Logo
শিরোনাম

ব্যাংকে নগদ টাকার সংকট বাড়ছে

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

ব্যাংক খাতে নগদ টাকার সংকট দিন দিন তীব্র হচ্ছে। ফলে অনেক ব্যাংককে এখন ধার করে দৈনন্দিন কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। ফলে প্রতিদিনই চড়ছে আন্তঃব্যাংক কলমানির সুদহার। গতকাল কলমানির সর্বোচ্চ সুদ উঠেছে ৯ দশমিক ২৫ শতাংশে, যা গত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। কলমানির পাশাপাশি শর্ট নোটিশে অর্থ ধার নেওয়ার সুদের হারও বাড়ছে। এদিকে আন্তঃব্যাংকের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকেও নিয়মিত ধার করে কার্যক্রম চালাচ্ছে বেশ কিছু ব্যাংক। সংশ্লিষ্টরা জানান, খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি, প্রত্যাশিত মাত্রায় আমানত সংগ্রহ না হওয়া, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি এবং সরকারকে ঋণ দেওয়ার কারণে ব্যাংক খাতে নগদ টাকার সংকট বেড়েছে। ফলে আন্তঃব্যাংক কলমানি ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নিয়মিত ধার করে চলতে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে।

সংকটের সময় এক ব্যাংক অন্য ব্যাংক থেকে, আবার ব্যাংক থেকে নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সাময়িক সময়ের জন্য টাকা ধার নেয়। সাধারণত একদিনের জন্য এই ধার নেওয়া হয়। এই ধার দেওয়া-নেওয়ার কার্যক্রম সম্পন্ন হয় যে ব্যবস্থায় তা আন্তঃব্যাংক কলমানি বাজার নামে পরিচিত। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, গত বছরের শেষ দিকে কয়েকটি ব্যাংকের ঋণ অনিয়মের খবর জানাজানি হওয়ার পর ব্যাংক খাতের প্রতি মানুষের আস্থার সংকট তৈরি হয়। এর পর সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো থেকে টাকা তুলে নিতে থাকেন গ্রাহকরা। আবার সেই সময় ব্যাংকগুলোতে নতুন আমানত আসাও কমে যায়। এতে ওই ব্যাংকগুলোতে নগদ টাকার সংকট তৈরি হয়, যা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি ব্যাংকগুলো।

 এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। এতে জীবনযাত্রার খরচ বেড়েছে। কিন্তু একই সময় মানুষের আয় খুব একটা বাড়েনি। আবার উচ্চ মূল্যস্ফীতির সময়ে ব্যাংকে আমানতের সুদের হার যেভাবে বাড়ার কথা, সেভাবে বাড়েনি। এতে ব্যাংকগুলো প্রত্যাশিত মাত্রায় আমানত পাচ্ছে না। আবার আগের বিতরণ হওয়া ঋণ সময়মতো ফেরত আসছে না। এর মধ্যেই বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে ঋণ নেওয়া বাড়িয়েছে সরকার। ফলে চলমান নগদ টাকার সংকট আরও বেড়েছে। আর এই সংকট সামাল দিতে আন্তঃব্যাংক কলমানির পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দ্বারস্থ হচ্ছে অনেক ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গতকাল আন্তঃব্যাংক কলমানিতে সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ২৫ শতাংশ সুদে ৪ হাজার ২৬১ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। তবে গড় সুদের হার উঠে ৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ। আগের দিন সর্বোচ্চ ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ সুদে ৪ হাজার ৪১৬ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল। আর ওই দিন গড় সুদের হার ছিল ৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ। আন্তঃব্যাংক কলমানির সঙ্গে শর্ট নোটিশে ধারের সুদের হারও বাড়ছে।

গতকাল ৫ থেকে ১৪ দিন মেয়াদি ধারের সুদের হার ছিল ৯ থেকে ১০ দশমিক ৫০ শতাংশের মধ্যে।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, অব্যাহত ডলার বিক্রি, আমানতের প্রবাহ কমে যাওয়া, খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়া ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সংকোচন নীতির কারণে ব্যাংক খাতে তারল্য সংকট বেড়েছে। এ মুহূর্তে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে সংকোচন নীতি থেকে সরে আসা সম্ভব নয়। তাই তারল্য সংকট কাটাতে ডলার বাজার ও ব্যাংকের সুশাসনের দিকে নজর দেওয়ার বিকল্প নেই। সে ক্ষেত্রে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বাড়িয়ে ডলার বাজারকে স্থিতিশীল করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ছাড়া ঋণখেলাপিদের আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি নতুন করে যাতে ব্যাংকে কোনো ধরনের অনিয়ম না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে।

