাহারের ঘোষণায় সয়াবিন তেলের ওপর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। তিনি প্রতি কেজি সয়াবিন ১৮০ টাকার স্থলে ১৫৩ টাকা এবং পামওয়েল ১৫৪ টাকায় বিক্রি করছেন। আর বাজারে বোতলজাত কোনো সয়াবিন তেল নেই। তবে খোলা তেলের দাম কমতে শুরু করেছে। তিনি আরো বলেন, খুলনার বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। কারণ হিসেবে তিনি জানান, খুলনায় তেল রিফাইন হয় না, হয় ঢাকায়। যদি সব বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হয় তাহলে মিলে গিয়ে অভিযান চালাতে হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বড় বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান, ভ্যাট প্রত্যাহারের ঘোষণায় অনেক ব্যবসায়ী খুশি হয়েছেন। এ ক্ষেত্রে কম দরে তেল কিনে কেউ যাতে মজুদ করতে না পারে সেজন্য প্রশাসনের জোরালো নজরদারি চান তিনি। বড় বাজারের অপর ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান বলেন, বাজারে তেলের কোনো সংকট নেই। নগরীর ময়লাপোতা সান্ধ্য বাজারের কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখা গেছে, সূর্যমুখী ও রাইসব্র্যান্ড তেল ছাড়া সয়াবিন তেল নেই। পাইকারি বাজার থেকে তারা তেল আনছেন না বলে জানিয়েছেন।
একটি তেল কোম্পানির খুলনার পরিবেশক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দাম বৃদ্ধির আগে তিনি প্রতি মাসে ১২০০ কার্টুন করে তেল সরবরাহ করতেন। গত সপ্তাহে ৪০০ কার্টুন তেল পেয়েছেন। যা ব্যবসায়ীদের দেওয়া হয়েছে। এসব তেল তারা কী করছেন তা তিনি জানেন না। খুচরা ব্যবসায়ীরা অধিক তেল মজুদ করে তার প্রাইস লেভেল ঘষে সেখানে অতিরিক্ত মূল্য সংযোজন করেন। তার ঘরে বোতলজাত সয়াবিন তেলের কোনো মজুদ নেই। ভ্যাট প্রত্যাহারের পর সে রেটের কোনো মাল এখনো আসেনি বলে তিনি উল্লেখ করেন।