Logo
শিরোনাম

রাঙ্গামাটিতে হরতাল স্থগিত

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের বৈঠক স্থগিত হওয়ায় রাঙ্গামাটিতে ৩২ ঘন্টার হরতাল প্রত্যাহার করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ।

এর আগে এই বৈঠক স্থগিতসহ সাত দফা দাবিতে মঙ্গলবার ভোরে ৩২ ঘন্টার হরতাল শুরু করে সংগঠনটি। এতে বন্ধ হয়ে যায় সড়ক ও নৌপথে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার যানবাহন। শহরের বিভিন্ন স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে পিকেটিং করে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কর্মীরা। দুপুরের পর পর পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের বুধবারের বৈঠক স্থগিতের কথা জানান কমিশনের সচিব। বেলা সাড়ে তিনটায় হরতাল প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ। 


আরও খবর



সর্বজনীন পেনশনে গ্রাহক সংখ্যা ১ লাখ ছাড়াল

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির উদ্বোধনের পর প্রায় সাড়ে আট মাসে এর চার স্কিমে গ্রাহক সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছে। এসব গ্রাহকের কাছ থেকে চাঁদা জমা পড়েছে ৫২ কোটি টাকার কিছু বেশি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের ১৭ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। সেদিন থেকেই বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীদের জন্য প্রগতি, স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য সুরক্ষা, প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য প্রবাসী ও নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য সমতা এ চার স্কিম সবার জন্য উন্মুক্ত। উদ্বোধনের পর প্রথম এক মাসে চার স্কিমে গ্রাহক হয়েছিলেন ১২ হাজার ৮৮৯ জন।

কিন্তু পরবর্তীতে এ সংখ্যা কিছুটা কমে পাঁচ মাস পর্যন্ত এক হাজার থেকে দেড় হাজার করে বাড়ছিল। তবে ষষ্ঠ মাস থেকে চাঁদাদাতার প্রবৃদ্ধি বাড়তে থাকে। আজ সোমবার পর্যন্ত প্রায় সাড়ে আট মাসে চার ধরনের পেনশন কর্মসূচিতে গ্রাহক হয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ২২৬ জন। সব গ্রাহকের কাছ থেকে চাঁদা জমা পড়েছে ৫২ কোটি ৬৬ লাখ ৫১ হাজার ৫০০ টাকা। এর মধ্যে ৪২ কোটি সরকারি ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করা হয়েছে।

এদিকে আগামী ১ জুলাইয়ের পর স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা ও তাদের অধীন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানে যারা নতুন চাকরিতে যোগ দেবেন, তাদের প্রত্যয় নামের একটি পেনশন কর্মসূচির আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।


আরও খবর



সাকিব-মাহমুদউল্লাহকে ‘একটা ভালো মেমোরিস’ দিতে চান শান্ত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image



স্পোর্টস রিপোর্টার:

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ১৯তম দল হিসেবে গত পরশু দিন নিজেদের ১৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করে বিসিবি। এই দল নিয়েই গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন টাইগাররা।

তবে তার আগে বুধবার শান্তবাহিনী সকালে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে প্রায় ঘণ্টা দুয়েক অনুশীলন করেন। সেখান থেকে ড্রেসিং রুমে গিয়ে প্রস্তুত হয়ে বৈশ্বিক ক্রিকেট আসরে যাওয়ার আগে আনুষ্ঠানিক ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করেন টাইগাররা।

সেখানে প্রথমে স্কোয়াডের ১৫ ক্রিকেটার পরবর্তীকালে কোচ ও বোর্ড সভাপতির সঙ্গে ফটোসেশন করা হয়। এরপর দুপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয় তরুণ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

সেখানেই আসন্ন বিশ্বকাপ প্রসঙ্গে কথা বলেন। এ সময় এ বৈশ্বিক ক্রিকেট আসরে স্কোয়াডে থাকা দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে ভালো স্মৃতি দেওয়ারও প্রত্যাশা করেন শান্ত।


সবশেষ ২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টাইগার স্কোয়াডে শান্তকে যুক্ত করার পর বেশ আলোচনা-সমালোচনা হয়। কারণ সে সময় ব্যাট হাতে ধারাবাহিক ছিলেন না তিনি।

