Logo
শিরোনাম

সমাবেশের নামে বাড়াবাড়ি করলে ছাড় নয় : কাদের

প্রকাশিত:সোমবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ মে ২০২৪ |

Image

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সমাবেশের নামে বিএনপি যদি বাড়াবাড়ি ও বিশৃঙ্খলা করে এবং জনগণের জানমালের প্রতি হুমকি সৃষ্টি করে তাহলে কোন ছাড় দেওয়া হবে না। বিরোধী দলের অধিকার আছে, তাই আমরা ছাড় দিয়েছি। কিন্তু তারা যদি বেশি বাড়াবাড়ি করে, বিশৃঙ্খলা করে, জনগণের জানমালের প্রতি হুমকি সৃষ্টি করে সে অবস্থায় আমরা ছেড়ে দেব না।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা (বিএনপি) শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করুক। সমাবেশ করার অধিকার আছে। তারা কর্মসূচি ঘোষণা করুক। কিন্তু মানুষ আতঙ্কে আছে কেন? এই আতঙ্কে মানুষ থাকবে কেন? মানুষের আতঙ্ক দূর করতে হবে।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র বিকাশে সরকারের সঙ্গে বিরোধী দলের ভূমিকা জরুরি। নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রাণ। সেই নির্বাচন আমরা জানি কীভাবে হয়েছে। ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার, ১৫ ফেব্রুয়ারির সে প্রহসনের নির্বাচন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এগুলো এদেশের ইতিহাসে আছে। আমরা ভুলে যাইনি। এখনও সাম্প্রদায়িক অশুভ ও জঙ্গিবাদী শক্তি গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে সক্রিয়। এদের পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি। বিএনপি হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতা, অগণতান্ত্রিক বিশ্বাসযোগ্য ঠিকানা। গণতন্ত্র বিকাশের অন্তরায়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আমলে আমরা ৫ বছরে ৫০ দিন ঘরে থাকতে পারিনি। আমাদের নেতা-কর্মীরা কেউ ঘরে থাকতে পারেনি।

তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বর তারা সমাবেশ করবে, যে দিন বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা বাস্তবায়ন শুরু হয়। শহীদ সিরাজ উদ্দিন ও শহীদ নিজাম উদ্দিন দুইজনেই সাংবাদিক। এই দুইজনকে কিন্তু আলবদর বাহিনী উঠিয়ে নিয়ে যায় ১০ ডিসেম্বর। বিএনপি তাদের আন্দোলন ও কর্মসূচি ঘোষণা এবং ঢাকা দখলের জন্য এই দিনটি কেন বেছে নিল আমরা জানি না 

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর গণতন্ত্রের জন্য লড়াই শুরু করেন। সারা দেশ ঘুরে ঘুরে মুক্তিযুদ্ধের মুল্যবোধ, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের পক্ষে তিনি ক্যাম্পিং করেন। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্রের শৃঙ্খল মুক্তি ঘটিয়েছেন।


আরও খবর



নওগাঁয় ২২মে গুটি আম সংগ্রহের মধ্য দিয়ে বাজারে আসতে শুরু করবে

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে আমের নতুন রাজধানী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে দেশের উত্তরের খাদ্যভান্ডার বরেন্দ্র অঞ্চল নওগাঁ। ধান উৎপাদনের পাশাপাশি বিগত কয়েক বছর আম উৎপাদনে রাজশাহী ও চাপাই নবাবগঞ্জকে ছাড়িয়ে গেছে নওগাঁ। আগামী ২২মে থেকে গুটি আম বা স্থানীয় জাতের আম সংগ্রহের মধ্য দিয়ে বাজারে আসছে নওগাঁর আম। এছাড়াও নওগাঁর ঐতিহ্য আম্রপালি আমসহ অন্যান্য জাতের সুস্বাদু ও সুমিষ্ট আম পেতে আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে ভোক্তাদের।

