Logo
শিরোনাম

গৌরব ও সাফল্যের ১৯ বছরে কবি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

হৃদি চিরান,নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি :

গৌরব ও সাফল্যের দেড় যুগ পেরিয়ে ৯ মে ১৯তম বর্ষে পদার্পণ করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাবার্ষীকি পালন করা হয়। জাতীয় কবির নামে তারই স্মৃতি বিজড়িত ত্রিশালের নামাপাড়া বটতলায় বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০০৬ সালের ৯ মে প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই থেকে দেশের ৫৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষা, গবেষণা, উন্নয়ন ও সহশিক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার মাধ্যমে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বতন্ত্র অবস্থান বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। এক ঝাঁক তরুণ-মেধাবী শিক্ষকম-লী, মেধাবী শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিরলস পরিশ্রমে সুন্দর আগামীর প্রত্যাশায় এগিয়ে চলেছে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে ৫৭ একরের নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬টি অনুষদের অধীনে রয়েছে ২৫টি বিভাগ, ২৫০ এরও বেশি শিক্ষক এবং ১০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী।

১৯ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেবর বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুণ। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আবাসনে রয়েছে ৪টি আবাসিক হল। অগ্নি-বীণা হল, দোলন-চাঁপা হল, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব নামের হলগুলোতে প্রায় ৪ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী অবস্থান করছে। বর্তমানে নির্মাণাধীন রয়েছে আরো দুটি হল। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আবাসনের জন্য রয়েছে ৪টি ভবন। নির্মাণাধীন রয়েছে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের জন্য বাসভবন, ইউটিলিটি ভবন, শিক্ষার্থীদের জন্য একাডেমিক ভবন, ইনস্টিটিউট ভবন, কেন্দ্রীয় মসজিদ, একটি কলেজ, টিএসসি, দুটি দৃষ্টিনন্দন ফটক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর। সম্পূর্ণ ক্যাম্পাসকে নিয়ে আসা হয়েছে সিসিটিভির আওতায়, নিশ্চিদ্র নিরাপত্তায় নিরাপত্তাকর্মীদের হাতে যুক্ত হয়েছে ওয়াকিটকি। স্থাপিত হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, শেখ রাসেল, অঞ্জলী লহ মোর নামের দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্য, ৭২ এর সংবিধান স্মারক হিসেবে স্থাপিত হয়েছে সংবিধান আঙিনা। আবাসিক শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীর সন্তানদের জন্য নির্মিত হয়েছে শেখ রাসেল শিশুপার্ক।

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, আজকে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের মধ্যে এক নামে চেনা একটি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের দেড় যুগ পুর্তি এবং ১৯ তম জন্মদিনে আপনাদের সবাইকে প্রীতি শুভেচ্ছা আর শ্রদ্ধা জানাই। জাতীয় কবির নামে এই প্রতিষ্ঠানে আমরা মূলত শিক্ষা, গবেষণা, উন্নয়নকে মটো হিসেবে গ্রহণ করে আমাদের অভিযাত্রা শুরু করেছি। আমাদের ছাত্রদের মধ্যে শিক্ষার গুণগত মান এবং এই যুগের মতো করে তাদের তৈরি করার যে অভিপ্রায় সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্যকর আছে, এবং আমাদের ছাত্রছাত্রীরা আগের থেকে অনেক বেশি দক্ষ হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রা নিয়ে উপাচার্য আরো বলেন, এরই মধ্যে আমরা ইউজিসি র‍্যাংকিংয়ে গত দুই বছরে অনেকটুকু এগিয়েছি। আমাদের অবস্থান ৩৯তম থেকে এখন ১৪ তম। আমাদের ছাত্রছাত্রীরা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে নানা ক্ষেত্রে কাজ করছে, বড় বড় চাকরি পাচ্ছে এবং শিক্ষকম-লী যারা আছেন তারাও দেশ-বিদেশে গবেষণা নিয়ে ছুটছেন। এবং তাদের গবেষণাকে আজ বিশ্বব্যাপী বহুজন বহু গবেষক কোট করছেন। এই যে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছড়িয়ে যাওয়া এবং ছাড়িয়ে যাওয়া আমাদের এবারের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মূলমন্ত্র। আমরা চারিদিকে ছড়িয়ে যেতে চাই, নিজেকে আবারও ছাড়িয়ে যেতে চাই। আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকবেন এবং নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অভিযাত্রাকে সমর্থন করবেন বলে প্রীতি আশাবাদ ব্যক্ত করছি।


