Logo
শিরোনাম

কেমিস্টস্ অ্যান্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির নির্বাচন

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

বাংলাদেশ কেমিস্টস্ অ্যান্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির (বিসিডিএস) দ্বিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে শাহ্ জালাল বাচ্চু নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ওষুধ ব্যবসায়ী সম্মিলিত পরিষদ নিরঙ্কুশ জয়লাভ করেছে। গত শনিবার ঢাকাসহ আটটি বিভাগীয় শহরে একযোগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়োজিত প্রশাসক নির্বাচন বোর্ড। 

জানা গেছে, বাংলাদেশ ওষুধ ব্যবসায়ী সম্মিলিত পরিষদের ৪৩ জন প্রার্থী নিরঙ্কুশ জয়লাভ করেছে। পরবর্তীতে সমিতির অভ্যন্তরীণ সভায় সভাপতি সহ-সভাপতিবৃন্দ মনোনীত করা হবে। বাংলাদেশ কেমিস্টস্ অ্যান্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতি ২০২১-২০২৩ ইং মেয়াদের নির্বাচনে বর্তমান সভাপতি সাদেকুর রহমান সমর্থিত মোজাম্মেল-কামাল পরিষদের ভরাডুবি হয়। নির্বাচনে সম্মিলিত পরিষদের প্রধান শাহ্ জালাল বাচ্চু ভোট পেয়েছেন হাজার ৩৭৬ ভোট, তার বিপরীতে বর্তমান সভাপতি সাদেকুর রহমান পেয়েছেন ১৯১ ভোট এবং তাঁর সমর্থিত কাজী মফিজুল ইসলাম কামাল পেয়েছেন ৪৮১ ভোট মোজাম্মেল হক পেয়েছেন ২৩৯ ভোট। পরিচালক পদে জাকির হোসেন রনি পেয়েছেন হাজার ৩১৯ ভোট। 

ভোটাররা জানান, ৩৫ বছর ধরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন বাংলাদেশ কেমিস্টস্ অ্যান্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির নির্বাচন শুধু দুইবার অনুষ্ঠিত হওয়ায় সাধারণ সদস্যরা ক্ষোভে ফুসে উঠেছে। সমিতির সভাপতি সাদেকুর রহমানের অসাংবিধানিক প্রশ্নবিদ্ধ কর্মকাণ্ড সাধারণ সদস্যদের ক্ষোভের অন্যতম কারণ ছিল বলে জানান সাধারণ সদস্যরা। ভোটের মাধ্যমে সদস্যরা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। 

ভোটাররা আরও জানান, সাদেকুর রহমান সমর্থিত একাধিক ব্যক্তি ওই নির্বাচনটি বানচাল করার জন্য ১৮টি মামলা দায়ের করেছে। পরবর্তীতে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ নির্বাচনের আদেশ দিলে গত শনিবার ওই নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হয়। 

সম্মিলিত ওষুধ ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যসচিব জাকির হোসেন রনি বলেন, ‘সাদেকুর রহমান গত ৩৫ বছর যাবৎ মামলা মোকদ্দমাসহ বিভিন্ন বাহানায় সমিতির ক্ষমতা আঁকড়ে ছিলেন। সময়ে তারা অর্থনৈতিক অনিয়মসহ সমিতির কার্যক্রম মন্থর করে দিয়েছে। তাছাড়া, বারবার আদালতে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে পরিকল্পিতভাবে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করেছে। সব ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে


আরও খবর



কৃষ্ণচূড়ার বনে ‘আগুন জ্বেলেছেন’ রুনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

সদরুল আইন,বিনোদন ডেক্স থেকে:

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী রুনা খান মাঝেমধ্যেই নিজেকে মোহনীয় রূপে উপস্থাপন করে থাকেন। সম্প্রতি তারই ধারাবাহকতায় তিনি নিজেকে রাঙালেন কৃষ্ণচূড়ার রঙে। 

রুনা খান মঙ্গলবার (১৪মে) তার ফেসবুক পেজে বেশকিছু ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ’কৃষ্ণচূড়ার বনে বনে আগুন লেগেছে।’ রুনার পোস্ট দেখে তার রূপের প্রশংসায় ভাসছেন নেটিজেনরা।

অভিনেত্রী শানারেই দেবী শানু অভিব্যক্ত প্রকাশ করে লিখেছেন, ’আগুন লেগে গেছে সবার মনে মনে। অনেক অনেক সুন্দর লাগছে রুনা আপু।’

