Logo
শিরোনাম

চিনি খাওয়া বন্ধ করলে কী হবে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

মিষ্টি খেতে ভালবাসে না এমন লোক কমই আছে। উৎসবের মৌসুমে রসগোল্লা, পায়েস, জিলিপি। সরাসরি মিষ্টি না খেলেও বিভিন্ন খাবারের সাথে চিনি ঢোকে শরীরে। অনেকেই আছে যারা সচেতনভাবে চিনি ছেড়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। কেউ ওজন কমানোর ইচ্ছায়, কেউ আবার ডায়াবেটিসের ভয়ে চিনি খাওয়া কমিয়েছে।

কর্মব্যস্ত জীবনে খাওয়া-দাওয়ায় অনিয়ম, ঘুমের ঘাটতি, অত্যধিক মানসিক চাপের কারণে শরীরে বাসা বাঁধে একাধিক রোগব্যাধি। স্থূলতা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আরো একটি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কারণ হলো চিনি খাওয়ার অভ্যাস। এক মাসের জন্য ডায়েট থেকে চিনি বা মিষ্টিজাতীয় কোনো খাবার বাদ দিয়ে দিলেই কিন্তু শরীরে একাধিক বদল লক্ষ করা যাবে।

১) উৎসবে প্রচুর মিষ্টি খেয়ে দু-চার কেজি ওজন বেড়ে গেছে? ওজন কমানোর চিন্তা ঘুরছে মাথায়? এক মাস চিনি খাওয়া বন্ধ করে দিয়ে দেখুন। মিষ্টি জাতীয় খাবার ও চিনি খেলে শরীরে সবচেয়ে বেশি ক্যালোরি যায়। যা হলো ওজন বাড়ার অন্যতম কারণ। চিনি খাওয়া বন্ধ করলেই ওজন দ্রুত কমে।

২) অনিদ্রার সমস্যায় অনেকেই ভোগে। চিনি কম খেলে ঘুম ভালো হয়। কিন্তু চিনি খাওয়া বন্ধ করে দিলে অনিদ্রার সমস্যা দূর হয়।

৩) অনেক সময়ে কাজের প্রতি অনীহা আসে। শরীরে শক্তির অভাব হয়। এক মাস চিনি খাওয়া বন্ধ করে দেখুন শরীরে স্ফূর্তি বাড়বে। কর্মক্ষমতাও বাড়বে।

৪) হার্টের রোগের ঝুঁকিও বাড়ে বেশি চিনি খেলে। হার্টের রোগের ঝুঁকি কমাতে চিনি খাওয়া বন্ধ করে দিতে পারেন। লিভারের রোগ ঠেকাতেও চিনি খাওয়া বন্ধ করার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা।

৫) বাতের ব্যথা থেকে রেহাই পেতেও চিনি খাওয়া বন্ধ করে দিতে পারেন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, চিনি খেলেই গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণা বাড়ে, তাই যাদের বাতের ব্যথা আছে তারা এক মাস চিনি না খেলেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


আরও খবর

তীব্র তাপপ্রবাহে সুস্থ থাকার উপায়

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪

ঈদে বালুচর এর পাঞ্জাবি

রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪




ঢাকায় এসেছেন টাইগারদের নতুন কোচ

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

টাইগারদের স্ট্রেংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার নাথান কেলি নিয়োগ পেয়ে ঢাকায় পৌঁছেছেন। রবিবার (১৪ এপ্রিল) রাতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন তিনি।

গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিসিবির ক্রিকেট অপরারেশন্স ইনচার্জ শাহরিয়ার নাফিস। সোমবার কেলি এসেছিলেন মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে। আসন্ন জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়ে শুরু হবে কেইলির অধ্যায়।

অস্ট্রেলিয়ার এই কোচ দুই বছরের চুক্তিতে জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করবেন। তিনি এর আগে পেশাদার ক্রিকেট ও রাগবিতে কাজ করেছেন। এছাড়া চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ক্রিকেট নিউ সাউথ ওয়েলসে ফিজিক্যাল পারফরম্যান্স কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। 


আরও খবর



ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পথে ইউরোপের তিন দেশ

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপের তিন দেশ আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে এবং স্পেন। শুক্রবার নরওয়ের রাজধানী অসলোতে এক বৈঠকে বসেছিলেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ, আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিমোন হ্যারিস এবং নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গার স্টোর। সেখানে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