এদিকে বেশি সুদেও চাহিদামতো নগদ টাকার সংস্থান করতে না পেরে গতকালও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বড় অঙ্কের স্বল্পমেয়াদি ধার করেছে বেশ কয়েকটি ব্যাংক। রেপো, তারল্য সহায়তা ও স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটি উপকরণের আওতায় প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা ধার দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগের দিন এই ধারের পরিমাণ ছিল ১৩ হাজার ৩৭৭ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, বিল ও বন্ডের বিপরীতে ব্যাংক থেকে সরকারকে ঋণ দেওয়া হচ্ছে। আবার ডলার বিক্রির বিপরীত টাকা উঠে আসছে। এখন যদি কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধার না দেওয়া হয়, তা হলে সংকট বাড়বে। তা ছাড়া একবারে সব দিক দিয়ে সংকোচন করা যায় না। যে কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক ধার দেওয়া অব্যাহত রেখেছে।

 


আরও খবর



অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ, সম্পাদক অপু

প্রকাশিত:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

টেলিভিশন নাটকের অভিনয়শিল্পীদের সংগঠন অভিনয়শিল্পী সংঘের নির্বাচনে আবদুল্লাহ রানাকে হারিয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আজাদ আবুল কালাম। বিজয়ী প্রার্থী ভোট পেয়েছেন ৩১০ ভোট। এছাড়া অভিনেতা শাহেদ শরীফ খানকে হারিয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন রাশেদ মামুন অপু। তিনি পেয়েছেন ৩৩২ ভোট।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আজ সকাল ৯টার দিকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এরপর ভোটগণনা শেষে রাত ৯টার দিকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অভিনেতা খায়রুল আলম সবুজ।

২০২৫-২০২৮ মেয়াদে সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন নির্বাচিত হয়েছেন আজিজুল হাকিম, মো.ইকবাল বাবু ও শামস সুমন। যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সুজাত শিমুল ও রাজিব সালেহীন।

সাংগঠনিক সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন মাসুদ রানা মিঠু, অনুষ্ঠান সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন এম এ সালাম সুমন, আইন ও কল্যাণ সম্পাদক পদে জয় পেয়েছেন সূচনা সিকদার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন মুকুল সিরাজ, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন আর এ রাহুল।

অর্থ সম্পাদক ও দপ্তর সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন নূর এ আলম নয়ন ও তানভীর মাসুদ।

এছাড়া কার্যনির্বাহী পরিষদের সাতটি সদস্য পদের বিজয়ীরা হলেন ইমরান হোসেন, জুলফিকার চঞ্চল, শিউলি শিলা, এনায়েতুল্লাহ শিপলু, রাফা মো. নাঈম, রেজাউল রাজু, তুহিন চৌধুরী।

এবারের নির্বাচনে পদসংখ্যা ২১টি, দু’জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত। ভোটার সংখ্যা ৬৯৯ জন। পরাজিত প্রার্থীরা চাইলে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে এই ফলাফলের বিপক্ষে আপিল করতে পারবেন। তারপর চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা হবে ২২ এপ্রিল।

নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন অভিনেতা খায়রুল আলম সবুজ। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে সঙ্গে ছিলেন নরেশ ভূঁইয়া ও ফারুক আহমেদ। এ ছাড়া আপিল বোর্ডে ছিলেন মামুনুর রশীদ, আবুল হায়াত ও দিলারা জামান।


আরও খবর



অসুস্থ শিক্ষার্থীর চিকিৎসা সহায়তায় পাশে দাঁড়ালেন সমাজকর্মী ও শিক্ষকবৃন্দ

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

গজারিয়া প্রতিনিধি :

মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের কৃতি সন্তান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসী সমাজকর্মী মোঃ ইউসুফ আলী দেওয়ান তার ব্যক্তিগত অর্থায়নে ভবেরচর ইউনিয়নের স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীতে পড়ুয়া মেধাবী শিক্ষার্থী দুরূহ ব্যাধিতে আক্রান্ত স্বর্ণা আক্তারের চিকিৎসা সহায়তায় এগিয়ে আসেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিক্ষার্থী স্বর্ণা আক্তার দীর্ঘদিন পেপটিক আলসার রোগে অসুস্থতায় ভুগছে। এতে করে একাধারে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। পারিবারিক অসচ্ছলতায় কারনে তার চিকিৎসা ব্যয়ভার চালানো তার পরিবারের পক্ষে অত্যান্ত কষ্টকর বলে জানা যায়। সরেজমিনে দেখা যায়, অপরিমিত চিকিৎসায় ফলে ধীরে ধীরে শিক্ষার্থীর স্বর্ণা'র রোগ ভয়াবহ হয়ে উঠছে। 

