Logo
শিরোনাম

ব্যালন ডি'অর নিয়ে ভাবছেন না মেসি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

স্পোর্টস ডেস্ক : ৩৬ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ শিরোপা এনে দেওয়ার পর অনেকে মনে করছেন রেকর্ড অষ্টমবারের মতো ব‍্যালন ডি’অর জিততে যাচ্ছেন লিওনেল মেসি। ফুটবলের বিশ্বখ্যাত ওয়েবসাইট গোল ডট কমের সেরা পাঁচ ফেভারিটের তালিকায়ও আছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। তবে কাতারে আরাধ্য বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফি উঁচিয়ে ধরার পর ব্যক্তিগত অর্জন নিয়ে আর তেমন মাথাব্যথা নেই মেসির।

পিএসজির পাঠ চুকিয়ে আমেরিকান ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে দারুণ সময় কাটছে মেসির। ৬ ম্যাচে ৯ গোল করে রীতিমত উড়ছেন তিনি। মেসি নামক পরশপাথরের ছোঁয়ায় যেন রাতারাতি বদলে গেছে মায়ামির গোলাপি শিবির। প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মতো ক্লাবটিকে ফাইনালে তুলেছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা।

শনিবার ভোরে ন্যাশভিল এসসির বিপক্ষে লিগ কাপের ফাইনালের আগে প্রথমবারের মতো সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়েছেন মেসি। ব্যালন ডি’অর প্রসঙ্গে এদিন তিনি বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ারজুড়ে অনেকবার বলেছি- ব্যালন ডি’অর গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার নয়। ব্যক্তিগত দিক থেকে সবচেয়ে সুন্দর পুরস্কার কিন্তু আমি কখনোই এটাকে গুরুত্ব দেইনি। সবসময়ই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে দলের হয়ে কোনো অর্জন। বিশ্বকাপ জেতার পর, যেটা আমি জিততে পারছিলাম না; এখন আমি এমনকি ব্যালন ডি অর নিয়ে ভাবছিও না।’

আরও বলেন, ‘বিশ্বকাপ ছিল সবচেয়ে সেরা অর্জন আর এখন আমি সময়গুলো উপভোগ করছি কেবল। সত্যিটা হচ্ছে আমি ব্যালন ডি অর নিয়ে ভাবছি না। যদি এটা আসে, তাহলে সুন্দর একটা ব্যাপার হবে। যদি না পাই, কিছুই হবে না। এখন ইন্টার মায়ামির হয়ে আমার নতুন চাওয়া আছে। ’

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ফুটবল ইউরোপের শীর্ষ লিগগুলোর মতো না হলেও সেখান থেকে খুব বেশি দূরেও নয় বলে মনে করেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন ফুটবলারের মতে, ‘এখানে ফুটবল এগিয়ে যাওয়ার সব সম্ভাবনাই আছে। এই উন্নতি অনেকাংশে লিগের ওপর নির্ভর করছে। এখনই সেই সময়। সামনে এ দেশে দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতাও আছে।’

ইন্টার মায়ামি মেসির জন্য নতুন ক্লাব হলেও এই শহরটা নতুন নয়। এ সম্পর্কে বলেন, তিনি বলেন, ‘আমি এই শহরকে দেখে চমকে যাইনি, কারণ এখানে আগেও ছিলাম। জানতাম এখানকার মানুষ কেমন আর ইতোমধ্যে আমি পছন্দ করতে শুরু করেছি। আমি খুশি, জীবনের নতুন ধাপ উপভোগ করছি, এই দেশে থাকার অভিজ্ঞতা নিচ্ছি। যেটা সবসময়ই আমার মাথায় ছিল।’


আরও খবর



মাভাবিপ্রবিতে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের যাত্রা শুরু

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

টাংগাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের অধীনে ১৯তম বিভাগ হিসেবে যন্ত্রকৌশল বিভাগটির যাত্রা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থী মাভাবিপ্রবিতে ভর্তির অনুমোদন দিয়েছে।

৭ বছর মেয়াদি অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসটেন্ট প্রজেক্টে বাংলাদেশের মাভাবিপ্রবিতে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ল্যাব সম্প্রসারন, আধুনিক কারিকুলাম প্রণয়নসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কোরিয়ার কংজু ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কাজ করে চলেছে। মূলত দক্ষিণ কোরিয়ার ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশনের অধীনে দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর অর্থায়ন করছে।

