Logo
শিরোনাম

টুঙ্গিপাড়ায় ৪ মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামী তাহিন শেখ গ্রেফতার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

মো: মাসুদ রানা, গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :

গত  ১৬ নভেম্বর  অফিসার ইনচার্জ খন্দকার আমিনুর রহমান এর নিদের্শনায় অত্র থানার এসআই/সুবীর সূত্রধর ও এসআই ইব্রাহিম এসআই বরেন্দ্র এবং  সঙ্গীয় ফোর্সসহ  রাত্রী বেলায় গোপন  সংবাদের ভিত্তিতে গিমাডাঙ্গা মুন্সিরচর এলাকা হইতে  মাদক ব্যবসায়ী, ছিনতাইকারী, নারী দিয়ে কৌশলে প্রতারনাকারী  বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন ধারার মোট ০৯(নয়)টি মামলায় অভিযুক্ত আসামী তাহিন শেখ (২৫) পিতা- মোতালেব শেখ, সাং- গিমাডাঙ্গা, থানা-টুঙ্গিপাড়াকে গ্রেফতার করে - ১৭ নভেম্বর  বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়। উক্ত আসামির বিরুদ্ধে টুঙ্গিপাড়া থানায় ০৪ টি জি আর  গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে।  উক্ত আসামী তাহিন শেখ অত্র থানা এলাকায় নারী দিয়ে ফাঁদে ফেলে বিভিন্ন লোকের নিকট হইতে মারপিট করতঃ কৌশলে টাকা পয়সা আদায় করত বলে,  অফিসার ইনচার্জ, টুঙ্গিপাড়া থানা গণমাধ্যম কর্মীদের জানান।


আরও খবর



ত্রিমুখী চাপে' সরকার, দুশ্চিন্তা বাড়ছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

বিরোধী দলের তীব্র আন্দোলন, গার্মেন্ট শ্রমিকদের অসন্তোষ ও দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির কারণে দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে সরকারের। বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারের জন্য বিষয়গুলো চ্যালেঞ্জিং। তবে, দ্রুত সমাধান জরুরি। এ ছাড়া, শ্রমিক আন্দোলন যেকোনো সময় রাজনৈতিক মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। কাজেই অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।

বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর আন্দোলন : সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে মাঠের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি যুগপৎভাবে বিভিন্ন দল ও জোটকে নিয়ে আন্দোলন শুরু করে গত ১২ জুলাই। এরপর থেকে টানা তিন মাসে ঢাকাসহ সারাদেশে রোড মার্চ, পদযাত্রা, গণমিছিল, কালো পতাকা মিছিল, অবস্থান কর্মসূচি, সমাবেশ-বিক্ষোভসহ নানা কর্মসূচি পালন করছে।

গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনসহ নয়টি স্থানে মহাসমাবেশের ডাক দেয় বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। কিন্তু বিএনপির সমাবেশ শুরুর দেড় ঘণ্টার মধ্যে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। সমাবেশ পণ্ড হলে হরতাল ডাকে দলটি। এরপর তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকার ঘোষণা দেয় তারা। বর্তমানে অবরোধ কর্মসূচি চলছে। বিএনপির সঙ্গে মিল রেখে হরতালের পর অবরোধেরও ডাক দেয় জামায়াতে ইসলামী।

হরতাল-অবরোধে প্রতিদিনই পোড়ানো হচ্ছে বাস। রাস্তায় যানবাহন চলাচলের সংখ্যা কমেছে। সবমিলিয়ে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশ।

গার্মেন্টস শ্রমিকদের অসন্তোষ : এদিকে, ন্যূনতম মজুরি বাড়ানোর দাবিতে গত এক সপ্তাহ ধরে আন্দোলন করছেন পোশাক শ্রমিকরা। তাদের এ আন্দোলনও সহিংস হয়ে উঠেছে। সোমবার গাজীপুরে বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছেন। একাধিক কারখানায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। সড়ক অবরোধ, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটছে, আছে হতাহতের খবরও।

২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনসহ নয়টি স্থানে মহাসমাবেশের ডাক দেয় বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। কিন্তু বিএনপির সমাবেশ শুরুর দেড় ঘণ্টার মধ্যে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। সমাবেশ পণ্ড হলে হরতাল ডাকে দলটি। এরপর তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকার ঘোষণা দেয় তারা।

পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় আহত রাসেল হাওলাদার (২২) ও ইমরান (৩০) নামের দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বিক্ষোভ ও কারখানায় হামলার ঘটনা ঘটেছে সাভার ও আশুলিয়ায়ও। এসব ঘটনায় ৮০ জনের বেশি শ্রমিক আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবারও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা। তাদের অবরোধের কারণে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কালিয়াকৈরের মৌচাক বাজার এলাকায় একটি পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালায় শ্রমিকরা। সফিপুর এলাকায় আরেকটি পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়া হয়।

এদিন রাজধানীর মিরপুরেও রাস্তায় নামেন পোশাক শ্রমিকরা। তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের জেরে ১৫টি বাস, দুটি মার্কেট, একটি ব্যাংকের শাখা ও দুটি পোশাক কারখানায় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পোশাক-শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণে মজুরি বোর্ড গঠন করেছে সরকার। তবে, এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

এদিকে, বুধবার দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে রাজধানীর মিরপুরে আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তোপের মুখে পড়েন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। দুপুর নাগাদ তিনি সেখানে উপস্থিত হলে শ্রমিকরা তার বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। তোপের মুখে পড়ে প্রতিমন্ত্রী দুপুর ১টার দিকে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

এর আগে সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত পোশাক শ্রমিকরা মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরে অবস্থান নেন। এ সময় ওই এলাকায় যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। সকাল ৯টার দিকে মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বর থেকে ১৪ নম্বরের দিকে চলে যান তারা।

লাগামহীন দ্রব্যমূল্য : ডিমের দামের পাশাপাশি আলু ও পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে দিলেও বাজারের চিত্র উলটো। সাধারণ ক্রেতাদের সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে অনেক বেশি দামে কিনতে হচ্ছে এসব পণ্য।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলুর দাম ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা নির্ধারণ করে দেয় সরকার। কিন্তু, সরকার নির্ধারণ করার পরও দাম না কমে বরং দিনদিন বাড়ছে। গত চার দিনে আলুর দাম কেজিতে অন্তত ১০ টাকা বেড়ে ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাধ্য হয়ে সরকার আলু আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়।

অন্যদিকে, রাজধানীর বাজারগুলোতে দেশি পেঁয়াজ ১১৫ থেকে ১৩০ টাকা আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে। অথচ সরকারের নির্ধারিত দাম ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা।

খুচরা বাজারে প্রতিটি ডিমের দাম সর্বোচ্চ ১২ টাকা করে নির্ধারণ করা হলেও বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। এ ছাড়া, অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও লাগামহীন। এ নিয়ে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জনসাধারণের মাঝে উদ্বেগ : দেশের এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে সবার মাঝে এক ধরনের উদ্বেগ আছে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক গোবিন্দ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, এ সময় যারা সরকারে আছেন এবং সরকারের বাইরে আছেন, সবাই ভালো রোল প্লে করলে শঙ্কা দূর করা সম্ভব।

তিনি আরো বলেন, দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে কোনো ধরনের উদ্বেগ যাতে তৈরি না হয়, শঙ্কা যাতে তৈরি না হয়, সেই চেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলোর করা উচিত। নীতিনির্ধারকরা বলতে পারবেন, এখন তারা কী করবেন। সরকার ও বিরোধী দল একসঙ্গে মাঠে আন্দোলন করছে। সঙ্গত কারণে সরকারকে জনস্বার্থ দেখতে হবে, যাতে কোনো রকমের শঙ্কা তৈরি না হয়, সহিংসতা তৈরি না হয়।

সরকারের জন্য বিষয়গুলো দুশ্চিন্তার : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অপর অধ্যাপক সাব্বীর আহমেদ বলেন, সরকারের জন্য এগুলো চ্যালেঞ্জিং। কারণ, নির্বাচনের সময়ে এ ধরনের সেনসিটিভ ইস্যুগুলো, যেগুলো জনগণের জীবনযাত্রার সঙ্গে সম্পৃক্ত, সেগুলো সতর্কতার সঙ্গে ডিল করতে হবে।

শ্রমিক আন্দোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, শ্রমিকদের আন্দোলন নানাজনের ইন্ধন পেয়ে রাজনৈতিক দিকে মোড় নিতে পারে। সুতরাং এগুলো নিয়ে সমস্যা আছে, দ্রুত সমাধান এ মুহূর্তে জরুরি। শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরির বিষয়টি চলমান। বাজার পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য করে তারা তাদের ন্যূনতম মজুরি চাইবে, এটাই স্বাভাবিক। বিষয়টির দ্রুত সমাধান হওয়া উচিত।