বৈঠক শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাদ্রিদ ফিলিস্তিনকে যত শিগগির সম্ভব স্বীকৃতি দিতে আগ্রহী। নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী বলেন, অসলোও ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত।

আর আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ডাবলিন ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়ে চায় এবং সেই সঙ্গে আশা করে, ইউরোপের অন্যান্য রাষ্ট্রগুলোও এই পথ অনুসরণ করবে।

শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে আয়ার‌ল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিমোন হ্যারিস বলেন, ফিলিস্তিনের জনগণ দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের জন্য একটি রাষ্ট্র এবং সার্বভৌমত্বের দাবি জানিয়ে আসছেন। বিশ্বের প্রতিটি স্বাধীন জাতি যে সম্মান-মর্যাদা ভোগ করছে, ফিলিস্তিনের জনগণের জন্যও তা প্রাপ্য।

আমরা আজকের বৈঠকে ফিলিস্তিনকে (স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে) স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছেছি এবং এ ইস্যুতে সম্মিলিতভাবে এগোনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

আর স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ এবং নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গার স্টোর বলেছেন, তারা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত, তবে এই মুহূর্তে এক্ষেত্রে তারা কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করতে চান না। পরিস্থিতি অনুকূলে এলেই এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ নেবেন তারা।

প্রসঙ্গত,গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের অতর্কিত হামলার জবাবে সেই দিন থেকেই উপত্যকায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। গত প্রায় ৭ মাসের অভিযানে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৩ হাজারেরও বেশি মানুষ, আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৭৫ হাজার জন। এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনীর বোমায় বাড়িঘর হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।

এর আগে ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে হামলা চালিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিল হামাস যোদ্ধারা। তাতে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক। পাশাপাশি ২৪০ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরেও নিয়ে গিয়েছিল হামাস।

সেই জিম্মিদের মধ্যে থেকে এ পর্যন্ত ১৩২ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বাকি ১০৮ জন এখনও রয়েছেন হামাসের কব্জায়। তাদের মুক্তির জন্য গাজায় ছয় সপ্তাহের একটি যুদ্ধবিরতি আহ্বানে আলোচনা চলছে।

যদিও এই আটক জিম্মিদের মধ্যে এখন পর্যন্ত কতজন বেঁচে আছেন তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।

স্পেন, আয়ারল্যান্ড এবং নরওয়েসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি সদস্যরাষ্ট্র ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতিপ্রবণ এবং ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে আগ্রহী। গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর বিষয়টি আরও গতিশীল হয়েছে।


আরও খবর



আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অর্ধেকের বেশি আমানত কোটিপতিদের

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

দেশের ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যত টাকা জমা আছে, তার অর্ধেকের বেশি কোটিপতিদের অর্থ। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় মোট আমানতের পরিমাণ ৪৪ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা, যার মধ্যে ৫৫ শতাংশের বেশি বা ২৪ হাজার ৮৭৬ কোটি টাকা কোটিপতিদের আমানত।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, এসব আমানতকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় এক কোটি থেকে শুরু করে দেড়শ কোটি টাকার বেশি আমানত রেখেছেন। আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ১০০ কোটি টাকার বেশি আমানত রেখেছেন এ রকম আমানত হিসাব রয়েছে ছয়টি। এই ছয় হিসাবেই রয়েছে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা।

আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সর্বশেষ আর্থিক অবস্থা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের করা এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, দেশে সরকারি, বেসরকারি ও বিশেষায়িত মিলিয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৪০টি। এর মধ্যে সরকারি মালিকানাধীন তিনটি, বেসরকারি মালিকানাধীন ৩২টি ও বিশেষায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠান পাঁচটি। এই ৪০টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে গত ডিসেম্বর শেষে গ্রাহক বা আমানতকারীর হিসাব ছিল চার লাখ ৩১ হাজার ২২১টি। এসব হিসাবের মধ্যে কোটি টাকার বেশি আমানত জমা আছে, এমন হিসাবের সংখ্যা পাঁচ হাজার ২৮৭। আর পাঁচ হাজার টাকা থেকে শুরু করে এক কোটি টাকার কম আমানত রেখেছেন এমন আমানতকারীর হিসাব রয়েছে চার লাখ ২৫ হাজার ৯৩৪টি।

