Logo
শিরোনাম

ইউক্রেনে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধপ্রস্তুতির আহ্বান ন্যাটোপ্রধানের

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেন পাল্টা আক্রমণ শুরু করলেও এই যুদ্ধ খুব শিগগির শেষ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন ন্যাটো প্রধান জেন্স স্টলটেনবার্গ। তিনি বলেছেন, শুরুর দিকে যা ধারণা করা হয়, বেশিরভাগ যুদ্ধই তার চেয়ে বেশিদিন টিকে। তাই আমাদের অবশ্যই ইউক্রেনে দীর্ঘ যুদ্ধের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে।

জার্মানির ফাঙ্ক মিডিয়া গ্রুপকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন ন্যাটো মহাসচিব। রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত হয়েছে সাক্ষাৎকারটি।

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় আক্রমণ শুরু করেছিল রাশিয়া। গত জুনে তার পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছে ইউক্রেন। রুশ বাহিনীর হাত থেকে ইউক্রেনের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চল পুনরুদ্ধারের এই প্রচেষ্টায় অবশ্য এখন পর্যন্ত খুব একটা সফল হতে পারেনি কিয়েভ।

স্টলটেনবার্গ বলেছেন, আমরা সবাই দ্রুত শান্তির আশা করছি। তবে একই সঙ্গে এটিও স্বীকার করতে হবে, যদি প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ইউক্রেনীয়রা লড়াই বন্ধ করে দেন, তাহলে তাদের দেশের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। যদি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও রাশিয়া অস্ত্র নামিয়ে রাখে, তাহলেই শান্তি আসবে।

ইউক্রেনকে পশ্চিমা সামরিক জোটের সদস্য করার বিষয়ে তিনি বলেন, ঘটনাক্রমে ইউক্রেন যে ন্যাটোর সদস্য হবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। গত জুলাইয়ের সম্মেলনে ন্যাটোর আরও কাছাকাছি এসেছে কিয়েভ।

ন্যাটো প্রধানের কথায়, এই যুদ্ধ যখন শেষ হবে, তখন ইউক্রেনের জন্য নিরাপত্তার গ্যারান্টি দরকার। নাহলে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে।

ভিলনিয়াসে জুলাইয়ের শীর্ষ সম্মেলনে ন্যাটো নেতারা সম্মত হয়েছেন, কিছু শর্ত পূরণ করলেই এই জোটে যোগ দিতে পারবে ইউক্রেন। এসব শর্তের মধ্যে দেশটিতে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন রক্ষায় প্রয়োজনীয় আইনি সংস্কার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির কর্মকর্তারা।


আরও খবর



দাম কমল ডিম-পেঁয়াজ-আলুর

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

বাজারের লাগাম টানতে ডিম-পেঁয়াজ-আলুর সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য বেঁধে দেয় সরকার। কিন্তু সরকারের নির্ধারণ করে দেওয়া দামে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না এসব পণ্য। এমন পরিস্থিতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে শনিবার রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় অভিযান চালাতে যায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। খবরটি শোনার পর এসব পণ্যের দাম কমিয়ে দেয় ব্যবসায়ীরা।

নিউমার্কেটে এলাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর অভিযান চালাতে গেলে দাম কমিয়ে পণ্য বিক্রি করতে দেখা যায়।

সরেজমিনে নিউমার্কেট কাঁচাবাজার এলাকায় দেখা গেছে, ভোক্তা অধিকারের অভিযানের খবর শোনার পর ব্যবসায়ীরা প্রতিটি দোকানে মূল্য তালিকা ঝুলিয়ে দেন। যদিও সকাল থেকে তালিকা প্রদর্শনে ছিল না তেমন তোড়জোড়।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের আসার খবরে কিছু দোকানে আলু, পেঁয়াজ, ডিম কম আগের চেয়ে কম দামে বিক্রি করতে দেখা যায়। তবে অধিকাংশ দোকানে সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে পণ্য বিক্রি করতে দেখা যায়নি। কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলেন, বেশি দামে আগে এসব পণ্য কিনে রাখায় তারা সরকারের নির্ধারিত দামে বিক্রি করতে পারছেন না। এজন্য অনেকে চালান রশিদ দেখান। তবে অভিযানকালে তাদের কিছুটা দাম কমিয়ে পণ্য বিক্রি করতে দেখা গেছে।

