Logo
শিরোনাম

চিনি খাওয়া বন্ধ করলে কী হবে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

মিষ্টি খেতে ভালবাসে না এমন লোক কমই আছে। উৎসবের মৌসুমে রসগোল্লা, পায়েস, জিলিপি। সরাসরি মিষ্টি না খেলেও বিভিন্ন খাবারের সাথে চিনি ঢোকে শরীরে। অনেকেই আছে যারা সচেতনভাবে চিনি ছেড়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। কেউ ওজন কমানোর ইচ্ছায়, কেউ আবার ডায়াবেটিসের ভয়ে চিনি খাওয়া কমিয়েছে।

কর্মব্যস্ত জীবনে খাওয়া-দাওয়ায় অনিয়ম, ঘুমের ঘাটতি, অত্যধিক মানসিক চাপের কারণে শরীরে বাসা বাঁধে একাধিক রোগব্যাধি। স্থূলতা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আরো একটি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কারণ হলো চিনি খাওয়ার অভ্যাস। এক মাসের জন্য ডায়েট থেকে চিনি বা মিষ্টিজাতীয় কোনো খাবার বাদ দিয়ে দিলেই কিন্তু শরীরে একাধিক বদল লক্ষ করা যাবে।

১) উৎসবে প্রচুর মিষ্টি খেয়ে দু-চার কেজি ওজন বেড়ে গেছে? ওজন কমানোর চিন্তা ঘুরছে মাথায়? এক মাস চিনি খাওয়া বন্ধ করে দিয়ে দেখুন। মিষ্টি জাতীয় খাবার ও চিনি খেলে শরীরে সবচেয়ে বেশি ক্যালোরি যায়। যা হলো ওজন বাড়ার অন্যতম কারণ। চিনি খাওয়া বন্ধ করলেই ওজন দ্রুত কমে।

২) অনিদ্রার সমস্যায় অনেকেই ভোগে। চিনি কম খেলে ঘুম ভালো হয়। কিন্তু চিনি খাওয়া বন্ধ করে দিলে অনিদ্রার সমস্যা দূর হয়।

৩) অনেক সময়ে কাজের প্রতি অনীহা আসে। শরীরে শক্তির অভাব হয়। এক মাস চিনি খাওয়া বন্ধ করে দেখুন শরীরে স্ফূর্তি বাড়বে। কর্মক্ষমতাও বাড়বে।

৪) হার্টের রোগের ঝুঁকিও বাড়ে বেশি চিনি খেলে। হার্টের রোগের ঝুঁকি কমাতে চিনি খাওয়া বন্ধ করে দিতে পারেন। লিভারের রোগ ঠেকাতেও চিনি খাওয়া বন্ধ করার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা।

৫) বাতের ব্যথা থেকে রেহাই পেতেও চিনি খাওয়া বন্ধ করে দিতে পারেন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, চিনি খেলেই গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণা বাড়ে, তাই যাদের বাতের ব্যথা আছে তারা এক মাস চিনি না খেলেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


আরও খবর

ওজন কমাতে লেবু পানি ?

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

খাওয়ার পরেই চা নয়

বৃহস্পতিবার ০৩ আগস্ট ২০২৩




জলবায়ু মোকাবিলায় ৫ পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু বাস্তুচ্যুতির কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন। এ সময় জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মানুষের চলাফেরায় যে প্রভাব পড়ছে তা মোকাবিলায় পাঁচটি পরামর্শ দেন তিনি।

২৮ নভেম্বর সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম)-এর সদর দপ্তরে তিন দিনব্যাপী ১১৪তম অধিবেশনে মানব গতিশীলতার ওপর জলবায়ুর প্রভাব: সমাধানের জন্য বৈশ্বিক আহ্বান শীর্ষক উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকে সম্প্রচারিত একটি ভিডিও বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বেশিরভাগ জলবায়ু স্থানচ্যুতি জাতীয় সীমানার মধ্যে এবং কিছু ভয়ানক পরিস্থিতিতে সীমান্তের ওপারে ঘটে। এ ধরনের পরিস্থিতি যাতে মানবিক সংকটে পরিণত না হয় সে জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা ও সংহতি প্রয়োজন। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যারা বাস্তুচ্যুত বা আটকে পড়েছেন তাদের মৌলিক পরিষেবা, সামাজিক সুরক্ষা এবং জীবিকার বিকল্পগুলোতে প্রবেশাধিকার থাকা দরকার। তাদের আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের ওপর বিরূপ প্রভাবগুলোও একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতিতে মোকাবিলা করা দরকার।