 বাংলাদেশ ইউনাইটেড যুব ফোরামের সাধারন সম্পাদক, সমাজকর্মী ইঞ্জি. সৈয়দ মোহাম্মদ শাকিল এর বরাতে শিক্ষার্থীর ব্যাধির ভয়াবহতার খবর পেয়ে অসুস্থ শিক্ষার্থী স্বর্ণাকে দেখতে ছুটে আসেন সমাজ সেবক মোঃ ইউসুফ আলী দেওয়ান। তার সঙ্গে সহমর্মিতা প্রকাশ করে অসুস্থ  শিক্ষার্থী স্বর্ণাকে দেখতে আরও ছুটে আসেন ভবেরচর ইউনিয়ন এর মানবিক সকল শিক্ষকবৃন্দ।

 শিক্ষকবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভবেরচর ওয়াজীর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আলমগীর হোসেন (ইংরেজি), সহকারি শিক্ষক মো. মোস্তফা কামাল (একাউন্টটিং), সহকারি শিক্ষক শাহাদাত হোসেন সরকার (ব্যবস্থাপনা), ভবেরচর ওয়াজীর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর অভিভাবক  মনিরুজ্জামান লিটন।

এসময় উপস্থিত সকল শিক্ষক, অভিভাবক সদস্য, সমাজকর্মী, মানবিক নেতৃবৃন্দ সকলেই অসুস্থ শিক্ষার্থী স্বর্ণা'র আরোগ্য কামনা করে। সে যেনো দ্রুত সুস্থ হয়ে আবার ক্লাস কার্যক্রমে ফিরে পারে এমনটাই সকলে প্রত্যাশা করেন।


আরও খবর



ব্রিটিশ নাগরিকদের ভারত-পাকিস্তানে ভ্রমণে সতর্কতা জারি

প্রকাশিত:সোমবার ০৫ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার ঘটনায় দুই প্রতিবেশী ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাজ্য নিজেদের নাগরিকদের জন্য পাকিস্তান ও ভারত ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে।৫ মে এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে তুর্কি গণমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি।

ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে জারিকৃত সতর্কতায় বলা হয়েছে, পাকিস্তান-ভারত সীমান্ত এবং নিয়ন্ত্রণ রেখা (লাইন অব কন্ট্রোল/এলওসি) সংলগ্ন অঞ্চলগুলোতে নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে। তাই নাগরিকদের এই অঞ্চলগুলোতে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ব্রিটেনের পররাষ্ট্র দফতরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ভারত ও পাকিস্তানে নির্ধারিত বা পরিকল্পিত ভ্রমণ স্থগিত রাখাই বাঞ্ছনীয়। এ ছাড়া সীমান্ত এলাকায় সম্ভাব্য সংঘাত বা সামরিক সরবতার ঝুঁকির কথাও তুলে ধরা হয়।

উল্লেখ্য, এর আগেই পহেলগাঁও হামলার ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রও পাকিস্তান ও ভারতের জন্য একই ধরনের ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছিল।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তরের আরও সতর্কবার্তায় বলা হয়, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের কোনো অংশে, বিশেষ করে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর, কোনো কারণেই ভ্রমণ করা উচিত নয়।

বর্তমানে ভারত ও পাকিস্তান নিজেদের সীমান্তে শক্তিশালী সামরিক উপস্থিতি বজায় রেখেছে। ভারতে প্রবেশের জন্য অবশ্যই বৈধ ভারতীয় ভিসা থাকতে হবে, এবং সীমান্তে কোনও ভিসা সুবিধা নেই।

দুই দেশের মধ্যে একমাত্র সরকারিভাবে স্বীকৃত সীমান্ত পারাপার পাঞ্জাব প্রদেশের ওয়াঘা (পাকিস্তান) ও আটারি (ভারত) সীমান্তপথ। তবে যাত্রার আগে সীমান্ত পথটি খোলা আছে কিনা, তা যাচাই করে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



শর্ত মেনে আইএমএফের ঋণ নেওয়া হবে না

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদ বললেন, বাংলাদেশ এখন আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বিশ্বব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল নয়। তিনি বলেন, আইএমএফের সব শর্ত মেনে আমরা ঋণ নিতে চাই না।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. সালেহউদ্দিন এ কথা বলেন।

