Logo
শিরোনাম

সম্পদের পাহাড় গড়ছেন সিএনজি গ্যারেজ মালিকরা

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image
    • নুর মোহাম্মদ মিঠু, বিশেষ সংবাদদাতা : মালিক জমাগ্যারেজ ভাড়া দারোয়ানের বেতন ও বোনাসের নামে ২১৩ কোটি টাকা বাড়তি আদায় 

    • চিঠি দেয়ায় শ্রমিক সংগঠনের কার্যালয় ভাঙচুরসিএনজি অটো থেকে নামিয়ে দেয়া হচ্ছে চালকদেরগ্রেপ্তার ও ক্রসফায়ারের হুমকি মালিকদের । 
  1. সরকারি নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চালক ও যাত্রীসাধারণের পকেট কেটে সম্পদের পাহাড় গড়ছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও গ্যারেজ মালিকরা। অথচ যাত্রীসাধারণ জানছেন, সিএনজির চালকরাই পকেট কাটছেন তাদের। কিন্তু ঘটনা পুরোই তার উল্টো। সড়কে যাত্রীদের পকেট কাটতে চালকদের বাধ্য করছেন মালিকরা। ঢাকার সিএনজি চালকরা বলছেন, সরকারি আইন অনুযায়ী দৈনিক ভিত্তিতে সিএনজির মালিক জমা ৯০০ টাকা হলেও মালিকপক্ষ আদায় করছে এক হাজার ৩০০ টাকা। কোথাও কোথাও আদায় করা হচ্ছে এক হাজার ৬০০ টাকাও। গ্যারেজভাড়া ও দারোয়ানের বেতনের নামেও চালকদের সাথে মালিকরা করছেন চাঁদাবাজি।

বেশ কবছর ধরে এভাবেই চালকদের জিম্মি করে বাড়তি টাকা আদায় করছেন মালিকরা। চালকদের কাছ থেকে বছরের পর বছর এভাবে চাঁদাবাজির মাধ্যমে আদায় করা বাড়তি অর্থ ফেরত চেয়ে মালিকপক্ষকে সম্প্রতি চিঠি দেয় ঢাকা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন। চিঠিতে কাউকে ২০ রমজান কাউকে গেল ২২ রমজানের আগে চাঁদাবাজির মাধ্যমে আদায় করা বাড়তি অর্থ ফেরত দিতে বলা হয়। যদিও এখন পর্যন্ত কোনো একজন মালিক সেসব অর্থ ফেরত দেননি; বরং ঈদ বোনাসের নামেও চালকদের কাছ থেকে আদায় করা মোটা অঙ্কের অর্থ লুটে খাচ্ছেন তারা এবং চিঠি ইস্যুর পর থেকেই চালকদের নামিয়ে দেয়া হচ্ছে, ভাঙচুর করা হচ্ছে শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয়। জানা গেছে, চালকসহ শ্রমিক নেতাদেরও গোয়েন্দা পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করিয়ে ক্রসফায়ারে দেয়ার হুমকিও দিচ্ছে মালিকপক্ষ।

ঢাকা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের চিঠিতে জানা যায়, ঢাকার উত্তর বাড্ডা ঝিলপাড়ের সিএনজি ও গ্যারেজ মালিক বাবুল মিয়া ও আমির হোসেন। ২০১৫ সালের ১ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত যারা দুই হাজার ৬৯০ দিনে সরকার নির্ধারিত মালিক ভাড়ার থেকেও ৪০০ টাকা করে বাড়তি আদায়ের মাধ্যমে গাড়িপ্রতি ১০ লাখ ৭৬ হাজার টাকা বেশি আদায় করেছেন। ২২টি সিএনজি থেকে দুই কোটি ৩৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা অতিরিক্ত আদায় করেছেন তারা। এ ছাড়া গ্যারেজ ভাড়া ও দারোয়ানের বেতনের নামেও গাড়ি প্রতি ৪০ টাকা করে এক লাখ সাত হাজার টাকা অতিরিক্ত আদায় করেন। এ ক্ষেত্রে ২২টি গাড়ি থেকে অতিরিক্ত আদায় করেছেন ২৩ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। এ ছাড়া ঈদ বোনাসের নামেও প্রতি গাড়ি থেকে আড়াই হাজার টাকা করে ২২টি গাড়ি থেকে ৫৫ হাজার টাকা আদায় করেছেন। সরকারি আইন অমান্য করে ২২টি গাড়ি থেকে সব মিলিয়ে আদায়কৃত দুই কোটি ৬০ লাখ ৯৪ হাজার টাকার পুরোটাই ২২ রমজানের মধ্যে নিজ নিজ চালককে ফেরত দিতে চিঠি দেয়া হলেও সেসব টাকা ফেরত দিতে অনীহা প্রকাশ করছেন বাবুল মিয়া ও আমির হোসেন গং।