গত বৃহস্পতিবার দেশি পেঁয়াজ, ডিম ও আলুর সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য বেঁধে দেয় সরকার। সেদিন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছিলেন, এখন থেকে খুচরা পর্যায়ে প্রতিটি ডিমের দাম হবে সর্বোচ্চ ১২ টাকা, প্রতি কেজি আলু ৩৬ এবং দেশি পেঁয়াজ ৬৫ টাকা। যা সেদিন থেকেই কার্যকর হওয়ার কথা।

কিন্তু গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরলেও কোথাও সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে এসব পণ্য বিক্রি করতে দেখা যায়নি। খুচরা পর্যায়ে দেশি পেঁয়াজ ৭৫-৮০ টাকা কেজি, আলু ৪৫ টাকা ও ডিম ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। ব্যবসায়ীরা দাম না কমালে হার্ডলাইনে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে। এরই অংশ হিসেবে আজ নিউমার্কেট কাঁচাবাজার এলাকায় অভিযানে যায় ভোক্তা অধিদফতর। অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মাগফুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন অভিযানে অংশ নিয়েছেন।

জানা যায়, সকালে দোকানিরা আলু বিক্রি করছেন ৪৫-৫০ টাকা কেজি দরে। কিন্তু ভোক্তা অধিকারের অভিযানের সংবাদে দোকানিরা দাম কমিয়ে দেয়। অভিযানের প্রভাব পড়েছে পেঁয়াজ ও ডিমের বাজারেও। এসব পণ্যেও আগের চেয়ে কিছুটা কম দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

অভিযানকালে অনেক দোকানিকে চালান রশিদ দেখতে অপারগতা প্রকাশ করতেও দেখা গেছে।

মাছবাজারেও দোকানিদের দাম পরিবর্তন করতে দেখা গেছে। অনেকেই নতুন করে প্রদর্শন করেছেন তালিকা। কেউ কেউ তালিকায় পণ্যের দাম লিখছেন।

নিউমার্কেট বনলতা মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির আহ্বায়ক মো. বাদল মিয়া জানান, সকল ব্যবসায়ীদের মূল্য তালিকা প্রদর্শনসহ চালান রশিদ রাখার নির্দেশনা দেওয়া আছে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই খুচরা ব্যাবসায়ীরা যেখান থেকে পণ্য ক্রয় করেন, তারাই মালের রশিদ দেয় না বলেও দাবি তার।


আরও খবর

পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১৪.৪৬ শতাংশ

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩

এক কোটি লিটার ভোজ্যতেল কিনবে সরকার

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।

 ১৭ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা ১২ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে গেছে।

লন্ডনে হিথ্রো বিমানবন্দরে চার ঘণ্টা যাত্রা বিরতির পর ফ্লাইটি স্থানীয় সময় ১৭ সেপ্টেম্বর রাত ১০টা ৫০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ১৮ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা ৫০ মিনিট) নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।

জাতিসংঘে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিত এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন।

প্রধানমন্ত্রী ১৭ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে অবস্থানকালে ১৯ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সাধারণ পরিষদ হলে ৭৮তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের প্রথম দিনের উচ্চ পর্যায়ের সাধারণ আলোচনায় যোগ দেবেন। তিনি ২২ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় দুপুর ১টা থেকে ২টার মধ্যে সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। ১৯ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আয়োজিত নৈশভোজেও প্রধানমন্ত্রী যোগ দেবেন।

সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদানের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সংকট এবং জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি), সার্বজনীন স্বাস্থ্য ও অর্থসহ বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় ও সৌজন্যমূলক বৈঠকে অংশ নেবেন।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সরকারপ্রধানের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেওয়া নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানান, অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও প্রধানমন্ত্রী সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান করবেন। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর সাধারণ বিতর্ক পর্বে বাংলাদেশের পক্ষে তার বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে। তিনি বক্তব্যে বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়ন অগ্রযাত্রা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্যখাতে সাফল্য বিষয়ের ওপর আলোকপাত করবেন।

