Logo
শিরোনাম

শিশু সন্তানকে হত্যা' যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক থাকা সৎমা আটক

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর মুরাদ হোসেন (১১) নামে এক শিশু সন্তান কে হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী শিশুটির সৎমা অঞ্জনা বেগম (২৮) কে ঢাকা শহর থেকে আটক করেছে নওগাঁর মান্দা থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামীকে রবিবার বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেলা কারাগাড়ে পাঠিয়েছেন পুলিশ।

শনিবার বিকালে ঢাকা সাভারের আশুলিয়া এলাকার হাকিম মার্কেট এর জনৈক বশির মিয়ার বাড়ী থেকে পলাতক থাকা আসামীকে গ্রেফতার পূর্বক নওগাঁতে নিয়ে আসেন পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত সাজাপ্রাপ্ত আসামী অঞ্জনা বেগম হলেন, নওগাঁর মান্দা উপজেলার বিল করিল্যা গ্রামের আঃ রাজ্জাকের দ্বিতীয় স্ত্রী। তবে সে বর্তমানে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা এলাকার রতন আলী খান নামে এক যুবককে বিয়ে করে আত্মগোপন করে ঘড় সংসার করছিলেন।

থানা সূত্রে জানা যায়, শিশু মুরাদ হত্যা কান্ডের মূল আসামী অঞ্জনা বেগম রাজ্জাকের ২য়' স্ত্রী। রাজ্জাকের প্রথম স্ত্রী রাজ্জাক এর সংসার ও সন্তান ছেরে অন্যের হাত ধরে চলে যাবার পর রাজ্জাক তাকে ২য় বিয়ে করে ঘর সংসার করার এক পর্যায়ে প্রথম পক্ষের শিশু সন্তান মুরাদ সৎ মায়ের কাছে জীবনের কাল হয়। এরপর ২০১৭ সালের ১১ জনু সৎমা অঞ্জনার হাতে নিষ্পাপ শিশু মুরাদ নৃশংসভাবে হত্যার শিকার হোন। 

তাকে হত্যার পর প্লাস্টিকের ''পোল্টি মুরগীর খাবারের'' বস্তায় ভরে বাড়ি থেকে অনুমান ১৫০ ফিট দূরে নিয়ে বস্তা বন্দি অবস্থায় শিশু মুরাদ এর মৃতদেহ ফেলে রাখা হয়। 

এ ঘটনায় নিহতের বাবা মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে সে সময় মান্দা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকেই অভিযুক্ত অঞ্জনা ঝিনাইদহ শৈলকুপার এলাকার রতন নামে এক যুবককে গোপনে বিয়ে করে আত্মগোপনে ছিলেন। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় বিজ্ঞ আদালত তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড রায় দেন।

সত্যতা নিশ্চিত করে এব্যাপারে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আসামীর অবস্থান সনাক্ত করনের পরই জেলা পুলিশ সুপার মহোদয় এর নির্দেশনায় মান্দা থানার এস আই নান্নু মিয়ার নের্তৃত্বে চৌকস টিমকে ঢাকাতে পাঠানো হয়। চৌকস টিম ঢাকা সভারের আশুলিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার পূর্বক অঞ্জনাকে নওগাঁতে আনার পরই রবিবার সকালে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেলা কারাগাড়ে প্রেরণ করা হয়েছে।


আরও খবর

লিগ্যাল নোটিশ

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪




প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

ঢাকা থেকে প্রকাশিত ঢাকা পোস্ট অনলাইন পোর্টালে গাইবান্ধা 'র সুন্দরগঞ্জে ১০০ বস্তা এানের চাল জব্দ শিরোনামটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে৷ সংবাদটি একাংশে উল্লেখ করা হয়েছে আমার কাপাসিয়া ইউনিয়নের এানের ৩০ কেজি করে ১০০ বস্তা চাল জব্দ করা হয়েছে।

সংবাদে একজন ভুক্তভোগীর নাম উল্লেখ করে বলা হয়েছে বন্যার সময় বিতরণ করা চাল একটি গোডাউনে রাখা হয়েছিল।

ইউনিয়নের জনগণের চাল মজুত রাখার প্রয়োজনই হয় না।

একটি কুচক্র মহল আমার বিরুদ্ধে মনগড়া তথ্য গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে উপস্থাপন করে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করিয়েছে।