শেখ হাসিনা বলেন, এটি অনুমান করা হয়েছে যে জলবায়ু পরিবর্তন ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের ২১৬ মিলিয়ন লোককে বাস্তুচ্যুত করতে পারে, এর মধ্যে ৪০ মিলিয়ন এককভাবে দক্ষিণ এশিয়ার। বাংলাদেশে আমাদের জনসংখ্যার ২০ শতাংশ উপকূলীয় অঞ্চলে বাস করে। সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততার অনুপ্রবেশ, ঘন ঘন বন্যা এবং প্রবল ঘূর্ণিঝড় তাদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। এ ধরনের স্থানচ্যুতি আমরা যা ভাবি তার চেয়ে দ্রুত গতিতে ঘটছে বলে সতর্ক করেন তিনি।

বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার এখন মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে আগত ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় প্রদান করছে। এই লোকেদের মধ্যে কিছু লোক পাচার নেটওয়ার্কের শিকার হয় যার সঙ্গে সমগ্র অঞ্চলের নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে। এ ধরনের মিশ্র অভিবাসন প্রবাহ জলবায়ু গতিশীলতার সমস্যাটিকে আরও বেশি সমস্যাযুক্ত করে তোলে। বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যে মানব গতিশীলতার ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আন্তর্জাতিক আলোচ্যসূচিতে উচ্চ স্থান দেওয়া উচিত বলেও তিনি যোগ করেন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ বিষয়টির কার্যকর সমাধানের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে আইওএম এবং অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে একত্রে কাজ করছে। আমি নিশ্চিতবোধ করছি যে অনেক ছোট দ্বীপের উন্নয়নশীল দেশগুলোও এতে নেতৃত্ব দিচ্ছে। আমরা সন্তুষ্ট যে কপ-২৮, জিএফএমডি, এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফোরাম এটিকে যথাযথ গুরুত্ব দিচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে সরকার সম্পদের সীমাবদ্ধতার মধ্যে জলবায়ু অভিবাসীদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ শুরু করেছে। আমার অগ্রাধিকারভিত্তিক আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে, প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বাস্তুচ্যুত ৪,৪০০ পরিবারকে নিরাপদ আবাসন প্রদানের জন্য আমরা কক্সবাজারে ১৩৯টি বহুতল ভবন নির্মাণ করছি।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মানুষের চলাফেরায় যে প্রভাব পড়ছে তা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর পাঁচটি পরামর্শ হলো

প্রথমত, আমাদের নিরাপদ, সুশৃঙ্খল এবং নিয়মিত অভিবাসনের জন্য গ্লোবাল কমপ্যাক্টের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অধিকার-ভিত্তিক পদ্ধতিতে মানব গতিশীলতার ওপর জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলা করতে হবে।

দ্বিতীয়ত, জলবায়ু অভিবাসীদের অভিঘাত এবং ক্ষতির প্রসঙ্গে-নির্দিষ্ট সমাধান খুঁজে বের করার জন্য জলবায়ু ন্যায্যতার আলোকে আমাদের পরিস্থিতি বিবেচনা করতে হবে।

তৃতীয়ত, অভিবাসনকে জলবায়ু অভিযোজন কৌশল হিসেবে দেখার জন্য আমাদের স্থানীয়, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে প্রস্তুত হতে হবে যেখানে এটি সর্বোত্তম সম্ভাব্য সমাধান হিসাবে প্রমাণিত হবে।

চতুর্থত, জলবায়ু অভিবাসী, বিশেষ করে নারী, শিশু এবং অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীর পুনরুদ্ধারের জন্য আমাদের বিদ্যমান আন্তর্জাতিক সুরক্ষা মান পর্যালোচনা করতে হবে।

পঞ্চমত, সংকীর্ণ রাজনৈতিক বিবেচনার ঊর্ধ্বে এটির জন্য একটি গঠনমূলক অবস্থান তৈরিতে মানব গতিশীলতার ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বিষয়ে আমাদের উন্নত গবেষণা ডেটা এবং প্রমাণের ভিত্তিতে বিনিয়োগ করা উচিত।

এ বিশ্বের বৃহত্তম জলবায়ু পুনর্বাসন প্রকল্পটি স্থানীয় মাছ ধরা, পর্যটন এবং বায়ু শক্তি কেন্দ্র হয়ে উঠবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সূত্র: বাসস

 


আরও খবর

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




রাঙ্গাবালীতে আ'লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ইঞ্জিনিয়ার নাসিরের মতবিনিময় সভা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

নিজস্ব সংবাদদাতা, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) 