বিভাগটিতে দক্ষিণ কোরিয়ান অর্থায়নে ল্যাব উন্নয়নে এখন পর্যন্ত প্রায় দেড় কোটি টাকার বেশি যন্ত্রপাতি, ল্যাব সরঞ্জাম ও পুস্তক ক্রয় করে দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, যা এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে দৃশ্যমান।

বিভাগটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল মাহমুদ। তিনি দক্ষিণ কোরিয়া থেকে যন্ত্রকৌশল বিষয়ে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তার সুপারভাইজার ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার কংজু ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. হ্যাং মুক চো। ২০১৬ সালে অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল মাহমুদ ও তৎকালীন উপাচার্যের সাথে অধ্যাপক ড. হ্যাং মুক চো সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ও বাংলাদেশের মাভাবিপ্রবিতে মেকানিক্যাল ও অটোমেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ খোলার প্রস্তাবনা প্রদান করেন। ২০২১ সালের ১২ সেপ্টেম্বরে মাভাবিপ্রবিতে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ প্রতিষ্ঠা ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ প্রকল্পের অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন। পরবর্তীতে প্রিলিমিনারি টেকনিক্যাল অ্যাসিসটেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল (পিট্যাপ) ক্রমান্বয়ে ইউজিসি, শিক্ষামন্ত্রণালয়, অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনামন্ত্রী নীতিগত অনুমোদন দেন।

মাভাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, এ ধরনের আন্তর্জাতিক প্রকল্প বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের জন্য একটি বড় অর্জন।

মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল মাহমুদ বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার অংশ হিসেবে সরকার, বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইন্ডাস্ট্রির একটি সম্মিলিত যোগাযোগ নেটওয়ার্কের কনসেপ্ট বাস্তবায়নে যুগোপযোগী সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণ করতে হবে।


আরও খবর



সূর্যোদয়ের ১৩ মিনিট পরই আরব আমিরাতে ঈদের জামাত

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) ঈদ জামাতের সময়সূচি ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। দেশটির বিভিন্ন শহরে বা বিভিন্ন স্থানে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।

তবে দেশটিতে প্রথম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সূর্যোদয়ের ১৩ মিনিট পর। এছাড়া অন্যান্য শহর বা স্থানে সূর্যোদয়ের সময় ভেদে ১৯ মিনিট পর পর্যন্তও ঈদ জামাতের সময়সূচী ঘোষণা করা হয়েছে।

সোমবার প্রকাশিত সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের প্রতিবেদন এবং সার্চ ইঞ্জিন গুগলের সূর্যোদয়ের তথ্য বিশ্লেষণ করে এই বিষয়টি সামনে এসেছে।

মূলত সোমবার আরব আমিরাতের আকাশে শাওয়াল মাসের নতুন চাঁদ দেখা যায়নি। আর তাই আজ মঙ্গলবার ৩০ রোজা পালন শেষে আগামীকাল বুধবার দেশটিতে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হবে।

গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে বুধবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হবে এবং দেশটির জেনারেল অথরিটি অব দ্য ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড এন্ডোমেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে ঈদের নামাজের সময় ঘোষণা করেছে।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে আরব আমিরাতের এই কর্তৃপক্ষ দেশজুড়ে সকল আমিরাতের (এবং কিছু প্রধান অঞ্চলের জন্য) ঈদের নামাজের সময়সূচী ভাগ করে দিয়েছে।

ঘোষণা অনুযায়ী, আবুধাবিতে ঈদের জামাত সকাল ৬টা ২২ মিনিটে, দুবাইয়ে ৬টা ২০ মিনিটে, শারজাহ ও আজমানে ৬টা ১৭ মিনিটে, রাস আল খাইমাহতে ৬টা ১৫ মিনিটে, ফুজাইরাহ ও খোরফাক্কানে ৬টা ১৪ মিনিটে এবং উম্মে আল কুওয়াইনে ৬টা ১৩ মিনিটে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া আল আইনে ৬টা ১৫ মিনিটে এবং জায়েদ সিটিতে বুধবার সকাল ৬টা ২৬ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে ঈদের জামাত।

জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলের তথ্য অনুযায়ী, উম্মে আল কুওয়াইন বুধবার সূর্যোদয় হবে সকাল ৬টায়। অর্থাৎ সূর্যোদয়ের ১৩ মিনিট পর ৬টা ১৩ মিনিটে সেখানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে বুধবার সূর্যোদয় হবে সকাল ৬টা ০৫ মিনিটে। এর ১৭ মিনিট পর ৬টা ২২ মিনিটে সেখানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া একইদিন দুবাইয়ে সূর্যোদয় হবে সকাল ৬টা ০১ মিনিটে। এর ১৯ মিনিট পর ৬টা ২০ মিনিটে সেখানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে শারজাহ ও আজমানের পাশাপাশি রাস আল খাইমাহ ও ফুজাইরাহ ও খোরফাক্কানেও সূর্যোদয়ের ১৭ মিনিট পর ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে রোজা শেষে ঈদের দিনকে ঘিরে আরব আমিরাতের স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে বেশ আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করছে। প্রবাসী বাঙালিরাসহ স্থানীয়রা ঈদ ঘিরে বিভিন্ন আয়োজন করেছেন।

 


আরও খবর



শ্রেণিকক্ষে পাঠ বা কোচিং ছাড়াই উচ্চ মাধ্যমিকে উপজেলায় প্রথম হলেন ফাতেমা

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক: 

হাফেজ উম্মে ফাতেমা। কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন বটে। কিন্তু কোন শ্রেণিক্ষ বা শিক্ষকের সাথে নেই কোন পরিচয়। একদিনও শ্রেণিকক্ষে পাঠ গ্রহন করেননি। বাড়িতে ছিলোনা কোন প্রাইভেট পড়ার শিক্ষকও। অথচ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উপজেলায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন তিনি। ২০২৩ সালে সরকারি সিরাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে তিনি ১৩০০ ’র মধ্যে ১১৬৫ নম্বর পেয়েছেন।

কলেজের অধ্যক্ষ মো. হাফিজুর রহমান বলেন, হাফেজ উম্মে ফাতেমা অভাবনীয় মেধার অধিকারি। সে একদিনও কলেজে ক্লাশ বা কোচিং করেনি। বাড়িতে একাই তার পাঠ চর্চা করেছে। সে আমাদের কলেজের মুখ উজ্জল করেছে। হাফেজ উম্মে ফাতেমা শিক্ষার্থীদের জন্য বড় দৃষ্টান্ত হয়ে উঠবেন আশাকরি।

উম্মে ফাতেমা মাত্র ৮ বছর বয়সে পবিত্র কোরআনের হেফ্জ শেষ করেছেন। সে কারনে তার নাম এখন ‘হাফেজ উম্মে ফাতেমা’। তার পিতা মো. টিপু সুলতান আমতলী ইসলামীয়া কামিল মাদরাসার ইংরজি বিষয়ে অধ্যাপক। মা শিউলি খাতুন একজন গৃহিনী। তবে তিনি লোক প্রশাসন বিষয়ে অনার্স মাষ্টারস্ শেষ করেছেন।  

হাফেজ উম্মে ফাতেমা ভবিষ্যতে বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করতে চান। সে লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারিভউ দিয়ে খ ইউনিটে টিকেছেন। ইংরেজি, অর্থনীতি বা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয় নিয়ে লেখাপড়া করতে আগ্রহী হাফেজ উম্মে ফাতেমা। 


আরও খবর



বিভিন্ন দেশে ঈদের জনপ্রিয় খাবার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

 ঈদ মানে আনন্দ, প্রিয়জনকে পাশে নিয়ে সময় কাটানো। ঈদ মানে প্রিয় খাবার খাওয়া। তবে দেশ ভেদে ঈদের ঐতিহ্যবাহী খাবারে রয়েছে ভিন্নতা। আর এই খাবার গুলোই সেদেশের ঈদ আনন্দে যোগ করে অন্য মাত্রা। কিন্তু সেগুলো কী? চলুন জেনে নিই

দক্ষিণ এশিয়ায় সেমাই


বাংলাদেশ সহ দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় সবগুলো দেশে ঈদুল ফিতরের দিনে সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার হলো সেমাই। চাল বা গম থেকে তৈরি এক প্রকার সরু নুডলস যা রান্না করা হয় দুধ ও বাদাম যোগে। দেশ ভেদে যদিও এর নামে রয়েছে কিছুটা ভিন্নতা। এই যেমন ঘন দুধ দিয়ে রান্না করা সেমাইকে পাকিস্তানে বলা হয় শির খুরমা।

