Logo
শিরোনাম

উজানের ঢলে বন্যার শঙ্কা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ জুন ২০23 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

রোকসানা মনোয়ার : গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢল। এই দুইয়ে মিলে দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে দেখা দিয়েছে বন্যার আশঙ্কা। ইতোমধ্যে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় চরাঞ্চলের ২৫টি গ্রামের ১২ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়া লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার তিস্তার চরাঞ্চল ও তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের অন্তত পাঁচ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। লাগাতার বৃষ্টির কারণে মৌলভীবাজারের নদ-নদীর পানিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। লাগাতার বর্ষণের কারণে বন্যার পাশাপাশি পাহাড়-টিলা ধসের আশঙ্কা করছে স্থানীয় প্রশাসন। পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টির কারণে সিলেটের নদ-নদীতেও পানি বাড়ছে।

সিলেট : সিলেটের উজানে ভারতের আসামেও ভারী বৃষ্টির কারণে সেখানে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। আসাম থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টির কারণে সিলেটের নদ-নদীতে পানি বাড়ছে। সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে সোমবার (১৯ জুন) বিকেল ৩টায় সুরমার পানি বিপৎসীমার ১৩ দশমিক ২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এই পয়েন্টে বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। গত ২১ ঘণ্টায় কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বেড়েছে ৩৭ সেন্টিমিটার। এছাড়া সিলেট সদর পয়েন্টে সুরমার পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। পানি বেড়েছে সিলেটের কুশিয়ারা, ধলাই, লোভা ও সারী নদীতে। সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসাইন বলেন, সোমবার ভোর থেকে শুরু করে বেলা ১১টা পর্যন্ত সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১১২ আর সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে।

সুনামগঞ্জ : সময়টা যেন একদম ভালো যাচ্ছে না সুনামগঞ্জবাসীর। অঝরে ঝরে চলেছে বৃষ্টি। থামার যেন কোনো লক্ষণ নেই। আরও দুই-তিন দিন এভাবে বৃষ্টি হতে থাকলে বন্যার কবলে পড়বে সুনামগঞ্জের ২০ লাখেরও বেশি মানুষ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এতে সুরমা, যাদুকাটা, রক্তি নদীর পানি বাড়লেও বিপৎসীমার ৭৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দা পেয়ারা বেগম বলেন, গত বছর বন্যার পানিতে সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। সেজন্য এ বছর পানি পুরোপুরি আসার আগে ঘরের আসবাবপত্র নৌকায় করে নিয়ে উঁচু স্থানে নিয়ে যাচ্ছি।

তবে স্বস্তির বাণী শোনাতে পারেননি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টা সুনামগঞ্জে অতিভারী বৃষ্টিপাতের শঙ্কা রয়েছে। এতে সুনামগঞ্জের সব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।

মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজারে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। গত ৪-৫ দিনে সাত উপজেলায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাইড্রোলজি বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সত্যেন্দ্র চন্দ্র বৈদ্য প্রতিদিনের সংবাদকে জানান, এখন বেশি বৃষ্টি হচ্ছে ভারতের চেরাপুঞ্জি সংলগ্ন এলাকায়। সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় জাফলংয়ে ১৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে লাগাতার বৃষ্টিপাতের কারণে মৌলভীবাজারের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। সোমবার দুপুর ১২টায় হাকালুকি হাওরের উজান থেকে প্রবাহিত জুড়ী নদীর পানি বিপৎসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। লাগাতার বর্ষণের কারণে বন্যার পাশাপাশি পাহাড়-টিলা ধসের আশঙ্কা করছে স্থানীয় প্রশাসন।

জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, মনু, ধলাইসহ নদ-নদীর পানি এখানো বিপৎসীমার নিচে অবস্থান করছেতারপরও আমরা সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবেলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। রবিবার (১৮ জুন) অনুষ্ঠিত জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নিজ নিজ উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খুলে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পাহাড় টিলায় বসবাসরত নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রাজীব মাহমুদ মিঠুন বলেন, জেলা উন্নয়ন কমিটির সভা থেকে ফিরে এসে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দের পাহাড়-টিলা ধসের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির মিটিং ডাকা হয়েছে।