বর্তমানে আমের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে ভারতীয় সীমান্ত ঘেষা উপজেলা সাপাহারের পাশাপাশি পোরশা, নিয়ামতপুর, ধামইরহাটসহ জেলার ১১টি উপজেলাতে গড়ে উঠছে বাণিজ্যিক ভাবে আম বাগান। আর দেশের মধ্যে শুধুমাত্র নওগাঁতেই উৎপাদন হওয়া সুস্বাদু আম্রপালি আমের সুনাম দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিবছরই নওগাঁয় উৎপাদিত বিভিন্ন জাতের আমের চাহিদা ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বৃদ্ধি পাচ্ছে।  

সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আম সংগ্রহ করার জাতীয় ক্যালেন্ডারের সঙ্গে মিল রেখে এক সভায়  বিভিন্ন জাতের আম সংগ্রহের সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। ওই সভায় আমচাষী, ব্যবসায়ী, কৃষি কর্মকর্তা ও প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে ২২মে গুটি আম বা স্থানীয় জাত, ২৮মে থেকে গোপালভোগ, ২জুন ক্ষীরসাপাত/হিমসাগর, ৭জুন নাক ফজলি, ১০জুন ল্যাংড়া ও হাঁড়িভাঙা, ২০ জুন ফজলি, ২২জুন আম্রপালি এবং ১০জুলাই থেকে আশ্বিনা, বারি আম-৪, গৌড়মতি ও কাটিমন আম সংগ্রহ করা যাবে।

নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে চলতি মৌসুমে জেলার ৩৩ হাজার ৩শ হেক্টর জমিতে আম চাষ করা হয়েছে। যা থেকে ৪লাখ ৩১ হাজার ৫০০টন আম উৎপাদনের আশা করছে কৃষি বিভাগ। বিভিন্ন বাগানে উচ্চ মূল্যের ব্যানানা ম্যাংগো, মিয়াজাকি, কাটিমন, গৌড়মতি, বারি-৪ আমচাষসহ দেশি-বিদেশি প্রায় ১৬জাতের আম চাষ করা হয়েছে। তবে চলতি মৌসুমে আমের মুকুল কম আসায় ও প্রচন্ড দাবদাহে কিছু আম ঝড়ে যাওয়ার কারণে আমের ফলনে কিছুটা তারতম্য হওয়ার আশঙ্কা করছে কৃষি বিভাগ।


জাত ভেদে নাকফজলি ৮৯৮ হেক্টর, ল্যাংড়া ১ হাজার ৬১৫ হেক্টর, ফজলি ১ হাজার ৪০৮ হেক্টর, গোপালভোগ ৬১০ হেক্টর, ক্ষীরশাপাত ১ হাজার ৪৭ হেক্টর, বারি-৪ ২ হাজার ৪০২ হেক্টর, বারি-১১ আম ৪২ দশমিক ৫০ হেক্টর, মল্লিকা ৩৭ হেক্টর, কাটিমন ১৫৪ দশমিক ৫০ হেক্টর, গৌড়মতি ১৪৩ দশমিক ২৫ হেক্টর, হাড়িভাঙা ৪১ দশমিক ৭৫ হেক্টর, ব্যানানা ম্যাংগো ১০৭ দশমিক ৫০ হেক্টর, আশ্বিনা ২ হাজার ৩২২ দশমিক ৫০ হেক্টর, কুমড়াজালি ১৩ হেক্টর, গুটি বা স্থানীয় ৬০৭ হেক্টর এবং আম্রপালি ১৮হাজার ৪২২ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। জেলায় যে পরিমাণ আম বাগান রয়েছে তার মধ্যে আম্রপালি ৬০ দশমিক ৮০শতাংশ।