সাইদা আফরিন আলী নামে এক ভক্ত বলেন, ’তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি, সেকি মোর অপরাধ"! এক গুচ্ছ টকটকে লাল কৃষ্ণচূড়ার ভালোবাসা - শুধু তোমার জন্য।’ছবিতে দেখা যাচ্ছে, লাল জামদানিতে কানের পাশে কৃষ্ণচূড়া ফুল গুঁজে দিয়ে চমৎকার হাসিতে আকাশের দিয়ে চেয়ে আছেন রুনা খান।  

এছাড়া কপালে ছোট লাল টিপ আর খোলা চুলে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছেন অভিনেত্রী।রুনা ‘অসময়’ ওয়েব ফিল্মে অভিনয় করে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন। 


আরও খবর



ঢাকায় পৌঁছেছেন ডোনাল্ড লু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

ঢাকায় পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অব স্টেট ডোনাল্ড লু। মঙ্গলবার (১৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শ্রীলংকান এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকায় পৌঁছান।

ডোলান্ড লু'র দুইদিনের এই সফরে মূল বৈঠক হবে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রীর সঙ্গেও তার বৈঠক হতে পারে। মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক পাশাপাশি সুশীল সমাজের প্রতিনিধি সঙ্গে বসার কথা রয়েছে। যেখানে আলোচনা হতে পারে জলবায়ু পরিবর্তন, শ্রম অধিকার, বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ অন্যান্য বিষয়।

এছাড়া মঙ্গলবার রাতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বাসায় নৈশভোজে অংশগ্রহণ করতে পারেন। পরদিন বুধবার (১৫ মে) সকালে পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে। এরপর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ হবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।

এর আগে ডোনাল্ড লুর সফর সম্পর্কে গত ৯ মের এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, ডোনাল্ড লু ১০-১৫ মে ভারত, শ্রীলংকা ও বাংলাদেশ সফর করবেন। তার সফর এসব দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করবে এবং মুক্ত-উন্মুক্ত ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য মার্কিন সমর্থনের কথা তুলে ধরবে।

এতে আরও বলা হয়, প্রথমে ভারতের চেন্নাই সফর করবেন লু। সেখানে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে কনস্যুলেট কর্মীদের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। এরপর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারত্ব আরো গভীর করতে শ্রীলংকা সফর করবেন। সেখানে তিনি শ্রীলংকার অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের পাশাপাশি একটি মুক্ত ও গণতান্ত্রিক সমাজ গড়তে দেশটির রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

প্রসঙ্গত, গত বছরের জুলাইয়ে ডোনাল্ড লু সর্বশেষ বাংলাদেশ সফর করেন। ওই সফরে তিনি মার্কিন বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়ার নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন। তার আগে গত বছর ১৪ জানুয়ারি ঢাকায় আসেন লু। ওই সফরে সম্পর্কোন্নয়নের ঘোষণা দিয়ে ঢাকা ছেড়েছিলেন তিনি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এটি হবে তার প্রথম বাংলাদেশ সফর।


আরও খবর



ঢাকার বাতাসে উচ্চমাত্রায় ক্যান্সারের উপাদান

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

ক্যানসার সৃষ্টিকারী আর্সেনিক, সিসা ও ক্যাডমিয়ামের মতো মারাত্মক ক্ষতিকর বিষের ভেতর বসবাস করছে রাজধানীর মানুষ। ঢাকার বাতাসে এসব বিষাক্ত পদার্থের উপস্থিতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মাত্রার প্রায় দ্বিগুণ বলে নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে।

গবেষণায় শহরের বাতাসে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে এমন আরেকটি উপাদান কোবাল্টের উচ্চ মাত্রায় উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে।

এলিমেন্টাল ক্যারেক্টারাইজেশন অব অ্যাম্বিয়েন্ট পার্টিকুলেট ম্যাটার ফর এ গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউটেড মনিটরিং নেটওয়ার্ক: মেথডোলজি অ্যান্ড ইমপ্লিকেশনস নামে এই গবেষণাটি গত ১০ মার্চ এসিএস ইএস অ্যান্ড টি এয়ার জার্নালে প্রকাশিত হয়।

বিশ্বের ২৭টি স্থানে পরিচালিত এই গবেষণায় বলা হয়েছে, লেড-অ্যাসিড ব্যাটারি এবং ই-বর্জ্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য শিল্প, কয়লাভিত্তিক ইটভাটা এবং যানবাহনগুলি রাসায়নিক উপাদানগুলির উচ্চ ঘনত্বের জন্য দায়ী।

গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, ঢাকা-ই একমাত্র স্থান যেখানে প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশু উভয়ের ক্যানসার সৃষ্টির ঝুঁকি মানদণ্ড ছাড়িয়েছে।