তবে পরবর্তীকালে আসরটিতে দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন। পাঁচ ম্যাচে দুই ফিফটির ইনিংসের মধ্য দিয়ে ১৮০ করেন তিনি। সেখান থেকেই শান্তর ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু। এরপর ২০২৩ সালটা তো কাটিয়েছেন স্বপ্নের মতো। যদিও সম্প্রতি ব্যাট হাতে খুব বেশি একটা সুবিধাজনক অবস্থানে নেই শান্ত।

তবে বিশ্বকাপে দলের জন্য ভালো কিছু করতে পারবেন বলেই মনে করেন টাইগার তরুণ এ অধিনায়ক।

এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘অবশ্যই আমার শেষ বিশ্বকাপটায় ভালো স্মৃতি রয়েছে। আমার মনে হয় সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম। আশা করবে... এবার আমি বলব যে ব্যাটিং নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করছি, তা না, আমার যেই কঠোর পরিশ্রম করা কিংবা আমার যে জায়গায় উন্নতি করার দরকার, ঐ জিনিসগুলো আমি অনুশীলনে করছি, তো আমি আশা করছি এবং আমি আত্মবিশ্বাসী যে, ভালোভাবেই আবার ফিরে আসব।’

বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত সবকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান। তার পরই রয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সব শেষ এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে সুযোগ পেলে তিনিও সাকিবের পাশেই থাকতেন।

ধারণা করা হচ্ছে এই দুই ক্রিকেটারের এটাই এই ফরম্যাটে শেষ বিশ্বকাপ। কেননা তারা তাদের ক্যারিয়ারের গোধূলিলগ্নে রয়েছেন। সাকিবের বর্তমান বয়স ৩৭ বছর এবং মাহমুদউল্লাহর ৩৮। আর এই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে এবারের আসরে বিশেষ কিছু উপহার দিতে চান তরুণ টাইগার অধিনায়ক।

এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এখনো জানি না, এটা তাদের শেষ বিশ্বকাপ কি না, এটা একটা ধারণা। তবে তরুণ খেলোয়াড় হিসেবে আমরা যারা আছি, অবশ্যই চাইব যে ওনারা এত লম্বা সময় ধরে খেলছেন, তাদেরকে একটা ভালো মেমোরিস দেওয়ার।


যে ভালো একটা বিশ্বকাপ শেষ করে তাদের উপহার দিলাম, অবশ্যই এটা আমাদের দায়িত্ব, সবার মধ্যেই অবশ্য তা থাকে। পাশাপাশি সাকিব ভাই রিয়াদ ভাইয়ের কাছে বাড়তি অতিরিক্ত কিছু চাই না। ওনারা যেভাবে পারফর্ম করছেন, যার যে রোল, সেটা যদি ঠিকভাবে পালন করতে পারেন, তাহলে দল অবশ্যই লাভবান হবে।

যে জিনিসটা চাইব, তাদের যেই অভিজ্ঞতাটা আছে সেটা যদি প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ের মধ্যে ছড়িয়ে দেন, তাহলে আমাদের দলে যে ছোটো ছোটো জায়গাগুলোতে উন্নতির দরকার রয়েছে, সেগুলোতে খুব ভালো অবস্থানে থাকব।’

সাধারণত বিগত বছরগুলোতে দেখা গিয়েছিল, কোনো বিশ্বকাপের স্কোয়াড ঘোষণা করার পরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দেশের ক্রিকেটাঙ্গন। করা হয় অনেক ক্রিকেটার ও নির্বাচককে নিয়ে সমালোচনাও। তবে এবার তেমনটি দেখা না গেলেও খানিকটা আলোচনার জন্ম দিয়েছে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা না পাওয়া নিয়ে। দল ঘোষণার সময় প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু এ প্রসঙ্গে বলেছিলেন যে, সাইফুদ্দিন তাদের চাওয়া পূরণ করতে পারেনি, তাই প্রাথমিক স্কোয়াডে থাকলেও শেষ মুহূর্তে কাটা পড়েছে এই পেস অলরাউন্ডারের নাম।