আরও খবর

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




এনবিআর-কাস্টমসের হয়রানির বিষয় মন্ত্রিসভায় তোলা হবে: নানক

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

এনবিআর ও কাস্টমসের যত সমস্যা আছে, তার মধ্যে সেবাগ্রহীতারদের হয়রানি বড় একটি বিষয় বলে উল্লেখ করেছেন পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। সামনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিষয়গুলো তোলা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সচিবালয়ে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) প্রতিনিধিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও প্রবাসে ব্যবসা করা বাঙালিরাও এনবিআর ও কাস্টমসের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ করে। আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা চিহ্নিত করেছি। সমস্যা যখন চিহ্নিত হয়েছে সমাধান হতে বাধ্য। সুতরাং আমরা সমাধানের সূত্রগুলো বের করব এবং সমাধানগুলো খুব তাড়াতাড়ি করতে হবে।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, রোববার কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত এসেছিলেন তিনি এনবিআর এবং কাস্টমসের হয়রানি নিয়ে কথা বলেছেন ছাড়া সাংবাদিকরা রয়েছেন অনেক কথা আছে, যেগুলো আমি বলতে পারব না সমস্ত জায়গা থেকে একটি অভিযোগ আসছে আমি সম্প্রতি ওমরাহ হজ করে এসেছি সৌদি আরবে ব্যবসায়ীরা জোর করেই আমার সঙ্গে বসে ছিলেন বাঙালি ব্যবসায়ীরা সেখানে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে সেখান থেকেও একই ধরনের অভিযোগ এসেছে

তিনি জানান, দুটি বিষয় আছে, একটি হলো রেমিট্যান্স পাঠানো, আর আরেকটি তারা যে ব্যবসা করে, তারা যেসব মালামাল পাঠায় তা নিয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমসে এনবিআরে সমস্যা পোহাতে হয় তাদের। সর্বসাকুল্যে আমি বলব এনবিআর এবং কাস্টমসের যে সমস্যাগুলো রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে এটা বড় সমস্যা। আমি সামনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবো।

পাট বস্ত্রমন্ত্রী বলেন, পোশাক শিল্পকে আমরা শুধু বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সবচেয়ে বড় ক্ষেত্র হিসেবে দেখছি না, সমাজ পরিবর্তনেও আপনারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। দারিদ্র্য বিমোচনেও আপনারা মুখ্য ভূমিকা পালন করছেন। প্রায় ৪২ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত অধিকাংশ শ্রমিক নারী। নারীরা স্বপ্ন দেখতে শিখেছে। কাজেই সেই শিল্পকে আমাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।

বিজিএমইএ দাবির প্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করে পূর্ণাঙ্গভাবে প্রস্তুত না করে বাইরে কোথাও শিল্প করতে দেওয়া যাবে না, এটা শিল্পনীতি হতে পারে না। আপনারা নগদ সহায়তা প্রদান ২০২৬ সাল পর্যন্ত বলবৎ রাখার দাবি জানিয়েছেন। আমাদের টার্গেটে পৌঁছাতে হলে বিশ্ববাজারে টিকে থাকতে হলে এই নগদ সহায়তার বিষয়টি থাকতে হবে।

এর আগে বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান (কচি) বলেন, আমাদের আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় হয়রানির জায়গা এনবিআর। এনবিআরের চেয়ারম্যান অত্যন্ত সৎ একজন মানুষ। কিন্তু তার নিচে যারা আছে... আলোর নিচে যেমন অন্ধকার সেই অন্ধকার। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ না করলে অডিট হয় না। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ না করলে আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়। এতে করে নির্দিষ্ট সময়ে আমরা আমাদের মাল আমদানি করতে পারছি না, রপ্তানিও করতে পারছি না।

তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আইনি কোন বাধা থাকে না। কিন্তু যোগাযোগ না করলেই হয়রানির শিকার হতে হয়। আমরা যাতে আইন মেনেই সুন্দর সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা করতে পারি তার দাবি জানাচ্ছি। আমরা হয়রানিমুক্ত ব্যবসা করতে চাই।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সার্কুলার জারি করেছে অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাহিরে শিল্প করা যাবে না। ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে মাত্র তিনটি চালু হয়েছে। অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু না করেই বাহিরে শিল্প করা যাবে না, এমন নির্দেশনা দিলে বিনিয়োগ বন্ধ হয়ে যাবে। অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই এই সার্কুলার তুলে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

সময় ২০২৬ সাল পর্যন্ত পোশাক রপ্তানিতে নগদ সহায়তা বহাল রাখার দাবি জানান বিজিএমইএ সভাপতি। পাশাপাশি সোর্স ট্যাক্স শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক ৫০ শতাংশ করার দাবি জানান তিনি


