Logo
শিরোনাম

গুজব রোধে হাইকোর্টের ৫ দফা নির্দেশনা

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ |

Image
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ দেশে গুজব ছড়ানো ও গণপিটুনির ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে ৫ দফা নির্দেশনা সংক্রান্ত রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার ৭ পৃষ্ঠার রায়ের অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে। এর আগে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের তৎকালীন বেঞ্চ রায়ে স্বাক্ষর করেন। রিটকারী আইনজীবী এ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।
 
২০২০ সালের ১ মার্চ হাইকোর্ট ৫ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় প্রদান করেন হাইকোর্ট। গণপিটুনিতে তাসলিমা বেগম রেনুকে হত্যার প্রেক্ষাপটে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে এ রায় প্রদান করা হয়। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন এ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। রিটকারী এ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান বলেন, মঙ্গলবার সাত পৃষ্ঠার রায়ের অনুলিপি হাতে পেয়েছি। রায়ে হাইকোর্ট ৫ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন। নির্দেশনাগুলো হচ্ছে (১) গণপিটুনির বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার প্রচার কার্যক্রম ইলেকট্রনিক এবং অন্যান্য গণমাধ্যমে প্রচারণা অব্যাহত রাখবে। (২) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেকোন ধরনের অডিও, ভিডিও, খুদে বার্তা, যা গুজব সৃষ্টি যা গণপিটুনিতে মানুষকে উত্তেজিত করতে পারে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা বন্ধের ব্যবস্থা নেবে। যে দুষ্কৃতকারীরা এ কাজে জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (৩) যখনই গণপিটুনির কোন ঘটনা ঘটবে, কোন দেরি না করে তখনই থানার ওসি এফআইআর নিতে বাধ্য থাকবেন এবং দ্রুত সার্কেলের মনোনীত বিশেষ অফিসারকে অবহিত করবেন।
 
(৪) দেশের প্রতিটি থানার তদন্তকারী সার্কেল অফিসার এ ধরনের মামলাগুলোকে ব্যক্তিগতভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন। একইসঙ্গে তিন মাসের মধ্যে মামলার তদন্ত শেষ করবেন। (৫) গণপিটুনিতে হত্যার আগে তাসলিমা বেগম রেনু উত্তর বাড্ডা প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষকের হেফাজতে ছিলেন। সুতরাং উক্ত প্রধান শিক্ষক তার পদে থাকার উপযুক্ত কিনা তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।
 
এর আগে ২০১৯ সালের ২৬ আগস্ট গণপিটুনিতে নিহতদের জীবন রক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতায় রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে গণপিটুনির ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানতে চান আদালত। একটি গুজবকে কেন্দ্র করে ২০১৯ সালের ২০ জুলাই রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় গণপিটুনিতে তাসলিমা বেগম রেনুকে হত্যার প্রেক্ষাপটে করা এক রিট আবেদনে হাইকোর্ট এ আদেশ দেন। সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী এ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান জনস্বার্থে রিটটি দায়ের করেন।
 
এদিকে পদ্মা সেতু নিয়ে একটি গুজবকে কেন্দ্র করে ওই সময় দেশজুড়ে একের পর এক গণপিটুনির ঘটনা ঘটছিল। ২০ জুলাই উত্তর বাড্ডায় মেয়েকে ভর্তি করানোর তথ্য জানতে স্থানীয় একটি স্কুলে যান তাসলিমা বেগম রেনু (৪০)। এ সময় তাকে ছেলেধরা সন্দেহে প্রধান শিক্ষকের রুম থেকে টেনে বের করে গণপিটুনিতে হত্যা করা হয়।
 

আরও খবর



হজ ভিসায় সৌদির নতুন বিধি-নিষেধ

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ |

Image

হজ ভিসা নিয়ে নতুন নিয়ম আনলো সৌদি আরব। এখন থেকে এই ভিসা দিয়ে শুধু জেদ্দা, মদিনা ও মক্কা শহরে ভ্রমণ করা যাবে। তাছাড়া অনুমতি ছাড়া মক্কায় জনসাধারণের প্রবেশাধিকারেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সৌদি সরকার। সারা পৃথিবী থেকে আসা হজযাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই এসব নিয়ম জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সৌদির জননিরাপত্তা বিভাগ।