পরিসংখ্যান বলছে, গত ডিসেম্বর শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যত আমানত ছিল, তার প্রায় ৫৫ শতাংশই রয়েছে মাত্র সোয়া এক শতাংশ আমানতকারীর হিসাবে। আর পৌনে ৯৯ শতাংশ আমানতকারীর হিসাবে ছিল মোট আমানতের সাড়ে ৪৪ শতাংশ। অর্থাৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চার লাখ ২৫ হাজার ৯৩৪ জন আমানতকারী মিলে জমা রেখেছেন ১৯ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা। তার বিপরীতে মাত্র পাঁচ হাজার ২৮৭ জন আমানতকারী জমা রেখেছেন ২৪ হাজার ৮৭৬ কোটি টাকা।

অর্থনীতিবিদেরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছেন, দেশে বৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করেছে। একশ্রেণির মানুষ রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে অর্থবিত্তের মালিক হয়ে উঠছেন। তার বিপরীতে উচ্চ মূল্যস্ফীতিসহ জীবনযাত্রার খরচ বেড়ে যাওয়ায় মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্তসহ বিপুল জনগোষ্ঠীর সঞ্চয়ে টান পড়ছে। দেশে বৈষম্য এখন যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, সেটিকে চরম উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদেরা। তাই বৈষম্য কমাতে ধনীদের ওপর কর বাড়ানোর প্রস্তাব করে আসছেন তারা।

আর্থিক প্রতিষ্ঠানসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় যে আমানত রয়েছে, তার মধ্যে ব্যক্তিশ্রেণির আমানত যেমন আছে, তেমনি রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক আমানতও। ফলে কোটি টাকার বেশি আমানত যেসব হিসাবে রয়েছে, তার সবই ব্যক্তিশ্রেণির আমানত নয়, প্রাতিষ্ঠানিক আমানতও রয়েছে এর মধ্যে।

সরকারি পরিসংখ্যানেও উঠে এসেছে দেশের প্রকট বৈষম্যের তথ্য। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বা বিবিএসের তথ্য বলছে, দেশের সবচেয়ে বেশি ধনী ১০ শতাংশ মানুষের হাতেই এখন দেশের মোট আয়ের ৪১ শতাংশ। অন্যদিকে সবচেয়ে গরিব ১০ শতাংশ মানুষের আয় দেশের মোট আয়ের মাত্র ১ দশমিক ৩১ শতাংশ। এ তথ্য বিবিএসের খানার আয় ও ব্যয় জরিপ ২০২২-এ উঠে এসেছে।

একই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈষম্যের নির্দেশক জিনি সহগ সূচক বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে দশমিক ৪৯৯ পয়েন্টে। কোনো দেশে এ সূচক দশমিক ৫০০ পয়েন্ট পেরোলেই সেই দেশকে উচ্চ বৈষম্যের দেশ হিসেবে ধরা হয়। অর্থাৎ উচ্চ বৈষম্যের দেশের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ।


আরও খবর



গরমে কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

আম ফল সারা পৃথিবীতে জনপ্রিয় এত পছন্দনীয় ফল পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই। এমন কোন জাতি নেই যারা আম পছন্দ করেনা। তাই একে সন্মান দিয়ে ʼফলের রাজাʼ বলা হয়। এই গরমে কাঁচা আম সবচেয়ে সুস্বাদু খাবারগুলোর মধ্যে একটি।

কাঁচা আমে অগণিত প্রয়োজনীয় ভিটামিন যেমন ভিটামিন সি, কে, এ, বি৬ থাকে। এতে থাকা ফোলেট বিভিন্ন রোগের নিরাময়ে উপকারিতা দেয়। পরিপাকজনিত সমস্যা দূর, দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি এবং ওজন কমানোর জন্য কাঁচা আম নিয়মিত খাওয়া যেতে পারে। এর আরও কিছু উপকারিতা সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক-

