রোকসানা মনোয়ার ঃ নিউমোনিয়া ব্রংকিউলাইটিস, শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা, হাঁপানি, সর্দি জ্বর ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা
শীতের আগমনি বার্তায় ক্রমেই পরিবর্তন হচ্ছে আবহাওয়া। দিনে রোদের প্রখরতা থাকলেও সকাল-বিকাল ও রাতে তাপমাত্রার তারতম্যে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল-ক্লিনিকে আসছেন। রাজধানীর একাধিক হাসপাতাল ঘুরে চিকিৎসক ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে।
চিকিৎসকরা বলেন, ঋতু পরিবর্তনজনিত কারণে এ সময় শিশু ও বয়স্কদের নিউমোনিয়া, ব্রংকিওলাইটিস, সাইনোসাইটিস, টনসিলাইটিস, অ্যাজমা, অ্যালার্জিজনিত সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অনেকে সাধারণ সর্দি-কাঁশি, ঠান্ডা-জ্বর, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। গত দুই দিন ঢাকা শিশু হাসপাতাল, আইসিডিডিআর,বি শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল ঘুরে সেখানে ঠান্ডার কারণে শিশু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ঢাকা শিশু হাসপাতাল-সংশ্লিষ্টরা বলেন, অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে ঠান্ডার কারণে রোগী বাড়ছে। গত কয়েকদিন শিশু ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেড়েছে। বিশেষ করে নিউমোনিয়া, ব্রংকিউলাইটিস, শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা, হাঁপানি, সর্দি-জ্বর ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে অভিভাবকরা হাসপাতালে আসছেন।
শিশু হাসপাতালের অ্যাজমা সেন্টারের প্রধান ও রেসপাটরি মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, পরিবর্তনশীল আবহাওয়ার কারণে এখন সকাল-বিকালে হালকা শীতল বাতাসে শিশু রোগাক্রান্ত হচ্ছে। বিশেষ করে শিশুর রেসপেরিট্র্যাক ইনফেকশন, ব্রংকিউলাইটিস, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, প্যারা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, শীতকালীন ডায়রিয়া ও রাইনোভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এ কারণে হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগী বাড়ছে।
স্যার সলিমুল্লাহ (মিডফোর্ড) মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. কাজী রশীদ-উন-নবী বলেন, দেশে পরিপূর্ণ শীত জেঁকে না বসলেও শীতল আবহাওয়া বিরাজ করছে। এ সময়ে বয়স্ক ও শিশু উভয়ের ক্ষেত্রে শ্বাসযন্ত্রজনিত রোগের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি হয়। কারণ এ দুই বয়সের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। শিশুদের শীতজনিত রোগ থেকে বাঁচাতে পর্যাপ্ত গরম কাপড়সহ হাত-পায়ে মোজা পরিয়ে রাখতে হবে। কোনোভাবেই ঠান্ডা লাগানো যাবে না। গোসলসহ সব ক্ষেত্রে কুসুমগরম পানি ব্যবহার করতে হবে