Logo
শিরোনাম

সড়কে আরেকটি স্বপ্ন চুরমার

প্রকাশিত:শনিবার ০২ এপ্রিল 2০২2 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

মুন্সী মো: আল ইমরান: নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারের এই শিক্ষার্থী নিজের স্কুটি চালিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষা শিক্ষা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবীর দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছিলেন।

যে কাভার্ড ভ্যানটি মীমের স্কুটিকে ধাক্কা দিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে তার চালককে গতকাল রাতেই চট্টগ্রাম থেকে আটক করা হয়েছে। তার নাম সাইদুল বলে জানা গেছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজ দেখে কাভার্ড ভ্যানটি শনাক্ত করা হয়। পরে রাত ১০টার দিকে এর চালক চট্টগ্রামে ধরা পড়ে। আটকের পর তাকে নিয়ে পুলিশের একটি দল ঢাকায় রওনা হয় বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা। তাৎক্ষণিকভাবে আটক চালক সাইদুলের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।

খিলক্ষেত থানার এসআই মিজানুর রহমান জানান, নিহত মীম স্কুটি চালিয়ে উত্তরার বাসা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রওনা হয়েছিলেন। কুড়িল ফ্লাইওভারে ওঠার পর মাঝামাঝি জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটে।

রক্তাক্ত অবস্থায় ফ্লাইওভারেই পড়ে ছিল মিমের দেহ। পাশেই পড়ে ছিল তার স্কুটি। এক পথচারী জাতীয় জরুরি সেবার নম্বর ৯৯৯-এ কল করে পুলিশকে বিষয়টি জানান। পথচারীরাই মিমকে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মীমের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে তার মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়। এরপর দুপুরে মরদেহ গাজীপুরের মৌচাকের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।

খিলক্ষেত থানার ওসি মুন্সি সাব্বির আহমেদ জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে দুর্ঘটনা ঘটে। পাশে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে মীমের স্কুটিকে ধাক্কা দেওয়া একটি কার্ভাড ভ্যান শনাক্ত করেছেন তারা।

ওসি বলেন, ‘খুব দ্রুত ওই কাভার্ড ভ্যান জব্দ ও এর মালিককে শনাক্ত করে আমরা প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারব বলে আশা করছি। এই ঘটনায় সড়ক পরিবহন আইনে মামলা হবে।

নিহত মীমের স্বজনরা জানান, দুর্ঘটনায় মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন তার বাবা নূর মোহাম্মদ মামুন। তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। পরে মীমের লাশ গ্রামের বাড়ি নেওয়ার সময় তার বাবা মৃত মেয়ের মুখ দেখে আবারও অসুস্থ পড়েন। সকালে ঘটনা ঘটলেও বিকেল ৬টা পর্যন্ত মেয়ের মৃত্যুর বিষয় জানতেন না মা আসমা বেগম।

মীমের মৃত্যুতে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। গতকাল ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়টির ইংরেজি বিভাগের সিনিয়র লেকচারার শর্মি হোসেন ফেইসবুকে লিখেন, ‘সকাল ৯.৩০টা কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের ইমার্জেন্সির ডাক্তারের ফোন পেলাম। ইংরেজি বিভাগের আন্ডারগ্র্যাজুয়েটের ছাত্রী মায়শা মমতাজ মীম কুড়িলের সামনে বাইক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে। ডাক্তার জানালেন হাসপাতালে তার লাশ নিয়ে গিয়েছেন একজন গরিব রাজমিস্ত্রি। আহা, কত গাড়ি, বাইক, বাস হয়তো পাশ দিয়েই চলে গেছে। কারও সময় হয়নি থামার। হাসপাতালে আনার পর তার ব্যাগে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড পাওয়া গেছে। আমার নম্বর ডাক্তার পেয়েছেন আমার আরেক ছাত্রীর কাছ থেকে। জিজ্ঞাসা করলেন মেয়েটার বাবা-মা’র সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব কি না। আমি সাথে সাথে প্রক্টর অফিসকে জানালাম। উনারাও খবর পেয়েছেন!

