Logo
শিরোনাম

বাড়ছে রেমিট্যান্স, ১৩ দিনে এলো ৭৮ কোটি ডলার

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

২০২৩-২৪ অর্থবছরের অক্টোবরের প্রথম ১৩ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ৭৮ কোটি ১২ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় আট হাজার ৫৫৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা (১ ডলার সমান ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা হিসাবে)।১৫ অক্টোবর বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমন তথ্য প্রকাশ করে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, অক্টোবরের প্রথম ১৩ দিনে প্রতিদিন প্রবাসীরা বৈধ পথে ছয় কোটি ৯৪ হাজার ৬১৫ মার্কিন ডলার পাঠিয়ছেন। আগের মাসের একই সময়ে প্রতিদিনে পাঠিয়েছিলেন চার কোটি ৪৭ লাখ ৮৮ হাজার ৬০ মার্কিন ডলার। সে হিসাবে গত মাসের চেয়ে চলতি মাসে প্রবাসী আয় বেড়েছে।

জুলাই, আগস্ট ইতিবাচক ধারায় থাকার পর সেপ্টেম্বর মাসে গত ৪১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে যায় প্রবাসী আয়। অক্টোবর মাসে অবস্থার কিছুটা উন্নতি দেখা যাচ্ছে।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি মাসের ১৩ দিনে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে এসেছে, এরমধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৭ কোটি ৬০ লাখ ৩০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ২ কোটি ৭৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৬৭ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩০ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার।

বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার। আগের ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ হয়েছিল, যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।

সেপ্টেম্বরে প্রবাসী আয় কমার পর অক্টোবর মাসে প্রবাসী আয় বৃদ্ধিতে উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। যেসব ব্যাংক প্রবাসী আয় আনার ক্ষেত্রে অগ্রগামী, সম্প্রতি এক বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংক অনানুষ্ঠানিকভাবে সেই সব ব্যাংককে যেভাবেই হোক বেশি বেশি প্রবাসী আয় আনতে উদ্যোগ নিতে গ্রহণ করতে পরামর্শ দেয়। প্রয়োজনে প্রবাসী আয়ের ডলারে দাম বেশি দিয়ে হলেও রেমিট্যান্স আনতে উদ্যোগ গ্রহণ করতে বলে। যাতে প্রবাসীরা হুন্ডির মাধ্যমে প্রবাসী আয় পাঠাতে নিরুৎসাহিত হয়।


আরও খবর



২৯ এপ্রিল শুরু হচ্ছে হজ ফ্লাইট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

আগামী ২৯ এপ্রিল থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ভিসা প্রক্রিয়াকরণ সম্পন্ন হবে। আমাদের হজযাত্রীরা আগামী ২৯ এপ্রিল থেকে হজের উদ্দেশে ফ্লাইট সিডিউল মোতাবেক সৌদি আরব গমন করবেন। সচিবালয়ে হজ প্রস্তুতির সর্বশেষ অগ্রগতি বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এ তথ্য জানান।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, এ বছর সরকারি মাধ্যমে নিবন্ধিত ৫ হাজার ২০০ জন হজযাত্রীর জন্য আমরা সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা তথা মিনায় ও আরাফায় তাঁবু বরাদ্দ ও ক্যাটারিং সার্ভিস কোম্পানির সাথে চুক্তি, বাড়ি/হোটেল কর্তৃপক্ষের সাথে চুক্তি, পরিবহন কোম্পানির সাথে চুক্তি অনেক আগেই সম্পন্ন করেছি।

ভিসার কার্যক্রম চলমান রয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আমরা আশা করছি, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ভিসা প্রক্রিয়াকরণ সম্পন্ন হবে, ইনশাআল্লাহ। আমাদের হজযাত্রীরা আগামী ২৯ এপ্রিল থেকে হজের উদ্দেশ্যে ফ্লাইট সিডিউল মোতাবেক সৌদি আরব গমন করবেন।