রাশিয়ার খাবার মানতি


মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে রাশিয়ার নাম। এখানকার ১৫ শতাংশ অধিবাসী মুসলিম। রাশিয়ায় ঈদের দিনে তাদের অনেকের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার - মানতি। সহজ কথায় যাকে আমরা মোমো বা ডাম্পলিং বলে চিনি। মাখানো আটার পুটুলির মাঝে থাকে ভেড়া কিংবা গরুর মাংসের কিমার পুর। এরপর তা ভাপে সেদ্ধ করা হয়। মাখন আর ক্রিমের সাথে এই ডাম্পলিং পরিবেশন করা হয়।

রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে মানতির রেসিপিতে রয়েছে ভিন্নতা। তবে আপনি যদি জিজ্ঞেস করেন ঈদের দিনে সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার কোনটি? সবাই একযোগে জবাব দেবে- মানতি

চীনে জনপ্রিয় শানজি-



চীনের বেশিরভাগ মুসলিমদের ঈদের দিনের খাবার হিসেবে প্রিয় খাবার হলো ঐতিহ্যবাহী শানজি। ৩০ লাখ মুসলিমের এ দেশে ঈদের সপ্তাহখানেক আগে থেকেই শানজিতে জমজমাট হয়ে ওঠে বাজার।

ময়দার লেই দিয়ে মোটা করে নুডুলস বানিয়ে তা ভাজা হয় ডুবো তেলে। এরপর পিরামিডের মতো সাজিয়ে পরিবেশন করা হয়। খেতে অনেকটা মোটা চানাচুরের মতো। চীনের মুসলিম অধ্যুষিত শিনজিয়াং প্রদেশে উইগুর মুসলিমদের খুবই জনপ্রিয় খাবার এটি। ঈদের আগে তাদের দোকানে গেলেই দেখা মিলবে মুচমুচে শানজির।

মধ্যপ্রাচ্যের খাবার মাখন কুকিজ


মোটা বিস্কুটের মাঝে খেজুরের পেস্ট, আখরোট কিংবা পেস্তা বাদামের পুর দিয়ে প্রস্তুত করা হয় মাখন কুকিজ। ওপর দিয়ে ছড়িয়ে দেওয়া হয় হালকা চিনির গুঁড়ো। পুরো রমজান মাস জুড়ে এবং ঈদের দিনে মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ দেশে বিশেষ এই কুকি খুবই জনপ্রিয়। একই খাবার সিরিয়ায় পরিচিত মামুল নামে, ইরাকে একে বলা হয় ক্লাইচা আর মিশরে এর নাম কাহাক

ইন্দোনেশিয়ার ঐতিহ্যবাহী কেটুপাট


ইন্দোনেশিয়ায় ঈদ আয়োজনে রাখা হয় নানা ধরনের মুখরোচক মিষ্টি। এর পাশাপাশি থাকে ঐতিহ্যবাহী খাবার কেটুপাট। পাম গাছের পাতায় মোড়া এক ধরনের চালের আটার পিঠা এটি। পরিবেশন করা হয়, মাংসের বিভিন্ন আইটেমের সাথে (ওপর আয়াম- নারকেল দুধ দিয়ে রান্না মুরগি অথবা সাম্বাল গোরেং কেনটাং- বিফ এবং আলুর ডিশ)।

ব্রিটেন জুড়ে বিরিয়ানি


দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মতো ব্রিটেনের মুসলিমদের কাছে ঈদের দিনে অত্যন্ত জনপ্রিয় খাবার এখন বিরিয়ানি। চাল, মাংস এবং সবজি দিয়ে তৈরি এই মুখরোচক খাবারের সাথে থাকে দৈ এবং পুদিনার চাটনি।

ব্রিটেনে বিরিয়ানির জনপ্রিয়তার কারণ কিন্তু অনেকটা আমরাই। এখানকার জনসংখ্যার পাঁচ শতাংশই দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত।

সোমালিয়ায় জনপ্রিয় কামবাবুর

পাতলা রুটি বা প্যানকেকের মত দেখতে খাবারটি সোমালিয়ায় খুবই জনপ্রিয়। মাংস বা সবজির সাথে গরম গরম পরিবেশন করা হয় ঐতিহ্যবাহী এই প্যানকেক। খাওয়া হয় চিনি আর দই দিয়ে। ইথিওপিয়ায় এটির নাম ইনজেরা।