নির্বাচনের আগে এটার সমাধান হওয়া উচিত বলে মনে করি। নির্বাচনের আগে শ্রমিক বিক্ষোভের বিষয়টি সরকারের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। এ কারণে সরকারকে উদ্যোগী হয়ে শ্রমিকদের পক্ষে মালিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসে সমস্যার সমাধান করা হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

দ্রব্যমূল্যের ইস্যুতে তিনি বলেন, এ বিষয়ে সরকার আন্তরিক, তারা চেষ্টা করছেন। কিন্তু সব ক্ষেত্রে চেষ্টা সফল হচ্ছে না। সফল না হওয়ার অনেকগুলো কারণও আছে। কোনো কোনো পণ্যের উৎপাদন ক্ষমতা আমাদের নেই, উৎপাদন কমে গেছে, কোনো কোনো পণ্যে সিন্ডিকেট হচ্ছে, মজুত করে রাখা হচ্ছে। আবার কোনো কোনো পণ্যে সাপ্লাই চেইনে গণ্ডগোল হচ্ছে। এসব বিষয়ে আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত।

তবে, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ মনে করেন, শ্রমিকদের আন্দোলনের বিষয়টি অস্থায়ী। এটার দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে। মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের কষ্ট হচ্ছে, এটা সত্য। তবে, বাস্তবতা হলো বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচির সঙ্গে সাধারণ জনগণের সম্পৃক্ততা নেই। এজন্য তাদের আন্দোলন সফল হচ্ছে না, হবেও না।


আরও খবর

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




নওগাঁয় 'বিস্ফোরণ' মামলায় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গ্রেফতার

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁ জেলা শহরে অবরোধের সমর্থনে বের করা মিছিল থেকে নওগাঁ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন পলাশ কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার ২৭ নভেম্বর বিকেল ৩ টারদিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এব্যাপারে নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ফয়সাল বিন আহসান বলেন, গত ২৯ অক্টোবর নওগাঁ শহরের তাজের মোড় এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। 

ঐ মামলায় বায়েজিদ হোসেন পলাশ এজাহার ভুক্ত আসামি। সে এতদিন পলাতক ছিলেন।আজ দুপুরে তার অবস্থান জানতে পেরে পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন। 

অপরদিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা জানায়, নওগাঁ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন পলাশ, যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম টুকু ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলুর নেতৃত্বে অবরোধের সমর্থনে বিএনপির নেতা-কর্মীরা শহরের ব্রিজের মোড় থেকে একটি মিছিল বের করেন। মিছিলটি পুরাতন সোনালী ব্যাংক রোড এলাকায় পৌছালে পুলিশ মিছিল থেকে বায়েজিদ হোসেন পলাশ কে গ্রেফতার করেন। 

নওগাঁ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু বলেন, গত ২৯ অক্টোবর বায়েজিদ হোসেন পলাশ ও আমি সহ দলের অন্য অনেক নেতাকর্মী ঢাকায় অবস্থান করছিলাম। অথচ সেই মামলায় তার নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে এবং আজকে সেই ভুয়া মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হলো। 

তিনি আরো জানান, এ ধরণের মিথ্যা ও গায়েবী মামলায় গত এক মাসে শুধু নওগাঁ জেলা সদর উপজেলা থেকে বিএনপির ১শ' ২৫ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেলা জুড়ে একই সময়ের মধ্যে আরো ৬ শতও বেশি বিএনপির নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



৯৫ শতাংশ বুকিং বাতিল ছাঁটাই শুরু

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

মৌলভীবাজার সংবাদদাতা :  প্রকৃতিতে শীতের আমেজ ও বছরের শেষ সময় পর্যটন মৌসুমের শুরু হিসেবে ধরা হলেও কাঙ্ক্ষিত পর্যটকের আগমন নেই মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জসহ অন্যান্য এলাকায়। গত মাসের মধ্যবর্তী সময়ও জেলার যেসব পর্যটন কেন্দ্র সকাল-সন্ধ্যা কোলাহল মুখর ছিল, সেসব স্থান এখন নীরব।