আর সেখানেই সুযোগ পেয়েছেন তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিব। তাই স্বাভাবিকভাবেই অধিনায়ককেও মুখোমুখি হতে হয় সাইফুদ্দিনের বাদ পড়া আর সাকিবের যুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে।

এ নিয়ে শান্ত বলেন, ‘সাকিব আমার মনে হয়, এখন যে অবস্থানে আছে, ওর বলের পেসটা স্বাভাবিকভাবে সাইফুদ্দিনের থেকে একটু বেশি। এছাড়া সাইফুদ্দিনের কাছ থেকে আমরা যেই রকম আশা করছিলাম, ঐ অনুযায়ী সব মিলিয়ে একটু কমবেশি ছিল।


পুরো বিস্তারিত আমি বলতে চাই না। তবে দুই জনই খুব কাছাকাছি ছিল। তো আমাদের কাছে সাইফুদ্দিনের বিষয়টায় সাকিবের ওপর আত্মবিশ্বাস বেশি মনে হয়েছে। সব মিলিয়ে কিংবা সেখানকার (বিশ্বকাপ) কন্ডিশন যদি চিন্তা করি, আমাদের মনে হয়েছে সাকিব বেটার অপশন হবে।’

ভিন্ন আরেকটি প্রশ্নের জবাবে এ প্রসঙ্গে অধিনায়ক আরও বলেন, ‘যে জিনিসটা হয়েছে, সাইফুদ্দিন-সাকিব দুই জনই খুবই কাছাকাছি ছিল। আমরা কাকে নেব, শেষ সময়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দুই জনই সমান ম্যাচ খেলেছে, জিনিসটা এমন না যে কে আট উইকেট নিয়েছে কিংবা কে নেয়নি, সেটা চিন্তা করে এক জনকে বাদ দেওয়া হয়েছে এক জনকে নেওয়া হয়েছে।

বিষয়টা হলো সব মিলিয়ে দলের কেমন প্রয়োজন টিমের জন্য...থাকে না বিশ্বাসের একটা ব্যাপার কারো ওপর হয়তো একটু বেশি ছিল কিংবা কারো ওপর একটু কম ছিল। আমাদের সবার কাছে মনে হয়েছে সাকিব ব্যাটার কিছু ডেলিভারি করতে পারবে দলের কম্বিনেশন অনুসারে।’

বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিনটি প্রস্তুতিমূলক টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ দল। ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে যথাক্রমে ২১, ২৩ ও ২৫ মে। এরপর বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৮ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এর আগে প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে টাইগাররা।


আরও খবর



গৌরব ও সাফল্যের ১৯ বছরে কবি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

হৃদি চিরান,নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি :

গৌরব ও সাফল্যের দেড় যুগ পেরিয়ে ৯ মে ১৯তম বর্ষে পদার্পণ করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাবার্ষীকি পালন করা হয়। জাতীয় কবির নামে তারই স্মৃতি বিজড়িত ত্রিশালের নামাপাড়া বটতলায় বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০০৬ সালের ৯ মে প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই থেকে দেশের ৫৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষা, গবেষণা, উন্নয়ন ও সহশিক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার মাধ্যমে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বতন্ত্র অবস্থান বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। এক ঝাঁক তরুণ-মেধাবী শিক্ষকম-লী, মেধাবী শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিরলস পরিশ্রমে সুন্দর আগামীর প্রত্যাশায় এগিয়ে চলেছে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে ৫৭ একরের নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬টি অনুষদের অধীনে রয়েছে ২৫টি বিভাগ, ২৫০ এরও বেশি শিক্ষক এবং ১০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী।

