Logo
শিরোনাম

ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ জাস্টিন ট্রুডোর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

ভারতের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এক শিখ নেতাকে হত্যার গুরুতর অভিযোগ করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।

গত ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার একটি শিখ মন্দিরের বাইরে অজ্ঞাত মুখোশধারীদের গুলিতে নিহত হন শিখ সম্প্রদায়ের নেতা হারদ্বীপ সিং নিজ্জার।

হারদ্বীপ সিং ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক ছিলেন। তিনি ভারতে শিখদের আলাদা খালিস্তান রাষ্ট্রের দাবির আন্দোলনের অন্যতম বড় নেতাও ছিলেন।

ট্রুডো জানিয়েছেন, হারদ্বীপের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ভারতের সংশ্লিষ্টতার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেয়েছেন কানাডার গোয়েন্দারা।

তিনি আরও জানিয়েছেন, সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এ বিষয়টি নিয়ে তিনি কথা বলেছিলেন।

কানাডার আইনসভা হাউজ অব কমন্সে সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ট্রুডো বলেছেন, কানাডার মাটিতে কানাডার নাগরিকের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কোনো বিদেশি সরকারের সংশ্লিষ্টতা অগ্রহণযোগ্য এবং এটি আমাদের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন।

তিনি আরও বলেছেন, কানাডা হলো মৌলিক আইনের দেশ। যারা দ্বারা স্বাধীন, মুক্ত এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। ভারত অবশ্য আগেই শিখ নেতা নিজ্জারের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

শিখ নেতাকে হত্যার অভিযোগ করার পাশাপাশি কানাডা পাভন কুমার রায় নামে এক ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কারও করেছে। প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর এমন বক্তব্যের পর কূটনীতিককে বহিষ্কারের খবর আসে।

এরআগে তদন্তকারীরা জানিয়েছিলেন, ৪৫ বছর বয়সী নিজ্জারের মৃত্যু একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ছিল।

গত ১৮ জুন সন্ধ্যায় প্রকাশ্য দিবালোকে সারের গুরু নানক শিখ গুরুদাওয়ারাতে নিজ্জারকে গুলি করে হত্যা করে দুই মুখোশধারী।

শিখ নেতা হারদ্বীপ সিং নিজ্জার। গত জুনে মুখোশধারীদরে গুলিতে নিহত হন তিনি। কানাডা দাবি করছে, তার হত্যাকাণ্ডর সঙ্গে ভারতের সংশ্লিষ্টতা আছে।

তিনি ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় একজন জনপ্রিয় শিখ নেতা ছিলেন এবং প্রকাশ্যে ভারতের পাঞ্জাবে স্বাধীন খালিস্তান রাষ্ট্রের দাবি জানাতেন। তার ভক্তরা জানিয়েছেন, স্বাধীন খালিস্তান রাষ্ট্র চাওয়ায় তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল।

এদিকে ভারত এর আগে নিজ্জারকে সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল। নয়াদিল্লির দাবি ছিল তিনি একটি সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী দল পরিচালনা করতেন। তবে নিজ্জারের সমর্থকরা দাবি করেছেন, তার বিরুদ্ধে কখনো এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ডের প্রমান পাওয়া যায়নি।

জাস্টিন ট্রুডো আরও জানিয়েছেন, এ ঘটনা সম্পর্কে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর পাশপাশি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককেও তিনি অবহিত করেছেন।

কানাডায় শিখ সম্প্রদায়ের প্রায় ১৮ থেকে ২০ লাখ মানুষ বসবাস করেন।

গত কয়েকমাসের মধ্যে নিজ্জারসহ আরও দুজন শিখ নেতা নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন হলেন যুক্তরাজ্যভিত্তিক খালিস্তান লিবারেশেন ফোর্সের প্রধান অবতার সিং খান্ডা। যার যুক্তরাজ্যে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল। আর তৃতীয়জন হলেন পরমজিত সিং পাঞ্জওয়ার। তিনি পাকিস্তানের লাহোর শহরে গুলিতে নিহত হয়েছিলেন। নিহত হওয়ার আগে ভারত তাকে সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যা দিয়েছিল।

এদিকে চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ভারতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন ট্রুডো। ওই সময় তাদের মধ্যে উত্তপ্ত বৈঠক হয়। মোদি ট্রুডোর কাছে অভিযোগ করেন, কানাডার মাটি ব্যবহার করে আলাদা খালিস্তান রাষ্ট্রের আন্দোলন চলছে। কিন্তু কানাডা সরকার তেমন কিছু করছে না।

সূত্র: বিবিসি


আরও খবর



ওজন কমাতে লেবু পানি ?