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের ত্রাণ ও সমাজকল্যান বিষয়ক উপকমিটির বিশেষজ্ঞ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার  মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের সঙ্গে  মতবিনিময় সভা করেছেন। রোববার বেলা ১১ টায় পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী প্রেসক্লাবে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। 

এ সময় মনোনয়ন প্রত্যাশী নাসির উদ্দিন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন উন্নয়নচিত্র তুলে ধরে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দলের জন্য কাজ করছি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন নিবেদিত কর্মী হয়ে সামাজিক কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দলের জন্য কাজ করে আসছি। মানুষের সেবায় নিজেকে উজার করে দেওয়াই আমার রাজনৈতিক জীবনের একমাত্র লক্ষ ও উদ্দেশ্য। আশাকরি আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মূল্যায়ন করবেন।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গাবালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক রবিউল হাসান, পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কার সিদ্দিক, উপজেলার চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের সাবেক কৃষিক লীগের সভাপতি ননী মিয়া প্রমুখ।


আরও খবর



ঊর্ধ্বমুখী মসলার বাজার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

ডলার সংকটের কারণে বেশ কিছুদিন মসলার এলসি বন্ধ ছিল। ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আমদানিনির্ভর গরম মসলার দাম বাড়ছে। এ ছাড়া শীতের মৌসুমে দেশে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান বেড়ে যায়। সামাজিক অনুষ্ঠান ও মৌসুমি খাদ্যাভ্যাসের কারণে মসলার চাহিদা কিছুটা বাড়ে। এ বছর শীত আসতে না আসতেই আরও বাড়ছে মসলা জাতীয় পণ্যের দাম।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল, খিলগাঁও, মতিঝিল এজিবি কলোনি, মালিবাগ রেলগেট, শান্তিনগর, সেগুনবাগিচাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।

শিপন আহমেদ পরিবার নিয়ে থাকেন রাজধানীর মুগদাপাড়ায়। চাকরি করেন মতিঝিলের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। খিলগাঁও বাজারে কথা হয় তার সঙ্গে।

তিনি বলেন, আগের তুলনায় শাক-সবজির দাম কিছুটা কমছে। তবে চাল, চিনি, আদা, রসুনসহ অন্যান্য পণ্যের দাম আরও বেড়েছে। বাজারে গেলে মাথা কাজ করে না। শুধু তাই নয়, আকাশচুম্বি মসলা পণ্যের দাম। আমাদের মতো সীমিত আয়ের মানুষের পক্ষে সংসার চালানো সম্ভব নয়। খুব বিপদের মধ্যে আছি।

খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই মসলাজাতীয় পণ্যের দাম বাড়ছে। এর মধ্যে ডলারের চড়া দাম আরও বড় প্রভাব ফেলেছে। এক মাসের ব্যবধানে বিভিন্ন মসলাজাতীয় পণ্যগুলোর দাম কেজিপ্রতি ২০ থেকে সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

খিলগাঁও বাজারের ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেন বলেন, দেশে ডলার সংকটের কারণে গত এক বছর ধরে গরম মসলার বাজার অস্থির। ডলার সংকটের কারণে বেশ কিছুদিন মসলার এলসি বন্ধ ছিল। তাই হু হু করে বাড়ছে গরম মসলার দাম। পাইকারিতে দাম বাড়লে আমাদের মতো খুচরা বিক্রেতাদের কিছুই করার নেই।

তিনি আরও বলেন, পণ্যের দাম বাড়লে লাভের পরিমাণ কমে। মূলধন বেশি লাগে। ক্রেতারা আগের চেয়ে কম পণ্য ক্রয় করে। ফলে খুচরা বিক্রেতাদের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

মসলার দাম এত বেশি বেড়ে যাওয়ার কারণ বলতে গিয়ে তিনি বলেন, শীত এলে দেশে ভাজা-পোড়াসহ অন্যান্য মসলাদার খাবারের চাহিদা বাড়ে। এ ছাড়া বছরের শেষ বলে অনেক অনুষ্ঠান-আয়োজন থাকে। তাই মসলার চাহিদা বেড়ে যায়। অপরদিকে মসলার বাজারের বৃহৎ অংশই মূলত আমদানিনির্ভর। ডলার সংকট আর এলসি বন্ধ থাকায় বাড়ছে গরম মসলার দাম। কেননা চাহিদা বাড়ছে, কিন্তু সে তুলনায় জোগান না বাড়ায় তার প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারে।