তিনি বলেন, এ বছর আমাদের হজযাত্রীদের একটি বিরাট অংশ অর্থাৎ ৮১ হাজার ৯০০ জন হজযাত্রী বেসরকারিভাবে এজেন্সির মাধ্যমে হজব্রত পালনের জন্য নিবন্ধন করেছেন। সৌদি সরকারের এজেন্সি প্রতি ন্যূনতম হজযাত্রীর বাধ্যবাধকতার কারণে মোট ৭৫৩টি এজেন্সির অধীনে নিবন্ধিত এসব হজযাত্রী ৭০টি লিড এজেন্সির মাধ্যমে হজ পালন করবেন।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধান, কঠোর মনিটরিং ও ফলো-আপ তৎপরতার কারণে সৌদি সরকারের বেঁধে দেওয়া সময় ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বেসরকারিভাবে এজেন্সির মাধ্যমে নিবন্ধিত হজযাত্রীদের জন্য কেবল মিনা ও আরাফায় তাঁবু বরাদ্দ গ্রহণ এবং ক্যাটারিং সার্ভিস কোম্পানির সাথে চুক্তি-এই দুটি অ্যাক্টিভিটি সম্পন্ন হয়। পরে সৌদি সরকার মক্কা-মদিনায় বাড়িভাড়া ও পরিবহন কোম্পানির সাথে চুক্তির সময় ২৫ মার্চ পর্যন্ত বৃদ্ধি করে এবং তারা এ বিষয়ে কঠোর সতর্ক বার্তা জারি করে।


আরও খবর



ঈদের দিন থাকবে তাপপ্রবাহ

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ঈদের দিন সরাদেশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ঈদের দিন সারাদেশে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ থাকার সম্ভাবনা আছে। সর্বোচ্চ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠতে পারে।

ঈদের দিন কোনো ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপাতত ঘূর্ণিঝড় বা কোনো ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা নাই। তবে ঈদের দুই-এক জায়গাতে হতে পারে; তাও না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ঈদের দিন আবহাওয়া শুষ্ক থাকার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। তবে অস্থায়ীভাবে দেশের দুই এক-জায়গায় কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে বলে জানিয়েছেন এ আবহাওয়াবিদ।

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। ঢাকা, ফরিদপুর, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, লক্ষীপুর ও ফেনী জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত ও বিস্তার লাভ করতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আগামী রোববার (৩০ মার্চ) অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।


আরও খবর



ঢাকায় আসছে আইএমএফ প্রতিনিধি দল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

চলমান ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচির আওতায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে বাংলাদেশ ২৩৯ কোটি ডলার কিস্তির অর্থ পাবে। অর্থছাড়ের আগে বিভিন্ন শর্ত পর্যালোচনা করতে আইএমএফের প্রতিনিধি দল চলতি এপ্রিল মাসে ঢাকায় আসবে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গত ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেওয়ার পর আইএমএফের বড় কোনো দলের ঢাকায় এটি দ্বিতীয় সফর হবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে জানা গেছে, ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড়ের আগে বিভিন্ন শর্ত পালনের অগ্রগতি পর্যালোচনায় আইএমএফের একটি দল আগামী ৫ এপ্রিল ঢাকায় আসছে। দলটি ৬ এপ্রিল থেকে টানা দুই সপ্তাহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করবে। এ সফরে আইএমএফের দলটির সঙ্গে অর্থ বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিদ্যুৎ বিভাগ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি), জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠক শেষে ১৭ এপ্রিল প্রেস ব্রিফিং করবে সফররত আইএমএফের দল। দলটি প্রথম দিন ৬ এপ্রিল এবং শেষ দিন ১৭ এপ্রিল বৈঠক করবে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে।

২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি আইএমএফের সঙ্গে ঋণ কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর তিনটি কিস্তির অর্থ পেয়েছে বাংলাদেশ। আইএমএফের কাছ থেকে প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পায়। একই বছরের ডিসেম্বরে পেয়েছে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। আর ২০২৪ সালের জুনে তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার পেয়েছে। তিন কিস্তিতে বাংলাদেশ প্রায় ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে। ঋণের অর্থছাড় বাকি আছে ২৩৯ কোটি ডলার। বিপত্তি দেখা দেয় চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড়ের আগে। যদিও সরকার আশা করছে আগামী জুনে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ একসঙ্গে পাওয়া যাবে।