তিনি বলেন, পাশাপাশি, বিশ্বশান্তি, নিরাপত্তা, নিরাপদ অভিবাসন, বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিক সংকট, জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা সম্পর্কিত বিষয়গুলো প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসবে। পাশাপাশি প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও সাধারণ বিতর্ক পর্ব চলাকালীন বেশ কিছু উচ্চ পর্যায়ের সভায় প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণের কথা রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী ২৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টায় (নিউইয়র্ক সময়) ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে নিউইয়র্ক ত্যাগ করবেন। তিনি ২৩ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটনে অবস্থান করবেন।

প্রধানমন্ত্রী ২৯ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে (বিএ-২৯২) রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে (ওয়াশিংটন সময়) লন্ডনের উদ্দেশে ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করবেন এবং ৩০ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন।

বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানাবেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম।

প্রধানমন্ত্রী ৩ অক্টোবর রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে (লন্ডন সময়) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের (বিজি ২০৮) একটি ফ্লাইটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন এবং ৪ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টায় (বাংলাদেশ সময়) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন।


আরও খবর

সন্ত্রাসীদের তালিকা করছে র‌্যাব

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




প্রবাসীদের প্রতি দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রতি তাঁর আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, “আমি দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্য আপনাদের সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।” যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা লন্ডনে শেখ হাসিনার অবস্থানকালীন আবাসস্থলে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন, বিদেশে অবস্থানকারী কতগুলো গোষ্ঠীর লোকজন ইচ্ছাকৃতভাবে দেশের বিরুদ্ধে অপবাদ দিচ্ছে। তিনি বলেন, “এদের মধ্যে কিছু লোক আছে, যারা বিভিন্ন অপরাধ, অপকর্ম বা দুর্নীতি করে দেশ ছেড়েছে, বা অবৈধ কাজের কারণে চাকরি হারিয়েছে-  তারা ইচ্ছাকৃতভাবেই দেশের বিরুদ্ধে অপবাদ ছড়াচ্ছে। তারা (সরকারের) কোনও ভাল ও উন্নয়নমূলক কাজ দেখেন না, বরং তারা সারা বাংলাদেশে সব সময়ে শুধু সমস্যাই খুঁজে পান।” এই ঘৃণ্য অপপ্রচার মোকাবিলায় ডিজিটাল ও সামাজিক প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কর্মকা-ে সম্পৃক্ত হওয়ার নির্দেশনা দিয়ে তিনি তাঁর দলের নেতাকর্মীদের বলেন, আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সদস্যরা যেন দেশের মানুষের কাছে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের প্রচার চালায়। 

সরকার এবং দেশের উন্নয়ন কর্মকা-ের সমালোচকদের সারা বাংলাদেশে ঘুরে দেখার অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ বাংলাদেশে কোনো অভিযোগ নেই। তিনি বলেন, “আমি দাবি করতে পারি যে- বাংলাদেশের গ্রামীণ জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নীত হয়েছে এবং আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে, আমরা তাদের উন্নত জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় অবশিষ্ট সব কাজ করব।” আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কারণে বাংলাদেশে দারিদ্র্য ৪১ শতাংশ থেকে ১৮ শতাংশে নামিয়ে আনার উল্লেখ করে- তিনি বলেন, চরম দারিদ্র্য মাত্র ৫ শতাংশে নেমে এসেছে এবং বেকারত্বের হার এখন মাত্র ৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান ও অন্যান্য সামরিক স্বৈরশাসক অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পর, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ১৯৮০ সালে লন্ডন থেকেই বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলন শুরু করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে নির্বাচনে জয়লাভ করে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে স্থিতিশীল গণতন্ত্র বজায় রয়েছে। তিনি বলেন, “গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কারণেই আজ দেশ এই অভূতপূর্ব উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করছে। দেশের অভ্যন্তরে আগুন সন্ত্রাসের মতো স্থানীয় ও বৈশ্বিক উভয় সমস্যা কাটিয়ে, আমরা এখন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।”

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় মেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “আমার বাবা দেশের স্বাধীনতা এনেছেন এবং এই স্বাধীনতাকে ব্যর্থ করা যাবে না। এই স্বাধীনতার সুফল দেশের সকল মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। আর এ জন্যই আমার সংগ্রাম।”

প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের কথাও শোনেন এসময়ে। তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতারা নতুন কমিটি গঠনের মাধ্যমে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে সর্বসম্মতভাবে দাবি জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। এতে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর

সন্ত্রাসীদের তালিকা করছে র‌্যাব

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




রাজ-পরী: প্রেম, পরিণয় ও বিচ্ছেদের গল্প

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

‘গুণিন’ ছবির শুটিংয়ে নববধূ সেজেছিলেন পরীমণি। বর শরিফুল রাজ। এই নবদম্পতিকে ক্যামেরায় ফ্রেমবন্দি করেছিলেন পরিচালক গিয়াসউদ্দিন সেলিম। সেদিন এই নির্মাতা নিজেও হয়তো কল্পনা করেননি, তাঁর ছবির বর-বধূ বাস্তবেও গাঁটছড়া বাঁধবেন।


গিয়াসউদ্দিন সেলিম মজা করেই পরীকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘কী বর পছন্দ হয়েছে?’ জবাবে পরী এক চিলতে মিষ্টি হাসি দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর মনের কথা। এরপর ক্যামেরার একেকটি ফ্রেমে নিজেদের বন্দি করতে গিয়ে কখন যে মন-দেওয়া নেওয়া হয়ে গেছে, সেটা রাজ-পরী নিজেরাও বুঝতে পারেননি। ছবির কলাকুশলীরা ঠিকই আন্দাজ করেছিলেন। তাই কানাঘুষাও থেমে ছিল না। কারণ একটাই, প্রেমের খবর গোপন করা কারও জন্য সহজ নয়।


২০২১ সালে শুরু হয়েছিল ‘গুণিন’ ছবির শুটিং। মাঝে কেটে গেছে একটি বছর। ততদিনে রাজ-পরীর প্রেমের খবর অনেকের জানা হয়ে গেছে। অনুরাগীরা তাই অপেক্ষায় ছিলেন পরিণয়ের ঘোষণা শোনার। অবশ্য সেই শুভ সংবাদ শোনার জন্য অবশ্য বেশিদিন অপেক্ষায় থাকতে হয়নি। গুঞ্জনের সমাপ্তি ঘটিয়ে গত বছরের ২২ জানুয়ারি রাতে পরিণয় সম্পন্ন হয় দুই তারকার। আগের দিন ২১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় হলুদসন্ধ্যা। বিয়ের আয়োজনও একেবারে সাদামাটা ছিল না। তাদের বিয়েতে অতিথিও হয়েছিলেন বিনোদন অঙ্গনের তারকারা। ছিলেন রাজ-পরীর প্রেমের সূত্রধর নির্মাতা গিয়াসউদ্দিন সেলিম, চয়নিকা চৌধুরী, রেদওয়ান রনিসহ ক্যামেরার পেছনের মানুষগুলো।


এতকিছু যখন হয়ে গেল, তখন হঠাৎ বেরিয়ে এলো আরেক গোপন খবর। ‘গুণিন’-এর শুটিং চলাকালেই বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। সেই তারিখটা হলো ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর। বিয়ে একবার হোক বা দু’বার, পাত্র-পাত্রী তো বদলে যাননি– তাহলে আর সমস্যা কোথায়? এ প্রশ্নই ছিল অনেকের। তাই এ নিয়ে আর জলঘোলাও হয়নি। এমনকি বিয়ের বছর পূর্ণ হতে না হতেই পরীর মা হতে খবরেও চমকে যাননি অনুরাগীরা। তাদের কাছে সবই স্বাভাবিক মনে হয়েছে।


এ পর্যন্ত রাজ-পরীর প্রেমের গল্পটা বহুপঠিত সাদামাটা গল্পের মতোই। কাহিনির বাঁকবদল মূলত বিয়ের কিছুদিন পর। এমনিতেও পরীমণির জীবন কাহিনিতে নাটকীয় ঘটনার কমতি ছিল না কোনোকালেই। কখনও তা হয়ে উঠেছে রোমহর্ষক, নয়তো করুণ রসের। প্রেম কিংবা প্রবঞ্চনার ঘটনাবহুল অধ্যায়ও যোগ হয়েছে সেই কাহিনিতে। তবু পেছনের বিষাদময় সব অধ্যায় ছুড়ে ফেলে নতুন করে পরীর স্বপ্ন বুনন শুরু হয়েছিল পুত্র শামীম মুহাম্মদ রাজ্যের পৃথিবীতে আগমনে। কিছুদিন যেতে না যেতেই স্বামীকে ঘিরে তাঁর মনে জমতে থাকে সন্দেহের মেঘ। যে কারণে বেশ কয়েকবার রাজ-পরী দু’জনই সরে গেছেন দু’দিকে। সত্যি এটাই, ক’দিন পরপর রাজ-পরী বিচ্ছেদের আভাস, একে অপরকে ছেড়ে থাকার খবরে অনেকটাই বিরক্ত হয়ে পড়েছিলেন তাদের ভক্ত-অনুরাগীরাও।


এবার আর কোনো আভাস নয়, পরীমণি সরাসরি জানিয়ে দিলেন, ‘গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাজকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দিয়েছেন। হয়তো তা কার্যকরও হয়ে যাবে শিগগিরই।’ পরীর কথায়, ‘যার সঙ্গে শারীরিক, মানসিক সম্পর্ক নেই, যে একরকম আমাকে ছেড়ে চলেই গেছে, তাঁর সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা যায় না।’ এই যখন খবর, তখন রাজ কথা বললেন ভিন্ন সুরে। বিস্ময় প্রকাশ করে বললেন, ‘পরী ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছে নাকি! কই, আমি তো কিছু জানি না। এই প্রথম শুনলাম। মাত্রই ঘুম ভেঙেছে আমার, তাই এ বিষয়ে কোনো কিছু বলতে পারছি না। তাছাড়া কোনো কিছু ঠিকভাবে জানিও না।’


আরও খবর

ইতিহাস গড়লেন শাহরুখ

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নতুন চরিত্রে শ্রাবন্তী

শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ওমরাহ পালনে নারীদের পোশাক নির্ধারণ করল সৌদি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

ওমরাহ পালন করতে যাওয়া মুসলিম নারীদের পোশাক নির্ধারণ করল সৌদি কর্তৃপক্ষ। ফলে এ পোশাক পরিধান করেই মক্কার গ্রান্ড মসজিদে ওমরাহ করবেন নারীরা।

সৌদির ওমরাহ ও হজ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওমরাহ পালনের সময় নারীরা চাইলে তাদের পছন্দ অনুযায়ী যে কোনো পোশাক পরতে পারবেন। তবে তা হতে হবে নির্ধারিত নিয়ম-নীতির মধ্যে।

দেশটির মন্ত্রণালয় জানায়, নারীরা যে পোশাকই পরিধান করবে তা হবে ঢিলেঢালা, শরীরে কোনো ধরনের অলংকার থাকতে পারবে না এবং শরীর সম্পূর্ণভাবে ঢাকা থাকতে হবে।

পবিত্র হজের সময় ব্যতিত যে কোনো সময় ওমরাহ পালন করা যায়। তবে বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় ওমরাহ করতে বেশি মানুষের আগমন ঘটে। যেটিকে ওমরাহ মৌসুম হিসেবে বলা হয়। যা হজের পরপরই শুরু হয়।

গত দুই মাস আগে থেকেই সৌদি আরবে ওমরাহর মৌসুম শুরু হয়ে গেছে। দেশটি ধারণা করছে এবার ১ কোটি মুসলিম ওমরাহ করতে পবিত্র নগরী মক্কাতে আসবেন।


আরও খবর