অথএব গণমাধ্যম কর্মীদের ভুল তথ্য দিয়ে প্রকাশ করানো সংবাদটি মিথ্যা ও বানোয়াট এবং ভিত্তীহীন বিধায় আমি প্রকাশিত সংবাদ টির তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। 

নিবেদক

মোঃ মন্জু মিয়া 

চেয়ারম্যান কাপাসিয়া ইউনিয়ন পরিষদ,সুন্দরগঞ্জ গাইবান্ধা।


আরও খবর

রাজশাহীতে গলাকাটা এক নারীর লাশ উদ্ধার

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ত্রিপুরায় অনুপ্রবেশ ৪ বাংলাদেশি আটক

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার সীমান্ত এলাকা থেকে চার বাংলাদেশিকে আটক করেছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ

শনিবার সকালের দিকে রাজ্যের ধর্মনগর এলাকা থেকে ওই বাংলাদেশিদের আটক করেছে ত্রিপুরা পুলিশ। দেশটির সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে

এতে বলা হয়েছে, ত্রিপুরায় চার বাংলাদেশিকে আটক করেছে পুলিশ। অবৈধ উপায়ে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে

ত্রিপুরা পুলিশ বলেছে, বাংলাদেশের একটি শহরের কাছের সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করার পর উনাকোটি জেলার কুমারঘাটে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় ওই চার বাংলাদেশিকে

আটককৃতরা হলেন, বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার মুরালগঞ্জের মোহাম্মদ হানিফ (৫০), একই জেলার গোপালপানি এলাকার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী (৩৫), জামালটিলা এলাকার পারুল বেগম এবং জেসমিন আক্তার

ত্রিপুরা পুলিশ বলেছে, আটককৃতরা ত্রিপুরায় প্রবেশের পর সারা রাত অটোরিকশায় করে ঘুরে বেড়িয়েছেন। পরে ধর্মনগর শহরের এলআইসি অফিসের কাছে তাদের নামিয়ে দেওয়া হলে টহল কর্মকর্তাদের মাঝে সন্দেহের সৃষ্টি হয়

পুলিশের কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদে অবৈধ অনুপ্রবেশের তথ্য পান। পুলিশ বলেছে, জিজ্ঞাসাবাদে ওই বাংলাদেশিরা জানান, রাজধানী ঢাকার রুবেল নামের এক ব্যক্তি তাদের অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। ভারতের বেঙ্গালুরুতে তাদের চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন তিনি। তবে চুক্তি অনুযায়ী, বেঙ্গালুরুতে পৌঁছানোর পর রুবেলকে টাকা দেওয়ার কথা ছিল তাদের

ত্রিপুরা পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, কর্মসংস্থানের সন্ধানে ভারতে পাড়ি জমানো বাংলাদেশিদের সংখ্যা বাড়ছে। ত্রিপুরা পুলিশ তাদের আটকের পর আদালতে হাজির করেছে। বর্তমানে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে


আরও খবর

শ্রম আইনে বড় পরিবর্তন এনেছে সৌদি আরব

শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারীয়ার ১৩তম ওরশ শরিফে লাখো ভক্ত-জনতার ঢল

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

স্টাফ রিপোর্টার :

