Logo
শিরোনাম

বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে পাকিস্তান

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

জম্মু-কাশ্মীরের বারামুলায় ভারতীয় সেনাদের গুলিতে তিনজন বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত ও বিপুল অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবারের (১৬ সেপ্টেম্বর) ওই ঘটনায় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বাঁচাতে সীমান্তে পাকিস্তানের সেনারা গুলি চালিয়েছে বলেও অভিযোগ করে ভারতের যৌথবাহিনী। খবর- সংবাদসংস্থা এএনআই।

ভারতীয় সেনার পির পঞ্জাল ব্রিগেডের কমান্ডার পিএমএস ধিলোঁর বরাতে এএনআই জানায়, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেনা ও জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ যৌথ অভিযান চালায় বারামুলায়। বিচ্ছিন্নতাবাদীরা সেখান দিয়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করার চেষ্টা করছে জানতে পেরে গুলি চালোনো হয়। এতে সেখানে থাকা তিনজন বিচ্ছিন্নতাবাদীর দুজন নিহত হয়। তাদের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া তৃতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীও মারা গেছে কিন্তু তার দেহ উদ্ধার করা যায়নি। বিচ্ছিন্নতাবাদীর বাঁচাতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার ওপার থেকে পাকিস্তানের সেনারা গুলি চালাচ্ছিলেন।

সেনা সূত্রের খবর, নিহত বিদ্রোহীদের পকেট থেকে পাকিস্তানের টাকা মিলেছে। এছাড়া কিছু ভারতীয় মুদ্রাও ছিল। তাদের কাছে দুটি একে রাইফেল, অনেক কার্তুজ, একটি পিস্তল, সাতটি হ্যান্ড গ্রেনেড, একটি বিস্ফোরক ডিভাইসও উদ্ধার করা হয়েছে। এএনআই উদ্ধারকৃত অস্ত্রের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে।

এদিকে কাশ্মীরের অনন্তনাগে ভারতীয় সেনার সঙ্গে বিদ্রোহীদের গুলির লড়াই চলছে গত বুধবার থেকে। চার দিন পরও সেখানে সংঘর্ষ থামেনি। সেই সংঘর্ষে ভারতের দুই সেনাকর্তা এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এক ডিএসপির মৃত্যু হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, সংঘর্ষের আবহে বারামুলাতেও নতুন করে হামলার ছক কষেছিল বিদ্রোহীরা।


আরও খবর



দশমনিায় ৫০তম গ্রীস্মকালীন খেলাধুলার উদ্ধোধন

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

মোঃ নাঈম হোসাইন (পটুয়াখালী) দশমিনা,প্রতিনিধি :

পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় ইউনিয়ন পর্যায়ে বুধবার সকাল ১১ টায়এসএ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ৫০ তম গ্রীস্মকালীন খেলাধুলার শুভউদ্ধোধন করা হয়।উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সেলিম মিয়ার সভাপতিত্বে প্রধানঅতিথি হিসাবে উপস্তিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) নাফিসা নাজ নীরা।এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়েরপ্রধান শিক্ষক সালাহ উদ্দিন সৈকত, এসএ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতিআসাদুল হক হাওলাদার, দক্ষিন দশমিনা দাখিল মাদ্রসার সভাপতি শাহমেয়াজ্জেম হোসেন সুমন সিকদার, মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতিকাজী আনোয়ার, ভ্যানু প্রধান কাওসার হোসেন, ডাঃ ডলি আকবরমহিলা কলেজের প্রভাষক(শারীরিক শিক্ষক) মোঃ বেল্লাল হোসেন সহবিভিন্ন মাধ্যমিক ও মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অংশ গ্রহনকারি শিক্ষার্থী।প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার পাশাপাশিশরীরচর্চার জন্য প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর ৫০ তম স্কুল, মাদ্রাসা ওকারিগরি শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার আয়োজ করা হয়। এর মাধ্যমেশিক্ষার্থীদের শারীরিক গঠন ও মানসিক বিকাশে বিশেষ ভুমিকা রাখবে।


আরও খবর

আসল ঘটনা কী, জানালেন তামিম !