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুধু হজ ভিসা দিয়ে চলতি বছর হজে অংশ নেওয়া মুসল্লিরা জেদ্দা, মদিনা ও মক্কা শহরে ভ্রমণ করতে পারবেন। নির্ধারিত শহরগুলোর বাইরে ভ্রমণের জন্য এই ভিসা বৈধ হবে না। তাছাড়া এখন থেকে মক্কায় প্রবেশের জন্য অবশ্যই অনুমতিপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। এমনকি সৌদি নাগরিকদেরও।

হজের সময় মক্কার পবিত্র স্থানগুলোতে কাজ করার অনুমতি পাওয়া ব্যক্তি, মক্কার স্থানীয় অভিবাসী, পবিত্র হজ পালনের অনুমতিপত্র বা তাছরিহ্ ব্যতীত যে কাউকে আপাতত মক্কায় প্রবেশ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। নির্দেশনা অমান্যকারীদের মক্কায় প্রবেশের চেকপয়েন্ট থেকে ফেরত পাঠানোর পাশাপাশি শাস্তিও দেওয়া হতে পারে।

মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, হজ ভিসা শুধু হজ মৌসুমের জন্যই বৈধ। তাছাড়া নতুন নিয়মে এই সময়ের মধ্যে হজ ভিসা নেওয়া ব্যক্তিদের ওমরাহ পালন বা যেকোনো ধরনের আর্থিক বা অবৈতনিক কাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। আর এসব বিধি-নিষেধ লঙ্ঘনকারীরা ভবিষ্যতে হজে অংশ নেওয়ার অনুমতি না-ও পেতে পারেন। সেই সঙ্গে নিয়ম অমান্যকারীকে সৌদি আরব থেকে বের করেও দেওয়া হতে পারে।

এদিকে, উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের (জিসিসি) দেশগুলো ছাড়া যেসব আন্তর্জাতিক দর্শনার্থী হজ পালন করতে চান, তাদের ওপর হজ ভিসা নেওয়ার বাধ্যবাধকতা আরোপ করেছে সৌদি সরকার।

এদিকে, নুসুক ও তাওয়াক্কলনা অ্যাপ থেকে ভ্রমণের জন্য ডিজিটাল কার্ড বা অনুমতিপত্র নেওয়ার ব্যবস্থা রেখেছে সৌদির হজ মন্ত্রণালয়। পবিত্র স্থানগুলোতে ঢুকতে হলে ও বিভিন্ন শহর ঘুরে দেখতে হলে হজযাত্রীদের অবশ্যই কার্ডটি দেখাতে হবে।

এই কার্ড কীভাবে পাওয়া যাবে, তা হজযাত্রীদের ভিসা ইস্যু হওয়ার পরে সংশ্লিষ্ট হজ অফিস থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে। তাছাড়া হজ পারমিট ইস্যু হওয়ার পর অভ্যন্তরীণ হজযাত্রীরা সেবা প্রদানকারীদের কাছ থেকে এই কার্ড পাবেন।

প্রক্রিয়াটি আরও সহজ করতে সৌদির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভিসা প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক রেজিস্ট্রেশন চালু করেছে হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয়। আবেদনকারীদের অবশ্যই ৭ ধু আল হিজ্জাহ বা ১৩ জুলাইয়ের মধ্যে নিবন্ধন করতে হবে। তবে হজযাত্রীদের কোটা পূরণ না হলে, ওই সময়ের পরও নিবন্ধনের সুযোগ মিলতে পারে।


আরও খবর



প্রাথমিকে স্বাভাবিক রুটিনে ক্লাস

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ |

Image

সারা দেশে সব রেকর্ড ভেঙে দাবদাহের পারদ ছিল ঊর্ধ্বমুখী। পুরো এপ্রিল মাস এমন দৃশ্যই দেখেছে সারা দেশ। অসহ্য গরমে জনজীবনে নেমে এসেছে অস্বস্তি। খুব একটা বৃষ্টির দেখাও মেলেনি। ফলে বিপাকে পড়েছে মানুষ ও প্রাণীকূল।

তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গত কয়েকদিন সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন সময়সূচিতে পাঠদান চলছিল। গরম কমে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ায় বিদ্যালয়ও ফিরছে স্বাভাবিক সময়সূচিতে। মঙ্গলবার (৭ মে) থেকে শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী আগের সময়সূচিতে পুরোদমে চালু হচ্ছে ক্লাস।