গত অক্টোবরের ২৮ তারিখ থেকে অবরোধ-হরতাল ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় প্রায় ৯৫ শতাংশ বাতিল হয়েছে। অলস সময় পার করছেন জেলার দেড় শতাধিক হোটেল, গেস্ট হাউস, মোটেল, রিসোর্টের কর্মীরা। এতে প্রতিদিন কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে বলে জানান শ্রীমঙ্গল পর্যটন সেবা সংস্থার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সেলিম আহমেদ। এতে মৌসুমের শুরুতেই ক্ষতির মুখে পড়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

জেলার অন্যতম পর্যটন স্পটগুলো হলো কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মাধবপুর লেক, বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর স্মৃতিসৌধ, মণিপুরী পাড়া, হামহাম জল প্রপাত, ছয়সিঁড়ি দীঘি, ক্যামেলিয়া লেক, পাত্রখোলা লেক, পদ্মছড়া লেক, বামবুতল লেক, হরিনারায়ন দিঘি, শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জে সবুজ চা বাগান, রাবার বাগান, বধ্যভূমি একাত্তর চত্বর, হাইল হাওর, বাইক্কা বিল, হাকালুকি হাওর, মুন ব্যারেজ।

সাধারণত বন্ধের দিন ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি ভিড় থাকে। গতকাল শুক্রবার ঘুরে ও খোঁজ নিয়ে জেলার বিভিন্ন হোটেল, রিসোর্ট ও রেস্টুরেন্ট কোনো পর্যটক শূন্য দেখা গেছে। পর্যটন নগরীর বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান খালি, দেশী- বিদেশি কোনো পর্যটক নেই। অথচ গত এক মাস আগেও পর্যটন কেন্দ্রগুলো মুখরিত ছিল।

পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, প্রতি বছর সেপ্টেম্বর থেকে পরের বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত মৌলভীবাজারের প্রায় দেড় শতাধিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, গেস্টাহাউসে শতভাগ অগ্রিম বুকিং থাকত। চলতি বছরেও অগ্রিম বুকিং হয়েছিল। তবে অক্টোবরের ২৮ তারিখ থেকে অবরোধ-হরতাল ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় প্রায় ৯৫ শতাংশ বাতিল হয়েছে। দ্রুত এ অবস্থা থেকে উত্তরণ না হলে পর্যটনশিল্পে আবারও বিপর্যয় নেমে আসার আশঙ্কা করছেন তারা।

শ্রীমঙ্গল হোটেল প্যারাডাইজের স্বত্বাধিকারী হাজী আবুজার বাবলা জানান, নভেম্বর পর্যটনের ভরা মৌসুম। প্রতি বছর এ সময়ে পর্যটন স্পটগুলোতে উপচে পড়া ভিড় থাকে। কিন্তু হরতাল ও অবরোধের কারণে চলতি মৌসুমের তুলনায় ১০ ভাগ ট্যুরিস্টও নাই।

আবুজার বাবলা বলেন, এখন ক্ষতির মুখে আমরা। এই ক্ষতি কিভাবে পোষাব, বুঝতে পারছি না। কর্মচারী ও বিদ্যুৎ বিল, ব্যাংকের লোন, বাসা ভাড়া সব কিছু দিতে হিমসীম খেতে হচ্ছে। এভাবে যদি চলে তাহলে হোটেল রিসোর্ট গুটিয়ে নিতে হবে।

কমলগঞ্জ অরণ্য বিলাস ইকো রিসোর্টের মালিক এহসান কবির সবুজ বলেন, করোনাভাইরাস, বন্যাসহ নানা কারণে কয়েক বছরে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবার অতীতের ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেওয়ার আশায় ছিলাম। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে পর্যটক বলতেই নাই। এ অবস্থা চলতে থাকলে কর্মচারী ছাঁটাই করতে হবে, সঙ্গে ব্যবসা বন্ধ করতে হবে।

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের পাশের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, লাউয়াছড়ায় ডাব বিক্রি করে সংসার চলে। এক মাস ধরে এ উদ্যানে কোনো ট্যুরিস্ট নাই। বেচা-বিকি নাই। দুরবস্থায় আছি। সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছে। একই ধরনের কথা জানান কসমেটিক ও চা-পাতা ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন।

পর্যটন সেবা সংস্থার সভাপতি ও গ্র্যান্ড সেলিম রিসোর্টের মালিক সেলিম আহমেদ বলেন, জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে শতাধিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট রয়েছে। সবগুলোই এখন ফাঁকা। প্রতিদিন প্রায় অর্ধ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠান ছাঁটাই শুরু করেছে। অনেকের ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। যদি ডিসেম্বর ও জানুয়ারি এই সমস্যা থাকে, তাহলে ধ্বংসের মুখে পড়বে হোটেল রিসোর্ট।