এদিকে সম্প্রতি অর্থনীতিবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইআরএফের সঙ্গে এক প্রাক-বাজেট আলোচনায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বাজেট সহায়তার জন্যই আইএমএফ ঋণ লাগবে। এ কারণেই বাংলাদেশ সরকার ও আইএমএফ যৌথভাবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য নির্ধারিত দুটি কিস্তি একসঙ্গে ছাড়ের বিষয়ে সম্মত হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইএমএফের ঋণের দুই কিস্তির অর্থ একসঙ্গে পেতে বাংলাদেশের সামনে মোটাদাগে তিনটি বাধা রয়েছে। এগুলো হলো মুদ্রা বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) দশমিক ৫ শতাংশ হারে বাড়তি রাজস্ব আদায় ও এনবিআরের রাজস্ব নীতি থেকে রাজস্ব প্রশাসনকে আলাদা করা।

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আইএমএফকে জানানো হয়েছে, এসব শর্ত বাস্তবায়ন করা হবে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, রাজস্ব নীতি থেকে রাজস্ব প্রশাসনকে আলাদা করার পদক্ষেপ ছাড়া বাকি দুটির বিষয়ে তেমন অগ্রগতি নেই।

তবে ক্রলিং পেগ পদ্ধতিতে বিনিময় হার নির্ধারণ করা হচ্ছে। যার কারণে হঠাৎ ডলারের দাম খুব বেশি বেড়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। এ পদ্ধতিতে ডলারের দাম ১২২ টাকায় স্থিতিশীল আছে।


আরও খবর



নওগাঁর পুলিশ সুপারের বডিগার্ড পরিচয়ে চাঁদাবাজী একজন আটক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর পুলিশ সুপারের (এসপি'র) বডিগার্ড পরিচয় দিয়ে চাঁদা দাবি করা মোঃ সাগর (২৬) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাতে নওগাঁর মান্দা উপজেলার তেঁতুলিয়া এলাকা থেকে তাকে আটক করেন পুলিশ। পরে বৃহস্পতিবার সকালে চাঁদাবাজির মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। গ্রেফতারকৃত সাগর নওগাঁর মান্দা উপজেলার বাংড়া গ্রামের মৃত হাসান আলীর ছেলে। সাগরের বিরুদ্ধে প্রতারণা, মাদক ও চাঁদাবাজির অভিযোগে দেশের বিভিন্ন থানায় ৬টি মামলা রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোওয়ার নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

তিনি আরো জানান, পুলিশের কাছে তথ্য ছিল একজন প্রতারক পুলিশ পরিচয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে চাঁদাবাজি করছে। সর্বশেষ গত ২০ মার্চ নওগাঁ জেলার পুলিশ সুপারের বডিগার্ড পরিচয় দিয়ে ইফতারির জন্য নওগাঁ জেলা ধান চালের আড়ৎদার সমিতির সচিব শহিদুল ইসলামের কাছে থেকে দুই বারে ৭হাজার ১শ' ৪০টাকা বিকাশের মাধ্যমে চাঁদা নেয়। এ ঘটনা জানার পর পুলিশের একাধিক টিম এই প্রতারককে ধরার জন্য চেষ্টা করছিল। বিকাশ অ্যাকাউন্টের সূত্রে ধরে বুধবার দিবাগত রাতে মান্দা উপজেলার তেঁতুলিয়া এলাকা থেকে ঐ প্রতারককে আটক করা হয়। আজ সকালে সদর থানায় তার বিরুদ্ধে করা চাঁদাবাজির মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। গ্রেফতারকৃত সাগরের সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত কিনা তা জানার জন্য আদালতে তার বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করা হবে।

গ্রেফতারকৃত সাগরের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে ৪টি, ও মাদকের ২টি মামলা রয়েছে। পুলিশ ছাড়াও বিভিন্ন সময় সে নিজেকে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ইটভাটা ও ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তা পরিচয়ে দিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে চাঁদা দাবি করেছে।