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

ওজন কমাতে সবাই কত কিছুই না করেন। এর মধ্যে লেবু পানি খেয়ে ওজন কমানোর কথা অনেকেই বলে থাকেন। ওজন কমানোর প্রচলিত পদ্ধতির মধ্যে এটি একটি।

লেবু পানি খেলে সত্যিই কি ওজন কমে? ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লেবুর মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। এই ভিটামিন শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দেয় বা ডিটক্সিফাই করে। কিন্তু শরীর ডিটক্সিফাই করার জন্য আরও বিশেষ দুটি অঙ্গ রয়েছে। এগুলো হচ্ছে লিভার ও অন্যটি কিডনি।

কিডনির ছাঁকনি পদ্ধতি শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থ আলাদা করে বের করে দেয়। ভারতীয় পুষ্টিবিদ বাত্রা ওই প্রতিবেদনে লেবু পানির নানা উপকারিতার কথা জানিয়েছেন। তার কথায়, বিশেষ কোনও একটি পানীয় শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দেয়, এই ধারণা ঠিক নয়। তিনি জানান লেবু পানি ওজন কমায়, এর সপক্ষে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ নেই। এখনও বিজ্ঞানের গবেষণা এই ব্যাপারে যথেষ্ট তথ্য দিতে পারেনি। তাই লেবু পানি খেলেই ওজন কমবে, এমন ধারণা করাটাও ঠিক হবে না।

তবে পুষ্টিবিদ বাত্রা ওজন কমানোর জন্য অন্য বেশ কিছু পানীয়ের কথা জানিয়েছেন। তার মধ্যে অন্যতম হল অ্যালোভেরার শরবত। পানিতে অ্যালোভেরার শাঁস মিশিয়ে বানাতে হয় এই শরবত। রোজ সকালে এটি খেলে দ্রুত ওজন কমবে বলেই জানিয়েছেন এই পুষ্টি বিশেষজ্ঞ।


আরও খবর

খাওয়ার পরেই চা নয়

বৃহস্পতিবার ০৩ আগস্ট ২০২৩




যুক্তরাষ্ট্রের ভয়ংকর আব্রামস ট্যাংক ইউক্রেনে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া ভয়ংকর আব্রামস ট্যাংকের প্রথম চালান হাতে পেয়েছে ইউক্রেন সেনাবাহিনী। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রাম বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টেলিগ্রাম বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভের কাছ থেকে সুখবর পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে ইউক্রেনে পৌঁছে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের আব্রামস ট্যাংক। আমাদের সেনা ব্রিগেডগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে সেগুলোকে প্রস্তুত করা হচ্ছে।

তবে প্রথম চালানে কতগুলো ট্যাংক ইউক্রেনে পৌঁছেছে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানননি জেলেনস্কি।

নাম প্রকাশ করা শর্তে মার্কিন প্রতিরক্ষা বাহিনীর দুই কর্মকর্তা বলেন, আগামীতে আরও বেশি এম ওয়ান আব্রামস ট্যাংক ইউক্রেনে পাঠানো হবে।

ওয়াশিংটন চলতি বছরের শুরুতে কিয়েভকে ৩১টি আব্রামস ট্যাংক দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেছেন, এসব ট্যাংকের সঙ্গে সাঁজোয়া যানবিধ্বংসী ইউরেনিয়ামসমৃদ্ধ ১২০ মিলিমিটারের গোলাও সরবরাহ করা হবে।

ইউক্রেনীয় বাহিনীর পক্ষে ব্যবহার করা সম্ভব নয় - এমন অভিযোগে শুরুতে আব্রামস ট্যাংক দিতে রাজি ছিল না যুক্তরাষ্ট্র। পরে ইউক্রেন ও দেশটির ইউরোপীয় মিত্রদের চাপের মুখে ওই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে দেশটি।

এর আগে, গত ২১ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) ওয়াশিংটন ডিসিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগামী সপ্তাহে ইউক্রেনে আব্রামস ট্যাংক পাঠানোর ঘোষণা দেন।

