ঈদযাত্রার টিকিট বিক্রির শেষদিন রবিবার (১৮ জুন) সকাল থেকে
রেলওয়ের সার্ভারে ব্যাপক চাপ সৃষ্টি হয়েছে। ২৮ জুনের টিকিট বিক্রি শুরু হয় রবিবার
সকাল ৮টায়। সার্ভারে গত চারদিনের মধ্যে আজ বেশি চাপ ছিল। রবিবার ২৮ জুনের টিকিট
বিক্রি হওয়ায় এই চাপ সৃষ্টি হয়।
টিকিট বিক্রির প্রথম এক ঘণ্টার মধ্যেই দেশের পশ্চিমাঞ্চলের
টিকিট শেষ হয়েছে। টিকিট কিনতে এই সময়ে ৫৩ লাখ হিট পড়েছে বলে রেল কর্তৃপক্ষ
জানিয়েছে। ফলে টিকিট না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করছেন বহু যাত্রী।
ঈদুল আযহা উপলক্ষে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কিনতে সার্ভার জটিলতা
কমাতে দুই ধাপে ট্রেনের টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ রেলওয়ে। গতবারের
মতো এবারের ঈদযাত্রাতেও আন্তঃনগর ট্রেনের সব টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হচ্ছে।
রেলওয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, গতবার একসঙ্গে আড়াই কোটি
পর্যন্ত ক্লিক পড়েছিল। এবার দুটি জোন ভাগ করে দেওয়ায় ক্লিকের সংখ্যা কমে এসেছে।
যার কারণ টিকিট প্রত্যাশীদের কোনো ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি।
পশ্চিমাঞ্চলে সকাল আটটা থেকে অনলাইন টিকিট বিক্রি শুরু
হয়। এক ঘণ্টা যেতে না যেতেই বিক্রি হয় যায় সব টিকিট। এই সময়ে সার্ভারে হিট পড়ে
৫৩ লাখ। দীর্ঘসময় চেষ্টা করেও টিকিট না পেয়ে অনেকে হতাশা ব্যক্ত করেন। টিকিট
সংকটের কারণে এমন ক্ষোভ প্রকাশ করেন যাত্রীরা।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা অনলাইনে বসে থেকেও টিকিট না পেয়ে
হতাশার কথা ব্যক্ত করে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ভেবেছিলাম আগেভাগে ২৮ তারিখের ট্রেনের
টিকিট কিনব। ভোরে অনলাইনে যুক্ত হলেও শেষমেষ টিকিট কিনতে পারিনি।
ঈদের চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ২৯, ৩০ জুন ও ১ জুলাইয়ের টিকিট
বিক্রি করা হবে। ঈদ পরবর্তী ফিরতি অগ্রিম টিকিট দেওয়া শুরু হবে ২২ জুন।