শর্মি হোসেন আরও লিখেন, ‘আজ আমাদের বিভাগে একটা ইভেন্টে আসার জন্য মেয়েটা রওনা হয়েছিল। দুই বছর অনলাইনে ক্লাস করা বাচ্চা মেয়েটা হয়তো বিশ্ববিদ্যালয়ের এইসব এক্সট্রা কারিকুলাম অনুষ্ঠানে খুব আনন্দ নিয়ে যুক্ত হয়েছিল, কিছু কাজ শিখবে, প্রিয় বন্ধুদের সাথে একটু আড্ডা দিবে, রাতে কিছু ছবি পোষ্ট করবে। এইই তো। শেষ হয়ে গেল সব।

মর্গে যাওয়া মীমের মামাতো ভাই আইনজীবী জাকির হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা শুনেছেন, একটি কাভার্ড ভ্যান মীমের স্কুটিকে চাপা দিয়ে চলে যায়। পুলিশকে তারা বিষয়টি জানিয়েছেন।

গাজীপুরের মৌচাক আইডিয়াল পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নূর মোহাম্মদ মামুনের দুই মেয়ের মধ্যে মীম বড়। স্বজনরা জানান, রাজধানীর উত্তরা ৬নং সেক্টরের ১০ রোডের ৯ নম্বর বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন মীম। তার ছোট বোন রৌদোসী মমতাজ মৌ উত্তরা রাজউক কলেজের এইচএসসির শিক্ষার্থী। সন্তানদের লেখাপড়ার কারণে তাদের বাবা-মা সন্তানদের নিয়ে উত্তরায় বসবাস করেন। তাদের মা আসমা বেগম গৃহিণী।

গতকাল ক্যাম্পাস বন্ধ থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাবের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে উত্তরার বাসা থেকে ক্যাম্পাসে যাচ্ছিলেন মীম। গতকালই তার ছোট বোনের  ঢাকা মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা দিয়ে ফিরে এসেই ছোট বোন জানতে পারে বড় বোন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। মাকে জানানো হয়েছে আরও অনেক পরে। মেয়েকে হারিয়ে বাবা-মা দুজনেই শয্যাশায়ী। স্বজনরা জানান, ময়নাতদন্ত শেষে মীমের মরদেহ গাজীপুরের মৌচাক বাজারসংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানে রাত সাড়ে ৮টার দিকে দাফন করা হয়। মীমের  গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায়, তবে মৌচাকেও তাদের বাড়ি আছে।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক শর্মী হোসাইন জানান, মীম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিল ২০২০ সালে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এখন ভাষা প্রতিযোগিতা চলছে ক্যাম্পাসে। মীম সেখানে স্বেচ্ছাসেবীর দায়িত্ব পালন করছিলেন। গতকাল চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই ক্যাম্পাসে যাচ্ছিলেন।

মীমের মামা অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান বাদল বলেন, ‘পাঁচ মাস হলো ও স্কুটি চালাতে শুরু করেছিল। মাথায় হেলমেট পরত। দুর্ঘটনার সময়ও মাথায় হেলমেট ছিল। তবে মূল আঘাতটা মাথাতেই লেগেছে।’

মীমের আরেক মামা অ্যাডভোকেট এ কে এম হাবীবুর রহমান চুন্নু বলেন, ‘আমার ভাগনি এমন অসময়ে চলে যাবে ভাবতে পারিনি। গত বুধবারও ওর সঙ্গে কথা হয়েছে। মেয়েটা খুব মিশুক ছিল।’

তিনি আরও বলেন, মীমের বাবা তার ছোট বোন মৌকে নিয়ে মিরপুর এসেছিল। মৌয়ের মেডিকেলের একটি পরীক্ষার সিট পড়েছিল বাংলা কলেজে। আমাদের বাসা মিরপুর। পরীক্ষা শেষে বলেছিল বাসায় আসবে। পরে মীমের ঘটনার পর সব ওলটপালট হয়ে গেছে।’