বসনিয়ার তুফাহিজা

বসনিয়ার এতিহ্যবাহী এক খাবার হলো তুফাহিজা। এই বিশেষ রেসিপিটি ঈদসহ বিশেষ দিনে বসনিয়ানরা তৈরি করে থাকেন। আপেল সেদ্ধ করে তৈরি করা হয় বিশেষ এই পদ। সেদ্ধ আপেলের মধ্যে আখরোট বাদামে ভরাট করা হয় এবং হুইপড ক্রিম দিয়ে উপরে সাজানো হয়।

বার্মাতে শাই মাই ঈদ

বার্মার মানুষেরা ঈদের দিন তাদের ঐতিহ্যবাহী এক খাবার শাই মাই ঈদ তৈরি করে থাকেন। তারাও আমাদের মতোই সেমাই রান্না করে থাকেন; তবে তা ভিন্ন উপায়ে। নারকেল, কিসমিস এবং কাজু বাদাম ভাজা দিয়ে তারা শাই মাই ঈদ পরিবেশন করে থাকেন

ভারতে শের খুরমা


ভারতের মুসলিমরা ঈদে শের খুরমা তৈরি করেন। সেমাই দিয়েই মজাদার এক পদ শের খুরমা তৈরি করেন তারা। ঈদে ভারতে প্রস্তুত করা হয় মিষ্টান্ন। ঈদের নামাজের পর সবাই এই মিষ্টান্নের স্বাদ উপভোগ করেন।

লেবাননের মামুল

লেবাননে ঈদ উদযাপন মামুল ছাড়া অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়। বাটার, খেজুর এবং বাদাম দিয়ে তৈরি করা হয় ছোট ছোট কুকিজ। লেবাননের প্রায় প্রতিটি ঘরেই ঈদে মামুল পরিবেশন করা হয়।



তুরস্কে লোকুম

হরেক রঙের মিষ্টির টুকরো এই লোকুন। বরফি আকৃতির বিশেষ এই মিষ্টি তুরস্কের সব ঘরেই ঈদের দিন তৈরি করা হয়। সেখানখান শিশুদের প্রিয় খাবার হলো লোকুম।

এই খাবারগুলো কোনটি কি আপনি খেয়েছেন? সময় করে বানিয়ে দেখতে পারেন ভিনদেশি খাবারগুলো।

 


আরও খবর

গরমে কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪




গরমে বাড়ছে নিউমোনিয়ার প্রকোপ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

তীব্র তাপপ্রবাহে বেশি অসুস্থ হচ্ছেন শিশু ও বয়স্করা। রাজধানী ঢাকার শিশু হাসপাতালে বেড়েছে রোগীর চাপ। আউটডোরে গত কয়েকদিনে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে গড়ে তিন থেকে চারশ। জ্বর-সর্দি ও ডায়রিয়া নিয়ে বেশি শিশু আসছে হাসপাতালটিতে। তবে ভর্তি হচ্ছে বেশি নিউমোনিয়া নিয়ে। নিউমোনিয়ার প্রকোপ সাধারণত শীতে বাড়লেও এবার গরমের কারণেও বাড়ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।


হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, গরমের তীব্রতা বাড়ার আগে দৈনিক ৭শ থেকে ৮শ রোগী চিকিৎসা নিতে আসতো। তবে এই মুহূর্তে জ্বর, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, অ্যাজমা, সাধারণ ঠান্ডা সমস্যা নিয়ে প্রতিদিন প্রায় ১১শ থেকে ১৩শ রোগী আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছে। এই মুহূর্তে হাসপাতালটিতে নিউমোনিয়া নিয়ে ভর্তি ৮৭ জন।

সম্প্রতি বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালের প্রধান গেটে ঢুকতেই হাতের বাম দিকে থাকা ভবনে টিকিটের জন্য অপেক্ষমাণ স্বজনরা। ভবনের টিকিট কাউন্টারের সামনে প্রচুর ভিড়। এখান থেকে অভিভাবকরা তাদের সন্তানের জন্য টিকিট কেটে জরুরি বিভাগ কিংবা আউটডোরে দেখাতে অপেক্ষা করছেন। অনেকে আবার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য টাকা পরিশোধ করে টেস্টের জন্য বসে আছেন। হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, সবগুলো ওয়ার্ডই রোগীতে পূর্ণ।

বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের দুই নম্বর ওয়ার্ডের ১৬ নম্বর সিটে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে ৯ মাস বয়সী তাহমিদা আক্তার। তার দেখভাল করছেন মা। পাশে দাঁড়িয়ে আছেন চাচা জাকির হোসেন। তিনি বলেন, আমরা ভোলা থেকে এসেছি। একমাস ধরে নিউমোনিয়ায় ভুগছে তাহমিদা। প্রথমে অসুস্থ হলে তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে কিছুদিন পর সুস্থতা অনুভব করলে বাসায় চলে আসে। এর কিছুদিন পর আবারও সমস্যা দেখা দেয়। এরপর শিশু হাসপাতালে নিয়ে আসি। এখানে ছয়দিনের মতো ভর্তি আছে।

ঠান্ডা-জ্বর নিয়ে হাসপাতালের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ১৫ নম্বর সিটে চিকিৎসা নিচ্ছে দুই বছর চার মাস বয়সী হুমাইরা। ঢাকায় মহাখালী ডিওএইচএস এলাকার বাসিন্দা তারা। পাশে বসা মা সাবিনা আক্তার। তিনি বলেন, মেয়ের হঠাৎ করে জ্বর-সর্দি কাশি শুরু হয়। এরপর পাতলা পায়খানা হলে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে অনেক শিশু। এদের মধ্যে পাঁচ ধরনের সমস্যা নিয়ে বেশি আসছে রোগীরা। যেমন সর্দি-জ্বর, শরীরে র্যাশ ওঠা, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও অ্যাজমা। এসব রোগীর মধ্যে নিউমোনিয়ায় আক্রান্তরা বেশি ভর্তি হচ্ছে। শয্যা সংকটের কারণে বেশির ভাগ রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অন্য সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।

শিশু হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. ফারহানা আহমেদ বলেন, তীব্র গরমে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন শিশু ও বৃদ্ধরা। এসময়ে শিশুদের জ্বর, ঠান্ডা-কাশি, টাইফয়েড, ডায়রিয়া, গরমে হওয়া বিভিন্ন চর্মরোগ, নিউমোনিয়া আমরা বেশি পাচ্ছি। গত কিছুদিনের দাবদাহে সমস্যাটা আরও বেশি বেড়েছে।

গরমে শিশুদের প্রচুর ঘাম হয়। এতে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয় দ্রুত। তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও থাকে কম। যে কোনো কিছু মুখে দেয়, সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করে খায় না, বাইরের বিভিন্ন খাবারে তাদের আগ্রহ বেশি থাকে। এসব কারণে বাচ্চারা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়। এছাড়া ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি, কাশি তো হচ্ছেই।

তিনি বলেন, শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নীতি মানতে হবে। যেমন ফুটানো পানি পান করা, একদম ঠান্ডা পানি না পান করে হালকা ঠান্ডা পানি মিশিয়ে খাওয়া, বাইরে যাওয়ার সময় পানির বোতল নিয়ে যাওয়া এবং বাইরের খাবার না খাওয়ানো। বাইরে থেকে এসে ঘাম মুছে দেওয়া। প্রতিদিন নরমাল পানি দিয়ে গোসল করানো। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ পানির পাশাপাশি বাচ্চাদের মৌসুমি ফলের রস খাওয়ানো উচিত।

শিশু হাসপাতালে রোগীর চাপ সামাল দিতে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে শিশু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গরম এলে আমাদের হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়ে যায়। ভর্তিও হচ্ছে অনেক বেশি রোগী। এই বাড়তি চাপ সামাল দিতে আমরা রোগীদের দ্রুত ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করি।

নিউমোনিয়া রোগীদের ক্ষেত্রে আমরা ৭-৮ দিন চিকিৎসা দেই। বর্তমানে পাঁচদিনের মধ্যে তাদের অবস্থা উন্নতির দিকে গেলে ছুটি দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। এতে পরিবারের জন্যও ভালো এবং অন্য নতুন রোগীও ভর্তি হতে পারে। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় গড়ে শতাধিক রোগী আমাদের ভর্তি করানোর প্রয়োজন হচ্ছে। তাদের জন্য আসন খালি করতে অন্য একশজনকে ছাড়তে হয়। আমাদের একটা ওয়ার্ডের কাজ চলছিল। সেখানে ২৬টি সিট আছে। সেগুলো আজ থেকে চালু হলে আরও ২৬ জন রোগী ভর্তি হতে পারবে।