নওগাঁবাসীর উদ্দেশে পুলিশ সুপার বলেন, পুলিশ পরিচয়ে কিংবা প্রশাসনের উর্দ্ধতন কোন ব্যক্তির নামে কেউ চাঁদাবাজি করলে কোনো ভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। পুলিশ পরিচয় দিয়ে কেউ টাকা দাবি করলে তাকে আটক করে পুলিশে সংবাদ দেবেন। কোনো ভাবেই ধোঁকাবাজদের দ্বারা চাঁদাবাজির শিকার হবেন না। এই ধরণের কোন চক্রে পড়ার আগে বিষয়টি অবশ্যই নিকটস্থ থানা পুলিশকে অবগত করতে তিনি সবার প্রতি অনুরোধ জানান। সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



ঈদকে সামনে রেখে কর্মব্যস্ত তাঁত পল্লি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ঈদকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জের তাঁত পল্লি গুলো কর্মব্যস্ত হয়ে উঠেছে। বর্তমান বাজার ভালো থাকায় দীর্ঘ দিনের নানা সমস্যা কাটিয়ে লাভের আশা করছেন তাঁত মালিকরা। গত বছরের তুলনায় এবছর চাহিদা অনেক বেশি বলে জানান তাঁত মালিকেরা ।

তাঁত সমৃদ্ধ জেলা হিসেবে পরিচিত সিরাজগঞ্জ। সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, এনায়েতপুর, শাহজাদপুর, উল্লাপাড়া ও চৌহালী উপজেলায় পাওয়ার লুম ও হ্যান্ডলুম রয়েছে অন্তত ৫ লাখ তাঁত রয়েছে । তাছাড়াও উল্লেখিত এলাকায় প্রায় ১৫ হাজার তাঁত কারখানা রয়েছে । এতে প্রায় ২৩-২৪ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। তারা শাড়ি, লুঙ্গি, ধুতি, গামছা, থ্রিপিস তৈরি করছে । তবে, ৯০ শতাংশ তাঁতে মূলত তৈরি হয় শাড়ি ও লুঙ্গি । আসন্ন ঈদ উপলক্ষ্যে ব্যাপক চাহিদা থাকায় সব কারখানায় দিন- রাত ব্যস্ততা বেড়েছে। এখানে তৈরি হয় আন্তর্জাতিক মানের জামদানী, কাতান, সিল্ক, বেনারশি, লুঙ্গি, থ্রি-পিস, গামছা ও থান কাপড়। এখানকার উৎপাদিত কাপড় সমূহের কদর রয়েছে দেশ জুড়ে।

জেলার অর্থনৈতিক চালিকাশক্তির অন্যতম এ শিল্পটির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত রয়েছে অন্তত ৫ লাখ মানুষ। বছরে প্রায় ১৫০০ কোটি টাকার তাঁত পন্য উৎপাদিত হয় প্রায় ৭০ কোটি মিটার কাপড়। এ কারণে জেলার ব্র্যান্ডিং ঘোষণা করা হয় তাঁতশিল্পকে। নাম দেয়া হয় তাঁতকুঞ্জ সিরাজগঞ্জ।

দিনের আলো ফোটার সাথে সাথেই তাঁতের খট খট শব্দে মুখরিত থাকতো সিরাজগঞ্জের তাঁত পল্লীগুলো। কালের আবর্তে এবং আধুনিকতার ছোয়া লেগেছে তাঁত কারখানাগুলোতে। উৎপাদন বাড়াতে প্রতিটি কারখানায় যন্ত্র চালিত পাওয়ার লুম দিয়ে শাড়ী, লুঙ্গি আর গামছা তৈরি করা হয়। তাঁত শ্রমিক হামিদ, শহিদুল, আলামিন, মিতু বেগম, জাহানারা জানান, ঈদকে সামনে রেখে এখন এখানকার তাঁত মালিকরা পুরোদমে কারখানা চালু করেছে । ফলে আমাদের ব্যস্ততা বেড়েছে । এখন প্রতিদিনই কাজ হচ্ছে । এখন তাঁত চালু হওয়ায় আমাদের অভাব অনেকটাই দুর হয়েছে।

