Logo
শিরোনাম

উপকূল অঞ্চলকে পানি সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষনার দাবী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাংলাদেশ পানি আইনের ১৭ ধারা অনুযায়ি উপকূলীয় অঞ্চলকে পানি সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। সুন্দরবন উপকূলে ৭৩% পরিবার সুপেয় পানি থেকে বঞ্চিত বা খারাপ পানি খেতে বাধ্য হচ্ছে। উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততা পূর্বের তুলনায় ২৬% বৃদ্ধি পেয়েছে। লবণাক্ততা এ অঞ্চলের মানুষকে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলছে। মিঠা পানির সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে আসন্ন জাতীয় বাজেটে উপকূলের জন্য বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে। 

শুক্রবার (২২ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় মোংলা উপজেলা কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে "নিরাপদ পানি, জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশগত ন্যায্যতা" শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে আলোচকরা একথা বলেন। ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, লিডার্স, বাদাবন সংঘ, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের আয়োজনে এ গোলবৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নারায়ন চন্দ্র পাল'র সভাপতিত্বে ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপার পরিবেশযোদ্ধা মোঃ নূর আলম শেখ'র সঞ্চালনায়

গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ হাবিবুর রহমান, মোংলা সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ বিভাষ চন্দ্র বিশ্বাস ও মংলা টেকনিক্যাল কলেজ'র অধ্যক্ষ মোঃ সেলিম। 

গোলটেবিল বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা বিশ্বাস রনজিত কুমার, ব্রাক'র শফিকুর রহমান স্বপন, মোংলা সরকারি কলেজের প্রভাষক শ্যামা প্রসাদ সেন, ড. অসিত বসু, ড. অপর্ণা অধিকারী, প্রভাষক সাহারা বেগম, লিডার্স'র কৌশিক রায়, মোংলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মনিরুল হায়দার ইকবাল, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা'র গীতিকার মোল্লা আল মামুন, লিডার্স'র কৌশিক, বাদাবন'র পপি, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ'র কমলা সরকার, নদীকর্মী হাছিব সরদার, পরিবেশকর্মী শেখ রাসেল প্রমূখ।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমান বলেন, পৌর এলাকায় দৈনিক ৬৫ লাখ লিটার পানির চাহিদার বিপরীতে ২৯ লাখ লিটার পানি সাপ্লাই দেয়া হয়। পৌর এলাকার ৫ হাজার ৬ শো হোল্ডিংধারীদের  মধ্যে ২ হাজার  ৬ শো হোল্ডিংধারীকে পানি সাপ্লাই দেয়া হয়ে থাকে। ইতিমধ্যে ৩/৪ শো গ্রাহকের পানির লাইন সংযোগের আবেদন জমা পড়ে আছে পৌরসভায়। সরকারি নতুন প্রকল্প গ্রহণ এবং পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ পেলে পানি সংকটের সমাধান সম্ভব।

সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নারায়ন চন্দ্র পাল বলেন, সরকার উপকূলের সুপেয় পানির সংকট সমাধানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বরাদ্দ দিয়ে থাকে। বিগত সময়ে মোংলা উপজেলায় সরকারি-বেসরকারি মিলে ১৮ হাজার পানির ট্যাংকি বিতরণ করা হয়েছে। প্রতি বছরই উপকূলে সুপেয় পানির সংকট সমাধানে সরকারি অর্থ বরাদ্দ বাড়ছে। 

এরআগে সকাল ৯টায় ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, লিডার্স, বাদাবন সংঘ ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের আয়োজনে মোংলার দক্ষিণ কাইনমারি পশুর নদীর পাড়ে বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত লবণাক্ততার কবল থেকে উপকূলবাসীকে রক্ষা করে পর্যাপ্ত সুপেয় পানি সরবরাহের দাবীতে অনুষ্ঠিত র‌্যালী ও মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন পশুর রিভার ওয়াটারকিপার সাংবাদিক মোঃ নূর আলম শেখ। 