১৯ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেবর বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুণ। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আবাসনে রয়েছে ৪টি আবাসিক হল। অগ্নি-বীণা হল, দোলন-চাঁপা হল, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব নামের হলগুলোতে প্রায় ৪ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী অবস্থান করছে। বর্তমানে নির্মাণাধীন রয়েছে আরো দুটি হল। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আবাসনের জন্য রয়েছে ৪টি ভবন। নির্মাণাধীন রয়েছে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের জন্য বাসভবন, ইউটিলিটি ভবন, শিক্ষার্থীদের জন্য একাডেমিক ভবন, ইনস্টিটিউট ভবন, কেন্দ্রীয় মসজিদ, একটি কলেজ, টিএসসি, দুটি দৃষ্টিনন্দন ফটক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর। সম্পূর্ণ ক্যাম্পাসকে নিয়ে আসা হয়েছে সিসিটিভির আওতায়, নিশ্চিদ্র নিরাপত্তায় নিরাপত্তাকর্মীদের হাতে যুক্ত হয়েছে ওয়াকিটকি। স্থাপিত হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, শেখ রাসেল, অঞ্জলী লহ মোর নামের দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্য, ৭২ এর সংবিধান স্মারক হিসেবে স্থাপিত হয়েছে সংবিধান আঙিনা। আবাসিক শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীর সন্তানদের জন্য নির্মিত হয়েছে শেখ রাসেল শিশুপার্ক।

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, আজকে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের মধ্যে এক নামে চেনা একটি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের দেড় যুগ পুর্তি এবং ১৯ তম জন্মদিনে আপনাদের সবাইকে প্রীতি শুভেচ্ছা আর শ্রদ্ধা জানাই। জাতীয় কবির নামে এই প্রতিষ্ঠানে আমরা মূলত শিক্ষা, গবেষণা, উন্নয়নকে মটো হিসেবে গ্রহণ করে আমাদের অভিযাত্রা শুরু করেছি। আমাদের ছাত্রদের মধ্যে শিক্ষার গুণগত মান এবং এই যুগের মতো করে তাদের তৈরি করার যে অভিপ্রায় সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্যকর আছে, এবং আমাদের ছাত্রছাত্রীরা আগের থেকে অনেক বেশি দক্ষ হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রা নিয়ে উপাচার্য আরো বলেন, এরই মধ্যে আমরা ইউজিসি র‍্যাংকিংয়ে গত দুই বছরে অনেকটুকু এগিয়েছি। আমাদের অবস্থান ৩৯তম থেকে এখন ১৪ তম। আমাদের ছাত্রছাত্রীরা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে নানা ক্ষেত্রে কাজ করছে, বড় বড় চাকরি পাচ্ছে এবং শিক্ষকম-লী যারা আছেন তারাও দেশ-বিদেশে গবেষণা নিয়ে ছুটছেন। এবং তাদের গবেষণাকে আজ বিশ্বব্যাপী বহুজন বহু গবেষক কোট করছেন। এই যে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছড়িয়ে যাওয়া এবং ছাড়িয়ে যাওয়া আমাদের এবারের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মূলমন্ত্র। আমরা চারিদিকে ছড়িয়ে যেতে চাই, নিজেকে আবারও ছাড়িয়ে যেতে চাই। আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকবেন এবং নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অভিযাত্রাকে সমর্থন করবেন বলে প্রীতি আশাবাদ ব্যক্ত করছি।


আরও খবর

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




নারীর জীবনে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের পানিতে দ্রুত লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে এর প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে কৃষি, জীববৈচিত্র্য, পরিবেশ এবং জনস্বাস্থ্য ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিশেষ করে নারীর স্বাস্থ্য জীবন-জীবিকা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে নারীর প্রজনন স্বাস্থ্য

গত কয়েক দশকে উপকূলীয় এলাকায় পানির লবণাক্ততা বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে যে উষ্ণায়ন, পরিবেশের বিপন্নতা তার প্রভাব প্রথম এসে পড়ে নারীর ওপর। পানির স্তর নিচে নেমে যায়, নদীর পানি লবণাক্ত হয়ে যায়, নদী শুকিয়ে যায়, দুই-একটি নলকূপে, যেখানে মিষ্টি পানি ওঠে সেখানেও পানির জন্য হাহাকার। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করা না হলে কলসি নিয়ে পানির খোঁজে দীর্ঘপথ হাঁটা। জ্বালানির জন্য কাঠ সংগ্রহ করতে নারীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বনের ভেতরে যেতে হয়। শুধু খাওয়ার পানিই নয়, সংসারে সব কিছুর জন্য যে পানি, সেই পানি সংগ্রহ করার দায়িত্বও নারীর। তাই সেই বিপর্যয় মোকাবিলায় নারীকে সামনে দাঁড়াতে হয়