সোমবার (৬ মে) বিকেলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার থেকে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারে শ্রেণি কার্যক্রমসহ সব কার্যক্রম ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী চলবে।

বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী ক্লাসের সময়সূচি

বছরের শুরুতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর যে বর্ষপঞ্জি প্রকাশ করেছিল, সে অনুযায়ী- এক শিফটের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হবে সকাল ৯টায়, চলবে বিকেল ৪টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত। দুই শিফটের বিদ্যালয়ে প্রথম শিফট শুরু হবে সকাল ৯টায়, শেষ হবে দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে। দ্বিতীয় শিফটে ক্লাস চলবে দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত।

তবে ঢাকা মহানগরীর জন্য পরিপত্র অনুযায়ী নির্ধারিত সময়সূচি প্রযোজ্য হবে। অন্যদিকে প্রাক-প্রাথমিকের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা সময়সূচি নির্ধারণ করবেন।


আরও খবর



দিল্লির ১০০ স্কুলে বোমা হামলার ‘হুমকি’

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ |

Image

বোমা হামলার হুমকি’ দিয়ে ভারতের দিল্লি এবং জাতীয় রাজধানী অঞ্চলের (এনসিআর) প্রায় ১০০ স্কুল ইমেইল পাঠানো হয়েছে। তবে এই ইমেইলগুলো ভুয়া উল্লেখ করে সেগুলোর উৎস খুঁজে পাওয়া গেছে বলে জানান জাতীয় রাজধানীর লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা। এ ঘটনার পর রাজধানীজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর এনডিটিভি।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, স্কুলে বোমা হামলার হুমকি পাওয়ার পর জাতীয় রাজধানীর লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা উত্তর দিল্লির মডেল টাউনের ডিএভি স্কুল পরিদর্শন করেন।

ভি কে সাক্সেনা বলেন, দিল্লি পুলিশ ইমেইলগুলোর উৎস খুঁজে পেয়েছে। আমি দিল্লির নাগরিকদের আশ্বস্ত করছি যে পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং সতর্ক রয়েছে। এ ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি।

দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে কোনো স্কুলে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সিনিয়র পুলিশ অফিসার কুমার মাহলা বলেছেন, আমরা সব স্কুল পরীক্ষা করেছি। কিছুই পাওয়া যায়নি। আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই।

দিল্লি পুলিশ প্রধানের কাছে বিস্তারিত তদন্ত প্রতিবেদন চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভি কে সাক্সেনা।

জাতীয় রাজধানীর লেফটেন্যান্ট গভর্নর বলেন, ... আমি অভিভাবকদের আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি এবং স্কুল ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে সহযোগিতা করুন। দুর্বৃত্ত ও অপরাধীদের রেহাই দেওয়া হবে না।

বুধবার (১ মে) ভোর ৪টা ১৫ মিনিটের দিকে বোমা হামলার হুমকি পাওয়া সমস্ত স্কুলে পুলিশ এবং ফায়ার বিভাগের কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেন।

নিরাপত্তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার জানিয়ে দিল্লি পাবলিক স্কুল নয়ডার অধ্যক্ষ কামিনী ভাসিন বলেছেন, আমরা বোমা সংক্রান্ত একটি ইমেইল ​​পেয়েছি। আমাদের শিক্ষার্থী আছে, তাই আমরা ঝুঁকি নিতে পারি না। আমরা পুলিশকে জানিয়েছি। অভিভাবকদের জানানো হয়েছে এবং ছাত্রদের বাড়ি ফেরত পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



তুরস্কে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ |

Image

২২শে এপ্রিল, ২০২৪ তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে "আন্তর্জাতিক সায়েন্টিফিক সিম্পোজিয়াম"এ বাংলাদেশ থেকে বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন, মাইজভাণ্ডার শরিফের সাজ্জাদানশীন, ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী। সিম্পোজিয়ামের বিষয় ছিলো " ইসলামি আইন ও বিধি বিধানে প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর আদর্শ অনুসরণের গুরুত্ব"। সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী তার বক্তব্যে বলেন,"প্রিয় নবিজী (সা.) বলেছেন,'তোমরা পবিত্র কুরআন ও আমার সুন্নাহ্কে আঁকড়ে ধরো। আবার এও বলেছেন, তোমরা পবিত্র কুরআন ও আমার আহলে বাইতকে (পরিবারকে) আঁকড়ে ধরে রাখো। তাহলে তোমরা কখনো পথভ্রষ্ট হবে না।' এর অর্থ হলো, প্রিয় নবিজী (সা.) এর আহলে বাইত ও পবিত্র কুরআন হলো ইসলামি বিধান ও আইনের উৎস, যাদেরকে অনুসরণ করলে আমরা কখনো ভুল পথে যাবো না। আল্লাহ্ তায়ালা আমাদেরকে একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন-বিধানের নির্দেশনা দিয়েছেন। এ বিধি-বিধান প্রিয় নবিজী (সা.) এর সুন্নাহ্ থেকে এসেছে। প্রিয় নবিজী (সা.) এর আদর্শের মাঝেই পবিত্র কুরআনের ব্যাখা রয়েছে। যেমন মহান আল্লাহ্ আমাদেরকে নামাজ আদায় করতে বলেছেন আর প্রিয় নবিজী (সা.) কীভাবে নামাজ আদায় করতে হয়, তা শিখিয়েছেন। মহান আল্লাহ্ আমাদেরকে রোজা পালন করতে বলেছেন ; প্রিয় নবিজী (সা.) কীভাবে রোজা রাখতে হবে তা শিখিয়েছেন। এভাবে প্রিয় নবিজী (সা.) এর সুন্নাহর মাধ্যমে আমরা নিজেদের ব্যক্তি জীবনকে কীভাবে সাঁজাবো, কীভাবে আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জন করবো, কীভাবে একটি রাষ্ট্র পরিচালনা করবো, কী পদ্ধতিতে একজন অপরাধী শাস্তি পাবে, কীভাবে ইসলামি অর্থনীতি পরিচালিত হবে, কীভাবে পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যাবে ইত্যাদি সকল বিষয়ে আমরা পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা পেয়েছি। পবিত্র কুরআন এর অনেক আয়াতের ব্যাখা আমরা খুঁজে পেয়েছি প্রিয় নবিজী (সা.) এর সুন্নাহর মাঝে। তাই প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর আদর্শ ব্যতীত আমরা ইসলামি আইন বা বিধানের অস্তিত্ব কল্পনা করতে পারি না।

পাশাপাশি ডক্টর সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী ফিলিস্তিনের জনগণের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামে দৃঢ় সমর্থন জানিয়ে, অবিলম্বে ফিলিস্তিনের জনগণের অধিকার আদায়ে মুসলিম বিশ্বকে এক হওয়ার আহবান জানান। 

সিম্পোজিয়ামে প্রধান অতিথি ছিলেন, ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর এরদোয়ান তুরাক এমরিস ক্যাটালকা। সভাপতিত্ব করেন গ্র্যান্ড মুফতি শেইখ আহমেদ আর্কতুর্ক। সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন, গাতালজা ইফতা কাউন্সিলের মুফতি আহমেদ মেহমেত আলি ওগলু। 

বিশ্বের প্রায় ৩০টি দেশের শীর্ষ সুফি সাধক, সুফি স্কলার, বুদ্ধিজীবী, তুরস্ক সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণ করেন।


আরও খবর



নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জমজমাট গবেষণা মেলা শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ |

Image

হৃদি চিরান, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনধি:

উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখরের উদ্বোধনের মাধ্যমে ৮ মে দুই দিনব্যাপী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জমজমাট গবেষণা মেলা শুরু হয়েছে।

শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়ন-এই মটোকে ধারণ করে এগিয়ে যাওয়া জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয়বারের মতো দুই দিনব্যাপী গবেষণা মেলা-২০২৪ শুরু হয়েছে।

বুধবার সকাল ১০টায় মেলা শুরু হয়। মেলা শুরু হলে সময়ের সাথে সাথে ছাত্র-শিক্ষক-গবেষকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে মেলা প্রাঙ্গণ। গবেষণাপ্রেমীদের জমজমাট পদচারণায় গবেষণা মেলায় যেন- প্রস্তরের বুক চিরে গবেষণার ফুল ফুটেছে।

বিকাল ৫টায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত গবেষণা মেলায় তিনি শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণকে স্বাগত জানান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, ‘শিক্ষা, গবেষণা, উন্নয়ন-এটি আমাদের মটো। আমাদের মটো শুধু শব্দমাত্র নয়, বরং এটি একটি ধারণা, বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, কর্মকর্তা সকলে মুক্তবিহঙ্গের ন্যায় আলস্য পরিত্যাগ করে প্রত্যয় বাস্তবায়নে জন্য কাজ করে যাচ্ছে।


