Logo
শিরোনাম

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কাজ করার আহবান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

রোকসানা মনোয়ার : বিনিয়োগ, শিল্পায়ন ও রপ্তানির আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে দেশকে গড়ে তোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯ নভেম্বর ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ৬০ বছর পূর্তি উদযাপন এবং ইনভেস্টমেন্ট এক্সপোর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করেছে, বেসরকারি বিনিয়োগ উৎসাহিত করেছে এবং বিদেশি বিনিয়োগ আসার সুযোগ করে দিয়েছে। সে কারণে দেশ আজ অনেক এগিয়ে গেছে। কোভিড, ইউক্রেন যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা-পালটা নিষেধাজ্ঞা না হলে আমাদের অর্থনীতিকে আরও অনেক দূর এগিয়ে নিতে পারতাম।

তিনি আরও বলেন, অনেক আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ থাকলেও আমরা এসডিজি বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। দেশের এই অভাবনীয় প্রবৃদ্ধির নেতৃত্বে রয়েছে আমাদের বেসরকারি খাত। আইন দ্বারা বিদেশি বিনিয়োগ সুরক্ষাসহ বিনিয়োগ নীতিকে আরও সহজ করার বিভিন্ন পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি, এটা অব্যাহত থাকবে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতিকে আমরা সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছি। গত ১৫ বছরে আমরা দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য খাতের উন্নয়নে বিভিন্নমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে বেসরকারি খাত আরও শক্তিশালী ও বিকশিত হয়েছে। বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। আশা করা হচ্ছে, ২০৩৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২০তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ, ২০৪১ সালে হবে স্মার্ট বাংলাদেশ, উন্নত বাংলাদেশ।

ব্লু ইকোনমি খাতে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে আমরা নতুন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে শুধু লজিস্টিকস খাতই ৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজারে পরিণত হবে বাংলাদেশ। ২০৩০ সালের মধ্যে ৯ম বৃহত্তম ভোক্তা বাজারে পরিণত হবে এ দেশ। সে সময় যুক্তরাজ্য এবং জার্মানির মতো প্রতিষ্ঠিত বাজারগুলো এবং বর্তমান উচ্চ-প্রবৃদ্ধির ভিয়েতনাম এবং থাইল্যান্ডকে যাতে বাংলাদেশ ছাড়িয়ে যেতে পারে, সে লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি।


আরও খবর

কমছে সবজি ও ব্রয়লারের দাম

শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩




মোংলায় কবর থেকে উঠানো হলো মাহে আলম’র মরদেহ

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

বাগেরহাট প্রতিবেদক:

অবশেষে বহুল আলোচিত মোংলার বিশিষ্ট মৎস্য ব্যবসায়ী মাহে আলমের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে।২০ এপ্রিল সোমবার সকাল ১১টায় মোংলার পশ্চিম চিলা গ্রাম থেকে ৭ মাস ১০ দিন পরে মাহে আলম’র মরদেহ উত্তোলন করা হবে।  গত ১৪ এপ্রিল হিলটন নাথ হিসেবে মরদেহটি সমাহিত হয়েছিলো। ডিএনএ টেস্ট’র রিপোর্টে ইতিমধ্যেই প্রমাণিত করেছে লাশটি মাহে আলম’র। এমতাবস্থায় বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত ৮ নভেম্বর বুধবার এক আদেশে বহুল আলোচিত লাশটি উত্তোলন করার কথা বলেছে। আদালতের নির্দেশে বাগেরহাট জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক মনোনীত নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট ্ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোংলা মোঃ হাবিবুর রহমান’র উপস্থিতিতে লাশটি উত্তোন করা হবে। লাশ উত্তোলনকালে আরো উপস্থিত থাকবেন মোংলা উপজেলা নির্বাহি অফিসার দীপংকর দাশ, মোংলা-রামপাল সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান তুষার, মোংলা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্ম সামসুদ্দীন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মোঃ ইমরান হোসেন, চিলা ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আকবর হোসেন প্রমূখ। লাশটি উত্তোলন পূর্বক মাহে আলম’র ছেলে সুমন রানার কাছে হস্তান্তরের আদেশ প্রদান করেছেন বাগেরহাটের আমলী আদালত।

আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়,  হিলটন নাথ ৭ এপ্রিল সুন্দরবনে মাছ ধরতে যেয়ে নিখোঁজ হয়। অন্যদিকে ১০ এপ্রিল মোংলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাহে আলম বাড়ী থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। ১৩ এপ্রিল সুন্দরবনের করমজলে একটি অজ্ঞাতনামা লাশ পাওয়া যায়। ১৪ এপ্রিল দাকোপ থানা পুলিশ হিলটন নাথের মা বিথিকা নাথের কাছে অজ্ঞাতনামা লাশটি হস্তান্তর করে। হিলটন নাথ খুন এবং মাহে আলম নিখোঁজ বিষয়ে দাকোপ (খুলনা) থানা এবং মোংলা (বাগেরহাট) থানায় দুুটি পৃথক মামলা হয়। অন্যদিকে  নিখোঁজ হওয়া মোংলার ব্যবসায়ী মাহে আলম’র ছেলে সুমন রানার দাবীর প্রেক্ষিতে সিনিয়র জুডিসিয়াল আমলী আদালত ’গ’ অঞ্চল খুলনা; হিলটন হিসেবে সমাহিত লাশটির ডিএনএ টেস্ট’র জন্য এক আদেশ প্রদান করেন। হিলটন নাথের মা বীথিকা নাথ এবং মাহে আলমের ছেলে সুমন রানার ডিএনএ টেস্ট’র প্রেক্ষিতে গত ১ আগস্ট প্রকাশিত ”ডিএনএ পরীক্ষায় সুদৃঢ় ভাবে প্রমানিত হয় যে, অজ্ঞাত মৃত দেহ সুমন রানার জৈবিক পিতা।” অর্থ্যাৎ মাহে আলম’র। এমতাবস্থায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে অবশেষে ৭ মাস ১০ দিন পরে আজ ২০ নভেম্বর সোমবার সকাল ১১টায় লাশটি উত্তোলন করা হচ্ছে। মাহে আলম’র ছেলে সুমন রানা বলেন আদালত এবং প্রশাসনের সহযোগিতায় আজ ৭ মাস ১০ দিন পরে বাবার মরহে পেতে যাচ্ছি। সুন্দরবনে দস্যুবৃত্তি ও অবৈধ ব্যবসা-বাণিজ্য’র সাথে জড়িত একটি মহল আমার বাবার খুন এবং লাশ গুম এর সাথে জড়িত বলে ধারনা করছি। আশা করছি পুলিশ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনবেন।


আরও খবর



সন্ধ্যায় ঘোষণা হতে পারে তফসিল

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার লক্ষ্যে বুধবার বিকেল ৫টায় কমিশনের সভা ডাকা হয়েছে।

১৪ নভেম্বর কমিশনের অনানুষ্ঠানিক এক বৈঠকে ওইদিন বৈঠকের পর তফসিলের ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে।

কমিশন সভার সিদ্ধান্তের পর আগামীকালই (বুধবার) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণের মাধ্যমে তিনি এই তফসিল ঘোষণা করতে পারেন।

এর আগে, সোমবার নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, বুধবারের মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।

তিনি বলেন, নভেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা হবে, এটা ইসি থেকে আগেই বলা হয়েছিল। প্রথমার্ধের দিন যেহেতু সামনে আছে, তাই আপনারা অপেক্ষা করুন।


আরও খবর



নোয়াখালীতে স্কুলের পাঠদান চলছে খোলা আকাশের নিচে

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

অনুপ সিংহ,নোয়াখালী প্রতিনিধি :

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির তাণ্ডবে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ফলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে খোলা আকাশের নিচে চলছে পাঠদান। দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি ভবন নির্মাণের দাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর। 

সরজমিনে গিয়ে জানাযায়,  গত শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি।  এতে বিদ্যালয়ের পাশাপাশি, পাকা ধান, ঘরবাড়ি ও অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সেদিনের ঝড়ে উড়ে যায় সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবিলী ইউনিয়নের পশ্চিম চরজুবলী গ্রামে অবস্থিত আবদুল মালেক উকিল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এরপর থেকে খোলা আকাশের নিচে তাদের ক্লাস চলছে। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে। শিক্ষাবর্ষের শেষ সময়ে পরীক্ষার প্রস্তুতিতে বার্ষিক পরীক্ষা কার্যক্রমও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

আব্দুল মালেক উকিল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পারভিন আক্তার বলেন, শুক্রবার ঝড় হইসে। আমাদের ধানের জমি ও বাড়ি ঘরের ক্ষতি হইসে। সকালে গিয়ে দেখি স্কুলটাও নেই। ঝড়ে আমাদের স্কুল উড়ে গেছে। খোলা মাঠে ক্লাস করতেসি। সামনে আমাদের পরীক্ষা আছে। 

ফাতেমা  নামের আরেক শিক্ষার্থী জানান, সামনে আমাদের বার্ষিক পরীক্ষা। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আমাদের সামনের দিন গুলো নিয়ে শঙ্কায় আছি। ভবন নির্মাণ না হলে আমাদের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়বে। খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করতে অসুবিধা হচ্ছে। রোদ আর গরমে বসে থাকা যায় না। আমাদের একটা স্থায়ী ভবন চাই।

অভিভাবক ফারুক বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে পুরো স্কুলটি লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। কয়েক দিনের মধ্যে বার্ষিক পরীক্ষা। তাই এখন শিক্ষার্থীদেরকে খোলা আকাশের নিচে লেখাপড়া করতে হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখার জন্য।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. পারভেজ বলেন,  এই চরাঞ্চলের শিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্য ২০০৯ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। যার নামকরণ করা হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি প্রয়াত আবদুল মালেক উকিলের নামে। আমাদের বিদ্যালয়ে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। ঝড়ে পুরো বিদ্যালয় উড়ে যাওয়ায় খোলা আকাশের নিচে অনিরাপদ পাঠদান চলছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে সহযোগিতা চেয়েছি। যেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে পাঠদানে অংশ নিতে পারে।

বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক ম্পিকার মরহুম মালেক উকিলের পুত্র  ও সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাহার উদ্দিন খেলন বলেন, আমি ঊর্ধ্বতনকে অনুরোধ করছি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখার জন্য এবং শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে ভবন নির্মাণ করার জন্য। সেই সাথে বিদ্যালয়টি জাতীয় করণেরও দাবী জানান তিনি। 

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আল আমিন সরকার বলেন, শিক্ষা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিষয়টি দেখা হবে।


আরও খবর

স্কুলে ভর্তির লটারির ফল প্রকাশ

মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩




বায়ুদূষণে আজ বিশ্বে চতুর্থ ঢাকা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

১৬নভেম্বর সকাল পৌনে ১০টার দিকে বায়ুদূষণে বিশ্বের ১১০টি শহরের মধ্যে শীর্ষ পাঁচটি শহরই ভারত, পাকিস্তান বাংলাদেশের আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচক (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স-একিউআই) থেকে তথ্য পাওয়া গেছে

সকাল পৌনে ১০টার দিকে সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। লাহোরের স্কোর ৩৪৩। এরপর রয়েছে ভারতের দিল্লি, স্কোর ২৫৬। ২০৩ স্কোর নিয়ে পাকিস্তানের আরেক শহর করাচি রয়েছে তৃতীয় অবস্থানে। এরপরের অবস্থানে রয়েছে ঢাকা, স্কোর ১৭৫। ১৭০ স্কোর নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে ভারতের আরেক শহর মুম্বাই

একই সময়ে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে নির্মল বাতাস ছিল রাশিয়ার ক্রাসনোয়ার্সকে তারপর রয়েছে নরওয়ের অসলো স্লোভাকিয়ার ব্রাতিসলাভা তিন শহরের স্কোর যথাক্রমে , ১০

বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা লাইভ বা তাৎক্ষণিক একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং সতর্ক করে

আইকিউএয়ারের দেওয়া আজকের তালিকায় বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই (পিএম .) দূষণের প্রধান উৎস। আজ ঢাকার বাতাসে যতটা এই বস্তুকণা আছে, তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ডের চেয়ে ২০ গুণের বেশি