ত্বরীকায়ে মাইজভাণ্ডারীয়ার বৈশ্বিক রূপদানকারী, ইমামে আহলে সুন্নাত, শাইখুল ইসলাম হযরত শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (ক.) এর ১৩তম ওরশ শরিফ হাজারো ভক্ত জনতার উচ্ছ¡াস উদ্দীপনায় মাইজভাণ্ডার  দরাবর শরিফে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৫দিনব্যাপ ওরশ শরীফের ১৯ আগস্ট শেষ দিনে  অশান্ত সংঘাতমুখর পরস্থিতি থেকে দেশ ও বিশ্ববাসীর পরিত্রাণ কামনায় আখেরি মুনাজাতে সামিল হন হাজার হাজার আশেক,ভক্ত-জনতা। দেশের প্রতিকূল পরিস্থিতি উপেক্ষা করে সারা দেশ থেকে শত শত পরিবহনে ওরশ শরিফে যোগ দেন অসংখ্য মানুষ। ওরশ শরিফ উপলক্ষে আন্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়াসহ বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে খতমে কুরআন, খতমে গাউছিয়া শরীফ, ফ্রি চিকিৎসা, রক্তের গ্র“প নির্ণয়, মাদক ও যৌতুকের বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষর, মহান মুর্শিদ কেবলার (ক.) রওজা শরিফে গিলাফ চড়ানো, জিয়ারত, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, হুজুর কেবলার জিবনী আলোচনা, মিলাদ মাহফিলসহ নানা কর্মসূচি পালিত হয়। ওরশ শরীফ মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে হুজুর কেবলার স্থলাভিষিক্ত খেলাফতপ্রাপ্ত আওলাদ, মাইজভাণ্ডার দরবার শরিফের সাজ্জাদানশীন ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান  হযরত শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (ম.জি.আ.) বলেন,বিশ্বে আজ নিরপরাধ মানবতার চরম অপমান-নিগ্রহ চলছে। শান্তিকামী নিরীহ মানুষের ওপর শক্তিধর মানুষের প্রবল শোষণ নিপীড়ন আজ মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। নিপীড়ন-শোষণ-বঞ্চনামুক্ত একটি শান্তিময় পৃথিবী ও মানবিক সমাজ গড়তে আজীবন দিশারীর ভূমিকা রেখেছেন হযরত শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (ক.)। তিনি বলেন, মাইজভাণ্ডারী মহাত্মাদের জীবন দর্শনের কর্মসূচির মাধ্যমে নিষ্পেষিত মানবতার বিপন্ন অবস্থা থেকে নিস্কৃতি সম্ভব। দেশে শান্তি ও জননিরাপত্তা ফিরিয়ে আনতে মাইজভাণ্ডারী মহাত্মাদের শান্তিবাদী গণমুখী দর্শনের পূর্ণাঙ্গ অনুসৃতি প্রয়োজন বলে তিনি মতব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, আউলিয়ায়ে কেরামের প্রদর্শিত ইসলামের শান্তি-দর্শন ও অহিংস নীতি ব্যক্তি, পরিবার, অর্থনৈতিক ও সামাজিক জীবনে অনুসরণ করলে বর্তমান নিগৃহীত অবস্থা থেকে পরিত্রাণ মিলবে। খোশরোজ মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন মইনীয়া যুব ফোরামের সভাপতি শাহ্জাদা সৈয়দ মেহবুব-এ-মইনুদ্দীন আল্-হাসানী (ম.জি.আ.), কার্যকরী সভাপতি শাহজাদা সৈয়দ মাশুক-এ-মইনুদ্দীন আল্-হাসানী (ম.জি.আ.), সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহ্জাদা সৈয়দ হাসনাইন-এ-মইনুদ্দীন আল্-হাসানী (ম.জি.আ.)। হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারীর ট্রাস্টের মহাসচিব অ্যাড.কাজী মহসিন চৌধুরী, আন্জুমান কেন্দ্রীয় মহাসচিব শাহ্ মোহাম্মদ আলমগীর খান মাইজভাণ্ডারী। আন্জুমান কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আলহাজ্ব কবির চৌধুরী, মাওলানা মুফতী বাকী বিল¬াহ্ আল-আযহারী, মাওলানা রুহুল আমিন ভূঁইয়া চাঁদপুরী, অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম মুহাম্মদ খান সিরাজী,মাওলানা মুফতী এইচএম মাকসুদুর রহমান, মাওলানা বাকের আনসারী, মাওলানা মুহাম্মদ হাসান, মাইজভাণ্ডার রহমানিয়া মইনীয়া দরসে নেজামী মাদরাসা হেফজখানা ও এতিমখানার সুপার মাওলানা হাফেজ নাজের হুসাইন প্রমুখ। সালাত-ছালাম পরিবেশন শেষে অশান্ত নিগৃহীত অবস্থা থেকে দেশ ও বিশ্ববাসীর নাজাত কামনায় মুনাজাত পরিচালনা করেন পীরে ত্বরীকত মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল-হাসানী (ম.জি.আ.)।


আরও খবর



রাঙ্গাবালীতে আ’লীগের ১৬৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image
মোঃ কাওছার আহম্মেদ , রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী)


পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৬৯ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করা হয়েছে। এতে আরও ১৫০-১৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। 

৬ বছর আগে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলায় পঙ্গু হওয়া উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়ন বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক বশির ফকির বাদী হয়ে রোববার রাঙ্গাবালী থানায় মামলাটি (মামলা নম্বর-৩) করেন। আওয়ামী লীগের ক্ষমতা আমলে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, লুটপাট, দখলবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ তুলে এ মামলা করা হয়। 

তবে সোমবার বিকেল পর্যন্ত এ মামলায় কেউ গ্রেফতার হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সদ্য অপসারিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মু.  সাইদুজ্জামান মামুন খানকে প্রধান আসামি করা হয়। 

এছাড়া এ মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি একে সামসুদ্দিন আবু মিয়া, সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির তালুকদার, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মাহাথির মোহাম্মদ রেশাদ মল্লিক, সহ-দপ্তর সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন শোভন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এস আলম, উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান শিবলী, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় উপ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াহিদ খান রাজ, পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাওয়াদুল কবির প্রিতম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুজ্জামান আরিফ, সাধারণ সম্পাদক জামিল প্যাদা, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান শিমুল, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ওয়ালিদ তালুকদারের নাম রয়েছে। 

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা বাংলাদেশ বিএনপির সভা-সমাবেশে বাঁধা এবং নেতাকর্মীদের গুম-হত্যা করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশনায় আসামিরা ক্ষমতার দাপটে আইন বহির্ভূত কর্মকাণ্ড করেও ধরাছোয়ার বাহিরে ছিল। 

এজাহারে আরও বলা হয়, ২০১৮ সালের ১১ ডিসেম্বর বিকেল চারটায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ধানের শীষের সমর্থনে উপজেলার নিজ হাওলা গ্রামে (খালগোড়া বাজার) জাহাগিরিয়া শাহসুফি মমতাজিয়া দাখিল মাদ্রাসা মাঠে বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেনের উপস্থিতিতে পূর্ব ঘোষিত পথসভা শুরু হলে হামলা চালায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী। দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়ে সাইদুজ্জামান মামুন খানের (উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক) নেতৃত্বে ককটেল বিস্ফোরণ করে সভামঞ্চ এবং চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করা হয়। সেদিন বিএনপির শত শত নেতাকর্মীকে পিটিয়ে-কুপিয়ে জখম করে আসামীরা। 

এজাহারে বাদীর অভিযোগ, এ হামলার সময় প্রধান আসামি মামুন খানের নির্দেশে দুই নম্বর আসামি মাহাথির রেশাদের (উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক) হাতে থাকা  ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুনের উদ্দেশ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মোশাররফ হোসেনের মাথা লক্ষ্য করে আঘাত করলে তাকে রক্ষায় এগিয়ে আসে মামলার বাদী বশির ফকির। তখন কোপটি লক্ষ্মভ্রষ্ট হলে বশিরের ডান পায়ের পাতা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বশির থানায় এসে মামলা করতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতাদের নির্দেশে তখন মামলা নেওয়া হয়নি।       

এ ব্যাপারে সোমবার বিকেলে রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, এখন পর্যন্ত এই মামলায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

আরও খবর



বন্যার পানি নামলেও ফুরাচ্ছে না দুর্ভোগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা দেখেছে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রামসহ দেশের ৯ জেলার মানুষ। যদিও বন্যা পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে, নেমে গেছে অধিকাংশ এলাকার পানি, তবুও মানুষের দুর্ভোগ ফুরানোর যেন নাম নেই। বসতভিটা হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে এখনও দিনযাপন করছেন হাজারো মানুষ। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু নদীপাড়ে শুরু হয়েছে ভাঙন। স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষতের চিহ্ন। নষ্ট হয়ে গেছে কোটি কোটি টাকার সড়ক, ভেঙে গেছে বন্যা কবলিত এলাকাগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা।

সাম্প্রতিক বন্যার প্রথম ধাক্কাটা এসে লাগে ফেনীতে। এখন পর্যন্ত বন্যায় জেলাটিতে ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্বজন হারানোর শোক কাটিয়ে এখন নতুন এক জীবনযুদ্ধে ব্যস্ত জেলার বন্যার্ত মানুষগুলো। ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার মোমারিজপুর গ্রামের বাসিন্দা তাহেরা বেগম। মেয়ে, নাতিসহ আরও চার সদস্য নিয়ে ছনের ছাদ দেওয়া মাটির একটা ঘরে থাকতেন সত্তরোর্ধ্ব এই নারী। এবারের বন্যা ভাসিয়ে নিয়ে গেছে তার একমাত্র মাথা গোঁজার ঠাঁইটি। দুর্ভোগের কথা বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাহেরা বেগম; বলতে থাকেন, ‘ঘরে একটু চাল নাই, চাল যে পাকাবো ওই হাড়ি চুলা কিছুই নাই। আমার ঘরের সব ভাসায় নিয়া গেছে।