এ সময়ে তিনি বলেন ২০১০ সালে সুপেয় পানি পাওয়ার অধিকারকে মানবাধিকার হিসেবে ঘোষনা দিয়েছে জাতিসংঘ। এসডিজি'র অভিষ্ট ৬ এর ৬.১ এ ২০৩০ সালের মধ্যে সকলের জন্য সুপেয় পানি পাওয়ার নিশ্চয়তা প্রদানের কথা বলা হয়েছে। সরকারকে উপকূলের সুপেয় পানির সংকট সমাধানে জলাধার-পুকুর খনন ও সংরক্ষন করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। র‌্যালীতে শতাধিক নারী-পুরুষ খালি কলস হাতে অংশগ্রহণ করেন বলে জানা যায়।


আরও খবর



ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ঈদের টানা ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল নেমেছে। সমুদ্র সৈকতের কলাতলী, সুগন্ধা ও লাবনী পয়েন্টে সকাল থেকে পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে। জেলার ইনানী, পাটুয়ারটেক, মহেশখালী, রামুর বৌদ্ধ মন্দিরসহ অন্যান্য স্পটেও পর্যটকদের পদচারণা লক্ষ্য করা গেছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা দিচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়ন। এছাড়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল টিম টহল জোরদার করেছেন।

ইতোমধ্যে কক্সবাজারের আবাসিক হোটেল গুলোর প্রায় শতভাগ রুম বুকিং হয়ে গেছে। কলাতলী আবাসিক হোটেল ও রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান জানান, আগামী সোমবার পর্যন্ত পর্যটকদের চাপ থাকবে। রমজান মাসের পর পর্যটন ব্যবসায় ফের চাঙ্গাভাব ফিরে এসেছে বলে মনে করছেন তিনি।

এদিকে শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকাল থেকে দেখা গেছে, তীব্র গরমের মাঝেও সমুদ্রের নীলজলরাশি অস্বস্তি ভুলিয়ে দিয়েছে পর্যটকদের।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর ছিল পর্যটন নগরী কক্সবাজার। ফলে হাসি ফুটেছে হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীদের মুখে।

পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, পুরো রমজান মাসজুড়ে প্রায় পর্যটকশূন্য ছিল কক্সবাজার। ঈদের আগমনে দর্শনার্থীদের সেই খরা কেটেছে। ঈদের দিনই পর্যটন নগরীতে ঢল নেমেছে পর্যটকদের।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই সমুদ্র সৈকতের কলাতলী, সুগন্ধা ও লাবনী পয়েন্টে পর্যটকরা আসতে শুরু করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্র সৈকতে তিল ধারনের ঠাঁই ছিলনা। বিভিন্ন বয়সের মানুষ সাগরের লোনাজলে গোসল করতে নামে। কেউ সৈকতে ঘোড়ায় চড়ে সমুদ্র দর্শন করছেন। কেউ আবার ওয়াটার বাইক ও বিচ বাইকে সৈকত দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন।

সকাল থেকেই কলাতলী থেকে লাবনী পয়েন্ট পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার সমুদ্রসৈকতে লক্ষাধিক দর্শনার্থী নামেন বলে জানিয়েছেন সৈকতে দায়িত্বরত কর্মীরা।

সৈকতে দায়িত্বরত এক বিচকর্মী বলেন, স্থানীয়দের পাশাপাশি আজ সকাল থেকে পর্যটকরা কক্সবাজারমুখী হয়েছেন। শুধু ঈদের দিনেই অন্তত ৪০ হাজার পর্যটক সৈকতে নেমেছেন বলে আমরা ধারণা করছি। শুক্রবারে এ সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশী হয়েছে।

এ বিষয়ে কক্সবাজার রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, সৈকত ভ্রমণে আসা পর্যটকদের কাছ থেকে খাবারের অতিরিক্ত মূল্য আদায় হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা তৎপর রয়েছি। খাবার টেবিলে মূল্যতালিকা রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। পর্যটকরা তালিকা দেখেই খাবারের চাহিদা জানাতে পারবেন।