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

তামিমকে ছাড়া বিশ্বকাপ দল

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ভূ-রাজনীতির আলোচনায় বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

জনগণের স্বার্থকে বিবেচনায় রেখে জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছানোর বিকল্প নেই। তা না হলে বিদেশি শক্তি বারবার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর সুযোগ পাবে মনে করেন দেশের বিশিষ্টজনরা। একই সঙ্গে আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলো জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছানোর পথ বের করার তাগিদ দিয়েছেন তারা।

বৈঠকে বক্তারা বলেন, কোনো দেশের নির্দেশনা বাংলাদেশের মানুষ মানবে না। বরং যারা এই বিদেশিদের নির্দেশ মানবে, জনগণ তাদের মেনে নেবে না। কেননা এখানে বিশ্ব ভূ-রাজনীতিতে বাংলাদেশকে নিয়ে বিদেশিদের স্বার্থ জড়িত রয়েছে। ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ঢাকা গ্যালারিতে এডিটরস গিল্ড আয়োজিত ভূ-রাজনীতির আলোচনায় বাংলাদেশ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে তারা এসব কথা বলেন। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও এডিটরস গিল্ডের প্রেসিডিয়াম সদস্য শ্যামল দত্ত।

আলোচকরা বলেন, ভূ-রাজনীতির প্লেয়ার কিছু সংখ্যক দেশ। তারা নিজেদের স্বার্থে অন্য আরেকটি দেশের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে। আর এই ভূ-রাজনীতিতে মার্কিনিদের বড় স্বার্থ হলো বিশ্বের অন্যান্য দেশের সমর্থন পাওয়া। অন্যান্য দেশকে নিজেদের সমর্থনে রাখার প্রক্রিয়া হিসেবে উপনিবেশ ব্যবস্থা চলে যাওয়ার পর সরকারের নিয়ন্ত্রণে নিতে চায়। আর এই নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য কিছু উপাদান লাগে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মানবাধিকার, গণতন্ত্র, বাক্স্বাধীনতাসহ আরো কিছু। এগুলোর মানও তারাই ঠিক করে দিয়েছে।

বক্তারা আরো বলেন, যখন তাদের পছন্দ মতো সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হয়, তখন তারা নিজেদের মতো আইন করে বিশেষ দলকে সুবিধা দেয়। এক্ষেত্রে তারাই যদি সরকার নির্বাচন করে তাহলে জনগণের ভোটাধিকার কোথায় থাকল?

ভূ-রাজনীতিতে টিকে থাকতে বাংলাদেশকে শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপর দাঁড়াতে হবে জানিয়ে আলোচকরা বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক দর্শন ও বিভিন্ন পঞ্চবার্ষিকী প্রতিবেদনে দেখব যে, সবাইকে নিয়ে উন্নয়ন বা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের কথা বারবার বলা হয়েছে। এখন ভূ-রাজনীতিতে আলোচনায় বাংলাদেশ। আর এই আলোচনা একটা কারণ হচ্ছে, আমরা ভৌগোলিক একটা সুবিধাজনক অবস্থায় আছি। সেটা সব সময় ছিল। এখন আরো বেশি হচ্ছে, কারণ অর্থনৈতিক সক্ষমতা। আর অর্থনীতির সঙ্গে রাজনীতির একটা সম্পর্ক আছে। এখন যেটি গুরুত্বপূর্ণ সেটি হচ্ছে, আমাদের অর্থনৈতিক যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেগুলো মোকাবিলা করে অর্থনৈতিক ভিতটা শক্ত করতে হবে।

তবে বাংলাদেশের মানুষ আর কোনো বাইরের দেশের নির্দেশনায় চলবে না। সেই পরিস্থিতিও নেই জানিয়ে বিশিষ্টজনরা বলেন, গ্লোবাল ভিলেজের মধ্যে থেকেই আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য করতে হবে, কূটনৈতিক সম্পর্ক ঠিক রাখতে হবে। কিন্তু কারো নির্দেশনায় বাংলাদেশ চলবে এটা হতে পারে না। বাংলাদেশের জনগণও তা মানবে না। আর তাই অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি রাষ্ট্রের কথা বলা বন্ধ করতে আসন্ন নির্বাচনের আগে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি জাতীয় ঐক্য তৈরি করতে হবে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশীদ, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের মবিন চৌধুরী, সাবেক সচিব মোফাজ্জল করীম, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ড. জাইদী সাত্তার, সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক ড. হাসান মাহমুদ খন্দকার, ইউএনবির সম্পাদক ফরিদ হোসেন।


আরও খবর

আন্দোলনের নামে সহিংসতা করলে ছাড় নয়

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে বৃষ্টির আশঙ্কা

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

স্পোর্টস ডেস্ক : শঙ্কা ছিল বৃষ্টির। তবে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার সুপার ফোরের ম্যাচটা কেটেছে নির্বিঘ্নে। বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া থাকলেও কলম্বোতে কাল ছিল রৌদ্রজ্জ্বল দিন। আজ আবারও সেই একই শহরের একই মাঠে হতে যাচ্ছে ক্রিকেটের আরও এক ধ্রুপদী ম্যাচ। যেখানে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি দেশ ভারত ও পাকিস্তান মুখোমুখি হবে ক্রিকেট শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে। 