গবেষণা মেলার গুরুত্ব ও প্রেক্ষাপট তুলে ধরে

তিনি আরও বলেন, গবেষণা যে শুধু পদোন্নতির জন্য নয়, ব্যক্তিগত নথিতে আটকে রাখার বিষয় নয় সেই ধারণাকে আমরা চ্যালেঞ্জ করছি। গবেষণা মেলার মধ্যদিয়ে আমরা আমাদের শিক্ষকদের গবেষণাগুলোকে সকলের জন্য উন্মুক্ত করছি। গবেষণা মেলার জন্য শিক্ষকদের মধ্যে একটি প্রতিযোগিতার মনোভাব তৈরি হয়েছে।

ভবিষ্যতে ভালো ও উন্নতমানের গবেষণা পরিচালনার জন্য গবেষকদের প্রণোদনার পাশাপাশি তাদেরকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুরস্কৃতও করা হবে উপাচার্য ঘোষণা দেন।

তিনি আরও বলেন, গবেষণা কার্যক্রমকে প্রকাশের জন্য নিরপেক্ষ মূল্যায়নের মধ্য দিয়ে উচ্চ মানসম্পন্ন গবেষণা জার্নাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশ করা হবে।’

তরুণ গবেষকদের উদ্দেশে উপাচার্য বলেন, ‘আসুন আমরা নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করি, গবেষণা মনস্কতা তৈরি করি যাতে উন্নত আধুনিক স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের অভিযাত্রায় শামিল হই।

গবেষণা ও সম্প্রসারণ কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর ড. মার্জিয়া আক্তারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুশাররাত শবনম, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রিয়াদ হাসান, চারুকলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. তপন কুমার সরকার, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীরসহ অন্যরা। সঞ্চালনা করেন ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রায়হানা আক্তার ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাসুদুর রহমান।

এসময় বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, দপ্তর প্রধানসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা, ছাত্রছাত্রী ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে জিটিআই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী শিক্ষক গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন। মেলার উদ্বোধন করে উপাচার্যসহ অন্যরা মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।

সরেজমিনে মেলায় গিয়ে দেখা যায়, দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত এই গবেষণা মেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪টি বিভাগ, আইকিউসি ইন্সটিটিউট অব নজরুল স্টাডিজ, গবেষণা ও সম্প্রসারণ কেন্দ্র অংশ গ্রহণ করেছে। লটারির মাধ্যমে তাদেরকে তাদের স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সকাল থেকেই সেসব স্টলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও গবেষণাকেন্দ্রের শিক্ষক ও গবেষকদের প্রকাশিত প্রবন্ধ, গ্রন্থ, জার্নাল, গবেষণা প্রকল্প, উদ্ভাবন, গবেষণা ও প্রকাশনা তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিটি স্টলে তাদের বিভাগের শিক্ষার্থী, গবেষকরা তাদের উপস্থাপনা দিয়ে আগত দর্শনার্থীদের নানা ধরনের কৌতূহল মিটিয়ে দিচ্ছেন।

মেলার দ্বিতীয় দিন (৯ মে) প্রথম পর্ব শুরু হবে বেলা ১১ টায়। এসময় মেলায় অংশগ্রহণকারী ১৪টি বিভাগ/দপ্তর/ইন্সটিটিউট তাদের কার্যক্রম নিয়ে ১০ মিনিট করে ও দ্বিতীয় পর্বে তথা বেলা আড়াইটা থেকে আরও ১৩ টি বিভাগ/দপ্তর/ইন্সটিটিউট ১০ মিনিট করে একটি ব্রিফিংয়ের সুযোগ পাবেন। যাতে করে মেলায় আসা দর্শনার্থীসহ অংশগ্রহণকারী অন্যরা সংশ্লিষ্ট ওই বিভাগ/দপ্তর/ইন্সটিটিউটের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হতে পারবেন। গবেষণা মেলার সমাপনী আয়োজনে অতিথি হিসেবে থাকবেন বিশিষ্ট গবেষক ও বিজ্ঞানী ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ, প্রাক্তন অধ্যাপক, বুয়েট।


আরও খবর