আইকিউএয়ারের বায়ু নিয়ে তৈরি প্রতিবেদনে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দূষণ থেকে রক্ষা পেতে আজ ঢাকাবাসীর জন্য পরামর্শ, বাইরে বের হলে মাস্ক পরে বের হবেন, সেটি দূষণ থেকে আপনাকে সুরক্ষা দিতে পারে

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকেমাঝারিবাগ্রহণযোগ্যমানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকেসংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকরধরা হয়

বায়ুদূষণ বেশি হলে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকেন সংবেদনশীল গোষ্ঠীর ব্যক্তিরা। তাদের মধ্যে আছেন বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা, জটিল রোগে ভোগা ব্যক্তিরা। তাদের বিষয়ে বিশেষ যত্নবান হওয়া দরকার বলে পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাঅস্বাস্থ্যকরবায়ু। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে, তাকেখুবই অস্বাস্থ্যকরবায়ু ধরা হয় ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকেদুর্যোগপূর্ণবাঝুঁকিপূর্ণধরা হয়


আরও খবর

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




ধামরাইয়ে প্লাস্টিকের হস্তশিল্প দেখাচ্ছে নতুন সম্ভাবনা

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

মাহবুবুল আলম রিপন (স্টাফ রিপোর্টার):

ঢাকার ধামরাই উপজেলার সুয়াপুর ইউনিয়নে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বেল্ট দিয়ে তৈরি হচ্ছে হস্তশিল্প পণ্য। প্রবা ফটো

ঢাকার ধামরাই উপজেলার সুয়াপুর ইউনিয়নে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বেল্ট দিয়ে তৈরি হচ্ছে হস্তশিল্প পণ্য। প্রবা ফটো

ঢাকার ধামরাই উপজেলার সুয়াপুর ইউনিয়নে গড়ে উঠেছে ফেলনা প্লাস্টিক থেকে তৈরি হস্তশিল্প পণ্যের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে স্থানীয় গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের ওয়ানটাইম বেল্ট। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে ধান সংরক্ষণের গোলা, ঘরের চাল, বেড়া ও কবুতরের খোপসহ দৈনন্দিন ব্যবহার্য তৈজস।

ফেলনা প্লাস্টিক দিয়ে হস্তশিল্পের কাজ শুরু করেন তরুণ উদ্যোক্তা বিশ্বনাথ চন্দ্র মনিদাস। মনিদাসের দেখাদেখি এমন আরও কয়েকটি পণ্য তৈরির প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। 

এই কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা উপজেলার বিভিন্ন গার্মেন্টস থেকে পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বেল্ট কেজিদরে কিনে আনেন। এরপর কারিগররা নিপুণ হাতে তৈরি করেন গৃহস্থালির ব্যবহার্য সামগ্রী। যার মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষা পাচ্ছে দূষণের হাত থেকে, অন্যদিকে তৈরি হচ্ছে কর্মসংস্থান। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে ৮ থেকে ১০ জন শ্রমিক। এসব পণ্য স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে পার্শ্ববর্তী মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, টাঙ্গাইলসহ দেশের নানা প্রান্তে।

কথা হয় উদ্যোক্তা বিশ্বনাথ চন্দ্র মনিদাসের সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রায় ৪ বছর আগে এই কাজ শুরু করি। আগে গরু লালন-পালন করতাম। সেখানে সুবিধা করতে পারিনি। এক দিন গার্মেন্টসের পরিত্যক্ত এই বেল্টগুলো দেখে ভাবনা আসে এগুলো দিয়েও বাঁশ বা বেতের মতো বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করা সম্ভব। সেই থেকেই এ কাজের শুরু। বর্তমানে আমি স্বাবলম্বী। বিভিন্ন গার্মেন্টস কারখানা থেকে এই পরিত্যক্ত বেল্ট কেজিদরে কিনে আনি। বেল্ট দিয়ে তৈরি বিভিন্ন পণ্য মান অনুযায়ী ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত কেজিদরে বিক্রি করে থাকি।

মনিদাসের মতো এই শিল্পে জড়িত ধামরাইয়ের সুয়াপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন। কথা মনিদাস নামের এমনই একজনের সঙ্গে। তিনি জানান, প্রতিটা কারিগরকে মজুরি দেওয়া হয় কেজি হিসেবে। প্রতি কেজি পণ্য তৈরির জন্য মজুরি ২৫ টাকা করে দেওয়া হয়। দৈনিক প্রায় ১০ থেকে ১২ কেজি পণ্য বুনতে পারেন একজন কারিগর।

এ কাজে যুক্ত এলাকার বেশ কয়েকজন নারী। বাড়তি আয়ে স্বাবলম্বিতা এসেছে তাদের জীবনে। শিল্পি রানী এমনই এক কারিগর। তিনি জানান, এই কাজে প্রতি মাসে আয় হয় ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা। স্বামীর রোজগারের পাশাপাশি এই বাড়তি আয় দিয়েই চলছে তাদের তিন সন্তানের লেখাপড়ার খরচ। আগে বাড়ির কাজ করেই কাটত দিন। ছিল না বাড়তি আয়ের মাধ্যম। ফলে সংসারে অভাব-অনটন লেগেই থাকত। বর্তমানে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তিনি হয়েছেন স্বাবলম্বী। স্বামীর পাশাপাশি নিজেও মেটাতে পারছেন সংসারের খরচের একটি অংশ।

আশু সরদার নামে আরেক কারিগর বলেন, প্রায় ১৪ বছর ধরে বাঁশ দিয়ে বুননের কাজ করলেও এখন প্লাস্টিকের এই ফিতা দিয়ে পণ্য বানাই। কয়েকদিন পরই শুরু হবে ধান কাটার মৌসুম। তাই ধানের গোলার এখন অনেক চাহিদা। কয়েক মাস এখানকার কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করে। দৈনিক আয় হয় ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত। বছরের অন্য সময় ঘরের সিলিং, বেড়া, কবুতরের খোপসহ বিভিন্ন ব্যবহার্য সামগ্রী তৈরি করে থাকি।

প্লাস্টিকের বেড়া বুনে চলেছেন ষাটোর্ধ্ব নির্মল সরকার। তাকে জিজ্ঞেস করতেই জানালেন, একসময় ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাতেন। এখন বয়সের কারণে তা আর পারেন না। ছেলেরাও বিয়ে করে আলাদা সংসার পেতেছে। এই কাজ করেই স্ত্রীসহ দুজনের আহার জোগাড় করেন তিনি।

মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর উপজেলা থেকে ধানের গোলা কিনতে এসেছেন আসাদুজ্জামান নামের এক কৃষক। তিনি বলেন, মাঝারি আকারের একটি গোলা কিনেছি। ওজন হয়েছে ৩০ কেজি। ১২০ টাকা দরে দাম এসেছে ৩ হাজার ৬০০ টাকা। এই গোলা অনেক টেকসই হয়। আগে বাঁশের তৈরি গোলায় ধান রাখতাম। সেগুলো বেশি দিন ব্যবহার করা যায় না, ইঁদুরে কেটে ফেলে। অনেক ধান নষ্টও হতো। কিন্তু প্লাস্টিকের গোলায় ধান রাখলে নষ্ট হয় না, ইঁদুরেও কাটে না। দেখতেও সুন্দর। 

বিশ্বনাথের কারখানার পাশেই প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি বেড়ার ঘরে বসবাস মাধবী দাসের। তিনি বলেন, টিন কিংবা ইটের ঘর তৈরিতে অনেক খরচ। সামর্থ্যের অভাবে প্লাস্টিকের বেড়া দিয়ে ঘর বানিয়েছি। এই ঘরে থাকতে কোনো অসুবিধা হয় না।

ফেরার পথে আবারও কথা বলি, বিশ্বনাথ চন্দ্র মনিদাসের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমার দেখাদেখি এই এলাকায় আরও দুজন এ ব্যবসা শুরু করেছেন। আমাদের এখানে অনেক নারী শ্রমিক কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন। নারী-পুরুষ উভয়ই এসব পণ্য তৈরির কাজ করে সচ্ছলতার দেখা পেয়েছে। পবিবেশের জন্য ক্ষতিকর এসব পরিত্যক্ত প্লাস্টিক পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করে তোলার মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্যও রক্ষা করা হচ্ছে।

সরকার এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সহজ শর্তে ঋণ পেলে এ শিল্পের আরও প্রসার ঘটবে বলেও মনে করেন এ উদ্যোক্তা।


আরও খবর