আরও খবর



কাওরানবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

ডিজিটাল ডেস্ক:


রাজধানীর কাওরানবাজারে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিটসহ স্থানীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বেলা পৌনে ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এখনও কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর জানা যায়নি।


শনিবার (১৮ মে) সকাল ১০টার দিকে আগুনের খবর পাওয়া যায়। ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার লিমা খানম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


প্রদ্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বৃষ্টিভেজা সকালে হঠাৎ করেই ধোঁয়াচ্ছন্ন হয়ে পরে কাওরানবাজার। লা ভিঞ্চি হোটেলের পাশে একটি টিনশেড রুম থেকে ধোঁয়া দেখা যায়। ধারণা করা হচ্ছে, হোটেলের ওই জেনারেটর রুম থেকেই আগুনের সূত্রপাত।


আগুন লাগার খবরে বাজারের লোকজন জড়ো হয়ে তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে একে একে আরও ইউনিট কাজে যুক্ত হয়।


আরও খবর



হিটস্ট্রোকের লক্ষণ ও করণীয়

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

তাপজনিত আঘাতের সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা হলো হিটস্ট্রোক। এটিকে চিকিৎসাশাস্ত্রে একটি জরুরি অবস্থা হিসেবে অভিহিত করা হয়। ফলে যখন কারও হিটস্ট্রোক হয় তখন তাকে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা দিতে হয়।

হিটস্ট্রোকের কারণে মৃত্যু, ব্রেন এবং অভ্যন্তরীণ অঙ্গপ্রতঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সাধারণত ৫০ বছর বা তারও বেশি বয়সী মানুষ হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। তবে স্বাস্থ্যবান মানুষও ভয়াবহ এই অবস্থায় পড়তে পারেন।

অতি উচ্চ তাপমাত্রা ও পানিশূন্যতার কারণে হিটস্ট্রোক হয়ে থাকে। হিটস্ট্রোক হলে শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বিকল হয়ে যায়। এরফলে শরীর অস্বাভাবিক গরম হয়ে পড়ে।

হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির মাঝে কিছু লক্ষণ দেখা যায়। সেগুলো হলো

  • মাথা ঝাঁকুনিসহ ব্যথা
  • মাথা ঘোরা এবং হালকা মাথাব্যথা
  • গরম থাকা সত্ত্বেও শরীর দিয়ে ঘাম বের না হওয়া
  • লালচে, গরম এবং শুষ্ক চামড়া
  • পেশী দুর্বলতা
  • বমি বমি ভাব এবং বমি
  • হার্টবিট বেড়ে যাওয়া, যেটি শক্তিশালী হতে পারে আবারও দুর্বলও হতে পারে
  • দ্রুত ও অগভীর শ্বাসপ্রশ্বাস (পর্যাপ্ত বাতাস গ্রহণ করতে না পারা)
  • আচরণগত পরিবর্তন: যেমন বিভ্রান্তি ও হতভম্ব হওয়া
  • খিঁচুনি
  • অজ্ঞান হয়ে যাওয়া

এসব লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। তবে হাসপাতালে নিতে যদি দেরি হয় তাহলে তাৎক্ষণিক কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। 

প্রতিরোধের উপায়


গরমের দিনে কিছু সতর্কতা মেনে চললে হিটস্ট্রোকের বিপদ থেকে বেঁচে থাকা যায়। এগুলো হলো : হালকা, ঢিলেঢালা কাপড় পরিধান করুন। কাপড় সাদা বা হালকা রঙের হতে হবে। সুতি কাপড় হলে ভালো। যথাসম্ভব ঘরের ভিতর বা ছায়াযুক্ত স্থানে থাকুন। বাইরে যেতে হলে চওড়া কিনারাযুক্ত টুপি বা ছাতা ব্যবহার করুন। বাইরে যারা কাজকর্মে নিয়োজিত থাকেন, তারা ছাতা বা কাপড়জাতীয় কিছু ব্যবহার করতে পারেন। প্রচুর পানি ও অন্যান্য তরল পান করুন। মনে রাখবেন, গরমে ঘামের সঙ্গে পানি ও লবণ বের হয়ে যায়। তাই পানির সঙ্গে সঙ্গে লবণযুক্ত পানীয় যেমন খাওয়ার স্যালাইন, ফলের রস, লাচ্ছি পান করুন।