 

অনিয়মকে নিয়মে ফেরাতেই চিঠি দিয়েছি এরপরই মালিকপক্ষের হামলা-হুমকি পাচ্ছি

হানিফ খোকন, সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন

 

একইভাবে একই সময়ে ৮০টি গাড়িটি থেকে অতিরিক্ত ১৬ কোটি ৩৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা আদায় করেছেন দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীর বিদ্যুৎ গলির গ্যারেজ ও সিএনজি মালিক হাজী বাবুল। ৫০টি গাড়ি থেকে অতিরিক্ত ৯ কোটি ৫৬ লাখ ২০ টাকা আদায় করেছেন হাতিরঝিল গ্যারেজ পট্টি এলাকার মালিক বিল্লাল, ৫০টি গাড়ি থেকে এক কোটি ৬৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা আদায় করেছেন উত্তর বাড্ডা বাগানবাড়ী এলাকার মালিক আব্দুর রাজ্জাক, ৫০টি গাড়ি থেকে এক কোটি ৬৫ লাখ ১৫ হাজার আদায় করেছেন উত্তর বাড্ডা বাগানবাড়ী এলাকার মালিক এনামুল হক ডালিম, ৮০টি গাড়ি থেকে ১৬ কোটি ৩৭ লাখ ৫২ হাজার টাকা আদায় করেছেন যাত্রাবাড়ীর বিদ্যুৎ গলি এলাকার মালিক ইসমাইল-মহিউদ্দিন-মিজান ও জহির, ১১০টি গাড়ি থেকে চার কোটি ২১ লাখ ৭৬  হাজার টাকা আদায় করেছেন উত্তর বাড্ডার বাগানবাড়ী এলাকার মালিক দেবাশীষ, ৪০টি গাড়ি থেকে সাত কোটি ৬৪ লাখ ৯৬ হাজার টাকা আদায় করেছেন রামপুরার ওয়াপদা এলাকার মালিক সাবের মিয়া, ৮০টি গাড়ি থেকে ১৫ কোটি ২৯ লাখ ৯২ হাজার টাকা আদায় করেছেন ওয়াপদা রোড এলাকার মালিক মনির মিয়া, ২০টি গাড়ি থেকে ৫৯ লাখ ৬৮ হাজার টাকা আদায় করেছেন ওয়াপদা রোড এলাকার মালিক হিমায়েত শেখ, ৩৭টি গাড়ি থেকে সাত কোটি ৫৭ লাখ ৩৫ হাজার আদায় করেছেন রামপুরার পূর্ব হাজীপাড়ার মালিক নজরুল ইসলাম পিন্টু, ১২০টি গাড়ি থেকে ৪০ কোটি ৭০ লাখ ২৮ হাজার টাকা আদায় করেছেন যাত্রাবাড়ীর মীরহাজিরবাগের মালিক মাহবুব, ৮০টি গাড়ি থেকে ১৮ কোটি ৯ লাখ ৬৮ হাজার টাকা আদায় করেছেন একই এলাকার মালিক হুমায়ুন, ৪৫টি গাড়ি থেকে সাত কোটি ৯১ লাখ ৭৩ হাজার টাকা আদায় করেছেন একই এলাকার মালিক জসিম, ৫৫টি গাড়ি থেকে চার কোটি ১৫ লাখ ৬৩ হাজার টাকা আদায় করেছেন রামপুরার হাজীপাড়ার মালিক মোস্তফা, ৫৭টি গাড়ি থেকে চার কোটি ৩০ লাখ ৭৪ হাজার টাকা আদায় করেছেন রামপুরার পূর্ব হাজীপাড়ার মালিক কামরুল, ৫০টি গাড়ি থেকে ১৩ কোটি ৫৭ লাখ ২৬ হাজার টাকা আদায় করেছেন যাত্রাবাড়ীর মীরহাজিরবাগের মালিক দেলোয়ার, ৪৩টি গাড়ি থেকে তিন কোটি ৪৫ লাখ আট হাজার টাকা আদায় করেছেন রামপুরার হাজীপাড়ার মালিক মুক্তার, ৭০টি গাড়ি থেকে ১০ কোটি ৫৮ লাখ ৯২ হাজার টাকা আদায় করেছেন দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীর বিদ্যুৎ গলির মালিক মমিন, ৮০টি গাড়ি থেকে ১৩ কোটি ৭৯ লাখ ২৮ হাজার টাকা আদায় করেছেন একই এলাকার মালিক জহির, ৭০টি গাড়ি থেকে ছয় কোটি ২৩ লাখ ১৪ হাজার টাকা আদায় করেছেন যাত্রাবাড়ীর ওয়াপদা কলোনি গেটের মালিক পেয়ার আলী, ২৫টি গাড়ি থেকে দুই কোটি ৮৯ লাখ ৮০ টাকা আদায় করেছেন একই এলাকার মালিক জাকির, ৩৫টি গাড়ি থেকে পাঁচ কোটি ২৯ লাখ ৪৬ হাজার টাকা আদায় করেছেন দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীর মালিক আসাদ মিয়া।