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ম্যানাজার শাহিন আহমেদ বলেন, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে দেশি-বিদেশি পর্যটক বছরের এই সময়ে প্রতিদিন ৫০০-৭০০ ট্যুরিস্ট আসতেন, তখন টিকিট বিক্রি করে সরকারের রাজস্ব আয় হত ৩৫-৪০ হাজার টাকা। এখন গড়ে ৮০-১২০ জন পর্যটক আসছেন সরকারের রাজস্ব আসছে ৩-৫ হাজার টাকা।

লাউয়াছড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, এই মৌসুমে হাজার হাজার পর্যটক দেখা যেত। বর্তমানে হরতাল ও অবরোধের কারণে দেখা নাই। মানুষ নিরাপদে যাতায়াত করতে পারে না, যানবাহন চলে না, তাই ভ্রমণে আসে না। প্রতি বছর যে পরিমাণ রাজস্ব আদায় হতো তা এখন হচ্ছে না।

ট্যুরিস্ট পুলিশ মৌলভীবাজার জোনের উপ-পরিদর্শক প্রবাণ সিনহা বলেন, নানা কারণে তুলনামূলকভাবে এবার পর্যটক অনেক কম। তবে ট্যুরিস্ট পুলিশ জেলার পর্যটন স্পটগুলোতে নিয়মিত টহল দিচ্ছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এসব ব্যাপারে সোচ্চার। পর্যটকরা যাতে কোনো সমস্যার সম্মুখীন না হয়, সে লক্ষ্যে চেষ্টা করে যাচ্ছি।

 


আরও খবর

তিন শতাধিক পর্যটক আটকা সেন্টমার্টিনে

শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩




অক্টোবরে বেড়েছে প্রবাসী আয়

প্রকাশিত:বুধবার ০১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

অক্টোবরে বেড়েছে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স। গত মাসে দেশে এসেছে প্রায় দুই বিলিয়ন ডলারের (১৯৭ কোটি ৭৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার) রেমিট্যান্স। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১১০ টাকা ৫০ পয়সা ধরে) প্রায় ২১ হাজার ৮৫০ কোটি টাকার বেশি। আর প্রতিদিন এসেছে প্রায় ৬ কোটি ৩৯ লাখ ডলার বা ৭০৫ কোটি টাকা, যা গত তিন মা‌সে স‌র্বোচ্চ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অক্টোবরে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৫ কোটি ৪৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৭৫ কোটি ৮৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৬০ লাখ ৩০ হাজার ডলার।

গত মাসে সাতটি ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। এর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব), বেসরকারি কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেনস ব্যাংক, বিদেশি হাবিব ব্যাংক, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান।গত সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স আসে ১৩৪ কোটি ৩৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১০৯.৫০ টাকা ধরে) ১৪ হাজার ৭১২ কোটি টাকা। জুলাইয়ে এসেছে ১৯৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার (১.৯৭ বিলিয়ন ডলার)। আর আগস্টে এসেছিল ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ডলার। গত জুনে দেশে রেকর্ড পরিমাণ ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার (২.১৯ বিলিয়ন ডলার) প্রবাসী আয় এসেছিল।


আরও খবর

কমছে সবজি ও ব্রয়লারের দাম

শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩




ঊর্ধ্বমুখী মসলার বাজার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

ডলার সংকটের কারণে বেশ কিছুদিন মসলার এলসি বন্ধ ছিল। ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আমদানিনির্ভর গরম মসলার দাম বাড়ছে। এ ছাড়া শীতের মৌসুমে দেশে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান বেড়ে যায়। সামাজিক অনুষ্ঠান ও মৌসুমি খাদ্যাভ্যাসের কারণে মসলার চাহিদা কিছুটা বাড়ে। এ বছর শীত আসতে না আসতেই আরও বাড়ছে মসলা জাতীয় পণ্যের দাম।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল, খিলগাঁও, মতিঝিল এজিবি কলোনি, মালিবাগ রেলগেট, শান্তিনগর, সেগুনবাগিচাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।

শিপন আহমেদ পরিবার নিয়ে থাকেন রাজধানীর মুগদাপাড়ায়। চাকরি করেন মতিঝিলের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। খিলগাঁও বাজারে কথা হয় তার সঙ্গে।