আক্রান্ত হলে করণীয়


দ্রুত শীতল কোনো স্থানে চলে যান। ফ্যান বা এসি ছেড়ে দিন। ভেজা কাপড়ে শরীর মুছে ফেলুন। সম্ভব হলে গোসল করুন। প্রচুর পানি ও খাওয়ার স্যালাইন পান করুন। চা বা কফি পান করবেন না। যদি হিটস্ট্রোক হয়েই যায়, দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে, ঘরে চিকিৎসা করার কোনো সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে রোগীর আশপাশে যারা থাকবেন, তাদের করণীয় হলো : রোগীকে দ্রুত শীতল স্থানে নিয়ে যান। গায়ের কাপড় খুলে দিন। শরীর পানিতে ভিজিয়ে দিয়ে বাতাস করুন। সম্ভব হলে কাঁধে, বগলে ও কুচকিতে বরফ দিন। রোগীর জ্ঞান থাকলে তাকে খাওয়ার স্যালাইন দিন। খেয়াল রাখবেন, হিটস্ট্রোকে অজ্ঞান রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাস ও নাড়ি চলছে কিনা। প্রয়োজন হলে কৃত্রিমভাবে নিঃশ্বাস ও নাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করতে হতে পারে। হিটস্ট্রোকে জীবন বিপদাপন্ন হতে পারে। তাই এ বিষয়ে অবহেলা না করে সবাইকে সতর্ক হতে হবে।

লেখক : ইমেরিটাস অধ্যাপক ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক।


আরও খবর



ঝালকাঠিতে স্ত্রীর করা যৌতুকের মামলায় স্বামী কারাগারে

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

দফায় দফায় যৌতুকের জন্য শারীরিক নির্যাতনের পর ১৩ মে ২০২৩ তারিখে গর্ভের ভ্রণ নষ্ট করেছেন অভিযুক্ত স্বামী মেহেদী হাসান বাপ্পী। ৩ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করার অভিযোগে পাওয়া গেছে এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

সবশেষ স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুকের মামলায় মঙ্গলবার জামিন নিতে গেলে ঝালকাঠি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মেহেদী হাসান বাপ্পীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এখন মামলা তুলে নিতে ভুক্তভোগীদের হুমকিও দিচ্ছেন এই প্রভাবশালী ব্যক্তির পরিবার। তিনি

নাচলমহল ইউনিয়নের দক্ষিণ ডেবরা আরিফুর রহমান খানের ছেলে। মেহেদী হাসান বাপ্পী পরিবার পরিকল্পনা চাকরি করেন।

নির্যাতীত নারীর মা অভিযোগ করেন, দুই বছর আগে তার মেয়ের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেন

মেহেদী হাসান বাপ্পী কাছে এক বছর যেতে না যেতে শুরু হয় মেয়ের উপর অত্যাচারের ও তার কাছে টাকা দাবি করেন।

নির্যাতনের শিকার নারী অভিযোগ করেন, স্বামী মেহেদী হাসান বাপ্পী তার কাছে টাকা দাবি করেন দিতে রাজি না হওয়ায় তিনি তারপরে প্রায় শারীরিক নির্যাতন করত ।

কিন্তু প্রায় ছয়মাস আগে পেটের ওপর আঘাত করে চারমাস বয়সি গর্ভের ভ্রণ নষ্ট করেছেন স্বামী মেহেদী হাসান বাপ্পী।এরপরই তিনি বিচার চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলাতেই সোমবার স্বামী মেহেদী হাসান বাপ্পী কারাগারে গেছেন। এখন বিভিন্নভাবে মেহেদী হাসান বাপ্পী লোকজন মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছেন। এতে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন। তিনি আইনি সহায়তা দাবি করেছেন।মেহেদী হাসান বাপ্পী কারাগারে থাকায় স্বীকার করেন তার স্বজনরা।


আরও খবর



২০৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এলো এপ্রিলে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

দেশে ২০৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এলো এপ্রিলে। দর বাড়িয়ে ডলার কেনায় এপ্রিলে বেড়েছে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়।

আগের মাসে যেখানে ১৯৯ কোটি এবং আগের বছরের একই মাসে এসেছিল ১৬৮ কোটি ডলার। সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে এক হাজার ৯১২ কোটি ডলার দেশে এসেছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল এক হাজার ৭৫৭ কোটি ডলার।

রেমিট্যান্স বাড়লেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে রয়েছে। বৃহস্পতিবার রিজার্ভ ছিল ১৯ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার। দেশের ইতিহাসে যেখানে সর্বোচ্চ রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ওপরে উঠেছিল ২০২১ সালের আগস্টে। এরপর থেকে বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি অর্থবছরের এ পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর কাছে ১১ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।


আরও খবর