রংপুর : পূর্বঘোষণা ছাড়াই ভারতের গজলডোবা ব্যারাজের সব গেট খুলে দেওয়ায় হু-হু করে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সঙ্গে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। রবিবার দুপুরের পর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার তিস্তাবেষ্টিত ২৫টি চরাঞ্চলের গ্রামগুলো তিন থেকে চার ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে ১২ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

সোমবার (১৯ জুন) বিকেল ৩টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৯০ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার) নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে সকাল ৬টায় ওই পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ২০ সেন্টিমিটার, সকাল ৯টায় ৫২ দশমিক ১০ সেন্টিমিটার ও দুপুর ১২টায় পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৯৮ সেন্টিমিটার।

কোলকোন্দ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুর রউফ বলেন, চিলাখাল, চর মটুকপুর, বিনবিনা এলাকার ১২০০ এবং লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের শংকরদহ, চর ইচলী এলাকার ৭০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তাদের বাড়িঘর দুই থেকে তিন ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে।

গজঘণ্টা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আলতাফ জানান, ছালাপাক, জয়দেবসহ নিম্ন এলাকার চার হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বাড়িঘরে পানি ওঠায় বিনবিনা এলাকায় অনেক পরিবার গবাদিপশু, বাড়ির আসবাবপত্রসহ রাস্তায় এবং উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।

লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের আবদুল্লা আল হাদী জানান, শংকরদহ, ইচলি, জয়রামওঝা ও বাগেরহাট এলাকায় দুই হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

লালমনিরহাট : তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার অন্তত পাঁচ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ডুবে গেছে রাস্তাঘাট। তিস্তা ও ধরলার পানি বৃদ্ধিতে পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, ছয়আনী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, ফকিরপাড়া ইউপির রমনীগঞ্জ, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না ইউপির পাটিকাপাড়া, হলদিবাড়ী, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা, পলাশী ও সদর উপজেলার ফলিমারীর চর খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করায় প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, কিছুটা পানি বৃদ্ধি পেয়েছে, তা আবারও কমে গেছে। আমরা সব সময় খোঁজখবর রাখছি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় যাবতীয় প্রস্তুতি রয়েছে।

নীলফামারী : হঠাৎ তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নীলফামারীর নিম্নাঞ্চল ও চরের অনেক বাড়িতে পানি উঠেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এছাড়া ফসলের খেত পানিতে ডুবে গিয়ে ফসলহানির শঙ্কায় চিন্তিত কৃষকরা। হঠাৎ পানি বাড়ার ফলে গবাদি পশুপাখির খাবার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি বেড়েছে। ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে পানি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। পানি এভাবে বাড়তে থাকলে বন্যার শঙ্কা রয়েছে। তবে বন্যা মোকাবিলায় পানি উন্নয়ন বোর্ড সর্বদা প্রস্তুত আছে।

কুড়িগ্রাম : কয়েকদিনের বৃষ্টি ও উজানের ঢলে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ ১৬টি নদ-নদীর পানি। নদী অববাহিকার নিম্নাঞ্চলগুলোতে এরইমধ্যে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। এখনো ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ না করলেও তলিয়ে গেছে এসব এলাকার পটল, ঢেঁড়সসহ বিভিন্ন সবজি খেত। পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যার শঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন চরাঞ্চলের মানুষ।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ-আল-মামুন বলেন, জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও এখনো বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে আগামী ২২ ও ২৩ জুন এসব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানতে পেরেছি। তবে আগামী ১০ দিনের মধ্যে বড় কোনো বন্যার সম্ভাবনা নেই বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



অর্থ সংকটের কারণ দেখিয়ে আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় ভলিবল টুর্নামেন্টে দল পাঠাচ্ছেনা নোবিপ্রবি