সারফেস পার্টিকুলেট ম্যাটার নেটওয়ার্ক বিশ্বের একমাত্র সংস্থা যারা দুনিয়ার বিভিন্ন দেশের বাতাসে সূক্ষ্ম কণার ঘনত্ব পরিমাপের মাধ্যমে কোন কোন এলাকার বাতাসে রাসায়নিক উপাদানের ঘনত্ব বেশি তা শনাক্ত করে।

গবেষকরা বাতাসে ধূলিকণা, রাসায়নিক উপাদানের বিস্তার ও মানুষের স্বাস্থ্যে এসবের প্রভাব মূল্যায়ন করতে ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে সংগ্রহ করা নমুনা পরীক্ষা করেন।

গবেষকদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক আবদুস সালাম। তিনি জানান, বাংলাদেশের পরিবেশে সীসার দূষণের কারণে বাতাসেও বিপজ্জনক মাত্রায় এর উপস্থিতি দেখা গেছে।

তিনি বলেন, একসময় বাতাসে সীসার ঘনত্ব অনেক বেশি ছিল। তারপরে এটি অনেক হ্রাস পায়। আমরা সাধারণত প্রতি ঘনমিটার বাতাসে ৪০০ থেকে ৫০০ ন্যানোগ্রাম পেতাম। কিন্তু এখন আবার এক হাজারেরও বেশি ন্যানোগ্রাম পাওয়া যাচ্ছে।

গবেষণায় ঢাকার বাতাসকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পাওয়া যায়, এর পরেই রয়েছে ভারতের কানপুর, ভিয়েতনামের হ্যানয়, সিঙ্গাপুর, চীনের বেইজিং এবং তাইওয়ানের কাওসিউং।

এ বছরের শুরুতে প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ক্যানসার রোগীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে এবং ২০৫০ সালে দেশটিতে ২০২২ সালের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি নতুন রোগী শনাক্ত হতে পারে। বাংলাদেশে ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।


আরও খবর



অবৈধ টিভি চ্যানেলের বিরু‌দ্ধে কার্যক্রম শুরু

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

অবৈধভাবে দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল প্রদর্শন ও লাইসেন্সবিহীন বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধে কার্যক্রম শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নে গত বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের চিঠি দেওয়া হ‌য়ে‌ছে। তারই পরিপ্রেক্ষি‌তে অবৈধভাবে দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল প্রদর্শন ও লাইসেন্সবিহীন বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধে কার্যক্রম শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

সিদ্ধান্তগুলো হলো-

১। কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর অধীনে অনুমোদিত সেবা প্রদানকারীগণই সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি চ্যানেলসমূহ গ্রাহকের নিকট বিতরণ করতে পারবে।

২। ক্লিনফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল কিংবা অননুমোদিত কোনো চ্যানেল ডাউনলিংক, সম্প্রচার, সঞ্চালন বা বিতরণ করা যাবে না।

৩। সেট-টপ বক্স অবৈধভাবে আমদানি ও বাজারজাত করা যাবে না।

৪। টিভি চ্যানেল স্ট্রিমিং এর অ্যাপসসমূহ ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করে প্রচারণা করা কিংবা এ ধরনের অ্যাপস সেট-টপ-বক্সে ইনস্টল করে বিক্রি করা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। এর বিরুদ্ধে বিটিআরসি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৫। বাংলাদেশের নিরাপত্তার স্বার্থে, সরকারের রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির স্বার্থে, বিদেশে অর্থ পাচার রোধে এবং দেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে যেকোনো অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

৬। কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(১) ধারা অনুযায়ী, কোনো ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী নির্ধারিত আবেদনপত্রের ভিত্তিতে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতিত অন্য কোনো চ্যানেল বাংলাদেশে ডাউনলিংক, বিপণন, সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না। এছাড়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় হতে বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান ক্লিনফিড সম্প্রচারের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেছে বিধায় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ক্লিনফিড ব্যতিত বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না।

৭। কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(২) ধারা অনুযায়ী, কোন ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী সরকার অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতিত নিজস্ব কোনো অনুষ্ঠান যথা: ভিডিও, ভিসিডি, ডিভিডি এর মাধ্যমে অথবা অন্যকোনো উপায়ে কোনো চ্যানেল বাংলাদেশে বিপণন, সঞ্চালন ও সম্প্রচার করতে পারবে না। আইন অমান্য করে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দেশি বা বিদেশি টিভি চ্যানেলের ফিড বা নিজস্ব কোনো চ্যানেল সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না।

