এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ৩৪নং জিলবুনিয়া কামলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি দখল করে ৫/৬ টি অবৈধ স্থাপনা দোকান ঘর তৈরি করে বছরের পর বছর আটকে রেখেছে প্রভাবশালীরা। সরকারি অর্থ বরাদ্দের ২৬ লাখ টাকা ব্যায়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ ঝুঁলে রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের কামলা বাজার সংলগ্ন জিলবুনিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৫২ সালে স্থাপিত হলেও ২০১৩ সালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের এক প্রজ্ঞাপনে প্রতি ইউনিয়ন পর্যায়ে ১টি করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আপগ্রেট (৮ম শ্রেনী পর্যন্ত) পাঠদানের নির্দেশনার আদলে এ বিদ্যালয়টি এর আওতায় আসে। বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক থেকে ৮ম শ্রেনী পর্যন্ত শিক্ষার্থী রয়েছে ২৫৪ জন। কর্মরত শিক্ষক মন্ডলী রয়েছে ৫ জন।
অতিরিক্ত ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম এ ৩টি শ্রেনীর ১০৫ জন শিক্ষার্থী জন্য নির্ধারিত কোন শিক্ষক নিয়োগ নেই। রয়েছে শিক্ষক সংকটসহ নানাবিধ সমস্যা। ডেপুটেশনে সংযুক্ত ৩ শিক্ষক দ্বারা পাঠদান হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। বিদ্যালয়ে আধুনিকতার ছোঁয়ায় লেখাপড়ার মানসম্মত পরিবেশ শিশু শিক্ষার্থীদের জন্যশিক্ষানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও বঙ্গবন্ধু কর্ণার, বিনোদনের জন্য শিশুদের রয়েছে নানা সাজসজ্জা। বিদ্যালয়টিতে বাউন্ডারি না থাকায় প্রবেশের সামনেই বেদখল করে রেখেছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে পিডিপি-৪, প্রকল্পের আওতায় বিদ্যালয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্য ২৬ লাখ টাকা বরাদ্দ হলেও কাজটি শুরু করতে পারছে না ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। এ নিয়ে শিক্ষার্থী অভিভাবকদের রয়েছে ক্ষোভ।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের জমিতে স্কুলের সামনে স্থানীয় কিছু লোকজন দোকান উঠিয়ে ব্যবসা করছেন। সীমানা প্রাচীর নির্মাণের বরাদ্দ হওয়ায় তাদেরকে দোকান পাঠ সরানোর জন্য এক সপ্তাহের পূর্বে ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক নোটিশ দেওয়া হলেও তারা কোন কর্নপাত করছে না। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টার সহকারি শিক্ষা অফিসার রিপন চন্দ্র মন্ডল বলেন, বিদ্যালয়টিতে অতিরিক্ত ওই ৩টি শ্রেনীতে শিক্ষক সংকটের বিষয়ে লিখিতভাবে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদেরকে জানানো হয়েছে। এ উপজেলায় ২টি মাত্র বিদ্যালয় এ আপগ্রেটের আওতায় রয়েছে।
এ সর্ম্পকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম তারেক সুলতান বলেন, স্কুলের জমি বেদখলের বিষয়টি প্রধান শিক্ষক জানিয়েছে। সীমানা প্রাচীরের কাজটি দ্রæত যাতে হয়। সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।