Logo
শিরোনাম

ইতিবাচক ধারায় বিশ্ব অর্থনীতি

প্রকাশিত:বুধবার ০২ আগস্ট 2০২3 | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

করোনা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ - কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে বৈশ্বিক সংকট। ধারণা করা হচ্ছিল, বড় রকমের আর্থিক মন্দার মুখে পড়বে বিশ্ব; দেখা দিতে পারে দুর্ভিক্ষ এবং খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে কোটি কোটি মানুষ। তবে বর্তমানে সব শঙ্কা ছাপিয়ে ইতিবাচক দিকে যাচ্ছে বিশ্বের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি।

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্রমান্বয়ে বিশ্ব অর্থনীতি ভালোর দিকে যাচ্ছে। যুদ্ধ চলমান থাকলেও এর প্রভাব কমে আসছে। এছাড়া এরই মধ্যে মহামারি কাটিয়ে ওঠেছে বিশ্ব। এসবের বাইরে সরবরাহ ব্যবস্থায় যে সমস্যা ছিল, তাও ধীরে ধীরে করোনা পূর্ববর্তী সময়ের স্বাভাবিক রূপে ফিরে এসেছে।

চলতি বছরের শুরুর প্রথম চার মাসেই বোঝা যাচ্ছিলো যতটা শঙ্কা করা হয়েছে ২০২৩ সাল নিয়ে, তার সিকিভাগও সত্যি হচ্ছে না। দুর্ভিক্ষের ভয় থাকলেও খাদ্য মূল্যস্ফীতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। খাদ্যপণ্যের দামের পাশাপাশি কমেছে জ্বালানির দাম। বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি কমতে যতটা সময় লাগবে বলে ধারণা করা হয়েছিল, তার থেকেও কম সময়ে মূল্যস্ফীতি স্বাভাবিক রূপ ধারণ করতে শুরু করেছে।

আইএমএফের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এ সবের বাইরেও যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংক ব্যবস্থা নিয়ে এক রকমের অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছিল। তবে ধীরে ধীরে সেটি কমে এসেছে। এ ব্যাপারে মার্কিন কর্তৃপক্ষ জোরালো ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করে আইএমএফ।

তবে আইএমএফ বলছে, ভয় কেটে গেলেও উদযাপন করার মতো কিছু এখনো ঘটেনি। ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক আউটলুকের তথ্য থেকে জানা যায়, গত বছর বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৮.৭ শতাংশ, যা চলতি বছর কমে ৬.৮ শতাংশে দাঁড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া ২০২৪ সালে এ মূল্যস্ফীতি আরও কমে হবে ৫.২ শতাংশ।

ইউরোপের মূল্যস্ফীতি নিয়ে সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভোক্তা পণ্যের মূল্যস্ফীতি (সিপিআই) এখন থেকেই কমতে শুরু করেছে। গত জুনে এ মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে সাড়ে ৫ শতাংশ, যা জুলাইতে আরও কমতে পারে। যদিও আইএমএফ বলছে, মূল্যস্ফীতি কমলেও প্রবৃদ্ধির হার আশানুরূপ বাড়বে না। গত বছর প্রবৃদ্ধির হার সাড়ে ৩ শতাংশ হলেও, চলতি বছর এবং আগামী বছর তা কমে ৩ শতাংশ হবে। তবে ইউরোপের চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে ইউরোর মূল্যমান বাড়াটা বলছে সব ঠিক থাকলে চলতি বছর প্রবৃদ্ধিও বাড়তে পারে।

বেরেনবার্গের প্রধান অর্থনীতিবিদ হোলগার শিমেডিং বলেন, ইউরোপ থেকে পুতিনের কুছায়া সরে যাচ্ছে। মূল্যস্ফীতি সহনশীল হচ্ছে, বাড়ছে চাকরির হার এবং বেতনের প্রবৃদ্ধি। আগামী কয়েক মাসে অবস্থা আরও উন্নতির দিকে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