জেলা প্রশাসক শাহীন ইমরান বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে হোটেলের কক্ষ ভাড়ার তালিকা টাঙানোর নির্দেশ অনেক আগেই দেওয়া আছে। অতিরিক্ত ভাড়া যেন কেউ আদায় করতে না পারে সে ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের পৃথক কয়েকটি ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছেন।

হোটেলে কক্ষ ভাড়ার বিপরীতে অতিরিক্ত টাকা আদায় করলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।


আরও খবর

৯৫ শতাংশ বুকিং বাতিল ছাঁটাই শুরু

রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩




প্রচণ্ড গরমে বাড়ছে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে মাঝারি তাপপ্রবাহ বইছে। এ কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তর এই চার বিভাগে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে। আগামী ৭২ ঘণ্টায় এ তাপপ্রবাহ আরও বাড়তে পারে। এ তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির বেশি হলে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। হিট স্টোকে আক্রান্তদের সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা না দিতে পারলে মৃত্যু হয়। শিশু ও বৃদ্ধরা হিট স্ট্রোকে বেশি মারা যান। পাশাপাশি তরুণদের মৃত্যু ভয় থাকে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং হেলথ অ্যান্ড হোপ স্পেশালাইজড হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মাথা ঘুরতে পারে, জ্ঞান হারিয়ে ফেললে সঙ্গে সঙ্গে ছায়ায় নিতে হবে। শরীর ঠান্ডা করতে বাতাস দিতে হবে। পাশাপাশি মাথায় পানি দিতে পারলে ভালো। যদি অবস্থা খারাপ থাকে তাহলে দ্রুত কাছের হাসপাতালে নিতে হবে। যত তাড়াতাড়ি চিকিৎসা হয়, তত ভালো। দেরি করলে অঙ্গহানি হতে পারে। এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বৃহস্পতিবার সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিএসএমএমইউয়ে ইমার্জেন্সি বিভাগে ১৫ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে আটজন পুরুষ, সাতজন মহিলা। তাদের একজন স্ট্রোকের রোগী থাকলেও হিট স্ট্রোকের লক্ষণ নিয়ে কোনো রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়নি।


আরও খবর

তীব্র তাপপ্রবাহে সুস্থ থাকার উপায়

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪




বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ২৩ বছর

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

রাজধানীর রমনা বটমূলে ২০০১ সালে ছায়নটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালায় জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ। বিস্ফোরণ প্রাণ হারান ১০ জন। আহত হন অনেকে। এই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা হয় দুটি।

দুই মামলার তদন্ত ও বিচার কাজ একসঙ্গে শুরু হলেও ২৩ বছরেও বিচারিক আদালতের গণ্ডি পার হতে পারেনি বিস্ফোরক মামলাটি। কারণ হিসেবে সাক্ষী হাজির না হওয়া, প্রতি বছর একই যুক্তি দিয়ে আসছে রাষ্ট্রপক্ষ।

পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্দুলাহ আবু বলেন, সাক্ষীরা একবার সাক্ষ্য দিয়ে গেছেন। কিন্তু পরবর্তীকালে ওই সাক্ষীদের সহজেই পাওয়া যায়নি। দীর্ঘদিন হয়ে গেছে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিচার কাজ শেষ হওয়া উচিত।

হত্যা মামলাটি অবশ্য বিচারের প্রথম ধাপ পেরিয়েছে ১০ বছর আগে। এরপর হাইকোর্টে এসে আটকে গেছে। বিভিন্ন সময়ে আদালতে উঠলেও অন্তত ৪০০ বার পিছিয়েছে শুনানি।

এ বিষয়ে অ্যার্টনি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ওই বেঞ্চের একজন বিচারপতি আইনজীবী হিসেবে এই মামলায় কাজ করেছিলেন। তাই তিনি শুনানি করতে পারেননি। এ কারণে হয়ত কিছুটা সময় লেগেছে। তবে এবার তার বেঞ্চে শুনানি হবে। আমরা প্রস্তুত আছি।