নওগাঁর সাপাহার উপজেলার নিশ্চিন্তপুর এলাকার আমচাষী আব্দুর রশিদ বলেন, দিন দিন আম চাষ অত্যন্ত লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছরই বাগানের পরিধি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বরেন্দ্র অঞ্চলের মানুষদের ভাগ্য বদলে দিয়েছে এই আম চাষ। আমের মুকুল আসা থেকে শুরু করে বাজারজাত করা পর্যন্ত বিঘাতে প্রায় ৩০-৩৫ হাজার টাকা খরচ পড়ে। তবে চলতি বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ খরার কারণে বিঘা প্রতি ৪-৫হাজার টাকা বেশি খরচ হয়েছে। এছাড়া খরায় কিছু আম ঝড়ে পড়ার কারণে ফলন কিছুটা কম হবে। তাই আমের দাম সঠিক ভাবে পেলে লোকসান কিছুটা পুষে নেয়া সম্ভব হবে। তাই এবার আম চাষীদের বাঁচাতে সঠিক ওজনে আম বিক্রয় করা ও ঠিকঠাক দাম বেধে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আমরা সুদৃষ্টি কামনা করছি।

নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, চলতি মৌসুমে নওগাঁ থেকে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার আম বাণিজ্যের আশা করা হচ্ছে। চলতি বছর আমের মুকুল কিছুটা কম আসলেও গাছে বর্তমান থাকা আমের আকার ও রং ভালো থাকার কারণে আমচাষীরা ভালো দাম পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া গতবছরের চেয়ে চলতি বছর নওগাঁ থেকে আরো বেশি পরিমাণ আম বিদেশে রপ্তানি করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে রপ্তানি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দ্রæতই নওগাঁর বিভিন্ন আম বাগান পরিদর্শন করতে আসবেন।


আরও খবর



তাপদাহ পেরিয়ে এলো 'মধুমাস'

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

নানান ফলের সমাহার নিয়ে এসেছে জ্যৈষ্ঠ মাস। হরেক রসালো ফলের মৌ মৌ ঘ্রাণে এখন প্রকৃতি উতলা।

বাংলা বর্ষপঞ্জিকা অনুযায়ী, বৈশাখের বিদায়ের মধ্য দিয়ে আজ বুধবার (১৫ মে) শুরু হলো জ্যৈষ্ঠ। যা লোকমুখে মধুমাস বলেই পরিচিত। যদিও বাংলা অভিধানে চৈত্রকেই মধুমাস বলা হয়। তাছাড়া মধু ফলের মধ্যে নয়, ফুলের মধ্যে থাকে। কিন্তু অভিধানের সে মধুমাস অভিধানেই থেকে গেছে। ফলপ্রিয় বাঙালি জ্যৈষ্ঠকেই মধুমাস বলে চিনে আসছে। তাদের মুখে, জিভে ও বিশ্বাসে জ্যৈষ্ঠই যেন মধুমাস।

জ্যৈষ্ঠের আগমনে এখন গাছে গাছে নানা জাতের বাহারি সুস্বাদু ফল। অবশ্য এরই মধ্যে শহর কিংবা গ্রামের বাজারগুলোতেও দেখা মিলছে হরেক ফলের। পাকা ফলের মধুর ঘ্রাণ আর মৌমাছির গুঞ্জরনে মুখরিত চারদিক। জ্যৈষ্ঠে ঘরে ঘরে দেখা যাবে ফল উৎসবের আমেজ। একে অন্যের বাড়িতে উপহার হিসেবেও পাঠাবে ফল।

খুলনাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে সাতক্ষীরা, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গার গাছে গাছে পেকে আছে আম। কোনোটা সিঁদুরে, কোনোটা হলদে, কোনোটা উভয়েরই মিশ্রণে রাঙানো। একেক আমের একেক নাম। ওদিকে পেকেছে লিচু। লিচুর গাছে দিনে পাখি আর রাতে বাদুড়ের কোলাহল। পাকা জামও জিভে আনছে জল। সেই জামের মধুর রসে মুখ রঙিন করার স্বপ্ন উঁকি দিচ্ছে।

