Logo
শিরোনাম

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠান আজ

প্রকাশিত:বুধবার ২৩ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

চলচ্চিত্রের সবচেয়ে সম্মানজনক আসর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠান-২০২০। আর এতে এবারো থাকছে জমকালো সাংস্কৃতিক আয়োজন। যেখানে অংশ নেবেন চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় সব তারকা। এতে থাকছেন সিনিয়র শিল্পীরাও।

অংশ নেবেন, রোজিনা, অঞ্জনা, অরুণা বিশ্বাস। তাদের সঙ্গে একসময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়কদের দেখা যাবে। আর এ প্রজন্মের শিল্পীদের মধ্যে আছেন, ইমন-দীঘি, সাইমন-তমা, পূজা চেরীসহ বেশ কয়েকজন। জাতীয় এ আসরে প্রথমবারের মতো পারফর্ম করবেন ইমন-দীঘি ও পূজা। ইমন বলেন, আমি ও দীঘি ‘রঙিলা রঙিলা’ ও ‘সুজন সখী’ গানে নাচবো।

প্রথমবারের মতো এমনভাবে আমরা জুটি হয়ে আসছি। গতকাল চূড়ান্ত অনুশীলন হয়েছে অনুষ্ঠানস্থল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে। মূল আয়োজনে উপস্থাপনার দায়িত্বে থাকবেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস ও চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা। এবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন বরেণ্য দুই অভিনয়শিল্পী আনোয়ারা বেগম ও রাইসুল ইসলাম আসাদ। গুণী নির্মাতা ও অভিনেতা গাজী রাকায়েত পরিচালিত ‘গোর’ সর্বোচ্চ ১১টি পুরস্কার জিতে নিয়েছে। ৮টি পুরস্কার নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে চয়নিকা চৌধুরীর ‘বিশ্বসুন্দরী’।

২০২০ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারগুলো: শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র- যৌথভাবে ‘গোর’ ও ‘বিশ্বসুন্দরী’,
শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘আড়ং’, শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন ও বাংলাদেশের অভ্যুদয়’, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক গাজী রাকায়েত হোসেন (গোর), শ্রেষ্ঠ অভিনেতা সিয়াম আহমেদ (বিশ্বসুন্দরী) শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী দীপান্বিতা মার্টিন (গোর), শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব-অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু (বিশ্বসুন্দরী), শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব-অভিনেত্রী অপর্ণা ঘোষ (গণ্ডি), শ্রেষ্ঠ খল-অভিনেতা মিশা সওদাগর (বীর), শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী মুগ্ধতা মোর্শেদ হৃদ্ধি (গণ্ডি), শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার শাহাদৎ হাসান বাঁধন (আড়ং), শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক বেলাল খান (হৃদয় জুড়ে), শ্রেষ্ঠ সুরকার ইমরান মাহমুদুল (বিশ্বসুন্দরী), শ্রেষ্ঠ গীতিকার কবির বকুল (বিশ্বসুন্দরী), শ্রেষ্ঠ নৃত্যপরিচালক প্রয়াত সহিদুর রহমান (বিশ্বসুন্দরী), শ্রেষ্ঠ গায়ক- ইমরান মাহমুদুল (বিশ্বসুন্দরী), শ্রেষ্ঠ গায়িকা দিলশাদ নাহার কনা (বিশ্বসুন্দরী) ও সোমনূর মনির কোনাল (বীর), শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার গাজী রাকায়েত (গোর), শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার- গাজী রাকায়েত (গোর),  শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা- ফাখরুল আরেফীন খান (গণ্ডি), শ্রেষ্ঠ সম্পাদক- শরিফুল ইসলাম (গোর), শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক- উত্তম কুমার গুহ (গোর), শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক- যৌথভাবে পঙ্কজ পালিত (গোর) ও মাহবুব নিয়াজ (গোর), শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক কাজী সেলিম আহমেদ (গোর), শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা এনাম তারা বেগম (গোর), শ্রেষ্ঠ মেকআপম্যান- মোহাম্মদ আলী বাবুল (গোর)।



আরও খবর



৪ বিভাগে আরও ৪৮ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের চার বিভাগে আরও ৪৮ ঘণ্টার জন্য হিট আলার্ট ঘোষণা করা হয়েছে। 


শুক্রবার সন্ধ্যায় এ অ্যালার্ট ঘোষণা করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।


অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টা ঢাকা বিভাগের পশ্চিমাঞ্চল, রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপদাহ বয়ে যেতে পারে। এ সময় বাতাসে জলীয় বাষ্পে আধিক্যের কারণে গরমের অস্বস্তিকর অনুভূতি হতে পারে।


আরও খবর



শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিয়ে তর্কযুদ্ধের শেষ কোথায়?