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

মো: সিনান তালুকদার, নোবিপ্রবি প্রতিনিধি :

অর্থ সংকটের কারণ দেখিয়ে আসন্ন আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় ভলিবল টুর্নামেন্টে দল পাঠাচ্ছেনা নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(নোবিপ্রবি) কর্তৃপক্ষ।

শিক্ষার্থীরা জানান, নোবিপ্রবির ভলিবল দল গত  ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত  আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ভলিবল টুর্নামেন্ট বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়কে পেছনে ফেলে সেমিফাইনালে উঠার গৌরব অর্জন করে।দলটিকে সুযোগ দেওয়া হলে তারা আরোও ভালো করবে। অর্থের কারণ দেখিয়ে একটি সম্ভাবনাময় দলকে অংশগ্রহণ করতে না দেওয়া অযৌক্তিক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নোবিপ্রবি  ভলিবল দলের এক খেলোয়াড় বলেন-আমরা টুর্নামেন্ট এ অংশগ্রহন করতে আগ্রহী এবং ভালো কিছু করার জন্য প্রস্তুত আছি।আর্থিক সংকট ও খেলার বাজেট না থাকার কারণে আমরা টুর্নামেন্ট এ অংশগ্রহন করতে পারছি নাহ,আমরা চাই প্রশাসন আমাদেরকে সহযোগীতা করে,যেন আমরা টুর্নামেন্ট এ অংশগ্রহন করতে পারি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন,গতবার আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় টুর্নামেন্ট এ নোবিপ্রবি সেমিফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করে,অথচ এইবার অংশগ্রহনে অনিশ্চিত।যা কোনো ভাবেই কাম্য নয়।

এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, শরীরচর্চা বিভাগের পরিচালক মো. রুবেল মিয়া বলেন - খেলা পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা এইবার আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ভলিবল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহন করবো না,এই বছর আমরা খেলার মাঠ সংস্কার ও পিচ বানানোর কাজ করায় আর্থিক সংকট এর কারনে এই সিদ্ধান্ত  নেওয়া হয়।এখন থেকে প্রতিবছর আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় সবগুলো টুর্নামেন্ট এ অংশগ্রহণ নাহ করে আমরা রোটেশন করে তিন থেকে চারটি টুর্নামেন্ট এ অংশগ্রহন করবো।

উল্লেখ্য , আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট টুর্নামেন্টে  রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বনাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফাইনালে অপ্রীতিকর ঘটনার কারণে  আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ভলিবল টুর্নামেন্ট স্থগিত রয়েছে।


আরও খবর



তাপমাত্রা নিয়ে সুখবর নেই

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

কয়েকদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে চলছে তীব্র ও অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। যা আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সংস্থাটির তথ্য মতে, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং রাজধানী ঢাকার উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে। সেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ওঠে ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। এছাড়া চুয়াডাঙ্গায় ৪২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকায় আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে এবং আগামী আরও কয়েক দিন একই রকম তাপমাত্রা অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিকের দেওয়া পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুই এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এছাড়া, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসমূহে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

রাজশাহী ও পাবনা জেলাসহ খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ঢাকা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, ফেনী, কক্সবাজার, চাঁদপুর ও রাঙ্গামাটি জেলাসহ রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। এর ফলে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুই এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

আগামী পাঁচ দিনে আবহাওয়া পরিস্থিতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।


আরও খবর



নওগাঁয় ইটভাঙ্গা মেশিনের চাপায় সিএনজি যাত্রী নিহত

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর আত্রাইয়ে ইটভাঙ্গা মেশিনের চাপায়  সিএনজির যাত্রী সঞ্জয় কুমার (২৬) নামে এক এনজিও কর্মী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো কয়েকজন। শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার সাহাগোলা-শিমুলিয়া রাস্তার রেলক্রসিংয়ে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। 