জানা যায়, ভারত ও চীন থেকে দেশের বাজারে সবচেয়ে বেশি মসলা আসে। এ ছাড়া ইন্দোনেশিয়া, মাদাগাস্কার, গুয়েতেমালা, শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশ থেকেও মসলা আমদানি করা হয়। তবে শুধু ধনিয়া, জিরা, মরিচ, হলুদ, তেজপাতা, কালিজিরাসহ হাতেগোনা কয়েকটি মসলা উৎপাদন হয়। চাহিদার তুলনায় সেগুলোর উৎপাদনও কম। তাই এসব পণ্যও আমদানি করতে হয়।

রাজধানীর পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক মাস আগেও এলাচের কেজি ছিল ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা। বর্তমানে একই মানের এলাচ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২০০ টাকায়।

গোলমরিচ ছিল ৫৯০ থেকে ৬০০ টাকা। কেজিপ্রতি ২০-৩০ টাকা বেড়ে এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৬২০ থেকে ৬৩০ টাকায়। প্রতিকেজি লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ টাকা, দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ৩৮৫ টাকা থেকে ৪০০ টাকা, জায়ফল বিক্রি হচ্ছে ৬৭০ থেকে ৬৮০ টাকা ও জিরা বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা। যা গত সপ্তাহের তুলনায় ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেশি।

এ ছাড়া প্রতি কেজি দেশি শুকনা মরিচের দাম ২৯০ টাকা, ভারতীয় শুকনা মরিচ ২৮০ টাকা, ভারতীয় হলুদ ২০০ টাকা, দেশি হলুদের দাম ২০০, কালিজিরা ২৪০ টাকা, মেথি ১২৫ টাকা, ধনিয়া ১৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহের তুলনায় ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি।

অপরদিকে, কয়েকমাস আগে প্রতি কেজি জিরা ৪০০ থেকে বেড়ে এক হাজার টাকায় ওঠে, যা এখন সামান্য কমেছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি বাজারের তুলনায় খুচরা বাজারে প্রতিটি মসলা পণ্য ৪০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।


আরও খবর

কমছে সবজি ও ব্রয়লারের দাম

শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩




শর্তহীন সংলাপের আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

বাংলাদেশে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করতে তিনটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির মধ্যে শর্তহীন সংলাপের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ইস্যুতে দেশের এই প্রধান তিন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। সবাইকে শর্তহীনভাবে সংলাপে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সোমবার ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র স্টিফেন ইবেলি এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বাংলাদেশে একটি অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়। আমরা সব পক্ষকে সহিংসতা পরিহার এবং সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানাই। যুক্তরাষ্ট্র কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না।

বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির বিষয়টি মনে করিয়ে বলা হয়, যারা গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করবে তাদের বিরুদ্ধে পূর্বঘোষিত মার্কিন ভিসানীতি (থ্রিসি) কার্যকর হবে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার উদ্যোগের অংশ হিসেবে দেশের প্রধান তিনটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিকে চিঠি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু।

সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের তাগিদ দিয়ে পাঠানো এ চিঠি দলগুলোর কাছে হস্তান্তর করছেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। এরই অংশ হিসেবে সোমবার বিকেলে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের হাতে ওই চিঠি হস্তান্তর করেন তিনি। তবে চিঠি পাওয়ার বিষয়টি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেনি আওয়ামী লীগ ও বিএনপি।


আরও খবর

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




নওগাঁয় দুটি সেতুর অভাবে দূর্ভোগের শিকার লাখো মানুষ

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর নদী ও বিল বেষ্টিত উপজেলা হলো আত্রাই উপজেলা। এ উপজেলার আত্রাই নদীর সমসপাড়া ফেরিঘাট ও ছোট যমুনা নদীর আট-গ্রাম ভুপনার ঘাটে দুটি সেতুর অভাবে এখনোও নৌকাতেই ভরসা করতে হয় শতাধিক গ্রামের কয়েক শ' শিক্ষার্থী সহ কয়েক লাখ মানুষকে। বছরের পর বছর বিভিন্ন সময়ে এই দু'টি ঘাটে সেতু নির্মাণের প্রাথমিক বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হলেও আজ পর্যন্ত দৃশ্যমান কোন কাজ শুরু না হওয়ায় হতাশ এই অঞ্চলের হাজারো বাসিন্দারা। তাই ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে প্রবেশের আগেই এই দুটি শতবর্ষী ঘাটে সেতু নির্মাণ স্থানীয়দের প্রাণের দাবী ।