তিনি বলেন, আমরা ইমার্জেন্সি অবস্থার জন্য একটা ইমার্জেন্সি ফাইটার্স নামে দল গঠন করেছি। তারা জরুরি অবস্থায় চিকিৎসা দেবে। এছাড়া রিজার্ভ চিকিৎসকও রাখা হয়েছে। এক মাসের শিশুদের ক্ষেত্রে যেন কোনো লাইন না থাকে সে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। এই গরমে তাদের অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে।

পরিচালক বলেন, ১৯ জনের মতো নিউমোনিয়া রোগী গত ২৪ ঘণ্টায় (২২ এপ্রিল) ভর্তি হয়েছে। এখন ৮৭ জন নিউমোনিয়া রোগী হাসপাতালে ভর্তি। আমরা এবছর বেশি নিউমোনিয়া রোগীর চিকিৎসা করছি। জানুয়ারি মাসে ৫১৪ জনের মতো, ফেব্রুয়ারিতে ৫৫৫, মার্চে ৫৩৩ আর চলতি মাসে এখন পর্যন্ত তিনশজনের মতো নিউমোনিয়া রোগী ভর্তি হয়েছে। এটি পাঁচশ ছাড়িয়ে যেতে পারে।

সে তুলনায় আমাদের হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগী ভর্তি কম। এ মাসে মাত্র পাঁচজন ডায়রিয়া নিয়ে ভর্তি হয়েছে। এই মুহূর্তে ডায়রিয়া রোগী তেমন ভর্তি হচ্ছে না। যারা আসছেন তাদের আউটডোরে চিকিৎসা দিচ্ছি। গতকাল ৫৩ জন রোগী আউটডোরে ডায়রিয়া সমস্যা নিয়ে এসেছিল। তাদের মধ্যে থেকে মাত্র একজনকে ভর্তি করা হয়েছে।

নিউমোনিয়া সাধারণত ঠান্ডাজনিত সমস্যা। এখন গরমের সময়ে নিউমোনিয়ার সমস্যা বেশি দেখা দিচ্ছে কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২০২২ সালের পর থেকে নিউমোনিয়া রোগী আমাদের এখানে বাড়ছে। তবে এটা পুরো বাংলাদেশের চিত্র নাও হতে পারে। এত বেশি নিউমোনিয়া রোগী আসার পেছনে একটি বড় কারণ হতে পারে আমাদের হাসপাতালে নিউমোনিয়ার জন্য একটি তলা ডেডিকেটেড করে দেওয়া হয়েছে। যেখানে ৩৩টি বিছানা আছে। এর মধ্যে ১৬টি সাধারণ বিছানা, বাকিগুলো রেসপিরিটরি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র। আর তিনটি কেবিন আছে।

তিনি বলেন, সাধারণত ঠান্ডায় নিউমোনিয়া হলেও গরমেও নিউমোনিয়া বাড়ছে। ব্যাকটেরিয়াজনিত সমস্যায় যেসব শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের নিউমোনিয়া হয়ে যায়। এছাড়া গরমে শিশুরা ঘামে। আর বাবা-মা যদি সেটায় নজর না দেয় ঘাম শরীরে শুকিয়ে যাবে। এতে শরীরের ভেতর ঠান্ডা হয়ে আসে। তখন রক্ত চলাচল কম হয়। এসময় ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে শিশুদের নিউমোনিয়া হতে পারে।

পরিচালক আরও বলেন, গরমে অনেক শিশুর আইসক্রিম, বরফের মতো ঠান্ডা খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। এতে গলা ঠান্ডা হয়ে যায়, পরে সেখানে ব্যাকটেরিয়া বা আভাইরাস আক্রমণ করে। সেখান থেকে ফুসফুসে যায়। এতেও নিউমোনিয়া হতে পারে শিশুদের।

 


আরও খবর

তীব্র তাপপ্রবাহে সুস্থ থাকার উপায়

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪

হিটস্ট্রোকের লক্ষণ ও করণীয়

সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