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image


বিনোদন রিপোর্টঃ

মাসখানেক আগেই অনুষ্ঠিত হয়েছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। যেখানে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মিশা সওদাগর এবং আগের মেয়াদের বিতর্কিত সাধারণ সম্পাদক নিপুণকে হারিয়ে নতুন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ডিপজল।

নির্বাচনে হারার পর মিশা-ডিপজলকে ফুলের মালা পরিয়ে দেন নিপুণ। তবে মাস না পেরুতে পুরোনো রূপে ফিরেছেন তিনি। শুরু হয়েছে কাদা ছোড়াছুড়ি। যা রীতিমতো হাস্যরসের উপাদান হিসেবে ধরা দিয়েছে।

এমনকি বিষয়টি নিয়ে নানা মাধ্যমে বিরক্তি প্রকাশ করছেন শোবিজ অঙ্গনের অনেকে। অনেকেই ভেবেছিলেন হয়তো এবার চেয়ার দখল নিয়ে লড়াই বন্ধ হবে। কিন্তু তা ভুল প্রমাণ করে সংগঠনটি আবারও নাট্যমঞ্চে পরিণত হয়েছে।

সম্প্রতি কারচুপির অভিযোগ এনে শিল্পী সমিতির ফলাফল স্থগিত এবং নতুন নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা চেয়ে আদালতে রিট করেছেন নিপুণ। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন বাতিল ভোটের সংখ্যা সঠিক দেননি। আমার জানামতে, ৮১টি ভোট বাতিল হয়েছে।

কিন্তু নির্বাচন কমিশন ৪০টি ভোট বাতিল দেখিয়েছে। এ নিয়ে স্পষ্ট করে কোনো কিছুই আমাদের প্যানেলকে জানায়নি তারা।’


নিপুণ জানালেন, আরও আগেই রিট করার কথা ভেবেছিলেন তিনি। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতা এবং জরুরি কাজে বিদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করে রাখায় সেটা সম্ভব হয়নি। এদিকে বিষয়টি শুধু রিটেই আটকে নেই। এরই মধ্যে বাকযুদ্ধে পরিণত হয়েছে। ডিপজলকে ‘অশিক্ষিত’ বলে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন নিপুণ। ডিপজলও যথা সময়ে উত্তর দিয়েছেন।

নিপুণ ডিপজলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘স্যরি টু সে, আমাকে বলতে হচ্ছে—শিল্পী সমিতিতে এমন একজন সেক্রেটারি পদে এসেছেন যার কোনো শিক্ষা নেই। এটা অশিক্ষিত লোকদের জায়গা না, এটা আনকালচারদের জায়গা না। এটা কাজ করে দেখিয়ে দেওয়া লোকদের জায়গা।

শুধু কাজ করলেই হবে না, জ্ঞান থাকতে হবে, শিক্ষিত হতে হবে। আমি একজন গ্রাজুয়েট। আমার তিন প্রজন্ম গ্রাজুয়েট। আমরা তাদের সম্মান দিয়েছিলাম। কিন্তু দেখলাম তারা সেই সম্মান রাখেনি। সম্মান রাখার যোগ্য তারা নয়। তাদের এখন আইনগতভাবেই মোকাবিলা করা হবে।’


নিপুণের কটাক্ষের জবাব দিয়ে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজল বলেন, ‘সে তো বাপকেই অস্বীকার করে। রক্তের সমস্যা না হলে এমন বলতে পারে না। কারণ ও (নিপুণ) যাকে দিয়ে চলচ্চিত্র চিনেছে তাকেই ভুলে গেছে, অস্বীকার করছে। কেস খেলবা আসো। যেটা খেলার মন চায় সেটাই খেলো। আমরা চাই ভদ্রতা ও নম্রতা। আমরা চাই চলচ্চিত্র কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় সেদিকেই কাজ করব।

আমরা ঝামেলা চাই না।’ দু’জনের এমন মন্তব্য নতুন বিনোদনের রসদ জুগিয়েছে বলেই মনে করছেন অনেকে।


আরও খবর



৫১ প্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করেনি

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

চলতি বছর মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। গতবার পাসের হার ছিল ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। অর্থাৎ এ বছর পাসের হার বেড়েছে।

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় সারা দেশে শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দুই হাজার ৯৬৮টি। ৫১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীই এবার পাস করেনি।

সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, এবার পরীক্ষায় অংশ নেওয়া মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৯ হাজার ৮৬১টি। এর মধ্যে শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দুই হাজার ৯৬৮টি। ৫১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীই পাস করেনি।

২০২৪ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। গতবার (২০২৩ সালে) পাসের হার ছিল ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। অর্থাৎ গতবারের তুলনায় এবার পাসের হার বেড়েছে ২ দশমিক ৬৫ শতাংশ।