আইএমএফ বলছে, প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি এবং মূল্যস্ফীতি হ্রাস প্রমাণ করে বিশ্ব অর্থনীতি ঠিক পথে হাঁটছে। তবে এতকিছুর মধ্যে মূল্যস্ফীতি কমাতে ব্যাংকগুলো যে কঠিন নীতি অনুসরণ করছে সেটি চলতে থাকলে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত এবং সমাজের মধ্যবিত্ত শ্রেণী বিপদের মুখে পড়বে। এছাড়া সামষ্টিক মূল্যস্ফীতি কমলেও এর বাইরের কেন্দ্রীয় মূল্যস্ফীতি (জ্বালানি ও খাবারের দাম) কমছে অপেক্ষাকৃত ধীরে। এতে করে দিনশেষে শঙ্কা না থাকলেও কিছুটা ঝুঁকি থেকেই যায়।

এদিকে, বৈশ্বিক চাকরির বাজার নিয়ে আইএমএফ বলছে, দিনকে দিন বেকারত্বের হার কমে এসেছে। করোনার সময়ে যে বেকারত্বের হার বিশ্বকে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল সেটি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক। শুধু চাকরি না, বেড়েছে বেতনও, তবে বাজারে পণ্যের দামের সঙ্গে এখনো বেতনের সামঞ্জস্য হতে সময় লাগবে। তবে অর্থনীতির দিক দিয়ে বিবেচনা করলে, শ্রমমূল্য কম থাকায় পণ্য উৎপাদনে খরচ কম হবে। এতে মূল্যস্ফীতি আরও কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এভাবে মূল্যস্ফীতি কমতে শুরু করলে বেতন ও পণ্যের দামের ব্যবধান অনেকটাই কমে আসবে বলে ধারণা করছে সংস্থাটি।

চলতি বছর মার্চে ব্যাংকিং ব্যবস্থা নিয়ে এত সমস্যা থাকার পরেও শেয়ারবাজারে এর প্রভাব তুলনামূলকভাবে কম পড়েছে। বিশেষ করে টেক কোম্পানিগুলোতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার কোম্পানিগুলোর গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়েছে এবং এতে করে বেড়েছে এ সংশ্লিষ্ট শেয়ারের দাম। উন্নয়নশীল এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলোতে ডলার নিয়ে যে হাহাকার দেখা দিয়েছিল তাও আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে আইএমএফ।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সাল থেকে মূল্যস্ফীতির একটি বড় ঝাপটা আঘাত হেনেছিল বিশ্ব অর্থনীতিতে। সেসময় মূল্যস্ফীতি সামাল দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো কঠোর মুদ্রানীতি অবলম্বন করেছে, যা এখনো বিদ্যমান। জুলাইয়ের ২৭ তারিখ ফেডারেল রিজার্ভ সবশেষ তাদের সুদহার বাড়িয়েছে যা ভেঙেছে গত ২২ বছরের রেকর্ড। দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ১১ বারের মতো সুদহার বাড়াল মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ। শূন্য দশমিক ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে সুদহার নির্ধারণ করা হয়েছে ৫.৫ শতাংশ। আগে যা ছিল ৫.২৫ শতাংশ।

ফেডারেল রিজার্ভ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসাবে ১৭ মাসে ১১ বারের মতো নীতি সুদের হার বাড়িয়েছে। ভবিষ্যতে সুদের হার আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মূলত মূল্যস্ফীতি ২ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনতে মুদ্রানীতি নিয়ে নানা ধরণের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে ফেড।

তবে আইএমএফ বলছে, মূল্যস্ফীতি কমতে শুরু করেছে ভেবে মুদ্রানীতি সরল করে দিলে হবে না। হঠাৎ করে মুদ্রানীতি নিয়ে অবহেলা শুরু করলে, সুদ হার কমিয়ে ফেললে হিতে বিপরীত হতে পারে। এ অবস্থায় অর্থনীতি পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে সুদহার ঠিক করা ও মুদ্রানীতি প্রণয়ন করার পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটি।

এছাড়া উন্নয়নশীল দেশগুলো যাতে নিজেদের অর্থনীতি এবং মুদ্রানীতি নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা করে সেদিকেও জোর দেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে, ভর্তুকির ব্যাপারে এসব দেশকে সাবধান করে দিয়েছে আইএমএফ। বিশ্বে জ্বালানির দাম কমতে শুরু করায়, মূল দামের সঙ্গে এর সামঞ্জস্য রেখে ধীরে ধীরে ভর্তুকি থেকে বের হয়ে আসতে হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এছাড়া জলবায়ু এবং বিশ্ব মেরুকরণের মতো বিষয়ে সামষ্টিক সমাধানের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল।


আরও খবর



নওগাঁয় ছিনতাইকৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার সহ ছিনতাইকারী আটক