চলতি মাসে ঢাকায় আইএমএফ প্রতিনিধি দলের সফরে ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির ১৩০ কোটি ডলার ছাড়ের বিষয়ে কোনো সুরাহা হয়নি। মুদ্রার বিনিময় হার অধিকতর নমনীয় করা ও কর আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাদের সমঝোতা হয়নি।

সম্প্রতি আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন সভায় অংশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরসহ সরকারের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আইএমএফ চায় বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হোক। তবে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে পুরোপুরি ছেড়ে দেওয়া সম্ভব নয়। আইএমএফের সব শর্ত মানবো না। আমরা আমাদের মত সিদ্ধান্ত নিবো। এতে আইএমএফ কিস্তি দিলে দিবে, না দিলে নিজেদের মত করেই বাজেট করবো।


আরও খবর



রায়পুরে বখাটেদের তাণ্ডবে থেমে গেছে মুক্তার শিক্ষাজীবন, নীরব প্রশাসন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

আতোয়ার রহমান মনির, লক্ষ্মীপুর :

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার শায়েস্তানগর এলাকার বানাতুল দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী মুক্তা আর মাদ্রাসায় যায় না। প্রতিদিনের পথে বখাটেদের উৎপাত, উত্ত্যক্ততা আর শারীরিক হয়রানিতে জর্জরিত হয়ে শেষ পর্যন্ত শিক্ষাপথ ত্যাগে বাধ্য হয়েছে সে।


ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীর অভিযোগ—বখাটেপনার ঘটনা বারবার জানানো হলেও প্রশাসন, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা থেকেছেন নির্বিকার। তাদের এই নীরবতা পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে।


মুক্তার বাবা মনির হোসেন বলেন, "ঘটনার কথা জানালেও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এবংজনপ্রতিনিধিরা গুরুত্ব দেননি। বরং সমঝোতার পরামর্শ দিয়েছেন। এখন মেয়েটা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে।"


মুক্তা জানায়, "প্রতিদিন ভয় নিয়ে বের হই। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কিছু ছেলে আমার পথ আটকায়, মোবাইল নম্বর চায়। না বললে টানাহেঁচড়া, ভিডিও করা আর তা ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। একদিন কিছু পথচারী এগিয়ে না এলে কী হতো জানি না।"


একজন সাবেক ছাত্রী জানান, তিনিও এবং তার বান্ধবী একইরকম হয়রানির শিকার হয়েছিলেন। "সেই সময়েও কেউ কিছু করেনি," বলেন তিনি।


বিএনপি নেতা খোরশেদ ঢালী বলেন, “এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এলাকায় এমন ঘটনা আগেও ঘটেছে। কিন্তু মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বরাবরই নিষ্ক্রিয়। এখন সময় এসেছে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার।”


রায়পুর থানার ওসি নিজাম উদ্দিন ভূঞা বলেন, “এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”


উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান খান বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে এলাকায় এবং মাদ্রাসাগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হবে।”


লক্ষ্মীপুর জেলা বারের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, “এই ঘটনাটি শিশু নির্যাতন, যৌন হয়রানি এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ। প্রশাসন নিরপেক্ষ হলে অবশ্যই বিচার হতো, কিন্তু প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপে বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়।”


ব্র্যাকের এক জরিপে দেখা গেছে, দেশের ৬৪ শতাংশ স্কুলগামী মেয়ে পথে উত্ত্যক্তের শিকার হয়। শিশু অধিকার ফোরামের মতে, ২০২৪ সালে দেশে দেড় হাজারের বেশি কিশোরী হয়রানির শিকার হয়েছে, যার মধ্যে ৩৮% ঘটেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশে।

মুক্তার এই ঘটনা যেন হাজারো মেয়ের অব্যক্ত কষ্টের প্রতিচ্ছবি। মুক্তা আজ শুধুই একজন ব্যক্তি নয়—প্রতীক হয়ে উঠেছে সেই সব কণ্ঠের, যারা ভয়ে থেমে যায়, অপমানে হারিয়ে যায় শিক্ষার পথ থেকে।

এখনই সময়—প্রশাসন, সমাজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহির আওতায় আনার। প্রয়োজন কঠোর শাস্তি, যাতে আর কোনো মুক্তাকে স্কুল ছাড়তে না হয়।


আরও খবর