গরমে প্রশান্তি দেয়

ওয়ার্কআউট করার পর এক গ্লাস কাঁচা আমের জুস একটি দারুণ সতেজ পানীয় হিসেবে কাজ করে। এটি উত্তপ্ত তাপের প্রভাব কমিয়ে দেয়। এই পানীয় শরীরে সোডিয়াম ও অন্যান্য খনিজের ভারসাম্যহীনতা সংশোধন করে ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করে। যেহেতু গরমের সময়ে ঘামের কারণে প্রয়োজনীয় খনিজের ক্ষয় হয়, তাই কাঁচা আম শরীর ঠান্ডা রাখতে একটি আদর্শ খাবার হিসেবে কাজ করে।

হজমের সমস্যায় উপকারী

গরমের সময় বেড়ে যাওয়া গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যার চিকিৎসার জন্য কাঁচা আম বেশ ভালো কাজ করে। এটি পাচন রসের নিঃসরণকে উদ্দীপিত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম, অম্লতা, অম্বল, মর্নিং সিকনেস এবং বমি বমি ভাবের চিকিৎসা করে পরিপাকতন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।

হার্ট সুস্থ রাখে

কাঁচা আমে থাকা প্রয়োজনীয় বি ভিটামিন নিয়াসিন এবং ফাইবারের সমৃদ্ধি হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি প্রতিরোধ করে।

লিভার ভালো রাখে

কাঁচা আম লিভারের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য এবং এর রোগের চিকিৎসার জন্য দুর্দান্ত। এটি পিত্ত অ্যাসিডের নিঃসরণকে উদ্দীপিত করে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থগুলোকে পরিষ্কার করে ফ্যাট শোষণ বাড়ায়।

দাঁতের জন্য উপকারী

কাঁচা আম একটি শক্তিশালী ফল যা নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর করে, মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণের চিকিৎসা করে এবং এটি দাঁতের গহ্বরের ঝুঁকি কমায়। শক্ত ও পরিষ্কার দাঁত পেতে চাইলে কাঁচা আম খাওয়া শুরু করুন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

কাঁচা আমে থাকা ভিটামিন সি, এ এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে, ত্বক ও চুলকে সুস্থ করে তোলে এবং প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। এটি শরীরকে বিভিন্ন সংক্রমণ যেমন সাধারণ সর্দি, কাশি ইত্যাদি থেকে রক্ষা করে।

রক্তের ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ করে

বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ দেখিয়েছে যে কাঁচা আম খেলে তা রক্তস্বল্পতা, রক্ত জমাট বাঁধা, হিমোফিলিয়ার মতো রক্তের ব্যাধি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ কাঁচা আম কোলাজেন সংশ্লেষণ বৃদ্ধি করে, রক্তনালীর স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায় এবং নতুন রক্তকণিকা তৈরিতেও সাহায্য করে।

ক্ষতিকর দিক

পরিমিত পরিমাণে কাঁচা আম বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য উপকারী। তবে বেশি পরিমাণে কাঁচা আম খেলে বদহজম, পেটে ব্যথা, আমাশয় এবং গলা জ্বালা হতে পারে। মনে রাখবেন, কাঁচা আম খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা পানি পান করবেন না কারণ এটি জ্বালা বাড়ায়।


আরও খবর

বিভিন্ন দেশে ঈদের জনপ্রিয় খাবার

শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪




নওগাঁয় ধান কাটতে গিয়ে হিটস্ট্রোকে এক জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় প্রচণ্ড তাপদাহের মধ্যে মাঠে ধান কাটতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল ৯টার দিকে নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় শিমুলিয়া গ্রামের মাঠে ধান ক্ষেতে এই ঘটনা ঘটে। নিহত দুলাল উদ্দিন সরদার ঐ গ্রামের কশরত আলীর ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, দুলাল উদ্দিন সরদার সকাল ৮টার দিকে তার বাড়ির কাছে মাঠে ধান কাটতে যান। সকাল পৌনে ৯টার দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারিয়ে মাঠে ধানের ক্ষেতে পড়ে যান। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে মাঠ থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রওশন হ্যাপি বলেন, কৃষক দুলালকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। আমাদের ধারণা, প্রচণ্ড গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে তিনি মাঠের মধ্যেই মারা গিয়েছিলেন। তবে তার লো প্রেশার ছিল বলেও জানিয়েছেন স্বজনরা।

এদিকে, গত তিন সপ্তাহ ধরে চলমান তাপদাহে জেলার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার জেলার বদলগাছি আবহাওয়া অফিসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজ বুধবার জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৮ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর