Logo
শিরোনাম

ইসলামে সুফি দর্শন ও এর প্রাসঙ্গিকতা

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

সারাবিশ্বে অনুসারীদের দিক থেকে ইসলাম অন্যতম বড় ধর্ম। বিশ্বের সকল প্রান্তে এই ধর্মের অনুসারীগণ রয়েছেন। জাতি-গোষ্ঠী-নৃতাত্ত্বিক বৈচিত্র্যের প্রায় সকল মানবগোষ্ঠীর মধ্যে এই ধর্মের অনুসারীদের দেখতে পাওয়া যায়। ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে আরবের মক্কায় হজরত মুহাম্মদ মুস্তাফা (সা:) জন্মগ্রহণ করেন। এই ধর্মের বিশ্বাসীদের মতে, আধ্যাত্মিকতার মাধ্যমে ঐশী প্রেরণায় তিনি মহান স্রষ্টার নৈকট্য লাভ করেন এবং সর্বশেষ নবী ও রাসুল রূপে ইহজগত ত্যাগ করেন। ৫৭০ থেকে ৬৩৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এই পৃথিবীতে তিনি বেঁচেছিলেন। মাত্র ৬৩ বছরের জীবন ছিল তাঁর। ৪০ বছর বয়সে তিনি আধ্যাত্মিকতার সর্বোচ্চ স্তরে উপনীত হয়ে ঐশী প্রেরণায় নবুয়ত লাভ করেন এবং সৃষ্টিকর্তার নির্দেশে তাঁর ধর্মের প্রচার শুরু করেন। ধর্মশিক্ষার শুরু থেকে প্রতিকূল পরিবেশের মধ্য দিয়ে ধর্ম প্রচার করেন তিনি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রচারকাজ চালাতে হয় তাঁকে। আর এক পর্যায়ে অনুসারীদের নিয়ে বাধ্য হন মদিনায় হিজরত করতে। ঐতিহাসিকদের মতে, ১০ সহস্রাধিক অনুসারী নিয়ে ৬৩০ খ্রিস্টাব্দে মক্কা বিজয়ের মধ্য দিয়ে তিনি ধর্মীয় প্রচারণার সর্বোচ্চ সাফল্য লাভ করেন।

মাত্র ২৩ বছর ছিল তাঁর ঐশী প্রেরণায় নবুয়তি জীবন। এর মধ্যে অনুসারীদের জন্য তিনি একটি রাষ্ট্রীয়, সামাজিক, ধর্মীয় জীবন তৈরি করেন। পৃথিবীর প্রায় সকল ঐতিহাসিক এবং গবেষকগণ এই বিষয়ে একমত যে, পুরো মানবজাতির ইতিহাসে এত অল্প সময়ের জীবনে ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র এক কথায় সকল পর্যায়ে অনুসারীদের প্রভাবিত করার দ্বিতীয় নজির পাওয়া যায় না।

মরুময় আরব অঞ্চলকে তিনি সভ্যতার আলোয় আলোকিত করেন। তাঁর অনুপ্রেরণায় যাযাবর আরব গোষ্ঠী একটি সভ্য জাতিতে পরিণত হয়। মানবসভ্যতার বিকাশে এত বড় অঞ্চল ও এত অনুসারী আর কোনো ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের ক্ষেত্রে পরিলক্ষিত হয় না। মাত্র ৬৩ বছরের জীবনে মানবসভ্যতার জন্য তিনি এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন।

তাঁর প্রদর্শিত পথ ধরেই পরবর্তীতে তাঁর ৪ জন অনুসারী– যাঁরা ইসলামে ৪ খলিফা হিসেবে পরিচিত– হজরত আবু বকর সিদ্দিক, হজরত উমর বিন খাত্তাব, হজরত উসমান ও হজরত আলী ইবনে তালিব প্রায় ৩০ বছর ধর্মীয় শিক্ষা প্রদান করেন। নানারকম মতবিরোধ থাকলেও অধিকাংশ মুসলমানের কাছে তাঁর এই ৪ খলিফা অশেষ শ্রদ্ধা ও সন্মানের পাত্র এবং তাঁদের দেওয়া ধর্মীয় পথনির্দেশও বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে পালন করা হয়।

হজরত মুহাম্মদ মুস্তাফা (সা:) জীবিত থাকার সময় তাঁর নির্দেশে অনুসারীদের অনেকে ধর্ম প্রচারের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়েন। তাঁর মৃত্যুর অল্প কয়েক বছরের মধ্যেই সারাবিশ্বের একটি বড় অংশ মুসলমানদের শাসনক্ষমতা বা রাজত্বের মধ্যে চলে আসে। পুরো আরব অঞ্চল, আফ্রিকা ও স্পেনের একটি বিশাল অংশ মুসলমানরা শাসন করেন। ভারতবর্ষেও মুসলমানগণ দীর্ঘদিন শাসন ক্ষমতা পরিচালনা করেন। এক কথায়, হজরত মুহাম্মদ মুস্তাফার (সা:) মাত্র ৬৩ বছরের জীবন ও ২৩ বছরের ঐশীবাণীর প্রেরণায় যে শিক্ষা মুসলমানরা পেয়েছেন, তাঁর প্রভাব সারাবিশ্বে আজও সমভাবে বিরাজমান।

এর কারণ, হজরত মুহাম্মদ মুস্তাফার (সা:) মৃত্যুর পর তাঁর শিক্ষাদীক্ষায় অনুপ্রাণিত হয়ে এক বিশাল সাম্রাজ্যের অধিকারী হয়েছিল মুসলমানেরা। এক পর্যায়ে এই সাম্রাজ্যের শাসকবর্গের মাঝে ভোগ-বিলাসিতাসহ নানাবিধও ধর্মীয় অপব্যাখ্যা সংযুক্ত হয়। তাঁর মূল নৈতিক ধর্মীয় শিক্ষা– সহজ সরল অনাড়ম্বর জীবন থেকে বিচ্যুতি ঘটে শাসকগোষ্ঠীর। ফলে এর প্রতিবাদ হিসেবে ইসলামে সুফি মতাদর্শের উদ্ভব হয় বলে অনেকে মনে করেন।

আবার ইসলামি তাত্ত্বিকদের একাংশের মতে, রাসুলের (সা:) জীবদ্দশাতেই তাঁর প্রতিষ্ঠিত মদিনার মসজিদে একদল সংসারবিবাগী সাহাবী ছিলেন যাঁরা ইসলামে সুফি মতাদর্শের উদগাতা। এই সাহাবীগণ মদিনার মসজিদে হজরত মুহাম্মদ মুস্তাফা (সা:) কর্তৃক জ্ঞানলাভ করতেন ও ধর্মীয় উপদেশ গ্রহণ করতেন। তাঁরা সহজ সরল অনাড়ম্বর জীবন যাপন করতেন। তাদেরকে ‘আহলে আস-সুফফা’ বলে সম্বোধন করা হত।

হজরত মুহাম্মদ মুস্তাফার (সা:) শিক্ষায় বৈরাগ্য বা সংসারবিমুখতার কোনো স্থান নেই। এ নিয়ে তাঁর অসংখ্য হাদিসও– যেগুলো আসলে তাঁর বক্তব্য ও উপদেশ– পাওয়া যায়। আর তাই ইসলামের সুফি দর্শনে আধ্যাত্মিকতা মূল হিসেবে কাজ করে। বৈরাগ্য সেখানে গৌণ বিষয়। নবী নিজে কখনও আদর্শ হিসেবে বৈরাগ্য গ্রহণ করেননি বা ঘোষণাও দেননি। সাংসারিক জীবনের মাঝে স্রষ্টার ইবাদত অর্থাৎ আদেশ-নির্দেশ পালনে তিনি গুরুত্বারোপ করেছেন।

ইসলামী তাত্ত্বিকদের একটি বড় অংশের মতে, ইসলামে সুফি দর্শন এ ধর্মের মরমী শাখা। বলা হয়ে থাকে, হজরত মুহাম্মদ মুস্তাফার (সা:) দর্শন অনুযায়ী জ্ঞান দুপ্রকারের– জাহেরি ও বাতেনি। জাহেরি জ্ঞান সাধারণ মানুষের চর্চার বিষয়। বাতেনি জ্ঞান গুপ্ত বিষয়। স্রষ্টার নৈকট্য লাভের জন্য বিশেষভাবে ত্যাগ স্বীকার করা মানুষই বাতেনি বা গুপ্ত জ্ঞানের চর্চা করে থাকেন। বাতেনি জ্ঞানের চর্চার আরেক নাম মারেফতি শিক্ষা। সুফিরা মূলত বাতেনি জ্ঞানের চর্চা করে থাকেন। আর তাই সুফি সম্প্রদায় সবচেয়ে প্রাগ্রসর সম্প্রদায় হিসেবে ইসলামিক বিশ্বে মূল্যায়িত হয়ে থাকেন।

হজরত মুহাম্মদ মুস্তাফার (সা:) মূল শিক্ষা ধারণ করে বাতেনি বা গুপ্ত জ্ঞানের চর্চার মধ্য দিয়ে সুফিরা মহান সৃষ্টিকর্তার নৈকট্য লাভের চেষ্টা চালান। আধ্যাত্মিক সাধনার মধ্য দিয়ে তাঁরা ব্যক্তিজীবন, আত্মিক জীবন ও ধর্মীয় জীবনের উন্নতি সাধন করেন এবং সেই শিক্ষা অনুসারীদের সাহায্যে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেন। ইসলামে সুফি দর্শনের মূল বিষয় হল, আধ্যাত্মিক সাধনার সাহায্যে আত্মিক উন্নতির মাধ্যমে ইহজাগতিক ও পরজাগতিক কল্যাণ সাধন এবং লব্ধ জ্ঞান মানবজাতির কল্যাণে ব্যয়। এর মধ্য দিয়ে একটি অসাম্প্রদায়িক হিংসা-দ্বেষমুক্ত সমাজ তৈরি করা।

ইসলামের সুফি সাধকেরা সারা পৃথিবীতে সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের কাছে স্রষ্টার একত্ববাদ, হজরত মুহাম্মদ মুস্তাফার (সা:) মানবতাবাদ ও ধর্মীয় সহিষ্ণুতার বাণী প্রচার করে থাকেন। নানাবিধ পদ্ধতিতে তাঁরা আধ্যাত্মিক সাধনা চালিয়ে যান। একজন সুফি সাধকের সঙ্গে আরেকজনের আধ্যাত্মিক সাধনার ভিন্নতার কারণে অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। মূলত সৃষ্টিকর্তার নৈকট্যলাভের চেষ্টা ও নিজের মানসিক আত্মিক উন্নতির জন্যই তাঁরা নিজস্ব উদ্ভাবিত পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকেন এবং অনুসারীদের মধ্য দিয়ে পদ্ধতিগুলোর প্রয়োগ চালিয়ে যান।

ইসলামে সুফি দর্শনের তাত্ত্বিক বিষয়গুলো আস্তে আস্তে তৈরি ও বিকশিত হয়েছে। এ নিয়ে ইসলামি পণ্ডিতদের মধ্যে নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনা রয়েছে, রয়েছে বিতর্কও। অনেক গবেষক মনে করেন, হজরত আলী ইবনে তালিব (রা:), সাহাবী আবু জর গিফারি, সাহাবী সালমান ফার্সিসহ আরও কয়েকজন সাহাবী হলেন প্রথম সুফি সাধক। এঁদের মধ্যে হজরত আলী (রা:) অগ্রগণ্য। পাণ্ডিত্য, জ্ঞানের চর্চায় তিনি শীর্ষস্থানীয়। তাঁর বিভিন্ন বক্তব্য, উপদেশ সকল সুফি সাধক শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন ও ব্যবহার করেন। মূলত হজরত আলীকেই (রা:) তাত্ত্বিকতায় প্রথম সুফি সাধক হিসেবে শ্রদ্ধা ও সম্মান করা হয়।

দ্বিতীয় পর্যায়ে হজরত রাবেয়া বসরী, হাসান বসরী, ইবরাহিম ইবনে আদম, মনসুর হাল্লাজ, জুনায়েদ বাগদাদী, বায়েজিদ বোস্তামী, মহিউদ্দিন ইবনুল আরাবীকে মূল্যায়ন করা হয়।

অনেক গবেষক মনে করেন, স্পেনের মার্সিয়ায় ১১৬৫ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণকারী ইবনুল আরাবি প্রথম ইসলামে সুফি দর্শনকে ‘ওয়াহদাতুল উযুদ’ বা ‘তাওহিদ-ই-উযুদ’ তত্বের মধ্য দিয়ে ব্যাখ্যা করেন। ইবনুল আরাবির এই তত্ত্ব সর্বেশ্বরবাদী তত্ত্ব হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়। বিভিন্ন যুগে তাঁকে নিয়ে গবেষক ও দার্শনিকদের মধ্যে যে বিষয় কাজ করেছে সেটি হল, তিনি তাঁর রচনায় দার্শনিক তত্ত্ব, উপাত্ত, এর বিষয়বস্তু ও সেগুলোর অভ্যন্তরীন ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ ব্যবহার করেছেন। ইবনুল আরাবি বর্ণনা করেন:

“স্বর্গীয় গুণাবলী মানুষের জ্ঞানের বাইরে। সমগ্র বিশ্বব্রক্ষাণ্ড হল ঐশ্বরিক নির্যাসের বহিপ্রকাশ। তদুপরি এ সকল গুণাবলী কেবল স্রষ্টার সৃষ্টির মহত্ত্ব প্রকাশ করে অর্থাৎ একের মধ্য দিয়ে বহুর প্রকাশ ঘটে।”

আরাবির মূল আধ্যাত্মিক উপলব্ধি হল:

“বিশ্বজগতে বহুর মাঝে একক অস্তিত্বের প্রকাশ ঘটে চলেছে। আর এটি হল ‘ফানা’র প্রকাশ যার মাধ্যমে ব্যক্তির নিজস্বতার বিলোপ সাধন বুঝায় এবং সে পরবর্তীতে নির্দিষ্ট ঐক্য তথা ‘বাকা’র দিকে ধাবিত হয়। ফলশ্রুতিতে একজন এ বিশ্বকে একক বা বহু– দুভাবেই দেখে, একইসঙ্গে আল্লাহকে স্রষ্টা এবং নিজেকে তাঁর সৃষ্টিরূপে দেখতে পায়।”

তৃতীয় পর্যায়ে, আবদুল কাদের জিলানী, মুহাম্মদ বাহাউদ্দিন নকশবন্দ, শিহাবুদ্দীন সোহরাওয়ার্দী, মঈনুদ্দীন চিশতি, শেখ আহমদ ইবনে মুহাম্মদ তিজানি, ইমাম গাজ্জালি, জালালুদ্দিন রুমী, আবদুল করিম ইবরাহিম আল জীলী প্রমুখ সুফি সাধকের উল্লেখ করা হয়।

ভারতবর্ষে ১৫৬৪ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিম পাঞ্জাবে জন্মগ্রহণকারী সৈয়দ আহমদ সিরহিন্দকে মুসলিম সাধকদের মধ্যে সুফি দর্শনের জন্য গবেষকগণ উচ্চ মর্যাদা প্রদান করেন। তাঁর অবস্থান ছিল মোঘল সম্রাট আকবর ও জাহাঙ্গীরের রাজত্বকালে। ইসলামের সুফি দর্শনের ক্ষেত্রে সিরহিন্দের উল্লেখযোগ্য অবদান হল ইবনুল আরাবির সর্বেশ্বরবাদী ‘ওয়াহিদুল উযুদ’ তত্ত্বের বাইরে ‘ওয়াহাদাতুশ শুহুদ’ তত্ত্ব প্রদান। সৈয়দ আহমদ সিরহিন্দ তাঁর তত্ত্বের মাধ্যমে বলার চেষ্টা করেছেন, আল্লাহ বা সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে যে ঐক্য সেটি সম্পূর্ণ আত্মগত বা সুনির্দিষ্ট বিষয়কেন্দ্রিক। এটি শুধুমাত্র বিশ্বাসীর অন্তরে অনুভূত হয়, যার বস্তুগত উপস্থিতি নেই। বিশ্বাসী যখন ফানা-ফিল্লাহর স্তরে উপনীত হয় তখন সে এটি অনুভব করতে পারে।

আধ্যাত্মিক সাধনার মাধ্যমে স্রষ্টার নৈকট্যলাভ এবং একটি অসাম্প্রদায়িক সমাজ তৈরির লক্ষ্যেই ইসলামে সুফি দর্শনের তত্ত্বসমূহ তৈরি হয়েছে। প্রায়োগিকভাবেও মুসলিম সুফি সাধকেরা পৃথিবীর সকল প্রান্তে তাদের অনুসারীদের হজরত মুহাম্মদ মুস্তফার (সা:) অসাম্প্রদায়িকতার শিক্ষা, সহজ সরল অনাড়ম্বর জীবনযাপনের নির্দেশ দান করেছেন। আর তাই সকল স্থানে মৌলবাদী কট্টর সাম্প্রদায়িক জঙ্গি গোষ্ঠীর আক্রমণ ও হামলার শিকার হয়েছেন তাঁরা। অন্যান্য সকল ধর্মের সুফিদের মতোই মৌলবাদীদের হাতে যুগে যুগে শহীদ হয়েছেন অসংখ্য মুসলিম সুফি সাধক ও তাদের অনুসারীরা। আমরা কিছুদিন আগেই ইরাক, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশে সুফি সাধকদের মাজারে জঙ্গিগোষ্ঠীর আক্রমণের সংবাদ দেখেছি। প্রতিনিয়ত দেখছি মুসলিম মৌলবাদী জঙ্গিগোষ্ঠীর সহিংস আক্রমণে হাজার হাজার নিরীহ সাধারণ জনগণের মৃত্যুর সংবাদ।

আজ সারাবিশ্বে ইসলাস ধর্মের অপব্যখ্যা প্রদান করে যে জঙ্গিগোষ্ঠীর জন্ম দেওয়া হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়তে পারে ইসলাম ধর্মের সুফি দর্শন। এই দর্শনের মধ্য দিয়ে ইসলাম ধর্মের নৈতিকতা, মানবিকতা, অসাম্প্রদায়িকতা ও অসহিষ্ণুতার প্রায়োগিক প্রয়োগ ঘটতে পারে।


আরও খবর



ফুটপাত দখলকারিদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

রাজধানীর ফুটপাত অবৈধভাবে দখল ও বিক্রি করার সঙ্গে কারা জড়িত, তাদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালত সূত্র বলছে, ফুটপাত বিক্রি ও অবৈধ দখলকারীদের সঙ্গে কারা কারা জড়িত, তা আগামী ১৩ মে'র মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি কর্পোরেশনকে জানানোর জন্য বলেছেন আদালত। এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে আজ হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।


আরও খবর



নতুন নকশায় টঙ্গী যাবে মেট্রোরেল

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

সাভারের আশুলিয়া নয়, টঙ্গী পর্যন্ত বর্ধিত হচ্ছে মেট্রোরেলের লাইন। দেশের প্রথম এ রেল লাইন উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে একটি পথ টঙ্গীকে যুক্ত করবে।

মেট্রোরেল এখন চলছে উত্তরা থেকে মতিঝিল। এ রুটের বর্ধিতাংশ গিয়ে ঠেকবে কমলাপুরে। অন্যদিকে উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে একটি পথ সাভারের আশুলিয়া নয়, টঙ্গীকে যুক্ত করবে।

এরই মধ্যে বর্ধিত এ পথের সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। দ্রুতই নকশা চূড়ান্ত করে টেন্ডার প্রক্রিয়ার কথা জানিয়েছেন প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক। তিনি বলেন, সাভারের আশুলিয়া পর্যন্ত মেট্রোরেল যাওয়ার কথা। কিন্তু নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী টঙ্গী পর্যন্ত বর্ধিত হচ্ছে মেট্রোরেলের লাইন। এমআরটি লাইন-৬ নির্মাণের সময়ই দিয়াবাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার পথ তৈরি করে রাখা হয়েছে ভবিষ্যতের কথা ভেবে। এরই মধ্যে বর্ধিত এ পথের সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। দ্রুতই নকশা চূড়ান্ত করে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

তবে পরিকল্পনা ছিল পথটি আশুলিয়া পর্যন্ত নেয়ার। তবে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারণে নতুন এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত টঙ্গী রেলস্টেশন পর্যন্ত যুক্ত করার বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, মূলত টঙ্গী রেলস্টেশন এবং সড়ক জংশনকে যদি সংযুক্ত করতে পারি, তাহলে ওই অঞ্চলের মানুষের সুবিধা বাড়বে। এরই মধ্যে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি শুরু হয়েছে।


আরও খবর



মার্কিন স্যাংশন-ভিসা নীতিকে পাত্তা দেই না: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

বিডি টু ডে  ডিজিটাল ডেস্ক:


সরকার মার্কিন স্যাংশন, ভিসানীতিকে পাত্তা দেয় না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।


 তিনি বলেন, আমরা দাওয়াত করে কাউকে আনিনি। তাদের এজেন্ডা আছে; তারা সেসব নিয়ে ঢাকায় এসেছে। বিএনপির সঙ্গে তাদের কী আছে, তারাই ভালো জানে। ওপরে ওপরে বিএনপি তাদের পাত্তা দেয় না বললেও, তলে তলে বিএনপি কী করে তারাই ভালো জানে।  


আজ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনাকালে এমন মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক বিএনপির আন্দোলনের ব্যর্থ চেষ্টা। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে খড়কুটো ধরে বাঁচতে চায় তারা। আসলে তাদের কোনো ইস্যু নাই। 


তারা ভারতীয় পণ্য বর্জনকে ইস্যু বানাতে চায়। আমার প্রশ্ন হলো-ভারতীয় মসলা ছাড়া কি আমাদের চলে? তিনি আরও বলেন, ভারতের মসলা ছাড়া আমাদের চলে না। শুধু মসলা কেন, ভারত থেকে শাড়ি-কাপড় আসবে, এ ছাড়া আরও কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যও আসবেই।



বিএনপি ও তাদের সমমনাদের আন্দোলনের ডাকে জনগণের সাড়া নেই জানিয়ে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, সম্প্রতি ঢাকায় বিএনপির দুটা সমাবেশই ফ্লপ হয়েছে।


 দলটির কর্মীরা হতাশ, তাদের আর নেতাদের ওপর আস্থা নেই। সে কারণেই বিএনপির কর্মীরা তাদের সমাবেশে যোগ দেয় না।


আরও খবর



গৌরব ও সাফল্যের ১৯ বছরে কবি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

হৃদি চিরান,নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি :

গৌরব ও সাফল্যের দেড় যুগ পেরিয়ে ৯ মে ১৯তম বর্ষে পদার্পণ করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাবার্ষীকি পালন করা হয়। জাতীয় কবির নামে তারই স্মৃতি বিজড়িত ত্রিশালের নামাপাড়া বটতলায় বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০০৬ সালের ৯ মে প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই থেকে দেশের ৫৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষা, গবেষণা, উন্নয়ন ও সহশিক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার মাধ্যমে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বতন্ত্র অবস্থান বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। এক ঝাঁক তরুণ-মেধাবী শিক্ষকম-লী, মেধাবী শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিরলস পরিশ্রমে সুন্দর আগামীর প্রত্যাশায় এগিয়ে চলেছে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে ৫৭ একরের নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬টি অনুষদের অধীনে রয়েছে ২৫টি বিভাগ, ২৫০ এরও বেশি শিক্ষক এবং ১০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী।

১৯ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেবর বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুণ। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আবাসনে রয়েছে ৪টি আবাসিক হল। অগ্নি-বীণা হল, দোলন-চাঁপা হল, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব নামের হলগুলোতে প্রায় ৪ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী অবস্থান করছে। বর্তমানে নির্মাণাধীন রয়েছে আরো দুটি হল। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আবাসনের জন্য রয়েছে ৪টি ভবন। নির্মাণাধীন রয়েছে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের জন্য বাসভবন, ইউটিলিটি ভবন, শিক্ষার্থীদের জন্য একাডেমিক ভবন, ইনস্টিটিউট ভবন, কেন্দ্রীয় মসজিদ, একটি কলেজ, টিএসসি, দুটি দৃষ্টিনন্দন ফটক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর। সম্পূর্ণ ক্যাম্পাসকে নিয়ে আসা হয়েছে সিসিটিভির আওতায়, নিশ্চিদ্র নিরাপত্তায় নিরাপত্তাকর্মীদের হাতে যুক্ত হয়েছে ওয়াকিটকি। স্থাপিত হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, শেখ রাসেল, অঞ্জলী লহ মোর নামের দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্য, ৭২ এর সংবিধান স্মারক হিসেবে স্থাপিত হয়েছে সংবিধান আঙিনা। আবাসিক শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীর সন্তানদের জন্য নির্মিত হয়েছে শেখ রাসেল শিশুপার্ক।

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, আজকে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের মধ্যে এক নামে চেনা একটি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের দেড় যুগ পুর্তি এবং ১৯ তম জন্মদিনে আপনাদের সবাইকে প্রীতি শুভেচ্ছা আর শ্রদ্ধা জানাই। জাতীয় কবির নামে এই প্রতিষ্ঠানে আমরা মূলত শিক্ষা, গবেষণা, উন্নয়নকে মটো হিসেবে গ্রহণ করে আমাদের অভিযাত্রা শুরু করেছি। আমাদের ছাত্রদের মধ্যে শিক্ষার গুণগত মান এবং এই যুগের মতো করে তাদের তৈরি করার যে অভিপ্রায় সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্যকর আছে, এবং আমাদের ছাত্রছাত্রীরা আগের থেকে অনেক বেশি দক্ষ হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রা নিয়ে উপাচার্য আরো বলেন, এরই মধ্যে আমরা ইউজিসি র‍্যাংকিংয়ে গত দুই বছরে অনেকটুকু এগিয়েছি। আমাদের অবস্থান ৩৯তম থেকে এখন ১৪ তম। আমাদের ছাত্রছাত্রীরা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে নানা ক্ষেত্রে কাজ করছে, বড় বড় চাকরি পাচ্ছে এবং শিক্ষকম-লী যারা আছেন তারাও দেশ-বিদেশে গবেষণা নিয়ে ছুটছেন। এবং তাদের গবেষণাকে আজ বিশ্বব্যাপী বহুজন বহু গবেষক কোট করছেন। এই যে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছড়িয়ে যাওয়া এবং ছাড়িয়ে যাওয়া আমাদের এবারের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মূলমন্ত্র। আমরা চারিদিকে ছড়িয়ে যেতে চাই, নিজেকে আবারও ছাড়িয়ে যেতে চাই। আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকবেন এবং নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অভিযাত্রাকে সমর্থন করবেন বলে প্রীতি আশাবাদ ব্যক্ত করছি।


আরও খবর

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




ডামুড্যা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আলোচনার শীর্ষে ফেরদৌস রূপক

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

স্টাফ রিপোর্টার:

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে  ভাইস চেয়ারম্যান পদে আলোচনার শীর্ষে ফেরদৌস  রহমান রূপক। তিনি উপজেলর সর্বস্তরের মানুষের  নিকট দোয়া কামনা করেছেন।