স্বজন-সহপাঠীদের আহাজারিতে চিরবিদায়: নিহত মাইশা মমতাজ মীম তার বাবা নুর মোহাম্মদ মামুন প্রতিষ্ঠিত মৌচাক আইডিয়াল পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করে ভর্তি হন নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার মৃত্যুর খবর এলাকায় পৌঁছালে শোকের ছায়া নেমে আসে। শিক্ষক, সহপাঠী, আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসী ছুটে আসেন তাদের বাড়িতে। বিকেলে মীমের মরদেহ মৌচাকের বাড়িতে আসার পর স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাকে একনজর দেখার জন্য মৌচাক আইডিয়াল পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকার শত শত মানুষ ছুটে আসেন।

মীমের স্কুলের শিক্ষক আবুল কালাম বলেন, ‘মীম অত্যন্ত মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল। মেয়েদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য সব রকম ত্যাগ স্বীকার করতেন তাদের বাবা-মা


আরও খবর



সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

সন্ত্রাস মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের অন্যতম প্রধান প্রতিষ্ঠান নিয়ার ইস্ট সাউথ এশিয়া (নেসা) সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের ডিস্টিংগুইশ প্রফেসর ড. হাসান আব্বাস।  ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ প্রশংসা করেন।

এর আগে নিয়ার ইস্ট সাউথ এশিয়া (নেসা) সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের ৪৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করেন এবং মিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি ইন্টারেক্টিভ সেশনে অংশগ্রহণ করেন। দলটির নেতৃত্ব দেন ড. হাসান আব্বাস। প্রতিনিধিদলে ওয়াশিংটন ডিসিতে নেসা সেন্টার আয়োজিত একটি সেমিনারে ২৮টি দেশের অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিবর্গ অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।

ড. আব্বাস ইন্টারঅ্যাকটিভ সেশনে বক্তৃতার সময় সন্ত্রাস, সহিংস চরমপন্থা ও জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবনে তিনি বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বদের দ্বারা দারুণভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছেন।

তিনি বলেন, তার প্রতিষ্ঠান নেসার সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক কামনা করে এবং আরও সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ দেখতে চায়।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান দূতাবাসে নেসা সেন্টারের প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান ও অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। মূল বক্তব্যে বাংলাদেশের ইতিহাস এবং দেশের সাম্প্রতিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কথা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন তিনি।

এ সময় রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গা সংকট ইস্যু এবং সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থা মোকাবিলায় বাংলাদেশের সাফল্য এবং গ্লোবাল কমিউনিটি এনগেজমেন্ট অ্যান্ড রিজিলিয়েন্স ফান্ড (জিসিইআরএফ)-এ দেশের অগ্রগতির ওপরও আলোকপাত করেন। সন্ত্রাসবাদের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ কার্যকরভাবে মোকাবিলা করার জন্য সকল দেশের সমন্বিত প্রচেষ্টা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান বলেন, সন্ত্রাসবাদ একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ ও কোনো দেশের পক্ষে এককভাবে তা মোকাবিলা সম্ভব নয়।

রাষ্ট্রদূত ইমরান মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাদের জন্মভূমিতে টেকসই এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, যদি সমস্যাটি আরও দীর্ঘায়িত হয় তাহলে তা সমগ্র অঞ্চলের নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করতে পারে। একইসঙ্গে উন্নয়ন উদ্যোগকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।


আরও খবর



প্রতিটি মানুষকে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল করতে কাজ করছি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার সকল দেশবাসীকে অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল করতে বহুমাত্রিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

তিনি বলেন, আমরা বহুমাত্রিক কর্মসূচি হাতে নিয়ে প্রত্যেক মানুষকে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দরিয়ারকুল গ্রাম উন্নয়ন সমিতির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি সংক্ষিপ্তভাবে বহুমাত্রিক কর্মসূচির বর্ণনা দেন, যার মধ্যে রয়েছে আমার বাড়ি, আমার খামার, জনগণকে আর্থিক অনুদান প্রদান, সার্বজনীন পেনশন প্রকল্প এবং গ্যারান্টি ছাড়া ঋণ প্রদান, সমাজ থেকে দারিদ্র্য বিমোচন করার জন্য যুবকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদান ইত্যাদি।

সরকার প্রধান বলেন, আমরা দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে অনেক উদ্যোগ নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকারের নেয়া কর্মসূচিগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হলে দেশে কেউ গরীব থাকবে না।

 