জানতে চাইলে ঢাকা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হানিফ খোকন বিডি টুডেসকে বলেন, ‘চিঠি দেয়ার পর এখন পর্যন্ত মালিকপক্ষের কেউই তাদের কোনো চালককে এক পয়সাও ফেরত দেয়নি; বরং আমাদের যাত্রাবাড়ী কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। বাড্ডা এলাকায় চালকদের গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়া হচ্ছে। রামপুরায় বিভিন্ন হুমকি দেয়া হচ্ছে চালকদের। বলা হচ্ছে ডিবি দিয়ে গ্রেপ্তার করাবে এবং আমাকেসহ চালকদের ক্রসফায়ারে দেবে।

ঢাকা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন থেকে চিঠি ইস্যুর এখতিয়ার আছে কি-না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, অবশ্যই আছে। তা ছাড়া আমরা অনিয়মকে নিয়মে রূপ দেয়ার জন্যই চিঠি দিয়েছি। যার কপি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআরটিএ, মালিক সমিতি ও ডিএমপি কমিশনারকেও দিয়েছি। আমরা মন্ত্রণালয় ও বিআরটিএকে অনুরোধ করব, তারা যেন ব্যবস্থা নেয়। তিনি আরও বলেন, থানা পুলিশে আমরা এ সংক্রান্তে কোনো অভিযোগ করলে ব্যবস্থাও নিচ্ছে না পুলিশ। অথচ মালিকপক্ষ এত সব অনিয়মের পরও উল্টো আমাদেরই হয়রানি করা হচ্ছে। সিএনজি মালিকরা সহজেই থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে নিচ্ছেন।

 


আরও খবর



রাজধানীসহ সারাদেশে বাড়চ্ছে ডেঙ্গু, একদিনে ৩ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

 ডিজিটাল ডেস্ক:


চোখ রাঙাচ্ছে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু। বছরের শুরুর চার মাস ডেঙ্গুর প্রকোপ কিছুটা নিয়ন্ত্রিত থাকলেও আস্তে আস্তে তা বাড়তে শুরু করেছে। 


এরই মধ্যে গত একদিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তিনজন। নতুন করে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২১ জন।



বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।


এ নিয়ে সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে এ বছর ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৪৫ জনে। মে মাসে ১৫ দিনে মারা গেছেন ৮ জন। 


এ ছাড়া চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৩২ জন মারা যাওয়ার খবর জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।


বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২১ জন। এ নিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ১৬৪ জন।



আক্রান্ত ২১ জনের মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকার ১১ জন। এ ছাড়া ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১০ জন। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরিশালে, ৫ জন।


চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৫ মে পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট দুই হাজার ৫৪৫ জন। তাদের মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকার ৮৫১ জন। এ সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন দুই হাজার ৩৭৭ জন।


প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গেল বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন।


 এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার আটজন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন।


 গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন মানুষ মশাবাহিত এই রোগে মারা গেছেন। যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু।


এর আগে, ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময়ে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।


২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। 


ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এ ছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।


আরও খবর



এবার ২০ লাখ হাজির সমাগম হতে পারে মক্কায়

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

এ বছর জুনের মাঝামাঝি সময়ে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। ফলে মের শেষ সময় থেকেই পবিত্র নগরী মক্কায় ভিড় জমানো শুরু করবেন হজযাত্রীরা।