প্রায় দুই যুগ ধরে চলা এই হামলার বিচার শেষ না হওয়ায় ক্ষোভ জানান শিল্পীরা।

সঙ্গীতশিল্পী খায়রুল আনাম শাকিল বলেন, আমাদের দেশের কিছু লোক আছেন, যারা বাঙালি সংস্কৃতিকে বাঁকা চোখে দেখেন। তবে এ ঘটনার একটি পূর্ণাঙ্গ রায় যাতে পাই, সেই প্রত্যাশা করি।

২০১৫ সালে হত্যা মামলার রায়ে মুফতি হান্নানসহ মোট আটজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। তাদের মধ্যে বিএনপি সরকারের সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই মাওলানা তাজউদ্দিনসহ ৪ আসামি এখনও পলাতক রয়েছেন। মুফতি হান্নানের ফাঁসি কার্যকর হয় অন্য আরেকটি মামলায়।


আরও খবর



ঈদে আসছে ‘লিপস্টিক’, প্রকাশ্যে পোস্টার

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

আসন্ন ঈদে মুক্তি পেতে যাচ্ছে চিত্রনায়ক আদর আজাদ ও চিত্রনায়িকা পূজা চেরি অভিনীত সিনেমা লিপস্টিক। সিনেমাটির আইটেম গান বেসামাল প্রকাশের মাধ্যমে মুক্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি সিনেমাটি সেন্সর পেয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিচালক কামরুজ্জামান রোমান। এর আগে প্রকাশ পায় সিনেমাটির রোমান্টিক গান নিন্দুকে। গানটি প্রকাশ্যে আসতেই দর্শকমহলে প্রশংসিত হয়।

এবার এলো সিনেমাটির অফিসিয়াল পোস্টার। পোস্টার প্রকাশ করে আদর আজাদ লেখেন, ঈদ হতে পারে বুধবার অথবা বৃহস্পতিবার, কিন্তু লিপস্টিক তো ঈদেই আসবে। সবাইকে ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা, ঈদ মোবারক।

সিনেমাটির গল্পে দেখা যাবে ঢাকার অদূরে অবস্থিত এক গ্রামের কিশোরী বুচি। চোখেমুখে তার নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন। সে উদ্দেশ্যেই ঢাকায় আসা তার। সব আনুষ্ঠাকিতা প্রায় সম্পন্ন। এখন শুধু নায়িকা হওয়াটাই বাকি। নায়িকা হয়েও যান। এরপরই শুরু হয় অন্য এক জীবন। এতে বুচি চরিত্রে অভিনয় করেছেন পূজা চেরি। তার নায়ক হিসেবে রয়েছেন আদর আজাদ।

চিত্রনায়ক আদর আজাদ সিনেমাটিকে রোমান্টিক থ্রিলার গল্পের সিনেমা বলছেন। তার ভাষ্য, গল্পটি দর্শকদের হৃদয়ে নাড়া দেবে। এর ফাইটগুলোও দুর্দান্ত হয়েছে। পুরোপুরি রোমান্টিক না, বলা যায় রোমান্টিক থ্রিলার। সিনেমাটি দর্শকদের কাছে উপভোগ্য হবে বলে আমার বিশ্বাস।

পূজা চেরি বলেন, অন্ধকার এক সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি আমি। কদিন আগেই মাকে হারালাম। যে আমার আমার পৃথিবী। সেই মাই এখন আমার সঙ্গে নেই। এমন সময়ে চারদিকে অন্ধকার লাগছে। ঠিক এই সময়ে লিপস্টিক ঈদে মুক্তির খবর এলো। এখন সিনেমাটা নিয়েই ব্যস্ত থাকব। মা হারানোর শোক কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করব। সবাই আমাকে আর্শীবাদে রাখবেন।