এবারের বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ জেলাগুলোর মধ্যে অন্যতম নোয়াখালী। দুই সপ্তাহ কেটে গেলেও এখানকার ৫টি উপজেলা জলমগ্ন এখনও। আশ্রয়কেন্দ্রে মানবেতর জীবন কাটছে ঘরহারা মানুষগুলোর। বন্যার কারণে নষ্ট হয়েছে জমির ফসল। অনেক মুরগির খামার বানে ভেসে গেছে। বন্যার পানির কারণে গবাদি পশুর খুরা রোগ দেখা দিতে শুরু করেছে। বন্যার পানি যতো নামছে ততোই স্পষ্ট হয়ে উঠছে ক্ষয়ক্ষতির অসংখ্য চিহ্ন। এই পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক রূপে ফিরবে সেই সদুত্তর নেই কারও কাছে। তবে, জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় কিছু স্থানে খাল পরিষ্কারের কাজ করছেন স্থানীয়রা

এদিকে আরেক ক্ষতিগ্রস্ত জেলা কুমিল্লায় এখনও পানিবন্দি কয়েক লাখ মানুষ। পুনর্বাসন সহায়তার অপেক্ষায় রয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। বেশ কিছু এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট। জেলার অধিকাংশ সড়কে কংক্রিটের স্তর ভেঙে গেছে। পরিস্থিতি এমন যে সেখানে কোনও অটোরিকশা চলার অবস্থা নেই। আরো খারাপ অবস্থা গ্রামের ভেতরে ছোট অলিগলি ও কাঁচা সড়কগুলোতে। এমন অবস্থায় কুমিল্লার বন্যাপীড়িত অনেক গ্রাম এখনও বলতে গেলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে

আরিফুর রহমান নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, রাস্তাঘাট একদমই ব্যবহার উপযোগী নাই। তার মধ্যে সন্ধ্যা হলেই রাস্তায় চলতেও ভয় হয়। বন্যায় ছোট-বড় সড়কগুলো যে ক্ষতির মুখে পড়েছে সেগুলো মেরামতে সরকারি, বেসরকারি প্রতিটি পর্যায় থেকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় আছেন মাছের ব্যবসায়ীরাও। কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের বহু মাছ চাষি ও খামারি একদম নিঃস্ব হয়ে গেছেন এবারের বন্যায়

লক্ষ্মীপুরেও অনেক এলাকা এখনও পানির নিচে। বহু বছরের দখলে খাল-বিল ভরাট হয়ে যাওয়ায়, বন্যার পানি নামতে সময় লাগছে। চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন দুর্গত এলাকার বাসিন্দারা

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান বলেন, তারা বিগত ৪০ বছরে এরকম বন্যা দেখেননি। এবারে বন্যা প্রলম্বিত হয়েছে, ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে অনেক। পানি যখন নামতে থাকে তখন অবকাঠামো নষ্ট হওয়া, রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়া স্বাভাবিক। তবে, বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনের কাজ শুরু হয়েছে। সবার আগে সড়কগুলো চলাচলের উপযোগী করাই প্রধান লক্ষ্য

এদিকে চলতি মাসের শেষদিকে আরেকটি বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সিলেট, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রামের পাশাপাশি এ বন্যা গ্রাস করতে পারে উত্তরাঞ্চলকেও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাকৃতিক এ দুর্যোগ মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতির পাশাপাশি প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদে অবকাঠামোগত উন্নয়ন

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানিসমতল ধীর গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের উত্তরাঞ্চলের রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ফেনী, সাঙ্গু, মাতামুহুরি ইত্যাদি নদীর পানি সমতলও বৃদ্ধি পাচ্ছে

অন্যদিকে সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি সমতল কমতে দেখা যাচ্ছে, যা আগামী ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। কমছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট বিভাগের সারিগোয়াইন, মনু, খোয়াই এবং পূর্বাঞ্চলের মুহুরি ও গোমতী নদীর পানি সমতল


আরও খবর

বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