তাঁত শ্রমিক শফিকুল জানান, প্রতিদিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করছি। ফলে সাপ্তাহে ৫ হাজার টাকার বেশি মজুরি পাই। এতে পরিবারের সবার চাহিদা মিটিয়ে সকলকে নিয়ে এবার সুন্দরভাবে ঈদ করতে পারব।

কাপড় ব্যবসায়ী শহীদ সরকার জানান, বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ কাপড়ের এনায়েতপুর ও সোহাগপুর হাটে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাইকারি ক্রেতা-বিক্রেতারা এখান থেকে কাপড় পাইকারি কিনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়ে বিক্রি করেন।

বেলকুচি উপজেলার শফিকুল ইসলাম শফি, খুকনীর ফিরোজ উইভিং ফ্যাক্টরির মালিক ফিরোজ হাসান অনিক আলামিন, আব্দুল আজিজ বাবু সহ একাধিক তাঁত মালিক বলেন, বর্তমান বাজার ভালো থাকায় দীর্ঘ দিনের নানা সমস্যা কাটিয়ে লাভের আশা করছি। আসন্ন ঈদ উপলক্ষে ব্যবসা ভালো হবে বলে মনে করেন তাঁত মালিকরা।

খামার গ্রামের সফল জাতীয় কারুশিল্পী পদকপ্রাপ্ত তাঁতি আফজাল হোসেন লাভলু বলেন, ঈদ উপলক্ষ্যে এবার ভারতে শতকোটি টাকার সুতি শাড়ি ইতিমধ্যেই রপ্তানি হয়েছে। আমিও কয়েক কোটি টাকা মূল্যের শাড়ি রপ্তানি করেছি।

বেলকুচি পাওয়ারলুম এসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ এম.এ বাকী বলেন, সমগ্র বাংলাদেশের মধ্যে তাঁত বস্ত্রের মোট উৎপাদনে ৭০-৭৫ ভাগ সিরাজগঞ্জ জেলাতে উৎপাদিত হয়। যার মূল্য কয়েকশো কোটি টাকা। মালিকেরা সিরাজগঞ্জে উৎপাদিত কাপড়ের সুনাম ধরে রাখার চেষ্টা করছে। তিনি আরও বলেন, সরকারি পৃষ্ঠপোশকতা, তাঁত মালিকদের নানা সমস্যা দূরিকরণে সরকারি সহয়োগিতা একান্ত প্রয়োজন। তাছাড়াও সিরাজগঞ্জের তাঁত শিল্প রক্ষায় বাইরের দেশ থেকে অবৈধভাবে শাড়ি আসা বন্ধ এবং রং-সুতা সহজলভ্য করতে না পারলে এই তাঁত শিল্প উন্নয়নে হোচট খাবার কথাও জানান তিনি।

বাংলাদেশ তাঁতবোর্ড সিরাজগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত লিয়াজো অফিসার ইমরানুল হক বলেন, কোন কুচক্রি মহল যেন সুতা ও রংগের দাম বাড়াতে না পাড়ে সেজন্য সরকারি হত্যক্ষেপ কামনা করেন। তিনি আরও বলেন, ক্ষুদ্র তাঁতশিল্প রক্ষায় ৫% হারে ঋণসহ বাহারি ডিজাউনের শাড়ী তৈরীর জন্য তাঁতীদের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ জাতীয় তাঁতি সমিতির সভাপতি আলহাজ আব্দুস ছামাদ খান জানান, ঈদকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জসহ দেশের তাঁতশিল্পে শ্রমিক ও মালিকদের ব্যস্ততা বেড়েছে। বিশেষ করে তাঁতকুঞ্জ সিরাজগঞ্জে উৎপাদিত শাড়ির সুনাম দেশজুড়ে রয়েছে। তবে এই শিল্পের প্রসার ও ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে সমিতির পক্ষ থেকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্যোগ নেয়া হবে।


আরও খবর