আব্রামস ট্যাংকের বিশেষত্ব কী : ১৯৭৮ সালে জেনারেল ডায়নামিকস ল্যান্ড সিস্টেমস (জিডিএলএস) কোম্পানি প্রথম এম ওয়ান আব্রামস ট্যাংক তৈরি করে। ১৯৮০ সালে এটি মার্কিন সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। আব্রামস ট্যাংকে অধিক শক্তিশালী ও তুলনামূলক জটিলভাবে নির্মিত টারবাইন ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়। এতে ১৫শ অশ্বক্ষমতার গ্যাস টারবাইন ইঞ্জিন রয়েছে। এছাড়াও ঘণ্টায় এর গতি ৬৭.৫ কিলোমিটার। এ ছাড়াও আব্রামস ট্যাংকের সর্বোচ্চ রেঞ্জ ১০০৫ কিলোমিটার। যুক্তরাষ্ট্রের এ ট্যাংকটি পরিচালনা করতে চারজন ড্রাইভার, একজন কমান্ডার, একজন লোডার ও একজন বিশেষ বন্দুকধারীর (গানার) প্রয়োজন হয়।


আরও খবর



ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে ধীরগতির শহর

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

ঢাকা এখন বিশ্বের সবচেয়ে ধীরগতির শহর। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চ প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ধীরগতির শহরের তালিকায় শীর্ষ ২০টি শহরের মধ্যে ৩টি বাংলাদেশের। বিপরীতে সবচেয়ে দ্রুত গতির ২০ শহরের মধ্যে ১৯টি যুক্তরাষ্ট্রের।

১৫২টি দেশের ১ হাজার ২০০টির বেশি শহরে যান চলাচলের গতি বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানা গেছে। তিন লাখের বেশি মানুষের বসবাস রয়েছে, এমন সব শহরে গাড়িতে বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে কত সময় লেগেছে, সেই তথ্য গুগল ম্যাপ থেকে সংগ্রহ করে গবেষণায় বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সপ্তাহের বিভিন্ন দিন এবং দিনের বিভিন্ন সময়ে যাতায়াতের তথ্য নেয়া হয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় গবেষণাটি করেছেন ফিনল্যান্ডের আলটো বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহনব্যবস্থার অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক প্রত্যয় আমান আকবর, কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির সহযোগী অধ্যাপক ভিক্টর কুচিও, যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রিয়েল এস্টেট বিভাগের অধ্যাপক গিলেস ডুরানটন এবং যুক্তরাষ্ট্রের টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির সহযোগী অধ্যাপক অ্যাডাম স্টোরিগার্ড।

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা সূচকে ০.৬০ পয়েন্ট নিয়ে ধীরগতির তালিকার শীর্ষে রয়েছে। তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে নাইজেরিয়ার দুই শহর লাগোস ও ইকোরদু। তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলা। পঞ্চম স্থানে রয়েছে প্রতিবেশী ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের থানে জেলার শহর বিওয়ান্দি। পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা রয়েছে তালিকার ৬ নম্বরে। ধীরগতির শহরের তালিকায় ঢাকা ছাড়াও বাংলাদেশের দুই শহরময়মনসিংহ (৯ম) ও চট্টগ্রাম (১২তম) রয়েছে।

রাস্তায় যানবাহনের চাপ কম থাকার পরেও সবচেয়ে ধীরগতির ২০টি শহরের তালিকাও করা হয়েছে গবেষণায়। সেখানে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ঢাকা। তালিকায় বাংলাদেশের আরও চারটি শহর রয়েছেখুলনা (৪র্থ), ময়মনসিংহ (৫ম), চট্টগ্রাম (১৮তম) ও কুমিল্লা (১৯তম)।

বিপরীতে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির শহরের তালিকার শীর্ষ ২০-এর ১৯টিই যুক্তরাষ্ট্রের। সূচকে দশমিক ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে মিশিগানের শহর ফ্লিন্ট। তালিকার শীর্ষ থেকে শুরু করে ১৮ নম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের শহর। দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে গ্রিনসবোরো ও উইচিতা। শীর্ষ ২০-এ কানাডার একটি মাত্র শহর স্থান করে নিয়েছে। সেটি হলো উইন্ডসর। রয়েছে তালিকার ১৯তম অবস্থানে।

শহরের আয়তনের অনুপাতে সবচেয়ে বেশি মোটরযান রয়েছে কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোতায়। এরপর রয়েছে রাশিয়ার শহর ক্রাসনোদার। তালিকার তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে যথাক্রমে মঙ্গোলিয়ার উলানবাটর ও রোমানিয়ার বুখারেস্ট। এরপরের শহরগুলো হলো-মস্কো, ব্যাংকক, ম্যানিলা, ব্যাঙ্গালোর, ভ্লাদিভস্টক, মেক্সিকো সিটি, লাগোস, লন্ডন, মুম্বাই, ইয়াকাতেরিনবার্গ, গুয়াতেমালা সিটি, পানামা সিটি, নাইরোবি, নিউইয়র্ক, সান ডোমিঙ্গো ও দিল্লি।