এই ম্যাচের আগে আরও একবার প্রাধান্য পাচ্ছে বৃষ্টির আলোচনা। শ্রীলঙ্কান গণমাধ্যম আর আবহাওয়া অধিদপ্তর অবশ্য কোন সুখবর দেয়নি। রোববারেও বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে বলেই জানিয়েছে তারা। ম্যাচের দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে ৮৫ শতাংশ। সারাদিন ঝড়ো হাওয়া বইবে, এমন কথাও জানাচ্ছে বিভিন্ন পূর্বাভাস। 

ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ শুরু হবে স্থানীয় সময় দুপুরে। যখন বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে ৯২ থেকে ৯৪ শতাংশ পর্যন্ত। তবে বিকেল থেকে এর মাত্রা কমে আসতে পারে। যদিও সম্ভাব্যতার মাত্রা ৮০ শতাংশের আশেপাশেই থাকছে।

এর আগে প্রথম পর্বের ম্যাচেও পাল্লেকেলেতে ছিল বৃষ্টি। সেবার খেলার ২য় ইনিংস মাঠেই গড়ায়নি। হাত মিলিয়েই শেষ করেছিল ম্যাচ শেষ করেছিলেন দুই অধিনায়ক বাবর আজম এবং রোহিত শর্মা। হাইভোল্টেজ ম্যাচে এমন অপ্রত্যাশিত ইতি কাম্য নয়। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল তাই এই ম্যাচের জন্য রেখেছে রিজার্ভ ডে। 

কিন্তু ক্রিকেট ভক্তদের জন্য দুশ্চিন্তার বিষয়, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের রিজার্ভ ডে অর্থাৎ ১১ সেপ্টেম্বরেও আছে বৃষ্টির শঙ্কা। সব ছাপিয়ে তাই প্রত্যাশা, কলম্বোতে আরও একটি রৌদ্রজ্জ্বল দিনের। প্রেমাদাসায় বৃষ্টির চেয়ে ব্যাট বলের লড়াইটা দেখার আশা সকলের। 


আরও খবর

আসল ঘটনা কী, জানালেন তামিম !

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

তামিমকে ছাড়া বিশ্বকাপ দল

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




আমদানি হচ্ছে চার কোটি ডিম

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

ডিমের বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে ভারত থেকে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। চার প্রতিষ্ঠানকে এ অনুমতি দেওয়া হয়।


সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অনুমোদন পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো মেসার্স মীম এন্টারপ্রাইজ, প্রাইম এনার্জি ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড সাপ্লাইয়ার্স, টাইগার ট্রেডিং, অর্নব ট্রেডিং লিমিটেড।প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি করে মোট ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার।

সম্প্রতি ডিম, আলু ও পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। এখন থেকে খুচরা পর্যায়ে প্রতি পিস ডিমের দাম পড়বে ১২ টাকা। একই সঙ্গে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া কথাও বলেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।


বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে চারটি প্রতিষ্ঠান ডিম আমদানির অনুমোদনের জন্য আবেদন করে।

মন্ত্রীর ঘোষণার পর প্রতিক্রয়ায় ব্যবসায়ী ও পোল্ট্রি খাত সংশ্লিষ্টরা বলেন, ডিমের দাম নির্ধারণের সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে এ দামে বিক্রি করতে হলে খামারিদের উৎপাদন খরচ, পাইকারি, আড়তদার এবং খুচরা ব্যবসায়ীরা কে কত লাভে বিক্রি করবে তা নির্ধারণ করা উচিত ছিল।

ডিমের দাম নির্ধারণকে স্বাগত জানালেও আমদানির সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, ডিম আমদানি করলে এ শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে। পরে আরও বেশি দামে ডিম খেতে হবে।


আরও খবর

পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১৪.৪৬ শতাংশ

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩

এক কোটি লিটার ভোজ্যতেল কিনবে সরকার

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




যমুনা ও আত্রাই নদীর ৬ স্থানে ভাঙ্গন,

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

বুধবার নওগাঁর রাণীনগরে ছোট যমুনা নদীর নান্দাইবাড়ি ও কৃষ্ণপুর নামক স্থানের বেরিবাঁধ এবং মঙ্গলবার মান্দা উপজেলার আত্রাই নদীর উভয় তীরের ছয় স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত আড়াই হাজার পরিবার। এরই মধ্যে ভেঙেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার বিঘা জমির আউশ ও আমন ধানের ক্ষেত। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে বন্যা কবলিত এলাকার হাজারো মানুষ। 