এবার ছাত্রদের পাসের হার ৮১.৫৭ শতাংশ, ছাত্রীদের পাসের হার ৮৪.৪৭। নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮৩.৭৭ শতাংশ।

প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৩ দশমিক ৯২ শতাংশ, বরিশালে ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৮ দশমিক ৪০ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮৯ দশমিক ২৬ শতাংশ, সিলেটে ৭৩ দশমিক ০৪ শতাংশ, ময়মনসিংহ ৮৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ ও যশোরে ৯২ দশমিক ৩২ শতাংশ। আর মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং কারিগরিতে পাসের হার ৮১.৩৮ শতাংশ।

রোববার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ২০২৪ সালের এসএসসির ফলাফলের সারসংক্ষেপ ও পরিসংখ্যান তুলে দেন ১১টি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরা।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় গত ১২ মার্চ। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ থেকে ২০ মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়।

এবার মোট ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৬ লাখ ৬ হাজার ৮৭৯ জন। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষা দিয়েছেন মোট ২ লাখ ৪২ হাজার ৩১৪ জন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ জন।


আরও খবর



মাভাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল দক্ষতা প্রকল্পের উদ্বোধন

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন,মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে  "ডিজিটাল স্কিল ফর স্টুডেন্টস  ইউনিভার্সিটি অ্যাক্টিভিশন প্রোগ্রাম" বিশ্বিবদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের হল রুমে ১৫ মে, ২০২৪  সালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি বিভাগের অধীনে   কম্পিউটার কাউন্সিলের ইনহ্যান্সিং ডিজিটাল গভর্মেন্ট ইকোনমি ( ইডিজিই) প্রকল্পের   আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ ফরহাদ হোসেন।

 বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন  প্রকল্প পরিচালক মোঃ সাখাওয়াত হোসেন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ আর এম সোলাইমান ।  স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের  কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও প্রকল্প সমন্বয়কারী ড.  মোঃ সাজ্জাদ হোসেন। সভাপতিত্ব করেন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেহেদী হাসান তালুকদার।  এ ছাড়াও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ও প্রশিক্ষনার্থীদের পক্ষে থেকেও বক্তব্য রাখেন। 

উল্লেখ্য, সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে দেশের  বর্তমান শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল  দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য  অন্যান্য  বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান  ও  প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএসই বিভাগের তত্বাবধানে  গত ৯ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে এ প্রকল্পের ট্রেনিং প্রোগ্রামের  ক্লাশ । 

১৮ মাস মেয়াদি  এ প্রকল্পের আওতায়  ২৪ টি ব্যাচে ২৫ জন করে ৬শ শিক্ষার্থীকে ৫টি ল্যাবে হাতে কলমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। 

প্রশিক্ষণ কোর্সে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের এবং টাঙ্গাইলের বিভিন্ন কলেজের অনার্স এর ৩য় বর্ষ থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত আগ্রহী  শিক্ষার্থীরা প্রশিক্ষণে অংশগ্রহন করেন।

শনি থেকে বুধবার অফিস সময়ের পরে বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা এবং বৃহস্পতি ও শুক্রবার দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কোর্সের ক্লাশ চলে। প্রতিটি ব্যাচের জন্য ২০ টি করে ক্লাশ নেয়া হয়। ৯ মার্চ থেকে কার্যক্রম শুরু হলেও আজকে এ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন  করা হয়।  

প্রধান অতিথি বলেন, এ প্রকল্পের অধীনে যে সকল শিক্ষার্থীরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছে তারা স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখবে।  এভাবে যদি আমাদের শিক্ষার্থীরা নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তোলে তাহলে ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নেও তরান্বিত করবে।


আরও খবর

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




নওগাঁয় উন্নয়নের নামে বন উজাড়!

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলারআলতাদীঘি পুনঃখননের মাধ্যমে আলতাদীঘি জাতীয় উদ্যানের জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধার সংরক্ষণপ্রকল্পের জন্য দীঘিটির চারদিকে কয়েক হাজার গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে প্রতিবাদ করছেন অনেকেই

প্রতিবাদকারীরা জানান, সম্প্রতি উদ্যানের দীঘি খনন, ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ গাছ রোপণসহ বেশ কিছু পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ১৬ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। যা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে কাটা পড়ে নানা প্রজাতির হাজারো গাছ

 এলাকাবাসির দাবি দীঘিটি অবশ্যই সংস্কার জরুরি, কিন্তু তাই বলে এভাবে নির্বিচারে চারদিকে সারিবদ্ধ সব গাছগুলো কাটতে হবে কেন? গাছগুলো রেখে কি সংস্কার করা যেত না? দীঘির চারদিক দেখে এটাকে আর দীঘি বলা যায় না, যেন এক মরুভূমি।