আরও খবর

১২ লাখ গাড়ি বেশি চলে ঢাকায়

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ঈদে মিলাদুন্নবীতে রাজধানীতে শোভাযাত্রা, শান্তি সমাবেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবারও   ঢাকায় জশনে জুলুসে র‌্যালি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে ইয়া নবী ছালামু আলাইকা’, ‘ইয়া রাসূল ছালামু আলাইকাআওয়াজে র‌্যালি শুরু হয়ে শাহবাগ, মৎস্য ভবন, দোয়েল চত্বর হয়ে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনের সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এসে শান্তি মহাসমাবেশে মিলিত হয়।

বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী ও লিবারেল ইসলামিক জোটের চেয়ারম্যান এবং মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের বর্তমান ইমাম, আনজুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়ার সভাপতি হযরত শাহ্সূফী ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী আল-হাসানীর (মা জি আ) নেতৃত্বে র‌্যালিতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা অংশগ্রহণ করেন।

র‌্যালির অগ্রভাগেই দৃষ্টিনন্দন বড় বড় হরফে লেখা ছিল ইয়া নবী ছালামু আলাইকা’, ‘ইয়া রাসূল ছালামু আলাইকা। বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) ও আন্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়ার ব্যবস্থাপনায় জশনে জুলুসে অংশগ্রহণকারীরা কলেমা খচিত পতাকা, প্লেকার্ড, ফেস্টুন ছাড়াও বহন করে বাংলাদেশের বিশাল জাতীয় পতাকা। জুলুসে অংশগ্রহণকারীরা নারায়ে তকবির, নারায়ে রেসালতের স্লোগানে স্লোগানে রাজধানীর রাজপথ মুখরিত করে তোলেন। র‌্যালি শেষে সবাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শান্তি মহাসমাবেশে মিলিত হয়।  

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন লিবারেল ইসলামিক জোটের চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী। তিনি বলেন, মহানবীর (দ.) দুনিয়ায় শুভাগমন জগৎবাসীর জন্য আল্লাহ পাকের বিশেষ রহমত ও অনুগ্রহ। তিনি আইয়্যামে জাহেলিয়াতের অবসান ঘটিয়ে পৃথিবীবাসীকে শান্তি, সাম্য ও মুক্তির পথ দেখান। রাসুলে পাক (দ.) দুনিয়ায় শুভাগমনের মূল উদ্দেশ্যই হলো একটি শান্তি ও সহাবস্থানপূর্ণ মানবিক বিশ্ব সমাজ গড়ে তোলা।

তিনি  বলেন, ধর্ম মানুষকে সুশৃঙ্খলিত করে। উগ্রতা, হঠকারিতা, জঙ্গি কর্মকাণ্ড জ্বালাও-পোড়ার মাধ্যমে জনজীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি করা ধর্মের বিধান নয়। শান্তি, সাম্য, ন্যায়-ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করাই ইসলাম তথা প্রিয়নবীর (দ.) মূল আদর্শ। রাসুলের (দ.) আদর্শ থেকে বিচ্যুত হওয়ার কারণেই আজ সিরিয়া, ফিলিস্তিন, মিয়ানমারসহ তাবৎ দুনিয়ায় যুদ্ধ সংঘাত ও রক্তপাতে জর্জরিত। এ দুঃসহ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে মহানবীর (দ.) আদর্শ অনুসরণের বিকল্প নেই। প্রিয়নবী (দ.) ছিলেন পৃথিবীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ রাষ্ট্র নায়ক। সাড়ে চৌদ্দশ বছর আগে রাসূলই আমাদের দেখিয়েছেন কীভাবে সমতাভিত্তিক, বৈষম্যহীন, অসাম্প্রদায়িক আধুনিক কল্যাণকর রাষ্ট্র গঠন করা যায়।  

