রাজধানীর আজিমপুর এলাকায় অবস্থিত স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানায় থাকে শতাধিক এতিম শিক্ষার্থী। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যাচ্ছে এর ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে বাহ্যিক সৌন্দর্যও।
সম্প্রতি দেখা গেছে, স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানায় চলছে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ। মূল ফটক থেকে শুরু করে সীমানাপ্রাচীরে লাগানো হচ্ছে টাইলস। প্রতিষ্ঠানের সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় নিয়ে লাগানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। নিবাসীদের দৈনিক খাবারের জন্য তৈরি করা হয়েছে নির্দিষ্ট মেন্যু। এসব উন্নয়নমূলক কাজে এতিমখানার সার্বিক চিত্র যেমন পাল্টাচ্ছে, তেমনি নতুন করে ভালো থাকার স্বপ্ন দেখছে নিবাসীরা।
সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য অফিসের সামনের রাস্তার দুই পাশের ইটে রং ও ফুলের বাগান তৈরি করা হয়েছে। এখন এতিমখানার সেলুনঘর, অপেক্ষাগারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থান এবং বিল্ডিংয়ের ছাদ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও ঝকঝকে। এতিমখানা নিবাসীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার জন্য ডাক্তারের চেম্বার তৈরি করাসহ খণ্ডকালীন ডাক্তার ও চিকিৎসা সহকারী নিয়োগ-পূর্বক নিয়মিত চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।
এ ছাড়া পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে পানির মোটর স্থাপন, চায়না দূতাবাসের অনুদানে প্রাপ্ত সাতটি কম্পিউটার দিয়ে কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন ও সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সংস্কার ও যুগোপযোগী করা হচ্ছে। চাঞ্চল্যকর কনকর্ড টাওয়ার মামলাসহ প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের সক্রিয় অংশগ্রহণে রচনা প্রতিযোগিতা, ছবি আঁকা ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নিয়মিত জাতীয় দিবস অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। এতিমখানায় নতুন নিয়োগ পাওয়া তত্ত্বাবধায়ক এতিমখানার দায়িত্ব পাওয়ার পর এতিমখানার ব্যবস্থাপনা এবং শিক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধার প্রতি যত্নবান থেকে নিরলসভাবে কাজ করে হচ্ছে। এ ছাড়া ছাত্রছাত্রীদের জন্য এরই মধ্যে সুনামগঞ্জে শিক্ষা সফরের আয়োজন করা হয়েছে।
গত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সন্ধানী, ঢাকা ডেন্টাল কলেজ ইউনিট, আরএমসি হাসপাতাল উত্তরার সার্বিক সহযোগিতায় হামদ, নাত প্রতিযোগিতাসহ স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি ও বিনামূল্যে নিবাসী ছাত্রছাত্রী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং স্থানীয় লোকজনের ডেন্টাল চেকআপ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। তা ছাড়া মহান বিজয় দিবসে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও দাতা কর্তৃক নিবাসীদের উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়।
প্রশাসকের নির্দেশনায় এতিমখানার ভাড়া দেওয়া দোকানের বিপুল পরিমাণ বকেয়া ভাড়া আদায়ে উদ্যোগী হয়ে বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক দোকানিদের দ্রুত বকেয়া ভাড়া পরিশোধের জন্য নোটিশ প্রদান করেন। যার ফলে বকেয়া ভাড়া আদায় হচ্ছে।
উপরিউক্ত সকল কার্যক্রম সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রতিষ্ঠান) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম চৌধুরী (উপসচিব) প্রশাসক হিসেবে ২০২১ সালের ৭ জুন যোগদানের পর থেকে তার পরিচালনা ও নির্দেশনায় সম্পন্ন হচ্ছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।