উদ্যানের উন্নয়ন কাজে গঠিত কমিটির সদস্যরা  বলছে, আলোচনা সভায় গাছ কাটার সিদ্ধান্ত হয়নি। হঠাৎ করে আলতাদীঘিতে এসে তিনি দেখেন গাছগুলো কেটে ফেলা হয়েছে

তবে বনবিট কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলছেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। নতুন বনায়ন হবে। একটা গাছ সারা জীবন থাকবে না। এটি সামাজিক বনায়নের আওতায় স্বল্পমেয়াদি সৃজিত উডলট বাগান

বন বিভাগ বলছে, সামাজিক বনায়নের আওতায় ইউক্যালিপটাস আকাশমনি প্রজাতির চারা দ্বারা বনায়নকৃত গাছগুলো অপসারণ করে স্থানটি দেশীয় প্রজাতির চারা দ্বারা প্রতিস্থাপন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। আলতাদীঘির খননকৃত মাটি দিয়ে নিচু স্থান সংস্কার করার জন্য দীঘির চারপাশে বিদ্যমান ৫৪৬টি ইউক্যালিপটাস ৪৫৬টি আকাশমনি গাছ যথাযথ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে ১৫টি লটে ৩৫ লাখ ৯৫ হাজার ২৫৬ টাকায় টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রয় করা হয়

আলতাদীঘি জাতীয় উদ্যান অঞ্চলে ফুসফুসের মতো কাজ করে। আমরা বিষয়ে অনেক মিটিং মিছিল মানববন্ধন করেছি, কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি। পুরানো হাজার হাজার গাছগুলো যারা নির্বিচারে কাটছেন তারা অবশ্যই অপরাধ করছেন। এসব উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বলেন, আলতাদীঘি জাতীয় উদ্যানের মধ্যে অবস্থিত দীঘিটি দীর্ঘদিন ধরে খনন সংস্কার না করার কারণে এর গভীরতা কমে গিয়ে প্রায় এক ফুটের উচ্চতার নিচে পানি ছিল। তদুপরি চারপাশ ভেঙে যাওয়ায় দীঘিটি পুনঃখনন জরুরি হয়ে পড়েছিল

আলতাদীঘি জাতীয় উদ্যানের চারপাশে বিদ্যমান গাছগুলো স্থান উপযোগী না হওয়ায় গাছগুলো কর্তন করে দেশীয় প্রজাতির চারা দ্বারা চলতি অর্থবছরের বর্ষাকালে বনায়ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। আলতাদীঘি দশমিক ৫০ মিটার খনন করা হয় এবং বর্তমান দাবদাহ তীব্র খড়ার কারণে দীঘিটি শুকিয়ে যায়

আলতাদীঘির ইতিহাস

নামকরণেও রয়েছে ঐতিহাসিক মজার ঘটনা। অনেক অনেক দিন আগের কথা। এলাকা ছিল বটু রাজার। জগদ্দলে ছিল সেই রাজার বাড়ি। তার ছিল এক দয়াবতী রানি। রানি একদিন আবদার করলেন, তাকে বড় এক দীঘি খুঁড়ে দিতে হবে। রাজা বললেন, ঠিক আছে। তুমি হাঁটতে শুরু কর। যতক্ষণ পর্যন্ত তোমার পা ফেটে রক্ত বের না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত হাঁটতে হবে। এখান থেকে হাঁটা শুরু করে যেখানে গিয়ে পা থেকে রক্ত বের হবে সেই পর্যন্ত দীঘি কাটা হবে। রানি হাঁটতে থাকলেন। হাঁটা আর শেষ হয় না। রাজা পড়ে গেলেন চিন্তায়

শেষ পর্যন্ত না পাশের দেশে গিয়ে দীঘি কাটতে হয়! তাই কৌশলে তার সৈন্য দিয়ে রানির পায়ে আলতা লাগিয়ে বললেন, রানীর পা ফেটে রক্ত বেরিয়েছে। দীঘি সে পর্যন্তই খোঁড়া হল। আর সে থেকেই এর নাম হয়েছে আলতাদীঘি। প্রায় হাজার বছরের স্মৃতি নিয়ে আজও সৌন্দর্য বিলিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী দীঘিটি

উত্তর-দক্ষিণে লম্বা আলতাদীঘির দৈর্ঘ্য প্রায় এক কিলোমিটার, চওড়া প্রায় ৪০০ মিটারের মতো। দীঘির পাড়ে দাঁড়ালে মনে হবে অনেকটাই সুন্দরবনের মতো। শীতের সময় অনেক অতিথি পাখির আগমন ঘটে এখানে


আরও খবর