পীরজাদা মুফতী মাওলানা বাকী বিল্লাহ আল-আযহারী ও শায়খ আজমাঈন আসরারের সঞ্চালনায় অতিথি ও আলোচক ছিলেন- ১৪ দলীয় সমন্বয়ক ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, লিবারেল ইসলামিক জোটের নির্বাহী চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশ জনদলের (বিজেডি) চেয়ারম্যান ও লিবারেল ইসলামিক জোটের কো-চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান জয় চৌধুরী, মিলাদুন্নবী (দ.) উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক ও মইনীয়া যুব ফোরাম সভাপতি শাহজাদা সৈয়দ মেহবুব-এ-মইনুদ্দীন, যুগ্ম আহ্বায়ক ও মইনীয়া যুব ফোরামের নির্বাহী সভাপতি শাহজাদা সৈয়দ মাশুক-এ-মইনুদ্দীন, এফবিসিআই পরিচালক মো. রেজাউল করিম রেজনু, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক আকন্দ প্রমুখ।


আরও খবর

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩




লিবিয়ায় বন্যায় সাগরে ভেসে গেছে হাজার হাজার মানুষ

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে সোমবার আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল। ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে পূর্বাঞ্চলে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়। আর এই বৃষ্টির পানির চাপে দারনা শহরের কাছে নদীর ওপর দেওয়া দুটি বাধ ধসে পড়ে। সেই বাঁধের পানির কারণেই সেখানে বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বাঁধের পানির কারণে সৃষ্ট বন্যা হাজার হাজার মানুষকে সমুদ্রের দিকে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। সেই বন্যাটিকে অনেকে সুনামির মতো আখ্যায়িত করেছেন।

বিবিসি আরও জানিয়েছে, বন্যার পানির তোড়ে অনেক এলাকাই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। সমুদ্রের পানিতে যেসব মানুষ ভেসে গেছেন তাদের মরদেহ পানি থেকে উদ্ধার করতে হিমশিম খাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।

বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দারনা শহরের অ্যাম্বুলেন্স সোসাইটি জানিয়েছে, শুধুমাত্র এ শহরটিতেই ২ হাজার ৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, এখনো ১০ হাজার মানুষ নিখোঁজ আছেন।

এদিকে ভয়াবহ এই বন্যার পানিতে ডুবে বা ভেসে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে লিবিয়ার স্বঘোষিত পূর্বাঞ্চলের সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে মৃত্যুর এ সংখ্যাটি নিশ্চিত করতে পারেনি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।

লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিপর্যস্ত দারনা শহরে গিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, সেখানকার অবস্থা বেশ খারাপ।

ওই পুরো দারনা শহরই বন্যার পানিতে সমুদ্রে ভেসে গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

দারনার এক উদ্ধারকারী জানিয়েছেন, সেখানকার হাসপাতালগুলোতে এখন আর চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া মর্গগুলোও মৃতদেহে ভরে গেছে।

বিবিসি আরও জানিয়েছে, এই ভয়াবহ বিপদে যারা পড়েছেন তাদের যে উদ্ধার করা হবে সেই পরিস্থিতিও এখন লিবিয়ায় নেই। কারণ ২০১১ সালে সাবেক শাসক কর্নেল মোহাম্মদ গাদ্দাফিকে হত্যার পর রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মুখে পড়ে দেশটি। আর তখন থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত দেশটিতে শুধুমাত্র যুদ্ধই চলেছে। ফলে কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দিলে— বিপর্যয় পরবর্তী বিষয়াবলী যে সামাল দেওয়া হবে এমন কোনো বাহিনী বা অবকাঠামোই তৈরি করা সম্ভব হয়নি।

এছাড়া গাদ্দাফির পতনের পর গৃহযুদ্ধের কবলে পড়ে যায় লিবিয়া। এর ফলে বর্তমানে দেশটি দুইভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। এখন পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল আলাদা আলাদাভাবে শাসিত হয়ে আসছে। আর বিভক্তির কারণে কেন্দ্রীয় ও সমন্বিত কোনো উদ্ধার অভিযানও সম্ভব হচ্ছে না।

সুনামি সদৃশ বন্যা সম্পর্কে পূর্বাঞ্চলের সরকারের এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, ‘আমি যা দেখেছি তা দেখে মারাত্মকভাবে চমকে গিয়েছি। এটি সুনামির মতো ছিল।’

তিনি বিবিসিকে বলেছেন, দারনার দক্ষিণাঞ্চলে একটি বাঁধ ধসে পড়ার পর পুরো শহরটিকে বাধের পানি সমুদ্রে নিয়ে চলে যায়।

এই ভয়াবহ সুনামির মতো বন্যা থেকে বাঁচতে অনেকে উঁচু বাড়ির আশ্রয় নেন। কিন্তু যাদের কপাল ভালো ছিল না, তারা ভেসে চলে যান সমুদ্রে। আর সেখানেই তাদের সলিল সমাধি ঘটে।


আরও খবর