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর মহাদেবপুরে গভীর রাতে রাস্তায় পথরোধ করে মোটরসাইকেল চালককে মারপিটে আহত করে মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের ঘটনায় তারেক হাসান (২৪) নামের এক যুবককে আটক করেছে মহাদেবপুর থানা পুলিশ। এঘটনায় ভুক্তভোগী মিলন নামের এক যুবক থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পরই সোমবার মহাদেবপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে আটককৃতের বাড়ি থেকে ছিনতাইকৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার সহ তাকে আটক করেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১০ এপ্রিল রাত অনুমান সোয়া ১২ টারদিকে উপজেলার ভালাইন গ্রামের শিবগঞ্জ থেকে বামনসাতাগামী রাস্তার উপর ফিংঙ্গার পুকুর সংলগ্ন যাত্রী ছাউনীর সামনে অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন দুষ্কৃতিকারী রাস্তার পথরোধ করে মিলন সহ মোটরসাইকেল আরোহী দু'জনকে এলোপাতারি ভাবে মারপিট করে তাদের ব্যবহৃত একটি সুজুকী জিসার মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়।

সত্যতা নিশ্চিত করে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রুহুল আমিন বলেন,  মহাদেবপুর সার্কেল (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) জয়ব্রত পালের নেতৃত্বে মহাদেবপুর থানার অফিসার ও ফোর্সের সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনার জন্যে একটি শক্তিশালী চৌকশ পুলিশ টিম গঠন করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত দস্যুদের আটকের জন্য জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত থাকায় ছিনতাইকৃত মোটরসাইকেল টি উদ্ধার সহ তারেক হাসানকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এ মামলায় জড়ীত অপরদের কেও আটকের জন্য অভিযান চলমান রয়েচে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



নোবিপ্রবিতে ‘এ’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

মোঃ সিনান তালুকদার,নোবিপ্রবি প্রতিনিধি;

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের  (GST)  গুচ্ছভুক্ত স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আজ শনিবার (২৭ এপ্রিল ২০২৪) সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। নোবিপ্রবির বিভিন্ন কেন্দ্রে বেলা ১২টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ওই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আজ ‘এ’ ইউনিটের ৪৫০২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উপস্থিত ছিল ৩৯৫৫ জন, পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ৮৭.৮৫ শতাংশ।

পরীক্ষা শুরু হলে নোবিপ্রবির মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদার-উল-আলম পরীক্ষা কেন্দ্রসমূহ ঘুরে দেখেন। এসময় নোবিপ্রবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং পরীক্ষা পরিচালনা ও আসন বিন্যাস উপ-কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. বিপ্লব মল্লিক, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও নোবিপ্রবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ আনিসুজ্জামান, রেজিস্ট্রার ও ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব জনাব মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, শৃঙ্খলা ও ভিজিল্যান্স কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুবুর রহমান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাহিম হাসানসহ শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও পরীক্ষা পরিচালনা কমিটি ও বিভিন্ন উপ-কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

হল পরিদর্শন শেষে নোবিপ্রবির মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদার-উল-আলম সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে বলেন, তীব্র তাপদাহের মধ্যে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অত্যন্ত সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় তিনি আরো বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৃতিগত দিক থেকেই অত্যন্ত মনোরম ও ছায়াসুনিবিড়। এরপরও গরমে যাতে অভিভাবকদের কষ্ট না হয় সেজন্য আমরা পর্যাপ্ত আসনের ব্যবস্থা করেছি। তিনি বলেন, পরীক্ষায় উপস্থিতির হার অনেক বেশি, যা অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। এসময় তিনি ভর্তি পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্যবৃন্দসহ, নোবিপ্রবির শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী সকলকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি নোয়াখালী জেলা প্রশাসন, নোয়াখালী পৌরসভা, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যবৃন্দ, স্থানীয় পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা, সাংবাদিকবৃন্দসহ যারা ভর্তি পরীক্ষায় সহায়তা করেছেন সবার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন তিনি।

এর আগে সকালে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস অডিটোরিয়ামে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদার-উল-আলম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে যৌথ সভায় ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।

প্রসঙ্গত, একই দিন আজ বিকেল ৩.৩০ থেকে ৪.৩০ পর্যন্ত ‘এ’ ইউনিটভুক্ত আর্কিটেকচার এর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৩ ও ১০ মে ২০২৪ তারিখে ‘বি’ ও ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




রাত ৮টার পর শপিংমল বন্ধের নির্দেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

চলমান দাবদাহ ও গ্রীষ্ম মৌসুমে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতে রাত ৮টার পর শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এ ছাড়া বিদ্যুৎ ব্যবহারে গ্রাহকদের সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে এ আহ্বান জানানো হয়।

বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, বিগত ১৫ বছরে বিদ্যুৎ খাতে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন সত্ত্বেও চলমান দাবদাহে বিদ্যুতের চাহিদা অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। তা সত্ত্বেও গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা দিতে বিদ্যুৎ বিভাগ আন্তরিকভাবে কাজ করছে। একই সঙ্গে গ্রাহকদের আরও পরিমিত ও সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ ব্যবহারে আহ্বান জানাচ্ছে।

নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। সেগুলো হলো-

রাত ৮টার পর শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা। নিম্নহারে বিদ্যুৎ বিল সুবিধা প্রাপ্তির লক্ষ্যে দোকান, শপিংমল, পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে অতিরিক্ত বাতি ব্যবহারে বিরত থাকা। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী হলিডে স্ট্যাগারিং প্রতিপালন করা।

এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর উপরে রাখা। দুর্ঘটনা এড়ানোর লক্ষ্যে হুকিং বা অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে বিরত থাকা। বেআইনিভাবে ইজিবাইক ও মোটরচালিত রিকশার ব্যাটারি চার্জিং থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এ ছাড়া বিদ্যুতের অপচয় রোধে বিদ্যুৎসাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ব্যবহারের পরামর্শও দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।

বিদ্যুৎ সেবা প্রাপ্তিতে যে কোনো অভিযোগ বা তথ্যের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের হট লাইন নম্বর ১৬৯৯৯ যোগাযোগের অনুরোধ করা হয়েছে।


আরও খবর



লাফিয়ে বাড়ছে দুর্ঘটনা, মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

ঈদুল ফিতর আর বাংলা নববর্ষ মিলিয়ে এবার দীর্ঘ ছুটি ছিল। এমন ছুটিতে গ্রামে যাওয়ার সুযোগ কে হাতছাড়া করে? তবে উসবেও আমাদের একমাত্র উকণ্ঠা হয়ে দাঁড়িয়েছে সড়ক দুর্ঘটনা। পৃথিবীর প্রত্যেক জনপদেই উসব পালিত হয়। কিন্তু কোনো নাশকতা ছাড়া শুধুমাত্র সড়ক দুর্ঘটনায় এত মানুষ হতাহতের নজির বোধ হয় অন্য কোথাও নেই। 

ঈদের ছুটি কাটিয়ে শহরে ফেরার পথে বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। এর মধ্যে গাড়ির উচ্চগতি, ওভারটেক, ঝাঁকুনি কিংবা হার্ডব্রেক অবচেতনে ডেকে আনছিল মৃত্যুভয়। তবে শেষমেশ নিরাপদেই ফিরতে পেরেছি। তবে কারো কারো কপালে সে ভাগ্য হয়নি। এবারের ঈদযাত্রায়ও সড়ক দুর্ঘটনার খবর গণমাধ্যমে এসেছে প্রতিদিনই।

গত ১৬ এপ্রিল ফরিদপুরের কানাইপুরে বাস ও পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে ১৪ জন নিহত হয়েছে। অন্যদিকে ১৭ এপ্রিল ঝালকাঠির গাবখান সেতুর টোল প্লাজায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সিমেন্টবাহী একটি ট্রাকের ধাক্কায় সামনে দাঁড়িয়ে থাকা বিভিন্ন গাড়ির আরও ১৪ আরোহী নিহত হয়। দুর্ঘটনায় নিহতের এ তালিকায় যোগ হয়েছে তরুণ সংগীতশিল্পী মতিউর রহমান হাসান ওরফে পাগল হাসানের নাম। ১৮ এপ্রিল সকালে কনসার্ট থেকে ফেরার পথে সুনামগঞ্জের ছাতক পৌর শহরের সুরমা সেতুর কাছে বাস ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে সঙ্গীসহ নিহত হয়েছেন পাগল হাসান।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য বলছে, ঈদযাত্রা শুরুর দিন (৪ এপ্রিল) থেকে ১৮ এপ্রিল কর্মস্থলে ফেরা পর্যন্ত ১৫ দিনে সড়কে ৩৯৯টি দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত ও এক হাজার ৩৯৮ জন আহত হয়েছে। এই সময়ে রেলপথে ১৮টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত ও ২১ জন আহত হয়েছে। নৌ-পথে দুটি দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত ও ৫ জন আহত হয়েছে। সবমিলিয়ে সড়ক, রেল ও নৌ পথে ৪১৯টি দুর্ঘটনায় ৪৩৮ জন নিহত ও এক হাজার ৪২৪ জন আহত হয়েছে।