৮। কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৪(১) ধারা অনুযায়ী, লাইসেন্সপ্রাপ্ত না হয়ে কোনো ব্যক্তি, ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী হিসাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। তাই লাইসেন্সধারী ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী ব্যতিত অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান টিভি চ্যানেল বা অনুষ্ঠান সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না।

৯। অনুমোদিত ডিস্ট্রিবিউটরগণ এই সিদ্ধান্তসমূহ তাদের বিদেশি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারকারীদের লিখিতভাবে অবহিত করবে।

১০) আইন/নীতিমালা বহির্ভূত, অবৈধ বা অননুমোদিতভাবে সম্প্রচার কাজে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

এর আগে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, সরকার অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি টিভি চ্যানেলের ফিড কেবলমাত্র বৈধ ক্যাবল ও ডিটিএইচ অপারেটররা গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে পারবে। তাদের বাইরে অন্য কেউ এ কাজ করলে তা বেআইনি ও অবৈধ। এ বেআইনি কাজ বন্ধে সরকার আইনগত ব্যবস্থা নেবে। এই বেআইনি কাজের কারণে সরকার রাজস্ব হারায় এবং বিভিন্নভাবে বিদেশে অর্থ পাচার হয়। একই সঙ্গে দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।

তিনি আরো বলেন, বিদেশি চ্যানেলের অবৈধ সম্প্রচারের মাধ্যমে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধে যে ক্লিনফিডের ব্যবস্থা করা হয়েছে তা বাস্তবায়ন ব্যাহত হয়। দেশের জনগণের স্বার্থে এই সংক্রান্ত আইনের বাস্তবায়ন করা হবে।


আরও খবর



ভূমধ্যসাগরে নিহত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ হস্তান্তর

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে মারা যাওয়া ৮ বাংলাদেশি নাগরিকের মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) মর্গ থেকে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার সময় নৌকাডুবিতে তাদের মৃত্যু হয়।

আজ বিকেলে ঢাকা জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সায়েম ইমরানের উপস্থিতে বিমানবন্দর থানার এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম মৃতদেহগুলোর আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন। যেহেতু ওই দেশে ইতিপূর্বে তাদের ময়নাতদন্ত হয়েছে তাই নতুন করে আর করা হয়নি।

মৃতরা হলেন- মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানার সেনদিয়া গ্রামের সজল বৈরাগী (২২), একই থানার কদমবাড়ি গ্রামের মৃত পরিতোষ বিশ্বাসের ছেলে নয়ন বিশ্বাস (১৮), সরমঙ্গল গ্রামের মামুন শেখ (২৪), কোদালিয়া গ্রামের কাজী সজীব (১৮), কেশরদিয়া গ্রামের তোতা খলিফার ছেলে কায়সার খলিফা (৩৫) গোপালগঞ্জ জেলার মোকসেদপুর থানার দাদন শেখের ছেলে রিফাত শেখ (২৪) একই থানার পদ্মপট্টি গ্রামের আবুল কাশেম শেখের ছেলে রাসেল শেখ (২৫) এবং পদ্মাপট্টি গ্রামের পান্নু শেখের ছেলে ইমরুল কায়েস আপন (২৩)।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিমানবন্দর থানার উপ-পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনায় মানব পাচার আইনে একটি মামলা হয়েছে। আপনারা জানেন, সৌদি এয়ারলাইন্সে বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে মরদেহগুলো বিমানবন্দরে পৌঁছেছে। মাননীয় পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এখানে উপস্থিত আছেন। সবার মতামতে, বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পূর্ব নির্ধারিত ফরেনসিক চিকিৎসক প্রভাষক ডা. ফাহমিদা হকসহ আমরা তিনজন, ডেড বডিগুলোর আলামত দেখলাম।

দেশের বাইরে যে পোস্টমোর্টেম হয়েছে তা দেখলাম, সেখানে কোনোরকম কোনো প্রবলেম আছে কিনা, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য। এখানে যাদের গার্ডিয়ান আছে, ম্যাজিট্রেট স্যারের উপস্থিতিতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস চেক করে, মরদেহগুলো তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করি।

তিনি আরো বলেন, এই মামলায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হচ্ছেন- যুবরাজ ও কামাল।

তাদেরকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে যে সব তথ্যাবলি পাওয়া গেছে, তা যাচাই করা হচ্ছে। এটি একটি আন্তর্জাতিক চক্র, এদের সাথে যাদের কানেক্টিভিটি আছে দেশে এবং দেশের বাইরে, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। বিষয়টি আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মনিটরিং করছেন বলেও জানান তিনি। এর সাথে যারই কানেক্টিভিটি পাব বা থাকবে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।


আরও খবর