তিনি বলেন, আগের তুলনায় শাক-সবজির দাম কিছুটা কমছে। তবে চাল, চিনি, আদা, রসুনসহ অন্যান্য পণ্যের দাম আরও বেড়েছে। বাজারে গেলে মাথা কাজ করে না। শুধু তাই নয়, আকাশচুম্বি মসলা পণ্যের দাম। আমাদের মতো সীমিত আয়ের মানুষের পক্ষে সংসার চালানো সম্ভব নয়। খুব বিপদের মধ্যে আছি।

খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই মসলাজাতীয় পণ্যের দাম বাড়ছে। এর মধ্যে ডলারের চড়া দাম আরও বড় প্রভাব ফেলেছে। এক মাসের ব্যবধানে বিভিন্ন মসলাজাতীয় পণ্যগুলোর দাম কেজিপ্রতি ২০ থেকে সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

খিলগাঁও বাজারের ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেন বলেন, দেশে ডলার সংকটের কারণে গত এক বছর ধরে গরম মসলার বাজার অস্থির। ডলার সংকটের কারণে বেশ কিছুদিন মসলার এলসি বন্ধ ছিল। তাই হু হু করে বাড়ছে গরম মসলার দাম। পাইকারিতে দাম বাড়লে আমাদের মতো খুচরা বিক্রেতাদের কিছুই করার নেই।

তিনি আরও বলেন, পণ্যের দাম বাড়লে লাভের পরিমাণ কমে। মূলধন বেশি লাগে। ক্রেতারা আগের চেয়ে কম পণ্য ক্রয় করে। ফলে খুচরা বিক্রেতাদের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

মসলার দাম এত বেশি বেড়ে যাওয়ার কারণ বলতে গিয়ে তিনি বলেন, শীত এলে দেশে ভাজা-পোড়াসহ অন্যান্য মসলাদার খাবারের চাহিদা বাড়ে। এ ছাড়া বছরের শেষ বলে অনেক অনুষ্ঠান-আয়োজন থাকে। তাই মসলার চাহিদা বেড়ে যায়। অপরদিকে মসলার বাজারের বৃহৎ অংশই মূলত আমদানিনির্ভর। ডলার সংকট আর এলসি বন্ধ থাকায় বাড়ছে গরম মসলার দাম। কেননা চাহিদা বাড়ছে, কিন্তু সে তুলনায় জোগান না বাড়ায় তার প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারে।

জানা যায়, ভারত ও চীন থেকে দেশের বাজারে সবচেয়ে বেশি মসলা আসে। এ ছাড়া ইন্দোনেশিয়া, মাদাগাস্কার, গুয়েতেমালা, শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশ থেকেও মসলা আমদানি করা হয়। তবে শুধু ধনিয়া, জিরা, মরিচ, হলুদ, তেজপাতা, কালিজিরাসহ হাতেগোনা কয়েকটি মসলা উৎপাদন হয়। চাহিদার তুলনায় সেগুলোর উৎপাদনও কম। তাই এসব পণ্যও আমদানি করতে হয়।

রাজধানীর পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক মাস আগেও এলাচের কেজি ছিল ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা। বর্তমানে একই মানের এলাচ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২০০ টাকায়।

গোলমরিচ ছিল ৫৯০ থেকে ৬০০ টাকা। কেজিপ্রতি ২০-৩০ টাকা বেড়ে এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৬২০ থেকে ৬৩০ টাকায়। প্রতিকেজি লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ টাকা, দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ৩৮৫ টাকা থেকে ৪০০ টাকা, জায়ফল বিক্রি হচ্ছে ৬৭০ থেকে ৬৮০ টাকা ও জিরা বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা। যা গত সপ্তাহের তুলনায় ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেশি।

এ ছাড়া প্রতি কেজি দেশি শুকনা মরিচের দাম ২৯০ টাকা, ভারতীয় শুকনা মরিচ ২৮০ টাকা, ভারতীয় হলুদ ২০০ টাকা, দেশি হলুদের দাম ২০০, কালিজিরা ২৪০ টাকা, মেথি ১২৫ টাকা, ধনিয়া ১৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহের তুলনায় ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি।

অপরদিকে, কয়েকমাস আগে প্রতি কেজি জিরা ৪০০ থেকে বেড়ে এক হাজার টাকায় ওঠে, যা এখন সামান্য কমেছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি বাজারের তুলনায় খুচরা বাজারে প্রতিটি মসলা পণ্য ৪০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।


আরও খবর

কমছে সবজি ও ব্রয়লারের দাম

শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