অন্যদিকে গত বছর ঈদুল ফিতরে ৩০৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৮ জন নিহত ও ৫৬৫ জন আহত হয়েছিল। গত বছরের তুলনায় এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ৩১.২৫ শতাংশ, প্রাণহানি ২৪.০৮ শতাংশ ও আহত ১৪৭.৪৩ শতাংশ বেড়েছে। আর এসব দুর্ঘটনায় যথারীতি মোটরসাইকেলই শীর্ষে রয়েছে। এবারের ঈদে ১৯৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৫ জন নিহত ও ২৪০ জন আহত হয়েছে; যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪৯.৬২ শতাংশ, নিহতের ৪০.৫৪ শতাংশ এবং আহতের ৩০.৩৭ শতাংশ প্রায়।

যদিও সব দুর্ঘটনার খবর গণমাধ্যমে আসে না। তাই প্রকৃত দুর্ঘটনার সংখ্যা আরও বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যাত্রী কল্যাণ সমিতির পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আট বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোট ৬০ হাজার ৮৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহায় তিন হাজার ৮৬২ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে চার হাজার ৪৭৫ জনের। অর্থা শুধুমাত্র ঈদের মৌসুমেই সড়ক দুর্ঘটনায় ৭.৩৫ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্য বলছে, গত ১১ এপ্রিল ঈদের দিনে সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সবমিলিয়ে ঈদের আগে-পরে ছয় দিন এবং ঈদের দিন মিলিয়ে সাত দিনে সারা দেশে মোট ১১৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১২২ জন নিহত এবং আহত হয়েছে আরো অন্তত ১৯৫ জন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ৩৬ শতাংশের বেশি জাতীয় মহাসড়কে, ৩৪ শতাংশের বেশি আঞ্চলিক সড়কে, ১৮ শতাংশ গ্রামীণ সড়কে এবং প্রায় ১১ শতাংশ শহরের সড়কে সংঘটিত হয়েছে। দুর্ঘটনার তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, বর্তমান সময়ে মোট দুর্ঘটনার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ঘটে মোটরসাইকেলে। যার মধ্যে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৫৫.১১ শতাংশ, মুখোমুখি সংঘর্ষে ২১.২৫ শতাংশ, অন্য যানবাহনের সঙ্গে মোটরসাইকেলে ধাক্কা বা চাপায় ২৩.৬২ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের অধিকাংশই উঠতি বয়সী তরুণ।

স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক উন্নয়ন হয়েছে। আর বর্তমান সরকারের সময়ে যে পরিমাণ নতুন রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কার হয়েছে তা অতীতের সব রেকর্ড ছাপিয়ে গেছে। ১৯৭১ সালে মাত্র তিন হাজার ৬০০ কিলোমিটারের সড়ক দিয়ে শুরু করা বাংলাদেশে বর্তমানে তিন লাখ ৭৫ হাজার কিলোমিটারে সড়ক রয়েছে। এরমধ্যে জাতীয় ও আঞ্চলিক মিলিয়ে ২২ হাজার কিলোমিটার মহাসড়ক আছে।

এসব সড়ক নিয়ন্ত্রণে কাজ করে হাইওয়ে পুলিশের ৭৩টি ইউনিটের প্রায় তিন হাজার সদস্য। ইতিমধ্যে দেশে অনেকগুলো মহাসড়ক, এক্সপ্রেসওয়ে, ফ্লাইওভার, ওভারপাস, আন্ডারপাস, ওভারব্রিজ নির্মিত হয়েছে। দুই লেনের মহাসড়ক চার লেনে পরিণত হয়েছে আর চার লেনগুলো আট লেনে পরিণত হবে।

অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের ফলে ‘সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮’ প্রণয়ন করা হয়েছে। এত এত অবকাঠামো উন্নয়ন, জনবল মোতায়েন এবং পরিবহন আইন সংস্কার সত্ত্বেও সড়কে শৃঙ্খলার অভাব রয়ে গেছে, যা রোজার ঈদ আর কোরবানির ঈদে প্রকট আকার ধারণ করে।

ঈদযাত্রায় দুর্ঘটনা কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ার কারণ বিশ্লেষণে দেখা যায়: ফিটনেসবিহীন যানবাহন, ভাঙাচোরা সড়ক, অদক্ষ চালক, দুর্নীতি, ট্রাফিক তদারকির অভাব, অপ্রশস্ত সড়ক, বেপরোয়া গতি, মহাসড়কে মোটরসাইকেল, তিন চাকার গাড়ি চলাচল ইত্যাদি। পরিবহনের তুলনায় যাত্রী কয়েকগুণ বৃদ্ধি ও পরিবহন মালিকের অতিমুনাফার লোভে ফিটনেসবিহীন গাড়ি ও অদক্ষ চালক রাস্তায় নামানো হয়। সড়ক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিদের কর্তব্যে অবহেলা ও দুর্নীতি সড়ক শৃঙ্খলার অন্তরায়। এমনকি মহাসড়কে অনভ্যস্ত শহুরে সিটি বাসগুলো সড়কে চাপ তৈরি করে। আর অধিক ট্রিপ পাওয়ার আশায় বিরতিহীন ও বেপরোয়া গতিতে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টাও দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।

 


আরও খবর



ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওতে বন্ধ হচ্ছে বাইক

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে হাইওয়ে পুলিশ ও বিআরটিএ। এ সময় মাত্রার অতিরিক্ত গতি, ওভার ট্রাকিং ও হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার করাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে যাত্রীবাহী বাসের চালক ও প্রাইভেট কারসহ ১১টি যানবাহনকে ২৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত মহাসড়কের তিনটি পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন বিআরটিএর এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শিফা নুসরাতসহ হাঁসাড়া হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা। এ সময় অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার ও হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, মহাসড়কের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে শিগগিরই কঠোর পদক্ষেপে যাচ্ছে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ। ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় শিগগিরই সিসিটিভির মাধ্যমে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হবে মহাসড়কে। এছাড়া প্রথম দিনের অভিযানে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে যাত্রী ও পথচারীদের অনীহা ও যানবাহনের ওভার ট্রাকিংসহ অতিরিক্ত গতিতে চলাচলের চিত্র চোখে পড়েছে। ফলে দ্রুত এসব বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে যানবাহন ও চালকদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগের মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে স্থায়ীভাবে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 এছাড়া শিগগিরই মহাসড়কের মূল সড়কের মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে। এ বিষয়ে প্রস্তুতিও নেয়া হচ্ছে, তবে নিয়ম মেনে মহাসড়কের পাশে সার্ভিস লেনে চলতে পারবে মোটরসাইকেল। কারণ গত এক বছরের মহাসড়কের দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান অনুযায়ী সব থেকে বেশি দুর্ঘটনার স্বীকার হয়েছে মোটরসাইকেল চালক ও যাত্রীরা, যার সংখ্যা প্রায় ৪০ শতাংশেরও বেশি।

অন্যদিকে হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মহাসড়কে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন মোটরসাইকেল আরোহীরা। ফলে শিগগিরই মহাসড়কে হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এছাড়া স্পিডগানের মাধ্যমে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে পদ্মা সেতুর উভয় প্রান্তে মহাসড়কে বৃদ্ধি করা হচ্ছে হাইওয়ে পুলিশের নজরদারি।

এছাড়া সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিআরটিএ চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) অতিরিক্ত সচিব নুর মোহাম্মদ মজুমদার ও হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে বিআরটিএর সদর কার্যালয়ের আদালত ৪ এর ম্যাজিস্ট্রেট শিফা নুসরাত এসব অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় মহাসড়কে ৯৫ থেকে ১১৫ গতিতে যেসব যানবাহন চলাচল করে সেগুলোকে জরিমানা করা হয়েছে। এতে ১১টি যানবাহন থেকে মোট ২৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা মহাসড়কে যানবাহনের দ্রুত গতির কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ার ফলে অসংখ্য মানুষকে প্রাণহানিসহ পঙ্গুত্ব বরণ করতে হচ্ছে। এটিকে গুরুত্ব দিয়ে এমন জোরালো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।


আরও খবর