সিনেমাটির গল্পের কথা জানিয়ে এর আগে পূজা চেরি জানিয়েছিলেন, চিত্রনাট্য পড়ার সময়েই গল্পটির প্রেমে পড়ে যান তিনি। চরিত্রটি করতে গিয়ে সেই প্রেম গাঢ় হয় আরও। সাজগোজ প্রেজেন্ট সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে এতে অভিনয় করেছেন মিশা সওদাগর, শহীদুজ্জামান সেলিম, জায়েদ খান প্রমুখ।


আরও খবর



নেত্রকোনায় ছাত্রলীগের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

নেত্রকোনা প্রতিনিধি:

চলমান তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে এবং ক্যাম্পাসকে সুরক্ষা রাখতে কেন্দ্রীয় সংসদের নির্দেশে এক হাজারের বেশি বৃক্ষরোপণের উদ্যোগ নিয়েছে নেত্রকোনা জেলা ছাত্রলীগ। 

এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার (২২ এপ্রিল) নেত্রকোনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসম্পাদক মোহাম্মদ আল-মুক্তাদির খান লিহানের নেতৃত্বে নেত্রকোনা পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে ফলজ, বনজ ও ঔষধি  ১০০টি গাছের চারা রোপণ করা হয়। এ কর্মসূচি আরও ১০ দিন চলবে। রোপণকৃত গাছের মধ্যে রয়েছে— আম, কাঠাঁল, পেয়ারা, নিমসহ বিভিন্ন কাঠ জাতীয় গাছ।

বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে জেলা ও পৌর ছাত্রলীগের জুনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় মোহাম্মদ আল-মুক্তাদির খান লিহানের বলেন, ‘এসডিজি লক্ষমাত্রা অর্জন এবং তীব্র দাবদাহ থেকে রক্ষায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সারাদেশে ৫ লাখ বৃক্ষ রোপণের উদ্যোগ নিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের এই বৃক্ষরোপণ। আমাদের এই কর্মসূচি চলবে।’ 

তিনি আরো বলেন, আমরা বন কর্মকর্তার পরামর্শক্রমে বিভিন্ন গাছ সিলেকশন করেছি। তারপর আমার গাছ গুলো পরিচর্যার জন্য একজন নির্ধারিত লোক রেখেছি যিনি প্রতিদিন দুইবেলা পানি কিছুদিন পরপর ইউরিয়া সার দিবে এবং গাছের গোড়া পরিষ্কার রাখবে ও অন্যান্য কাজ নিয়মিত করে যাবে। 

এর আগে, ২১ থেকে ৩০ এপ্রিল ১০ দিনে সারাদেশে ৫ লাখ বৃক্ষ রোপণ করার ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এ ছাড়াও পরিবেশ দিবস-২০২৪ উপলক্ষে এক কোটি বৃক্ষরোপণ করে গিনেজ বুকস অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে অন্তর্ভুক্তির কর্মসূচি পরিকল্পনা রয়েছে সংগঠনটির।

সাম্প্রতিক তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য(এসডিজি) অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ১০ দিনে ৫ লক্ষের অধিক বৃক্ষরোপণের কর্মসূচি ঘোষণা করছে।


প্রয়োজনীয় নির্দেশনা :

চলতি এপ্রিল মাসের ২১-৩০ তারিখের মধ্যে এই কর্মসূচি শেষ করতে হবে; কৃষি বিশেষজ্ঞ ও সরকারের কৃষি বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও সহযোগিতা নিয়ে উপযুক্ত স্থানে নিয়মমাফিক বৃক্ষরোপণ করবে; শুষ্ক মৌসুম বিধায় নিয়মিত গাছে পানি দিতে হবে; রোপণকৃত বৃক্ষের পরিচর্যা করতে হবে; প্রতিটি উপজেলা ইউনিট এক হাজার এবং প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইউনিট পাঁচ শত বৃক্ষ রোপণ করবে; বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে উপজেলা পর্যায় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে; বৃক্ষরোপণের ছবি, ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করতে হবে।

একইসাথে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রত্যেক নেতাকর্মী ও অন্যান্য সাংগঠনিক ইউনিটকে নিজ উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।


আরও খবর