আর এবার মক্কায় রেকর্ড সংখ্যক ২০ লাখ হাজির সমাগম হতে পারেএমন ধারণা নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করেছে সৌদি আরব।

সুন্দর ও আরামদায়কভাবে যেন হাজিরা হজ সম্পন্ন করতে পারেন, সে বিষয়টি মাথায় রেখে সৌদির সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যৌথভাবে কাজ করছে।

হজসংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলো ধারণা করছে, এবার পবিত্র রমজানে রেকর্ড সংখ্যক ৩ কোটি মানুষ ওমরাহ পালন করার পর হজেও মুসল্লির ঢল নামবে।


আরও খবর



করোনা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার অ্যাস্ট্রাজেনেকার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

করোনাভাইরাসের টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। এক আইনি লড়াইয়ে সম্প্রতি এমনটাই স্বীকার করে নিয়েছে ব্রিটিশ-সুইস ওষুধ নির্মাতা কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এক বছর ধরে ভ্যাকসিনের ক্ষতিকারক প্রভাব মামলায় জর্জরিত রয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এত দিন কোম্পানি বলে এসেছিল যে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তায় তৈরি করা এই কোভিড ভ্যাকসিন ক্ষতিকারক নয়। কিন্তু দাবি উঠেছিল যে এই ভ্যাকসিনের জন্যই কয়েকজনের মৃত্যু এবং কেউ কেউ গুরুতর অসুস্থতার মুখে পড়েছেন। অ্যাটর্নিদের মতে, কিছু পরিবার টিকা দেয়ার একটি বিধ্বংসী প্রভাবের মুখোমুখি হয়েছিল। সবটা দেখে শুনে অবশেষে ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট অ্যাস্ট্রাজেনেকা প্রথমবারের মতো স্বীকার করেছে যে তার কোভিড ভ্যাকসিন খুব বিরল ক্ষেত্রে হলেও, টিটিএস-এর কারণ হতে পারে।


টিটিএস কী


টিটিএস-এর সম্পূর্ণ রূপ হলো থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম (টিটিএস)। এটি একটি খুব বিরল সিন্ড্রোম, যা রক্ত
​​জমাট বাঁধা (থ্রম্বোসিস) এবং কম প্লেটলেট সংখ্যা (থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া) দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। এটিকে ভিআইটিটি নামেও অভিহিত করা হয়, যার পূর্ণ রূপ 'ভ্যাকসিন-ইনডিউসড ইমিউন থ্রম্বোটিক থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া'। রক্তনালীতে রক্ত জমাট বাঁধার ফলে থ্রম্বোসিস হতে পারে, যা প্রভাবিত রক্তনালীতে রক্ত প্রবাহ কমিয়ে দেয়। থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া শরীরে রক্তের প্লেটলেট সংখ্যা কম হওয়ার সময় ঘটে। সাধারণত, প্লেটলেটগুলো অতিরিক্ত রক্তপাত রোধ করতে রক্তের জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। আর সেই প্লেট সংখ্যা কমে গেলে ক্ষতি হওয়া স্বাভাবিক।

 

গত বছর, জেমি স্কট, দুই সন্তানের পিতা, ব্রিটিশ-সুইডিশ বহুজাতিক ফার্মাসিউটিক্যাল এবং বায়োটেকনোলজি কোম্পানির বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তার অভিযোগে, স্কট উল্লেখ করেছিলেন যে তিনি ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে করোনা রুখতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নেয়ার পর থেকেই চরম বিপদের মুখে পড়েছিলেন। এর ফলে তার রক্ত জমাট বেঁধেছে এবং মস্তিষ্কে রক্তপাত হচ্ছে। এমনকি হাসপাতাল নাকি তার স্ত্রীকে জানিয়েছিল যে স্কট বেঁচে থাকতে পারবেন না। আর অ্যাস্ট্রাজেনেকা আদালতে এই দাবিগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করছে এত দিন ধরে। এর আগে, ২০২৩ সালের মে মাসে স্কটের আইনজীবীর কাছে এক মেইল পাঠিয়ে অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলেছিল, জেনেরিক লেভেলে এই টিকার কারণে টিটিএস-এর ঘটনা ঘটেছে, এটা স্বীকার করি না আমরা।