সরেজমিনে রাণীনগর গিয়ে জানা যায়, কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ছোট যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে আসছিল। এতে আতঙ্কে ছিলেন বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা। এরই মধ্যে বুধবার ভোররাতে উপজেলার গোনা ইউনিয়নের নান্দাইবাড়ি-মালঞ্চি মাদ্রাসা সংলগ্ন এবং মালঞ্চি-কৃষ্ণপুর ভাটা এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। ফলে প্লাবিত হয় বেড়িবাঁধ এলাকার নান্দাইবাড়ি, মালঞ্চি ও কৃষ্ণপুর তিন গ্রাম এবং ভেঙেছে মালঞ্চি মাদ্রাসার একটি দেওয়াল। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েন তিন গ্রামের প্রায় ৯শ’ পরিবার।

নান্দাইবাড়ি গ্রামের ফারুক ও একই এলাকার এছাহক বলেন, সকাল হওয়ার আগে আমার ঘরের ভিতর হাটু পানি হয়ে যায়। পুকুরে গিয়ে দেখি সব পুকুরের সব মাছ ভেসে গেছে। এতে আমার প্রায় লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। একই এলাকার এছাহক আলী জানান, বেড়িবাঁধ ভাঙনের কারণে তার দু'টি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। প্লাবিত হয়েছে ফসল, সবজির ক্ষেতসহ বাড়িঘর।

তারা আরো বলেন, প্রতি বছরই এই বেড়িবাঁধ ভাঙে। নাম মাত্র করা হয় মেরামত। এতে করে প্রতি বছরই ৩ গ্রামের মানুষ ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েন। তারা বলছেন, গত বছর এবং তার আগের বছর ভাঙলে লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে নান্দাইবাড়ি-মালঞ্চি ও কৃষ্ণপুর বেড়িবাঁধ মেরামত করা হয়। কিন্তু সঠিকভাবে মেরামত কাজ না হওয়ায় এবারও বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। এতে প্রতি বছর ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাদের দাবি- বস্তাভর্তি বালু দিয়ে বেড়িবাঁধ মেরামত না করে সিসি ব্লক এর মাধ্যমে স্থায়ীভাবে বেড়িবাঁধ মেরামত করা হলে আমরা বন্যা থেকে রক্ষা পাবো।

অপরদিকে মঙ্গলবার নওগাঁর মান্দা উপজেলায় বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে নুরুল্লাবাদ ইউনিয়নের সাতটি গ্রাম। এ ইউনিয়নের নুরুল্লাবাদ ও পারনুরুল্লাবাদ এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ৪শ পরিবার এবং ফকিন্নি নদীর তীরবর্তী এলাকায় আরও অন্তত ৬শ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়া প্রসাদপুর ইউনিয়নের বাইবুল্যা ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কয়লাবাড়ী এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৫শ পরিবার। দীর্ঘদিন যাবত নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ মূল বাঁধ সংস্কার না করার কারণে বেশকিছু অংশ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। তাই নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বাঁধের ঝঁকিপূর্ণ অংশে নতুন করে ভেঙ্গে যাওয়ার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে অন্যান্য স্থানের নদীপাড়ের মানুষরা।

মান্দা উপজেলার নুরুল্লাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আত্রাই নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় এই ইউনিয়নের সাতটি গ্রামের অন্তত ১ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব গ্রামের পানিবন্দি মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।

মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  লায়লা আঞ্জুমান বানু বলেন, ইতিমধ্যে বন্যা কবলিত এলাকা গুলো পরিদর্শন করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্ট গুলোতে বস্তায় বালু ভর্তি করে মেরামতের কাজ চলছে। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সার্বক্ষনিক তদারকি করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, বেড়ি বাঁধের আর কোথাও যেন নতুন করে ভেঙে না যায় এই বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে দ্রুত প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতা নিয়ে ভেঙে যাওয়া অংশে বস্তায় বালি ফেলে বন্ধ করার কার্যক্রম চলছে।

নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রবীর কুমার পাল বলেন, রবিবার সকাল থেকে ছোট যমুনা নদীতে পানি বাড়তে শুরু করে। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত এ নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমার ১১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিনি বলেন, ভেঙে যাওয়া অংশগুলো আমরা উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয়দের সহযোগিতা নিয়ে জিওব্যাগের মাধ্যমে মেরামতের চেস্টা অব্যাহত রেখেছি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে নদীতে আরও পানি বাড়তে পারে। নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার কারণে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।


আরও খবর