অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে ভারতকে হারিয়ে
ফাইনালে গেল বাংলাদেশ। ভারতে ৪ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশের যুবারা। আগামী
রবিবার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ হবে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
দুবাইয়ের ২ নম্বর আইসিসি একাডেমি গ্রাউন্ডে টস জিতে
ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। শুরুতেই বাঁহাতি পেসার মারুফ মৃধার তোপে পড়েন
ভারতের ব্যাটাররা। ১৩ রানের মধ্যেই ভারত অধিনায়ক উদয় শাহারানসহ ৩ উইকেট তুলে নেন
তিনি। ৩৬ রানের মাথায় চুতুর্থ উইকেট হারায় ভারত। এরপর ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত
দিলেও ৬১ রানে একই ওভারে প্রিয়াংশু মোলিয়া ও আরভেলি অবিনাশ ফিরলে বিপর্যয়ে পড়ে
দলটি।
এরপরই ঘুরে দাঁড়ান মুশির ও মুরুগান। শুরুর দিকে রান তোলার গতি
ওভারপ্রতি চারের কম থাকলেও এই দুই ব্যাটার সমানে ব্যাট চালাতে থাকেন। ১৪৫ রানের
মাথায় বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি মুশিরকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন।
৬১ বলে ৫০ রান করেন মুশির। দলের সঙ্গে আর তিন রান যোগ হতেই ফেরেন অষ্টম ব্যাটার।
তবে লেজের দিকের ব্যাটারদের নিয়ে ভালোই লড়াই করেন অভিষেক। ১৭২ রানে সেই মারুফের
বলে আউট হওয়ার আগে ৭৪ বলে করেন মূল্যবান ৬২ রান। শেষ পর্যন্ত ৪২ ওভার ৪ বলে ১৮৮
রানে অলআউট হয় ভারত।
বল হাতে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল মারুফই। ১০ ওভার বল করে মাত্র ৪১
রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট তুলে নেন তিনি। ২ উইকেট নেন রোহানাত দৌলাহ বর্ষন ও শেখ
পারভেজ জীবন।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বিপদে পড়ে বাংলাদেশের যুবারাও। দ্রুত
৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে তারা। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা আশিকুর শিবলি রানআউট
হওয়াতেই বেশি চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন আরিফুল ইসলাম।
আহরার আমিনকে সঙ্গে নিয়ে ৮৫ রানের অনবদ্য জুটি গড়েন তিনি।
৯৪ রানের মাথায় আউট হন আরিফুল। ৬ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করলেও
দলকে জয়ের কাছাকাছি রেখে যান তিনি। তার বিদায়ের পর যদিও ঘন ঘন উইকেট পড়ে, তবে
জয় পেতে কঠিন হয়নি বাংলাদেশের যুবাদের জন্য।