তিনি ক্ষুদ্র সঞ্চয় নিশ্চিত করতে এবং এইভাবে বাংলাদেশের উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য সমগ্র বাংলাদেশে সমবায় সমিতি গঠনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

প্রতিটি এলাকায় সমবায় সমিতি গঠন করে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণে আওয়ামী লীগ নেতাদের আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, সবাই যাতে নিজের পাঁয়ে দাঁড়াতে পারে, সে জন্য আমরা কাজ করছি।

পরে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় চত্বরে দরিদ্রদের মাঝে রিপার মেশিন, সার, ল্যাপটপ, ১০টি সাইকেল, ১০টি রিকশা ভ্যান, ৩০টি সেলাই মেশিন এবং ৩৮ জনকে ৪০ হাজার টাকার আর্থিক অনুদান, ১০ জোড়া কবুতর এবং ৩৮ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতির পিতার কনিষ্ঠ কন্যা ও প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম।

অনুষ্ঠানে সুবিধাভোগীরা তাদের সরঞ্জাম এবং আর্থিক অনুদান পাওয়ার নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করেন।


আরও খবর



রামগড় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

মোহাম্মদ শাহেদ হোসেন রানা

রামগড়(খাগড়াছড়ি):

প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলায় প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১১টা থেকে জেলা নির্বাচন অফিসের সম্মেলন কক্ষে দুপুর পর্যন্ত প্রার্থীদের হাতে প্রতীক তুলে দেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কামরুল আলম।

তবে এই নিবার্চনে দলীয় প্রতীক না থাকায় বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান এবং আরও দুইজন প্রার্থী সহ মোট ৩ জন চেয়ারম্যান পদে লড়বেন। এছাড়াও ৫ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ২ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নিবার্চনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কার্বারী পেয়েছেন আনারস প্রতীক, রামগড় উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো.আবদুল কাদের পেয়েছেন দোয়াত কলম এছাড়াও কংজঅং মারমা ঘোড়া প্রতীক পেয়ে নির্বাচনে লড়বেন।


এছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মো.আনোয়ার ফারুক পুনরায় টিয়া প্রতীক পেয়েছেন, মো.শামছুউদ্দিন মিলন তালা প্রতীক, মো.ওমর ফারুক মাইক প্রতীক, মোবারক হোসেন বাদশা চশমা প্রতীক, মো.নুরুল আমিন টিউবওয়েল প্রতীক এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা বেগম কলস প্রতীক ও নাছিমা আহসান নীলা প্রজাপ্রতি প্রতীকে নিবার্চনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

রামগড় উপজেলা নিবার্চন অফিস সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৮ই মে প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত ৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে রামগড় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে একটি পৌরসভা ও দুইটি ইউনিয়নের ৪১ হাজার দুইশত ৬১ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।


আরও খবর



তিন দিনব্যাপী বর্জ্যের প্রদর্শনী করবে ডিএনসিসি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে খালে, ড্রেনে ও যত্রতত্র ফেলে দেওয়া বর্জ্যের তিন দিনব্যাপী প্রদর্শনীর আয়োজন করতে যাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মুখপাত্র মকবুল হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে খালে, ড্রেনে ও যত্রতত্র ফেলে দেওয়া বর্জ্যের তিন দিনব্যাপী প্রদর্শনীটি ডিএনসিসি নগর ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত হবে। ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম আগামীকাল (শনিবার) সকালে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

অন্যদিকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আরেকটি অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে ডিএনসিসি, যা বর্তমানে চলমান রয়েছে। ডেঙ্গু মোকাবিলায় শহরজুড়ে যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এডিস মশার প্রজনন স্থল এবং পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ পরিত্যক্ত পলিথিন, চিপসের প্যাকেট, আইসক্রিমের কাপ, ডাবের খোসা, অব্যবহৃত টায়ার, কমোড ও অন্যান্য পরিত্যক্ত দ্রব্য সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কিনে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ডিএনসিসি।

প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরের কার্যালয়ে গিয়ে যে কেউ এসব পরিত্যক্ত দ্রব্য জমা দিয়ে নগদ অর্থ সংগ্রহ করতে পারবেন। প্রতিটি ওয়ার্ডের ক্রয় করা পরিত্যক্ত দ্রব্য প্রতিদিন নিয়মিতভাবে সংগ্রহ করে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা নিকটবর্তী এসটিএস (সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন)-এ অপসারণ করবে। জনগণকে সম্পৃক্ত করে প্রতিটি ওয়ার্ডকে পরিচ্ছন্ন করার লক্ষ্যে এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সংস্থাটি।

কোন পরিত্যক্ত দ্রব্যতে কত টাকা পর্যন্ত দেবে সে বিষয় বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, চিপসের প্যাকেট বা সমজাতীয় প্যাকেটপ্রতি ১০০টির জন্য ১০০ টাকা করে মূল্য দেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। একইভাবে আইসক্রিমের কাপ, ডিসপোজেবলব গ্লাস, কাপ ১০০টির ১০০ টাকা, অব্যবহৃত পলিথিন প্রতি কেজি ৫০ টাকা, প্রতি ডাবের খোসা ২ টাকা, মাটি, প্লাস্টিক, মেলামাইন, সিরামিক ইত্যাদির পাত্র প্রতিটির জন্য ৩ টাকা করে দেবে ডিএনসিসি।

এ ছাড়া পরিত্যক্ত টায়ার প্রতিটি ৫০ টাকা, পরিত্যক্ত কমোড, বেসিন ইত্যাদি প্রতিটির জন্য ১০০ টাকা, পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের দ্রব্য প্রতি কেজি ১০ টাকায় কিনে নেবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন।


আরও খবর



অর্থ সংকটের কারণ দেখিয়ে আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় ভলিবল টুর্নামেন্টে দল পাঠাচ্ছেনা নোবিপ্রবি

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

মো: সিনান তালুকদার, নোবিপ্রবি প্রতিনিধি :

অর্থ সংকটের কারণ দেখিয়ে আসন্ন আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় ভলিবল টুর্নামেন্টে দল পাঠাচ্ছেনা নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(নোবিপ্রবি) কর্তৃপক্ষ।

শিক্ষার্থীরা জানান, নোবিপ্রবির ভলিবল দল গত  ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত  আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ভলিবল টুর্নামেন্ট বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়কে পেছনে ফেলে সেমিফাইনালে উঠার গৌরব অর্জন করে।দলটিকে সুযোগ দেওয়া হলে তারা আরোও ভালো করবে। অর্থের কারণ দেখিয়ে একটি সম্ভাবনাময় দলকে অংশগ্রহণ করতে না দেওয়া অযৌক্তিক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নোবিপ্রবি  ভলিবল দলের এক খেলোয়াড় বলেন-আমরা টুর্নামেন্ট এ অংশগ্রহন করতে আগ্রহী এবং ভালো কিছু করার জন্য প্রস্তুত আছি।আর্থিক সংকট ও খেলার বাজেট না থাকার কারণে আমরা টুর্নামেন্ট এ অংশগ্রহন করতে পারছি নাহ,আমরা চাই প্রশাসন আমাদেরকে সহযোগীতা করে,যেন আমরা টুর্নামেন্ট এ অংশগ্রহন করতে পারি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন,গতবার আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় টুর্নামেন্ট এ নোবিপ্রবি সেমিফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করে,অথচ এইবার অংশগ্রহনে অনিশ্চিত।যা কোনো ভাবেই কাম্য নয়।

এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, শরীরচর্চা বিভাগের পরিচালক মো. রুবেল মিয়া বলেন - খেলা পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা এইবার আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ভলিবল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহন করবো না,এই বছর আমরা খেলার মাঠ সংস্কার ও পিচ বানানোর কাজ করায় আর্থিক সংকট এর কারনে এই সিদ্ধান্ত  নেওয়া হয়।এখন থেকে প্রতিবছর আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় সবগুলো টুর্নামেন্ট এ অংশগ্রহণ নাহ করে আমরা রোটেশন করে তিন থেকে চারটি টুর্নামেন্ট এ অংশগ্রহন করবো।

উল্লেখ্য , আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট টুর্নামেন্টে  রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বনাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফাইনালে অপ্রীতিকর ঘটনার কারণে  আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ভলিবল টুর্নামেন্ট স্থগিত রয়েছে।


আরও খবর