ভাঙ্গা-জাঙ্গাল গ্রামের বাসিন্দা কলেজ পড়ুয়া আব্দুল আলিম বলেন, দেশের উন্নয়ন যখন দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে তখন খুবই ভালো লাগে। কিন্তু যখন দেখি পারাপারের জন্য আমাদের নদীর ঘাটে এসে প্রতিদিন শত শত মানুষকে নৌকার জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে তখন নিজেদের আদিম যুগের মানুষদের মতো মনে হয়। নদীর ঘাটে পার হতে এলেই নিজেকে বড় অসহায় মনে হয়। এতোকিছুর উন্নয়ন সাধিত হলেও আজো আমাদের কপালে একটি সেতু জোটেনি। একটি মাত্র সেতুর অভাবে এই অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়ন থমকে আছে। জানি না এঘাটে কোনদিন একটি সেতু নির্মাণ হবে। 

সমসপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, উত্তরের গণভবন থেকে সড়ক পথে কবিগুরুর একমাত্র কাচারী বাড়ি নওগাঁর আত্রাই উপজেলার পরিতসরের সঙ্গে সরাসরি সহজ যোগাযোগ মাধ্যমে হচ্ছে ভাঙ্গাজাঙ্গাল- সমসপাড়া দিয়ে চলাচলের পথ। কিন্তু এখানে একটি সেতুর অভাবে সেই সহজ পথ কঠিন হয়ে আছে। নদীর দক্ষিণ পাশের কয়েকটি গ্রামে থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের শতাধিক শিক্ষার্থীদের ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রতিদিন খেয়াঘাটের নৌকা পাড়ি দিয়ে সমসপাড়া স্কুলে আসতে হয়। বর্ষা মৌসুমে অনেক শিক্ষার্থীকে ঘাটে এসে নৌকা পার হওয়ার সময় পড়ে গিয়ে পোশাক নষ্ট করে স্কুলে আসতে হয়। একটি মাত্র সেতুর অভাবে থমকে আছে এই অঞ্চলের আধুনিক জীবন-যাপন।

আটগ্রামের বাসিন্দা শিক্ষক মতিউর রহমান বলেন আটগ্রাম ভুপনার ঘাট দিয়ে প্রতিদিন ২০-২৫টি গ্রামের বাসিন্দাদের নিজ উপজেলা আত্রাই, রাণীনগর ও নওগাঁ সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যেতে নৌকায় পার হতে হয়। এই ঘাটে অনেক সময় নৌকার যাত্রী পর্যাপ্ত না হলে নৌকা চলে না। তাই পার হওয়ার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়। তা না হলে দঁড়ি টেনে নিজেকেই নৌকা করে পার হতে হয়। এভাবেই বছরের পর বছর ধরে জীবন-যাপন করে আসছে আত্রাই উপজেলার দুই ঘাটের শতাধিক গ্রামের মানুষরা।

নওগাঁর রাণীনগরের ত্রিমোহনী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, একটি সেতুর অভাবে চলাচল সহজতর না হওয়ার কারণে ঘাটে এসে পারাপারের জন্য সময় নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত অর্থও ব্যয় করতে হচ্ছে এ এলাকার মানুষদের। ফলে বছরের পর বছর দুটি সেতুর অভাবে জীবনমানের উন্নয়নসহ ঘাট এলাকার সার্বিক উন্নয়ন যেন মুখ থুবড়ে পড়ে আছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) নওগাঁর নির্বাহী প্রকৌশলী তোফায়েল আহমেদ বলেন, এই দু' ঘাটে সেতু নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হলে তা বাতিল করা হয়েছে। আবার নতুন করে প্রস্তাব উপর মহলে পাঠাবো। সেই প্রস্তাব যদি অনুমোদিত হয় তাহলে দু' ঘাটে সেতু নির্মাণের প্রাথমিক কাজ শুরু করা সম্ভব হবে। 

নওগাঁ-৬ আত্রাই-রাণীনগর আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আনোয়ার হোসেন হেলাল বলেন, দুটি ঘাটে দুটি সেতু নির্মাণ ঐ অঞ্চলের শতাধিক গ্রামের লাখ লাখ মানুষের বহু বছরের প্রাণের দাবী। আমি এমপি হওয়ার পর থেকে জাতীয় সংসদে দুটি ঘাটে দুটি সেতু নির্মাণের দাবী জানিয়ে আসছি। দুটি সেতুর অভাবে এই অঞ্চলগুলো উন্নয়নের মহাসড়কে যুক্ত হতে পারছে না। এই অঞ্চলগুলো পিছিয়ে রেখে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা সম্ভব নয়। তাই দ্রুত দুটি ঘাটে দুটি সেতু নির্মাণের জন্য আমি মানবিক প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি।


আরও খবর