এছাড়া জামরুল, আনারস, করমচা, আতা, তরমুজ, ফুটি, বাঙ্গি, বেল, কাঁচাতাল, জাম্বুরা, কাউফল, গোলাপজাম, কামরাঙা, লটকনসহ হরেক ফল জাগিয়ে তুলেছে বাঙালির রসনাবিলাসকে। পুষ্টিকর এসব ফলের প্রাচুর্য জ্যৈষ্ঠকে করেছে প্রকৃতির অনন্য মাস।

এই জ্যৈষ্ঠে গাছ থেকে নামানো তাজা ফলের সুবাস ছড়াবে গ্রামের হাটবাজারে। শুধু হাটবাজার নয়, শহরের ফলের দোকানেও দেখা মিলবে বাহারি ফলের সাজানো পসরা।

যদিও অনেক অসাধু বিক্রেতা ফলকে তাজা দেখাতে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার করে এরই মধ্যে কিছু ফল বাজারে তুলেছেন। এ অপতৎপরতা বন্ধে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছেন সংশ্লিষ্টরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চলের সিনিয়র কৃষিবিদ মো. মোছাদ্দেক হোসেন বলেন, মধুমাসের মিষ্টি ও সুস্বাদু ফল মিশে আছে আমাদের ঐতিহ্যের সঙ্গে। দেশীয় ফল আমাদের সংস্কৃতি, সভ্যতা ও ঐতিহ্যের বড় একটি অংশ। জ্যৈষ্ঠ মাসের ফল পরিবেশের যেমন সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে, তেমনি স্বাদ ও পুষ্টিতেও অনন্য।

তিনি বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক লাভের আশায় পুরোপুরি পুষ্ট হওয়ার আগেই এসব ফল হারভেস্ট (পেড়ে বাজারজাত) করছেন। ফলে স্বাদ ও পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ভোক্তা। এজন্য মাঠ পর্যায়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক বেঁধে দেওয়া সময়ে হারভেস্ট (পাড়া ও বাজারজাত) করার আহ্বান করা হয়েছে।


আরও খবর



হজ ভিসায় সৌদির নতুন বিধি-নিষেধ

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

হজ ভিসা নিয়ে নতুন নিয়ম আনলো সৌদি আরব। এখন থেকে এই ভিসা দিয়ে শুধু জেদ্দা, মদিনা ও মক্কা শহরে ভ্রমণ করা যাবে। তাছাড়া অনুমতি ছাড়া মক্কায় জনসাধারণের প্রবেশাধিকারেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সৌদি সরকার। সারা পৃথিবী থেকে আসা হজযাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই এসব নিয়ম জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সৌদির জননিরাপত্তা বিভাগ।

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুধু হজ ভিসা দিয়ে চলতি বছর হজে অংশ নেওয়া মুসল্লিরা জেদ্দা, মদিনা ও মক্কা শহরে ভ্রমণ করতে পারবেন। নির্ধারিত শহরগুলোর বাইরে ভ্রমণের জন্য এই ভিসা বৈধ হবে না। তাছাড়া এখন থেকে মক্কায় প্রবেশের জন্য অবশ্যই অনুমতিপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। এমনকি সৌদি নাগরিকদেরও।

হজের সময় মক্কার পবিত্র স্থানগুলোতে কাজ করার অনুমতি পাওয়া ব্যক্তি, মক্কার স্থানীয় অভিবাসী, পবিত্র হজ পালনের অনুমতিপত্র বা তাছরিহ্ ব্যতীত যে কাউকে আপাতত মক্কায় প্রবেশ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। নির্দেশনা অমান্যকারীদের মক্কায় প্রবেশের চেকপয়েন্ট থেকে ফেরত পাঠানোর পাশাপাশি শাস্তিও দেওয়া হতে পারে।

মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, হজ ভিসা শুধু হজ মৌসুমের জন্যই বৈধ। তাছাড়া নতুন নিয়মে এই সময়ের মধ্যে হজ ভিসা নেওয়া ব্যক্তিদের ওমরাহ পালন বা যেকোনো ধরনের আর্থিক বা অবৈতনিক কাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। আর এসব বিধি-নিষেধ লঙ্ঘনকারীরা ভবিষ্যতে হজে অংশ নেওয়ার অনুমতি না-ও পেতে পারেন। সেই সঙ্গে নিয়ম অমান্যকারীকে সৌদি আরব থেকে বের করেও দেওয়া হতে পারে।

এদিকে, উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের (জিসিসি) দেশগুলো ছাড়া যেসব আন্তর্জাতিক দর্শনার্থী হজ পালন করতে চান, তাদের ওপর হজ ভিসা নেওয়ার বাধ্যবাধকতা আরোপ করেছে সৌদি সরকার।

এদিকে, নুসুক ও তাওয়াক্কলনা অ্যাপ থেকে ভ্রমণের জন্য ডিজিটাল কার্ড বা অনুমতিপত্র নেওয়ার ব্যবস্থা রেখেছে সৌদির হজ মন্ত্রণালয়। পবিত্র স্থানগুলোতে ঢুকতে হলে ও বিভিন্ন শহর ঘুরে দেখতে হলে হজযাত্রীদের অবশ্যই কার্ডটি দেখাতে হবে।

এই কার্ড কীভাবে পাওয়া যাবে, তা হজযাত্রীদের ভিসা ইস্যু হওয়ার পরে সংশ্লিষ্ট হজ অফিস থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে। তাছাড়া হজ পারমিট ইস্যু হওয়ার পর অভ্যন্তরীণ হজযাত্রীরা সেবা প্রদানকারীদের কাছ থেকে এই কার্ড পাবেন।

প্রক্রিয়াটি আরও সহজ করতে সৌদির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভিসা প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক রেজিস্ট্রেশন চালু করেছে হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয়। আবেদনকারীদের অবশ্যই ৭ ধু আল হিজ্জাহ বা ১৩ জুলাইয়ের মধ্যে নিবন্ধন করতে হবে। তবে হজযাত্রীদের কোটা পূরণ না হলে, ওই সময়ের পরও নিবন্ধনের সুযোগ মিলতে পারে।


আরও খবর



মোটরযানে হুটার-হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার নিষিদ্ধ

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

হুটার-হাইড্রোলিক হর্ন নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। মোটরযানে হুটার, হাইড্রোলিক হর্ন ও অন্যান্য অননুমোদিত হর্ন ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে সংস্থাটি। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।

বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার স্বাক্ষরিত পরিপত্রে এ কথা জানানো হয়।

পরিপত্রে বলা হয়, সড়ক পরিবহন বিধিমালা, ২০২২ এর বিধি-৮১ অনুযায়ী অ্যাম্বুলেন্স, অগ্নিনির্বাপক বা উদ্ধারকাজের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত মোটরযান অথবা রাষ্ট্রীয় জরুরি কাজে ব্যবহৃত মোটরযান ব্যতীত অন্য যে কোনো মোটরযানে পরপর বিভিন্ন সুর প্রদানকারী বহুমুখী হর্ন অথবা তীব্র, কর্কশ, আকস্মিক, বিকট বা ভীতিকর শব্দের হর্ন বা যন্ত্র সংযোজন বা ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ ধরনের অননুমোদিত হর্ন স্বাস্থ্যঝুঁকি বৃদ্ধি করা ছাড়াও চালকগণকে বেপরোয়া ও দ্রুতগতিতে মোটরযান চালাতে উৎসাহিত করে। ফলে সড়ক দুর্ঘটনার আশংকা বৃদ্ধি পায়। লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে কিছু কিছু মোটরযানে হুটার, হাইড্রোলিক হর্ন ও অন্যান্য অননুমোদিত হর্ন সংযোজন করে ব্যবহার করার ফলে গণ উদ্বেগের সৃষ্টি হচ্ছে, যা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