তিনি সাংবাদিক  পেশায় দীর্ঘ দিন যাবত মানুষের সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন এবং গরীব দুঃখী ও মেহনতী মানুষের পাশে থেকে বিভিন্নভাবে সহযোগীতা করে যাচ্ছেন।

শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা উপজেলার ০৭ টি ইউনিয়ন  ও ১টি পৌরসভার প্রবাসীসহ  সকল শ্রেনী পেশার নাগরিক ও সকল ধর্মাবলম্বী মানুষের নিকট দোয়া, আশীর্বাদ কামনা করে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন ফেরদৌস রহমান রূপক। উপজেলার জনগণকে সাথে নিয়েই নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন তরুন এ সাংবাদিক ফেরদৌস রহমান রূপক।

ডামুড্যা উপজেলার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন, ডামুড্যা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে যারা প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন, তাদের মধ্যে ফেরদৌস রহমান রূপক বেস্ট কেন্ডিডেট। তার ভদ্রতা, আচার ব্যাবহার ভোটারদের মন জয় করেছে। ডামুড্যা উপজেলার বিভিন্ন মহলে ভালো মানুষ হিসেবে রূপকের বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। আমরাও সিদ্ধান্ত নিয়েছি এমন ভদ্রলোককেই উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবো।

বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা। 

ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ফেরদৌস রহমান রূপক বলেন, আমি জনগনের দোয়া ও ভালোবাসা নিয়েই নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছি। সাধারণ মানুষের সঙ্গে মতবিনিময়ে ও ভোটারদের আগ্রহ ও সমর্থন দেখে আমি নিশ্চিত বিজয়ের স্বপ্ন দেখছি। আমি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়লাভ করলে সাধারণ মানুষের হয়ে উন্নয়নে অংশীদার হবো, জনসাধারণের পাশে দাঁড়াবো এবং উন্নয়নের ধারাবাহিকতা সচল রাখতে সুদ, ঘুষ,  মাদক ও দূর্নীতিমুক্ত স্মার্ট ডামুড্যা উপজেলা বাস্তবায়ন করার অঙ্গীকার নিয়ে আমার এই পথচলা অব্যাহত থাকবে ইনশাল্লাহ। 

তিনি আরও বলেন, “তরুণরাই গড়বে আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ” আমি এরই অংশ হিসেবে ডামুড্যা উপজেলাকে একটি আধুনিক ও স্মার্ট উপজেলা গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখতে চাই। সাংবাদিক  পেশার পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি হওয়ার সুযোগ পেলে সাধারণ মানুষের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করতে আমি সদা প্রস্তুত। জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হলে আমি আরও গভীরভাবে সাধারণ মানুষ ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষের সংস্পর্শে থাকবো। 

বহুগুণে গুণাবলীর অধিকারী ফেরদৌস রহমান রূপক  ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সদস্য সচিব, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির অন্যতম সদস্য, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয়  যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, সাংবাদিক , শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবক।

তিনি বলেন, আধুনিক শরীয়পুররের রূপকার ও সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত জননেতা আলহাজ্ব আব্দুর রাজ্জাকের সুযোগ্য সন্তান জননেতা আলহাজ্ব নাহিম রাজ্জাক এমপির উন্নয়নে শরীক হয়ে উপজেলাবাসীর কল্যাণে নিজেকে জনতার কাছে সমর্পণ করতে চাই। আমার জন্মভূমি ডামুড্যা উপজেলাকে “স্মার্ট উপজেলা হিসেবে রূপান্তরিত করতে জনগণের ভালবাসা ও সহযোগিতা চাই।

তিনি আরও বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো প্রকার দলীয় প্রতীক রাখেন নি।নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহনমূলক করতে এ পদক্ষেপ নিয়েছেন নেত্রী।  আমি মনে করি নির্বাচন করার অধিকার সবারই রয়েছে। আমার পদে যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দীতা করবেন তাদের জন্যও শুভকামনা রইলো।

দলমত নির্বিশেষে সকলের দোয়া, ভালোবাসা ও সহযোগিতা কামনা করেন ফেরদৌস রহমান রূপক।


আরও খবর