যাইহোক, এত দিন পর কোম্পানির স্বীকারোক্তি তাকে বিরাট ক্ষতিপূরণের মুখে ফেলে দিতে পারে। কারণ এরই মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে মোট ৫০টিরও বেশি মামলা করা হয়েছে। করোনার টিকা নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সকলেই অ্যাস্ট্রাজেনেকার কাছ থেকে ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।


আরও খবর



আসছে ঘূর্ণিঝড়, দেশজুড়ে কালবৈশাখীর সতর্কতা

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

চলতি মে মাসের দ্বিতীয়ার্ধে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। যারমধ্যে একটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার (৬ মে) সকালে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান।

তিনি বলেন, মে মাসের দীর্ঘমেয়াদী আবহাওয়ার পূর্বাভাসে কিন্তু আমরা বলেছি- চলতি মাসের দ্বিতীয়ার্ধে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। হয়তো ১৫ তারিখের পর থেকে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুইটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। সেই লঘুচাপ থেকে একটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়ার সম্ভাবনা আছে।

এর আগে বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টিপাত হতে পারে বলেও জানিয়েছেন এই আবহাওয়াবিদ। তিনি বলেন, বৃষ্টিপাতের প্রবণতার ধারাবাহিকতা এই মাসের ১১-১২ তারিখ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এছাড়া শনিবার আমরা কালবৈশাখীর একটি সতর্কবার্তা জারি করেছি। আগামী ৭২ ঘণ্টা দেশে বিচ্ছিন্নভাবে কালবৈশাখী ঝড়, দমকা হাওয়া, ঝড়ো হাওয়া ছাড়াও বজ্রঝড় এবং শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এ সময় সবাইকে বজ্রপাতের সময় নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার পরামর্শ দেন তিনি।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটের শ্রীমঙ্গলে সর্বোচ্চ ১২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি ঢাকায় ৩৬ মিলিমিটার ও চট্টগ্রামে ৩৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল, খুলনা বিভাগ এবং রাজশাহী বিভাগের কিছু জায়গায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট এবং চট্টগ্রাম বিভাগে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। তবে আজ আমরা আশা করছি খুলনা বিভাগে বৃষ্টিপাত বিস্তার লাভ করবে।

তাপপ্রবাহের দাপট কমে আসবে জানিয়ে তিনি বলেন, চলমান তাপপ্রবাহ আজ থেকে প্রশমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আগামী ১২-১৩ তারিখ পর্যন্ত দেশে তেমন আর তাপপ্রবাহ আশা করছি না।


আরও খবর



৫১ প্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করেনি

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

চলতি বছর মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। গতবার পাসের হার ছিল ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। অর্থাৎ এ বছর পাসের হার বেড়েছে।

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় সারা দেশে শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দুই হাজার ৯৬৮টি। ৫১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীই এবার পাস করেনি।

সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, এবার পরীক্ষায় অংশ নেওয়া মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৯ হাজার ৮৬১টি। এর মধ্যে শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দুই হাজার ৯৬৮টি। ৫১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীই পাস করেনি।

২০২৪ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। গতবার (২০২৩ সালে) পাসের হার ছিল ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। অর্থাৎ গতবারের তুলনায় এবার পাসের হার বেড়েছে ২ দশমিক ৬৫ শতাংশ।

এবার ছাত্রদের পাসের হার ৮১.৫৭ শতাংশ, ছাত্রীদের পাসের হার ৮৪.৪৭। নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮৩.৭৭ শতাংশ।

প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৩ দশমিক ৯২ শতাংশ, বরিশালে ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৮ দশমিক ৪০ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮৯ দশমিক ২৬ শতাংশ, সিলেটে ৭৩ দশমিক ০৪ শতাংশ, ময়মনসিংহ ৮৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ ও যশোরে ৯২ দশমিক ৩২ শতাংশ। আর মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং কারিগরিতে পাসের হার ৮১.৩৮ শতাংশ।

রোববার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ২০২৪ সালের এসএসসির ফলাফলের সারসংক্ষেপ ও পরিসংখ্যান তুলে দেন ১১টি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরা।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় গত ১২ মার্চ। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ থেকে ২০ মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়।

এবার মোট ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৬ লাখ ৬ হাজার ৮৭৯ জন। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষা দিয়েছেন মোট ২ লাখ ৪২ হাজার ৩১৪ জন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ জন।


আরও খবর