এতে আরও বলা হয়, এ অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্স, অগ্নিনির্বাপক বা উদ্ধারকাজের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত মোটরযান অথবা রাষ্ট্রীয় জরুরি কাজে ব্যবহৃত মোটরযান ছাড়া অন্য যে কোনো মোটরযানে এ ধরনের হর্ন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হলো। অন্যথায় এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



তিন মাস ধরে দুবাইয়ের হিমঘরে পরে আছে রাণীনগরের মিন্টুর মরদেহ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ)  :

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার এনায়েতপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত্যু জামাল জোয়ারদারের ছেলে মিন্টু হোসেন। সংসারে স্বচ্ছলতা ফেরাতে আর দশজনের মতো পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে থাকার আসায় তিন বছর আগে দুবাই পারি জমান তিনি। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস, সেখানে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। সেখানে হাসপাতালের হিম ঘরে প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে পরে রয়েছে মরদেহ। কিন্তু অর্থ সংকটের কারনে মিন্টুর মরদেহ দেশে ফেরাতে পারছেননা স্বজনরা। ফলে একদিকে স্বজন হারানোর শোক অন্যদিকে অর্থাভাবে মরদেহ আনতে পারার বেদনা পরিবারকে যেন ঘোর হতাশার মধ্যে ফেলে দিয়েছে।

মিন্টুর মামা আব্দুল মতিন জানান,মিন্টুর স্ত্রী-দুই মেয়ে নিয়ে সংসার ছিল। মাথাগোঁজার ঠাই ছাড়া আর কোন সম্পদ নেই তার। শ্রমীকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো মিন্টু। এরই মধ্যে স্বপ্ন জাগে সংসারে স্বচ্ছলতা ফেরানোর এবং স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভাল চলার। গত ২০২১সালে ধার-দেনা করে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা খরচ করে দুবাই যান মিন্টু। সেখানে যে কোম্পানীর ভিসায় গিয়েছিলেন সেই কোম্পানীতে কাজ না থাকায় অন্যত্র চলে যান মিন্টু। কিন্তু কোম্পানীর লোকজন পাসপোর্ট আটকে দেয়ায় অবৈধ হয়ে পরেন। তার পর থেকে অনেক চেষ্টা করেও পাসপোর্ট-ভিসা হাতে পাননি। ফলে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করলেও সুষ্ঠু বেতন পায়নি। এরই মধ্যে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পরলে দুবাইয়ের আজমানস্থ খলিফা হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১ফেব্রæয়ারী মারা যান মিন্টু। এর পর মৃত্যুর খবর এপর্যন্ত পরিবারের লোকজন জানতে না পারলেও গত ১০মে এক স্বজনের মাধ্যমে মিন্টুর মৃত্যুর খবর জানতে পারে পরিবার। এর পর থেকে তার মরদেহ দেশে ফেরাতে নানা চেষ্টা করছেন পরিবারের লোকজন। আব্দুল মতিন জানান, কোম্পানীর আওতায় থাকলে কোম্পানীর খরচে তার মরদেহ দেশে আসতো। কিন্তু অবৈধ থাকার কারনে নিজ খরচে মরদেহ দেশে আনতে হচ্ছে। এতে প্রায় তিন লক্ষ টাকা ব্যায় হবে। যা পরিবারের পক্ষে যোগান দেয়া সম্ভব নয়। তাই মিন্টুর মরদেহ দেশে ফেরাতে সমাজের বিত্তবানদের নিকট আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেছেন। নগদ একাউন্ট নাম্বার- ০১৭৩৫ ১৯১৭৭৩(স্ত্রী),বিকাশ একাউন্ট নাম্বার-০১৭৮৩ ৮৪০৭৪৪(মামা)।


আরও খবর