পশুর নদী অববাহিকায় সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএস) এর গবেষণা প্রতিবেদন অনুসারে, অঞ্চলের মানুষ ভূগর্ভস্থ পানি অন্যান্য খাবার থেকে দৈনিক ১৬ গ্রামের বেশি লবণ গ্রহণ করছে, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মাত্রার তুলনায় অনেক বেশি। ২০০৯-১০ সালে খুলনার দাকোপ উপজেলার ১৩-৪৫ বছর বয়সী ৩৪৫ জন অন্তঃসত্ত্বা নারী নিয়ে এক গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত নোনাপানি গ্রহণের ফলে নারীদের উচ্চ রক্তচাপ, জরায়ুর প্রদাহ, গর্ভকালীন খিচুনি, গর্ভপাত, এমনকি অপরিণত শিশুও জন্ম নিয়েছে

বিষয়ে অবস্টেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি) এর সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ফেরদৌসি বেগম বলেন, দীর্ঘদিন অতিরিক্ত নোনাপানি গ্রহণ ব্যবহারের ফলে গর্ভকালীন সময়ে নারীদের উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যায় এর ফলে জরায়ুর প্রদাহ, গর্ভকালীন খিচুনি, গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে পাশাপাশি অপরিণত শিশু জন্মের আশঙ্কাও থাকে এই লোনাপানি ব্যবহারের ফলে

এর সমাধান হিসেবে তিনি বলেন, গর্ভাবস্থায় নারীদের লোনাপানি গ্রহণ ব্যবহার কমাতে হবে। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পানির স্তর নিচে নেমে যায়, নদীর পানি লবণাক্ত হয়ে যায়, নদী শুকিয়ে যায়। এগুলো রোধ করতে বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। মানুষের সুস্থতার জন্য জলবায়ু পরিবর্তন রোধের কোনো বিকল্প নেই

ছাড়া দীর্ঘদিন লবণাক্ত পানি ব্যবহারের ফলে চুল ত্বকের ক্ষতি হয়। রং কালো হয়ে যায় দ্রুত বার্ধক্য চলে আসে। উপকূলের নারী শিশুদের চিংড়িপোনা ধরার জন্য ভাটার সময় ভোরে দিনের বেলায় প্রায় - ঘণ্টা  লবণাক্ত পানিতে থাকতে হয়। এর ফলে প্রজনন স্বাস্থ্যসহ নারী অন্যান্য স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েন। লবণাক্ত পানির কারণে নারীরা এখন জরায়ু ক্যানসারের মতো জটিল রোগে ভুগছেন। 

এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, দেশে প্রতিবছর যে কয়েক লাখ নারী জরায়ু ক্যানসারের ঝুঁকিতে থাকেন, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ উপকূলীয় অঞ্চলের নারীরা। নারীদের জরায়ুসংক্রান্ত অসুখের তীব্রতা লবণাক্তপ্রবণ গ্রামগুলোতে বেশি। সে জন্য অল্প বয়সেই এলাকার নারীরা জরায়ু কেটে ফেলতে বাধ্য হচ্ছেন। 

জাতিসংঘ জনসংখ্যা কর্মসূচির (ইউএনএফপিএ) প্রতিবেদন অনুসারে, অন্তঃসত্ত্বা স্তন্যদাত্রী নারী এবং কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্যের ওপর বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ভয়াবহ প্রভাব ফেলবে। ছাড়া শুধু স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি নয়, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যেসব দুর্যোগ সৃষ্টি হচ্ছে সেখানে পুরুষের তুলনায় নারীর মৃত্যুঝুঁকি ১৪ গুণ বেশি। ১৯৯১ সালের বাংলাদেশের ঘূর্ণিঝড়ে নিহত লাখ ৪০ হাজার মানুষের মধ্যে ৭৭ শতাংশ ছিলেন নারী। ২০০৪ সালের সুনামিতে নিহতদের মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী। ২০০৮ সালে ঘূর্ণিঝড় নার্গিসের পর মায়ানমারের ৮৭ শতাংশ নারী তাদের কাজ হারান। ২০০৯ সালে ঘূর্ণিঝড় আইলায় আক্রান্তদের (নিহত আহত) ৭৩ শতাংশই ছিলেন নারী