নিহত সঞ্জয় আত্রাইয়ের আইডিএফ এনজিওতে ফিল্ড অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি রাজশাহী বাঘা এলাকায় বলে জানা যায়। নিহত সঞ্জয় কুমারের সহকর্মী শামীম বলেন, সঞ্জয় কুমার আইডিএফ এনজিও'র আত্রাই শাখায় ফিল্ড অফিসার হিসেবে কাজ করতেন। সকালে বাড়ি থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে অফিসে যাচ্ছিলেন। এসময় ওভারটেক করার সময় একই দিক থেকে আসা ইট ভাঙ্গার মেশিনটি সিএনজিটিকে চাপা দেয। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যায়। আহত হয় আরো কয়েকজন।

আত্রাই থানার অফিসার ইনচার্জ জহুরুল ইসলাম নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধারের করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হচ্ছে। নিহতের পরিবারকে জানানোর চেষ্টা চলছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।


আরও খবর



নওগাঁয় নিরাপদ সড়কের দাবীতে চোখে কালো কাপড় বেঁধে সড়কে এক শিক্ষার্থী

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার দাবিতে চলমান এই তীব্র রোদ ও গরমকে উপেক্ষা করে রাস্তায় নেমেছে ফাতেমা আফরিন ছোঁয়া নামের এক শিক্ষার্থী। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ঘন্টাব্যাপি শহরের তাজের মোড় ও ব্রীজের মোড় সড়কে চোখে কালো কাপড় বেঁধে অবস্থান করে ঐ শিক্ষার্থী। সে নওগাঁ সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী।

এসময় শিক্ষার্থী ফাতেমা আফরিন ছোঁয়ার হাতে থাকা পোষ্টারে লিখা ছিল “সড়কে নিরাপত্তা চাই, বাঁচার মত বাঁচতে চাই, দূর্ঘটনা এড়াতে ট্রাফিক আইন প্রয়োগ চাই”। এসময় স্থানীয় পথচারীরা এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানান।

পথচারী জুলফিকার রহমান বলেন, আমরা সড়কে কেউ নিরাপদ নই। বাসা থেকে বের হলে সুস্থ্যভাবে নিরাপদে বাড়িতে ফিরতে পারবো কিনা তার কোন নিশ্চয়তা নাই। এক ছোট্ট শিশু শিক্ষার্থীর এমন উদ্যোগ সত্যিই আমাদের মুগ্ধ করেছে। সবারই উচিত নিরাপদ সড়কের দাবিতে সোচ্চার হওয়া।

নিগার সুলতানা ও তানহা খাতুন নামের আরো দুই পথচারী বলেন, তীব্র রোদ ও গরম উপেক্ষা করে বাচ্চাটির এমন প্রতিবাদ ও দাবী খুবই যোক্তিক। আমরা তার দাবীকে সমর্থন করছি। তাকে দেখে আমাদের অনেক কিছুই শেখার আছে। প্রতিদিনই সড়কে তাজা প্রাণ ঝরে যাচ্ছে। নিরাপদ সড়কের দাবীতে সবাই এক হয়ে আন্দোলন করতে হবে। শিক্ষার্থী ফাতেমা আফরিন ছোঁয়া জানায়, প্রতিদিন টিভি, পত্রিকাতে দেখি সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খবর। রাস্তায় বের হলে বা স্কুলে যাওয়ার পথে আবার বাড়িতে মা-বাবার কাছে ফিরতে পারবো কিনা তার কোন নিশ্চয়তা নাই। প্রতিদিন এত মৃত্যুর খবর দেখে খুবই কষ্ট পাই, ভয়ও লাগে। বেশ কয়েকদিন আগে নওগাঁ শহরের ইয়াদ আলীর মোড়ে সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যায় বাবা-মা। আর বেঁচে যায় তাদের ৫ বছর বয়সী এক শিশু। এখন ভাবুন সেই শিশুটির এখন কি হবে। সারা জীবনের জন্য শিশুটি বাবা-মার আদর-ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হয়ে গেল। আমি চাই নিরাপদ সড়ক। নিরাপদে সড়কে চলাফেরা করতে চাই। সরকারের কাছে আকুল আবেদন নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