আরও খবর



বিশ্বজুড়ে স্বর্ণের দামে লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

চলতি বছরের প্রথম দিনের তুলনায় গত সপ্তাহে ১২ শতাংশ বেশি দামে বিশ্ববাজারে স্বর্ণ বিক্রি হয়েছে। গত সপ্তাহে ২ হাজার ৩০০ ডলারে বিক্রি হয়েছে মূল্যবান ধাতুটি। এছাড়া ইসরায়েল-হামাস সংঘাতের পর স্বর্ণের দাম ৬০০ ডলার বেড়েছে। স্বর্ণের দামের এই উত্থানকে ক্রিপ্টোকারেন্সির উত্থানের সঙ্গে তুলনা করেছেন ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের বিশ্লেষক হ্যারি ডেম্পসি।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, মার্কিন সরকারের আর্থিক পরিস্থিতি টেকসই না হওয়া, পশ্চিমা দেশগুলোর বাইরের দেশগুলোর বিপুল পরিমাণে সোনা কেনা, বিনিয়োগের নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে স্বর্ণকে বেচে নেওয়া, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো মার্কিন সম্পদ বা বন্ডে বিনিয়োগ কমিয়ে দেওয়ার কারণে বেড়েই চলছে স্বর্ণের দাম।

বর্তমানে স্বর্ণের দাম কিছুটা কমার বিষয়ে তারা বলছেন, এটি সাময়িক ব্যাপার। মূলত, বিশ্বের সার্বিক আর্থিক পরিস্থিতিতে মানুষ বিনিয়োগের নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে বেছে নেওয়ার ব্যাপক প্রবণতা রয়েছে।

ফার্স্ট ইগল ইনভেস্টমেন্টের ম্যাক্স বেলমন্ট বলছেন, মার্কিন সরকারের আর্থিক পরিস্থিতি টেকসই হচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্রে এখন প্রতি ১০০ দিনে এক লাখ কোটি (এক ট্রিলিয়ন) ডলার সরকারি ঋণ বাড়ছে। আর সে কারণে স্বর্ণের বাজার বেশ রমরমা।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের বন্ডে বিনিয়োগ করে এখন উঁচু হারে সুদ পাওয়া যাওয়ায় ডলার এই মুহূর্তে চাঙা অবস্থায় রয়েছে। তাই স্বর্ণের দাম কম হওয়ায় কথা কিন্তু পশ্চিমা নয় এমন দেশগুলোর ব্যাপক পরিমাণ স্বর্ণ কেনায় সোনার বাজার রীতিমতো ওলটপালট হয়ে যাচ্ছে।

ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের প্রথম ৩ মাসে বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২৯০ টন সোনা কিনেছে। এর মধ্যে তুরস্কের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৩০ টন স্বর্ণ কিনেছে। এ সময়ে চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কিনেছে ২৭ টান। বর্তমানে চীনের স্বর্ণের মজুদ ২ হাজার ২৬২ টন। ২০২২ সালের অক্টোবরের পর থেকে দেশটির স্বর্ণের মজুদ বেড়েছে ১৬ শতাংশ।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বের অনেক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ বা বন্ডে বিনিয়োগ কমিয়ে দিয়েছে। এসব দেশ তাদের বৈদেশিক মুদ্রার মজুতের একটি অংশ মার্কিন বন্ডে বিনিয়োগ করে। ১৯৯৯ সালে এসব বিনিয়োগ ৭১ শতাংশ ছিল, ২০২০ সালে তা ৫৯ শতাংশে নেমেছে।

রাশিয়ার পাওয়া হাজার হাজার নিষেধাজ্ঞা থেকে শিক্ষা নিয়েছে চীন। ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধের পর বিভিন্ন পশ্চিমা দেশে রুশ সম্পদ জব্দ হয়। জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলো রাশিয়ার ৩০ হাজার কোটি ডলার মূল্যের সম্পদ জব্দ করা হয়। এ জন্য এসব দেশে বিনিয়োগ ঝুঁকি নিচ্ছে না বেইজিং। এ কারণে বেশি পরিমাণ স্বর্ণ কিনছে চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।


আরও খবর