ফাতেমা আফরিন ছোঁয়ার বাবা সঙ্গীত শিল্পী খাদেমুল ইসলাম ক্যাপ্টেন বলেন, গত ১৮ এপ্রিল সুনামগঞ্জের ছাতকের সুরমা ব্রিজ এলাকায় জনপ্রিয় গানের গীতিকার, সুরকার শিল্পী মতিউর রহমান হাসান ওরফে পাগল হাসান মারা যায় সড়ক দূর্ঘটনায়। পাগল হাসান আমার সহকর্মী ও বন্ধু ছিলো। এর আগে ১৭ এপ্রিল নওগাঁ শহরের ইয়াদ আলীর মোড়ে সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যায় এনামুল হক ও বৃষ্টি আক্তার নামের দম্পত্তি আর বেঁচে যায় তাদের ৫ বছরের শিশু জুনাইদ ইসলাম। এই ঘটনাগুলো আমার মেয়ের মনে মারাত্মকভাবে দাগ কেটে যায়। আমার মেয়েটি এত মৃত্যুর খবর প্রতিদিন শুনে নিজেকে স্থির রাখতে পারছে না। যার কারণেই সে বলেছে, আব্বু আমি নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাস্তায় দাঁড়াতে চাই। মেয়ের এই মহৎ ও যৌক্তিক চাওয়াকে না বলতে পারিনি। যার কারণে তাকে পুরো সমর্থন জানিয়েছি।

তিনি আরো বলেন, আজ আমার ছোট্ট মেয়েটা একাই যেভাবে রাস্তায় দাঁড়িয়ে নিরাপদ সড়কের দাবি করছে ঠিক সেভাবে দেশের সবাই যদি এমন করে সচেতন হতো ও দাবিগুলো তুলে ধরতো তবে, প্রতিদিন এমন প্রাণহানির মত ঘটনা অনেকটাই কমিয়ে আসতো। আমরা নিরাপদ সড়ক চাই, সবাই যেন ট্রাফিক আইন মেনে চলে সেই উদ্যোগের বাস্তবায়ন চাই। আর তা বাস্তবায়নের জন্য সরকারের পাশাপাশি সাধারণ জনগন, যানবাহন চালক ও মালিকদের একসাথে কাজ করার আহব্বান জানাচ্ছি। নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি এ এস এম রায়হান আলম বলেন, নিরাপদ সড়কের দাবীতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছি। পাশাপাশি যানবাহন চালক ও মালিকদের সচেতনও করছি। শিক্ষার্থী ফাতেমা আফরিন ছোঁয়ার এমন উদ্যোগ আমাদের মুগ্ধ করেছে। এমন দাবী ও সচেতনতাবোধ যদি সবার মাঝে জাগ্রত হতো তবে সড়ক দূর্ঘটনা অনেক কমিয়ে নিয়ে আসা সম্বব হতো। তার এমন উদ্যোগ ও দাবীকে সাধুবাদ জানাই।


আরও খবর



সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরল ঢাবি

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

সারা দেশে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহ সহনশীল পর্যায়ে আসায় বুধবার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্লাস ও পরীক্ষা যথারীতি সশরীরে অনুষ্ঠিত হবে। গত সোমবার ঢাবির জনসংযোগ দপ্তর থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, তীব্র তাপপ্রবাহ (হিট ওয়েভ) সহনশীল পর্যায়ে আসায় ৮ মে থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষা যথারীতি সশরীরে অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন।

তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় নিয়ে সব ক্লাস অনলাইনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত ২১ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অনলাইন ক্লাস চলবে। তবে চলমান পরীক্ষা সরাসরি নেওয়া হবে। তাপপ্রবাহ সহনশীল পর্যায়ে আসায় সশরীরে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ঢাবি কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর